জানাযার নামাযে দোআ পড়া হয় যে সব – রিয়াদুস সালেহীন

জানাযার নামাযে দোআ পড়া হয় যে সব – রিয়াদুস সালেহীন

জানাযার নামাযে দোআ পড়া হয় যে সব – রিয়াদুস সালেহীন >> রিয়াদুস সালেহীন  হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন

পরিচ্ছেদ – ১৫৫ঃ জানাযার নামায পড়া, জানাযার সাথে যাওয়া, তাকে কবরস্থ করার কাজে অংশ নেওয়ার মাহাত্ম্য এবং জানাযার সাথে মহিলাদের যাওয়া নিষেধ
পরিচ্ছেদ – ১৫৬ঃ জানাযায় নামাযীর সংখ্যা বেশি হওয়া এবং তাদের তিন অথবা ততোধিক কাতার করা উত্তম
পরিচ্ছেদ – ১৫৭ঃ জানাযার নামাযে যে সব দুয়া পড়া হয়

পরিচ্ছেদ – ১৫৫ঃ জানাযার নামায পড়া, জানাযার সাথে যাওয়া, তাকে কবরস্থ করার কাজে অংশ নেওয়ার মাহাত্ম্য এবং জানাযার সাথে মহিলাদের যাওয়া নিষেধ

৯৩৪. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি নামায পড়া পর্যন্ত জানাযায় উপস্থিত থাকবে, তার জন্য এক ক্বীরাত্ব সওয়াব রয়েছে। আর যে ব্যক্তি দাফন করা পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে, তার জন্য দুই ক্বীরাত সওয়াব রয়েছে।’’ জিজ্ঞাসা করা হল, ‘দুই ক্বীরাতের পরিমাণ কতটুকু?’ তিনি বললেন, ‘‘দুই বড় পাহাড়ের সমান।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৪৭, ১৩২৪, ১৩২৫, মুসলিম ৯৪৫, তিরমিজী ১০৪০, নাসাঈ ১৯৯৪, থেকে ১৯৯৭, ৫০৩২, আবু দাঊদ ৩১৬৮, ইবনু মাজাহ ১৫৩৯, আহমাদ ৪৪৩৯, ৭১৪৮, ৭৩০৬, ৭৬৩৩, ৭৭১৮, ৮০৬৬, ৮৭৮৯, ১০৪৯) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯৩৫. উক্ত রাবী হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকীর আশা রেখে কোনো মুসলিমের জানাযার সাথে যাবে এবং তার জানাযার নামায পড়া এবং তাকে দাফন করা পর্যন্ত তার সাথে থাকবে, সে দু’ ক্বীরাত্ব সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক ক্বীরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাযার নামায পড়ে মৃতকে সমাধিস্থ করার পূর্বেই ফিরে আসবে, সে এক কীরাত্ব সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ৪৭, ১৩২৪, ১৩২৫, মুসলিম ৯৪৫, তিরমিজী ১০৪০, নাসাঈ ১৯৯৪, থেকে ১৯৯৭, ৫০৩২, আবু দাঊদ ৩১৬৮, ইবনু মাজাহ ১৫৩৯, আহমাদ ৪৪৩৯, ৭১৪৮, ৭৩০৬, ৭৬৩৩, ৭৭১৮, ৮০৬৬, ৮৭৮৯, ১০৪৯). হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯৩৬. উম্মে আত্বিয়্যাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

‘আমাদেরকে জানাযার সাথে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু (এ ব্যাপারে) আমাদের উপর জোর দেওয়া হয়নি।’

(সহীহুল বুখারী শরীফ ১২৭৮, ৩১৩, ১২৭৯, ৫৩৪০, ৫৩৪১, ৫৩৪৩, মুসলিম ৯৩৮, নাসাঈ ৩৫৩৪, আবু দাঊদ ২৩০২, ইবনু মাজাহ ২০৮৬, আহমাদ ২০২৭০, ২৬৭৫৯, দারেমী ২২৮৬). হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

পরিচ্ছেদ – ১৫৬ঃ জানাযায় নামাযীর সংখ্যা বেশি হওয়া এবং তাদের তিন অথবা ততোধিক কাতার করা উত্তম

