গোসলের হাদিস বর্ণনা।

গোসলের হাদিস বর্ণনা।

গোসলের হাদিস বর্ণনা। >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ৩, অধ্যায়ঃ ৫

অধ্যায়ঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ
অধ্যায়ঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
অধ্যায়ঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

অধ্যায়ঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ

৪৩০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : যখন তোমাদের কেউ স্ত্রীলোকের চার শাখার [দুই হাত দুই পা] মাঝখানে বসে সঙ্গমে রত হয় তখন তার উপর গোসল করা ফার্‌য হয়ে যায়, যদিও বীর্যপাত না হয়। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৩৪৮, বোখারী ৩৮। গোসলের হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৩১. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : পানিতেই পানির প্রয়োজন, অর্থাৎ বীর্যপাত ছাড়া গোসল ফার্‌য নয়। {১}

ঈমাম মুহ্‌য়িয়ুস্‌ সুন্নাহ্‌ বলেন, এ হুকুম রহিত হয়ে গেছে।{১} সহীহ : মুসলিম ৩৪৩।

গোসলের হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৩২. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

“পানি পানি হইতে” এ হুকুম হল স্বপ্নদোষের জন্য। {১} আমি এ হাদিস বোখারী ও মুসলিমে পাইনি।

{১} জইফ : তিরমিজি ১১২। তবে ِفى الْإِحْتِلَامِ অংশটুকু ব্যতীত বাকীটুকু সহীহ সূত্রে প্রমাণিত। এই হাদিসটির তাহকীকঃ অন্যান্য

৪৩৩. উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদিন [আনাস-এর মা] উম্মু সুলায়ম [রাদি.] বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ তাআলা হাক্ব কথা বলিতে লজ্জাবোধ করেন না। স্ত্রীলোকের স্বপ্নপদোষের কারণে তার উপর কি গোসল ফার্‌য হয়? তিনি [সাঃআঃ] উত্তরে বললেন : হাঁ, যদি [ঘুম থেকে জেগে উঠে] বীর্য দেখে। এ উত্তর শুনে উম্মু সালামাহ্‌ [রাদি.] [লজ্জায়] স্বীয় মুখ ঢেকে ফেললেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রসূল! স্ত্রীলোকেরও আবার স্বপ্নদোষ হয় [পুরুষের ন্যায় বীর্যপাত হয়]। উত্তরে তিনি [সাঃআঃ] বললেন, হাঁ। কি আশ্চর্য! [তা না হলে] তার সন্তান তার সদৃশ হয় কিভাবে? {১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৩০, মুসলিম ৩১৩। গোসলের হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৩৪. ঈমাম মুসলিম [রাহিমাহুল্লাহ] উম্মু সুলায়ম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

কিন্তু ঈমাম মুসলিম উম্মু সুলায়ম-এর বর্ণনায় এ কথাগুলো বেশী বলেছেন, তিনি [সাঃআঃ] এ কথাও বলেছেন যে, সাধারণত পুরুষের বীর্য গাঢ় ও সাদা। স্ত্রীলোকের বীর্য পাতলা ও হলদে। উভয়ের বীর্যের মধ্যে যেটিই জয়ী হয়, অর্থাৎ- যে বীর্য আগে গর্ভাশয়ে প্রবেশ করে সন্তান তার সাদৃশ্য হয়।।{১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৩১১। গোসলের হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৩৫. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পবিত্রতার জন্য ফার্‌য গোসল করার সময় প্রথমে [কব্জি পর্যন্ত] দুই হাত ধুতেন। এরপর সলাতের উযূর মত উযূ করিতেন। অতঃপর আঙ্গুলগুলো পানিতে ডুবিয়ে তা দিয়ে মাথার চুলের গোড়া খিলাল করিতেন। অতঃপর মাথার উপর তিন অঞ্জলি পানি ঢালতেন, তারপর শরীরের সর্বাঙ্গ পানি দিয়ে ভিজাতেন। {১}

কিন্তু ঈমাম মুসলিমের অপর বর্ণনায় আছে, রসূল [সাঃআঃ] পাত্রে হাত ডুবিয়ে দেয়ার আগে কব্জি পর্যন্ত হাত ধুতেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতের তালুতে পানি ঢেলে লজ্জাস্থান ধুতেন, অতঃপর উযূ করিতেন।

