ছোঁয়াচে রোগ – প্লেগ কুষ্ঠ ধবল মহামারি
প্লেগ কুষ্ঠ ধবল মহামারি জিবানু ভাইরাস কি ছোঁয়াচে রোগ এর বিষয়ে বুখারি হাদিস, সুনানু ইবনু মাজাহ
ছোঁয়াচে রোগ এর দোয়া পড়ুন সরাসরি কোরআন হাদিসের আলাকে চিকিৎসা Ayat E Shifa Dua প্লেগ মহামারি করোনা ভাইরাস ইত্যাদির দোয়া
পরিচ্ছেদঃ ১ প্লেগ কুষ্ঠ ধবল ও ভাইরাস রোগ হতে আশ্রয় প্রার্থনা
পরিচ্ছেদঃ ২ ছোঁয়াচে রোগ ও শুভ অশুভ বলিতে কিছু নেই
পরিচ্ছেদঃ ৩ অসুস্থকে সুস্থদের সংস্পর্শে নেয়া উচিত নয়
পরিচ্ছেদঃ ৪ মাছি ইঁদুর প্রানী খাদ্যদ্রব্যে পরলে করনিয়
পরিচ্ছেদঃ ৫ কুষ্ঠ রোগীদের দিকে অপলক নেত্রে তাকিয়ে থেকো না
পরিচ্ছেদঃ ১ প্লেগ কুষ্ঠ ধবল ও ভাইরাস রোগ হতে আশ্রয় প্রার্থনা
৮। Hadith: মুসা ইবনু ইসমাইল — হাম্মাদ — কাতাদাহ — আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئِ الأَسْقَامِ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুজামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসকম, অর্থঃ (হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই শ্বেত, উন্মাদনা, কুষ্ঠ এবং সমস্ত দুরারোগ্য ব্যাধি হতে)
أَعُوذُ | إِنِّي | اللَّهُمَّ |
আশ্রয় চাই | নিশ্চয়ই | হে আল্লাহ |
الْبَرَصِ | مِنَ | بِكَ |
শ্বেত | হতে | আপনার কাছে |
وَمِنْ | وَالْجُذَامِ | وَالْجُنُونِ |
এবং হতে | কুষ্ঠ | উন্মাদনা |
الأَسْقَامِ | سَيِّئِ | |
সমস্ত ব্যাধি | দুরারোগ্য |
Sahih Abu Daud- 1554 (Tahqiq Albani)Tahqiq: Nasir Udding Albani Collectied this Hadith in Sahih Abu Daud, আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র আবূল মিনহালের সূত্রে জেনেছি।
Hadith: মুহাম্মাদ ইবন মুসান্না (রহঃ) — আবু দাউদ — হাম্মাদ — কাতাদাহ — আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَالْبَرَصِ وَسَيِّئِ الْأَسْقَامِ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল জুনুনি ওয়াল জুজামি ওয়াল বারসি ওয়া ছাইয়্যি ইল আসকম অর্থঃ ( হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি পাগলামী, কুষ্ঠ রোগ এবং শ্বেতরোগ এবং অতি মন্দ রোগ ব্যাধি হতে)।
Nasai- Islamic Foundattion-549৩, নাসায়ী (অধ্যায় : আশ্রয় প্রার্থনা, হাঃ ৫৪৯৩)
Hadith: Sahih Miskat -2470 (Tahqiq Albani) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (দু‘আয়) বলতেনঃ
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُذَامِ وَالْجُنُونِ وَمِنْ سَيِّئِ الْأَسْقَامِ.
