গালি দেওয়া নিয়ে হাদিস । মুসলিমের প্রশংসা করা হলে যা বলবে

গালি দেওয়া নিয়ে হাদিস । মুসলিমের প্রশংসা করা হলে যা বলবে

গালি দেওয়া নিয়ে হাদিস । মুসলিমের প্রশংসা করা হলে যা বলবে  << হিসনুল মুসলিম এর মুল সুচিপত্র দেখুন

গালি দেওয়া নিয়ে হাদিস 

যাকে আপনি গালি দিয়েছেন তার জন্য দো‘আ
কোনো মুসলিম অপর মুসলিমকে প্রশংসা করলে যা বলবে
কোনো মুসলিমের প্রশংসা করা হলে সে যা বলবে

১১২. যাকে আপনি গালি দিয়েছেন তার জন্য দো‘আ

২৩০- রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 

اللَّهُمَّ فَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ سَبَبْتُهُ فَاجْعَلْ ذَلِكَ لَهُ قُرْبَةً إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

(আল্লা-হুম্মা ফাআইয়্যূমা মুমিনিন্ সাবাবতুহু ফাজ্আল যা-লিকা লাহু কুরবাতান ইলাইকা ইয়াউমাল ক্বিয়া-মাতি)।

“হে আল্লাহ! যে মুমিনকেই আমি গালি দিয়েছি, তা তার জন্য কিয়ামতের দিন আপনার নৈকট্যের মাধ্যম করে দিন।”

বুখারী (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১৭১, নং ৬৩৬১; মুসলিম ৪/২০০৭, নং ৩৯৬, আর তার শব্দ হচ্ছে, “ফাজ‘আলহা লাহূ যাকাতান ও রাহমাতান”। অর্থাৎ ‘সেটা তার জন্য পবিত্রতা ও রহমত বানিয়ে দিন’।

১১৩. কোনো মুসলিম অপর মুসলিমকে প্রশংসা করলে যা বলবে

২৩১- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যখন তোমাদের মধ্যে কেউ কারো প্রশংসা করতেই হয়, তখন যেন সে বলে,

أَحْسِبُ فُلاَناً وَاللَّهُ حَسِيبُهُ، وَلاَ أُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَداً، أَحْسِبُهُ – إِنْ كَانَ يَعْلَمُ ذَاكَ – كَذَا وَكَذَا

“অমুক প্রসঙ্গে আমি এ ধারণা রাখি, আর আল্লাহই তার ব্যাপারে সঠিক হিসাবকারী, আল্লাহর ওপর (তাঁর জ্ঞানের উপরে উঠে) কারও প্রশংসা করছি না। আমি মনে করি, সে এ ধরনের, ও ধরনের -যদি তার সম্পর্কে তা জানা থাকে-।”

মুসলিম, ৪/২২৯৬, নং ৩০০০।

১১৪. কোনো মুসলিমের প্রশংসা করা হলে সে যা বলবে

اللَّهُمَّ لاَ تُؤَاخِذْنِي بِمَا يَقُولُونَ، وَاغْفِرْ لِي مَا لاَ يَعْلَمُونَ، [وَاجْعَلْنِي خَيْراً مِمَّا يَظُّنُّونَ]

(আল্লা-হুম্মা লা-তুআ-খিযনী বিমা ইয়াক্বূলূনা, ওয়াগফিরলী মা-লা ইয়ালামূনা, [ওয়াজআলনী খাইরাম মিম্মা ইয়াযুন্নূনা])

২৩২- “হে আল্লাহ, তারা যা বলছে তার জন্য আমাকে পাকড়াও করবেন না, তারা (আমার ব্যাপারে) যা জানে না সে ব্যাপারে আমাকে ক্ষমা করুন, [আর তারা যা ধারণা করে তার চাইতেও আমাকে উত্তম বানান]।”

বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, নং ৭৬১। আর শাইখ আলবানী তাঁর সহীহুল আদাবিল মুফরাদ গ্রন্থে নং ৫৮৫, সেটার সনদকে সহীহ বলেছেন। আর দু’ ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ বাইহাকীর শু‘আবুল ঈমান গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে, ৪/২২৮, যা অন্য পদ্ধতিতে এসেছে।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply