ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন

ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা

ঘুমানোর দোয়া , এই অধ্যায়ে হাদীস = ৫৯ টি হাদীস (১১৯৭ – ১২৫৫) << আদাবুল মুফরাদ হাদীস কিতাবের মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায় – ১৯ ঘুমানোর আদব-কায়দা

৫৬৫. অনুচ্ছেদঃ শরীর এলিয়ে দেয়া।
৫৬৬. অনুচ্ছেদঃ উপুড় হয়ে শোয়া।
৫৬৭. অনুচ্ছেদঃ কেবল ডান হাতেই আদান-প্রদান করিবে।
৫৬৮. অনুচ্ছেদঃ বসার সময় জুতাজোড়া কোথায় রাখবে?
৫৬৯. অনুচ্ছেদঃ শয়তান খড়কুটা ও অন্যান্য জিনিস নিয়ে এসে তা বিছানার উপর ছড়িয়ে দেয় ।
৫৭০. অনুচ্ছেদঃ কেউ বেষ্টনীবিহীন ছাদে ঘুমালে।
৫৭১. অনুচ্ছেদঃ পা ঝুলিয়ে দিয়ে বসা যাবে কি?
৫৭২. অনুচ্ছেদঃ কোন প্রয়োজনে ঘর থেকে রওয়ানা হওয়ার সময় কি বলবে?
৫৭৩. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি কি তার সংগীদের দিকে নিজের পদদ্বয় প্রসারিত করে দিতে পারে বা তাহাদের সামনে হেলান দিয়ে বসতে পারে?
৫৭৪. অনুচ্ছেদঃ ভোরে উপনীত হয়ে যে দোয়া পড়বে।
৫৭৫. অনুচ্ছেদঃ সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে যা বলবে।
৫৭৬. অনুচ্ছেদঃ কেউ তার বিছানায় ঘুমাতে গিয়ে যে দোয়া পড়বে।
৫৭৭. অনুচ্ছেদঃ শোয়ার সময় পঠিত দোয়ার ফযীলাত।
৫৭৮. অনুচ্ছেদঃ গালের নিচে হাত রাখা।
৫৭৯. অনুচ্ছেদঃ কেউ বিছানা থেকে উঠে গিয়ে আবার ফিরে এলে তা যেন ঝেড়ে নেয়।
৫৮০. অনুচ্ছেদঃ রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হলে যে দোয়া পড়বে।
৫৮১. অনুচ্ছেদঃ কেউ হাতে খাদ্যের চর্বি নিয়ে ঘুমালে।
৫৮২. অনুচ্ছেদঃ বাতি নিভানো।
৫৮৩. অনুচ্ছেদঃ লোকজন ঘুমানোর সময় যেন ঘরে আগুন জ্বালিয়ে না রাখা হয়।
৫৮৪. অনুচ্ছেদঃ বৃষ্টিতে আশাবাদী হওয়া ও বরকত লাভ করা।
৫৮৫. অনুচ্ছেদঃ ঘরে চাবুক ঝুলিয়ে রাখা
৫৮৬. অনুচ্ছেদঃ রাতের বেলা ঘরের দরজা বন্ধ রাখা।
৫৮৭. অনুচ্ছেদঃ রাতের সূচনায় শিশুদের [নিজেদের সাথে] একত্র রাখা।
৫৮৮. অনুচ্ছেদঃ পশুর লড়াই অনুষ্ঠান।
৫৮৯. অনুচ্ছেদঃ কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দ ও গাধার ডাক।
৫৯০. অনুচ্ছেদঃ কেউ মোরগের ডাক শোনলে ।
৫৯১. অনুচ্ছেদঃ বুরগুছকে গালি দিও না।
৫৯২. অনুচ্ছেদঃ দুপুরের আহারশেষে বিশ্রাম।
৫৯৩. অনুচ্ছেদঃ দিনের শেষ বেলার ঘুম।
৫৯৪. অনুচ্ছেদঃ সাধারণ দাওয়াত।

৫৬৫. অনুচ্ছেদঃ শরীর এলিয়ে দেয়া।

১১৯৭. আবদুল্লাহ ইবনি যায়েদ ইবনি আসেম আল-মাযিনী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে তাহাঁর এক পা অপর পায়ের উপর রেখে শায়িত অবস্থায় দেখেছি। –

[বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিজী, তাহাবী] ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১১৯৮. মিসওয়ার [রাঃআঃ]-র কন্যা উম্মু বাকর [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমি আবদুর রহমান ইবনি আওফ [রাঃআঃ]-কে তার এক পায়ের উপর অপর পা তুলে শুয়ে থাকতে দেখেছি।

ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল মাওকুফ

৫৬৬. অনুচ্ছেদঃ উপুড় হয়ে শোয়া।

১১৯৯. ইবনি তিখফা আল-গিফারী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

তার পিতা তাকে অবহিত করেন যে,তিনি ছিলেন আসহাবে সুফফার সদস্য। তিনি বলেন, একদা শেষ রাতে আমি মসজিদে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। আমি উপুড় হয়ে ঘুমে বিভোর অবস্থায় একজন আগন্তুক আমার নিকট এলেন। তিনি আমাকে তাহাঁর পায়ের সাহায্যে নাড়া দিয়ে বলেনঃ ওঠে, এই উপুড় হয়ে শোয়ায় আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। আমি মাথা তুলে দেখি যে, নাবী [সাঃআঃ] আমার শিয়রে দাঁড়িয়ে। –

[আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ, আহমাদ] ,ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২০০. আবু উমামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] মসজিদে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে যেতে তাকে নিজ পায়ের দ্বারা আঘাত করে বলেনঃ ওঠো, এটা তো জাহান্নামের অধিবাসীর শয়ন।

[ইবনি মাজাহ], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ নির্ণীত নয়

৫৬৭. অনুচ্ছেদঃ কেবল ডান হাতেই আদান-প্রদান করিবে।

১২০১. সালেম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কেউ যেন তার বাম হাতে পানাহার না করে? কেননা শয়তান তার বাম হাতে পানাহার করে। রাবী বলেন, নাফে [রাহিমাহুল্লাহ] তাতে আরো যোগ করেন যে, বাম হাতে কিছু গ্রহণও করিবে না এবং বাম হাত দ্বারা কিছু দিবেও না।

-[মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজী], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫৬৮. অনুচ্ছেদঃ বসার সময় জুতাজোড়া কোথায় রাখবে?

