চোখে, গালে, হাতে, শরীরে এবং পায়ে চুমু দেয়ার নিয়ম

চোখে, গালে, হাতে, শরীরে এবং পায়ে চুমু দেয়ার নিয়ম

চোখে, গালে, হাতে, শরীরে এবং পায়ে চুমু দেয়ার নিয়ম >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

অধ্যায়ঃ ৪৩, অনুচ্ছেদঃ ১৫৭-১৬২=৬টি

অনুচ্ছেদ-১৫৭ঃ কোন লোকের নিজ সন্তানকে চুমু খাওয়া
অনুচ্ছেদ-১৫৮ঃ দুই চোখের মাঝে চুমু খাওয়া
অনুচ্ছেদ-১৫৯ঃ গালে চুমু দেওয়া সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-১৬০ঃ হাতে চুমু দেয়া সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-১৬১ঃ শরীরে চুমু দেয়া সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-১৬২ঃ পায়ে চুমু দেয়া সম্পর্কে

অনুচ্ছেদ-১৫৭ঃ কোন লোকের নিজ সন্তানকে চুমু খাওয়া

৫২১৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আল-আক্বরা ইবনি হাবিস [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দেখলেন যে, তিনি হুসাইন [রাদি.]-কে চুমু দিচ্ছেন। আক্বরা বলিলেন, আমাদের দশটি সন্তান আছে, আমি তাহাদের একজনকেও চুমু দেইনি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ যে অনুগ্রহ করে না, তাহাকেও অনুগ্রহ করা হয় না।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫২১৯. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা নাবী [সাঃআঃ] বলিলেনঃ হে আয়িশাহ! সুসংবাদ গ্রহণ করো। আল্লাহ তোমার নির্দোষ হওয়া সম্পর্কে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। তিনি কুরআনের আয়াতটি তাহাকে পড়ে শুনালেন। তখন আমার পিতা-মাতা [আবু বাক্‌র ও উম্মু রুমান] বলিলেন, ওঠো, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মাথায় চুমু দাও। আমি বলিলাম, শুকরিয়া আদায় করছি আমি সম্মানিত মহান আল্লাহর; আপনাদের নয়।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১৫৮ঃ দুই চোখের মাঝে চুমু খাওয়া

৫২২০. আশ-শাবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর দেখা হলো জাফার ইবনি আবু ত্বালিবের সঙ্গে। নাবী [সাঃআঃ] তাহাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং তার দুচোখের মাঝখানে চুমু দিলেন। {৫২১৮}

দুর্বলঃ মিশকাত হা/৪৬৮৬

{৫২১৮} বায়হাক্বী। এর সনদ মুরসাল।

এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-১৫৯ঃ গালে চুমু দেওয়া সম্পর্কে

৫২২১. ইয়াস ইবনি দাগফাল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আবু নাদরাহ [রাদি.]-কে হাসান [রাদি.]-এর গালে চুমু দিতে দেখেছি।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

৫২২২. আল-বারাআ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি সর্বপ্রথম মদিনায় আগমনকারী আবু বাকর [রাদি.] এর সঙ্গে আসলাম। এ সময় তার কন্যা আয়িশাহ [রাদি.]-কে বিছানায় শোয়া দেখলাম। তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আবু বাকর [রাদি.] তাহাকে দেখিতে এসে বলিলেন, হে প্রিয় কন্যা! তুমি কেমন আছো? এবং তিনি তার গালে চুমু দিলেন।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১৬০ঃ হাতে চুমু দেয়া সম্পর্কে

৫২২৩. আবদুর রহমান ইবনি আবু লাইলাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] তার নিকট হাদিস বর্ণনা করেছেন। অতঃপর পুরো ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, আমরা নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকটবর্তী হয়ে তাহাঁর হাতে চুমু দিলাম। {৫২২১

{৫২২১} ইবনি মাজাহ। সানাদে ইয়াযীদ ইবনি আবু যিয়াদ দুর্বল।

এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-১৬১ঃ শরীরে চুমু দেয়া সম্পর্কে

৫২২৪. উসাইদ ইবনি হুদাইর [রাদি.] নামক এক আনসারী হইতে বর্ণীতঃ

তিনি লোকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন এবং মাঝে মধ্যে রসিকতা করে লোকদের হাসাচ্ছিলেন। তখন নাবী [সাঃআঃ] একটি কাঠের টুকরা দিয়ে তার পেটে খোঁচা দিলেন। উসাইদ [রাদি.] বলিলেন, আপনি আমাকে এর বদলা নিতে দিন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ আমার থেকে বদলা নাও। উসাইদ বলিলেন, আপনার গায়ে তো জামা আছে, অথচ আমার গায়ে জামা ছিল না। নাবী [সাঃআঃ] তাহাঁর গায়ের জামা খুললেন। তখন উসাইদ [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে জড়িয়ে ধরে তাহাঁর এক পাশে চুমু দিতে লাগলেন, আর বলিলেনঃ আমার এটাই ইচ্ছা ছিল হে আল্লাহর রাসূল।

এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১৬২ঃ পায়ে চুমু দেয়া সম্পর্কে

৫২২৫. উম্তু আবান বিনতু ওয়াযি ইবনি যারি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার দাদার হইতে বর্ণীতঃ

তিনি [দাদা] আব্দুল ক্বাইসের প্রতিনিধি দলের একজন ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা মদিনায় এসে আমাদের আরোহী হইতে দ্রুত নেমে এসে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর হাতে ও পায়ে চুমু দিলাম।

হাসান, তবে পায়ে চুমু খাওয়ার কথাটি বাদে।

অন্যদিকে আল-মুন্‌যির আল-আশাজ্জ তার কাপড়ের বান্ডিল হইতে কাপড় বের করে তা পরা পর্যন্ত অপেক্ষা করিলেন, তারপর নাবী [সাঃআঃ] এর নিকট আসলেন। নাবী [সাঃআঃ] তাহাকে বলিলেনঃ তোমার মধ্যে দুটি উত্তম স্বভাব রয়েছে যা আল্লাহ পছন্দ করেনঃ ধৈর্য ও ধীর-স্থিরতা। তিনি বলিলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমিই কি এ অভ্যাস গড়ে তুলেছি, না আল্লাহ আমাকে এ দুটি অভ্যাসের উপর সৃ্ষ্টি করেছেন? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ আল্লাহই তোমাকে এ দুটি স্বভাবের উপর সৃষ্টি করেছেন। তখন তিনি বলিলেন, কৃতজ্ঞতা আদায় করছি সেই আল্লাহর যিনি আমাকে এমন দুটি স্বভাবের উপর সৃষ্টি করেছেন, যাকে স্বয়ং আল্লাহ ও তাহাঁর রাসূল পছন্দ করেন।

সহিহ।

এই হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply