জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম । নামাজে মহিলাদের পোশাক
জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম । নামাজে মহিলাদের পোশাক, এই অধ্যায়ে হাদীস =৩৮ টি ( ২৮১-৩১৮ পর্যন্ত ) >> মুয়াত্তা ইমাম মালিক এর মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায় – ৮ঃ জামা’আতে নামায আদায় করা
- পরিচ্ছেদঃ ১ – একা একা নামায আদায়ের তুলনায় জামাআতে নামায আদায়ের ফযীলত
- পরিচ্ছেদঃ ২ – ইশা ও ফজর-এর নামায
- পরিচ্ছেদঃ ৩ – ইমামের সাথে নামায পুনরায় আদায় করা
- পরিচ্ছেদঃ ৪ – জামাআতের নামাযে পালনীয় বিধি
- পরিচ্ছেদঃ ৫ – ইমামের বসে নামায আদায় করা
- পরিচ্ছেদঃ ৬ – বসে নামায আদায়কারীর নামাযের তুলনায় দাঁড়িয়ে নামায আদায়কারীর নামাযের ফযীলত
- পরিচ্ছেদঃ ৭ – বসে নামায আদায়
- পরিচ্ছেদঃ ৮ – সালাতুল বুসতা
- পরিচ্ছেদঃ ৯ – এক কাপড়ে নামায আদায়ের অনুমতি
- পরিচ্ছেদঃ ১০ – মেয়েদের জন্য জামা ও ওড়না পরিধান করে নামায আদায়ের অনুমতি
পরিচ্ছেদঃ ১ – একা একা নামায আদায়ের তুলনায় জামাআতে নামায আদায়ের ফযীলত
২৮০ রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
একা নামায আদায় অপেক্ষা জামাআতে নামায আদায় করায় সাতাইশ গুণ ফযীলত বেশি।
[বুখারি ৬৪৫, মুসলিম ৬৫০] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৮১ রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তোমাদের একজনের একা একা নামায আদায় হইতে জামাআতে নামায আদায় করা পঁচিশ গুণ উত্তম।
[বুখারি ৬৪৮, মুসলিম ৬৪৯] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৮২ রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
আমি মনস্থ করেছি কিছু কাঠ যোগাড় করার নির্দেশ প্রদান করি। তারপর নামাযের জন্য আযান বলার হুকুম করি। তারপর নামাযের জন্য আযান দেওয়া হোক। পরে কোন একজনকে [নামাযে] ঈমামতি করার জন্য ঠিক করে দেই। তারপর যেসব লোক নামাযের জন্য বের হয়নি তাদের কাছে যাই ও তাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেই। আল্লাহর কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, যদি তাদের এক ব্যক্তি জানতে পারত যে, ভাল মোটা হাড্ডি জুটিবে অথবা দুটি ভাল ক্ষুর পাবে তবে সে অবশ্য ইশার নামাযে হাজির হত।
[বুখারি ৬৪৪, মুসলিম ৬৫১] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৮৩ যায়দ ইবনি সাবিত [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
নামাযের মধ্যে তোমাদের গৃহের নামাযই উত্তম, কেবল ফরয নামায ব্যতীত।
[বুখারি ৭৩১, মুসলিম ৭৮১] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদঃ ২ – ইশা ও ফজর-এর নামায
২৮৪ সাঈদ ইবনি মুসায়্যাব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, আমাদের আর মুনাফিকদের মধ্যে পার্থক্য হল ইশা ও ফজরের নামাযে উপস্থিত হওয়া। তারা ঐ দুই নামাযে উপস্থিত হইতে পারে না অথবা অনুরূপ কোন বাক্য বলেছেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
২৮৫ আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি যখন কোন পথ দিয়ে যাচ্ছিল, তখন রাস্তায় কাঁটাযুক্ত [বৃক্ষের] শাখা দেখিতে পেয়ে সে তা তুলে ফেলল। আল্লাহ তাআলা তার এই কাজটি গ্রহণ করলেন এবং তার গুনাহ মাফ করে দিলেন। {রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ} আরও বলেছেন, শহীদ পাঁচ প্রকার [১] প্লেগাক্রান্ত [বা মহামারীতে মৃত], [২] পেটের পীড়ায় মৃত, [৩] যে পানিতে ডুবে মারা গিয়েছে, [৪] ভূমিকম্পে কিছু চাপা পড়ে যার মৃত্যু হয়েছে এবং [৫] আল্লাহর পথে যে ব্যক্তি শহীদ হয়েছেন।