১২০২. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

কোন ব্যক্তি যখন বসবে তখন তার জুতাজোড়া তার পাশেই [খুলে] রাখবে। এটাই সুন্নাত নিয়ম।

[আবু দাউদ], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫৬৯. অনুচ্ছেদঃ শয়তান খড়কুটা ও অন্যান্য জিনিস নিয়ে এসে তা বিছানার উপর ছড়িয়ে দেয় ।

১২০৩. আবু উমামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তোমাদের কারো স্ত্রী তার জন্য বিছানা পাতার পর শয়তান এসে তাতে খড়কুটা, নুড়িপাথর বা অন্য কিছু ছড়িয়ে দেয় যাতে সে তার স্ত্রীর উপর অসন্তুষ্ট হয়। সে [তার বিছানায়] এগুলো দেখিতে পেলে যেন তার স্ত্রীর উপর অসন্তুষ্ট না হয়। কারণ এটা শয়তানের কারসাজি।

ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৫৭০. অনুচ্ছেদঃ কেউ বেষ্টনীবিহীন ছাদে ঘুমালে।

১২০৪. আবদুর রহমান ইবনি আলী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কেউ বেষ্টনীবিহীন ছাদে রাতে ঘুমালে [এবং কোন দুর্ঘটনা ঘটলে] তার সম্পর্কে [আল্লাহর] কোন যিম্মাদারি নাই।

[আবু দাউদ হা/৫০৪১] ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২০৫. আলী ইবনি উমারা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আবু আইউব আনসারী [রাঃআঃ] এলে আমি তাকে নিয়ে উন্মুক্ত ছাদে উঠলাম। তিনি নেমে এসে বলেন, আমি এখানে রাত কাটালে আমার ব্যাপারে [আল্লাহর] কোন যিম্মাদারি নাই।

ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১২০৬. মহানাবী [সাঃআঃ]-এর একজন সাহাবী হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেন কেউ উন্মুক্ত ছাদে ঘুমালে এবং তা থেকে পতিত হয়ে নিহত হলে তার ব্যাপারে কোন দায়দায়িত্ব নাই। কেউ ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ অবস্থায় সমুদ্রভ্রমণে গিয়ে নিহত হলে তার ব্যাপারেও কোন দায়দায়িত্ব নাই।

[আহমাদ] ,ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৫৭১. অনুচ্ছেদঃ পা ঝুলিয়ে দিয়ে বসা যাবে কি?

১২০৭. আবু মূসা আশআরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] চার দেয়ালের অভ্যন্তরে এক কূপের মধ্যে তার পদদ্বয় ঝুলিয়ে দিয়ে এর বেষ্টনীর উপর বসেছিলেন। –

[বোখারী, মুসলিম, মুসনাদ আবু আওয়া নাসায়ী], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৫৭২. অনুচ্ছেদঃ কোন প্রয়োজনে ঘর থেকে রওয়ানা হওয়ার সময় কি বলবে?

১২০৮. মুসলিম ইবনি আবু মরিয়ম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

ইবনি উমার [রাঃআঃ] তার ঘর থেকে বাইরে রওয়ানা হওয়ার সময় বলিতেন,

اللَّهُمَّ سَلِّمْنِي وَسَلِّمْ مِنِّي

“হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপদ রাখো এবং আমার থেকে [অন্যদেরও] নিরাপদ রাখো”।

ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

১২০৯ ,আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] তার ঘর থেকে বাইরে রওয়ানা হয়ে বলিতেনঃ

بِسْمِ اللَّهِ، التُّكْلَانُ عَلَى اللَّهِ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ

বিসমিল্লাহি আত-তুকলানু আলাল্লাহি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” [আল্লাহর নামে, আল্লাহর উপর ভরসা, আল্লাহ ছাড়া ক্ষতি রোধ করার বা কল্যাণ হাসিল করার শক্তি কারো নাই]।

[ইবনি মাজাহ হা/৩৮৮৫, আহমাদ, হাকিম, ইবনুস সুন্নী], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫৭৩. অনুচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি কি তার সংগীদের দিকে নিজের পদদ্বয় প্রসারিত করে দিতে পারে বা তাহাদের সামনে হেলান দিয়ে বসতে পারে?

১২১০. শিহাব ইবনি আব্বাদ আল-আসারী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

তিনি আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দলের কোন সদস্যকে বর্ণনা করিতে শুনেছেন। তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট প্রতিনিধিদল পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা আমাদের নিকট প্রতীয়মান হলে আমরা রওয়ানা হলাম। আমরা সফরের শেষপ্রান্তে উপনীত হলে রাস্তার মাথায় বসা এক ব্যক্তি আমাদের সাথে সাক্ষাত করেন। তিনি সালাম দিলে আমরা তার উত্তর দিলাম। তিনি দণ্ডায়মান হয়ে জিজ্ঞেস করিলেন, তোমরা কারা? আমরা বললাম, আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দল। তিনি বলেন, স্বাগতম, তোমাদের সাদর সম্ভাষণ। আমি তোমাদের তালাশেই এসেছি তোমাদের সুসংবাদ পৌছে দেয়ার জন্য। গতকাল নাবী [সাঃআঃ] আমাদের বলেছিলেন। তিনি পুবের দিকে দৃষ্টিপাত করে বলেছিলেনঃ “অবশ্যই আগামী কাল এদিক অর্থাৎ পূর্বদিক থেকে আরবের উত্তম প্রতিনিধিদল আসবে”। এপাশ ওপাশ করিতে করিতে আমার রাতটি অতিবাহিত হলো। ভোর হইতেই আমি কাফেলা ও রাস্তার উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখিতে থাকলাম। এভাবে বেশ বেলা হয়ে গেলো এবং আমি ফিরে আসার মনস্থ করলাম। ইত্যবসরে তোমাদের জন্তুযানের মাথা আমার দৃষ্টিগোচর হলো। একথা বলে লোকটি তার জন্তুযানের লাগাম ধরে তাকে ঘুরিয়ে নিয়ে দ্রুতবেগে ফিরে যেতে লাগলেন। তিনি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট পৌছে তাকে মুহাজির ও আনসার সাহাবীগণ পরিবেষ্টিত পেলেন। তিনি বলেন, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক! আমি আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধিদল সম্পর্কে আপনাকে সুসংবাদ দিতে এসেছি। তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ হে উমার! তাহাদের সাথে কোথায় তোমার সাক্ষাত হয়েছে? তিনি বলেন, তারা আমার পেছনে আসছে এবং এখনই এসে পৌছবে। তিনি এটা উল্লেখ করলে নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ আল্লাহ তোমাকে সুসংবাদ দান করুন। লোকজন তাহাদের বসাবার ব্যবস্থা করিতে লেগে গেলো। আর নাবী [সাঃআঃ] বসা অবস্থায় ছিলেন। তিনি তার চাদরের প্রান্তভাগ তার হাতের নিচে রেখে তাতে ভর দিয়ে বসলেন এবং পদদ্বয় সামনে প্রসারিত করে দিলেন।

