চর্ম রোগ, ব্রন, ঘা বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে ঝাড়ফুঁক ও দুয়া
চর্ম রোগ, ব্রন, ঘা বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে ঝাড়ফুঁক ও দুয়া
পরিচ্ছেদঃ ব্রণ-ফুসকুড়ি সারাতে ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি
হাদিসঃ সুনান ইবনে মাজাহ – ৩৫১৬ঃ আব্দাহ ইবনু আব্দিল্লাহ — মুয়াবিয়া ইবনু হিসাম — সুফইয়ান — আসিম — ইউসুফ ইবনি আব্দিল্লাহ ইবনি হারিস — আনাস (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিষাক্ত প্রাণীর দংশন, বদনজর ও ব্রণ-ফুসকুড়ি (pimple) সারাতে ঝাড়ফুঁক করার অনুমতি দিয়েছেন।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। প্রাণীর দংশনে ঝাড়ফুঁক হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ ফোঁড়া, ব্রণ, ফুসকুড়ি বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে ঝাড়ফুঁক করার দুআ
সহিহুল বুখারি – ৫৭৪৫ঃ আলি ইবনু আব্দুল্লাহ — সুফইয়ান — আব্দু রাব্বিহ ইবনু সাইদ — আমরাহ — আয়িশাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃআঃ) রোগীর জন্য (মাটিতে ফুঁ দিয়ে) এ দুআ পড়তেনঃ
بِسْمِ اللَّهِ، تُرْبَةُ أَرْضِنَا. بِرِيقَةِ بَعْضِنَا، يُشْفَى سَقِيمُنَا بِإِذْنِ رَبِّنَا
বিসমিল্লাহি, তুরবাতু আরদিনা, বিরিকাতি বা,দিনা, ইউসফা সাক্কিমুনা বি ইজনি রব্বানা, (আল্লাহর নামে আমাদের দেশের মাটি এবং আমাদের কারও থুথু, আমাদের প্রতিপালকের নির্দেশে আমাদের রোগীকে আরোগ্য দান করে।)
بِتُرْبَةِ | اللَّهِ | بِسْمِ |
মাটি | আল্লাহর | নামে |
بَعْضِنَا | بِرِيقَةِ | أَرْضِنَا |
মিশিয়ে দিলাম | লালার | এ যমীনের |
بِإِذْنِ | سَقِيمُنَا | يُشْفَى |
নির্দেশে | আমাদের রোগী | আরোগ্য লাভ করে |
رَبِّنَا | ||
প্রভুর |
ইমাম বুখারি এই হাদিস টি সংকলন করেছেন, “৭৬/৩৮. অধ্যায়ঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক ঝাড়-ফুঁক ।” (৫৭৪৬; মুসলিম ৩৯/২১, হাঃ ২১৯৪, আহমাদ ২৪৬৭১) আধুনিক প্রঃ- ৫৩২৫, ইঃ ফাঃ- ৫২২১)
হাদিসঃ সহিহ মুসলিম- ৫৬১২ঃ আবু বকর ইবনু আবি সাইবাহ ও জুহুরি ইবনু হারব ও ইবনি আবু ওমর –>> সুফইয়ান — আব্দু রাব্বিহ ইবনু সাইদ — আমরাহ — আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিয়ম করে ছিলেন যে, মানুষ তার [শরীরের] কোথাও অসুস্থতা অনুভব করলে অথবা তাতে কোন ফোঁড়া বা আঘাতপ্রাপ্ত [হয়ে] থাকলে- রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর আঙ্গুল দ্বারা এ রকম করিতেন- [এ কথা বলে এভাবে করার ধরণ বুঝানোর জন্য]। বর্ণনাকারী সুফ্ইয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার বুড়ো আঙ্গুলটি জমিনে রাখলেন- অতঃপর তা তুলে নিলেন এবং সে সময় এ দুআ পড়তেন
بِاسْمِ اللَّهِ تُرْبَةُ أَرْضِنَا بِرِيقَةِ بَعْضِنَا لِيُشْفَى بِهِ سَقِيمُنَا بِإِذْنِ رَبِّنَا
বিসমিল্লাহি , তুরবাতু আরদিনা, বিরিকাতি বা,দিনা, লি ইউসফা বিহি সাক্কিমুনা বি ইজনি রব্বানা, অর্থাৎ- আল্লাহর নামে- আমাদের জমিনের ধূলামাটি আমাদের কারো [মুখের] লালার সঙ্গে [মিলিয়ে] -আমাদের পালনকর্তার আদেশে তা দিয়ে আমাদের অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য লাভের উদ্দেশে [মালিশ করছি]। তবে ইবনি আবু শাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] [তার বর্ণনাতে] বলেছেন-يُشْفَى ‘শিফা দান করা হয়’। এবং যুহায়র (রহঃ) বলেছেন,لِيُشْفَى আমাদের রোগীর সুস্থতা লাভের উদ্দেশে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৩১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৫৫৬]
