জুমার নামাজ। জুমা‘আর নামাজ পরিত্যাগকারীকে ভীতি প্রদর্শন
জুমার নামাজ। জুমা‘আর নামাজ পরিত্যাগকারীকে ভীতি প্রদর্শন >> বুলুগুল মারাম এর মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায় ১২ঃ জুমার নামাজ
পরিচ্ছেদ ২০৫ঃ জুমা‘আর নামাজ পরিত্যাগকারীকে ভীতি প্রদর্শন
পরিচ্ছেদ ২০৬ঃ নবী [সাঃআঃ] এর যুগে জুমার নামাজ আদায়ের সময়
পরিচ্ছেদ ২০৭ঃ ১২ জন ব্যক্তির উপস্থিতিতে জুমু’আর নামাজ বৈধ
পরিচ্ছেদ ২০৮ঃ যে ব্যক্তি জুমু’আর নামাজ এক রাক’আত পাবে তার বিধান
পরিচ্ছেদ ২০৯ঃ খতীবের দাঁড়ানো ও দুই খুতবাহ এর মাঝে বসা শরীয়তসম্মত
পরিচ্ছেদ ২১০ঃ খুতবা ও খতীবের কিছু বৈশিষ্ট্য
পরিচ্ছেদ ২১১ঃ খুতবা সংক্ষিপ্ত ও নামাজ লম্বা করা মুস্তাহাব
পরিচ্ছেদ ২১২ঃ জুমু’আর খুতবাতে সূরা [আরবী] [ক্বাফ] পড়া মুস্তাহাব
পরিচ্ছেদ ২১৩ঃ জুমু’আর দুই খুতবাতে চুপ থাকা ওয়াজিব
পরিচ্ছেদ ২১৪ঃ খুতবা চলাকলীন সময়ে তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায়ের বিধান
পরিচ্ছেদ ২১৫ঃ জুমু’আর নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়
পরিচ্ছেদ ২১৬ঃ যখন ঈদের ও জুমু’আর নামাজ একদিনে হইবে তখন কেউ যদি ঈদের নামাজ পড়ে নেয় তাহলে তাকে জুমু’আর নামাজ পড়তে হইবে না।
পরিচ্ছেদঃ ২১৭ঃ জুমার পরের নামাজ
পরিচ্ছেদ ২১৮ঃ ফরয ও নফল নামাজের মাঝে পার্থক্য করা শরীয়তসম্মত
পরিচ্ছেদ ২১৯ঃ জুমু’আ দিবসের ফযীলত
পরিচ্ছেদ ২২০ঃ জুমু’আর দিনে একটি সময় দু’আ কবুল করা হয়
পরিচ্ছেদ ২২১ঃ জুমুআর জন্য [মুসল্লীর] সংখ্যা [ অধিক হওয়া] শর্ত
পরিচ্ছেদ ২২২ঃ জুমু’আর নামাজে দু’আ করা শরীয়তসম্মত
পরিচ্ছেদ ২২৩ঃ জুমার খুতবাতে কুরআন পাঠ ও নসীহত করা বৈধ
পরিচ্ছেদ ২২৪ঃ খুতবা অবস্থায় ইমামের দিকে মুখ করে বসা
পরিচ্ছেদ ২২৫ঃ খুতবা দেয়া অবস্থায় লাঠি বা ধনুকের উপর ভর করার বিধান
পরিচ্ছেদ ২০৫ঃ জুমা‘আর নামাজ পরিত্যাগকারীকে ভীতি প্রদর্শন
৪৪৫ -আবদুল্লাহ বিন`উমার ও আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তাঁরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে মিম্বরের উপর বলিতে শুনেছেন যে, জুমু‘আহ বর্জনের পাপ হতে লোক অবশ্য বিরত হোক, নতুবা আল্লাহ্ তাদের অন্তরসমূহে মোহর মেরে দেবেন, এরপর তারা গাফিল [ধর্মবিমুখ] হয়ে যাবে। {৪৮৩}
{৪৮৩} মুসলিম ৮৬৫, নাসায়ি হাদিস ১৩৭০ ইবনু মাজাহ ৭৯৪, ১১২৭, আহমাদ ২১৩৩, ২২৯০, দারেমী ১৫৭০, [আরবী] এর অর্থঃ [আরবী] তথা পরিত্যাগ করা। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২০৬ঃ নবী [সাঃআঃ] এর যুগে জুমার নামাজ আদায়ের সময়
৪৪৬ – সালামাহ ইবনু আকওয়াহ [রহঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নাবী [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করে যখন বাড়ি ফিরতাম তখনও প্রাচীরের ছায়া পড়ত না, যে ছায়ায় আশ্রয় নেয়া যেতে পারে। শব্দ বিন্যাস বুখারীর।
মুসলিমের শব্দ বিন্যাসে আছেঃ আমরা সূর্য পশ্চিমে ঢলে যাবার পর তাহাঁর সঙ্গে জুমু‘আহ্র নামাজ আদায় করতাম। তারপর ফিরার সময় ছায়া খুঁজতাম। {৪৮৪}
{৪৮৪} বুখারী ৪১৬৮, মুসলিম ৮৬০, নাসায়ি হাদিস ১৩৯১, আবূ দাউদ ১৮০৫, ইবনু মাজাহ ১১০০, আহমাদ ১৬১১১, দারেমী ১৫৪৬। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৪৪৭ – সাহল ইবনু সা’দ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি আরো বলেছেন, জুমার নামাজ পরই আমরা কায়লূলাহ [দুপুরের শয়ন ও হালকা নিদ্রা] এবং দুপুরের আহার্য গ্রহণ করতাম। [শব্দ বিন্যাস মুসলিমের] ভিন্ন একটি বর্ণনায় আছেঃ নাবী [সাঃআঃ] এর যামানায় [এরূপ করতাম]। {৪৮৫}
{৪৮৫} বুখারী ৯৩৯, ৯৩৮, ৯৪১, ২৩৪৯, ৫৪০৩, ৬২৪৮, মুসলিম ৮৫৯, তিরমিজি ৫২৫, ইবনু মাজাহ ১০৯৯। আর এটা মুসলিম শরীফে আলী বিন হুজরের রিওয়ায়াত। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২০৭ঃ ১২ জন ব্যক্তির উপস্থিতিতে জুমু’আর নামাজ বৈধ
৪৪৮ – জাবির [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] দাঁড়িয়ে খুতবাহ দিচ্ছিলেন। এমন সময় শাম [সিরিয়া] হতে খাদ্যদ্রব্যবাহী উটের দল এসে পৌঁছল। এর ফলে মুসল্লীগণের মাত্র বারোজন ব্যতীত সকলেই সেখানে চলে গেল। {৪৮৬}
{৪৮৬} বুখারী ৮৬৩, ৯৩৬, ২০৫৮, ২০৬৪, ৪৮৯৯, মুসলিম ৮৬৩, তিরমিজি ৩৩১১, আহমাদ ১৪৫৬০। [আরবী] শব্দের অর্থ ঃ [আরবী] তথা প্রস্থান করা, চলে যাওয়া। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২০৮ঃ যে ব্যক্তি জুমু’আর নামাজ এক রাক’আত পাবে তার বিধান
৪৪৯ – ইবনু উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমু’আহ বা অন্য নামাজের এক রাক’আত জামাতের সঙ্গে পাবে, সে যেন অন্য এক রাকআত তার সঙ্গে মিলিয়ে নেয়, এতে তার নামাজ পূর্ণ হয়ে যাবে। -শব্দ বিন্যাস দারাকুৎনীর। এর সানাদ সহিহ, তবে আবূ হাতিম এ হাদিসের সানাদের মুরসাল হওয়াটাকে শক্তিশালী করিয়াছেন। {৪৮৭}
{৪৮৭} নাসায়ি হাদিস ৫৫৭, ইবনু মাজাহ ১১২৩। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২০৯ঃ খতীবের দাঁড়ানো ও দুই খুতবাহ এর মাঝে বসা শরীয়তসম্মত
৪৫০ – জাবির বিন সামূরাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] দাঁড়িয়ে খুতবাহ্ দেয়ার পর [মিম্বারের] উপরেই বসতেন, তারপর পুনঃ দাঁড়িয়ে খুত্বাহ দিতেন। অতএব যে সংবাদ দিবে তিনি বসে খুতবাহ্ দিতেন সে অবশ্যই মিথ্যা বলিল। {৪৮৮}
{৪৮৮} বুখারী ৮৬২, তিরমিজি ৫০৮, নাসায়ি হাদিস ১৪১৫, ১৪১৭, ১৪১৮, আবূ দাউদ ১০৯৪, ১০০১, ইবনু মাজাহ ১১০৫, ১১০৬, আহমাদ ২০২৮৯, ২০৩০৬, ২০৩২২, দারেমী ১৫৫৭, ১৫৫৯, পূর্ণাঙ্গ হাদীসঃ আল্লাহর শপথ! আমি তাহাঁর সাথে দুই হাজারেরও অধিক নামাজ পড়েছি। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২১০ঃ খুতবা ও খতীবের কিছু বৈশিষ্ট্য
৪৫১ – জাবির বিন আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন খুতবাহ দিতেন তখন তাহাঁর চোখ দু’টি রক্তিম বর্ণ ধারণ করত ও আওয়াজ উঁচু হত, আর তাহাঁর ক্রোধ বেড়ে যেত; এমনকি মনে হত তিনি যে কোন শত্রু সৈন্য সম্বন্ধে আমাদেরকে সতর্ক করছেন। আর বলিতেন সকাল-সন্ধ্যায় তোমরা আক্রান্ত হইবে আর বলিতেন-আম্মা বা’দু, উত্তম হাদিস আল্লাহর কিতাব; উত্তম হিদায়াত মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর হিদায়াত; নিকৃষ্টতর কাজ হচ্ছে বিদ‘আত, প্রত্যেক বিদ‘আতই হচ্ছে ভ্রষ্টতা।
মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছেঃ নাবী [সাঃআঃ] জুমু’আহর দিনে [খুতবায়], আল্লাহর হামদ ও সানা পাঠের পর পরই উচ্চকন্ঠে বক্তব্য রাখতেন।
মুসলিমের ভিন্ন একটি রিওয়ায়াতে আছে-“যাকে আল্লাহ হিদায়াত করেন তাকে গুমরাহ করার কেউ নেই, আর যাকে গুমরাহ করেন তাকে হিদায়াত করার কেউ নেই। আর নাসায়ি হাদিসতে আছেঃ প্রত্যেক গুমরাহী হচ্ছে জাহান্নামে যাবার কারণ। {৪৮৯}
{৪৮৯} মুসলিম ৮৬৭, নাসায়ি হাদিস ১৫৭৮, আবূ দাউদ ২৯৫৪, ২৯৫৬, ইবনু মাজাহ ৪৫, ২৪১৬ আহমাদ ১৫৭৪৪, ১৩৯২৪, ১৪০২২, দারেমী ২০৬। আলবানি হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২১১ঃ খুতবা সংক্ষিপ্ত ও নামাজ লম্বা করা মুস্তাহাব
৪৫২ – আম্মার বিন ইয়াসির [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছিঃ “
إِنَّ طُولَ صَلَاةِ الرَّجُلِ، وَقِصَرَ خُطْبَتِهِ مَئِنَّةٌ مِنْ فِقْهِهِ
জুমার নামাজ লম্বা করা ও খুতবাহ সংক্ষিপ্ত করা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক”। {৪৯০}
{৪৯০} মুসলিম ৮৬৯, আহমাদ ১৭৮৫৩, ১৮৪১০, দারেমী ১৫৫৬, [আরবী] শব্দের অর্থঃ আলামত ও দলীল। হাদিসের ভাবার্থ হচ্ছেঃ একজন বক্তার মেধা বা প্রজ্ঞা জানা যায় তার জুমু’আর নামায লম্বা করা ও খুতবা সংক্ষেপ করা থেকে। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২১২ঃ জুমু’আর খুতবাতে সূরা [আরবী] [ক্বাফ] পড়া মুস্তাহাব
৪৫৩ – উম্মু হিশাম বিনতু হারিসাহ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন-আমি সূরা [ক্বাফ] রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] যবান থেকে শিক্ষা করেছি। তিনি সূরাটি প্রতিটি জুমু’আহর খুতবায় মিম্বরে উঠে পাঠ করিতেনে যখন লোকেদের মাঝে তিনি খুতবাহ দিতেন। {৪৯১}
{৪৯১} মুসলিম ৮৭২, ৮৭৩, নাসায়ি হাদিস ৯৪৯, ১৪১১, আবূ দাউদ ১১০০, ১১০২, আহমাদ ২৬৯০৯, ২৭০৮১। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২১৩ঃ জুমু’আর দুই খুতবাতে চুপ থাকা ওয়াজিব
৪৫৪ – ইবনু আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন-ইমামের খুতবাহ দেয়ার সময় যে মুসুল্লী কথা বলবে সে ভারবাহী গাধার মত; আর যে তাকে`চুপ থাক’ বলে তার জুমুআর হক আদায় হল না। -আহমাদ দোষমুক্ত সানাদে। {৪৯২}
{৪৯২} বুখারী ১৫৯৭, ১৬০৫, ১৬১০, মুসলিম ১২৭০, ১২৭১, তিরমিজি ৮৬০, নাসায়ি হাদিস ২৯৩৬, ২৯৩৭, ২৯৩৮, আবূ দাউদ ১৮৭৩, ইবনু মাজাহ ২৯৪৩, আহমাদ ১০০, ১৩২, ১৭৭, ১৫৫, মুওয়াত্তা মালেক ৮২৪, দারেমী ১৮৬৪। ইমাম হাইসামী তাহাঁর আল মাজমাউয যাওয়ায়িদ [২/১৮৭] গ্রন্থে বলেন, এর সনদে মুজালিদ বিন সাঈদ রয়েছেন যাকে মুহাদ্দিসগণ দুর্বল বলেছেন। একটি বর্ণনায় ইমাম নাসায়ি হাদিস তাকে সিক্বাহ হিসেবে উল্লেখ করিয়াছেন। ইমাম শওকানী তাহাঁর সাইলুল জাররার [১/৩০১], গ্রন্থে বলেন, উক্ত রাবীর ব্যাপারে হালকা বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু তিনি তাহাঁর নাইলুল আওত্বার [৩/৩৩৪] গ্রন্থে বলেন, অধিকাংশ মুহাদ্দিস তাকে দুর্বল বলেছেন। শাইখ আলবানী জঈফ তারগীব [৪৪০], তাখরিজ মিশকাতুল মাসাবীহ [১৩৪২] গ্রন্থে একে দুর্বল বলেছেন। তবে আহমাদ শাকের মুসনাদ আহমাদের তাহকীকে [৩/৩২৬] এর সনদকে হাসান বলেছেন। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৪৫৫ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