প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছলে তাহাদের দেখে মুহাজির ও আনাসরগণ আনন্দিত হলেন। তারা নাবী [সাঃআঃ] ও তার সাহাবীগণকে দেখে আনন্দিত হয়ে রেকাবদানি বাজাতে থাকে এবং দ্রুতবেগে নাবী [সাঃআঃ]-এর খেদমতে উপস্থিত হয়। লোকজন সরে গিয়ে তাহাদের বসার জায়গা করে দিলো এবং নাবী [সাঃআঃ] পূর্ববৎ হাতে ভর দিয়ে বসে থাকলেন। [দলনেতা] আল-আশাজ্জের পৌছতে বিলম্ব হলো । তারা জন্তুযান একত্র করলো, সেগুলোকে বসালো এবং মালপত্র নামিয়ে একত্র করলো, অতঃপর একটি হাতবাক্স বের করে সফরের পোশাক পরিবর্তন করে চাদর পরিধান করে তার প্রান্তভাগ ঝুলিয়ে দিয়ে হেঁটে এসে উপস্থিত হলো। নাবী [সাঃআঃ] জিজ্ঞেস করেনঃ তোমাদের নেতা কে, তোমাদের যাবতীয় কাজের দায়িত্বশীল কে? সকলে একসাথে আল-আশাজ্জের দিকে ইংগিত করলো। তিনি বলেনঃ সে কি তোমাদের নেতার পুত্র? তারা বললো, তার পূর্বপুরুষ জাহিলী যুগেও আমাদের নেতা ছিলো এবং ইনি ইসলামে আমাদের নেতা।

আশাজ এসে পৌছে এক প্রান্তে বসার ইচ্ছা করলে নাবী [সাঃআঃ] সোজা হয়ে বসে বলেনঃ হে আশাজ্জ! এখানে। শিশুকালে যেদিন একটি গর্দভীর ক্ষুরের আঘাতে তিনি আহত হন সেদিন থেকে তার নাম হয়েছে আশাজ্জ [আহত], যার চিহ্ন তার চেহারায় চাদের মত ভাস্কর ছিল। নাবী [সাঃআঃ] তাকে নিজের পাশে বসান, তার প্রতি অনুগ্রহ প্রদর্শন করেন এবং তাহাদের উপর তার মর্যাদার স্বীকৃতি দেন। প্রতিনিধি দল নাবী [সাঃআঃ]-কে প্রশ্ন করিতে থাকে এবং তিনি তাহাদের অবহিত করিতে থাকেন। সাথে অবশিষ্ট আছে কি? তারা বললো, হাঁ। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ সামানপত্রের দিকে দ্রুত অগ্রসর হলো এবং বস্তাভর্তি খেজুর নিয়ে এলো। সেগুলো তার সামনে একটি চামড়ার পাত্রের উপর রেখে দেয়া হলো। তাহাঁর সামনে ছিল দুই হাতের চেয়ে ক্ষুদ্র এবং এক হাতের চেয়ে বড় একটি খেজুরের ছড়ি। এটা তিনি নিজের কাছেই রাখতেন, তা খুব কমই তার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতো। তিনি সেটি দ্বারা খেজুরের স্তুপের দিকে ইশারা করে বলেনঃ তোমরা এর ‘তাদূদ’ নামকরণ করেছো”? তারা বললো, হাঁ। তিনি বলেনঃ তোমরা এর ‘সারাফান’ নামকরণ করেছো? তারা বললো, হাঁ। তিনি বলেনঃ তোমরা এর ‘বারনী’ নামকরণ করেছো ? তারা বললো, হাঁ। এটা তোমাদের সর্বোত্তম ও অধিক ফলনশীল খেজুর।

গোত্রের কোন কোন প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, এটি ছিল সর্বাধিক বরকতপূর্ণ। কম ফলনশীল ও নিম্ন মানের খেজুরও আমাদের সাথে ছিল যা আমরা আমাদের উট ও গাধাকে খাওয়াই। আমরা আমাদের প্রতিনিধি দলের সাথে ফিরে আসার পর ঐ খেজুরের প্রতি আমাদের আকর্ষণ বেড়ে গেলো এবং আমরা তার চাষাবাদ করলাম। শেষে এটাই আমাদের উৎপাদিত শস্যে পরিণত হলো এবং তাতে আমরা পর্যাপ্ত বরকত লক্ষ্য করলাম।

[আহমাদ হা/১৫৬৪৪ ও ১৭৯৮৫] ,ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫৭৪. অনুচ্ছেদঃ ভোরে উপনীত হয়ে যে দোয়া পড়বে।

১২১১. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] ভোরে উপনীত হয়ে বলিতেনঃ

اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا، وَبِكَ أَمْسَيْنَا، وَبِكَ نَحْيَا، وَبِكَ نَمُوتُ، وَإِلَيْكَ النُّشُورُ

“হে আল্লাহ! আমরা তোমার হুকুমে ভোরে উপনত হই এবং সন্ধ্যায় উপনীত হই। তোমার হুকুমে আমরা জীবিত আছি এবং মৃত্যুবরণ করবো। আমরা তোমার নিকটই পুনর্জীবিত হয়ে প্রত্যানীত হবো”।

তিনি সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলিতেনঃ

اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا، وَبِكَ أَصْبَحْنَا، وَبِكَ نَحْيَا، وَبِكَ نَمُوتُ، وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ

“হে আল্লাহ! আমরা তোমার হুকুমে সন্ধ্যায় উপনীত হই এবং ভোরে উপনীত হই। তোমার হুকুমে আমরা জীবিত আছি এবং মৃত্যুবরণ করবো। তোমার নিকটই প্রত্যাবর্তন”। –

[আবু দাউদ, তিরমিজী, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ, ইবনি হিব্বান, আবু আওয়া নাসায়ী] ,ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২১২. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সকালে ও সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে কখনো এই দোয়া পড়া ত্যাগ করিতেন নাঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَايَ، وَأَهْلِي وَمَالِي. اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي، وَآمِنْ رَوْعَاتِي. اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِي، وَعَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمَالِي، وَمِنْ فَوْقِي، وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ مِنْ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي

“হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের স্বস্তি ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আমার দীন, আমার দুনিয়া, আমার পরিবার ও আমার সম্পদের নিরাপত্তা প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ! আমার লজ্জাস্থানকে গোপন রাখো এবং আমার ভয়কে নিরাপত্তায় পরিণত করো। হে আল্লাহ! আমাকে হেফাজত করো আমার সম্মুখভাগ থেকে, আমার পশ্চাদভাগ থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপরের দিক থেকে। আমি তোমার মহানত্বের উসীলায় আমার নিচের দিক থেকে আমাকে ধ্বসিয়ে দেয়া থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি”। –

[আবু দাউদ, ইবনি মাজাহ, নাসায়ী, আহমাদ, হাকিম, ইবনি হিব্বান], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২১৩. আনাস ইবনি মালেক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কেউ ভোরে উপনীত হয়ে নিম্নোক্ত দোয়া একবার পড়লে আল্লাহ তাকে দোযখ থেকে সেদিনের এক-চতুর্থাংশ সময় মুক্ত করে দিবেনঃ

আর-বি.