উচ্চারণঃ আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুযা-মি, ওয়াল জুনূনি, ওয়ামিন্ সাইয়্যিয়িল আসক্বা-ম (অর্থঃ- হে আল্লাহ! আমি শ্বেতরোগ, কুষ্ঠরোগ, উম্মাদনা ও কঠিন রোগসমূহ হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি)
Hadith More: (ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯১২৯, ইরওয়া ৩/৩৫৭–৩৫৮, আহমাদ ১৩০০৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ১০৯৭, সহীহ আল জামি‘ ১২৮১ .হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
Sahih Muslim -৬৮৩৭ : উবায়দুল্লাহ ইবনু আব্দিল কারিম আবু জুরআ — ইবনু বুকাইর — ইয়াকুব ইবনু আব্দিল রহমান — মুসা ইবনু উকবাহ — আব্দুল্লাহি ইবনু দিনার — আবদুল ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর দুআর মধ্যে একটি ছিল এই যে,
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ
উচ্চারণঃ আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন যাওয়া-লি নিমাতিকা ওয়াতা হাও্উলি আ-ফিয়াতিকা ওয়া ফুজা-য়াতি নিক্মাতিকা ওয়া জামীই সাখাতিক
অর্থাৎ- “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই নিআমাত দূর হয়ে যাওয়া হইতে, তোমার দেয়া সুস্থতা পরিবর্তন হয়ে যাওয়া থেকে, তোমার অকস্মাৎ শাস্তি আসা হইতে এবং তোমার সকল প্রকার অসন্তুষ্টি থেকে।”
সহিহুল বুখারি – ৫৭২৯ঃ আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ — মালিক — ইবনি শিহাব — আব্দিল হামিদ ইবনে আব্দুর রহমান — আব্দিল্লাহি ইবনি আব্দিল্লাহি ইবনে হারিছ ইবনু নাওফাল — আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) সিরিয়ার দিকে রওনা করেছিলেন। শেষে তিনি যখন সারগ এলাকায় গেলেন, তখন তাহাঁর সঙ্গে সৈন্য বাহিনীর প্রধানগণ তথা আবূ উবাইদাহ ইবনু জাররাহ ও তাহাঁর সঙ্গীগণ সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা তাঁকে জানালেন যে, সিরিয়া এলাকায় প্লেগের বিস্তার ঘটেছে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, তখন উমার (রাঃ) বলিলঃ আমার নিকট প্রবীণ মুহাজিরদের ডেকে আন। তখন তিনি তাঁদের ডেকে আনলেন। উমার (রাঃ) তাঁদের সিরিয়ার প্লেগের বিস্তার ঘটার কথা জানিয়ে তাঁদের কাছে পরামর্শ চাইলেন। তখন তাঁদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হল। কেউ বললেনঃ আপনি একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে বের হয়েছেন; কাজেই তা থেকে প্রত্যাবর্তন করা আমরা পছন্দ করি না। আবার কেউ কেউ বললেনঃ বাকী লোক আপনার সঙ্গে রয়েছেন এবং রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর সাহাবীগণ। কাজেই আমরা সঠিক মনে করি না যে, আপনি তাহাদের এই প্লেগের মধ্যে ঠেলে দিবেন। উমার (রাঃ) বললেনঃ তোমরা আমার নিকট থেকে চলে যাও। এরপর তিনি বললেনঃ আমার নিকট আনসারদের ডেকে আন। আমি তাহাদের ডেকে আনলাম। তিনি তাহাদের কাছে পরামর্শ চাইলে তাঁরাও মুহাজিরদের পথ অবলম্বন করিলেন এবং তাঁদের মতই মতপার্থক্য করিলেন। উমার (রাঃ) বললেনঃ তোমরা উঠে যাও। এরপর আমাকে বললেনঃ এখানে যে সকল বয়োজ্যেষ্ঠ কুরাইশী আছেন, যাঁরা মাক্কাহ জয়ের বছর হিজরাত করেছিলেন, তাহাদের ডেকে আন। আমি তাহাদের ডেকে আনলাম, তখন তারা পরস্পরে মতভেদ করিলেন না। তাঁরা বললেনঃ আপনার লোকজনকে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করা এবং তাঁদের প্লেগের মধ্যে ঠেলে না দেয়াই আমরা ভাল মনে করি। তখন উমার (রাঃ) লোকজনের মধ্যে ঘোষণা দিলেন যে, আমি ভোরে সাওয়ারীর পিঠে আরোহণ করব (ফিরার জন্য)। অতএব তোমরাও সকালে সওয়ারীর পিঠে আরোহণ করিবে। আবূ উবাইদাহ (রাঃ) বললেনঃ আপনি কি আল্লাহর নির্ধারিত তাকদীর থেকে পালানোর জন্য ফিরে যাচ্ছেন? উমার (রাঃ) বললেনঃ হে আবূ উবাইদাহ! যদি তুমি ব্যতীত অন্য কেউ কথাটি বলত! হাঁ, আমরা আল্লাহর, এক তাকদীর থেকে আল্লাহর আরেকটি তাকদীরের দিকে ফিরে যাচ্ছি। তুমি বলত, তোমার কিছু উটকে যদি তুমি এমন কোন