বক্ষ ব্যাধি, কণ্ঠনালী ও জিহবার ব্যথা সহ সাতটি রোগের চিকিৎসা
চন্দন কাঠ বিষয়ক হাদিস গুলো পরা শেষ হলে আপনারা আর পরতে পারেন ঔষধি গাছ -সোনামুখী, মেহেদি, আঙ্গুর ইত্যাদির বর্ণনা এবং কালোজিরা এর মাধ্যমে সরাসরি হাদিসের আলোকে কিভাবে চিকিতসা করতে হয়?
পরিচ্ছেদঃ বক্ষ ব্যাধি, কণ্ঠনালীর ব্যথা ও জিহবা থেকে জড়তা দূর করার সুরা ও আয়াত
রুগির উপর সুরা ইনসিরাহ পরতে হবে।
أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ
(1 আমি কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি?
وَوَضَعْنَا عَنكَ وِزْرَكَ
(2 আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা,
الَّذِي أَنقَضَ ظَهْرَكَ
(3 যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয় দুঃসহ।
وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ
(4 আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।
فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
(5 নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।
إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
(6 নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।
فَإِذَا فَرَغْتَ فَانصَبْ
(7 অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন।
وَإِلَىٰ رَبِّكَ فَارْغَب
(8 এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন।
সূরা ত্বোয়া-হা ২০ঃ আয়াত ২৫-২৮
আয়াত গুলো পরে পরে ডান হাতে রোগীর বুকের উপর ম্যাসেজ করবে।
رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي
(25) উচ্চারনঃ রাব্বি আসরাহ লি সাদরি, অর্থঃ হে আমার পালনকর্তা আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন।
প্রশস্ত করে দিন اشْرَحْ | হে আমার পালনকর্তা رَبِّ |
আমার বক্ষ صَدْرِي | আমার জন্যে لِي |
وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي
(26) উচ্চারনঃ ওয়া ইয়াসসের লি আমরি, অর্থঃ এবং আমার কাজ সহজ করে দিন।
আমার কাজ أَمْرِي | আমার জন্যে لِي | এবং সহজ করে দিন وَيَسِّرْ |
وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي
(27) উচ্চারনঃ ওয়া আজলুল উকদাতাম মিল লিসানি অর্থঃ এবং আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দিন।
জড়তা عُقْدَةً | দূর করে দিন وَاحْلُلْ |
আমার জিহবা لِّسَانِي | থেকে مِّن |
يَفْقَهُوا قَوْلِي
(28) ইয়াফকহু কওলি, অর্থঃ যেন তারা বুঝতে পারে আমার কথা।
আমার কথা قَوْلِي | যেন তারা বুঝতে পারে يَفْقَهُوا |
ওয়াছেলা বিন আছকা হইতে বর্ণিত,
একজন ব্যক্তি রাসূলে পাকের নিকট কণ্ঠনালীর ব্যথার কথা জানালো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলেন, “তুমি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করো।”
(বায়হাকীর শুয়াবুল ইমান: ২৫৮০) ২/৫১৯
পরিচ্ছেদঃ চন্দন কাঠ দিয়ে জিহবা, শ্বাসনালী ও পাঁজরের ব্যথা সহ সাতটি রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি
হাদিসঃ সহিহুল বুখারি – ৫৬৯২ঃ উম্মু কায়স বিনত মিহসান হইতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলিতে শুনেছিঃ তোমরা ভারতীয় এই চন্দন কাঠ ব্যবহার করিবে। কেননা তাতে সাতটি আরোগ্য রহিয়াছে। শ্বাসনালীর ব্যথার জন্য এর (ধোঁয়া) নাক দিয়ে টেনে নেয়া যায়, পাঁজরের ব্যথা বা পক্ষাঘাত রোগ দূর করার জন্যও তা ব্যবহার করা যায়।
(৫৭১৩, ৫৭১৫, ৫৭১৮) (আধুনিক প্রঃ- ৫২৮১, ইঃ ফাঃ- ৫১৭৭)
হাদিসঃ সহিহুল বুখারি – ৫৬৯৬ঃ ৫৬৯৬. আনাস (রাদিআল্লাহু আঃ) হইতে বর্ণিত যে,