“হে আল্লাহ! আমরা ভোরে উপনীত হয়েছি। আমরা তোমাকে সাক্ষী রেখে, তোমার আরশ বহনকারীদের, তোমার ফেরেশতাহাদের এবং তোমার সমস্ত সৃষ্টিকে সাক্ষী রেখে স্বীকার করছি যে, তুমিই একমাত্র আল্লাহ। তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নাইবনি মাজাহ, তুমি এক, তোমার কোন শরীক নাই এবং মুহাম্মদ তোমার বান্দা ও রাসূল”।

যে ব্যক্তি উপরোক্ত দোয়া দুইবার পড়বে আল্লাহ সেদিনের অর্ধেক সময় তাকে দোযখ থেকে নিষ্কৃতি দিবেন। আর যে ব্যক্তি তা চারবার পড়বে, আল্লাহ তাকে সারাটি দিন দোযখ থেকে নিষ্কৃতি দিবেন।

[আবু দাউদ], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫৭৫. অনুচ্ছেদঃ সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে যা বলবে।

১২১৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আবু বাকর [রাঃআঃ] বলিলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! সকাল-সন্ধ্যায় আমার বলার জন্য আমাকে কিছু শিখিয়ে দিন। তিনি বলেনঃ তুমি বলো, আর-বি.

اللَّهُمَّ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ، قُلْهُ إِذَا أَصْبَحْتَ وَإِذَا أَمْسَيْتَ، وَإِذَا أَخَذْتَ مَضْجَعَكَ

“হে আল্লাহ, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা প্রতিটি জিনিস তোমার দুই হাতের মুঠোয়। আমি সাক্ষ্য দেই যে, তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নফসের ক্ষতি থেকে এবং শয়তানের ক্ষতি ও তার শিরক থেকে”।

তুমি সকাল-সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে এবং বিছানায় ঘুমানোর সময় এই দোয়া বলো। –

[আবু দাউদ, ইবনি মাজাহ, নাসায়ী, দারিমি, আহমাদ, হাকিম, ইবনি হিব্বান] ,ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২১৫. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

… পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ। তবে এই বর্ণনায় আরো আছে, “প্রত্যেক জিনিসের প্রভু ও তার মালিক” এবং “শয়তানের অনিষ্ট ও তার শিরক [থেকে আশ্রয় চাইবনি মাজাহ]”।

ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২১৬. আবু রাশেদ আল-হিবরানী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আমি আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাঃআঃ]-র নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে বললাম, আপনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট যা শুনেছেন তা আমাকে বর্ণনা করে শুনান। তিনি আমার সামনে একটি ক্ষুদ্র পুস্তিকা পেশ করে বলেন, এটা নাবী [সাঃআঃ] আমাকে লিখিয়ে দিয়েছেন। আমি তাতে চোখ বুলিয়ে দেখিতে পেলাম যে, আবু বাকর সিদ্দীক [রাঃআঃ] নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট জিজ্ঞাসার সুরে বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! সকাল-সন্ধ্যায় আমার বলার জন্য আমাকে কিছু শিখিয়ে দিন। তিনি বলেনঃ হে আবু বাকর! তুমি বলো,

اللَّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَشَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ، وَأَنْ أَقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِي سُوءًا أَوْ أَجُرُّهُ إِلَى مُسْلِمٍ

“হে আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞাত, প্রতিটি জিনিসের প্রতিপালক ও মালিক! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার প্রবৃত্তির ক্ষতি থেকে, শয়তানের অনিষ্ট ও তার অংশীবাদিতা থেকে, আমার নিজের অনিষ্ট করা থেকে এবং কোন মুসলমানের ক্ষতি করা থেকে”।-

[তিরমিজী, হাকিম, ইবনি হিব্বান], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫৭৬. অনুচ্ছেদঃ কেউ তার বিছানায় ঘুমাতে গিয়ে যে দোয়া পড়বে।

১২১৭. হুযায়ফা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] ঘুমানোর ইচ্ছা করলে বলিতেনঃ

بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ أَمُوتُ وَأَحْيَا

“হে আল্লাহ! আমি তোমার নামেই মরি ও বাচি”।

তিনি তাহাঁর ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে বলিতেনঃ

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ

“সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদেরকে আমাদের মৃত্যুর পর জীবিত করিয়াছেন এবং তার নিকটই প্রত্যাবর্তন”।

-[বোখারী, আবু দাউদ, তিরমিজী, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২১৮. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] যখন শয্যা গ্রহণ করিতেন তখন বলিতেনঃ

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا، وَكَفَانَا وَآوَانَا، كَمْ مَنْ لَا كَافٍّ لَهُ وَلَا مُؤْوِيَ

“সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের পানাহার করিয়েছেন, আমাদের পৃষ্ঠপোষকতা করিয়াছেন এবং আমাদের আশ্রয় দিয়েছেন। কতো লোক আছে যাদের কোন পৃষ্ঠপোষকও নাই, আশ্রয়দাতাও নাই”।

[মুসলিম হা/৬৬৪৬], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২১৯. জাবের [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সূরা আলিফ-লাম-মীম তানখীল [সূরা সাজদা-৩২] ও তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলক [সূরা মূলক-৬৭] না পড়া পর্যন্ত ঘুমাতেন না। [তিরমিজী]

আবুয যুবাইর [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, এই সূরাদ্বয় কুরআন মজীদের অন্যসব সূরার তুলনায় সত্তর গুণ সওয়াবের মর্যাদা লাভের অধিকারী। কোন ব্যক্তি এই সূরাদ্বয় পড়লে তার জন্য এর বিনিময়ে সত্তরটি নেকী লেখা হয়, এর উসীলায় তার মর্যাদা সত্তর গুণ বৃদ্ধি করা হয় এবং এর দ্বারা তার সত্তরটি গুনাহ মাফ করা হয়। –

[নাসায়ী, দারিমি, হাকিম, ইবনি আবু শায়বাহ], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ অন্যান্য