হাদিসটি হচ্ছে-জুমু‘আহর দিন যখন তোমার পাশের মুসল্লীকে চুপ থাক বলবে, অথচ ইমাম খুত্বাহ দিচ্ছেন, তা হলে তুমি একটি অনর্থক কথা বললে। {৪৯৩}
{৪৯৩} বুখারী ৯৩৪, মুসলিম ৮৫১, তিরিমিযী ৫১২, নাসায়ি হাদিস ১৪০১, ১৪০২, আবূ দাউদ ১১১২, ইবনু মাজাহ ১১১০, দারিমী ১৪৪৮, ১৪৪৯, আহমাদ ৭২৮৮, ৭২৯৯, ৭৭০৬, মুওয়াত্তা মালেক ২৩২। [আরবী] শব্দের অর্থঃ যাইন ইবনুল মুনীর বলেন-সকল ব্যাখ্যাকারীগণ ঐক্যমত্য পোষণ করিয়াছেন যে, [আরবী] হচ্ছে নিরর্থক, বাজে কথা বলা যা শোভনীয় নয়। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২১৪ঃ খুতবা চলাকলীন সময়ে তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায়ের বিধান
৪৫৬ – জাবির ইবনু আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক জুমার দিন নাবী [সাঃআঃ] খুতবাহ দেয়ার সময় এক ব্যক্তি প্রবেশ করলে তিনি তাকে জিজ্ঞেস করিলেন, নামাজ আদায় করেছ কি? সে বলিল, না; তিনি বললেনঃ উঠ, দু’রাক’আত নামাজ আদায় কর। {৪৯৪}
{৪৯৪} বুখারী ৯৩০, ৯৩১, ১১৭০, মুসলিম ৫৬৫, ৮৭৫, তিরমিজি ৫১০, ১৩৯৫, ১৪০০, আবূ দাউদ ১১৬, ১১১৫, ১১১৬, ইবনু মাজাহ ১১১২, আহমাদ ১৩৭৫৯, ১৩৮৯৭, দারেমী ১৫৬, ১৫১১, ১৫৫১। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২১৫ঃ জুমু’আর নামাজে কোন সূরা পড়তে হয়
৪৫৭ – ইবনু`আব্বাস [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] জুমুআহ্র নামাজে সূরা আল-জুমু‘আহ ও সূরা আল্ মুনাফিকূন পাঠ করিতেন। {৪৯৫}
{৪৯৫} মুসলিম ৮৭৯, তিরমিজি ৫২০, নাসায়ি হাদিস ৯৫৬, ১৪২১, আবূ দাউদ ১০৪৭, ১০৭৪, ইবনু মাজাহ ৮২১, আহমাদ ১৯৯৪, ২৪৫২, ২৭৯৬। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৪৫৮ – নু’মান বিন্ বাশীর [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
দু`ঈদের নামাজে ও জুমুআহর নামাজে`সাব্বি হিস্মা রাব্বিাকাল আ’লা’ ও`হাল আতাকা হাদিসুল গ্বাশিয়্যাহ’ সূরা দু’টি তিলাওয়াত করিতেন। {৪৯৬}
{৪৯৬} মুসলিম ৮৭৮, তিরমিজি ৫৩৩, নাসায়ি হাদিস ১৪২৩, ১৪২৪, আবূ দাউদ ১১২২, ১১২৩, ইবনু মাজাহ ১১১৯, ইবনু মাজাহ ১৭৯১৪, ১৭৯১৬, ১৭৯৪২, মুওয়াত্তা মালেক ২৪৭, দারেমী ১৫৬৬, ১৫৬৭, ১৫৬৮। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২১৬ঃ যখন ঈদের ও জুমু’আর নামাজ একদিনে হইবে তখন কেউ যদি ঈদের নামাজ পড়ে নেয় তাহলে তাকে জুমু’আর নামাজ পড়তে হইবে না।
৪৫৯ – যায়দ ইবন আর্কাম্ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] ঈদের নামাজ আদায় করে [ঐ দিনের] জুমআহর নামাজের ছাড় দিয়ে বলিলেন, যার ইচ্ছা হয় সে জুমার আদায় করিবে। – ইবনু খুযাইমাহ একে সহিহ বলেছেন। {৪৯৭}
{৪৯৭} আবূ দাউদ ১০৭০, নাসায়ি হাদিস ১৫৯১, ইবনু মাজাহ ১৩৭০, দারিমী ১৬১২। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২১৭ঃ জুমার পরের নামাজ