[বুখারি ৬৫২, মুসলিম ৪৩৭] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৮৬ আবু বাকর ইবনি সুলায়মান ইবনি আবি হাস্মা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] একদিন ইবনি উবন আবি হাসমাকে ফজরের নামাযে উপস্থিত পাননি। উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] বাজারের দিকে গেলেন। আর সুলায়মানের বাসগৃহ বাজার ও মসজিদের মাঝপথে অবস্থিত। তিনি সুলায়মানের মা শিফা-এর কাছে গেলেন। তারপর তাহাকে বলিলেন, আমি ফজরের নামাযে সুলায়মানকে দেখলাম না যে? তিনি [উত্তরে] বলিলেন, সে রাত্রে জেগে থেকে নামায আদায় করেছিল, পরে ঘুমিয়ে পড়েছে। [এটা শুনে] উমার [রাদি.] বলিলেন, ফজরের নামাযের জামাআতে হাজির হওয়া আমার কাছে সারারাত [নফল] নামায আদায় হইতে পছন্দনীয়। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
আবদুর রহমান ইবনি আবি আমরাহ আনসারী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিত; উসমান ইবনি আফফান [রাদি.] একবার ইশার নামাযে এলেন এবং মসজিদে অল্প মুসল্লি দেখিতে পেলেন। তারপর তিনি অধিক লোক আসার অপেক্ষায় মসজিদের শেষভাগে শুলেন। অতঃপর তাঁর নিকট ইবনি আবি আমরা এলেন এবং তাঁর কাছে বসলেন। তিনি জানতে চাইলেন তুমি কে? তিনি পরিচয় দিলেন। আবার তিনি জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কি পরিমাণ কুরআন কণ্ঠস্থ করেছ? তিনি তা জানালেন। তারপর উসমান [রাদি.] বলিলেন, যে ব্যক্তি ইশার নামাযে উপস্থিত হয়, সে যেন অর্ধরাত্র নামায আদায় করিল, আর যে ফজরের নামায আদায় করিল সে যেন পূর্ণ রাত্রি নামায আদায় করিল।
[সহীহ, ঈমাম মুসলিম মারফু সনদে বর্ণনা করিয়াছেন ৬৫৬] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদঃ ৩ – ইমামের সাথে নামায পুনরায় আদায় করা
২৮৭ বুসর ইবনি মিহজান [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-এর মজলিসে ছিলেন। তখন নামাযের আযান দেয়া হল। রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ মজলিস হইতে উঠলেন এবং নামায আদায় করলেন। [নামাযের পর] পুনরায় মজলিসে ফিরলেন। মিহজান [কিন্তু] তাঁর জায়গায় বসে রইলেন। রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ তাহাকে প্রশ্ন করলেন লোকের সাথে নামায আদায় করিতে কোন জিনিস তোমাকে বারণ করিল? তুমি কি মুসলিম নও? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, ইয়া রসূলাল্লাহ [আমি মুসলিম], তবে আমি আমার ঘরে নামায আদায় করে এসেছি। রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ তাহাকে বলিলেন, তুমি নামায [ঘরে] আদায় করে থাকলেও যখন [মসজিদে] আস তখন লোকের সাথে নতুন করে নামায আদায় করিবে।
[সহীহ, নাসাঈ ৮৫৭, হাদীসটিকে আল্লামা আলবানী সহীহ বলেছেন আস সিলসিলা আস সহীহা, ১৩৩৭] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৮৮ নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.]-কে প্রশ্ন করিল আমি ঘরে নামায আদায় করি, যদি পরে ইমামের সাথে নামায পাই, তবে কি আমি পুনরায় তাঁর সাথে নামায আদায় করব? [জবাবে] আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] তাকে বলিলেন, হ্যাঁ। সে ব্যক্তি বলল, কোন নামাযকে আমি [ফরয] গণ্য করব? ইবনি উমার [রাদি.] বলিলেন, এটা কি আমার বলার বিষয়? সে হল আল্লাহর ব্যাপার, তিনি যে নামাযকে [ফরয] গণ্য করিতে পারেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
২৮৯ ইয়াহইয়া ইবনি সাঈদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
জনৈক ব্যক্তি সাঈদ ইবনি মুসায়্যাব [রাহিমাহুল্লাহ]-এর নিকট প্রশ্ন করলেন আমি ঘরে নামায আদায় করি, পরে যদি মসজিদে এসে ঈমামকে নামাযে পাই তবে আমি কি তাঁর সাথে নামায আদায় করব? সাঈদ [রাহিমাহুল্লাহ] বলিলেন, হ্যাঁ। সে ব্যক্তি তাঁর নিকট জিজ্ঞেস করলেন উভয় নামাযের কোনটিকে আমি [ফরয] নামায গণ্য করি? সাঈদ [রাহিমাহুল্লাহ] তাহাকে বলিলেন, তা কি তুমি করিবে? তা তো আল্লাহর কাজ। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