১২২০. আবুল আহওয়াস [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] বলেছেন, আল্লাহর যিকির করলে শয়তানের পক্ষ থেকে ঘুম এসে যাবে। তোমরা চাইলে অনুশীলন করে দেখিতে পারো। তোমাদের কেউ যখন শয্যাগত হয়ে ঘুমাতে ইচ্ছা করে তখন সে যেন মহামহিম আল্লাহর যিকির করে। –

[বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ] ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ

১২২১. জাবের [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] সূরা মুলক ও সূরা আলিফ-লাম-মীম সাজদা না পড়া পর্যন্ত ঘুমাতেন না। –

[তিরমিজী, হাকিম] ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২২২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ ঘুমাতে বিছানায় আশ্রয় নিলে সে যেন তার ভেতরের পরিধেয় বস্ত্র খুলে তা দ্বারা বিছানাটা ঝেড়ে নেয়। কেননা সে জানে না যে, তার অনুপস্থিতিতে তার বিছানায় কি পতিত হয়েছে। অতঃপর সে ডান কাতে শুয়ে যেন বলে,

আর-বি.

“তোমার নামে আমার পার্শ্বদেশ [বিছানায়] রাখলাম। তুমি আমার আত্মা আটক করে রেখে দিলে তার প্রতি দয়া করো, আর তাকে ছেড়ে দিলে তাকে হেফাজত করো, যেভাবে তুমি হেফাজত করে থাকো তোমার সৎকর্মপরায়ণ লোকদের”।

[বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসায়ী, আহমাদ, আবু আওয়ানা, নাসায়ী, ইবনি হিব্বান] ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২২৩. বারাআ ইবনি আযেব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বিছানাগত হয়ে ডান কাতে শুয়ে যেতেন, অতঃপর বলিতেনঃ

اللَّهُمَّ وَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ، وَأَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ، رَهْبَةً وَرَغْبَةً إِلَيْكَ، لَا مَنْجَا وَلَا مَلْجَأَ مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ، آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ، وَنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ

“হে আল্লাহ! আমার মুখ তোমার দিকে ফিরিয়ে দিলাম, আমাকে তোমার নিকট সোপর্দ করলাম এবং তোমার রহমাতের আশা ও তোমার শাস্তির ভয় সহকারে আমার পিঠ তোমার আশ্রয়ে সোপর্দ করলাম। তোমার থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয়ার এবং নাজাত পাওয়ার তুমি ছাড়া আর কোন ঠিকানা নাই। তুমি যে কিতাব নাযিল করেছে এবং যে নাবী পাঠিয়েছে আমি তার উপর ঈমান এনেছি”।

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন ব্যক্তি রাতে এই দোয়া পড়লে, অতঃপর মারা গেলে সে দ্বীন ইসলামের উপর মারা গেলো।

[বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজী], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২২৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] শয্যাগত হয়ে বলিতেনঃ

اللَّهُمَّ وَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ، وَأَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ، رَهْبَةً وَرَغْبَةً إِلَيْكَ، لَا مَنْجَا وَلَا مَلْجَأَ مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ، آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ، وَنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ

“হে আল্লাহ! আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর প্রভু, প্রতিটি জিনিসের প্রভু, বীজ ও অংকুরের প্রভু, তাওরাত, ইনজীল ও কুরআন নাযিলকারী! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি প্রতিটি ক্ষতিকর বস্তুর ক্ষতি থেকে, আপনিই এগুলোর নিয়ন্ত্রক। আপনিই আদি, আপনার আগে কিছুর অস্তিত্ব নাই। আপনিই অন্ত, আপনার পরে কিছু নাই। আপনি প্রকাশমান, আপনার উর্দ্ধে কিছু নাই। আপনি লুকায়িত, আপনার অগোচরে কিছু নাই। আপনি আমার পক্ষ থেকে আমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিন এবং আমাকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিন”।

[মুসলিম, তিরমিজী, আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ, ইবনি আবু শায়বাহ, আবু আওয়ানাসায়ী, ইবনি হিব্বান]. ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫৭৭. অনুচ্ছেদঃ শোয়ার সময় পঠিত দোয়ার ফযীলাত।

১২২৫. বারাআ ইবনি আযেব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিছানাগত হয়ে ডান কাতে শুয়ে নিম্নোক্ত দোয়া পড়তেনঃ

اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ بِوَجْهِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ، رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ، لَا مَنْجَا وَلَا مَلْجَأَ مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ، آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ، وَنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ 

“হে আল্লাহ! আমি নিজেকে তোমার নিকট সোপর্দ করলাম, আমার মুখমণ্ডল তোমার দিকে ফিরিয়ে দিলাম, আমার সকল বিষয় তোমার উপর সোপর্দ করলাম এবং তোমার রহমাতের আশা ও তোমার শাস্তির ভয় সহকারে আমার পিঠ তোমার আশ্রয়ে সোপর্দ করলাম। তোমার থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয়ার এবং নাজাত পাওয়ার তুমি ভিন্ন আর কোন ঠিকানা নাই। তুমি যে কিতাব নাযিল করেছে এবং যে রাসূল পাঠিয়েছে, আমি তার উপর ঈমান আনলাম।

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি এই দোয়া পড়লো, অতঃপর সেই রাতে মারা গেলো, সে দ্বীন ইসলামের উপর মারা গেলো।

[বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজী] ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২২৬.জাবের [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

কোন ব্যক্তি যখন তার ঘরে প্রবেশ করে অথবা তার বিছানায় আশ্রয় নেয় তখন একজন ফেরেশতা ও একটি শয়তান তার দিকে ধাবিত হয়। ফেরেশতা বলেন, কল্যাণের সাথে [তোমার দিনটি] শেষ করো, আর শয়তান বলে, অনিষ্ট সহকারে শেষ করো। অতএব সে যদি আল্লাহর প্রশংসা করে, তার যিকির করে তাহলে সে শয়তানকে বিতাড়িত করলো এবং রাতটি [আল্লাহর] হেফাজতে কাটালো। অনুরূপভাবে সে ঘুম থেকে জাগ্রত হলে একজন ফেরেশতা ও একটি শয়তান তার দিকে ধাবিত হয় এবং তারা পূর্বানুরূপ কথা বলে। সে যদি আল্লাহকে স্মরণ করে এবং বলে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমার মৃত্যুর পর আমার জীবনটা আমার নিকট ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং ঘুমের মধ্যে মৃত্যুদান করেননি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, আর-বি

“যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীকে স্থানচ্যুত হওয়া থেকে রুখে রেখেছেন। যদি এই দুটি স্থানচ্যুত হয় তবে তিনি ছাড়া কেউই এদের প্রতিরোধ করে রাখতে পারবে না। নিশ্চয় তিনি পরম সহিষ্ণু, পরম ক্ষমাশীল” [সূরা ফাতির : ৪১]।

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর,

“যিনি আসমানকে প্রতিরোধ করে রেখেছেন যাতে তা তার অনুমতি ব্যতীত পৃথিবীর উপর পতিত হইতে না পারে। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি অতীব মমতাশীল, পরম দয়াময়” [সূরা হজ্জ : ৬৫]।

সে মারা গেলে শহিদী মৃত্যুবরণ করলো, অন্যথা উঠে নামায পড়লে মর্যাদাপূর্ণ নামায পড়লো। –

[নাসায়ী, ইবনি হিব্বান], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল মাওকুফ

৫৭৮. অনুচ্ছেদঃ গালের নিচে হাত রাখা।

১২২৭. বারাআ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] ঘুমানোর ইচ্ছা করলে তিনি তাহাঁর হাত তাহাঁর ডান গালের নিচে রেখে বলিতেনঃ

اللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ

“হে আল্লাহ! যেদিন তুমি তোমার বান্দাদের পুনরুত্থান করিবে সেদিন তোমার শাস্তি থেকে আমাকে রক্ষা করো”।

[তিরমিজী হা/৩৩৩৫, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ হা/৩৮৭৭] ,ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২২৮. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন মুসলমান ব্যক্তি দুইটি অভ্যাসে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হইতে পারলে সে নিশ্চয় জান্নাতে প্রবেশ করিবে। অভ্যাস দুটি আয়ত্ত করা খুবই সহজ। তবে খুব কম লোকই তদনুযায়ী আমল করে থাকে। বলা হলো, ইয়া রসূলাল্লাহ! সেই দুটি অভ্যাস কি কি? তিনি বলেনঃ প্রতি নামাযের পরে তোমাদের কেউ দশবার আল্লাহু আকবার, দশবার আলহামদু লিল্লাহ এবং দশবার সুবহানাল্লাহ বলবে। তাতে [পাঁচ ওয়াক্তে] মৌখিক উচ্চারণে এক শত পঞ্চাশবার এবং মীযানে দেড় হাজার বার হইবে। আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে [নামাযের পর] তার হাতে সেগুলো গুণে গুণে পড়তে দেখেছি। আবার সে শয্যা গ্রহণকালে সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার পড়লে তা মৌখিক উচ্চারণে এক শতবার এবং মীযানে এক হাজারবার হইবে। তোমাদের মধ্যে কে এক দিন ও এক রাতে দুই হাজার পাঁচ শত গুনাহে লিপ্ত হয়? [তাতে এতোগুলো পাপও ক্ষমাযোগ্য হয়]। বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! সে কিভাবে এরূপ আমল না করে থাকতে পারে? তিনি বলেনঃ তোমাদের কেউ নামাযে রত থাকাকালে তার নিকট শয়তান এসে তাকে এই এই প্রয়োজনের কথা স্মরণ করাতে থাকে। অতএব সে যেন তা স্মরণ না করে। –

[আবু দাউদ, তিরমিজী, নাসায়ী, আহমাদ, ইবনি হিব্বান] ,ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫৭৯. অনুচ্ছেদঃ কেউ বিছানা থেকে উঠে গিয়ে আবার ফিরে এলে তা যেন ঝেড়ে নেয়।

১২২৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ তার বিছানায় ঘুমাতে এলে সে যেন তার পরিধেয় বস্ত্রের নিম্নাংশ দ্বারা তার বিছানাটা ঝেড়ে নেয় এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করে। কারণ সে জানে না যে, তার অনুপস্থিতিতে তার বিছানায় কি পতিত হয়েছে। সে যখন বিছানায় শোবে তখন যেন তার ডান কাতে শোয় এবং বলে,

আর-বি.

“আমার প্রতিপালক মহাপবিত্র। তোমার নামে আমার পার্শ্বদেশ বিছানায় রাখলাম এবং তোমার নামে তা উঠাবো। যদি তুমি আমার জান রেখে দাও তবে তাকে ক্ষমা করো। আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তবে তার হেফাজত করো, যেরূপ তুমি তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের হেফাজত করে থাকো”।

-[বোখারী, মুসলিম, দারিমি, ইবনি হিব্বান], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫৮০. অনুচ্ছেদঃ রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হলে যে দোয়া পড়বে।

১২৩০. রবীআ ইবনি কাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর ঘরের দ্বারদেশে রাত যাপন করতাম এবং তাহাঁর উযুর পানি সরবরাহ করতাম। আমি রাতে দীর্ঘক্ষণ ধরে তাকে বলিতে শোনতাম,

سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ

সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ [কেউ আল্লাহর প্রশংসা করলে তিনি তা শোনেন]।

আমি আরো শোনতাম যে, তিনি দীর্ঘ রাত পর্যন্ত

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

আলহামদু লিল্লাহ রব্বিল আলামীন [সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য]

বলছেন।

[মুসলিম, আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ, তিরমিজী হা/৩৩৫০] ,ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫৮১. অনুচ্ছেদঃ কেউ হাতে খাদ্যের চর্বি নিয়ে ঘুমালে।

১২৩১. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন ব্যক্তি খাদ্যের চর্বি হাত থেকে দূর না করে রাতে ঘুমালে এবং তাতে তার কোন ক্ষতি হলে সে যেন নিজেকেই তিরস্কার করে।

ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৩২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন ব্যক্তি খাদ্যের চর্বি হাত থেকে দূর না করে ঘুমালে এবং তাতে তার কোন ক্ষতি হলে সে যেন নিজেকেই তিরস্কার করে।

[আবু দাউদ, তিরমিজী, ইবনি মাজাহ, দারিমি, আহমাদ, হাকিম, ইবনি হিব্বান, নাসায়ী], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫৮২. অনুচ্ছেদঃ বাতি নিভানো।

১২৩৩. জাবের ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা [রাতে ঘুমানোর পূর্বে] ঘরের দরজাগুলো বন্ধ করো, পানির পাত্রের মুখ ঢেকে বা বেঁধে দিও, থালাগুলো উপুড় করে রেখে বা ঢেকে দিও এবং আলো নিভিয়ে দিও। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খোলতে পারে নাসায়ী, পানির পাত্রের বন্ধ মুখ খোলতে পারে না এবং উপুড় করা বা ঢেকে দেয়া থালাও উন্মুক্ত করিতে পারে না। [আলো নিভিয়ে না দিলে] দুষ্ট ইঁদুর মানুষের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।