উপত্যকায় নিয়ে যাও যেখানে আছে দু’টি মাঠ। তন্মধ্যে একটি হল সবুজ শ্যামল, আর অন্যটি হল শুষ্ক ও ধূসর। এবার বল ব্যাপারটি কি এমন নয় যে, যদি তুমি সবুজ মাঠে চরাও তাহলে তা আল্লাহর তাকদীর অনুযায়ীই চরিয়েছ। আর যদি শুষ্ক মাঠে চরাও, তাহলে তাও আল্লাহর তাকদীর অনুযায়ীই চরিয়েছ। বর্ণনাকারী বলেন, এমন সময় আবদুর রহমান ইবনু আওফ (রাঃ) আসলেন। তিনি এতক্ষণ যাবৎ তাহাঁর কোন প্রয়োজনের কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেনঃ এ ব্যাপারে আমার নিকট একটি তথ্য আছে, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) –কে বলিতে শুনেছিঃ তোমরা যখন কোন এলাকায় (প্লেগের) বিস্তারের কথা শোন, তখন সেখানে প্রবেশ করো না। আর যদি কোন এলাকায় এর প্রাদুর্ভাব নেমে আসে, আর তোমরা সেখানে থাক, তাহলে সেখান থেকে বেরিয়ে যেয়ো না। বর্ণনাকারী বলেনঃ এরপর উমার (রাঃ) আল্লাহর প্রশংসা করিলেন, তারপর প্রত্যাবর্তন করিলেন।
(৫৭৩০, ৬৯৭৩; মুসলিম ৩৯/৩২, হাঃ ২২১৯) আধুনিক প্রঃ- ৫৩০৯, ইঃ ফাঃ- ৫২০৫)
সহিহুল বুখারি – ৫৭৩০ঃ আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ — মালিক — ইবনি শিহাব — আবদুল্লাহ ইবনু আমির (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
উমার (রাঃ) সিরিয়া যাবার জন্য বের হলেন। এরপর তিনি সারগ’ নামক স্থানে পৌছলে তাহাঁর কাছে খবর এল যে সিরিয়া এলাকায় মহামারী দেখা দিয়েছে। তখন আবদুর রহমান ইবনু আওফ (রাঃ) তাঁকে জানালেন যে, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যখন তোমরা কোন স্থানে এর বিস্তারের কথা শোন, তখন সে এলাকায় প্রবেশ করো না; আর যখন এর বিস্তার ঘটে, আর তোমরা সেখানে অবস্থান কর, তাহলে তা থেকে পালিয়ে যাওয়ার নিয়তে সেখান থেকে বেরিয়ে যেয়ো না।
(আধুনিক প্রঃ- ৫৩১০, ইঃ ফাঃ- ৫২০৬)
সহিহুল বুখারি – ৫৭২৮ঃ হাফসু ইবনু উমার — সু,বাহ — হাবিব ইবনু আবি সাবিত — ইব্রাহিম ইবনু সা,দি — উসামাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি সাদ (রাঃ) -এর কাছে নবী (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করিয়াছেন যে, তিনি বলেছেনঃ যখন তোমরা কোন অঞ্চলে প্লেগের বিস্তারের সংবাদ শোন, তখন সেই এলাকায় প্রবেশ করো না। আর তোমরা যেখানে অবস্থান কর, সেখানে প্লেগের বিস্তার ঘটলে সেখান থেকে বেরিয়ে যেয়ো না। (বর্ণনাকারী হাবীব ইবনু আবূ সাবিত বলেন) আমি জিজ্ঞেস করলামঃ আপনি কি উসামাহ (রাঃ) -কে এ হাদিস সাদ (রাঃ) -এর কাছে বর্ণনা করিতে শুনেছেন যে, তিনি (সাদ) তাতে কোন অসম্মতি জ্ঞাপন করেননি? ইবরাহীম ইবনু সাদ বলেনঃ হাঁ।
(আধুনিক প্রঃ- ৫৩০৮, ইঃ ফাঃ- ৫২০৪)
সহিহুল বুখারি – ৫৭৩১ঃ আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ — মালিক — নুয়াইম আল মুজমির — আবূ হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ মদীনায় ঢুকতে পারবে না মাসীহ্ দাজ্জাল, আর না মহামারী।
(আধুনিক প্রঃ- ৫৩১১, ইঃ ফাঃ- ৫২০৭)
সহিহুল বুখারি – ৫৭৩২ঃ মুসা ইবনু ইসমাইল — আব্দুল ওয়াহিদ — আসিম — হাফসাহ বিনত সীরীন (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাকে আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) জিজ্ঞেস করিলেন, ইয়াহ্ইয়া কী রোগে মারা গেছে? আমি বললামঃ প্লেগ রোগে। তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ প্লেগ রোগে মারা গেলে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য তা শাহাদাত হিসেবে গণ্য।
আধুনিক প্রঃ- ৫৩১২, ইঃ ফাঃ- ৫২০৮)
সহিহুল বুখারি – ৫৭৩৩ঃ আবু আসিম — মালিক — সুমায়্যি — আবি সালিহ — আবূ হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি নবী (সাঃআঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ উদরাময় রোগে মৃত ব্যক্তি শহীদ, আর প্লেগ রোগে মৃত ব্যক্তি শহীদ।
(আধুনিক প্রঃ- ৫৩১৩, ইঃ ফাঃ- ৫২০৯)
