ঝর তুফানের দোয়া

ঝর তুফানের দোয়া

ঝর তুফানের দোয়া >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ৪, অধ্যায়ঃ ৫৩

  • অধ্যায়ঃ ৫৩. প্রথম অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৫৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৫৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

অধ্যায়ঃ ৫৩. প্রথম অনুচ্ছেদ

১৫১১. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি পূরবী বাতাস দিয়ে উপকৃত হয়েছি। আর আদ জাতি পশ্চিমা বাতাস দিয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।

[বোখারী, মুসলিম] {১}, {১} সহীহ : বোখারী ১০৩৫, ৩২০৫, ৩৩৪৩, ৪১০৫, মুসলিম ৯০০, মুসান্নাফ ইবনি আবী শায়বাহ্ ৩১৬৪৬, আহমাদ ২০১৩, ইবনি হিব্বান ৬৪২১, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪৮৪, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১১৪৯, সহীহ আল জামি আস্ সগীর ৬৭৬২। ঝর তুফানের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৫১২. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে কখনো এতটা হাসতে দেখিনি যাতে তার আলা জিহবা দেখিতে পেরেছি। তিনি মুচকী হাসতেন শুধু। তবে তিনি যখন ঝড়-তুফান দেখিতেন তখন তার প্রভাব তার চেহারায় উদ্ভাসিত হয়েছে বলে বুঝা যেত।

[বোখারী, মুসলিম] {১}, {১} সহীহ : বোখারী ৪৮২৮, ৪৮২৯, মুসলিম ৮৯৯, আবু দাউদ ৫০৯৮, আহমাদ ২৪৩৬৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪৬২। ঝর তুফানের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৫১৩. {আয়িশাহ্ [রাদি.]] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করলে নবী [সাঃআঃ] বলিতেন,

اللّهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيهَا وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِه وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيْهَا وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِه

“আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা খয়রহা-ওয়া খয়রা মা-ফীহা-ওয়া খয়রা মা-উরসিলাত বিহী ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা-ওয়া শারারি মা-ফীহা-ওয়া শাররি মা-উরসিলাত বিহী” [অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট এ ঝড়ো হাওয়ার কল্যাণের দিক কামনা করছি। কামনা করছি এর মধ্যে যা কিছু কল্যাণ নিহিত রহিয়াছে। যে কারণে এ ঝড়ো হাওয়া পাঠানো হয়েছে সে কল্যাণ চাই। আমি আশ্রয় চাই তোমার নিকট এর ক্ষতির দিক থেকে এবং এতে যা কিছু ক্ষতি নিহিত আছে এবং যে ক্ষতির জন্য তা পাঠানো হয়েছে তা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি]। [আয়িশাহ বলেন] আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেলে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মুখমণ্ডল বিবর্ণ হয়ে যেত। তিনি বিপদের ভয়ে একবার বের হয়ে যেতেন। আবার প্রবেশ করিতেন। কখনো সামনে আসতেন। কখনো পেছনে সরতেন। বৃষ্টি শুরু হলে তার উৎকণ্ঠা কমে যেত। বর্ণনাকারী বলেন, একবার আয়িশাহ্ [রাদি.]-এর কাছে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর এ উৎকণ্ঠা অনুভূত হলে তিনি তাহাঁর নিকট এর কারণ জিজ্ঞেস করিলেন। তিনি বললেন, হে আয়িশাহ্। এ ঝড়ো হাওয়া এমনতো হইতে পারে যা “আদ জাতি ভেবে ছিল। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন, “তারা যখন একে তাদের মাঠের দিকে আসতে দেখল, বললো, এটা তো মেঘ। আমাদের ওপর পানি বর্ষণ করিবে”-[সূরাহ আল আহকাফ ৪৬ : ২৪]। অন্য এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] স্বাভাবিক বৃষ্টি দেখলে বলিতেন, এটা আল্লাহর রহমাত ।

[বোখারী, মুসলিম] {১}, {১} সহীহ : বোখারী ৪৮২৯, মুসলিম ৮৯৯ [১৫], সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪৬৩, সহীহ আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১৫৫, সহীহ আল জামি আস্ সগীর ৪৭৫৩। ঝর তুফানের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৫১৪. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একবার বললেন: গায়বের চাবি পাঁচটি। তারপর তিনি এ আয়াতটি তিলাওয়াত করিলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ, যার নিকট রহিয়াছে ক্বিয়ামাতের জ্ঞান। আর তিনিই পাঠান মেঘমালা-বৃষ্টিধারা”-[সূরাহ লুক্বমান ৩১ : ৩৪]।

