কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম , এই অধ্যায়ে হাদীস ৪০ টি (৩৯৬৯ – ৪০০৮) >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
অধ্যায় – ৩২ঃ কুরআনের কিরাআত ও পাঠের নিয়ম
অনুচ্ছেদ-১: কুরআনের কিরাআত ও পাঠের নিয়ম
৩৯৬৯. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] এ আয়াত [এভাবে] পড়েছেনঃ “তোমরা মাক্বামে ইবরাহীমকে সলাতের স্থান বানিয়ে নাও”। [সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১২৫]।
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৯৭০. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একদা রাতে এক লোক উচ্চস্বরে কুরআন তিলাওয়াত করলো। সকালে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ আল্লাহ অমুক ব্যাক্তির উপর রহমাত বর্ষণ করুন। সে রাতে আমাকে এমন কিছু আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যা আমি প্রায় ভুলতে বসেছিলাম।
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৯৭১. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, “আর নাবীর জন্য শোভনীয় নয় যে, তিনি খিয়ানাত করবেন।” – এই আয়াত বদরের যুদ্ধের সময় অবতীর্ণ হয়েছে। বদরের যুদ্ধের সময় একটা লাল চাঁদর হারিয়ে গেলে কতিপয় লোক বলাবলি করলো, সম্ভবত রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তা নিয়েছেন। তখন আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ “আর নাবীর জন্য শোভনীয় নয় যে, তিনি খিয়ানাত করবেন। অথচ যে ব্যাক্তি খিয়ানাত করিবে সে খিয়ানাতকৃত বস্তুসহ ক্বিয়ামাতের দিন উপস্থিত হইবে। অতঃপর প্রত্যেকেই তার কৃতকর্মের পূর্ণ বিনিময় পাবে এবং তাহাদের প্রতি বিন্দুমাত্র যুলুম করা হইবে না” [সূরাহ আল-ইমরানঃ ১৬১]। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, ইয়াগুলু শব্দের ইয়া-তে যবর হইবে।
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৯৭২. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কৃপণতা ও বার্ধক্য হইতে আশ্রয় চাইছি।
কোরআন শরীফ কিরাআত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৯৭৩. লাক্বীত্ব ইবনি সাবিরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি বনী মুনতাফিকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট গিয়েছিলাম। অতঃপর তিনি হাদিস বর্ণনা করেন। তিনি অর্থাৎ নাবী [সাঃআঃ] সীন হরফে যের পড়েছেন সীনে যবর দিয়ে পড়েননি।
কোরআন শরীফ কিরাআত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৯৭৪. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক অভিযানে মুসলিমগণ এক লোকের সাক্ষাত পেলো, যার কিছু বকরী ছিল। লোকটি বললো, আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। [অথচ] তারা তাহাকে হত্যা করে বকরীগুলো নিয়ে নিলো। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “কেউ তোমাদের সালাম দিলে দুনিয়াবী সম্পদের লোভে তাহাকে বলো না যে, তুমি মুমিন নও” [সূরাহ আন-নিসাঃ ৯৪]। অর্থাৎ সেই বকরীগুলো।
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৯৭৫. খারিজাহ ইবনি যায়িদ ইবনি সাবিত [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] কুরআনের এই আয়াত এভাবে [পেশ দিয়ে] পড়তেনঃ [আরবী]। {৩৯৭৫}
{৩৯৭৫} এর তাখরীজ গত হয়েছে হা/২৫০৫।।। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৩৯৭৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ আয়াত [এভাবে] পড়তেনঃ [আরবী]। {৩৯৭৬}
{৩৯৭৬} তিরমিজি, আহমাদ। ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ হাসান গরীব। এর সানাদে আলী ইবনি ইয়াযীদ আইলী আজ্ঞাত [মাজহুল] যেমনটি হাফিয বলিয়াছেন আত-তাক্বরীব গ্রন্থে। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৯৭৭. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] এ আয়াত এভাবে পড়তেন। [আরবী]।
{৩৯৭৭} এর পূর্বেরটি দেখুন কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৯৭৮. আত্বিয়্যাহ ইবনি সাদ আল-আওফী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি আবদুল্লাহ ইবনি উমারের সামনে এই আয়াত [আরবী] – এভাবে পাঠ করলে তিনি বলেন [আরবী] পাঠ করো। বর্ণনাকারী বলেন, আমিও তোমার মত রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] সামনে পড়েছিলাম। ফলে তিনি আমার ভুল ধরেছিলেন যেমন আমি তোমার ভুল ধরেছি। {৩৯৭৮}