সহিহুল বুখারি – ৫৭৩৪ঃ ইসহাক — হাব্বান — দাউদ ইবনু আবি ফুরাত –আব্দুল্লাহ ইবনু বুরায়দাহ — ইয়াহইয়া ইবনু ইয়া,মার — নবী (সাঃআঃ) -এর স্ত্রী আয়িশাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে প্লেগ রোগ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তখন আল্লাহর নবী (সাঃআঃ) তাঁকে জানান যে, এটি হচ্ছে এক রকমের আযাব। আল্লাহ যার উপর তা পাঠাতে ইচ্ছে করেন, পাঠান। কিন্তু আল্লাহ এটিকে মুমিনদের জন্য রহমাত বানিয়ে দিয়েছেন। অতএব প্লেগ রোগে কোন বান্দা যদি ধৈর্য ধরে, এ বিশ্বাস নিয়ে আপন শহরে অবস্থান করিতে থাকে যে, আল্লাহ তার জন্য যা নির্দিষ্ট করে রেখেছেন তা ছাড়া আর কোন বিপদ তার উপর আসবে না; তাহলে সেই বান্দার জন্য থাকিবে শহীদের সাওয়াবের সমান সাওয়াব। দাঊদ থেকে নাযরও এ রকম বর্ণনা করিয়াছেন।
(আধুনিক প্রঃ- ৫৩১৪, ইঃ ফাঃ- ৫২১০)
পরিচ্ছেদঃ ২ ছোঁয়াচে রোগ ও শুভ অশুভ বলিতে কিছু নেই
আফফান — সালীম ইবনু হাইয়ান — সায়িদ ইবনু মিনাআ — আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিত।
রসূলুল্লাহ্ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ রোগের কোন সংক্রমন নেই, কুলক্ষণ বলে কিছু নেই, পেঁচা অশুভের লক্ষণ নয়, সফর মাসের কোন অশুভ নেই। কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাক, যেভাবে তুমি বাঘ থেকে দূরে থাক।
(সহিহুল বুখারি – ৫৭০৭ঃ আধুনিক প্রঃ- অনুচ্ছেদ, ইঃ ফাঃ- অনুচ্ছেদ)
সহিহুল বুখারি – ৫৭৫৩ঃ আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ — উসমান ইবনু উমার — ইওনুস — জুহরি — সালিম — ইবনু উমার (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ ছোঁয়াচে রোগ ও শুভ-অশুভ বলিতে কিছু নেই। অমঙ্গল তিন বস্তুর মধ্যে স্ত্রীলোক, গৃহ ও পশুতে।
(১) (২০৯৯; মুসলিম ৩৯/৩৪, হাঃ ২২২৫, আহমাদ ৪৫৪৪) আধুনিক প্রঃ- ৫৩৩৩, ইঃ ফাঃ- ৫২২৯) (১) কোন কোন স্ত্রীলোক স্বামীর অবাধ্য হয়। আবার কেউ হয় সন্তানহীনা। কোন গৃহে দুষ্ট জ্বিনের উপদ্রব দেখা যা, আবার কোন গৃহ প্রতিবেশীর অত্যাচারের কারণে অশান্তিময় হয়ে উঠে। গৃহে সলাত আদায় ও যিকর-আযকারের মাধ্যমে জ্বিনের অমঙ্গল থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। কোন কোন পশু অবাধ্য বেয়াড়া হয়।
সহিহুল বুখারি – ৫৭৫৪ঃ আবু ইয়ামানি — সুয়ায়ব — জুহরি — উবায়দুল্লাহ ইবনু আব্দিল্লাহ ইবনি উতবাহ — আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে এ কথা বলিতে শুনিয়াছি যে, শুভ-অশুভ নির্ণয়ে কোন লাভ নেই, বরং শুভ আলামত গ্রহন করা ভাল। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ শুভ আলামত কী? তিনি বললেনঃ ভাল কথা, যা তোমাদের কেউ শুনে থাকে।
(৫৭৫৫; মুসলিম ৩৯/৩৪, হাঃ ২২২৩, আহমাদ ৯৮৫৬) আধুনিক প্রঃ- ৫৩৩৪, ইঃ ফাঃ- ৫২৩০)
সহিহুল বুখারি – ৫৭৭৩ঃ আবু ইয়ামানি — সুয়ায়ব — জুহরি — আবু সালামাহ ইবনু আব্দুর রহমান– আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে বলিতে শুনেছিঃ সংক্রমণ বলিতে কিছু নেই।
আধুনিক প্রঃ- ৫৩৫১, ইঃ ফাঃ- ৫২৪৭)
সহিহুল বুখারি – ৫৭৫৫ঃ আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ — হিসাম — মা,মার — জুহরি — উবায়দুল্লাহ ইবনি আব্দিল্লাহ — আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ শুভ-অশুভ বলে কিছু নেই এবং এর কল্যাণই হল শুভ আলামত। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহ্র রসূল! শুভ আলামত কি? তিনি বললেনঃ ভাল কথা, যা তোমাদের কেউ (বিপদের সময়) শুনে থাকে।
(আধুনিক প্রঃ- ৫৩৩৫, ইঃ ফাঃ- ৫২৩১)
সহিহুল বুখারি – ৫৭৫৬ঃ মুসলিম ইবনু ইব্রাহীম — হিসাম — কাতাদাহ — আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ রোগের সংক্রমন ও শুভ-অশুভ বলিতে কিছু নেই। শুভ আলামতই আমার নিকট পছন্দনীয়, আর তা হল উত্তম বাক্য।
(আধুনিক প্রঃ- ৫৩৩৬, ইঃ ফাঃ- ৫২৩২)
সহিহুল বুখারি – ৫৭৫৭ঃ মুহাম্মাদ ইবনু আল হাকামা — নাসর — ইস্রায়িল — আবু হাসিন — আবি সালিহ — আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ রোগে সংক্রমণ নেই; শুভ-অশুভ আলামত বলে কিছু নেই। পেঁচায় অশুভ আলামত নেই এবং সফর মাসে অকল্যাণ নেই।