তাঁকে শিঙ্গা লাগানোর পারিশ্রমিক দেয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তখন তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিঙ্গা লাগিয়েছেন। আবূ তাইবা তাঁকে শিঙ্গা লাগায়। এরপর তিনি তাকে দু সা খাদ্যবস্তু প্রদান করেন। সে তার মালিকের সঙ্গে এ সম্পর্কে কথা বললে, তারা তাহাঁর থেকে পারিশ্রমিক কমিয়ে দেয়। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেনঃ তোমরা যে সব জিনিস দিয়ে চিকিৎসা কর, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম হল শিঙ্গা লাগানো এবং সামুদ্রিক চন্দন কাঠ। তিনি আরো বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের বাচ্চাদের জিহবা, তালু টিপে কষ্ট দিও না। বরং তোমরা চন্দন কাঠ দিয়ে চিকিৎসা কর।
(২১০২) (আধুনিক প্রঃ- ৫২৮৪, ইঃ ফাঃ- ৫১৮০)
হাদিসঃ সহিহুল বুখারি – ৫৭১৩ঃ উম্মু কায়স (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার এক পুত্র সন্তানকে নিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট গেলাম। ছেলেটির আলাজিহবা ফোলার কারণে আমি তা দাবিয়ে দিয়েছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ এ রকম রোগ-ব্যাধি দমনে তোমরা নিজেদের সন্তানদের কেন কষ্ট দিয়ে থাক? তোমরা ভারতীয় চন্দন কাঠ ব্যবহার কর। কেননা, তাতে সাত রকমের নিরাময় আছে। তার মধ্যে পাঁজরের ব্যথা বা পক্ষাঘাত রোগ অন্যতম। আলাজিহবা ফোলার কারণে এটির ধোঁয়া নাক দিয়ে টেনে নেয়া যায়। পাঁজরের ব্যথার রুগী বা পক্ষাঘাত রুগীকে তা সেবন করানো যায়। সুফিয়ান বলেনঃ আমি যুহরীকে বলিতে শুনিয়াছি যে, তিনি আমাদের কাছে দু’টির কথা বর্ণনা করিয়াছেন। আর পাঁচটির কথা বর্ণনা করেননি। বর্ণনাকারী আলী বলেনঃ আমি সুফ্ইয়ানকে বললাম মামার স্মরণ রাখতে পারেননি। তিনি বলেছেন أَعْلَقْتُ عَلَيْهِ আর যুহরী তো বলেছেন, أَعْلَقْتُ عَنْه” শব্দ দ্বারা। আমি যুহরীর মুখ থেকে শুনে মুখস্থ করেছি। আর সুফ্ইয়ানেররিওয়ায়াতে তিনি ছেলেটির অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন যে, আঙ্গুল দিয়ে তার তালু দাবিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় সুফ্ইয়ান নিজের তালুতে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে দেখিয়েছেন অর্থাৎ তিনি তাহাঁর আঙ্গুলের দ্বারা তালুকে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু أَعْلِقُوا عَنْه” شَيْئًا এভাবে কেউই বর্ণনা করেননি।
(৫৬৯২) আধুনিক প্রঃ- ৫২৯৫, ইঃ ফাঃ- ৫১৯১)
হাদিসঃ সহিহুল বুখারি – ৫৭১৫ঃ উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
সাদ গোত্রের অর্থাৎ আসাদে খুযাইমা গোত্রের উম্মু কায়স বিন্ত মিহসান আসাদিয়া ছিলেন প্রথম যুগের হিজরাতকারীদের অন্তর্ভুক্ত, যাঁরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট বাইআত গ্রহণ করেছিলেন। আর তিনি ছিলেন উকাশাহ -এর বোন। তিনি বলেছেন যে, তিনি তাহাঁর এক ছেলেকে নিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসেছিলেন। ছেলেটির আলাজিহবা ফুলে যাওয়ার কারণে তিনি তা দাবিয়ে দিয়েছিলেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা এ সব রোগ দমনে তোমাদের সন্তানদের কেন কষ্ট দাও? তোমরা এই ভারতীয় চন্দন কাঠ সংগ্রহ করে রেখে দিও। কেননা এতে সাত রকমের আরোগ্য আছে। তার মধ্যে একটি হল পাঁজর ব্যথা। এর দ্বারা তিনি বুঝিয়েছেন কোস্ত। আর কোস্ত হল ভারতীয় চন্দন কাঠ।
আধুনিক প্রঃ- ৫২৯৭) (৫৬৯২)ইঃ ফাঃ- ৫১৯৩) ইউনুস ও ইসহাক ইবনু রাশিদ-যুহরী থেকে عَلَّقَتْ عَلَيْهِ শব্দে বর্ণনা করিয়াছেন।
হাদিসঃ সহিহুল বুখারি – ৫৭১৮ঃ উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ
উম্মু কায়স বিন্ত মিহসান, তিনি ছিলেন প্রথম কালের হিজরাতকারিণী উকাশাহ ইবনু মিহসান -এর বোন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট বাইআত গ্রহণকারিণী মহিলা সহাবী। তিনি বলেছেনঃ তিনি তাহাঁর এক ছেলেকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে আসেন। ছেলেটির আলাজিহবা ফুলে গিয়েছিল। তিনি তা দাবিয়ে দিয়েছিলেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহকে ভয় কর, কেন তোমরা তোমাদের সন্তানদের তালু দাবিয়ে কষ্ট দাও। তোমরা এই ভারতীয় চন্দন কাঠ ব্যবহার কর। কেননা, এতে রয়েছে সাত প্রকারের চিকিৎসা। তন্মধ্যে একটি হল পাঁজরের ব্যথা। কাঠ বলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উদ্দেশ্য হল কোস্ত। الْقُسْطَ শব্দেও তার আভিধানিক ব্যবহার আছে।
