গীবাত করা হারাম ও দুরাচরণের ভয়ে সহনশীলতা প্রদর্শন
গীবাত করা হারাম >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
২০. অধ্যায়ঃ গীবাত করা হারাম
২১. অধ্যায়ঃ আল্লাহ্ যার দোষ-ত্রুটি দুনিয়াতে গোপন রাখেন আখিরাতেও তার দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে রাখার সু-সংবাদ
২২. অধ্যায়ঃ কারো দুরাচরণের ভয়ে সহনশীলতা প্রদর্শন
২০. অধ্যায়ঃ গীবাত করা হারাম
৬৪৮৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা কি জান, গীবাত কি জিনিস? তাঁরা বলিলেন, আল্লাহ্ ও তাহাঁর রসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বলিলেন, [গীবাত হলো] তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হলো, আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাই-এর মধ্যে বাস্তবিকই থেকে থাকে তবে আপনি কি বলেন? তিনি বলিলেন, তুমি তার সম্পর্কে যা বলছ তা যদি তার মধ্যে প্রকৃতই থেকে থাকে তাহলেই তুমি তার গীবাত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে তাহলে তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৫৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪০৭]
২১. অধ্যায়ঃ আল্লাহ্ যার দোষ-ত্রুটি দুনিয়াতে গোপন রাখেন আখিরাতেও তার দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে রাখার সু-সংবাদ
৬৪৮৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ্ তাআলা দুনিয়াতে যে বান্দার দোষ-ত্রুটি লুকিয়ে রেখেছেন, কিয়ামাত দিবসেও তার দোষ-ত্রুটি ঢেকে রাখবেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৫৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪০৮]
৬৪৮৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন বান্দা যদি অপর কোন লোকের ত্রুটি-বিচ্যুতি দুনিয়াতে আড়াল করে রাখে আল্লাহ্ তাআলা তার ত্রুটি-বিচ্যুতি কিয়ামাত দিবসে আড়াল করে রাখবেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৫৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪০৯]
২২. অধ্যায়ঃ কারো দুরাচরণের ভয়ে সহনশীলতা প্রদর্শন
৬৪৯০. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একদা জনৈক ব্যক্তি নবী [সাঃআঃ]-এর নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইল। তখন তিনি বলিলেন, তোমরা তাকে প্রবেশের অনুমতি দাও। সে তো বংশের কুসন্তান, তার গোত্রের সর্বাপেক্ষা অসৎ লোক। অতঃপর সে যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে প্রবেশ করিল তখন তিনি তার সাথে নম্র ভাষায় কথা বলিলেন। কাজেই আয়িশাহ [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ]! আপনি তো তার সম্বন্ধে যা বলার বলিলেন। এরপর তার সাথে নম্র ভাষায় কথা বলিলেন? তিনি বলিলেন হে আয়িশাহ! কিয়ামতের দিনে আল্লাহ্র নিকট ঐ ব্যক্তি সর্বাধিক নিকৃষ্ট বলে গণ্য হইবে, যাকে লোকজন তার দুর্ব্যবহারের দরুন পরিত্যাগ করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৬০, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪১০]
৬৪৯১. ইবনি মুন্কাদির [রাদি.] থেকে অত্র সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি মুন্কাদির [রাদি.] থেকে অত্র সানাদে এ মর্মে বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তার বর্ণনায় পার্থক্য এতটুকু যে, তিনি فلبئس ابن العشريرالى الاخر এর স্থলে بِئْسَ أَخُو الْقَوْمِ وَابْنُ الْعَشِيرَةِ (গোত্রের সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ভাই এবং বংশের কুসন্তান] বলেছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৬১, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪১১]
Leave a Reply