৪৬০ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন- যখন তোমাদের কেউ জুমু’আহর নামাজ আদায় করিবে সে যেন জুমু’আহর নামাজ আদায়ের পর চার রাক’আত সুন্নাত নামাজ আদায় করে। {৪৯৮}
{৪৯৮} মুসলিম ৮৮১, তিরমিজি ৫২৩, ৫২৪, নাসায়ি হাদিস ১৪২৬, ১১৩১, ইবনু মাজাহ ১১৩২, আহমাদ ৯৪০৬, ১০১০৮, দারেমী ১৫৭৫। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২১৮ঃ ফরয ও নফল নামাজের মাঝে পার্থক্য করা শরীয়তসম্মত
৪৬১ – সায়িব্ বিন্ ইয়াযিদ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
মু’আবিয়াহ [রাঃআঃ] তাঁকে বলেছেন যখন তুমি জুমার নামাজ আদায় করিবে তখন অন্য কোন [নফল] নামাজকে তার সঙ্গে মিলাবে না; যতক্ষণ না কথা বল বা বের হও। একথা নিশ্চিত যে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের এক নামাজকে অন্য নামাজের সঙ্গে সংযোগ না করেত নির্দেশ দিয়েছেন। যতক্ষন না আমরা কথা বলি বা [নামাজের] স্থান ত্যাগ করে। {৪৯৯}
{৪৯৯} মুসলিম ৮৮০, আবূ দাউদ ১১২৯, আহমাদ ২৬৪২৪, ১৬৪৬৮। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২১৯ঃ জুমু’আ দিবসের ফযীলত
৪৬২ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন-`যে ব্যক্তি গোসল করে অতঃপর জুমু’আর নামাজে হাজির হয় আর তার জন্য যতটা নির্দিষ্ট [বিধিবদ্ধ] থাকে ততটা সুন্নাত নামাজ আদায় করে। তারপর খুত্বাহ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নীরব থাকে। তারপর ইমাম সাহেবের সঙ্গে নামাজ আদায় করে, তাকে এক জুমু’আহ হতে অন্য জুমু’আহ পর্যন্ত কৃত গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়া হয়- এর অতিরিক্ত আরো তিন দিন। {৫০০}
{৫০০} মুসলিম ৮৫৭, তিরমিজি ৪৯৮, আবূ দাউদ ১০৫০, ইবনু মাজাহ ১০৯০ আহমাদ ৯২০০। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২২০ঃ জুমু’আর দিনে একটি সময় দু’আ কবুল করা হয়
৪৬৩ – আবূ হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ] জুমু’আহ্র দিন সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং বলেন, এ দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যে কোন মুসলিম বান্দা যদি এ সময় নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর নিকট কিছু প্রার্থনা করে, তবে তিনি তাকে অবশ্যই তা দিয়ে থাকেন এবং তিনি হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বুঝিয়ে দিলেন যে, সে মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত। মুসলিমের রিওয়ায়াতে রয়েছেঃ নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, এটা অতি স্বল্প সময় মাত্র। {৫০১}
{৫০১} মুসলিম ৮৪২, তিরমিজি ৪৯১, নাসায়ি হাদিস ১৪৩০, ১৪৩১, ১৪৩২, আবূ দাউদ ১০৪৬, ইবনু মাজাহ ১১৩৭, আহমাদ ৭১১১, ৭৪২৩, ২৭৫৬৮, মুওয়াত্তা মালেক ২২২, ২৪২, দারেমী ১৫৬৯। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৪৬৪ – আবূ বুরদাহ [রাঃআঃ] তাহাঁর পিতা থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন ঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] –কে বলিতে শুনিয়াছি দু’আ কবুল হবার উক্ত সময়টি হচ্ছে খুত্বাহ্র জন্য ইমামের মিম্বারে বসার সময় হতে নামাজ সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত। দারাকুৎনী এটাকে আবূ বুরদাহর নিজস্ব কথা বলে অভিমত ব্যক্ত করিয়াছেন। {৫০২}
{৫০২} মুসলিম ৮৫৩, আবূ দাউদ ১০৪৯। সুরুলুস সালাম [২/৮৭] ইমাম সনয়ানী বরেন, হাদিসটি এযতিরাব ও এনকেতার দোষে দুষ্ট। যযীফুল জামে [৬১৩] জঈফ আত-তারগীব [৪২৮] আবূ দাউদ ১০৪৯ গ্রন্থদ্বয়ে আলবানী হাদিসটিকে দুর্বল বলেছেন। হাশীয়া বুলুগুল মারাম [৩০৮] গ্রন্থে বিন বায বলেন, অধিকাংশ রাবীগণ আবূ বুরদা থেকে মাওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছে। মারফু হিসেবে শুধু মাখরামা বিন বুকাইর তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছে। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৪৬৫ – বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ্ বিন্ সালাম কর্তৃক ইবনু মাজাহ্তে বর্ণিত হয়েছে।
হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস
৪৬৬ – জাবির [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
উক্ত সময়টি হচ্ছে`আসরের সময় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
এ সময়ের ব্যাপারে চল্লিশটিরও অধিক কওল [অভিমত] ব্যক্ত করা হয়েছে। বুখারীর টীকায় আমি এগুলো লিপিবদ্ধ করেছি। {৫০৪}
{৫০৩} জাবির [রাঃআঃ] এর হাদিস- রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ জুমুআর দিন বার ঘণ্টা। এর মধ্যে কোন মুসলমান বান্দা আল্লাহর কাছে কোন কিছু চায় তবে তিনি নিজেই তা দেন। তাই তোমরা আসরের পর তা অন্বেষণ কর। {৫০৪} নাসায়ি হাদিস ১৩৮৯, আবূ দাউদ ১০৪৮, ইবনু মাজাহ ১১৩৯। হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস
পরিচ্ছেদ ২২১ঃ জুমুআর জন্য [মুসল্লীর] সংখ্যা [ অধিক হওয়া] শর্ত
৪৬৭ – জাবির [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, চল্লিশ বা ততোধিক মুসল্লির জন্য জুমার নামাজ [জামাতে] পড়া সিদ্ধ। -দারাকুৎনী দুর্বল সানাদে। {৫০৫}
{৫০৫} ইমাম সনয়ানী তাহাঁর সুবুলুস সালাম ২/৮৯ গ্রন্থে বলেন, এ হাদিসের সনদে আব্দুল আযীয বিন আব্দুর রহমান রয়েছে। ইমাম আহমাদ তাহাঁর সম্পর্কে বলেন, সে হাদিস বর্ণনা করিতে উল্টাপাল্টা করত সেই হাদিসগুলো হয় মিথ্যা না হয় বানোয়াট। দারাকুতনী বলেন, সে মুনকারুল হাদিস। ইমাম যাহাবী তানকীহুত তাহকীক [১/২৭৭] গ্রন্থে উক্ত রাবী সম্পর্কে বলেন, মুহাদ্দীসগন তাকে পরিত্যাগ করিয়াছেন। ইমামুদ্দীন ইবনু কাসির তাহাঁর ইরশাদুল ফকীহ ইলা মা’রিফাতি আদিল্লাতিত তানবীহ [১/১৯৪] গ্রন্থেও উক্ত রাবীকে মাতরুক বলে আখ্যায়িত করিয়াছেন। ইবনু উসাইমীন তাহাঁর আশ-শারহুল সুমতে’ [৫/৩৮] গ্রন্থে বলেন, হাদিসটি বিশুদ্ধ নয়। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ২২২ঃ জুমু’আর নামাজে দু’আ করা শরীয়তসম্মত
৪৬৮ – সামুরাহ বিন জুনদুব [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] মু’মিন ও মু’মিনাহ সকলের জন্য প্রতি জুমু‘আহতে ক্ষমা চাইতেন। -বাযযার দুর্বল সানাদে। {৫০৬}