{১} সহীহ : বোখারী ২৪৮, মুসলিম ৩১৬। গোসলের হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৩৬. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, [আমার খালা উম্মুল মুমিনীন] মায়মূনাহ্‌ [রাদি.] বলেছেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-এর গোসলের জন্য পানি রাখলাম এবং কাপড় দিয়ে পর্দা করে দিলাম। প্রথমে তিনি দুই হাতের উপর পানি ঢাললেন এবং কব্জি পর্যন্ত হাত ধুয়ে নিলেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম হাতে কিছু পানি নিয়ে তা দিয়ে লজ্জাস্থান ধুলেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষে তা মুছে নিলেন। তারপর নিয়ম মত হাত ধুলেন। এরপর মাথার উপর পানি ঢাললেন। সমস্ত শরীর পানি দিয়ে ভিজালেন। তারপর নিজ স্থান হইতে একটু সরে গিয়ে পা ধুলেন। আমি [শরীরের পানি মুছে ফেলার জন্য] তাঁকে কাপড় দিলাম। কিন্তু তিনি তা নিলেন না, দুই হাত ঝাড়তে ঝাড়তে চলে গেলেন। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ২৭৬, মুসলিম ৩১৭; শব্দবিন্যাস বোখারীর। গোসলের হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৩৭. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক আনসার মহিলা নবী [সাঃআঃ]- এর নিকট এসে হায়যের গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিল। কীভাবে গোসল করিতে হবে তিনি তাকে সে ব্যাপারে জানিয়ে দিলেন। তারপর বললেন, মিস্কের সুগন্ধিযুক্ত একখন্ড কাপড় নিয়ে তা দিয়ে ভালভাবে পাক-পবিত্রতা অর্জন করিবে। মহিলাটি বলিল, আমি কীভাবে তা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করব? তিনি [সাঃআঃ] বললেন, তুমি তা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করিবে। সে আবার বলিল, আমি তা দ্বারা কীভাবে পবিত্রতা অর্জন করব? তিনি [সাঃআঃ] বলেন, সুব্হানাল্লাহ [এটাও বুঝলে না]! তা দ্বারা পবিত্রতা লাভ করিবে।আয়িশাহ্ [রা:] বললেন, তখন আমি তাকে আমার দিকে টেনে আনলাম এবং [চুপিসারে] বললাম, রক্তক্ষরণের পর তা দ্বারা [গুপ্তাঙ্গের ভিতরের অংশ] মুছে নিবে [এতে দুর্গন্ধ দূর হবে]। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৩১৪, মুসলিম ৩৩২। গোসলের হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৩৮. উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বললাম, হে আল্লাহর রসূল!, আমি এমন এক মহিলা যে, আমার মাথার চুলের বেণী বেশ শক্ত করে বাঁধি। পবিত্রতা অর্জনের জন্য ফারয্ গোসলের সময় আমি কি তা খুলে ফেলব? তিনি [সাঃআঃ] বললেন, না খুলবে না। তুমি তোমার মাথার উপর তিন অঞ্জলি পানি ঢেলে দিবে। এটাই তোমার জন্য যথেষ্টঃ তারপর তুমি তোমার সর্বাঙ্গে পানি ঢেলে নিবে ও পবিত্রতা অর্জন করিবে। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৩৩০। গোসলের হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৩৯. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] এক মুদ্দ পানি নিয়ে উযু করিতেন এবং এক সা থেকে পাঁচ মুদ্দ পর্যন্ত পানি দিয়ে গোসল করিতেন। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ২০১, মুসলিম ৩২৫। গোসলের হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৪০. মহিলা তাবিঈ মুআযাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আয়িশাহ [রা:] বলেছেন, আমি ও রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার ও তাহাঁর মাঝখানে রাখা একটি পাত্র হইতে পানি নিয়ে একসাথে [পবিত্রতার] গোসল করতাম। তিনি খুব তারাতারি করে আমার আগে পানি উঠিয়ে নিতেন। আর আমি তখন বলিতে থাকতাম, আমার জন্য কিছু রাখুন, আমার জন্য কিছু রাখুন। মুআযাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, তখন তারা উভয়ে নাপাক অবস্থায় থাকতেন। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ২৬১, মুসলিম ৩২১; শব্দবিন্যাস মুসলিমের। গোসলের হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৪১. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] –কে জিজ্ঞেস করা হল, কোন পুরুষ লোক [ঘুম থেকে জেগে শুক্রের] আদ্রতা পেল, অথচ স্বপ্নদোষের কথা তার মনে পড়ছে না। তখন সে কী করিবে? তিনি [সাঃআঃ] বললেন, সে [ফারয] গোসল করিবে। অপরদিকে কোন পুরুষের স্মরণ আছে তার স্বপ্নদোষ হয়েছে অথচ [কাপড়ে শুক্রের] কোন আদ্রতা সে খুঁজে পাচ্ছে না, [তখন সে কী করিবে?] তিনি [সাঃআঃ] জবাবে বললেন, তাকে [ফারয] গোসল করিতে হবে না। উম্মু সুলায়ম [রাদি.] জিজ্ঞেস করিলেন, কোন স্ত্রীলোক যদি এরূপ দেখে তার উপরও কি গোসল ফারয হবে? তিনি [সাঃআঃ] বললেন, স্ত্রীলোকরাও পুরুষের মতো। {১}

