অস্ত্র দিয়ে ইঙ্গিত ও চেহারায় প্রহার করা নিষিদ্ব করণ

অস্ত্র দিয়ে ইঙ্গিত ও চেহারায় প্রহার করা নিষিদ্ব করণ

চেহারায় প্রহার করা নিষিদ্ব করণ >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৩২. অধ্যায়: চেহারায় প্রহার করা নিষিদ্বকরণ
৩৩. অধ্যায়: নির্দোষীকে শাস্তিদাতার প্রতি কঠিন ধমকি
৩৪. অধ্যায়: যে ব্যক্তি মাসজিদে, মার্কেটে বা অন্য কোন লোক সভায় অস্ত্র সহ প্রবেশ করে, তার প্রতি তীরের ধারালো অংশ আটকানোর নির্দেশ
৩৫. অধ্যায়ঃ কোন মুসলিমের প্রতি অস্ত্র দিয়ে ইঙ্গিত করা নিষিদ্ধকরণ

৩২. অধ্যায়ঃ চেহারায় প্রহার করা নিষিদ্ব করণ

৬৫৪৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন তোমাদের মাঝে কোন ভাই তার ভাই-এর সাথে ঝগড়া-বিবাদ করে তখন সে যেন তার মুখের উপর আঘাত করা থেকে বিরত থাকে।

[ই.ফা.৬৪১৩, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৬৩]

৬৫৪৬. আবু যিনাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আবু যিনাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে এ সূত্রে হুবহু হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। আর তিনি বলেছেন, তোমাদের কোন ভাই যখন অন্য ভাইকে মারে….।

[ই.ফা.৬৪১৪, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৬৪]

৬৫৪৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কোন ভাই যখন কোন ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করে তখন সে যেন মুখমন্ডলকে পরহেয করে [মুখমন্ডলে প্রহার না করে]।

[ই.ফা.৬৪১৫, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৬৫]

৬৫৪৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে কোন ব্যক্তি যদি তার ভাইয়ের সাথে মারামারি করে তখন সে যেন তার চেহারায় চপেটাঘাত না করে।

[ই.ফা.৬৪১৬, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৬৬]

৬৫৪৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আর ইবনি হাহিম-এর বর্ণনায় আছে, নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ তার অন্য ভাইকে আঘাত করে সে যেন তার ভাইয়ের মুখমন্ডলে আঘাত করা হইতে বিরত থাকে। কেননা আল্লাহ তাআলা আদাম [আঃ]-কে তার নিজ রূপে সৃষ্টি করিয়াছেন।

[ই.ফা.৬৪১৭, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৬৭]

৬৫৫০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কোন ভাই যদি তার অন্য ভাইকে আঘাত করে, সে যেন তার মুখমন্ডলে আঘাত করা হইতে বিরত থাকে।

[ই.ফা.৬৪১৮, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৬৮]

৩৩. অধ্যায়ঃ নির্দোষীকে শাস্তিদাতার প্রতি কঠিন ধমকি

৬৫৫১. হিশাম ইবনি হাকীম ইবনি হিযাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন যে, তিনি একবার সিরিয়ায় কয়েকজন মানুষের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যাদেরকে উত্তপ্ত সূর্যতে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল এবং তাদের মাথার উপর গরম তেল ঢালা হচ্ছিল। তখন তিনি বলিলেন, এটা কী? তাকে বলা হলো যে, তাদেরকে খাযনার জন্য সাজা দেয়া হচ্ছে। তখন তিনি বলিলেন, হুশিয়ার! আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা সেসব লোকদের সাজা দিবেন, যারা এ জগতে মানুষকে [অন্যায়] সাজা দেয়।

[ই.ফা.৬৪১৯, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৬৯]

৬৫৫২. হিশাম [রাদি.]-এর পিতা হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একবার হিশাম ইবনি হাকিম ইবনি হিযাম সিরিয়ার কৃষকদের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এদের কঠিন রৌদ্রে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি বলিলেন, এদের কী হয়েছে? তারা বলিল, জিয্‌য়ার জন্যে এদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতঃপর হিশাম বলিলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি, তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তাদের সাজা দিবেন যারা পৃথিবীতে [অন্যায়ভাবে] মানুষকে সাজা দেয়।

[ই.ফা.৬৪২০, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৭০]

৬৫৫৩. হিশাম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

হিশাম [রাদি.] থেকে এ সূত্রে হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তিনি জারীর বর্ণিত হাদীসে এটুকু বর্ধিত উল্লেখ করিয়াছেন যে, তিনি বলেছেন, সে যুগে ফিলিস্তীনে তাদের শাসক [গভর্নর] ছিলেন উমায়র ইবনি সাদ। তিনি তাহাঁর নিকট যান এবং তার সঙ্গে কথা-বার্তা বলেন। তিনি তাদের ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিলে তারপর তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

