জুতা পরার সুন্নাত নিয়ম। তাঁবু ও চাটাই উপর বসা

জুতা পরার সুন্নাত নিয়ম। তাঁবু ও চাটাই উপর বসা

জুতা পরার সুন্নাত নিয়ম। তাঁবু ও চাটাই উপর বসা >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৭৭, পোশাক-পরিচ্ছদ, অধ্যায়ঃ (৩৭-৪৩)=৭টি

৭৭/৩৭. অধ্যায়ঃ পশমহীন চামড়ার জুতা ও অন্যান্য জুতা।
৭৭/৩৮. অধ্যায়ঃ ডান দিক থেকে জুতা পরা আরম্ভ করা।
৭৭/৩৯. অধ্যায়ঃ বাঁ পায়ের জুতা খোলা প্রসঙ্গে।
৭৭/৪০. অধ্যায়ঃ এক পায়ে জুতা পরে হাঁটবে না।
৭৭/৪১. অধ্যায়ঃ এক চপ্পলে দু ফিতা লাগান, কারও মতে এক ফিতা লাগানও বৈধ।
৭৭/৪২. অধ্যায়ঃ লাল রঙের চামড়ার তাঁবু।
৭৭/৪৩. অধ্যায়ঃ চাটাই বা তদ্রূপ কোন জিনিসের উপর বসা।

৭৭/৩৭. অধ্যায়ঃ পশমহীন চামড়ার জুতা ও অন্যান্য জুতা।

৫৮৫০

আবু মাসলামা সাঈদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আনাস (রাদি.) -কে জিজ্ঞেস করেছি, নাবী (সাঃআঃ) নালাই [৫] পায়ে রেখে সালাত আদায় করিয়াছেন কি? তিনি বলেছেনঃ হ্যাঁ।(আঃপ্রঃ- ৫৪২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২০)

[৫] বিশেষ এক ধরনের সেন্ডেল

৫৮৫১

 উবায়দ ইবনু জুরাইজ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি আবদুল্লাহ ইবনু উমার –কে বলেনঃ আমি আপনাকে এমন চারটি কাজ করিতে দেখেছি, যা আপনার সঙ্গীদের মধ্যে কাউকে করিতে দেখিনি। তিনি বললেনঃ সেগুলো কী, হে ইবনু জুরাইজ? তিনি বললেনঃ আমি দেখেছি আপনি তাওয়াফ করার সময় (কাবার) রুকুনগুলোর মধ্য হইতে ইয়ামানী দুটো রুকন ব্যতীত অন্যগুলোকে স্পর্শ করেন না। আমি দেখেছি, আপনি পশমহীন চামড়ার জুতা পরিধান করেন। আমি দেখেছি আপনি হলুদ রঙের কাপড় পরেন এবং যখন আপনি মক্কায় ছিলেন তখন দেখেছি, অন্য লোকেরা (যিলহাজ্জের) চাঁদ দেখেই ইহরাম বাঁধতো, আর আপনি তালবিয়ার দিন (অর্থাৎ আট তারিখ) না আসা পর্যন্ত ইহরাম বাঁধতেন না। আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদি.) তাঁকে বললেনঃ আরকান সম্পর্কে কথা এই যে, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে ইয়ামানী দুটি রুকন ছাড়া অন্য কোনটি স্পর্শ করিতে দেখিনি। আর পশমহীন চামড়ার জুতার ব্যাপার হলো, আমি দেখেছি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এমন জুতা পরতেন, যাতে কোন পশম থাকতো না এবং তিনি জুতা পরা অবস্থাতেই অযূ করিতেন (অর্থাৎ পা ধুতেন)। তাই আমি সে রকম জুতা পরতেই পছন্দ করি। আর হলুদ বর্ণের কথা হলো, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে এ রং দিয়ে রঙিণ করিতে দেখেছি। সুতরাং আমিও এর দ্বারাই রং করিতে ভালবাসি। আর ইহরাম সম্পর্কে কথা এই যে, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে তাহাঁর বাহনে হাজ্জের কাজ আরম্ভ করার জন্য উঠার আগে ইহরাম বাঁধতে দেখিনি।(আঃপ্রঃ- ৫৪২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২১)

৫৮৫২

ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) নিষেধ করিয়াছেন, ইহরাম বাঁধা ব্যক্তি যেন জাফরান কিংবা ওয়ার্‌স ঘাস দ্বারা রং করা কাপড় না পরে। তিনি বলেছেনঃ যার জুতা নেই, সে যেন মোজা পরে এবং পায়ের গোড়ালির নীচ থেকে (মোজার উপরের অংশ) কেটে ফেলে।(আঃপ্রঃ- ৫৪২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২২)

