রোযার জন্য জুমার দিন ও নামাযের জুমার রাত নির্দিষ্ট করা মাকরূহ
রোযার জন্য জুমার দিন ও নামাযের জুমার রাত নির্দিষ্ট করা মাকরূহ >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পরিচ্ছেদ – ৩৪৫ : রোযার জন্য জুমার দিন এবং নামাযের জন্য
জুমার রাত নির্দিষ্ট করা মাকরূহ
1/1769 عَنْ أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «لاَ تَخُصُّوا لَيْلَةَ الجُمُعَةِ بِقِيَامٍ مِنْ بَيْنِ اللَّيَالِي، وَلاَ تَخُصُّوا يَومَ الجُمُعَةِ بِصِيَامٍ مِنْ بَيْنِ الأَيَّامِ، إِلاَّ أَنْ يَكُونَ فِي صَومٍ يَصُومُهُ أَحَدُكُمْ» . رواه مسلم
১/১৭৬৯। আবু হুরায়রা রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘রাত্রিসমূহের মধ্যে জুমার রাতকে কিয়াম [নফল নামায] পড়ার জন্য নির্দিষ্ট করো না এবং দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনকে [নফল] রোযা রাখার জন্য নির্ধারিত করো না। তবে যদি তা তোমাদের কারো রোযা রাখার তারিখ পড়ে [তাহলে সে কথা ভিন্ন]।’’ [মুসলিম] [1]
* [যেমন ঐ দিন যদি আরাফাত বা আশূরার দিন হয়, তাহলে রোযা রাখা যাবে।]
2/1770 وَعَنْه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ : «لاَ يَصُومَنَّ أَحَدُكُمْ يَوْمَ الجُمُعَةِ إِلاَّ يَوماً قَبْلَهُ أَوْ بَعْدَهُ» . متفق عَلَيْهِ
২/১৭৭০। উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, ‘‘অবশ্যই কেউ যেন স্রেফ জুমার দিনে রোযা না রাখে; তবে যদি তার একদিন আগে কিম্বা পরে রাখে [তাহলে তাতে ক্ষতি নেই।]’’ [বুখারী, মুসলিম] [2]
[অর্থাৎ শুক্রবারের সাথে বৃহস্পতিবার কিংবা শনিবার রোযা রাখলে রাখা চলবে।]
3/1771 وَعَنْ مُحَمَّدِ بنِ عَبَّادٍ، قَالَ: سَأَلْتُ جَابِراً رضي الله عنه : أَنَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ صَومِ الجُمُعَةِ ؟ قَالَ: نَعَمْ . متفق عَلَيْهِ
৩/১৭৭১। মুহাম্মাদ ইবনি আববাদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জাবের রাঃআঃ-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘নবী সাঃআঃ কি জুমার দিন রোযা রাখতে নিষেধ করিয়াছেন?’ তিনি বলিলেন, ‘হ্যাঁ।’ [বুখারী ও মুসলিম] [3]
4/1772 وَعَنْ أُمِّ المُؤْمِنِينَ جُوَيرِيَّةَ بِنْتِ الحَارِثِ رَضِيَ اللهُ عَنهَا : أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَيْهَا يَوْمَ الجُمُعَةِ وهِيَ صَائِمَةٌ، فَقَالَ: «أَصُمْتِ أمْسِ ؟» قَالَتْ : لاَ، قَالَ: «تُرِيدِينَ أَنْ تَصُومِي غَداً ؟» قَالَتْ : لاَ . قَالَ: «فَأَفْطِرِي» . رواه البخاري
৪/১৭৭২। মুমিন জননী জুয়াইরিয়্যাহ বিন্তে হারেষ রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিত, নবী সাঃআঃ জুমার দিনে তাহাঁর নিকট প্রবেশ করিলেন, তখন তিনি [জুয়াইরিয়াহ] রোযা অবস্থায় ছিলেন। রসুলুল্লাহ সাঃআঃ তাঁকে প্রশ্ন করিলেন, ‘‘তুমি কি গতকাল রোযা রেখেছিলে?’’ তিনি বলিলেন, ‘না।’ [নবী সাঃআঃ] বলিলেন, ‘‘আগামীকাল রোযা রাখার ইচ্ছা আছে তো?’’ তিনি জবাব দিলেন, ‘না।’ রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন, ‘‘তাহলে রোযা ভেঙ্গে ফেল।’’ [বুখারী] [4]
[1] সহীহুল বুখারী ১৯৮৫, মুসলিম ১১৪৪, তিরমিযী ৭৪৩, আবূ দাউদ ২৪২০, ইবনু মাজাহ ১৭২৩, আহমাদ ৭৩৪১, ৭৭৮০, ৭৯৬৫, ৮৫৫৪, ৮৮৫৩, ৮৮৮২, ৯০৩১, ৯১৭১, ১০০৫২
[2] সহীহুল বুখারী ১৯৮৫, মুসলিম ১১৪৪, তিরমিযী ৭৪৩, আবূ দাউদ ২৪২০, ইবনু মাজাহ ১৭২৩, আহমাদ ৭৩৪১, ৭৭৮০, ৭৯৬৫, ৮৫৫৪, ৮৮৫৩, ৮৮৮২, ৯০৩১, ৯১৭১, ১০০৫২
[3] সহীহুল বুখারী ১৯৮৪, মুসলিম ১১৪৩, ইবনু মাজাহ ১৭২৪, আহমাদ ১৩৭৫০, ১৩৯৪৩, দারেমী ১৭৪৮
[4] সহীহুল বুখারী ১৯৮৬, আবূ দাউদ ২৪২২, আহমাদ ৬৭৩২, ২৬২১৫
Leave a Reply