২৯০ আবু আইয়ূব আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আমি আমার ঘরে নামায আদায় করি, তারপর মসজিদে আসি, তখন যদি ঈমামকে নামাযে পাই তবে কি আমি তাঁর সাথে নামায আদায় করব? আবু আইয়ূব [রাদি.] বলিলেন, তুমি তাঁর সাথে নামায আদায় কর, কেননা যে ব্যক্তি এইরূপ করিবে সে জামাআতের সওয়াব অথবা জামাআতের তুল্য সওয়াব পাবে। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
২৯১ নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] বলেছেন, যে ব্যক্তি মাগরিব এবং ফজরের নামায আদায় করে, অতঃপর ঐ নামাযদ্বয় ইমামের সাথে পায়, তবে সে নামায [ইমামের সাথে] পুনরায় তাকে আদায় করিতে হইবে না। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
ইয়াহইয়া [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেছেন, যে ব্যক্তি নামায ঘরে আদায় করেছে, তার ইমামের সাথে [পুনরায়] নামায আদায় করাতে কোন ক্ষতি নেই্ তবে মাগরিবের নামায এর ব্যতিক্রম, কারণ মাগরিবের নামায পুনরায় আদায় করলে জোড় নামায হয়ে যাবে।
জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদঃ ৪ – জামাআতের নামাযে পালনীয় বিধি
২৯২ আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, তোমাদের কেহ [ঈমাম নিযুক্ত হয়ে] লোকদের নামায আদায় করালে, সে যেন নামায সংক্ষিপ্ত আদায় করে, কেননা তাদের মধ্যে আছে রুগ্ন, দুর্বল ও বৃদ্ধ ব্যক্তি। আর কোন ব্যক্তি একা নামায আদায় করলে সে যত ইচ্ছা লম্বা করিতে পারবে।
[বুখারি ৭০৩, মুসলিম ৪৬৭] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৯৩ নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি [পাঞ্জেগানা] নামাযসমূহের কোন এক নামাযে আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.]-এর পেছনে দাঁড়িয়েছিলাম। তাঁর সাথে আমি ভিন্ন আর কেহ ছিল না। তখন আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] পেছনে হাত বাড়িয়ে আমাকে ধরে ডান পার্শ্বে তাঁর বরাবরে দাঁড় করিয়ে দিলেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
২৯৪ ইয়াহইয়া ইবনি সাঈদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি আকিক নামক স্থানে লোকের ঈমামতি করত। উমার ইবনি আবদুল আযীয [রাহিমাহুল্লাহ] লোক পাঠিয়ে তাকে ঈমামতি করিতে নিষেধ করলেন।
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলিলেন, তাকে তিনি নিষেধ করেন এই কারণে যে, তার পিতার পরিচয় ছিল না। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদঃ ৫ – ইমামের বসে নামায আদায় করা
২৯৫ আনাস ইবনি মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ এক ঘোড়ায় আরোহণ করেছিলেন। অতঃপর ঘোড়া হইতে পড়ে তাঁর ডান পার্শ্বের [কিছু অংশ] ছিড়ে গিয়েছিল। ফলে [পাঞ্জেগানা] নামাযসমূহের কোন এক নামায তিনি বসে আদায় করিয়াছেন। আমরাও তাঁর পেছনে বসে নামায আদায় করছিলাম। নামায শেষে তিনি বলিলেন, অনুসরণের জন্যই ঈমাম নিযুক্ত করা হয়েছে। কাজেই ঈমাম দাঁড়িয়ে নামায আদায় করলে তোমরাও দাঁড়িয়ে নামায আদায় কর, ঈমাম রুকূতে গেলে তোমরাও রুকূতে যাও, ঈমাম মাথা উঠালে তোমরাও মাথা তোল। ঈমাম যখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলেন, তোমরা বল رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ আর ঈমাম বসে নামায আদায় করলে তোমরা সকলেই বসে নামায আদায় কর।