দারিমী ও ইবনি মাজাহ “তাকে গোসল করিতে হবে না” পর্যন্ত বর্ণনা করিয়াছেন। {১} সহীহ : আবু দাউদ ২৩৬, তিরমিজি ১১৩, দারিমী ৭৬৫, ইবনি মাজাহ ৬১২। তবে ইবনি মাজাহর لَا غُسْلَ عَلَيْهِ অতিরিক্ত অংশটুকু দুর্বল। কারণ এ অংশটুকুর রাবী আবদুল্লাহ [রাদি.] আল উমরী আল মুক্কাব্বার সৃষ্টিশক্তিজনিত কারণে দুর্বল। এই হাদিসটির তাহকীকঃ অন্যান্য

৪৪২. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পুরুষের খাতনার জায়গা মহিলার খাতনার জায়গা অতিক্রম করলেই গোসল করা ফারয হয়ে যাবে। তিনি {আয়িশাহ্ [রাদি.]] বলেন, আমি ও রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তা করেছি, তারপর দুজনেই গোসল করেছি। {৪৬৩] {১}

{১} সহীহ : তিরমিজি ১০৮, ইবনি মাজাহ ৬০৮। গোসলের হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৪৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ শরীরের প্রত্যেক পশমীর গোড়ায় নাপাকী থাকে। সুতরাং শরীরের পশমগুলোকে ভালভাবে ধুবে এবং চামড়াকে উত্তমভাবে পরিষ্কার করিবে। {৪৬৪]

ঈমাম তিরমিজি বলেছেন এ হাদিসটি গরীব। এর রাবী হারিস ইবনি ওয়াজীহ তেমন গ্রহনযোগ্য নন। {১}

{১} জইফ: আবু দাউদ ২৪৮, তিরমিজি ১০৬, ইবনি মাজাহ ৫৯৭, যঈফুল জামি ১৮৪৭। কারণ এর সানাদে হারিস ইবনি ওয়াজীহ নামে একজন দুর্বল রাবী রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৪৪৪. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোক নাপাকীর এক চুল পরিমাণও ছেড়ে দিবে এবং তা ধুবে না তাকে এভাবে এভাবে জাহান্নামে আযাব দেয়া হবে। আলী [রাদি.] বললেন, সেদিন হইতে আমি আমার মাথার সাথে শত্রুতা করছি। সেদিন হইতে আমি আমার মাথার সাথে শত্রুতা করেছি। সেদিন হইতে আমি আমার মাথার সাথে শত্রুতা করে আসছি- এরূপ তিনবার বললেন। {৪৬৫]

কিন্তু আহমাদ ও দারিমী “সে হইতেই আমি আমার মাথার সাথে শত্রুতা করছি” বাক্যটি তিনবার বলেননি।{১}

{১} জইফ : আবু দাউদ ২৪৯, আহমাদ ৭২৯, দারিমী ৭৫১, সিলসিলাহ্ আয্ যঈফাহ্ ৯৩০। কারণ এটি আত্বা ইবনুস সায়িব হইতে হাম্মাদ ইবনি সালামাহ্-এর বর্ণনা। আর তিনি [হাম্মাদ] আত্বার কাছ থেকে তার মুখস্থ শক্তির ত্রুটির অবস্থায় হাদিস শ্রবণ করিয়াছেন। এজন্য ঈমাম নাবাবী [রাহিমাহুল্লাহ] হাদিসটিকে জইফ বলেছেন। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৪৪৫. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] গোসলের পর [নামাজ বা অন্যান্য ইবাদাতের জন্য নতুন করে] উযূ করিতেন না। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ২৫০, তিরমিজি ১০৭, নাসায়ী ২৫২, ইবনি মাজাহ ৫৭৯। গোসলের হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৪৬. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] ফারয গোসলের সময় খিত্বমী দিয়ে নিজের মাথা ধুতেন, অথচ তিনি নাপাক ছিলেন। খিতমী দিয়ে ধৌত করাকেই যথেষ্ট মনে করিতেন। মাথায় পানি ঢালতেন না। {১}

{১} জইফ: আবু দাউদ ২৫৬। কারণ এর সানাদে একজন অপরিচিত রাবী রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৪৪৭. ইয়ালা {ইবনি মুররাহ্] [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে উলঙ্গ উন্মুক্ত জায়গায় গোসল করিতে দেখলেন এবং [রাগভরে] তিনি মিম্বরে দাঁড়ালেন । প্রথমে আল্লাহর প্রসংশা করিলেন, এরপর বলেনঃ আল্লাহ তাআলা বড় লজ্জাশীল ও পর্দাশীল । তিনি লজ্জাশীলতা ও পর্দা করাকে বেশী পছন্দ করেন । তাই তোমাদের কেউ গোসল করিতে গেলে যেন পর্দা অবলম্বন করে। {১}

নাসায়ীর এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা বড় পর্দাশীল । অতএব তোমাদের কেউ গোসল করিতে ইচ্ছে করলে সে যেন কোন কিছু দিয়ে পর্দা করে নেয় ।

{১} সহীহ: আবু দাউদ ৪০১২, নাসায়ী ১/৭০, আহমাদ ৪/২২৪। গোসলের হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৪৪৮. উবাই ইবনি কাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, “বীর্যখলন হলেই গোসল ফরয হয়”-এ হুকুম ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় ছিল। এরপর তা বাতিল করে দেয়া হয়েছে। {১}

{১} সহীহ : তিরমিজি ১১০, আবু দাউদ ২১৪, দারিমী ৭৫৯। গোসলের হাদিস -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৪৪৯. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী [সাঃআঃ] -এর নিকট এসে বলিল, আমি ফরয গোসল করেছি এবং ফজরের নামাজ আদায় করেছি, এরপর আমি দেখলাম শরীরে নখ পরিমাণ পানি জায়গায় পানি পৌঁছনি। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেন, তুমি যদি এ শুকনা জায়গাটা হাত দিয়ে মুছে নিতে তাহলে তোমার জন্য সেটাই যথেষ্ট হত। {১}

{১} জইফ : ইবনি মাজাহ ৬৬৪। কারণ এর সানাদে মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ নামে দুর্বল রাবী রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৪৫০. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, প্রথমে নামাজ ফরয ছিল পঞ্চাশ ওয়াক্ত। পবিত্রতার গোসল ছিল সাতবার এবং প্রসাবের কাপড় ধোয়া ছিল সাতবার। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আল্লাহর দরবারে আবেদন করিতে থাকেন, অবশেষে নামাজ ফরয করা হয় পাঁচ ওয়াক্ত, পবিত্রতার গোসল ফরয করা হয় একবার। এবং প্রসাব হইতে কাপড় ধোয়া ফরয করা হয় একবার। {১}

{১} জইফ : আবু দাউদ ২৪৭। কারণ এর সানাদে আইয়ূব বিন জাবির [রাদি.] রয়েছে, যিনি ভিত্তিহীন হাদিস বর্ণনা করেন এবং আইয়ুব বিন উস্‌ম মতবিরোধপূর্ণ রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply