কিশমিশ কাচা ও পাকা খেজুর দিয়ে মদ তৈরি করে খাওয়া হারাম
কিশমিশ কাচা ও পাকা খেজুর দিয়ে মদ তৈরি করে খাওয়া হারাম >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ৫২, বিভিন্ন প্রকার পানীয়, হাদীস (৫৫৪০-৫৬১৯)
১.পরিচ্ছেদঃ মদ হারাম হওয়া সম্পর্কে
২.পরিচ্ছেদঃ মদ হারাম হওয়ার পর যে পানীয় ফেলে দেয়া হয়, তার বর্ণনা
৩.পরিচ্ছেদঃ কাঁচা ও শুকনো খেজুর মিশ্রিত পানীয়ের মদ নামকরণ
৪.পরিচ্ছেদঃ পেকে ওঠা খেজুর ও শুকনো খেজুরযোগে তৈরি পানীয় পানের নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে যে কোন দুই উপাদানযোগে তৈরি পানীয়ের নিষিদ্ধতা
৫.পরিচ্ছেদঃ আধাপাকা ও হলদে হইয়া ওঠা খেজুরের মিশ্রণ
৬.পরিচ্ছেদঃ কাঁচা ও পাকা খেজুরের মিকচার
৭.পরিচ্ছেদঃ হলদে হইয়া ওঠা ও কাঁচা খেজুরের মিশ্রণ
৮.পরিচ্ছেদঃ কাঁচা ও পাকা তাজা খেজুরের মিশ্রণ
৯.পরিচ্ছেদঃ কাঁচা এবং পাকা শুকনো খেজুরের মিশ্রণ
১০.পরিচ্ছেদঃ কাঁচা খেজুর ও কিশমিশের মিশ্রণ
১১.পরিচ্ছেদঃকাঁচা খেজুর ও কিশমিশ মিশ্রিত করা
১২.পরিচ্ছেদঃ কাঁচা খেজুর ও কিশমিশ মিশ্রিত করা
১৩.পরিচ্ছেদঃ দুই উপাদান মিশ্রিত করা নিষেধ হওয়ার কারণ তাতে একটির উপর অন্যটি প্রবল হইয়া মাদকতার স্তরে পৌছে যেতে পারে
১৪.পরিচ্ছেদঃ নেশাকর হওয়ার আগে শুধু কাঁচা খেজুরের পানীয় পানের অনুমতি
১৫.পরিচ্ছেদঃ মুখবন্ধ পাত্রে নাবীয তৈরির অনুমতি
তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৬..পরিচ্ছেদঃ শুধু খেজুর ভেজানোর অনুমতি
১৭.পরিচ্ছেদঃ শুধু কিশমিশ দ্বারা নাবীয তৈরি
১৮.পরিচ্ছেদঃ কাঁচা খেজুরকে পৃথক ভেজানো
১৯.পরিচ্ছেদঃ মদ হারাম হওয়ার সময় যে সব বস্তু দ্বারা মদ তৈরি হতো তার বর্ণনা
২০.পরিচ্ছেদঃ ফল ও খাদ্য থেকে তৈরি নেশাকর পানীয়সমূহ হারাম
২১.পরিচ্ছেদঃ প্রত্যেক নেশাকর পানীয়ের জন্যই খামর [মদ] নাম প্রযোজ্য
২২.পরিচ্ছেদঃ মিয্র ও বিত-এর ব্যাখ্যা১
২৩.পরিচ্ছেদঃ মিয্র ও বিত-এর ব্যাখ্যা১
১.পরিচ্ছেদঃ মদ হারাম হওয়া সম্পর্কে
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মুর্তি পূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ধারণী তীর-এ সমস্তই ঘৃণ্য বস্তু এবং শয়তানের কাজ, সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হইতে পার। শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদেরকে আল্লাহর যিকির ও সালাতে বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হইবে না? [সূরা মায়িদাঃ ৯০-৯১]
৫৫৪০. উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন মদ হারাম হওয়া সম্পর্কে আয়াত নাযিল হলো, তখন উমার [রাঃআঃ] দুআ করলেনঃ হে আল্লাহ্! মদ সম্পর্কে আমাদেরকে ষ্পষ্ট আদেশ দান করুন। তখন সূরা বাকারার আয়াত নাযিল হলো। উমার [রাঃআঃ]-কে ডেকে তাঁকে ঐ আয়াত পড়ে শুনানো হলো। তিনি দুআ করলেনঃ ইয়া আল্লাহ্! মদ সম্পর্কে আমাদেরকে পরিষ্কার আদেশ দান করুন। তখন মদ পানের ব্যাপারে সূরা নিসা-এর আয়াত নাযিল হলোঃ [আরবি] হে ঈমানদারগণ! তোমরা নেশা অবস্থায় সালাতের নিকটেও যাবে না। এরপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পক্ষ হইতে একজন আহবানকারী নামাযের সময় বলতোঃ তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাতের নিকটবর্তী হয়ো না। এরপর উমার [রাঃআঃ]-কে ডেকে এই আয়াত পড়ে শুনানো হলো। তিনি পুনরায় দুআ করলেনঃ ইয়া আল্লাহ্! মদ সম্পর্কে আমাদের জন্য পরিষ্কার হুকুম নাযিল করুন। যখন সূরা মায়িদার আয়াত নাযিল হলো, তখন উমার [রাঃআঃ]-কে ডেকে তা শুনানো হলো। তখন তিলাওয়াতকারী ঐ আয়াতের [আরবি] পর্যন্ত পৌঁছলেন, তখন উমার [রাঃআঃ] বলে উঠলেনঃ আমরা নিবৃত্ত হলাম, আমরা নিবৃত্ত হলাম।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২.পরিচ্ছেদঃ মদ হারাম হওয়ার পর যে পানীয় ফেলে দেয়া হয়, তার বর্ণনা