৯৩৭. আয়েশা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

আয়েশা রাঃআঃ বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘যে মৃতের জানাযার নামায একটি বড় জামাআত পড়ে, যারা সংখ্যায় একশ’ জন পৌঁছে এবং সকলেই তার ক্ষমার জন্য সুপারিশ করে, তার ব্যাপারে তাদের সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।’’

(মুসলিম ৯৪৭, তিরমিজী ১০২৯, নাসাঈ ১৯৯১, আহমাদ ১৩৩৯৩, ২৩৫১৮, ২৩৬০৭, ২৪১৩৬, ২৫৪১৯) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯৩৮. ইবনে আব্বাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

আমি রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে বলতে শুনেছি, ‘‘যে কোন মুসলমান মারা যাবে এবং তার জানাযায় এমন চল্লিশজন লোক নামায পড়বে, যারা আল্লাহর সাথে কোন জিনিসকে শরীক করে না, আল্লাহ তার ব্যাপারে তাদের সুপারিশ গ্রহণ করিবেন।’’

(মুসলিম ৯৪৮, আহমাদ ২৫০৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯৩৯. মারষাদ ইবনে আব্দুল্লাহ য়্যাযানী হইতে বর্ণিতঃ

মালেক ইবনে হুবাইরাহ রাঃআঃ যখন (কারো) জানাযার নামায পড়তেন এবং লোকের সংখ্যা কম বুঝতে পারতেন, তখন তিনি তাদেরকে তিন কাতারে বণ্টন করতেন। তারপর তিনি বলতেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘তিন কাতার (লোক) যার জানাযা পড়ল, সে (জান্নাত) ওয়াজেব ক’রে নিল।’’

(আবু দাঊদ ৩১৬৬, তিরমিজী ১০২৮, ইবনু মাজাহ ১৪৯০, আহমাদ ১৬২৮৩) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস

পরিচ্ছেদ – ১৫৭ঃ জানাযার নামাযে যে সব দুয়া পড়া হয়

৯৪০. আবু আব্দুর রহমান আওফ ইবনে মালেক রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক জানাযায় নামায পড়লেন। আমি তাঁর দুআ মুখস্থ করে ফেললাম। সে দুআ হল এইঃ-

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ، وَأكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالبَرَدِ، وَنَقِّهِ مِن الخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَس، وَأَبدِلْهُ دَاراً خَيْراً مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلاً خَيراً مِنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجَاً خَيْراً مِنْ زَوْجِهِ، وَأَدْخِلهُ الجَنَّةَ، وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ النَّارِ

‘আল্লা-হুম্মাগফির লাহু অরহামহু অআ-ফিহী অ‘ফু আনহু অআকরিম নুযুলাহু অঅসসি‘ মুদখালাহু, অগ্সিলহু বিলমা-ই অস্সালজি অল-বারাদ। অনাক্কিহী মিনাল খাত্বায়্যা কামা নাক্কাইতাস সাউবাল আবয়্যাদা মিনাদ দানাস। অ আবদিলহু দা-রান খাইরাম মিন দা-রিহী অ আহলান খাইরাম মিন আহলিহী অযাওজান খাইরাম মিন যাওজিহ। অ আদখিলহুল জান্নাতা অ আইয্হু মিন আযা-বিল ক্বাবরি অমিন আযা-বিন্নার।’ অর্থ- হে আল্লাহ ! তুমি ওকে ক্ষমা করে দাও এবং ওকে রহম কর। ওকে নিরাপত্তা দাও এবং মার্জনা ক’রে দাও, ওর মেহেমানী সম্মানজনক কর এবং ওর প্রবেশস্থল প্রশস্ত কর। ওকে তুমি পানি, বরফ ও শিলাবৃষ্টি দ্বারা ধৌত করে দাও এবং ওকে গোনাহ থেকে এমন পরিষ্কার কর, যেমন তুমি সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করেছ । আর ওকে তুমি ওর ঘর অপেক্ষা উৎকৃষ্ট ঘর, ওর পরিবার অপেক্ষা উত্তম পরিবার, ওর জুড়ী অপেক্ষা উৎকৃষ্ট জুড়ী দান কর। ওকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং কবর ও দোযখের আযাব থেকে রেহাই দাও ।

(বর্ণনাকারী সাহাবী আউফ ইবন মালেক রাঃআঃ বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যখন এই দুআ বলতে শুনলাম) তখন আমি এই কামনা করলাম যে, যদি আমি এই মাইয়্যেত হতাম !