হাদিসঃ সুনানু ইবনু মাজাহ – ৩৫২১ঃ আবু বকর ইবনু আবি সাইবাহ — সুফইয়ান — আব্দু রাব্বিহ ইবনু সাইদ — আমরাহ — আয়েশাহ (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
নবী (সাঃআঃ) তাহাঁর আংগুলে লালা লাগিয়ে রোগীর জন্য এই বলে দুআ’ করিতেনঃ
بِسْمِ اللَّهِ بِتُرْبَةِ أَرْضِنَا بِرِيقَةِ بَعْضِنَا لِيُشْفَى سَقِيمُنَا بِإِذْنِ رَبِّنَا
বিসমিল্লাহ তুরবাতু আরদিনা বিরীকাতি বা’দিনা লিয়ুশফা সাকীমুনা বিইযনি রব্বিনা, আল্লাহর নামে আমাদের এ যমীনের মাটি আমাদের কারো লালার সাথে মিশিয়ে দিলাম, যেন তাতে আমাদের প্রভুর নির্দেশে আমাদের রোগী আরোগ্য লাভ করে)
ইবনু মাজাহ এই হাদিসটি সংকলন করেছেন, ” ২৫/৩৬. অধ্যায়ঃ মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে দুআ’ পড়ে ঝাড়ফুঁক করেছেন এবং তাঁকে যে দুআ’ পড়ে ঝাড়ফুঁক করা হয়েছে ” । তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ । হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
সহিহুল বুখারি – ৫৭৪৬ঃ সাদাকাহ ইবনু ফাদলি — ইবনু উয়ায়নাহ — আব্দু রাব্বিহ ইবনু সাইদ — আমরাহ — আয়িশাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
تُرْبَةُ أَرْضِنَا وَرِيقَةُ بَعْضِنَا يُشْفٰى سَقِيمُنَا بِإِذْنِ رَبِّنَا
তুরবাতু আরদিনা, ওয়া বিরিকাতু বা,দিনা, ইউসফা সাকিমুনা বি ইজনি রব্বানা, তিনি বলেন, নবী (সাঃআঃ) ঝাড়-ফুঁকে পড়তেনঃ আমাদের দেশের মাটি এবং আমাদের কারও থুথুতে আমাদের প্রতিপালকের নির্দেশে আমাদের রোগী আরোগ্য লাভ করে।
ইমাম বুখারি এই হাদিস টি সংকলন করেছেন, “৭৬/৩৮. অধ্যায়ঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক ঝাড়-ফুঁক ।” (আধুনিক প্রঃ- ৫৩২৬, ইঃ ফাঃ- ৫২২২)
আবু দাঊদ – ৩৮৯৫ঃ জুহুরি ইবনু হারব ও উসমান ইবনু আবি সাইবাহ — সুফইয়ান ইবনু উয়ায়নাহ — আব্দু রাব্বিহ ইবনু সাইদ — আমরাহ — আয়েশাহ (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কেউ ব্যথার অভিযোগ করলে নবী (সাঃআঃ) তাহাঁর মুখের থুথু বের করে তাতে মাটি মিশিয়ে বলিতেনঃ
تُرْبَةُ أَرْضِنَا بِرِيقَةِ بَعْضِنَا يُشْفَى سَقِيمُنَا بِإِذْنِ رَبِّنَا
তুরবাতু আরদিনা, বিরিকাতি বা,দিনা, ইউসফা সাক্কিমুনা বি ইজনি রব্বানা, (“আমাদের এ পৃথিবীর মাটিতে আমাদের কারো থুথু মিশালে আমাদের রবের আদেশে আমাদের রোগী ভাল হয়ে যায়।”)
ইমাম আবু দাউদ এই হাদিসটি সংকলন করছেন, ” অনুচ্ছেদ-১৯ – ঝাড়ফুঁক করার পদ্ধতি” । হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
আবু দাঊদ – ৩৮৮৫ঃ মুহম্মাদ ইবনু ইউসুফ ইবনু সাবিত ইবনু ক্বায়িস ইবনু শাম্মাস (রহঃ) হইতে তার পিতা ও দাদার সূত্র হতে বর্ণিতঃ
একদা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) সাবিত ইবনু ক্বায়িস (রাদিআল্লাহু আঃ)-এর নিকট গেলেন। আহমাদ বলেন, তিনি তখন অসুস্থ ছিলেন। তিনি বলেনঃ হে মানুষের রব! সাবিত ইবনু ক্বায়িস ইবনু শাম্মাসের রোগ দূর করে দিন। অতঃপর তিনি বাতহান নামক উপত্যকার কিছু ধুলামাটি নিয়ে একটি পাত্রে রাখলেন এবং পানিতে মিশিয়ে তার দেহে ঢেলে দিলেন।
নাসায়ী আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লায়লাহ’, ইবনু হিব্বান। সানাদের ইউসূফ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু সাবিত সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল। আবু দাউদ এই হাদিস টি সংকলন করেছেন, ” অনুচ্ছেদ-১৮ – ঝাড়ফুঁক সম্পর্কে” হাদিস এর মানঃ দুর্বল হাদিস
হাদিসঃ সুনান আত তিরমিজি -৩৮৮৫ঃ মুহম্মাদ ইবনু ইউসুফ ইবনু সাবিত ইবনু ক্বায়িস ইবনু শাম্মাস (রহঃ) হইতে তার পিতা ও দাদার সূত্র হতে বর্ণিতঃ
