জাফর ইবনু আবু তালিব হাশিমী (রাদি.)-এর মর্যাদা।
জাফর ইবনু আবু তালিব হাশিমী (রাদি.)-এর মর্যাদা। >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৬২, সাহাবিগণের মর্যাদা, অধ্যায়ঃ ১০=৩১টি
৬২/১০. অধ্যায়ঃ জাফর ইবনু আবু তালিব হাশিমী (রাদি.)-এর মর্যাদা।
নাবী (সাঃআঃ) তাঁকে বলেছিলেন, অবয়ব ও স্বভাব-চরিত্রে তুমি আমার সদৃশ।
৩৭০৮
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
লোকেরা বলে থাকেন যে, আবু হুরাইরা (রাদি.) অনেক বেশি হাদীস বর্ণনা করে থাকেন। বস্তুতঃ আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর নিকট আত্মতৃপ্তি নিয়ে পড়ে থাকতাম। ঐ সময়ে আমি সুস্বাদু রুটি ভক্ষণ করিনি, দামী কাপড় পরিনি। তখন কেউ আমার সেবা করত না। এবং আমি ক্ষুধার জ্বালায় পাথুরে ভূমির সঙ্গে পেট চেপে ধরতাম। কোন কোন সময় কুরআনে কারীমের কোন আয়াত, আমার জানা থাকা সত্ত্বেও অন্যদের জিজ্ঞেস করতাম যেন, তারা আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কিছু খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। গরীব মিসকীনদের জন্য সবার চেয়ে উত্তম ব্যক্তি ছিলেন জাফর ইবনু আবু তালিব (রাদি.)। তিনি প্রায়ই আমাকে নিজ ঘরে নিয়ে যেতেন এবং যা ঘরে থাকত তাই আমাকে আহার করিয়ে দিতেন। কোন সময় ঘিয়ের খালি পাত্র এনে দিতেন, আমরা ভেঙ্গে দিয়ে তা চেটে খেতাম।
(আঃপ্রঃ ৩৪৩৩, ইঃফাঃ ৩৪৪০)
৩৭০৯
শাবী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদি.) যখন জাফর (রাদি.)-এর ছেলেকে সালাম করিতেন তখন বলিতেন, হে, দুবাহু ওয়ালা ব্যক্তির ছেলে। [১]
আবু আবদুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)] বলেন, الْجَنَاحَانِ অর্থ প্রত্যেক বস্তুর দু পাশ। (৪২৬৪)
(আঃপ্রঃ ৩৪৩৪, ইঃফাঃ ৩৪৪১)
[১] মুতার যুদ্ধে কাফিরদের তীরের আঘাতে যখন জাফার ইবনু আবু তালিবের হাত দুটো দেহ হইতে পৃথক হয়ে যায় তখন তিনি ঐ দুহাতের বদলে আল্লাহর তরফ হইতে দুটি ডানা লাভ করেন। সেগুলোর সাহায্যে তিনি ফেরেশতাদের সাথে আকাশে উড়তে থাকেন। পিতার এই অনন্য বৈশিষ্ট্য ও ফাযীলাতের স্মৃতি চারণার্থে শহীদের পুত্রকে “দুডানা বিশিষ্ট ব্যক্তির পুত্র” বলে সম্বোধন করিতেন। হাদীসটি তিরমিযীতে বর্ণিত রয়েছে।
Leave a Reply