(মুসলিম ৯৬৩, তিরমিজী ১০২৫, নাসাঈ ১৯৮৩, ১৯৮৪, ইবনু মাজাহ ১৫০০, আহমাদ ২৩৪৫৫, ২৩৪৮০) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯৪১. আবু হুরাইরা রাঃআঃ আবু কাতাদাহ রাঃআঃ এবং আবু ইব্রাহীম আশহালী রাঃআঃ তাঁর পিতা হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জানাযার নামায পড়ার সময় এই দুআ পড়লেন,

اَللهم اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا، وَصَغِيرنَا وَكَبيرنَا، وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا، وشَاهِدنَا وَغَائِبِنَا، اَللهم مَنْ أحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأحْيِهِ عَلَى الإسْلاَمِ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوفَّهُ عَلَى الإيمَان، اَللهم لاَ تَحْرِمْنَا أجْرَهُ، وَلاَ تَفْتِنَّا بَعدَهُ

‘আল্লা-হুম্মাগফির লিহাইয়িনা অমাইয়িতিনা অস্বাগীরিনা অকাবীরিনা অযাকারিনা অউনসা-না অ শা-হিদিনা অগা-য়িবিনা, আল্লা-হুম্মা মান আহয়্যাইতাহু মিন্না ফাআহয়িহি ‘আলাল ইসলাম, অমান তাওয়াফ্ফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফ্ফাহু ‘আলাল ঈমান, আল্লা-হুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহ, অলা তাফতিন্না বা‘দাহ।’ অর্থ- হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত-মৃত, ছোট-বড়, পুরুষ ও নারী, উপস্থিত ও অনুপস্থিতকে ক্ষমা ক’রে দাও। হে আল্লাহ! আমাদের মধ্যে যাকে তুমি জীবিত রাখবে তাকে ইসলামের উপর জীবিত রাখ এবং যাকে মরণ দিবে তাকে ঈমানের উপর মরণ দাও। হে আল্লাহ ! ওর সওয়াব থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করো না এবং ওর পরে আমাদেরকে ফিতনায় ফেলো না। (তিরমিজী আবু হুরাইরা ও আশহালী হইতে, আবু দাঊদ আবু হুরাইরা ও আবু ক্বাতাদাহ হইতে । হাকেম বলেছেন, আবু হুরাইরার হাদীস বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ । তিরমিজী বলেন, বুখারী বলেছেন, এ হাদীসের সবচেয়ে সহীহ বর্ণনা হল আশহালীর বর্ণনা । বুখারী বলেন, এ বিষয়ে সবচেয়ে সহীহ হল আওফ ইবন মালেকের হাদীস । )

(আবু দাঊদ ৩২০১, তিরমিজী ১০২৪, নাসাঈ ১৯৮৬, আহমাদ ১৭০৯২, ২২৯৮৪ ) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯৪২. আবু হুরাইরা রাঃআঃ আবু কাতাদাহ রাঃআঃ এবং আবু ইব্রাহীম আশহালী রাঃআঃ তাঁর পিতা হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জানাযার নামায পড়ার সময় এই দুআ পড়লেন,

‘আল্লা-হুম্মাগফির লিহাইয়িনা অমাইয়িতিনা অস্বাগীরিনা অকাবীরিনা অযাকারিনা অউনসা-না অ শা-হিদিনা অগা-য়িবিনা, আল্লা-হুম্মা মান আহয়্যাইতাহু মিন্না ফাআহয়িহি ‘আলাল ইসলাম, অমান তাওয়াফ্ফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফ্ফাহু ‘আলাল ঈমান, আল্লা-হুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহ, অলা তাফতিন্না বা‘দাহ।’ অর্থ- হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত-মৃত, ছোট-বড়, পুরুষ ও নারী, উপস্থিত ও অনুপস্থিতকে ক্ষমা ক’রে দাও। হে আল্লাহ! আমাদের মধ্যে যাকে তুমি জীবিত রাখবে তাকে ইসলামের উপর জীবিত রাখ এবং যাকে মরণ দিবে তাকে ঈমানের উপর মরণ দাও। হে আল্লাহ ! ওর সওয়াব থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করো না এবং ওর পরে আমাদেরকে ফিতনায় ফেলো না। (তিরমিজী আবু হুরাইরা ও আশহালী হইতে, আবু দাঊদ আবু হুরাইরা ও আবু ক্বাতাদাহ হইতে । হাকেম বলেছেন, আবু হুরাইরার হাদীস বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ । তিরমিজী বলেন, বুখারী বলেছেন, এ হাদীসের সবচেয়ে সহীহ বর্ণনা হল আশহালীর বর্ণনা । বুখারী বলেন, এ বিষয়ে সবচেয়ে সহীহ হল আওফ ইবন মালেকের হাদীস । )

(আবু দাঊদ ৩২০১, তিরমিজী ১০২৪, নাসাঈ ১৯৮৬, আহমাদ ১৭০৯২, ২২৯৮৪ ) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯৪৩. আবু হুরাইরা রাঃআঃ আবু কাতাদাহ রাঃআঃ এবং আবু ইব্রাহীম আশহালী রাঃআঃ তাঁর পিতা হইতে বর্ণিতঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জানাযার নামায পড়ার সময় এই দুআ পড়লেন,

‘আল্লা-হুম্মাগফির লিহাইয়িনা অমাইয়িতিনা অস্বাগীরিনা অকাবীরিনা অযাকারিনা অউনসা-না অ শা-হিদিনা অগা-য়িবিনা, আল্লা-হুম্মা মান আহয়্যাইতাহু মিন্না ফাআহয়িহি ‘আলাল ইসলাম, অমান তাওয়াফ্ফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফ্ফাহু ‘আলাল ঈমান, আল্লা-হুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহ, অলা তাফতিন্না বা‘দাহ।’ অর্থ- হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত-মৃত, ছোট-বড়, পুরুষ ও নারী, উপস্থিত ও অনুপস্থিতকে ক্ষমা ক’রে দাও। হে আল্লাহ! আমাদের মধ্যে যাকে তুমি জীবিত রাখবে তাকে ইসলামের উপর জীবিত রাখ এবং যাকে মরণ দিবে তাকে ঈমানের উপর মরণ দাও। হে আল্লাহ ! ওর সওয়াব থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করো না এবং ওর পরে আমাদেরকে ফিতনায় ফেলো না। (তিরমিজী আবু হুরাইরা ও আশহালী হইতে, আবু দাঊদ আবু হুরাইরা ও আবু ক্বাতাদাহ হইতে । হাকেম বলেছেন, আবু হুরাইরার হাদীস বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ । তিরমিজী বলেন, বুখারী বলেছেন, এ হাদীসের সবচেয়ে সহীহ বর্ণনা হল আশহালীর বর্ণনা । বুখারী বলেন, এ বিষয়ে সবচেয়ে সহীহ হল আওফ ইবন মালেকের হাদীস । )

(আবু দাঊদ ৩২০১, তিরমিজী ১০২৪, নাসাঈ ১৯৮৬, আহমাদ ১৭০৯২, ২২৯৮৪ ). হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯৪৪. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

আমি রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে বলতে শুনেছি, ‘‘যখন তোমরা মৃতের জানাযা পড়বে, তখন তার জন্য আন্তরিকতার সাথে দুআ করো।’’

(আবু দাঊদ ৩১৯৯, ইবনু মাজাহ ১৪৯৭) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯৪৫. আবু হুরাইরাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হইতে জানাযার নামাযের সম্পর্কে বর্ণনা করিয়াছেন। জানাযার নামাযে তিনি নিম্নে উল্লেখিত দু’আ তিলাওয়াত করতেনঃ

اَللهم أَنْتَ رَبُّهَا، وَأَنْتَ خَلَقْتَهَا، وَأَنْتَ هَدَيْتَهَا لِلْإسْلَامِ، وَأَنْتَ قَبَضْتَ رُوْحَهَا، وَأَنْتَ أَعْلمُ بِسِرِّهَا وَعَلَانِيَّتِهَا، جِئْنَاكَ شُفَعَاءَ لَهُ فَاغْفِرْ لَهُ 

‘‘আল্লাহুম্মা আনতা রব্বুহা ওয়া আনতা খালাক্বতাহা, ওয়া আনতা হাদাইতাহা লিল ইসলামে, ওয়া আনতা ক্বাবাযতা রূহাহা, ওয়া আনতা অ‘লামু বিসিররিহা ওয়া ‘আলানিয়্যাতিহা, জি’নাকা শুফা‘আ- লাহু ফাগফির লাহু’’ (হে আল্লাহ! তুমিই তার প্রভূ-পালনকর্তা, তাকে তুমিই সৃষ্টি করেছো, তুমিই তাকে ইসলামের পথে হিদায়াত দিয়েছো, তুমিই তার জান কবজ করেছো এবং তার গোপন ও প্রকাশ্য (বিষয়াবলী) সম্বন্ধে তুমিই ভাল অবগত। আমরা তার পক্ষে সুপারিশের লক্ষ্যে তোমার কাছে এসেছি। তাই তাকে তুমি ক্ষমা কর)।

(আবু দাঊদ) হাদীসটি যইফ। হাদীসটির মানঃ দুর্বল হাদীস

৯৪৬. ওয়াসেলাহ ইবনে আসকা’ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে এক মুসলিম ব্যক্তির জানাযার নামায পড়ালেন। সুতরাং আমি তাঁকে এই দুআটি বলতে শুনলাম,

اَللهم إنَّ فُلانَ ابْنَ فُلانٍ فِي ذِمَتِّكَ وَحَبْلِ جِوَارِكَ، فَقِهِ فِتْنَةَ القَبْرِ، وَعذَابَ النَّار، وَأنْتَ أهْلُ الوَفَاءِ وَالحَمْدِ ؛ اَللهم فَاغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، إنَّكَ أنْتَ الغَفُورُ الرَّحيمُ 

‘আল্লা-হুম্মা ইন্না ফুলা-নাবনা ফুলা-নিন ফী যিম্মাতিকা অহাবলি জিওয়ারিক, ফাক্বিহী ফিতনাতাল ক্বাবরি অ আযা-বান্নার, অ আন্তা আহলুল অফা-ই অলহামদ, ফাগ্ফির লাহু অরহামহু ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর রাহীম ।’ অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় অমুকের পুত্র অমুক তোমার দায়িত্বে এবং তোমার আমানতে । অতএব ওকে তুমি কবর ও দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর । তুমি প্রতিশ্রুতি পালনকারী ও প্রশংসার পাত্র । সুতরাং ওকে তুমি মাফ ক’রে দাও এবং ওর প্রতি দয়া কর । নিঃসন্দেহে তুমিই মহাক্ষমাশীল অতি দয়াবান ।

(আবু দাঊদ ৩২০২, ইবনু মাজাহ ১৪৯৯, আহমাদ ১৫৫৮৮). হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস

৯৪৭. আব্দুল্লাহ ইবনে আবী আওফা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ

তাঁর এক মেয়ের জানাযায় চার তাকবীর দিলেন। অতঃপর তিনি চতুর্থ তাকবীরের পর দুই তাকবীরের মধ্যস্থলে যতটা সময় লাগে ততক্ষণ দাঁড়িয়ে তার (কন্যার) জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও দুআ করলেন । তারপর তিনি বললেন, ‘রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই রকমই করতেন ।’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি চার তাকবীর বলার পর কিছুক্ষণ থেমে গেলেন, এমনকি আমি ধারণা করলাম যে, তিনি পাঁচ তাকবীর বলবেন । অতঃপর তিনি তাঁর ডানে ও বামে সালাম ফিরলেন । তারপর তিনি যখন নামায শেষ করলেন, তখন আমরা তাঁকে বললাম, ‘একী ! ?’ তিনি বললেন, ‘আমি রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে যা করতে দেখেছি, তার চেয়ে বেশী করব না’ অথবা ‘রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ রকমই করিয়াছেন।’ (হাকেম সহীহ সূত্রে)

(ইবনু মাজাহ ১৫০৩, আহমাদ ১৮৬৫৯ থেকে ১৮৯২৫) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস


by

Comments

Leave a Reply