৫৫৪১. সুলায়মান তায়মী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] তাহাদেরকে জানিয়েছেন যে, আমি আমার চাচাদের সাথে গোত্রের মধ্যে দাঁড়ান ছিলাম। আমি ছিলাম বয়সে তাহাদের সর্বকনিষ্ঠ। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বললোঃ খামর [মদ] হারাম হইয়া গেছে। আমি তখন তাহাদের মাঝে দাঁড়িয়ে তাহাদেরকে ফাযীখ নামক পানীয় পান করাচ্ছিলাম। তারা বললেনঃ এই পাত্র উলটে দাও, তখন আমি ঐ পাত্রগুলো উলটে দিলাম। এ সময় আমি আনাস [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করলামঃ ফাযীখ কি? তিনি বললেনঃ তা শুকনো এবং তাজা খেজুরের তৈরি পানীয়। আবু বকর ইবনি আনাস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বললেনঃ তখন এটাই ছিল তাহাদের খামর [মদ]। আনাস [রাঃআঃ] তা শুনে আপত্তি করেন নি।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৪২. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আবু তালহা, উবায় ইবনি কাব এবং আবু দুজানা আনসারদের এক দলকে শরাব পান করাতাম। তখন এক ব্যক্তি এসে বললোঃ একটা ঘটনা ঘটেছে। মদ হারাম করা হইয়াছে। এ খবর শুনে আমরা শরাবের পাত্র উল্টিয়ে দিলাম। তিনি বলেনঃ তখনকার দিনের মদ ছিল ফাযীখ।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৪৩. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
মদ যখন হারাম হওয়ার সময় হলো, তখন হারাম হলো। আর তাহাদের শরাব ছিল শুকনো ও কাঁচা খেজুর দ্বারা তৈরি।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩.পরিচ্ছেদঃ কাঁচা ও শুকনো খেজুর মিশ্রিত পানীয়ের মদ নামকরণ
৫৫৪৪. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
কাঁচা ও শুকনো খেজুরের শরাবকে খমর বলা হয়।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৫৪৫. মুহারিব ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আমি জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] কে বলিতে শুনিয়াছি, কাঁচা ও শুকনো খেজুরের শরাব খামর [মদ]।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫৫৪৬. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কিশমিশ এবং খেজুর মিশ্রিত পানীয় খামর [মদ]।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪.পরিচ্ছেদঃ পেকে ওঠা খেজুর ও শুকনো খেজুরযোগে তৈরি পানীয় পানের নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে যে কোন দুই উপাদানযোগে তৈরি পানীয়ের নিষিদ্ধতা
৫৫৪৭. নাবী [সাঃআঃ]-এর জনৈক সাহাবী হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পেকে ওঠা কাঁচা খেজুর ও শুকনো খেজুর এবং কিশমিশ ও খেজুরযোগে তৈরি পানীয় পান করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫.পরিচ্ছেদঃ আধাপাকা ও হলদে হইয়া ওঠা খেজুরের মিশ্রণ
৫৫৪৮. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কদুর খোলে, হানতাম, মুযাফ্ফাত এবং নকীরে পানীয় তৈরি করিতে এবং আধাপাকা ও হলদে হইয়া ওঠা খেজুর মিশাতে নিষেধ করিয়াছেন।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৪৯. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কদুর খোল, মুযাফ্ফাত এবং কাঠের পাত্র ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন, আর তিনি খেজুরকে কিশমিশের সাথে এবং কাঁচা খেজুরকে শুকনো খেজুরের সাথে মিশাতে নিষেধ করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৫০. আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কাঁচা ও শুকনো খেজুর এবং কিশমিশ ও খেজুর মিশিয়ে ভেজাতে নিষেধ করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬.পরিচ্ছেদঃ কাঁচা ও পাকা খেজুরের মিকচার
৫৫৫১. আবু কাতাদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ খেজুর এবং কিশমিশ মিশাবে না এবং কাঁচা ও পাকা খেজুর মিশ্রিত করিবে না।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৫২. আবু কাতাদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা কাঁচা ও পাকা খেজুর মিশিয়ে শরাব বানাবে না এবং কিশমিশ ও পাকা খেজুর একত্রে মিশাবে না।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭.পরিচ্ছেদঃ হলদে হইয়া ওঠা ও কাঁচা খেজুরের মিশ্রণ
৫৫৫৩. আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] খেজুর ও কিশমিশ মিশাতে নিষেধ করিয়াছেন। আর তিনি হলদে হইয়া ওঠা ও শুকনো খেজুর মিশাতে নিষেধ করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৮.পরিচ্ছেদঃ কাঁচা ও পাকা তাজা খেজুরের মিশ্রণ