[বোখারী] {১}, {১} সহীহ : বোখারী ৪৭৭৮, আহমাদ ৪৭৬৬। ঝর তুফানের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৫১৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: বৃষ্টি না হওয়া প্রকৃত দুর্ভিক্ষ নয়। বরং প্রকৃত দুর্ভিক্ষ হলো, তোমরা বৃষ্টির পর বৃষ্টি লাভ করিতে থাকিবে অথচ মাটি ফসল উৎপাদন করিবে না।

[মুসলিম] {১}, {১} সহীহ : মুসলিম ২৯০৪, আহমাদ ৮৭০৩, ইবনি হিব্বান ৯৯৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪৮০, সহীহ আল জামি আস্ সগীর ৫৪৪৭। ঝর তুফানের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৫৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

১৫১৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: বৃষ্টি না হওয়া প্রকৃত দুর্ভিক্ষ নয়। বরং প্রকৃত দুর্ভিক্ষ হলো, তোমরা বৃষ্টির পর বৃষ্টি লাভ করিতে থাকিবে অথচ মাটি ফসল উৎপাদন করিবে না।

[মুসলিম] {১}, {১} সহীহ : আবু দাউদ ৫০৯৭, মুসনাদে আশ্ শাফিঈ ৫০৪, ইবনি মাজাহ ৩৭২৭, আহমাদ ৭৬৩১, ইবনি হিব্বান ১০০৭, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১৫৪, সহীহ আল জামি আস্ সগীর ৩৫৬৪, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৩৬৭। ঝর তুফানের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৫১৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী [সাঃআঃ]-এর সামনে বাতাসকে অভিসম্পাত করিল। [এ কথা শুনে] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেন, বাতাসকে অভিসম্পাত করো না। কারণ তারা আজ্ঞাবহ। আর যে ব্যক্তি এমন কোন জিনিসকে অভিশাপ দেয় যে জিনিস অভিশাপ পাবার যোগ্য নয়। এ অভিশাপ তার নিজের ওপর ফিরে আসে।

[তিরমিজি; তিনি বলেছেন, হাদিসটি গারীব] {১}, {১} সহীহ : আত তিরমিজি ১৯৭৮, আবু দাউদ ৪৯০৮, ইবনি হিব্বান ৫৭৪৫। ঝর তুফানের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৫১৮. উবাই ইবনি কাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা বাতাসকে গালি-গালাজ করো না। বরং তোমরা যখন [এতে] মন্দ কিছু দেখবে বলবে, হে আল্লাহ! আমরা তোমার কাছে এ বাতাসের কল্যাণ দিক কামনা করছি। এতে যে কল্যাণ নিহিত রয়েছে তা এবং যে জন্য তাকে হুকুম দেয়া হয়েছে তার ভাল দিক চাই। আমরা তোমার কাছে পানাহ চাই, এ বাতাসের খারাপ দিক হইতে। যত খারাপ এতে নিহিত রয়েছে তা হইতেও। এ বাতাস যে জন্য নির্দেশিত হয়েছে তার মন্দ দিক হইতেও।

[তিরমিজি] {১}, {১} সহীহ : আত তিরমিজি ২২৫২, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯২১৯, আহমাদ ২১১৩৮, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ২৭৫৬। ঝর তুফানের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৫১৯. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, বাতাস প্রবাহিত হওয়া শুরু করলে নবী [সাঃআঃ] হাঁটু ঠেক দিয়ে বসতেন আর বলিতেন,

اللّهُمَّ اجْعَلْهَا رَحْمَةً وَلَا تَجْعَلْهَا عَذَابًا اللّهُمَّ اجْعَلْهَا رِيَاحًا وَلَا تَجْعَلْهَا رِيحًا

“হে আল্লাহ! এ বাতাসকে তুমি রহমাতে রূপান্তরিত করো। আযাবে পরিণত করো না। হে আল্লাহ! একে তুমি বাতাসে পরিণত করো। ঝড়-তুফানে পরিণত করো না। “ইবনি আব্বাস বলেন, আল্লাহর কিতাবে রয়েছেঃ আর-বি আমি তাদের উপর পাঠিয়েছিলাম প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি”- [সূরাহ্ আল ক্বামার ৫৪ : ১৯]। “আমি তাদের কাছে পাঠিয়েছিলাম অকল্যাণকর বাতাস”-[সূরাহ্ আয্ যা-রিয়া-ত ৫১ : ৪১]। “আমি বৃষ্টি-সঞ্চারী বাতাস প্রেরণ করি-[সূরাহ্ আল হিজর ১৫ : ২২]। “তিনি বায়ু প্রেরণ করেন সুসংবাদ দানের জন্য”-[সূরাহ্ আর্ রূম ৩০ : ৪৬]।