(আধুনিক প্রঃ- ৫৩৩৭, ইঃ ফাঃ- ৫২৩৩)
সহিহুল বুখারি – ৫৭৭২ঃ সাইদ ইবনু উফাইর — ইবনু ওহাব — ইওনুস — ইবনু সিহাব — সালিম ইবনু আবদুল্লাহ ও হামজা — আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ রোগের সংক্রমণ বলিতে কিছু নেই, অশুভ কেবল ঘোড়া, নারী ও ঘর এ তিন জিনিসের মধ্যেই রয়েছে।(আধুনিক প্রঃ- ৫৩৫০, ইঃ ফাঃ- ৫২৪৬)
হাদিসঃ ইবনে মাজাহ -৩৫৩৭ঃ আবু বকর ইবনু আবি সায়বাহ — ইয়াজিদ ইবনু হারুন — শু,বাহ — কাতাদাহ — আনাস (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
নাবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রোগ সংক্রমন ও কুলক্ষণ বলে কিছু নেই। তবে আমি (অদৃশ্য থেকে শ্রুত ) উত্তম কথা পছন্দ করি।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। ছোঁয়াচে রোগ হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিসঃ ইবনে মাজাহ -৩৫৩৮ঃ আবু বকর ইবনু আবি সায়বাহ — ইয়াজিদ ইবনু হারুন — শু,বাহ — কাতাদাহ — ওয়াকি — সুফিয়ান — সালামাহ — ইসা ইবনু আসিম — জিররি — আবদুল্লাহ (বিন মাসঊদ) (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অশুভ লক্ষণ (বিশ্বাস করা) শেরেকী কাজ। রাবী বলেন, আমাদের মধ্যে অশুভ লক্ষণের ধারনা আসে, তবে আল্লাহর উপর ভরসার দ্বারা তা দূরীভুত হয়।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। ছোঁয়াচে রোগ হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিসঃ ইবনে মাজাহ -৩৫৩৯ঃ আবু বকর ইবনু আবি সায়বাহ — আবু আহওয়াস — সিমাক — ইকরাম — ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রোগ সংক্রমণ, কুলক্ষণ ও হামাহ বলে কিছু নেই এবং সফর মাসও অশুভ নয়।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। ছোঁয়াচে রোগ হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ ৩ অসুস্থকে সুস্থদের সংস্পর্শে নেয়া উচিত নয়
হাদিসঃ ইবনে মাজাহ -৩৫৪১ঃ আবু বকর ইবনু আবি সায়বাহ — আলি ইবনু মুশহির — মুহাম্মদ ইবনু আমর — আবি সালামাহ — আবূ হুরায়রাহ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অসুস্থকে সুস্থদের সংস্পর্শে নেয়া উচিত নয়।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। ছোঁয়াচে রোগ হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
আব্দুল আজিজ ইবনু আব্দুল্লাহ — ইব্রাহিম ইবনু সা,দ — সালিহ — ইবনু সিহাব — আবু সালামাহ ইবনু আব্দির রহমান ও গায়রু — আবূ হুরাইরা (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ রোগের কোন সংক্রমণ নেই, সফরের কোন অশুভ আলামত নেই, পেঁচার মধ্যেও কোন আশুভ আলামত নেই। তখন এক বেদুঈন বলিলঃ হে আল্লাহ্র রসূল! তাহলে আমার এ উটের এ অবস্থা কেন হয়? সেগুলো যখন চারণ ভূমিতে থাকে তখন সেগুলো যেন মুক্ত হরিণের পাল। এমন অবস্থায় চর্মরোগাগ্রস্ত উট এসে সেগুলোর পালে ঢুকে পড়ে এবং এগুলোকেও চর্ম রোগে আক্রান্ত করে ফেলে। নবী (সাঃআঃ) বললেনঃ তাহলে প্রথমটিকে চর্ম রোগাক্রান্ত কে করেছে? যুহরী হাদিসটি আবূ সালামাহ ও সিনান ইবনু আবূ সিনান (রহঃ) থেকে বর্ণনা করিয়াছেন।
(সহিহুল বুখারি – ৫৭১৭ঃ, ৫৭০৭; মুসলিম ৩৯/৩৩, হাঃ ২২২০, আহমাদ ৭৬২৪) আধুনিক প্রঃ- ৫২৯৯, ইঃ ফাঃ- ৫১৯৫)
সহিহুল বুখারি – ৫৭৭০ঃ আব্দুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ — হিসাম ইবনু ইউসুফ — মা,মার — জুহরি — আবি সালামাহ — আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ রোগের মধ্যে কোন সংক্রমণ নেই, সফর মাসের মধ্যে অকল্যাণের কিছু নেই এবং পেঁচার মধ্যে কোন অশুভ আলামত নেই। তখন এক বেদুঈন বলিলঃ হে আল্লাহ্র রসূল! তাহলে যে উট পাল মরুভূমিতে থাকে, হরিণের মত তা সুস্থ ও সবল থাকে। উটের পালে একটি চর্মরোগওয়ালা উট মিশে সবগুলোকে চর্মরোগগ্রস্ত করে দেয়? রসূলুল্লাহ বললেনঃ তবে প্রথম উটটির মধ্যে কীভাবে এ রোগ সংক্রামিত হল?