{৫০৬} ইমাম হায়সামী তাহাঁর মাজুমুয়াতুয যাওয়ায়েদ [২/১৯৩] গ্রন্থে বলেন, বাযযারের সনদে ইউসুফ বিন খালেদ আস সামতী নামক বর্ণনাকারী রয়েছে সে দুর্বল। ইমাম সনয়ানী তাহাঁর সুবুলুস সালাম [২/৯০] গ্রন্থে বলেন, এর সনদে ইউসুফ বিন খালিদ আল বাসতী রয়েছেন, তিনি দুর্বল। ইমাম হাইসামী তাহাঁর মাজমাউয যাওয়ায়িদ [২/১৯৩] গ্রন্থেও অনুরূপ বলেছেন। ইবনু উসাইমীন তাহাঁর শরহে বুলুগুল মারাম [২/৩৬৫] গ্রন্থে একে দুর্বল বলেছেন। শাইখ সুমাইর আয যুহাইরী উক্ত হাদিসের সনদ উল্লেখ করিয়াছেন এভাবেঃ [আরবী] মীযানুল ই’তিদাল গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, খালিদ বিন ইউসুফ দুর্বল, আর তার পিতা ইউসুফ বিন খালিদ আস সামতীকেও মুহাদ্দীসগন বর্জন করিয়াছেন। আর ইবনু মুঈন তাকে মিথ্যাবাদী বলেছেন। এর সনদের অপর বর্ণনাকারী জা’ফর বিন সাদ বিন সামুরাহ শক্তিশালী বর্ণনাকারী নন। খুবাইব বিন সুলাইমান হচ্ছেন মাজহুল বর্ণনাকারী। সনদের প্রতিটি বর্ণনাকারীর অবস্থা দেখে এ কথা বলা ছাড়া আর কোন উপায় নেই যে, ইবনু হাজার যে হাদিসটিকে`লীন’ বলেছেন, সে কথাটিও লীন। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ২২৩ঃ জুমার খুতবাতে কুরআন পাঠ ও নসীহত করা বৈধ
৪৬৯ – জাবির বিন সামুরাহ থেকে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] খুৎবাতে কুরআন হতে আয়াত পাঠ করে জনগণকে নসীহত করিতেন। আবূ দাউদ আর মুসলিমে এর মূল বক্তব্য রয়েছে। {৫০৭}
{৫০৭} মুসলিম ৮৬২, ৮৬৬; তিরমিজি ৫০৭; আবূ দাউদ ১০৯৩, ১০৯৪, ১১০৭; নাসাঈ ১৪১৫, ১৪১৭, ১৪১৮; ইবনু মাজাহ ১১০৫, ১১০৬; আবূ দাউদ ২০২৮৯। মুসলিমের শব্দ হচ্ছে [আরবী] জাবির বিন সামুরাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ] এর সাথে একাধিক জুমু‘আ আদায় করেছি। এতে তাহাঁর খুতবা ছিল মধ্যম এবং নামায ও ছিল মধ্যম। হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিসপরিচ্ছেদঃ জুমু’‘আর নামাজ যাদের উপর আবশ্যক নয় তাদের বর্ণনা
৪৭০ – ত্বরিক বিন শিহাব [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, চার প্রকার লোক ব্যতীত জুমু‘আহ প্রত্যেক মুসলমানের উপর জামাআতে আদায় করা ফরয। {৫০৮}
[চার প্রকার হচ্ছে] ঃ ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, বালক, পীড়িত। -আবূ দাউদ। তিনি বলেছেন, ত্বরিক নাবী [সাঃআঃ] এর নিকট থেকে শোনেননি। হাকিম এটি উক্ত ত্বরিকের মাধ্যমে আবূ মূসা [রাঃআঃ] হতে বর্ণনা করিয়াছেন। অতএব, হাদিসটি মাওসুল।{৫০৮} আবূ দাউদ ১০৬৭। হাদিসের তাহকীকঃ সহিহ হাদিস
৪৭১ – ইবনু`উমার [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, মুসাফিরের জন্য জুমু‘আহ ওয়াজিব নয়। -ত্ববারানী দুর্বল সানাদে। {৫০৯}
{৫০৯} তাবারানী আল আওসাত্ব হাঃ ৮২২। হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ২২৪ঃ খুতবা অবস্থায় ইমামের দিকে মুখ করে বসা
৪৭২ – আবদুল্লাহ বিন মাস‘উদ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন বরাবর হয়ে মিম্বারে উঠতেন, তখন আমরা তাঁকে আমাদের সম্মুখে করে নিতাম। -তিরমিজি দুর্বল সানাদে। {৫১০}