৫৫৫৪. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] খেজুর এবং কিশমিশ এবং কাঁচা ও পাকা খেজুর মিশাতে নিষেধ করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৫৫. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা কিশমিশ এবং খেজুর মিশাবে না এবং কাঁচা ও পাকা খেজুর মিশ্রিত করিবে না।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৯.পরিচ্ছেদঃ কাঁচা এবং পাকা শুকনো খেজুরের মিশ্রণ
৫৫৫৬. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কিশমিশ ও খেজুর মিশিয়ে এবং কাঁচা ও শুকনো পাকা খেজুর মিশ্রিত করে একত্রে ভেজাতে নিষেধ করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৫৭. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কদুর খোল, হানতাম, মুযাফফাত, নকীর ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন। আর তিনি কাঁচা ও পাকা খেজুর এবং কিশমিশ ও খেজুর মিশ্রিত পানীয় তৈরি করিতে নিষেধ করিয়াছেন। আর তিনি হাজার নামক এলাকাবাসীদেরকে লিখেন যে, তোমরা কিশমিশ এবং খেজুর একত্রে মিশ্রিত করিবে না।
নাসায়ী শরীফও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৫৮. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, শুধু কাঁচা খেজুরের শরাবও হারাম এবং শুকনো খেজুরের সাথে মিশ্রিত করাও হারাম।
মদ নানাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১০.পরিচ্ছেদঃ কাঁচা খেজুর ও কিশমিশের মিশ্রণ
৫৫৫৯. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খেজুর এবং কিশমিশ মিশাতে এবং কাঁচা ও শুকনো খেজুর একত্রে ভেজাতে নিষেধ করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৬০. আমর ইবনি দীনার [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খেজুর ও কিশমিশ মিশাতে নিষেধ করিয়াছেন। আর তিনি কাঁচা ও পাকা খেজুর এক সাথে মিশাতে নিষেধ করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১১.পরিচ্ছেদঃকাঁচা খেজুর ও কিশমিশ মিশ্রিত করা
৫৫৬১. আবু কাতাদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা কাঁচা খেজুর ও পাকা তাজা খেজুর মিশিয়ে পানীয় তৈরি করো না, এবং পাকা খেজুর ও কিশমিশ মিশিয়েও পানীয় তৈরি করো না।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১২.পরিচ্ছেদঃ কাঁচা খেজুর ও কিশমিশ মিশ্রিত করা
৫৫৬২. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কিশমিশ ও কাঁচা খেজুর এক সাথে মিশিয়ে পানীয় তৈরি করিতে নিষেধ করিয়াছেন। তিনি কাঁচা খেজুর ও ভেজা খেজুরও এক সাথে মিশাতে নিষেধ করিয়াছেন।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৩.পরিচ্ছেদঃ দুই উপাদান মিশ্রিত করা নিষেধ হওয়ার কারণ তাতে একটির উপর অন্যটি প্রবল হইয়া মাদকতার স্তরে পৌছে যেতে পারে
৫৫৬৩. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুই বস্তু মিশিয়ে নাবীয প্রস্তুত করিতে নিষেধ করিয়াছেন। কেননা তাতে একটি অন্যটির উপর শক্তিশালী হইয়া ওঠে। তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকত নিকট ফাযীখ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তা পান করিতে নিষেধ করেন। আর তিনি ঐ খেজুর পছন্দ করিতেন না, যা একদিক থেকে পাকতে শুরু করেছে। কেননা তাতে দুই বস্তু হওয়ার ভয় রয়েছে। সেজন্য আমরা তার যে দিক থেকে পাকা শুরু হইয়াছে তা কেটে ফেলতাম।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৬৪. আবু ইদরীস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
সুওয়ায়দ ইবনি নাসর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]………আবু ইদরীস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দেখলাম, আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ]-এর নিকট একদিক অর্ধপাকা খেজুর উপস্থিত করা হলে তিনি তা কেটে ফেলছেন।
