জাহেলী যুগ , হাবশীদের কাহিনী ও বংশকে গালি না দেয়া
জাহেলী যুগ , হাবশীদের কাহিনী ও বংশকে গালি না দেয়া >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৬১, মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য, অধ্যায়ঃ (১৩-১৬)=৪টি
৬১/১৩. অধ্যায়ঃ যিনি ইসলাম ও জাহিলী যুগে পিতৃপুরুষের সঙ্গে বংশধারা সম্পর্কিত করেন।
৬১/১৪. অধ্যায়ঃ ভাগ্নে ও আযাদকৃত গোলাম নিজের গোত্রেরই অন্তর্ভুক্ত।
৬১/১৫. অধ্যায়ঃ হাবশীদের কাহিনী
৬১/১৬. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার বংশকে যেন গালি দেয়া না হয়।
৬১/১৩. অধ্যায়ঃ যিনি ইসলাম ও জাহিলী যুগে পিতৃপুরুষের সঙ্গে বংশধারা সম্পর্কিত করেন।
ইব্ন উমর (রাদি.) ও আবু হুরাইরা (রাদি.) বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, সম্ভ্রান্ত বংশ – ধারার সন্তান হলেন ইউসুফ (আঃ) ইব্ন ইয়াকূব (আঃ) ইব্ন ইসহাক (আঃ) ইব্ন ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ (আঃ)। বারাআহ (রাদি.) বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন আমি আবদুল মুত্তালিবের বংশধর। (আ.প্র. ৩২৬২, ই.ফা. ২০৬৩ পরিচ্ছেদ)
৩৫২৫. ইব্ন আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন এ আয়াত “তোমার নিকট আত্মীয়গণকে সতর্ক কর” (আশ শুআরাঃ ২১৪) অবতীর্ণ হল, তখন নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, হে বানী ফিহ্র, হে বনী আদি! বিভিন্ন কুরাইশ শাখা গোত্রগুলিকে নাম ধরে ধরে ইসলামের পথে ডাক দিতে লাগলেন।
৩৫২৬. ইবন আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন এ আয়াত “তোমার নিকট আত্মীয়গণকে সতর্ক কর” (আশ শুআরাঃ ২১৪) অবতীর্ণ হল, তখন নাবী (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে গোত্র গোত্র ধরে ডাক দিতে লাগলেন।
৩৫২৭.আবু হুরায়রা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, হে আব্দে মানাফের বংশধরগণ! তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে আল্লাহর শাস্তি হইতে বাঁচাও। হে আবদুল মুত্তালিবের বংশধরগণ! তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে হিফাজত কর। হে যুবায়রের মা- আল্লাহর রাসূলের ফুফু, হে মুহাম্মাদ (সাঃআঃ) -এর কন্যা ফাতিমা! তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে রক্ষা কর। তোমাদেরকে আজাব হইতে বাঁচানোর সামান্যতম ক্ষমতাও আমার নাই আর আমার ধন – সম্পদ হইতে তোমরা যা ইচ্ছা তা চেয়ে নিতে পার।
৬১/১৪. অধ্যায়ঃ ভাগ্নে ও আযাদকৃত গোলাম নিজের গোত্রেরই অন্তর্ভুক্ত।
৩৫২৮. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) আনসারদের বলিলেন, তোমাদের মধ্যে অপর গোত্রের কেউ আছে কি? তারা বলিলেন না, অন্য কেউ নেই। তবে আমাদের এক ভাগিনা আছে। নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন কোন গোত্রের ভাগ্নে সে গোত্রেরই অন্তর্ভুক্ত।
৬১/১৫. অধ্যায়ঃ হাবশীদের কাহিনী
এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর উক্তি হে বনূ আরফিদা
৩৫২৯. আয়িশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
মিনায় অবস্থানের দিনগুলোতে (অর্থাৎ ১০, ১১, ১২ তারিখে) আবু বকর (রাদি.) আমার গৃহে প্রবেশ করিলেন। তখন তাহাঁর কাছে দুটি বালিকা ছিল। তারা দফ বাজিয়ে নেচে নেচে গান করছিল। নাবী (সাঃআঃ) তখন চাদর দিয়ে মুখ ঢেকে শুয়েছিলেন। আবু বকর (রাদি.) এদেরকে ধমক দিলেন। নাবী (সাঃআঃ) তখন মুখ হইতে চাদর সরিয়ে বলিলেন, হে আবু বকর (রাদি.)! এদেরকে গাইতে দাও। কেননা, আজ ঈদের দিনও মিনার দিনগুলির অন্তর্ভুক্ত।
৩৫৩০. আয়িশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) আমাকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে ছিলেন আর আমি হাবশীদের খেলা দেখছিলাম। মসজিদের কাছে তারা যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে খেলা করছিল। এমন সময় উমর (রাদি.) এসে তাদেরকে ধমক দিলেন। নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, হে উমর! তাদেরকে বনূ আরফিদাকে নিরাপদ ছেড়ে দাও।
৬১/১৬. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার বংশকে যেন গালি দেয়া না হয়।
৩৫৩১. আয়িশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হাসসান (রাদি.) কবিতার ছন্দে মুশরিকদের নিন্দা করিতে অনুমতি চাইলে নাবী (সাঃআঃ) বলিলেন, আমার বংশকে কিভাবে তুমি আলাদা করিবে? হাসসান (রাদি.) বলিলেন, আমি তাদের মধ্য হইতে এমনভাবে আপনাকে আলাদা করে নিব যেমনভাবে আটার খামির হইতে চুলকে আলাদা করে নেয়া হয়। উরওয়াহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমি হাসসান (রাদি.) -কে আয়িশা (রাদি.) -এর সম্মুখে তিরস্কার করিতে উদ্যত হলে, তিনি আমাকে বলিলেন, তাকে গালি দিও না। সে নাবী (সাঃআঃ) -এর তরফ হইতে কবিতার মাধ্যমে শত্রুর কথার আঘাত প্রতিহত করত।
Leave a Reply