খুশবু , মিস্ক, দাঁত সরু করা, ভ্রু উপড়ে ফেলা, পরচুলা ও উল্কি আঁকা
খুশবু , মিস্ক, দাঁত সরু করা, ভ্রু উপড়ে ফেলা, পরচুলা ও উল্কি আঁকা >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৭৭, পোশাক-পরিচ্ছদ, অধ্যায়ঃ (৭৮-৮৭)=১০টি
৭৭/৭৮. অধ্যায়ঃ মিস্কের বর্ণনা।
৭৭/৭৯. অধ্যায়ঃ খুশবু লাগান মুস্তাহাব।
৭৭/৮০. অধ্যায়ঃ খুশবু প্রত্যাখ্যান না করা।
৭৭/৮১. অধ্যায়ঃ যারীরা নামের সুগন্ধি দ্রব্য।
৭৭/৮২. অধ্যায়ঃ সৌন্দর্য লাভের উদ্দেশে সম্মুখের দাঁত কেটে সরু করা ও দাঁতের মধ্যে ফাঁক করা।
৭৭/৮৩. অধ্যায়ঃ পরচুলা লাগানো প্রসঙ্গে।
৭৭/৮৪. অধ্যায়ঃ ভ্রু উপড়ে ফেলা।
৭৭/৮৫. অধ্যায়ঃ পরচুলা লাগানো সম্পর্কিত।
৭৭/৮৬. অধ্যায়ঃ উল্কি অঙ্কনকারী নারী
৭৭/৮৭. অধ্যায়ঃ যে নারী অঙ্গ–প্রত্যঙ্গে উল্কি আঁকিয়ে নেয়।
৭৭/৭৮. অধ্যায়ঃ মিস্কের বর্ণনা।
৫৯২৭
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আবু হুরাইরা (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাঃআঃ) হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ বানী আদমের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্যেই- সওম ব্যতীত। তা আমার জন্য, আমি নিজেই তার পুরস্কার দেব। আর সাওম পালনকারীদের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিস্কের ঘ্রাণের চেয়ে অধিক সুগন্ধযুক্ত।(আঃপ্রঃ- ৫৪৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯০)
৭৭/৭৯. অধ্যায়ঃ খুশবু লাগান মুস্তাহাব।
৫৯২৮
আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি যে সব সুগন্ধি পেতাম, তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট সুগন্ধটি নাবী (সাঃআঃ) -কে তাহাঁর মুহরিম অবস্থায় লাগিয়ে দিতাম। [১৫৩৯; মুসলিম ৩৭/৩৩, হাদীস ২১২৪, আহমাদ ৪৭২৪] আঃপ্রঃ- ৫৪৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯১)
৭৭/৮০. অধ্যায়ঃ খুশবু প্রত্যাখ্যান না করা।
৫৯২৯
আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যে, (কেউ তাঁকে খুশবু হাদিয়া দিলে) তিনি (সে) খুশবু ফিরিয়ে দিতেন না এবং বলিতেন, নাবী (সাঃআঃ) খুশবু প্রত্যাখ্যান করিতেন না।(আঃপ্রঃ- ৫৪৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯২)
৭৭/৮১. অধ্যায়ঃ যারীরা নামের সুগন্ধি দ্রব্য।
৫৯৩০
আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি বিদায় হাজ্জে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে নিজ হাতে যারীরা নামের সুগন্ধি লাগিয়ে দিয়েছি, হালাল অবস্থাতেও এবং ইহরাম অবস্থাতেও।(আঃপ্রঃ- ৫৪৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৩)
৭৭/৮২. অধ্যায়ঃ সৌন্দর্য লাভের উদ্দেশে সম্মুখের দাঁত কেটে সরু করা ও দাঁতের মধ্যে ফাঁক করা।
৫৯৩১
আবদুল্লাহ (ইবনু মাসউদ) (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক সে সব নারীদের উপর যারা শরীরে উল্কি অঙ্কণ করে এবং যারা অঙ্কণ করায়, আর সে সব নারীদের উপর যারা চুল, ভ্রু তুলে ফেলে এবং সে সব নারীদের উপর যারা সৌন্দর্যের জন্যে সম্মুখের দাঁত কেটে সরু করে, দাঁতের মধ্যে ফাঁক তৈরি করে, যা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে। রাবী বলেনঃ আমি কেন তার উপর অভিশাপ করব না, যাকে নাবী (সাঃআঃ) অভিশাপ করিয়াছেন? আর আল্লাহর কিতাবে আছেঃ “রাসুল তোমাদেরকে যা দেয় তা গ্রহণ কর।” (সুরা আল-হাশর ৫৯ : ৭) (আঃপ্রঃ- ৫৪৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৪)
৭৭/৮৩. অধ্যায়ঃ পরচুলা লাগানো প্রসঙ্গে।
৫৯৩২
হুমায়দ ইবনু আবদুর রহমান ইবনু আওফ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি হাজ্জ করার সময় মুআবিয়াহ ইবনু সুফইয়ান (রাদি.) -কে মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলিতে শুনেছেন। ঐ সময় তিনি এক দেহরক্ষীর হাত থেকে এক গুচ্ছ চুল নিজ হাতে নিয়ে বলেনঃ তোমাদের আলিমগণ কোথায়? আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে এ রকম করা থেকে নিষেধ করিতে শুনিয়াছি। তিনি বলিতেনঃ বানী ইসরাঈল তখনই ধ্বংস হয়েছে, যখন তাদের নারীরা এরূপ করা আরম্ভ করে।(আঃপ্রঃ- ৫৫০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৫)
৫৯৩৩
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
ইবনু আবু শাইবাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আবু হুরাইরা (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাঃআঃ) হইতে বর্ণিত। আল্লাহ তাআলা লানত করেন সে সব নারীদেরকে যারা নিজে পরচুলা লাগায় এবং যারা অন্যদেরকে তা লাগিয়ে দেয়, যারা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে উলকি আঁকে এবং অন্যকে করিয়ে দেয়।(আঃপ্রঃ- ৫৫০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৫)
৫৯৩৪
আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
এক আনসারী নারী বিয়ে করে। এরপর সে রোগে আক্রান্ত হয়। ফলে তার সব চুল পড়ে যায়। লোকজন তাকে পরচুলা লাগিয়ে দিতে ইচ্ছা করে। আর তারা নাবী (সাঃআঃ) -এর কাছে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিল। তিনি বললেনঃ আল্লাহ লানত করিয়াছেন ঐসব নারীকে যারা নিজেরা পরচুলা লাগায় এবং যারা অন্যদেরকে তা লাগিয়ে দেয়।(আঃপ্রঃ- ৫৫০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৬)
৫৯৩৫
আসমা বিনত আবু বকর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
এক মহিলা রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -এর নিকট এসে বললঃ আমি আমার একটি মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। এরপর সে রোগাক্রান্ত হয়, ফলে তার মাথার চুল পড়ে যায়। তার স্বামী এর কারণে আমাকে তিরস্কার করে। আমি কি তার মাথায় পরচুলা লাগিয়ে দিব? তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) যে পরচুলা লাগায় এবং যে তা অন্যকে লাগিয়ে দেয়, তাদের নিন্দা করিলেন।(আঃপ্রঃ- ৫৫০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৭)
৫৯৩৬
আসমা বিনতু আবু বকর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে মহিলা পরচুলা লাগায়, আর যে অপরকে পরচুলা লাগিয়ে দেয়, নাবী (সাঃআঃ) তাদের উপর লানত করিয়াছেন।(আঃপ্রঃ- ৫৫০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৮)
৫৯৩৭
ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ ঐ নারীর উপর লানত করেন, যে পরচুলা লাগায়, আর অপরকে পরচুলা লাগিয়ে দেয়। আর সে নারী উল্কি অঙ্কণ করে এবং যে তা করায়। নাফি বলেনঃ উল্কি অঙ্কণ হয় উঁচু মাংসের উপরে। [৫৯৪০, ৫৯৪২, ৫৯৪৭; মুসলিম ৩৭/৩৩, হাদীস ২১২৪, আহমাদ ৪৭২৪] আঃপ্রঃ- ৫৫০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩৯৯)