{৫১০} তিরমিজি ২০৯, নাসাঈ ৬৭২, আবূ দাউদ ৫৩১, ইবনু মাজাহ ৭১৪, আহমাদ ১৫৮৩৬, ১৭৪৪৩। ইমাম তিরমিজি বলেন, এ হাদিসের একজন রাবী হচ্ছে মুহাম্মাদ বিন আল ফযল বিন আতিয়্যাহ, আর সে হলো দুর্বল। [তিরমিজি ৫০৯] ইমাম শওকানী একই কথা বলেছেন, {নাইলুল আওতার [৩/৩২২]}। বিন বায তাহাঁর হাশিয়া বুলুগুল মারামে বলেন, সে হচ্ছে দুর্বল [৩১১]। ইবনু হাজার বলেন, তাকে সকলেই মিথ্যাবাদী বলে জানত। আলবানী হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন শাহেদ থাকার কারনে। [ফাযলুস সালাত ১৫, মিশকাত ১৩৫৯, সহিহ ইবনে খুযাইমাহ ১৭৮০] ইবনে উসাইমীন বলেন, এর সনদ দুর্বল হলেও মতন শক্তিশালী। শারহে বুলুগুল মারাম ২/৩৭২, হিলুওয়াতুল আওলিয়া ৪/২৬৩।হাদিসটিকে ইবনু হাজার, [১৩৫] ইমাম শওকানী নাইলুল আওতার ৪/৯ গ্রন্থে হাদিসটিকে দুর্বল বলেছেন। ইবনে উসাইমীন শরহে বুলুগুল মারাম ২/৩৮৬ গ্রন্থে বলেন, এর মতনটি মুনকার, সহিহ নয়। ইবনু আদী তার আল কামিল ফিয যুআফা ১/১২ গ্রন্থে, ইবনুল কাইসারানী তার যাখীরুতুল হুফফায ৪/২০৩১ গ্রন্থে, ইমাম যাহাবী তার সিয়ারু আলামুন নুবালা ১২/৫৮৬ এবং ২/১১৮ গ্রন্থে, ইমাম হাইসামী তার মাজমাউজ যাওয়ায়েদ গ্রন্থে, ইমাম সানআনী তার সুবুলুস সালাম ২/১০০ গ্রন্থে, আলবানী তার সিলসিলা যঈফা ৪৩৯৪, যঈফুল জামে ৪৯১১, ইবনে উসাইমীন তার শারহে বুলুগুল মারামে ২/৩৮৬ হাদিসটিকে দুর্বল বলেছেন। এবং সকলেই এ হাদিসের একজন রাবী ওয়ালীদ বিন ফযলকে দুর্বল, মাতরুক, মাজহুল ইত্যাদি বলে মন্তব্য করিয়াছেন। ইবনু হিব্বান ও দারাকুতনীও তার ব্যাপারে একই মন্তব্য করিয়াছেন। হাদিসের তাহকীকঃ অন্যান্য
৪৭৩ – ইবনু খুযাইমাহ কর্তৃক সংকলিত বারাআ [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিতঃ
এর বর্ণিত হাদিসটি উক্ত হাদিসের শাহিদ সমার্থক।
হাদিসের তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ২২৫ঃ খুতবা দেয়া অবস্থায় লাঠি বা ধনুকের উপর ভর করার বিধান
৪৭৪ – হাকাম বিন হাযন থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নাবী [সাঃআঃ] –এর সঙ্গে জুমার নামাজে উপস্থিত হলাম। তিনি লাঠি বা ধনুকের উপর ভর দিয়ে [খুত্বাহতে] দাঁড়ালেন। {৫১১}
{৫১১} আবূ দাউদ ১০৯৬, আহমাদ ১৭৪০০। আবূ দাঊদের বর্ণনায় রয়েছে, হাকাম বিন হাযন [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] –এর কাছে সাতজন অথবা নয়জনের একটি দল নিয়ে আসলাম। আমরা তাহাঁর নিকট প্রবেশ করে বললামঃ হে আল্লাহর রাসুল! আমরা আপনার সাথে সাক্ষাত করিতে এসেছি। আপনি আল্লাহর কাছে আমাদের কল্যানের জন্য দু’আ করুন। আপনি আমাদেরকে কিছু করিতে নির্দেশ দিন। আমরা তথায় কিছুদিন অবস্থান করলাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] –এর সাথে জুমার নামাজ এ উপস্থিত হলাম। তিনি একটি ধনুক অথবা লাঠির উপরে ভর দিয়ে দাঁড়ালেন। তিনি আল্লাহর প্রশংসার পর বরকতময় সংক্ষিপ্ত কিছু ভাল কথা বলিলেন। অতঃপর তিনি বলেনঃ নিশ্চয় তোমাদের যা কিছু আদেশ করা হয় তা তোমরা করিতে সক্ষম নও। বরং তোমরা মধ্যম পন্থা অবলম্বন করো এবং সুসংবাদ দিয়ে যাও। হাদিসের তাহকীকঃ হাসান হাদিস
Leave a Reply