সুওয়ায়দ ইবনি নাসর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]…………..কাতাদা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আনাস [রাঃআঃ] ঐ খেজুরকে একদিক থেকে কেটে ফেলার আদেশ দিতেন, যাহার একদিক পাকা।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৬৫. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি নিজের কাঁচা খেজুর হইতে ঐ অংশটুকু কেটে ফেলতেন, যেটুকু পেকে গেছে।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৪.পরিচ্ছেদঃ নেশাকর হওয়ার আগে শুধু কাঁচা খেজুরের পানীয় পানের অনুমতি
৫৫৬৬. আবু কাতাদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমরা কাঁচা এবং তাজা পাকা খেজুর একত্রে মিশিয়ে পানীয় তৈরি করিবে না, আর কিশমিশ এবং কাঁচা খেজুরও একত্রে ভেজাবে না, বরং এগুলো পৃথক পৃথকভাবে ভেজাবে।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৫.পরিচ্ছেদঃ মুখবন্ধ পাত্রে নাবীয তৈরির অনুমতি
৫৫৬৭. আবু কাতাদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কাঁচা এবং শুকনো খেজুর মিশ্রিত করে ভেজাতে নিষেধ করিয়াছেন, এবং অর্ধপাকা এবং শুকনো খেজুর মিশ্রিত করে ভেজাতে নিষেধ করিয়াছেন। তিনি বলেছেনঃ এদের প্রত্যেকটি পৃথকভাবে ঐ পাত্রে ভেজাবে যাহার মুখ বন্ধ করা হইয়াছে।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৬.পরিচ্ছেদঃ শুধু খেজুর ভেজানোর অনুমতি
৫৫৬৮. আবু সায়ীদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কাঁচা খেজুরকে শুকনো খেজুরের সাথে মিশাতে অথবা কিশমিশকে শুকনো খেজুরের সাথে কিংবা কিশমিশকে কাঁচা খেজুরের সাথে মিশাতে নিষেধ করিয়াছেন। আর তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তা পান করিতে চায়, সে যেন পৃথক পৃথকভাবে পান করে। খেজুরকে পৃথক, অর্ধপাকা খেজুরকে পৃথক এবং আঙুরকে পৃথক।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৬৯. আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] শুকনো খেজুরের সাথে অর্ধপাকা খেজুরকে মিশাতে, অথবা শুকনো খেজুরের সাথে কিশমিশ বা অর্ধপাকা খেজুরের সাথে কিশমিশ মিশাতে নিষেধ করিয়াছেন। আর তিনি বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে এগুলো পান করিতে চায়, সে যেন পৃথক পৃথকভাবে পান করে।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৭.পরিচ্ছেদঃ শুধু কিশমিশ দ্বারা নাবীয তৈরি
৫৫৭০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কাঁচা খেজুর ও কিশমিশ এবং অর্ধ পাকা খেজুর ও শুকনো খেজুর একত্রে মিশাতে নিষেধ করিয়াছেন। তিনি বলেছেনঃ প্রত্যেকটিকে পৃথক পৃথক ভেজাবে।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
১৮.পরিচ্ছেদঃ কাঁচা খেজুরকে পৃথক ভেজানো
৫৫৭১. আবু সায়ীদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] খেজুর এবং কিশমিশ একত্রে ভেজানো নিষেধ করিয়াছেন এবং শুকনো ও অর্ধপাকা খেজুরকে একত্রে ভেজাতেও নিষেধ করিয়াছেন। তিনি বলেছেনঃ কিশমিশকে পৃথক এবং খেজুরকে পৃথক ভেজাবে এবং অর্ধপাকা খেজুরও পৃথক ভেজাবে।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৭২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এ দুটি থেকেই মদ প্রস্তুত হয়। সুওয়ায়দ [রাঃআঃ]-এর বর্ণনায় আছে এ দুটো গাছ অর্থাৎ খেজুর ও আঙুরের গাছ থেকে।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৭৩. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ খেজুর ও আঙুর এ দুটি গাছ [এর ফল] থেকেই মদ তৈরি হয়।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৭৪. ইবরাহীম এবং শাবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
[السَّكَرُ] অর্থ-মদ।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫৫৭৫. সাঈদ ইবনি জুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ [السَّكَرُ] অর্থ-মদ।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫৫৭৬. সাঈদ ইবনি জুবায়র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ [السَّكَرُ] অর্থ মদ।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৭৭. সাঈদ ইবনি জুবায়র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আয়াতে, সাকার হলো হারাম এবং উত্তম রিযক হলো-হালাল।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২০.পরিচ্ছেদঃ মদ হারাম হওয়ার সময় যে সব বস্তু দ্বারা মদ তৈরি হতো তার বর্ণনা