[বোখারী, মুসলিম, তিরমিজী হা/১৭৫৮], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৩৪. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

একটি ইঁদুর এসে চেরাগের সলিতা টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। একটি বালিকা তার পিছু ধাওয়া করলে নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ একে ত্যাগ করো। ইঁদুর সলিতাটি টেনে নিয়ে এসে যে চাটাইয়ে নাবী [সাঃআঃ] উপবিষ্ট ছিলেন তার উপর রেখে দিলো। ফলে চাটাইয়ের এক দিরহাম পরিমাণ জায়গা পুড়ে গেলো। তাই রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা ঘুমানোর পূর্বে তোমাদের বাতিগুলো নিভিয়ে দিও। কারণ শয়তান অনুরূপ অপকর্ম করিবে এবং তোমাদের অগ্নিদগ্ধ করিবে।

[আবু দাউদ, হাকিম, ইবনি হিব্বান] ,ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৩৫. আবু সাঈদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

এক রাতে নাবী [সাঃআঃ] জাগ্রত হলেন। তখন একটি ইঁদুর বাতির সলিতা নিলো এবং তাহাদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার জন্য সেটি সলিতাসহ ঘরের ছাদে উঠলো। তাই নাবী [সাঃআঃ] এটিকে অভিসম্পাত করিলেন এবং ইহরামধারী ব্যক্তির জন্যও এটি হত্যা করা হালাল ঘোষণা করিলেন।

-[ইবনি মাজাহ, হাকিম, তাহাবী], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫৮৩. অনুচ্ছেদঃ লোকজন ঘুমানোর সময় যেন ঘরে আগুন জ্বালিয়ে না রাখা হয়।

১২৩৬. সালেম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা ঘুমানোর প্রাক্কালে তোমাদের ঘরসমূহে আগুন জ্বালিয়ে রেখো না।

-[বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজী, ইবনি মাজাহ, আহমাদ, আবু আওয়া নাসায়ী] ,ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৩৭. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

উমার [রাঃআঃ] বলেছেনঃ আগুন [তোমাদের] শত্রু। অতএব তা থেকে সতর্ক থাকো। তাই ইবনি উমার [রাঃআঃ] রাতে ঘুমানোর পূর্বে তার পরিবারের আগুন নিভিয়ে দিতেন।

ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ

১২৩৮. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি নাবী [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ তোমাদের ঘরসমূহে আগুন জ্বলিয়ে রেখে দিও না। কেননা তা দুশমন।

ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৩৯.আবু মূসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

মদীনার এক পরিবারের ঘরে রাতের বেলা আগুন লেগে তা পুড়ে গেলো। তাহাদের এই ঘটনা নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট বর্ণনা করা হলে তিনি বলেনঃ নিশ্চয় আগুন তোমাদের শত্রু। অতএব তোমরা যখন ঘুমাতে যাবে তখন তা নিভিয়ে দিবে।

-[বোখারী, মুসলিম, ইবনি মাজাহ], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫৮৪. অনুচ্ছেদঃ বৃষ্টিতে আশাবাদী হওয়া ও বরকত লাভ করা।

১২৪০. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

আকাশ থেকে যখন বৃষ্টি হতো তখন তিনি বলিতেন,

يَا جَارِيَةُ، أَخْرِجِي سَرْجِي، أَخْرِجِي ثِيَابِي

হে বালিকা [বা বাঁদী] আমার জিনপোষ বের করে রাখো, আমার কাপড়-চোপড় বের করে রাখো।

আর তিনি পড়তেন,

وَنَزَّلْنَا مِنَ السَّمَاءِ مَاءً مُبَارَكًا [ق: 9]

“এবং আমরা আকাশ [মেঘ] থেকে বরকতপূর্ণ পানি বর্ষণ করি”।

[সূরা কাফ : ৯]।, ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ

৫৮৫. অনুচ্ছেদঃ ঘরে চাবুক ঝুলিয়ে রাখা

১২৪১. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] ঘরে চাবুক ঝুলিয়ে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।

[মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক] ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫৮৬. অনুচ্ছেদঃ রাতের বেলা ঘরের দরজা বন্ধ রাখা।

১২৪২. জাবের ইবনি আবদুল্লাহ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা গভীর রাত পর্যন্ত গল্প-গুজবে মশগুল থেকো না। কারণ তোমাদের কেউ জানে না যে, আল্লাহ তাহাঁর কতক সৃষ্টিকুল রাতে স্বাধীনভাবে বিচরণ করিতে ছড়িয়ে দেন। তোমরা [রাতের বেলা] ঘরের দরজাগুলো বন্ধ রাখো, পানপাত্রের মুখ বেঁধে রাখো, পাত্রসমূহ ঢেকে রাখো এবং আলো নিভিয়ে দাও।

ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৫৮৭. অনুচ্ছেদঃ রাতের সূচনায় শিশুদের [নিজেদের সাথে] একত্র রাখা।

১২৪৩. জাবের [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা রাতের সূচনায় অন্ধকার দূর না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের শিশুদের সামলিয়ে রাখো। এই সময় শয়তানেরা [চতুর্দিকে] ছড়িয়ে পড়ে।

[মুসলিম হা/৫০৮২], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫৮৮. অনুচ্ছেদঃ পশুর লড়াই অনুষ্ঠান।

১২৪৪. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি পশুদের মধ্যে পরস্পর লড়াই বাধানো অপছন্দ করিতেন।

-[তিরমিজী, আবু দাউদ] , ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ অন্যান্য

৫৮৯. অনুচ্ছেদঃ কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দ ও গাধার ডাক।

১২৪৫. জাবের ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা গভীর রাতে খুব কম বাইরে বের হইবে। কেননা আল্লাহ তাআলা তার কতক জীবজন্তুকে [এ সময়] স্বাধীনভাবে বিচরণ করিতে ছড়িয়ে দেন। তোমাদের কেউ কুকুরের ঘেউঘেউ এবং গাধার ডাক শোনলে যেন আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে। কারণ এরা [এমন কিছু] দেখিতে পায় যা তোমরা দেখো না।

[আবু দাউদ, আহমাদ] ,ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৪৬. জাবের ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ রাতের বেলা তোমরা যখন কুকুরের ঘেউঘেউ শব্দ এবং গাধার ডাক শোনতে পাও তখন আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করো। কারণ এরা [এমন কিছু] দেখিতে পায় যা তোমরা দেখিতে পাও না। [রাতের বেলা] তোমরা আল্লাহর নাম স্মরণ করে ঘরের দরজাসমূহ বন্ধ করো। কারণ আল্লাহর নাম স্মরণ করে বন্ধকৃত দরজা শয়তান খোলতে পারে না। তোমরা কলসিগুলোর মুখ ঢেকে দাও, মশকের [চামড়ার তৈরী পানির পাত্র] মুখ বেঁধে দাও এবং পাত্রগুলো উপুড় করে রেখে দাও।