৫৯৩৮
সাঈদ ইবনু মুসায়্যাব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ মুআবীয়াহ (রাদি.) শেষবারের মত যখন মাদীনায় আসেন, তখন তিনি আমাদের সামনে খুৎবাহ দেন। তিনি এক গোছা চুল বের করে বললেনঃ আমি ইয়াহূদী ছাড়া অন্য কাউকে এ জিনিস ব্যবহার করিতে দেখিনি। নাবী (সাঃআঃ) একে অর্থাৎ পরচুলা ব্যবহারকারী নারীকে প্রতারক বলেছেন।(আঃপ্রঃ- ৫৫০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০০)
৭৭/৮৪. অধ্যায়ঃ ভ্রু উপড়ে ফেলা।
৫৯৩৯
আলক্বামাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ সৌন্দর্যের উদ্দেশে যে সব নারী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে উল্কি আঁকে, যে সব নারী ভ্রূ উপড়ে ফেলে এবং যেসব নারী দাঁত সরু করে দাঁতের মাঝে ফাঁক করে- যা আল্লাহর সৃষ্টিকে বদলে দেয়, তাদের উপর আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ) লানত করিয়াছেন। উম্মু ইয়াকূব বললঃ এ কেমন কথা? আবদুল্লাহ বললেনঃ আমি কেন তাকে লানত করব না, যাকে আল্লাহর রাসুল লানত করিয়াছেন এবং আল্লাহর কিতাবও। উম্মু ইয়াকূব বললঃ আল্লাহর কসম! আমি পূর্ণ কুরআন পাঠ করেছি, কিন্তু এ কথা তো কোথাও পাইনি। তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! তুমি যদি তা পড়তে, তবে অবশ্যই পেতেঃ {وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا} রাসুল তোমাদেরকে যা দেয় তা গ্রহণ কর, আর তোমাদেরকে যাথেকে নিষেধ করে তাথেকে বিরত থাক- সুরা হাশর ৫৯/৭)। [৪৮৮৬] আঃপ্রঃ- ৫৫০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০১)
৭৭/৮৫. অধ্যায়ঃ পরচুলা লাগানো সম্পর্কিত।
৫৯৪০
ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ পরচুলা লাগানোর পেশাধারী নারী, যে নিজের মাথায় পরচুলা লাগায়, উল্কি অঙ্কণকারী নারী এবং যে অঙ্কণ করে, আল্লাহর নাবী (সাঃআঃ) তাদের লানত করিয়াছেন।(আঃপ্রঃ- ৫৫০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০২)
৫৯৪১
আসমা (বিনত আবু বকর) (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
এক মহিলা নাবী (সাঃআঃ) -কে জিজ্ঞেস করলঃ হে আল্লাহর রাসুল! আমার এক মেয়ের বসন্ত রোগ হয়ে মাথার চুল পড়ে গেছে। আমি তাকে বিয়ে দিয়েছি। তার মাথায় কি পরচুলা লাগাব? তিনি বললেনঃ পরচুলা লাগিয়ে দেয় ও পরচুলা লাগিয়ে নেয় এমন নারীকে আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন। [৫৯৩৫; মুসলিম ৩৭/৩৩, হাদীস ২১২২, আহমাদ ২৪৮৫৮] আঃপ্রঃ- ৫৫০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৩)
৫৯৪২
আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ) থেকে শুনিয়াছি অথবা বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ উল্কি অঙ্কনকারী এবং পেশাধারী নারী এবং পরচুলা ব্যবহারকারী পরচুলা লাগানোর পেশাধারী নারীকে নাবী (সাঃআঃ) লানত করিয়াছেন।(আঃপ্রঃ- ৫৫০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৪)
৫৯৪৩
আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সৌন্দর্যের জন্যে উল্কি অঙ্কনকারী ও উল্কি গ্রহণকারী, ভ্রু উত্তোলনকারী নারী এবং দাঁত সরু করে মাঝে ফাঁক সৃষ্টিকারী নারী, যা আল্লাহর সৃষ্টিকে বদলে দেয়, তাদের উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক। (রাবী বলেন) আমি কেন তাকে অভিশাপ করব না, যাকে আল্লাহর রাসুল অভিশাপ করিয়াছেন এবং তা আল্লাহর কিতাবে বিদ্যমান রয়েছে।(আঃপ্রঃ- ৫৫১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৫)
৭৭/৮৬. অধ্যায়ঃ উল্কি অঙ্কনকারী নারী
৫৯৪৪
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ নযরলাগা প্রকৃত সত্য এবং তিনি উল্কি অঙ্কণ করা থেকে নিষেধ করিয়াছেন। [৫৭৪০] (আ.প্র. ৫৫১১, ই.ফা. ৫৪০৬)
সুফ্ইয়ান (সাওরী) (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুর রহমান ইবনু আবিসের নিকট মানসূর কর্তৃক বর্ণিত আবদুল্লাহ (ইবনু মাসঊদ)-এর হাদীস উল্লেখ করি। তখন আবদুর রহমান ইবনু আবিস বলেন, আমি উম্মু ইয়াকূবের মাধ্যমে আবদুল্লাহ থেকে মানসূর বর্ণিত হাদীসের মতই হাদীস শুনিয়াছি। (আঃপ্রঃ- ৫৫১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৭)
৫৯৪৫
আওন ইবনু আবু জুহাইফাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলিতে শুনিয়াছি- নাবী (সাঃআঃ) রক্তের মূল্য ও কুকুরের মূল্য নিতে নিষেধ করিয়াছেন। আর তিনি সুদ গ্রহীতা, সুদ দাতা, উল্কি অঙ্কনকারী উল্কি গ্রহণকারী নারীদের উপর লানত করিয়াছেন।(আঃপ্রঃ- ৫৫১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৮)
৭৭/৮৭. অধ্যায়ঃ যে নারী অঙ্গ–প্রত্যঙ্গে উল্কি আঁকিয়ে নেয়।
৫৯৪৬
আবু হুরাইয়াহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উমার (রাদি.) -এর নিকট এক মহিলাকে আনা হয়। সে অঙ্গ–প্রত্যঙ্গে উল্কি আঁকতো। তিনি দাঁড়ালেন এবং বলিলেন, আমি তোমাদের আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি (তোমাদের মধ্যে) এমন কে আছে যে উল্কি আঁকার ব্যাপারে নাবী (সাঃআঃ) থেকে কিছু শুনেছে? আবু হুরাইরা (রাদি.) বলেন, আমি দাঁড়িয়ে বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন! আমি শুনিয়াছি। তিনি বলিলেন, কী শুনেছ? আবু হুরাইরা (রাদি.) বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ) -কে বলিতে শুনিয়াছি, মহিলারা যেন উল্কি না আঁকে এবং উল্কি না আঁকিয়ে নেয়।(আঃপ্রঃ- ৫৫১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪০৯)
৫৯৪৭
ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) পরচুলা ব্যবহারকারী এবং এ পেশাধারী এবং উল্কি অঙ্কনকারী এবং তা গ্রহণকারী নারীদের অভিশাপ দিয়েছেন।(আঃপ্রঃ- ৫৫১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১০)
৫৯৪৮
আবদুল্লাহ (ইবনু মাসঊদ) (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য যে নারী উল্কি আঁকে ও আঁকায়, যে নারী ভ্রূ উপড়ে ফেলে এবং যে নারী দাঁত কেটে চিকন করে দাঁতের মাঝখানে ফাঁক করে- যে কাজগুলো দ্বারা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে রূপান্তর ঘটে, এদের উপর আল্লাহ অভিশাপ বর্ষণ করুন। আমি কেন তার উপর অভিশাপ করব না, যাদের উপর আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) অভিশাপ করিয়াছেন এবং মহান আল্লাহর কিতাবেই তা বিদ্যমান আছে। (আঃপ্রঃ- ৫৫১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪১১)
Leave a Reply