[ই.ফা.৬৪২১, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৭১]

৬৫৫৪. হিশাম ইবনি হাকীম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি হিমস্‌ এলাকার একব্যক্তি [আমীর]-কে দেখিতে পান যে, তিনি জিয্‍য়াহ্ আদায়ের জন্য কৃষকদের সূর্যের তাপে সাজা দিচ্ছেন। তখন তিনি বলিলেন, এ কী ব্যাপার? আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা সেসব মানুষকে সাজা দিবেন, যারা ইহজগতে মানুষকে [অন্যায়ভাবে] সাজা দেয়।

[ই.ফা.৬৪২২, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৭২]

৩৪. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি মাসজিদে, মার্কেটে বা অন্য কোন লোক সভায় অস্ত্র সহ প্রবেশ করে, তার প্রতি তীরের ধারালো অংশ আটকানোর নির্দেশ

৬৫৫৫. আম্‌র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি জাবির [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন, তিনি বলেন যে, এক ব্যক্তি তীরসহ মাসজিদে আগমন করিল। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে বলিলেন, এর ফলার দিকটা আকঁড়ে ধরে রেখো।

[ই.ফা.৬৪২৪, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৭৩]

৬৫৫৬. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি খোলা তীরসহ মাসজিদে প্রবেশ করেছিল। সে তীরগুলোর ফলার দিক বের করে রেখেছিল। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ফলার দিক আটকে রাখার নির্দেশ দিলেন, যাতে কোন মুসলিমের গায়ে আঘাত না লাগে।

[ই.ফা.৬৪২৩, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৭৪]

৬৫৫৭. জাবির [রাদি.] এর সানাদে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি মাসজিদে তীর সদাকাহ্ করিতেছিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে এর ফলার দিকটা ধরে রাখার নির্দেশ দেন। ইবনে রুমহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, সে তীর [বর্শা] দান করিতেছিল।

[ই.ফা.৬৪২৫, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৭৫]

৬৫৫৮. আবু মুসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কোন ভাই যদি তার হাতে তীর নিয়ে কোন সভায় কিংবা বাজারে গমন করে তাহলে সে যেন এর ফলাটা ধরে [আটকে] রাখে। বর্ননা কারী বলেন, এরপর আবু মুসা [রাদি.] বলেন, আল্লাহর শপথ! আমরা একে অন্যের উপর বর্শা হামলা না করা পর্যন্ত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করব না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪২৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৭৬]

৬৫৫৯. আবু মুসা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, তোমাদের কোন ভাই যখন হাতে বর্শা নিয়ে আমাদের মাসজিদে গমন করে কিংবা আমাদের বাজারে গমন করে সে যেন এর ফলাটা নিজের হাতের মুঠ দিয়ে ধরে রাখে। নতুবা তা দ্বারা কোন মুসলিমের [শরীরে] খোঁচা লাগতে পারে। অথবা তিনি বলেছেন, সে যেন তার বর্শার ফলাটি আটকে রাখে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪২৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৭৭]

৩৫. অধ্যায়ঃ কোন মুসলিমের প্রতি অস্ত্র দিয়ে ইঙ্গিত করা নিষিদ্ধকরণ

৬৫৬০. ইবনি সীরীন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা্ [রাদি.] কে বলিতে শুনেছি, তিনি বলেন, আবুল কাসিম [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রতি [লৌহ নির্মিত] মরণাস্ত্র দ্বারা ইঙ্গিত করে সে তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত ফেরেশ্‌তাগণ তাকে অভিসম্পাত করিতে থাকে যদিও সে তার আপন ভাই হয়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪২৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৭৮]

৬৫৬১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ

আবু হুরায়রা্ [রাদি.] এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] থেকে অনুরুপ একটি হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪২৯, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৭৯]

৬৫৬২. হাম্মাম ইবনি মুনাব্বিহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আবু হুরায়রা্ [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে আমাদের নিকট অনেকগুলো হাদীস আলোচনা করেন। তন্মধ্যে একটি হাদীস হচ্ছে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমাদের মধ্যে কোন ভাই যেন তরবারি দিয়ে তার ভাই-এর প্রতি ইঙ্গিত না করে। কেননা তোমরা জান না, শাইতান তার মধ্যে হাত রেখে টানতে থাকে তারপর সে জাহান্নামের গর্তে পরে যায়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৩০, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৮০]

Comments

One response to “অস্ত্র দিয়ে ইঙ্গিত ও চেহারায় প্রহার করা নিষিদ্ব করণ”

Leave a Reply