[বুখারি ৬৮৯, মুসলিম ৪১১] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৯৬ আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রালুল্লাহ সাঃআঃ [একবার] বসে নমায আদায় করছিলেন, তাঁর পেছনে কিছু লোক দাঁড়িয়ে নামায আদায় করলেন। তিনি তাঁদের বসে আদায়ের জন্য ইশারা করলেন। যখন [নামায শেষ করে] ফিরলেন তিনি বলিলেন, ঈমাম অবশ্য অনুসরণ করার জন্যই নিযুক্ত করা হয়েছে। তাই ঈমাম রুকূ করলে তোমরাও রুকূ কর, ঈমাম উঠলে তোমরাও উঠ, আর ঈমাম বসে নামায আদায় করলে তোমরাও সকলে বসে নামায আদায় কর।
[বুখারি ৬৮৮, মুসলিম ৪১২] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৯৭ উরওয়া [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ তাঁর অসুস্থাবস্থায় ঘর হইতে বের হলেন এবং মসজিদে আসলেন। আবু বাকর [রাদি.]-কে লোকের ঈমামতি করিতে দেখলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃকে দেখে আবু বাকর [রাদি.] পিছু হটতে চেষ্টা করলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ তার প্রতি ইশারা করলেন তুমি যেভাবে আছ সেভাবে থাক। অতঃপর তিনি আবু বাকর [রাদি.]-এর পার্শ্বে বসলেন। আবু বাকর [রাদি.] রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-এর নামাযকে অনুসরণ করে নামায আদায় করিতেছিলেন, আর অন্য মুসল্লিগণ নামায আদায় করছিলেন আবু বাকর [রাদি.]-এর নামাযকে অনুসরণ করে।
[বুখারি ৬৮৩, মুসলিম ৪১৮] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদঃ ৬ – বসে নামায আদায়কারীর নামাযের তুলনায় দাঁড়িয়ে নামায আদায়কারীর নামাযের ফযীলত
২৯৮ আস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, তোমাদের কারো নামায যা সে বসা অবস্থায় আদায় করেছে [সওয়াবের বেলায়] তার দাঁড়িয়ে আদায় কৃত নামাযের অর্ধেকের সমতুল্য।
[সহীহ, মুসলিম ৭১৮] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৯৯ আস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আমরা যখন মদীনায় এলাম তখন মদীনার মহামারীরূপী প্রচণ্ড জ্বর আমাদেরও আক্রমণ করে বসল। রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ সাহাবীদের কাছে এলেন, তখন তাঁরা [সাহাবীগণ] তাঁদের নফল নামায বসে আদায় করিতেছিলেন। [এটা দেখে] তিনি ইরশাদ করলেন বসে নামায আদায়কারীর নামায [সওয়াবের বেলায়] দাঁড়িয়ে আদায়কারীর নামাযের অর্ধেকের সমতুল্য। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদঃ ৭ – বসে নামায আদায়
৩০০ হাফসা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃআঃকে কখনও নফল নামায বসে আদায় করিতে দেখিনি। কিন্তু তাঁর ওফাতের মাত্র এক বৎসর পূর্ব হইতে তিনি নফল নামায বসে আদায় করিতেন এবং তরতীবের [স্পষ্টভাবে ধীরে ধীরে পাঠ করা] সাথে সূরা তিলাওয়াত করিতেন। ফলে [পঠিত] সূরা অনেক বড় মনে হত সে সূরা হইতে যে সূরা [প্রকৃতপক্ষে] এ সূরা হইতে লম্বা।
[সহীহ, মুসলিম ৭৩৩] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩০১ আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
; তিনি বলেছেন, বয়স বেশি না হওয়া পর্যন্ত তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃআঃকে রাত্রের নামায [তাহাজ্জুদ] বসে আদায় করিতে দেখেননি। [বয়ঃবৃদ্ধির পর] রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বসে নামায আদায় করিতেন। তবে যখন রুকূ করিতে মনস্থ করিতেন, তখন দাঁড়িয়ে যেতেন এবং তারপর অন্তত ত্রিশ-চল্লিশ আয়াত তিলাওয়াত করিতেন, তারপর রুকূ করিতেন।
[বুখারি ১১১৮, মুসলিম ৭৩১] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩০২ আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বসে নামায আদায় করিতেন। তিনি বসা অবস্থায়ই কিরাআত [কুরআন পাঠ] করিতেন। যখন তাঁর ত্রিশ-চল্লিশ আয়াতের মত পড়া অবশিষ্ট থাকত তখন তিনি দাঁড়িয়ে যেতেন, তারপর দাঁড়ানো অবস্থায়ই কিরাআত পাঠ করিতেন, অতঃপর রুকূ ও সিজদা করিতেন। দ্বিতীয় রাকআতেও তিনি অনুরূপ করিতেন।