[আবু দাউদ], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৪৭. জাবের [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি নাবী [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ রাত শান্তভাব ধারণ করার পর তোমরা কমই বাইরে বের হইবে। কারণ [এ সময়] আল্লাহ তাহাঁর কতক সৃষ্টিকে [স্বাধীনভাবে বিচরণ করিতে] ছড়িয়ে দেন। অতএব তোমরা কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দ ও গাধার ডাক শোনতে পেলে শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো।

ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫৯০. অনুচ্ছেদঃ কেউ মোরগের ডাক শোনলে ।

১২৪৮. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ রাতে তোমরা মোরগের ডাক শোনলে আল্লাহর নিকট তাহাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা করো। কারণ সে একজন ফেরেশতাকে দেখিতে পায়।আর রাতের বেলা তোমরা গাধার ডাক শোনতে পেলে শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো। কারণ সে একটি শয়তানকে দেখিতে পেয়েছে।

[বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজী, নাসায়ী, আহমাদ, ইবনি হিব্বান], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫৯১. অনুচ্ছেদঃ বুরগুছকে গালি দিও না।

১২৪৯. আনাস ইবনি মালেক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ]-এর সামনে বুরগূছকে [পাখাহীন এক প্রকার ক্ষুদ্র কীট] গালি দিলে তিনি বলেনঃ একে অভিশাপ দিও না। কারণ সে নাবীগণের মধ্যকার একজন নাবীকে নামাযের জন্য জাগ্রত করেছিল।

[মুসনাদ আবু ইয়ালা, তাবারানি, বাযযার], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৫৯২. অনুচ্ছেদঃ দুপুরের আহারশেষে বিশ্রাম।

১২৫০. উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

কুরাইশ বংশের কতক লোক প্রায়ই ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ]-র বাড়ির দরজায় বসতেন। ছায়া ঢলে পড়লে তিনি বলিতেন, তোমরা উঠে যাও। এখন দিনের যা অবশিষ্ট আছে তা শয়তানের। অতঃপর তিনি যার নিকট দিয়েই যেতেন তাকে [বসা থেকে] উঠিয়ে দিতেন। রাবী বলেন, এমতাবস্থায় বলা হলো, এ হলো বনু হাসহাসের মুক্তদাস, সে কবিতা আবৃত্তি করে। তিনি তাকে ডেকে এনে বলেন, তুমি কিরূপ বলো? সে বললো,

“সালমাকে যদি তুমি প্রেমিকা বানিয়ে থাকো তবে তাকে বিদায় দাও। বার্ধক্য ও ইসলাম মানুষকে প্রতিহত করিতে যথেষ্ট”।

তিনি বলেন, যথেষ্ট হয়েছে, তুমি সত্য বলেছো, সত্য বলেছো।

[ইসা বাযযার], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১২৫১. সায়েব ইবনি ইয়াখীদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

উমার [রাঃআঃ] দুপুরবেলা বা তার কাছাকাছি সময় আমাদের নিকট আসতেন এবং বলিতেন, তোমরা ওঠো, গিয়ে বিশ্রাম করো। [কথা] যা অবশিষ্ট রহিয়াছে তা শয়তানের জন্য।

ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস

১২৫২. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

লোকজন একত্র হতো, অতঃপর দুপুরের বিশ্রাম করতো।

[আহমাদ, ইবনি খুজাইমাহ, ইবনি হিব্বান], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২৫৩. সাবিত [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আনাস [রাঃআঃ] বলেন, শরাব হারাম হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত খেজুর ও বার্লির তৈরী শরাবই ছিল মদীনাবাসীদের আকর্ষণীয় পানীয়। আমি আবু তালহা [রাঃআঃ]-র বাড়িতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাহাবীদের শরাব পরিবেশন করছিলাম। তখন এক ব্যক্তি এসে বললো, শরাব হারাম ঘোষিত হয়েছে। তাহাদের কেউই [একথা শুনে] বলেননি, কখন অথবা আমরা খোঁজ নিয়ে দেখি? তারা বলেন, হে আনাস! শরাব ঢেলে ফেলে দাও। অতঃপর তারা উম্মে সুলাইম [রাঃআঃ]-র এখানে গেলেন, ঠাণ্ডা বা শান্ত হলেন এবং গোসল করিলেন। অতঃপর উম্মু সুলাইম [রাঃআঃ] তাহাদের মাখার জন্য সুগন্ধি দেন। অতঃপর তারা নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট গিয়ে জানতে পারলেন, লোকটি যা খবর দিয়েছিল তাই সত্য। আনাস [রাঃআঃ] বলেন, তারা আর কখনো শরাব পান করেননি।

[বোখারী, মুসলিম], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫৯৩. অনুচ্ছেদঃ দিনের শেষ বেলার ঘুম।

১২৫৪. খাওয়াত ইবনি জুবাইর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

দিনের প্রথমাংশের ঘুম হলো অস্বাভাবিক, মধ্যাহ্নের ঘুম হলো অভ্যাস এবং শেষ বেলার ঘুম হলো আহম্মকি।

[জামে সুফিয়ান ইবনি উয়াই নাসায়ী], ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৫৯৪. অনুচ্ছেদঃ সাধারণ দাওয়াত।

১২৫৫. মায়মূন ইবনি মিহরান [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীত

আমি নাফে [রাহিমাহুল্লাহ]-কে জিজ্ঞেস করলাম, ইবনি উমার [রাঃআঃ] কি জনসাধারণকে দাওয়াত করেছিলেন? তিনি বলেন, ঘটনা এই যে, একবার তার একটি উট দুর্বল হয়ে পড়লে আমরা সেটি যবেহ করলাম। অতঃপর তিনি বলেন, মদীনাবাসীদের আমার নিকট একত্র করো। নাফে [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, আমি বললাম, আবদুর রহমানের পিতা! কোন জিনিসের জন্য? আমাদের নিকট তো রুটি নাই। তিনি বলেন, হে আল্লাহ! তোমার জন্য সকল প্রশংসা, এই হাড়, এই ঝোল অথবা এই ঝোল ও গোশতের টুকরা। যার ইচ্ছা হয় সে খাবে, আর যার ইচ্ছা ফিরে যাবে।

ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন হাদিস এর তাহকিকঃ সহীহ হাদিস


by

Comments

2 responses to “ঘুমানোর দোয়া আদব কায়দা ও নিয়ম কানুন”

Leave a Reply