(আধুনিক প্রঃ- ৫৩৪৯, ইঃ ফাঃ- ৫২৪৫)
সহিহুল বুখারি – ৫৭৭৫ঃ জুহরি — সিনান ইবনু আবি সিনান — আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ সংক্রমণ বলিতে কিছু নেই। তখন এক বেদুঈন দাঁড়িয়ে বলিলঃ এ সম্পর্কে আপনার কী অভিমত যে, হরিণের মত সুস্থ উট যে মরুভূমির পালের মাঝে থাকে। পরে কোন চর্মরোগগ্রস্থ উট সেগুলোর সাথে মিশে গিয়ে সবগুলোকে চর্মরোগে আক্রান্ত করে। তখন নবী (সাঃআঃ) বললেনঃ তা হলে প্রথমটিকে কে রোগাক্রান্ত করেছিল?
(আধুনিক প্রঃ- ৫৩৫১, ইঃ ফাঃ- ৫২৪৭)
সহিহুল বুখারি – ৫৭৭১ঃ আবূ সালামাহ — আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আবূ হুরাইরাহ -কে বলিতে শুনেছেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ যেন কখনও রোগাক্রান্ত উট সুস্থ উটের সাথে না রাখে। আর আবূ হুরাইরাহ প্রথম হাদিস অস্বীকার করেন। আমরা বললামঃ আপনি কি لاَ عَدْوىহাদিস বর্ণনা করেননি? তখন তিনি হাবশী ভাষায় কী যেন বলিলেন। আবূ সালামাহ (রহ.) বলেনঃ আমি আবূ হুরাইরাহ -কে এ হাদিস ছাড়া আর কোন হাদিস ভুলে যেতে দেখিনি।
(৫৭৭৪; মুসলিম ৩৯/৩৩, হাঃ ২২২১, আহমাদ ৯২৭৪) আধুনিক প্রঃ- ৫৩৪৯, ইঃ ফাঃ- ৫২৪৫)
সহিহুল বুখারি – ৫৭৭৪ঃ আবূ সালামাহ ইবনু আবদুর রহমান — আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
আবূ সালামাহ ইবনু আবদুর রহমান বলেন, আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে শুনিয়াছি, নবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ রোগাক্রান্ত উট নীরোগ উটের সাথে মিশ্রিত করিবে না।
(আধুনিক প্রঃ- ৫৩৫১, ইঃ ফাঃ- ৫২৪৭)
হাদিসঃ ইবনে মাজাহ -৩৫৪০ঃ আবু বকর ইবনু আবি সায়বাহ — ওয়াকি — আবি জানাব — আবিহ — ইবনু উমার (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রোগ সংক্রমণ, কুলক্ষণ ও হামাহ বলে কিছু নেই। এক ব্যক্তি তাহাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! উটের চর্মরোগ হয়, পরে অন্যান্য উট তার সংস্পর্শে এসে চর্মরোগাক্রান্ত হয়। তিনি বলেনঃ এটা হলো তাকদীর। আচ্ছা, প্রথমটি কে চর্মরোগাক্রান্ত করেছে?