[বুখারি ১১১৯, মুসলিম ৭৩১] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩০৩ মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, উরওয়া ইবনি যুবায়র [রাদি.] ও সাঈদ্ ইবনি মুসায়্যাব [রাহিমাহুল্লাহ] তাঁরা দুজনেই নফল নামায বসে আদায় করিতেন ইহতিবা-এর অবস্থায়। [ইহতিবা হল দুই হাঁটুকে পেটের সাথে লাগিয়ে হাত দিয়ে বেড়ি করে বসা।] [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদঃ ৮ – সালাতুল বুসতা
৩০৪ আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আমাকে আয়েশা [রাদি.] তাঁর জন্য একটি মুসহাফ [কুরআন শরীফ] লেখার নির্দেশ দিলেন। এটাও বলিলেন, যখন তুমি {১} حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ এই আয়াতে পৌঁছাবে, তখন আমাকে জানাবে। আমি যখন উক্ত আয়াতে পৌঁছালাম তাহাকে খবর দিলাম। তিনি তারপর এভাবে লিখালেন, حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَصَلَاةِ الْعَصْرِ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ অতঃপর তিনি বলিলেন, আমি এটা রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ হইতে শুনিয়াছি।
[সহীহ, মুসলিম ৬২৯] {১} তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হইবে। বিশেষত মধ্যবর্তী সালাতের এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে। [সূরা: আল-বাকারাহ, ২৩৮] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩০৫ নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি হাফসা [রাদি.]-এর জন্য মুসহাফ [কুরআন] লিখতাম, তিনি আমাকে বলিলেন, যখন তুমি حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ এ আয়াতে পৌঁছাও, তখন আমাকে খবর দিও। আমি ঐ আয়াতে পৌঁছালে তাহাকে জানালাম; তখন তিনি আমার দ্বারা [এইরূপ] লিখালেন
[হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৩০৬ ইবনি ইয়ারবু মাখযুমী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি যায়দ ইবনি সাবিত [রাদি.]-কে বলিতে শুনিয়াছি, সালাতুল বুসতা [মধ্যবর্তী নামায] হল যোহরের নামায। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৩০৭ মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, আলী ইবনি আবি তালিব ও আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] তাঁরা দুজনে বলিতেন, সালাতুল বুসতা হল ফজরের নামায।
ইয়াহইয়া [রাহিমাহুল্লাহ] বলিলেন, মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেছেন, এ বিষয়ে অন্যান্য উক্তির মধ্যে আমার নিকট আলী ইবনি আবি তালিব ও আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাহিমাহুল্লাহ]-এর উক্তিই পছন্দনীয়। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদঃ ৯ – এক কাপড়ে নামায আদায়ের অনুমতি
৩০৮ উমার ইবনি আবি সালমা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃআঃকে উম্মু সালমা [রাদি.]-এর ঘরে এক কাপড় পরিধান করে নামায আদায় করিতে দেখেছেন, তিনি তখন চাদরের বাম প্রান্তকে বাম বগলের নিচের দিক দিয়ে তুলে ডান কাঁধের উপর রাখতেন এবং চাদরের ডান প্রান্তকে ডান বগলের নিচের দিকে দিয়ে তুলে বাম কাঁধের উপর রাখতেন, তাতে চাদরের দুই প্রান্ত দুই কাঁধের উপর পড়ে থাকত।
[বুখারি ৩৫৬, মুসলিম ৫১৭] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩০৯ আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
জনৈক প্রশ্নকারী এক কাপড় পরিধান করে নামায আদায় করা যায় কিনা সে সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃআঃকে প্রশ্ন করেছিল; রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ উত্তরে বলিলেন, তোমাদের প্রত্যেকের কাছে কি দুটি করে কাপড় আছে?
