গোলামের সাথে সদ্ব্যবহার করার ফযীলত – রিয়াদুছ সালেহিন
গোলামের সাথে সদ্ব্যবহার করার ফযীলত – রিয়াদুছ সালেহিন >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পরিচ্ছেদ – ২৩৭: গোলামের সাথে সদ্ব্যবহার করার ফযীলত
মহান আল্লাহ বলেছেন,
﴿ ۞وَٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَلَا تُشۡرِكُواْ بِهِۦ شَيۡٔٗاۖ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنٗا وَبِذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡيَتَٰمَىٰ وَٱلۡمَسَٰكِينِ وَٱلۡجَارِ ذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡجَارِ ٱلۡجُنُبِ وَٱلصَّاحِبِ بِٱلۡجَنۢبِ وَٱبۡنِ ٱلسَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ مُخۡتَالٗا فَخُورًا ٣٦ ﴾ [النساء : ٣٦]
অর্থাৎ তোমরা আল্লাহর উপাসনা কর ও কোন কিছুকে তাহাঁর অংশী করো না এবং পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, আত্মীয় ও অনাত্মীয় প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার কর। [সূরা নিসা ৩৬ আয়াত]
1/1368 وَعَن المَعْرُورِ بنِ سُوَيْدٍ، قَالَ: رَأيْتُ أَبَا ذَرٍّ رضي الله عنه، وَعَلَيهِ حُلَّةٌ وَعَلَى غُلاَمِهِ مِثْلُهَا، فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ، فَذَكَرَ أنَّهُ قَدْ سَابَّ رَجُلاً عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَعَيَّرَهُ بِأُمِّهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: «إنَّكَ امْرُؤٌ فِيكَ جَاهِليَّةٌ، هُمْ إِخْوَانُكُمْ وَخَوَلُكُمْ، جَعَلَهُمُ الله تَحْتَ أَيدِيْكُمْ، فَمَنْ كَانَ أَخُوهُ تَحْتَ يَدِهِ، فَلْيُطْعِمْهُ مِمَّا يَأكُلُ، وَلْيُلْبِسْهُ مِمَّا يَلْبَسُ، وَلاَ تُكَلِّفُوهُمْ مَا يَغْلِبُهُمْ، فَإنْ كَلَّفْتُمُوهُمْ فَأَعِينُوهُمْ». متفقٌ عَلَيْهِ
১/১৩৬৮। মা’রূর ইবনি সুওয়াইদ হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি আবূ জর রাঃআঃ-কে দেখলাম যে, তাহাঁর পরনে জোড়া পোশাক রয়েছে এবং তাহাঁর গোলামের পরনেও অনুরূপ জোড়া পোশাক বিদ্যমান! আমি তাঁকে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি ঘটনা উল্লেখ করে বলিলেন যে, ‘তিনি আল্লাহর রসূলের যুগে তাহাঁর এক গোলামকে গালি দিয়েছিলেন এবং তাকে তার মায়ের সম্বন্ধ ধরে হেয় প্রতিপন্ন করেছিলেন। এ কথা শুনে নবী সাঃআঃ তাঁকে বলেছিলেন, “[হে আবূ জর!] নিশ্চয় তুমি এমন লোক; যার মধ্যে জাহেলিয়াত [ইসলামের পূর্ব যুগের অভ্যাস] রয়েছে! ওরা তোমাদের ভাই স্বরূপ এবং তোমাদের সেবক। আল্লাহ ওদেরকে তোমাদের মালিকানাধীন করিয়াছেন। সুতরাং যে ব্যক্তির ভাইকে আল্লাহ তার মালিকানাধীন করিয়াছেন, সে ব্যক্তি যেন তাকে [দাসকে] তাই খাওয়ায়; যা সে নিজে খায় এবং তাই পরায় যা সে নিজে পরে। আর তোমরা ওদেরকে এমন কাজের ভার দিয়ো না, যা করিতে ওরা সক্ষম নয়। পরন্তু যদি তোমরা এমন দুঃসাধ্য কাজের ভার দিয়েই ফেল, তাহলে তোমরা ওদের সহযোগিতা কর।” [বুখারী ও মুসলিম][1]
2/1369 وَعَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِذَا أَتَى أَحَدَكُمْ خَادِمُهُ بِطَعَامِهِ، فَإِنْ لَمْ يُجْلِسْهُ مَعَهُ، فَلْيُنَاوِلْهُ لُقْمَةً أَوْ لُقْمَتَيْنِ أَوْ أُكْلَةً أَوْ أُكْلَتَيْنِ ؛ فَإِنَّهُ وَلِيَ عِلاَجَهُ». رواه البخاري
২/১৩৬৯। আবূ হুরায়রা রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, নবী সাঃআঃ বলেছেন, “যখন তোমাদের কোন ব্যক্তির খাদেম [দাস-দাসী] তার নিকট খাবার নিয়ে আসে, তখন যদি তাকে নিজ সঙ্গে [খেতে] না বসায়, তাহলে সে যেন তাকে [কমপক্ষে তার হাতে] এক খাবল বা দু’ খাবল অথবা এক গ্রাস বা দু’ গ্রাস [ঐ খাবার থেকে] তুলে দেয়। কেননা, সে [খাদেম] তা পাক [করার যাবতীয় কষ্ট বরণ] করেছে।” [বুখারী] [2]
[1] সহীহুল বুখারী ৩০, ২৫৪৫, ৬০৫০, মুসলিম ১৬৬১, তিরমিযী ১৯৪৫, আবূ দাউদ ৫১৫৭, ৫১৫৮, ইবনু মাজাহ ৩৬৯০, আহমাদ ২০৯০০, ২০৯২১
[2] সহীহুল বুখারী ২৫৫৭, ৫৪৬০, মুসলিম ১৬৬৩, তিরমিযী ১৮৫৩, ইবনু মাজাহ ৩২৮৯, ৩২৯০, আহমাদ ৭২৯৩, ৭৪৬২, ৭৬৬৯, ৭৭৪৬, ৭৯২১, ৯০১৬, ৯০৫২, ৯৭৭৫, দারেমী ২০৭৩, ২০৭৪
Leave a Reply