৫৫৭৮. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি উমার [রাঃআঃ]-কে মিম্বরে খুৎবা দিতে শুনি। তিনি বলেনঃ ওহে লোকসকল! যে দিন মদ হারাম করা হইয়াছিল, তখন পাঁচ বস্তু দ্বারা মদ তৈরি হতোঃ আঙুর, খেজুর, মধু, গম ও যব। আর তাই মদ যা দ্বারা জ্ঞান আচ্ছন্ন করে।
নাসায়ী শরীফ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৭৯. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি উমার [রাঃআঃ]-কে মিম্বরে বলিতে শুনিয়াছি। তিনি আল্লাহর প্রশংসা করার পর বলেনঃ জেনে রাখ! যখন মদ হারাম হয় তখন তা খেজুর, গম, যব, মধু এবং আঙুর এ পাঁচটি বস্তু থেকে মদ তৈরি হতো।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৮০. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ মদ পাঁচ বস্তু দ্বারা প্রস্তুত হয়, খেজুর, গম, যব, মধূ এবং আঙুর।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১.পরিচ্ছেদঃ ফল ও খাদ্য থেকে তৈরি নেশাকর পানীয়সমূহ হারাম
৫৫৮১. ইবনি সীরীন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃআঃ]-এর নিকট এক ব্যক্তি এসে বললোঃ সন্ধ্যায় লোক আমাদের জন্য পানীয় তৈরি করে, পরে আমরা তা ভোরে পান করি। আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] বললেনঃ আমি তোমাকে মাদকদ্রব্য থেকে নিষেধ করছি, তা অল্প হোক আর অধিক। আর আমি তোমাকে আল্লাহর নামে সাক্ষ্য দিয়ে নিষেধ করছি – মাদকদ্রব্য থেকে; তা কম হোক বা বেশী। খায়বারবাসীরা অমুক অমুক বস্তু হইতে মদ তৈরি করতো এবং তারা এটা ওটা নাম রাখতো, অথচ প্রকৃতপক্ষে তা মদ, আর ফাদাকবাসীরা অমুক অমুক বস্তুর শরাব তৈরি করে তার এই নাম রাখে, অথচ তাও মদ। এভাবে তিনি চার প্রকার শরাবের কথা বলিলেন, এর মধ্যে একটি ছিল মধুর শরাব।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২.পরিচ্ছেদঃ প্রত্যেক নেশাকর পানীয়ের জন্যই খামর [মদ] নাম প্রযোজ্য
৫৫৮২. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রত্যেক মাদক দ্রব্যই হারাম এবং প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই খামর [মদ]।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৮৩. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রত্যেক মাদকদ্রব্য হারাম এবং প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই খামর।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৮৪. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রত্যেক নেশাদ্রব্যই খামর।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৮৫. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রত্যেক মাদকদ্রব্য হারাম, আর প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই খামর।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৮৬. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম এবং প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই খামর।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
২৩.পরিচ্ছেদঃ প্রত্যেক মাদকদ্রব্য হারাম
৫৫৮৭. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৮৮. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৫৫৮৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] দুব্বা, মুযাফ্ফাত, নকীর ও হানতাম নামক পাত্রে নাবীয প্রস্তুত করিতে নিষেধ করিয়াছেন এবং তিনি বলেন, প্রত্যেক মাদকদ্রব্য হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৫৫৯০. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা দুব্বায়, মযাফ্ফাত, নকীরে নাবীয প্রস্তুত করিবে না এবং প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৯১. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রত্যেক পানীয়, যা মাদকতা সৃষ্টি করে, তা হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৯২. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]- এর নিকট মধুর তৈরি শরাব সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ প্রত্যেক নেশাযুক্ত পানীয়ই হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৯৩. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]- কে মধুর শরাব সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেনঃ প্রত্যেক পানীয় যাতে মাদকতা রয়েছে তা হারাম। আর মধুর শরাবকে বিত্ বলা হয়।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৯৪. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্ললাহ্ [সাঃআঃ]-কে মধুর তৈরি শরাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেনঃ যে বস্তুই মাদকতা আনে তা হারাম। আর বিত্ হলো মধুর তৈরি শরাব।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৯৫. আবু মূসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৯৬. আবু বুরদা [রাঃআঃ] তাহাঁর পিতা থেকে হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন; রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমাকে এবং মুআয [রাঃআঃ]-কে ইয়ামনে পাঠান। মুআয [রাঃআঃ] বললেনঃ ইয়া রসূলুল্লাহ্! আপনি আমাদেরকে এমন দেশে পাঠাচ্ছেন, যেখানকার অধিবাসীগণ নানারকমের পানীয় ব্যবহার করে থাকে। আমরা কি পান করবো? তিনি বললেনঃ তোমরা পানীয় পান করিবে, কিন্তু ঐ পানীয় যাতে মাদকতা থাকে, তা পান করিবে না।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৫৫৯৭. আবু মূসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রত্যেক মাদকদ্রব্য হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫৯৮. আসওয়াদ ইবনি শায়বান সাদুসী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি আতা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলোঃ আমরা বিভিন্ন সফরে যাই। তখন বাজারে নানারকম পানীয় দেখি; কিন্তু ঐ পানীয় কোন পাত্রে বানানো হইয়াছে, তা জানি না। আতা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বললেনঃ প্রত্যেক নেশাকর বস্তু হারাম। ঐ ব্যক্তি তার প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করিল। তিনি বলিলেন, প্রত্যেক নেশাকর বস্তু হারাম। লোকটি আবারও সেই প্রশ্ন করিল। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে যা বলেছি, তা-ই ঠিক।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫৫৯৯. ইবনি সিরীন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
প্রত্যেক মাদকদ্রব্য হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫৬০০. আবদুল মালিক ইবনি তুফায়ল জাযারী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনি আবদুল আযীয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আমাদের নিকট ফরমান পাঠান যে, তোমরা জ্বালানো দ্রাক্ষারস পান করিবে না, যতক্ষণ না তার দুই তৃতীয়াংশ চলে না যায় এবং এক তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে। আর প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল মাকতু
৫৬০১. সাক ইবনি হায্ন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনি আবদুল আযীয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আদী ইবনি আরতাত [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে লিখলেনঃ প্রত্যেক মাদকদ্রব্য হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান মাকতু
৫৬০২. আবু মূসা আশআরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রত্যেক মাদকদ্রব্য হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৪.পরিচ্ছেদঃ মিয্র ও বিত-এর ব্যাখ্যা১
৫৬০৩. আবু মূসা [রাঃআঃ] তাহাঁর পিতা থেকে হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমাকে ইয়ামানে প্রেরণ করেন, তখন আমি বললামঃ ইয়া রসূলুল্লাহ্! সেখানে বিভিন্ন ধরনের পানীয় পাওয়া যায়। আমি কোন প্রকার পানীয় পান করবো এবং কোন প্রকার বর্জন করবো? তিনি বললেনঃ সেখানে কোন্ প্রকার পানীয় পাওয়া যায়? আমি বললামঃ বিত এবং মিয্র। তিনি বললেনঃ তা কি দিয়ে তৈরি হয়? আমি বললামঃ বিত মধু দ্বারা তৈরি হয় এবং মিয্র ভুট্টার দ্বারা। তখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ যে শরাবে মাদকতা রয়েছে তা পান করিবে না। কেননা, আমি প্রত্যেক মাদকতাপূর্ণ শরাবকে হারাম করেছি।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস
৫৬০৪. আবু বুরদা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর পিতা থেকে হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে ইয়ামানে পাঠান। তখন আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেখানে মিযর এবং বিত পাওয়া যায়। তিনি বললেনঃ বিত ও মিযর কি বস্তু? আমি বললাম বিত এক প্রকার পানীয় যা মধু দ্বারা তৈরি করা হয়; আর মিযর যব দ্বারা তৈরি হইয়া থাকে। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ যা মাদকতা সৃষ্টি করে, তা-ই হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬০৫. ইব্ন উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খুৎবায় মদের আয়াত পাঠ করিলেন। তখন এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! মিযর – এর বিধান কি? তিনি বললেনঃ মিযর কি? সে বললোঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! এক প্রকার পানীয়, যা ইয়ামানে তৈরি হয়। তিনি বললেনঃ তাতে মাদকতা আছে কি? সে বললোঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ যা মাদকতা সৃষ্টি করে, তা হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬০৬. আবুল জুওয়াইরিয়া [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আমি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]-এর নিকট কাউকে প্রশ্ন করিতে শুনলাম, কেউ তাঁকে বললোঃ আমাকে বাযাক সম্বন্ধে কিছু বলুন, তিনি বললেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সময় বাযাক ছিল না। আর প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৫.পরিচ্ছেদঃ যা অধিক পানে মাদকতা আসে, তা হারাম
৫৬০৭. আমর ইবনি শুআয়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর পিতার মাধ্যমে তাহাঁর দাদা থেকে হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে পানীয় বস্তু অধিক পানে মাদকতা আসে, তার অল্পও হারাম।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৫৬০৮. আমির ইবনি সাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর পিতা সূত্রে নাবী [সাঃআঃ] থেকে হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি তোমাদেরকে ঐ পানীয় বস্তুর অল্পও পান করিতে নিষেধ করছি, যাহার অধিক পানে মাদকতা সৃষ্টি হয়।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬০৯. সাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর পিতা সূত্রে নাবী [সাঃআঃ] থেকে হইতে বর্ণিতঃ
তিনি ঐ পানীয় বস্তুর অল্পও পান করিতে নিষেধ করিয়াছেন, যাহার অধিক পানে মাদকতা সৃষ্টি হয়।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬১০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এবার আমি জানলাম যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রোজা রেখেছেন। আমি তাহাঁর ইফতারের সময় নাবীয নিয়ে তাহাঁর নিকট উপস্থিত হলাম, যা আমি তাহাঁর জন্য কদুর খোলে তৈরি করেছিলাম। তিনি বললেনঃ নিকটে আনো। আমি যখন তা নিকটে নিলাম, তখন তা গাঁজাচ্ছিল। এরপর তিনি বললেনঃ দেওয়ালে ছুঁড়ে মার। কেননা, এটা ওই ব্যক্তির পানীয় যে আল্লাহ এবং কিয়ামতের দিনের প্রতি ঈমান রাখে না।
আবু আব্দুর রহমান বলেনঃ এতে মাদকদ্রব্য হারাম হওয়ার প্রমাণ রয়েছে; অল্প হোক বা বেশি। এর বিপরীতে সেই আত্মপ্রবঞ্চকদের এ কথা ঠিক নয় যে, পানপাত্রের সর্বশেষ চুমুকটি হারাম, আগে যা পান করেছে, তা হারাম নয়। জ্ঞানীজনের মধ্যে এই বিষয়ে কোন মতপার্থক্য নেই যে, নেশা প্রথমে বা দ্বিতীয় চুমুক বা কেবল শেষ চুমুকে আসে তা না; বরং সবগুলো চুমুকের সমষ্টি দ্বারাই নেশা সৃষ্টি হয়।
মদ নাবীজ ও বিভিন্ন প্রকার পানীয় ও তার বিধান হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply