জারীর ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর ফযিলত

জারীর ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর ফযিলত

জারীর ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর ফযিলত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

২৯. অধ্যায়ঃ জারীর ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর ফযিলত

৬২৫৭. জারীর ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি ইসলাম কবূলের পর হইতে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমাকে [তাহাঁর নিকট প্রবেশে] বাধা দেননি এবং তিনি আমার দিকে হাসি মুখ ব্যতীত দৃষ্টিপাত করিতেন না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৩৯, ইসলামিক সেন্টার-৬১৮২]

৬২৫৮. জারীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি ইসলাম কবূল করার পর হইতে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাহাঁর নিকট প্রবেশে আমাকে বাধা দেননি। তিনি আমার মুখমণ্ডলে মৃদু হাসি ব্যতীত দেখেননি। ইবনি নুমায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর হাদীসে ইবনি ইদ্রীস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ধিত রিওয়ায়াত করিয়াছেন, “আমি তার নিকট অভিযোগ করলাম যে, আমি ঘোড়ার পৃষ্ঠে দৃঢ়ভাবে থাকতে পারি না। তখন তিনি তাহাঁর হাত দ্বারা আমার বুকে মৃদু আঘাত করে দুআ করিলেন: ……………………. . .

 اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا 

আল্লাহুম্মা ছাব্বাতহু ওয়াজআলহু হাদিয়ান মাহদিয়ান, “হে আল্লাহ! তাকে স্থির রাখুন এবং তাকে হিদায়াতকারী ও হিদায়াতপ্রপ্তের অন্তর্ভুক্ত করুন।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪০, ইসলামিক সেন্টার-৬১৮২]

৬২৫৯. জারীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, জাহিলী যুগে একটি গৃহ ছিল, যেটিকে যুলখালাসাহ্ বলা হত এবং এটাকে ইয়ামানী কাবাহ্ ও শামিয়্যাহ্ কাবাও বলা হত। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] [জারীরকে] বলিলেন, তুমি কি আমাদের যুল্খালাসাহ্, ইয়ামানী কাবাহ্ ও শামিয়্যাহ্ কাবাহ্ থেকে চিন্তা মুক্ত করিতে পারবে? তখন আমি আহমাস সম্প্রদায়ের একশ পঞ্চাশজন ব্যক্তি সাথে নিয়ে রওনা হলাম। যুলখালাসাকে ভেঙ্গে দিলাম এবং সেখানে যাদের পেলাম তাদের হত্যা করলাম। তারপর আমি তাহাঁর নিকট ফিরে এসে তাঁকে জানালাম। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি আমাদের ও আহ্মাস সম্প্রদায়ের জন্য দুআ করিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪১, ইসলামিক সেন্টার-৬১৮৪]

৬২৬০. জারীর ইবনি আবদুল্লাহ বাজালী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমাকে বলেছেন, হে জারীর! তুমি কি আমাকে খাসআম গোষ্ঠীর ঘর [প্রতিমা মন্দির] যুলখালাসাহ্ থেকে চিন্তা মুক্ত করিবে না? এটাকে ইয়ামানী কাবাও বলা হত। জারীর বলেন, এরপর আমি দেড়শ অশ্বারোহীসহ সেদিকে রওনা হলাম; অথচ আমি উটের পিঠে স্থিরভাবে থাকতে পারতাম না। আমি এ ব্যাপারটি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট বর্ণনা করলাম। তিমি আমার বুকে তাহাঁর হাত মারলেন এবং দুআ করিলেন:

 اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا 

আল্লাহুম্মা ছাব্বাতহু ওয়াজআলহু হাদিয়ান মাহদিয়ান, ………………………. “হে আল্লাহ! তাকে [উটের পিঠে] স্থির রাখুন এবং তাকে হিদায়াতকারী ও হিদায়াতপ্রাপ্তের অন্তর্ভুক্ত করুন।”

বর্ননাকারী বলেন, তারপর তিনি চলে গেলেন েএবং সেটি [যুল্খালাসাহ্ মূর্তি] আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দিলেন। এরপর জারীর [রাদি.] আমাদের মাঝখান হইতে আবু আরতাহ্ [রাদি.] নামধারী জনৈক লোককে সুখবর দেয়ার জন্য রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট প্রেরণ করিলেন। তিনি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে তাঁকে বলিলেন, আমরা যুলখালাসাকে পাঁচড়াযুক্ত উষ্ট্রের ন্যায় করে দিয়ে আপনার নিকট এসেছি। তখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আহ্মাস গোত্রীয় ঘোড়া ও লোকদের জন্য পাঁচবার কল্যাণের প্রার্থনা করিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪২, ইসলামিক সেন্টার-৬১৮৫]

৬২৬১. ইসমাঈল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উপরোক্ত সূত্রে মারওয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসে বলছেন যে, জারীর [রাদি.]-এর সুসংবাদদাতা আবু আরতাত হুসায়ন ইবনি রাবীআহ্ [রাদি.] এলেন এবং নবী [সাঃআঃ]-কে সুসংবাদ দিলেন। [

ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪৩, ইসলামিক সেন্টার-৬১৮৬]

Comments

Leave a Reply