[শাফিঈ, বায়হাক্বীর দাওয়াতুল কাবীর] {১}, {১} খুবই দুর্বল : মুসনাদ আশ্ শাফিঈ ৫০২, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৩৬৯, জইফ আল জামি আস্ সগীর ৪৪৬১। শায়খ আলবানী [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, হাদিসের সানাদে আল আলা বিন রাশিদ একজনে অপরিচিত রাবী এবং তার সাগরেদ ইব্রাহীম বিন আবী ইয়াহ্ইয়া একজন মিথ্যার অপবাদপ্রাপ্ত রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ খুবই দুর্বল

১৫২০. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] আকাশে মেঘ দেখলে কাজ-কর্ম ছেড়ে দিয়ে তার দিকেই নিবিষ্টচিত্ত হয়ে যেতেন। তিনি বলিতেন,

اللّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيهِ

”আল্ল-হুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন শাররি মা-ফীহি”-[অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই। এতে যে মন্দ রয়েছে তা হইতে]। এতে যদি আল্লাহ মেঘ পরিষ্কার করে দিতেন। তিনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করিতেন। আর যদি বৃষ্টি বর্ষণ শুরু হত বলিতেন, “আল্ল-হুম্মা সাক্বয়ান না-ফিআনা”-[অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি কল্যাণকর পানি দান করো]।

[আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ, শাফিঈ; শব্দাবলি তাহাঁর] {১}, {১} সহীহ : ইবনি মাজাহ ৩৮৮৯, মুসনাদ আশ্ শাফিঈ ৫০১, আবু দাউদ ৫০৯৯, নাসায়ী ১৮৩০। ঝর তুফানের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৫২১. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি নবী [সাঃআঃ] মেঘের গর্জন, বজ্রপাতের শব্দ শুনলে বলিতেন,

اللّهُمَّ لَا تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلَا تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذلِكَ

“আল্ল-হুম্মা লা-তাক্বতুলনা-বিগাযাবিকা ওয়ালা- তুহলিকনা-বিআযা-বিকা ওয়া আ-ফিনা-ক্ববলা যা-লিকা” [অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে তোমার গজব দ্বারা মৃত্যু দিও না এবং তোমার আযাব দ্বারা ধ্বংস করো না। বরং এ অবস্থার আগেই তুমি আমাদের নিরাপত্তার বিধান করো]।

[আহমাদ, তিরমিজি, তিনি {ঈমাম তিরমিজি] বলেন, হাদিসটি গারীব] {১}, {১} জইফ : আত তিরযিমী ৩৪৫০, কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১৫৯৯, সিলসিলাহ্ আয্ যঈফাহ্ ১০৪২, জইফ আল জামি আস্ সগীর ৪৪২১, মুসান্নাফ ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯২১৭, আহমাদ ৫৭৬৩। মুসতাদরাক লিল হাকিম ৭৭৭২, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৩৭০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪৭০। শায়খ আলবানী [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, প্রায় প্রত্যেক হাদিসের সানাদেই আবুল মাতর রয়েছে যাকে হাফিয ইবনি হাজার তার তাকরীবে মাজহূল বলে অবহিত করিয়াছেন। আর বায়হাক্বীর সানাদে হাজ্জাজ বিন আরতাতব রয়েছে যিনি একজন দুর্বল বারী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

অধ্যায়ঃ ৫৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

১৫২২. আমির ইবনি আবদুল্লাহ ইবনুয্ যুবায়র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন মেঘের গর্জন শুনতেন কথাবার্তা বন্ধ করে দিতেন। তিনি বলিতেন, আমি পবিত্রতা বর্ণনা করছি সে সত্তার যার পবিত্রতা বর্ণনা করে “মেঘের গর্জন, তার প্রশংসাসহ ফেরেশতাগণও তার ভয়ে তাহাঁর পবিত্রতা বর্ণনা ও প্রশংসা করেন”।

[ঈমাম মালিক] {১},{১} সহীহুল ইসনাদ : মুয়াত্তা মালিক ৩৬৪১, ইবনি আবী শায়বাহ্ ২৯২১৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৪৭১, সহীহ আদাবুল মুফারাদ ৭২৩, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১৫৭। ঝর তুফানের দোয়া -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply