জুমার সালাত ফরজ
জুমার সালাত ফরজ >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ৪, অধ্যায়ঃ ৪৩
- অধ্যায়ঃ ৪৩. প্রথম অনুচ্ছেদ
- অধ্যায়ঃ ৪৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
- অধ্যায়ঃ ৪৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ
অধ্যায়ঃ ৪৩. প্রথম অনুচ্ছেদ
১৩৭০. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] ও আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তাঁরা বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-কে মিম্বারের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলিতে শুনেছিঃ লোকেরা যেন জুমুআর সলাত [সালাত/নামায/সলাত] ছেড়ে না দেয়। [যদি ছেড়ে দেয়] আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরসমূহে মুহর মেরে দেবেন। অতঃপর সে ব্যক্তি অমনোযোগীদের মধ্যে গণ্য হবে।{১}
{১} সহীহ : মুসলিম ৮৬৫, ইবনি মাজাহ ৭৯৪, দারিমী ১৬১১, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৮৫৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৫৭১, শুআবুল ঈমান ১২৪৮, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ২৯৬৭, সহীহ আত তারগীব ৭২৫, সহীহ আল জামি ৫৪৮০। জুমার সালাত ফরজ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
অধ্যায়ঃ ৪৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
১৩৭১. আবুল জাদ আয্ যুমায়রী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অলসতা ও অবহেলা করে পরপর তিন জুমুআর সলাত [সালাত/নামায/সলাত] ছেড়ে দিবে, আল্লাহ তাআলা তার দিলে মুহর লাগিয়ে দেবেন।{১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ১০৫২, আত তিরমিজি ৫০০, নাসাযী ১৩৬৯, আহমাদ ১৫৪৯৮, ইবনূ খুযায়মাহ্ ১৮৫৮, ইবনি মাজাহ ১১২৬, ইবনি হিব্বান ২৭৮৬, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১০৩৪, সহীহ আত তারগীব ৭২৭, সহীহ আল জামি ৬১৪৩, মুসনাদুশ্ শাফিঈ ৩৮২, দারিমী ১৬১২, সুনানুল কুবরা বায়হাক্বী ৫৫৭৬। জুমার সালাত ফরজ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
১৩৭২. ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] সফ্ওয়ান ইবনি সুলায়ম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] সফ্ওয়ান ইবনি সুলায়ম [রাদি.] থেকে। {১}
{১} মুয়াত্ত্বা মালিক ৩৭২। এই হাদিসটির তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
১৩৭৩. আহমাদ [রাহিমাহুল্লাহ] আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আহমাদ [রাহিমাহুল্লাহ] আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] থেকে এ হাদিস বর্ণনা করেন।{১}
{১} আহমাদ, মুসনাদ [৪/৩০০], হাকিম [২/৪৮৮], ইবনি মাজাহ [১১২৬]। এই হাদিসটির তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
১৩৭৪. সামুরাহ্ ইবনি জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেনঃ যে লোক কোন কারণ ব্যতীত জুমুআর সলাত [সালাত/নামায/সলাত] ছেড়ে দেবে সে যেন এক দীনার সদাক্বাহ্ [সাদাকা] করে। যদি এক দীনার পরিমাণ সংগ্রহ করিতে না পারে, তাহলে অর্ধেক দীনার সদাক্বাহ্ [সাদাকা] করিবে।{১}
{১} জইফ : আবু দাউদ ১০৫৩, নাসায়ী ১৩৭২, ইবনি মাজাহ ১১২৮, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৫৫৩৫, আহমাদ ২০০৮৭, ২০১৫৯, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৮৬১, ইবনি হিব্বান ২৭৮৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৯৮৯, শুআবুল ঈমান ২৭৫৬, জইফ আল জামি ৫৫২০। কারণ এর সানাদে কুদামাহ্ ইবনি ওয়াব্রাহ্ একজন মাজহূল রাবী, তিনি ক্বাতাদাহ্ ছাড়া অন্য কারো থেকে হাদিস বর্ণনা করেননি। ঈমাম আহমাদ [রাহিমাহুল্লাহ] বলেছেন, সে অপরিচিত। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
১৩৭৫. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী সাঃআঃ বলেনঃ যে ব্যক্তি জুমুআর আযান শুনতে পাবে, তার ওপর জুমুআর সলাত [সালাত/নামায/সলাত] ফরয হয়ে যায়।{১}
{১} হাসান : আবু দাউদ ১০৫৬, ইরওয়া ৫৯৩, সহীহ আল জামি ৩১১২, দারাকুত্বনী ১৫৯০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৫৮১। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
১৩৭৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী সাঃআঃ বলেছেনঃ জুমুআর সলাত [সালাত/নামায/সলাত] তার ওপরই ফরয যে তার ঘরে রাত কাটায়। [{১}
{১} খুবই দুর্বল : আত তিরমিজি ৫০২, জইফ আল জামি ২৬৬১। কারণ এর সানাদে হাজ্জাজ ইবনি মুসায়ব একজন দুর্বল রাবী এবং আবদুল্লাহ ইবনি সাঈদ আল মুক্ববিরী-কে ঈমাম ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ খুবই দুর্বল রাবী বলে উল্লেখ করিয়াছেন। এই হাদিসটির তাহকীকঃ খুবই দুর্বল
১৩৭৭.ত্বারিক্ব ইবনি শিহাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ জুমুআর সলাত অপরিহার্য ও বাধ্যতামূলক। জুমুআর সলাত চার ব্যক্তি ছাড়া প্রত্যেক মুসলিমের ওপর জামাআতের সাথে আদায় করা ওয়াজিব। ওই চার ব্যক্তি হলো [১] গোলাম যে কারো মালিকানায় আছে, [২] নারী, [৩] বাচ্চা, [৪] রুগ্ন ব্যক্তি। [আবু দাউদ; শারহুস্ সুন্নাহ্ কিতাবে মাসাবীহ কিতাবের মূল পাঠ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা ওয়ায়িল গোত্রের এক ব্যক্তির সূত্রে বর্ণিত।] {১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ১০৬৭, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১০৬২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৫৭৮, সহীহ আল জামি ৩১১১। জুমার সালাত ফরজ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
অধ্যায়ঃ ৪৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ
১৩৭৮. আবদুল্লাহ ইবনি মাস্ঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] এমন লোক সম্পর্কে বলেছেন, যারা জুমুআর সলাতে উপস্থিত হয় না, তাদের সম্পর্কে আমি চিন্তা করে দেখেছি যে, আমি কাউকে আদেশ করব, সে আমার স্থানে লোকদের ঈমামত করিবে। আর আমি গিয়ে তাদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেবো। [] {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ৬৫২, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৫৫৩৯, আহমাদ ৩৮১৬, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৮৫৩, সুনানুল বায়হাক্বী আল কুবরা ৪৯৩৫, সহীহ আত তারগীব ৭২৪। জুমার সালাত ফরজ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
১৩৭৯. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন কারণ ব্যতীত জুমুআর সলাত ছেড়ে দেয়, তার নাম এমন কিতাবে মুনাফিক্ব হিসেবে লিখা হয় যা কখনো মুছে ফেলা যায় না, না পরিবর্তন করা যায়। কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে, তিন জুমুআহ্ পরিত্যাগ করার কথা আছে [তার জন্য এ শাস্তি]। {১}
{১} জইফ : মুসনাদুশ্ শাফিঈ ৩৮১, সিলসিলাহ্ আয্ যঈফাহ্ ৬৫৭। এর সানাদে ইব্রাহীম ইবনি মুহাম্মাদ একজন মাতরূক রাবী এবং ইব্রাহীম ও আবদুল্লাহ পিতা-পুত্র উভয়েই অপরিচিত রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
১৩৮০. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার ওপর ও আখিরাতের ওপর ঈমান রাখে, তার জন্য জুমুআর দিনে জুমুআর সলাত আদায় করা অবশ্য কর্তব্য। তবে অসুস্থ, মুসাফির, নারী, নাবালেগ ও গোলামের ওপর ফার্য নয়। সুতরাং যারা খেল-তামাসা বা ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে জুমুআর সলাত হইতে উদাসীন থাকিবে, আল্লাহ তাআলাও তার দিক থেকে বিমুখ থাকিবেন। আর আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, তিনি সুউচ্চ, প্রশংসিত। {১}
{১} জইফ : দারাকুত্বনী ১৫৭৬, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৫১৪৯, সুনানুল বায়হাক্বী আল কুবরা ৫৬৩৪, শুআবুল ঈমান ২৭৫৩। কারণ এর সানাদে ইবনি লাহ্ইয়া এবং মাআয ইবনি মুহাম্মাদ দুজনই দুর্বল রাবী। আর আবুয্ যুবায়র মুদ্দালিস রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
Leave a Reply