৫৮৫৩

ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ (মুহরিম অবস্থায়) যে লোকের ইযার নেই, সে যেন পায়জামা পরে, আর যার জুতা নেই, সে যেন মোজা পরে। (আঃপ্রঃ- ৫৪২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২৩)

৭৭/৩৮. অধ্যায়ঃ ডান দিক থেকে জুতা পরা আরম্ভ করা।

৫৮৫৪

আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, নাবী (সাঃআঃ) পবিত্রতা লাভ করিতে, মাথা আঁচড়াতে ও জুতা পায়ে দিতে ডান দিক থেকে আরম্ভ করা পছন্দ করিতেন।(আঃপ্রঃ- ৫৪২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২৪)

৭৭/৩৯. অধ্যায়ঃ বাঁ পায়ের জুতা খোলা প্রসঙ্গে।

৫৮৫৫

আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ জুতা পরে তখন সে যেন ডান দিক থেকে শুরু করে, আর যখন খোলে তখন সে যেন বাম দিকে শুরু করে, যাতে পরার সময় উভয় পায়ের মধ্যে ডান পা প্রথমে হয় এবং খোলার সময় শেষে হয়।[মুসলিম ৩৭/১৯, হাদীস ২০৯৭, আহমাদ ৭১৮২] আঃপ্রঃ- ৫৪২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২৫)

৭৭/৪০. অধ্যায়ঃ এক পায়ে জুতা পরে হাঁটবে না।

৫৮৫৬

আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন এক পায়ে জুতা পরে না হাঁটে। হয় দুপা-ই খোলা রাখবে অথবা দু পায়ে পরবে। [মুসলিম ৩৭/১৯, হাদীস ২০৯৭] আঃপ্রঃ- ৫৪৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২৬)

৭৭/৪১. অধ্যায়ঃ এক চপ্পলে দু ফিতা লাগান, কারও মতে এক ফিতা লাগানও বৈধ।

৫৮৫৭

আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, নাবী (সাঃআঃ) -এর চপ্পলে দুটো করে ফিতা ছিল।(আঃপ্রঃ- ৫৪৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২৭)

৫৮৫৮

ঈসা ইবনু তাহমান (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

একবার আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) এমন দুটো চপ্পল আমাদের কাছে আনলেন যার দুটো করে ফিতা ছিল। তখন সাবিত বুনানী বললেনঃ এটি নাবী (সাঃআঃ) -এর চপ্পল ছিল।(আঃপ্রঃ- ৫৪৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২৮)

৭৭/৪২. অধ্যায়ঃ লাল রঙের চামড়ার তাঁবু।

৫৮৫৯

আওনের পিতা (ওয়াহব ইবনু আবদুল্লাহ) (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আমি নাবী (সাঃআঃ) -এর কাছে এলাম। তখন তিনি একটি লাল রঙের চামড়ার তাঁবুতে ছিলেন। আর বিলালকে দেখলাম তিনি নাবী (সাঃআঃ) -এর অযুর পানি উঠিয়ে দিচ্ছেন এবং লোকজন অযুর পানি নেয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি করছে। যে তাথেকে কিছু পায়, সে তা মেখে নেয়। আর যে সেখান হইতে কিছু পায় না, সে তার সাথীর ভিজা হাত হইতে কিছু গ্রহণ করে। (আঃপ্রঃ- ৫৪৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩২৯)

৫৮৬০

আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ নাবী (সাঃআঃ) আনসারদের নিকট সংবাদ প্রেরণ করেন এবং তাদের চামড়ার একটি তাঁবুতে জমায়েত করেন।(আঃপ্রঃ- ৫৪৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৩০)

৭৭/৪৩. অধ্যায়ঃ চাটাই বা তদ্রূপ কোন জিনিসের উপর বসা।

৫৮৬১

আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

যে, নাবী (সাঃআঃ) রাতের বেলা চাটাই দিয়ে ঘেরাও দিয়ে সলাত আদায় করিতেন। আর দিনের বেলা তা বিছিয়ে তার উপর বসতেন। লোকজন নাবী (সাঃআঃ) -এর নিকট একত্রিত হয়ে তাহাঁর সঙ্গে সলাত আদায় করিতে লাগল। এমনকি বহু লোক একত্রিত হল। তখন নাবী (সাঃআঃ) তাদের উদ্দেশ্যে বললেনঃ হে লোক সকল! তোমরা আমল করিতে থাক তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী। কারণ, আল্লাহ তাআলা ক্লান্ত হন না, বরং তোমরাই ক্লান্ত হয়ে পড়বে। আর আল্লাহর নিকট ঐ আমাল সবচেয়ে প্রিয়, যা সর্বদা করা হয়, তা কম হলেও।(আঃপ্রঃ- ৫৪৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৩১)

Comments

Leave a Reply