(৫৬৯২) আধুনিক প্রঃ- ৫৩০০, ইঃ ফাঃ- ৫১৯৬)
হাদিসঃ সুনান আবু দাউদ -৩৮৭৭ঃ উম্মু ক্বায়িস বিনতু মিহসান (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার ছেলেকে নিয়ে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গেলাম। তার আলজিভ ফুলে ব্যথা হওয়ায় আমি তাতে মালিশ করেছিলাম। তিনি বললেনঃ আলজিভ ফোলার কারণে তোমরা তোমাদের সন্তানদের গলায় চাপ দিয়ে তাহাদের কষ্ট দিচ্ছো কেন? তোমরা উদ হিন্দী ব্যবহার করো; কেননা সাত প্রকার ব্যাধিতে তা উপকারী। শিশুদের আল্জিভ ফুলে ব্যথা হলে তা ঘষে গুড়া করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে নাকের ভেতর ফোটায় প্রবেশ করাবে এবং ফুসফুস আবরক ঝিল্লীর প্রদাহ হলেও এভাবে তা পান করাতে হইবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ ঊদ(কাঠ) হলো এক প্রকার সুগন্ধি কাঠ।
হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিসঃ ইবনু মাজা – ৩৪৬২ঃ উম্মু কায়স বিনতু মিহসান (রাদিআল্লাহু আঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার এক পুত্রসহ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট প্রবেশ করলাম। তার আলজিহবার ব্যথার দরুন আমি জোরে চাপ দিয়েছিলাম। তিনি বলেনঃ কেন তোমরা তোমাদের বাচ্চাদের আলজিহবার ব্যথায় এভাবে চাপ দিয়ে কষ্ট দাও? এই চন্দন কাঠ অবশ্যই তোমাদের ব্যবহার করা উচিত। কেননা তাতে সাত ধরনের নিরাময় আছে। আলজিহবার ব্যথায় নাকের ছিদ্রপথে তা প্রবেশ করাতে হইবে এবং ফুসফুসের আবরক ঝিল্লীর প্রদাহে তা মুখের ভেতর ঢেলে দিতে হইবে।
(উপরোক্ত হাদীসে মোট ৩টি সানাদের ২টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ)
২/৩৪৬২(১). উম্মু কায়স বিনতু মিহসান (রাদিআল্লাহু আঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রেও পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ। হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
হাদিসঃ ইবনু মাজা -৩৪৬৮ঃ মিহসান-কন্যা উম্মু কায়স (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা অবশ্যই উদে হিন্দী (চন্দন কাঠ) ব্যবহার করিবে কেননা তাতে সাতটি রোগের প্রতিষেধক রহিয়াছে। তন্মধ্যে একটি হলো ফুসফুস আবরক ঝিল্লির প্রদাহ। বিন সামআনের বর্ণনায় এভাবে আছেঃ কেননা তাতে সাতটি রোগের প্রতিষেধক আছে, যার একটি হল ফুসফুস আবরক ঝিল্লির প্রদাহ।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ সহীহ।
হাদিস এর মানঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদঃ ওয়ারস ঘাস, চন্দন ও যয়তূন তেলের প্রলেপ দিয়ে ফুসফুস এর চিকিৎসা
হাদিসঃ ইবনু মাজা – ৩৪৬৭ঃ যায়দ বিন আরকাম (রাদিআল্লাহু আঃ), হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফুসফুস আবরক ঝিল্লির প্রদাহে ওয়ারস ঘাস, চন্দন ও যয়তূন তেল (পিষে একত্রে) মিশিয়ে প্রলেপ দেয়ার ব্যবস্থাপত্রের প্রশংসা করিয়াছেন।
তাহকীক নাসিরুদ্দিন আলবানীঃ দুর্বল। (৩৪৬৭) তিরমযী ২০৭৮, ২০৭৯। হাদিস এর মানঃ দুর্বল হাদিস
==============
হাদিসঃ সহিহুল বুখারি – ৫৬৯৩ঃ বর্ণনাকারী বলেনঃ
আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আমার এক শিশু পুত্রকে নিয়ে এলাম, সে খাবার খেতে চাইত না। এ সময় সে তাহাঁর কাপড়ে পেশাব করে দিল। তিনি পানি চেয়ে পাঠালেন। তারপর কাপড়ে পানি ছিটিয়ে দিলেন।
(২২৩; মুসলিম ৩৯/২৮, হাঃ ২২১৪, আহমাদ ২৭০৬৫) (আধুনিক প্রঃ- ৫২৮১, ইঃ ফাঃ- ৫১৭৭)
Leave a Reply