একদা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) সাবিত ইবনু ক্বায়িস (রাদিআল্লাহু আঃ)-এর নিকট গেলেন। আহমাদ বলেন, তিনি তখন অসুস্থ ছিলেন। তিনি বলেনঃ
হে মানুষের রব! সাবিত ইবনু ক্বায়িস ইবনু শাম্মাসের রোগ দূর করে দিন।
অতঃপর তিনি বাতহান নামক উপত্যকার কিছু ধুলামাটি নিয়ে একটি পাত্রে রাখলেন এবং পানিতে মিশিয়ে তার দেহে ঢেলে দিলেন।
নাসায়ী আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লায়লাহ’, ইবনু হিব্বান। সানাদের ইউসূফ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু সাবিত সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল। হাদিস এর মানঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদঃ চর্মপ্রদাহের জন্য ঝাড়ফুঁক এর দুয়া
হাদিসঃ সুনানু ইবনু মাজাহ – ৩৫৩০ঃ আয়্যুব ইবনু মুহাম্মাদ রাকি — মুআম্মার ইবনু সুলাইমান — আব্দুল্লান ইবনু বিসর — আ,মাসি — আমর ইবনু মুররা — ইয়াহইয়া ইবনু জাররার — যায়নাব (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
এক বৃদ্ধা আমাদের এখানে আসতো এবং সে চর্মপ্রদাহের ঝাড়ফুঁক করতো। আমাদের একটি লম্বা পা-বিশিষ্ট খাট ছিল। আব্দুল্লাহ (রাদিআল্লাহু আঃ) ঘরে প্রবেশের সময় সশব্দে কাশি দিতেন। একদিন তিনি আমার নিকট প্রবেশ করিলেন। সে তার গলার আওয়াজ শুনতে পেয়ে একটু আড়াল হলো। তিনি এসে আমার পাশে বসলেন এবং আমাকে স্পর্শ করলে এক গাছি সুতার স্পর্শ পেলেন। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, এটা কি? আমি বললাম, চর্মপ্রদাহের জন্য সূতা পড়া বেঁধেছি। তিনি সেটা আমার গলা থেকে টেনে ছিঁড়ে ফেললেন এবং তা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বলিলেন, আবদুল্লাহর পরিবার শিরকমুক্ত হলো। আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কে বলিতে শুনেছিঃ “মন্ত্র, রক্ষাকবচ, গিটযুক্ত মন্ত্রপূত সূতা হলো শিরকের অন্তর্ভুক্ত”। আমি বললাম, আমি একদিন বাইরে যাচ্ছিলাম, তখন অমুক লোক আমাকে দেখে ফেললো। আমার যে চোখের দৃষ্টি তার উপর পড়লো তা দিয়ে পানি ঝরতে লাগলো। আমি তার মন্ত্র পড়ে ফুঁ দিলে তা থেকে পানি ঝরা বন্ধ হল এবং মন্ত্র পড়া বন্ধ করলেই আবার পানি পড়তে লাগলো। তিনি বলেন, এটা শয়তানের কাজ। তুমি শয়তানের আনুগত্য করলে সে তোমাকে রেহাই দেয় এবং তার আনুগত্য না করলে সে তোমার চোখে তার আঙ্গুলের খোঁচা মারে। কিন্তু তুমি যদি তাই করিতে, যা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) করেছিলেন, তবে তা তোমার জন্য উপকারী হতো এবং আরোগ্য লাভেও অধিক সহায়ক হতো। তুমি নিম্নোক্ত দুআ’ পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে তা তোমার চোখে ছিটিয়ে দাওঃ
أَذْهِبِ الْبَاسْ رَبَّ النَّاسْ اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا
আযহিবিল বা’স রব্বান নাস, আশফি আনতাশ শাফী, লা শিফাআ ইল্লা শিফাউকা শিফাআন লা ইউগাদিরু সাকামান” (হে মানুষের প্রভু! কষ্ট দুর করে দাও, আরোগ্য দান করো, তুমিই আরোগ্য দানকারী, তোমার আরোগ্যদান ছাড়া আরোগ্য লাভ করা যায় না, এমনভাবে আরোগ্য দান করো যা কোন রোগকে ছাড়ে না)।
তাবিজ লটকানো ২৫/৩৯. অধ্যায়ে ইবনে মাজাহ হাদীস টি সংযুক্ত করেছেন। তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
আবু দাউদ -৩৮৮৩. আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর স্ত্রী যাইনাব [রাদি.] আবদুল্লাহ [রাদি.] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
Leave a Reply