[বুখারি, ৩৫৮, মুসলিম ৫১৫] জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩১০ সাঈদ ইবনি মুসায়্যাব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আবু হুরায়রা [রাদি.]-কে প্রশ্ন করা হয়েছে কোন ব্যক্তি এক কাপড়ে নামায আদায় করিতে পারে কি? তিনি [উত্তরে] বলিলেন, হ্যাঁ। আবার তাহাকে প্রশ্ন করা হল আপনি কি এটা করেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, আমি এক কাপড় পরিধান করে নামায আদায় করি, অথচ আমার অনেক কাপড় আলনায় রাখা থাকে। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৩১১ মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট রেওয়ায়ত পৌঁছেছে যে, জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] এককাপড়ে নামায আদায় করিতেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন, অত্র হাদীসের বক্তব্য অন্যান্য সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।]
এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৩১২ রবীআ ইবনি আবি আবদুর রহমান [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
মুহাম্মাদ ইবনি আমর ইবনি হাযম একটি মাত্র কোর্তা পরিধান করে নামায আদায় করিতেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৩১৩ জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, দুই কাপড় যার না থাকে সে এক কাপড় পরিধান করে নামায আদায় করিবে এবং উপরে নিচে মুড়ি দিয়ে নিবে। আর কাপড় ছোট হলে লুঙ্গির মত পরিধান করিবে। [সহীহ, বুখারি ৩৬১]
ইয়াহইয়া [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেছেন, যে ব্যক্তি এক কোর্তা পরিধান করে নামায আদায় করে, তাঁর জন্য আমার মতে এটা ভাল যে, তার উভয় গর্দানে কোন কাপড় অথবা পাগড়ির কিছু অংশ রেখে দেবে।
জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদঃ ১০ – মেয়েদের জন্য জামা ও ওড়না পরিধান করে নামায আদায়ের অনুমতি
৩১৪ মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী সাঃআঃ-এর সহধর্মিণী আয়েশা [রাদি.] কামিজ ও সরবন্দ পরিধান করে নামায আদায় করিতেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৩১৫ মুহাম্মাদ ইবনি যায়দের মাতা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী সাঃআঃ-এর সহধর্মিণী উম্মে সালমা [রাদি.]-এর কাছে প্রশ্ন করেন, মেয়েরা কি কি কাপড় পরিধান করে নামায আদায় করিবে? তিনি বলেছেন, যা উভয় পায়ের উপরিভাগ আবৃত করে ফেলে, এইরূপ পূর্ণ জামা ও সরবন্দ পরিধান করে নামায আদায় করিবে।
[জঈফ, মারফু, ঈমাম আবু দাঊদ মারফু সনদে বর্ণনা করেন ৬৩৯, আল্লামা আলবানী হাদীসটিকে জঈফ বলেছেন সহীহ ও জঈফ সুনানে আবু দাঊদ] এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস
৩১৬ মায়মূনা [রাদি.]-এর পালক সন্তান উবায়দুল্লাহ খাওলানী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
মায়মূনা [রাদি.] জামা ও সরবন্দ পরিধান করে নামায আদায় করিতেন। অথচ তাঁর গায়ে ইযার থাকত না। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৩১৭ হিশাম ইবনি উরওয়াহ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
তাঁর নিকট জনৈক মহিলা এই মর্মে ফতওয়া জিজ্ঞেস করিল যদি কোমরবন্দ বাঁধতে অসুবিধা হয়, তবে আমি শুধু জামা ও সরবন্দ পরিধান করেও নামায আদায় করিতে পারি কি? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, যদি জামা পূর্ণাঙ্গ হয় [অর্থাৎ পা ঢেকে যায়]। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
Leave a Reply