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ (আরবি) অর্থাৎ এটাই তাকদীর ব্যতীত সহীহ। (৩৫৪০) সহীহুল বুখারী ২০৯৯,৫৭৫৩,৫৭৭২, মুসলিম ২২২৫, আহমাদ ৪৭৬১,৬৩৬৯, মুওয়াত্তা’ মালিক ১৮১৭।
উক্ত হাদিসের রাবী আবূ জানাব সম্পর্কে আবূ আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তিনি আহলে ইলমের নিকট নির্ভরযোগ্য নয়। আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী ও আবূ বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি দূর্বল। আবূ হাতিম আর রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি তাকে দূর্বল বলেছেন। আবূ নুআয়ম আল-আসবাহানী বলেন, তিনি তাদলীস করিতেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি দূর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৮১৭, ৩১/২৮৪ নং পৃষ্ঠা)। ছোঁয়াচে রোগ হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহুল বুখারি – ৫৭৭৬ঃ মুহাম্মাদ ইবনু বাসির — মুসলিম ইবনু জাফর — সুবাহ — আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ রোগের সংক্রমণ বলিতে কিছু নেই এবং পাখি উড়াতে কোন শুভ-অশুভ নেই আর আমার নিকট ফাল’ পছন্দনীয়। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ ফাল’ কী? তিনি বললেনঃ ভাল কথা।
(৫৭৫৬; মুসলিম ৩৯/৩৪, হাঃ ২২২৪, আহমাদ ১৩৯৫১) আধুনিক প্রঃ- ৫৩৫২, ইঃ ফাঃ- ৫২৪৮)
হাদিসঃ ইবনে মাজাহ -৩৫৩৬ঃ মুহাম্মাদ ইবনু আব্দিল্লাহ ইবনু নুমার — আবদাহু ইবনু সুলায়মান — মুহাম্মাদ ইবনু আমর — আবি সালামাহ — আবূ হুরায়রাহ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
অদৃশ্য থেকে শ্রুত) উত্তম কথা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পছন্দনীয় ছিল কিন্তু তিনি (কিছুকে) কুলক্ষণ মনে করা অপছন্দ করিতেন।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ ছোঁয়াচে রোগ হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিসঃ সুনান আত তিরমিজি – ২০৬১: আবু হাফসা — আমর ইবনু আলি — ইয়াহইয়া ইবনু কাছির — হাইয়্যা ইবনু হাবিস আত-তামীমী (রহঃ) হইতে তার পিতা হতে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলিতে শুনেছেনঃ হাম্ম বলিতে কিছু নেই এবং বদনজর সত্য।
যঈফ, যঈফা (৪৮০৪)। “আল-আইনু হাক্কুন” অংশটুকু সহীহ। সহীহা, (১২৪৮)। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদিসটি গারীব। হাদিস এর মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদঃ ৪ মাছি ইঁদুর প্রানী খাদ্যদ্রব্যে পরলে করনিয়
হাদিসঃ সুনানু ইবনু মাজাহ – ৩৫০৪ঃ আবু বকর ইবনু আবি সাইবা — ইয়াজিদ ইবনু হারুন — ইবনি আবি জিব — সাইদ ইবনু খালিদ — আবি সালামাহ — আবূ সাঈদ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেনঃ মাছির দু’টি ডানার একটিতে বিষ এবং অন্যটিতে আরোগ্য আছে। অতএব খাদ্যদ্রব্যে মাছি পড়লে সেটিকে তাতে ডুবিয়ে দাও। কেননা সেটি বিষের ডানাকে আরোগ্যের ডানার আগে খাদ্যে লাগায়।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। ছোঁয়াচে রোগ হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিসঃ সুনানু ইবনু মাজাহ – ৩৫০৫ঃ সুওয়াইদ ইবনু সাইদ — মুসলিম ইবনু খালিদ — উতবাহ ইবনু মুসলিম — উবাইদ ইবনু হুনাইন — আবূ হুরাইরাহ (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃআঃ) বলেনঃ তোমাদের পানীয়তে মাছি পড়লে সেটাকে তাতে ডুবিয়ে দাও, অতঃপর সেটিকে তুলে ফেলে দাও। কেননা তার একটি ডানায় রোগ এবং অন্যটিতে আরোগ্য রয়েছে।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। ছোঁয়াচে রোগ হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
৪২৬২ঃ আমর ইবনু আলি — ইয়াহইয়া — ইবনি আবি জিব — সাইদ ইবনু খালিদ — আবি সালামাহ — আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ] সূত্রে নাবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ তোমাদের কারো পাত্রে মাছি পড়লে সে যেন তাকে ডুবিয়ে দেয়।
ইমাম নাসাই এই হাদিস টি যে পরিছেদে উল্লেখ করেন তা হল, পাত্রে মাছি পড়লে হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪২৫৮ঃ কুতায়বাহ — সুফইয়ান — জুহরি — উবাইদুল্লাহ ইবনু আব্দিল্লাহ — ইবনি আব্বাস — মায়মূনা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
একটি ইঁদুর ঘি-এর মধ্যে পড়ে মারা যায়। এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ ইঁদুরটি বের করে এর চারপাশের ঘি-ও ফেলে দাও, এরপর তা খাও।
ইমাম নাসাই এই হাদিস টি যে পরিছেদে উল্লেখ করেন তা হল, ঘি-এর মধ্যে ইঁদুর পড়লে হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪২৫৯ঃ ইয়াকুব ইবনু ইব্রাহীম আদ দাওরাকি — মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহইয়া ইবনি আব্দিল্লাহ নায়সাবুর — আব্দির রহমান — মালিক — জুহরি — উবাইদুল্লাহ ইবনু আব্দিল্লাহ — ইবনি আব্বাস — মায়মূনা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট ঐ ইঁদুরের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলো যা জমাট ঘিয়ের মধ্যে পড়েছে। তখন তিনি বললেনঃ ইঁদুরটা তা থেকে বের করে ফেল এবং এর চারপাশের ঘি-ও ফেলে দাও।
ইমাম নাসাই এই হাদিস টি যে পরিছেদে উল্লেখ করেন তা হল, ঘি-এর মধ্যে ইঁদুর পড়লে হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪২৬০ঃ খুসায়সু ইবনু আসরাম — আব্দুর রাজ্জাক — আব্দির রহমান ইবনু বুজুবাহ — মা,মার জাকার — জুহরি — উবাইদুল্লাহ ইবনু আব্দিল্লাহ — ইবনি আব্বাস — মায়মূনা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ]-কে ঘি-তে যে ইঁদুর পড়ে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেনঃ যদি ঘি জমাট হয়, তবে ঐ ইঁদুর এবং এর চতুর্দিকের ঘি ফেলে দাও। আর যদি ঘি তরল হয়, তবে এর কাছেও যাবে না।
ইমাম নাসাই এই হাদিস টি যে পরিছেদে উল্লেখ করেন তা হল, ঘি-এর মধ্যে ইঁদুর পড়লে হাদিসের তাহকিকঃ শায
পরিচ্ছেদঃ ৫ কুষ্ঠ রোগীদের দিকে অপলক নেত্রে তাকিয়ে থেকো না
হাদিসঃ ইবনে মাজাহ -৩৫৪২ঃ আবু বকর ও মুজাহিদ ইবনু মুসা ও মুহাম্মাদ ইবনু খালাফ আল আসকালানি — ইউনুস ইবনু মুহাম্মাদ — মুফাদাল্লু ইবনু ফাদালাহ — হাবিব ইবনু সাহিদ — মুহাম্মাদ ইবনু মুনকাদির — জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুষ্ঠ রোগগ্রস্ত এক ব্যক্তির হাত ধরে তা নিজের আহারের পাত্রের মধ্যে রেখে বলেনঃ আল্লাহর উপর আস্থা রেখে এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে খাও।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল। (৩৫৪২) তিরমিযী ১৮১৭, আবূ দাউদ ৩৯২৫। মিশকাত ৪৫৮৫, দঈফাহ ১১৪৪ । ছোঁয়াচে রোগ হাদিস এর মানঃ দুর্বল হাদিস
হাদিসঃ ইবনে মাজাহ -৩৫৪৩ঃ আব্দির রহমান ইবনু ইব্রাহীম — আব্দুল্লাহ ইবনু নাফি — ইবনু আবি জিনাদ — আলি ইবনু আবি খাসিব — ওয়াকি — আব্দিল্লাহ ইবনি সাইদ ইবনু আবি হিন্দ — মুহাম্মাদ ইবনু আব্দিল্লাহ ইবনি আমর ও ইবনি উসমান — উম্মিহ — ইবনু আব্বাস (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কুষ্ঠ রোগীদের দিকে অপলক নেত্রে তাকিয়ে থেকো না।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ হাসান সহীহ। (৩৫৪৩) আহমাদ ২০৭৬। সহীহাহ ১০৬৪। ছোঁয়াচে রোগ হাদিস এর মানঃ হাসান সহিহ
হাদিসঃ ইবনে মাজাহ -৩৫৪৪ঃ আমর ইবনু রাফি — হুসাইম — ইয়ালা ইবনু আতা — রজুল — ? শারীদ বিন সুওয়ায়দ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
সাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দলে এক কুষ্ঠরোগী ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট লোক পাঠিয়ে বলেনঃ তুমি ফিরে যাও, আমি তোমার বাইয়াত করেছি।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। ছোঁয়াচে রোগ হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
================
হাদিসঃ সুনানু ইবনু মাজাহ – ৩৫৩১ঃ ইমরান ইবনুল হুসায়ন (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃআঃ) এক ব্যক্তির হাতে পিতলের বালা পরিহিত দেখে জিজ্ঞেস করেনঃ এই বালাটা কী? সে বললো, এটা অবসন্নতাজনিত রোগের জন্য ধারণ করেছি। তিনি বলেনঃ এটা খুলে ফেলো। অন্যথায় তা তোমার অবসন্নতা বৃদ্ধিই করিবে।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল। (৩৫৩১) আহমাদ ১৯৪৯৮। দঈফাহ ১০২৯, (সহীহ আবূ দাউদ ৪৬৯ নং হাদিসের অনুরূপ)। ছোঁয়াচে রোগ হাদিস এর মানঃ দুর্বল হাদিস
Leave a Reply