{৩৯৭৮} তিরমিজি, আহমাদ। ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ এই হাদিসটি হাসান গরীব। সানাদে আত্বিয়্যাহ বিন সাদ দুর্বল। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৩৯৭৯. আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] এভাবে পড়তেনঃ [আরবী]। {৩৯৭৯}
{৩৯৭৯} আবু দাউদ এটি একক ভাবে বর্ণনা করেছেন। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৩৯৮০. আবদুর রহমান ইবনি আবযা হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, উবাই ইবনি কাব [রাদি.] এই আয়াত এভাবে পড়তেনঃ [আরবী]। {৩৯৮০}
{৩৯৮০} আহমাদ। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৩৯৮১.উবাহ ইবনি কাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] এই আয়াত এভাবে পড়তেনঃ [আরবী]। {৩৯৮১}
{৩৯৮১} আহমাদ। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৩৯৮২. আসমা বিনতু আবু বাক্র [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নাবী [সাঃআঃ]-কে এ আয়াত এভাবে পড়তে শুনেছেনঃ [আরবী]। {৩৯৮২}
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৯৮৩. শাহর ইবনি হাওশাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি উম্মু সালামাহ [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলাম, নাবী [সাঃআঃ] এই কিভাবে পড়তেনঃ [আরবী]? তিনি বলেনঃ তিনি এই আয়াত এভাবে পড়তেনঃ [আরবী]।
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৯৮৪. উবাই ইবনি কাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন দুআ করিতেন তখন প্রথমে নিজের জন্য দুআ করিতেন এবং বলিতেনঃ আমাদের উপর এবং মূসার উপর আল্লাহর রহমাত। যদি তিনি ধৈর্য ধারণ করিতেন, তাহলে তিনি তার সঙ্গী [খিযির] থেকে আশ্চর্যকর জিনিস দেখিতে পেতেন। বরং তিনি ধৈর্য্য না ধরে বলেনঃ [আরবী]। ক্বারী হামযাহ শব্দটি দীর্ঘ করে পাঠ করেন। {৩৯৮৪}
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৯৮৫. উবাই ইবনি কাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] এই আয়াতের [আরবী] লাদুন্নী শব্দের নূনকে তাশদীদ সহকারে পড়েছেন। {৩৯৮৫}
{৩৯৮৫} তিরমিজি, আহমাদ। ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ হাদিসটি গরীব, এই সূত্র ছাড়া অন্য কোন সূত্রে আমরা এটি অবহিত নাই। সানাদে আবুল জারিয়্যাহ আবদী অজ্ঞাত। আমি জানি না, সে কে এবং তার নামও তার জানা যায়নি। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৯৮৬. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, উবাই ইবনি কাব [রাদি.] আমাকে ঐভাবে পড়িয়েছেন যেভাবে রসূলুল্লাহ [রাদি.] তাহাকে পড়িয়েছিলেন। যেমন [আরবী]। এখানে [আরবী] শব্দটি হালকাভাবে পড়েছেন। {৩৯৮৬}
{৩৯৮৬} তিরমিজি। ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ হাদিসটি এই সূত্র ছাড়া অন্য কোন সূত্রে আমরা এটি অবহিত নই। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৩৯৮৭. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ ইল্লীনের অধিবাসী এক ব্যাক্তি জান্নাতবাসীদের দিকে তাকাবে। ফলে জান্নাত তার দৃষ্টির কারণে মোতির মত উজ্জ্বল হয়ে যাবে।” বর্ণনাকারী বলেন, হাদিসে এভাবেই এসেছে। এখানে [আরবী] শব্দটি দালের উপর পেশ হইবে যের বা যবর হইবে না। অতঃপর নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ আবু বাক্র এবং উমার তাহাদের দলভুক্ত হইবেন। বরং তারা ঐ মতির চাইতে উত্তম। {৩৯৮৭}
{৩৯৮৭} তিরমিজি, ইবনি মাজাহ। ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ এই হাদিসটি হাসান। সানাদে আত্বিয়্যাহ আওফী দুর্বল। কোরআন শরীফ কিরাআত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৯৮৮. ফারওয়াহ ইবনি মুসাইক আল-গুতাইফী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট আসলাম। অতঃপর হাদিস উল্লেখ করেন। এ সময় কওমের এক লোক জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাদেরকে সাবা সম্পর্কে সংবাদ দিন। সেটা কি কোন জায়গার নাম নাকি কোন মহিলার নাম? তিনি [সাঃআঃ] বলিলেনঃ সেটা কোন জায়গা বা মহিলার নাম নয়। বরং তা আরবের একজন লোকের নাম। লোকটির দশজন পূত্র ছিল। যাদের ছয়জন ইয়ামানে এবং চারজন সিরিয়াতে বাস করে। {৩৯৮৮}
{৩৯৮৮} তিরমিজি। ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ এই হাদিসটি হাসান গরীব। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৩৯৮৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ]-এর সূত্রে ওয়াহীর হাদিস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ নাবী [সাঃআঃ] তখন এই আয়াত পড়েছেনঃ [আরবী]।
কোরআন শরীফ কিরাআত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৯৯০. নাবী [সাঃআঃ]-এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] এই আয়াত এভাবে পড়েছেনঃ [আরবী]। ঈমাম আবু দাউদ বলেন, এই বর্ণনাটি মুরসাল। কারণ বর্ণনাকারী রবী উম্মু সালামাহ্র সাক্ষাৎ পাননি। {৩৯৯০}
{৩৯৯০} আবু দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। সানাদে বিচ্ছিন্নতা হয়েছে। রাবী উম্মু সালামাহকে পাননি। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৯৯১. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে এই আয়াত এভাবে পড়তে শুনেছিঃ [আরবী]। {৩৯৯১}
কোরআন শরীফ কিরাআত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৯৯২. সাফওয়ান ইবনি ইয়ালা তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলিয়াছেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে মিম্বারের উপর এই আয়াত এভাবে পড়তে শুনেছিঃ [আরবী]। এই আয়াত ইয়া মা-লা পড়া হয়ে থাকে।
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৯৯৩. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে এই আয়াত এভাবে পড়িয়েছেনঃ [আরবী]।
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৯৯৪. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] এই আয়াত এভাবে পড়তেনঃ [আরবী]। ঈমাম আবু দাউদ বলেন, মীম অক্ষর পেশ, দাল অক্ষর যবর এবং কাফ অক্ষর যের বিশিষ্ট হইবে।
কোরআন শরীফ কিরাআত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩৯৯৫. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে দেখছি এই আয়াত এভাবে পড়তেঃ [আরবী]। {৩৯৯৫}
{৩৯৯৫} হাকিম। ঈমাম হাকিম বলেনঃ সনদ সহিহ। ঈমাম যাহাবী বলেনঃ সানাদে আবদুল মালিক যাঈফ। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৯৯৬. আবু ক্বিলাবাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবু ক্বিলাবাহ [রাদি.] তার থেকে শুনেছেন, যাকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [এই আয়াত] এভাবে পড়িয়েছেনঃ [আরবী]। {৩৯৯৬}
{৩৯৯৬} হাকিম। ঈমাম হাকিম বলেনঃ সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম শর্তে সহিহ। যাহাবী তার সাথে একমত পোষণ করেছেন। কোরআন শরীফ কিরাআত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৯৯৭. আবু ক্বিলাবাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমার কাছে ঐ ব্যাক্তি বর্ণনা করেছেন, যাকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পড়িয়েছেনঃ [আরবী]। অর্থাৎ তিনি [আরবী]-এর যাল অক্ষরে যবর দিয়ে পড়তেন। {৩৯৯৭}
{৩৯৯৭} এর পূর্বেরটি দেখুন। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৯৯৮. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি হাদিসে বর্ণনা করেনঃ [আরবী]। তিনি বলেনঃ [আরবী]। এতে কয়েক ধরনের কিরাআত আছে। {৩৯৯৮}
{৩৯৯৮} আহমাদ, হাকিম। ঈমাম হাকিম বলেনঃ সহিহ। ঈমাম যাহাবী বলেনঃ এর সানাদে আত্বিয়্যাহ আওফী দুর্বল। কোরআন শরীফ কিরাআত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩৯৯৯. মুহাম্মাদ ইবনি খাযিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
একদা আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর নিকট উল্লেখ করা হলো, জিবরাঈল ও মীকাঈল-এর কিরাআত কিরূপ? তখন আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আমাদেরকে হাদিস বর্ণনা করলেনঃ আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] শিংগাওয়ালা [ইসরাফীল] সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেনঃ তার ডানপাশে জিব্রাঈল ও তার বাম পাশে মীকাঈল থাকিবেন। {৩৯৯৯}
{৩৯৯৯} এর পূর্বের হাদিস দেখুন। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪০০০. ইবনিল মুসাইয়্যাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] আবু বাক্র, উমার ও উসমান [রাদি.] এ আয়াত [আরবী] এই নিয়মে অর্থাৎ মীম-এর সাথে আলিফ-সহ পড়েন। মারওয়ান সর্বপ্রথম আলিফ ছাড়া পড়েন। {৪০০০}
{৪০০০} তিরমিজি। ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ এই হাদিসটি হাসান গরীব। এই সনদটি মুনকাতি। যুহরী হাদিসটি ইবনিল মুসায়্যিব থেকে শুনেননি। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪০০১. উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কুরআন পাঠ বর্ণনা করেন অথবা অনুরূপ শব্দ প্রয়োগ করেন [আরবী]। তিনি প্রতিটি আয়াত বিরতি দিয়ে পাঠ করিতেন। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি আহ্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে বলিতে শুনিয়াছি, প্রাচীন কিরাআত হলো [আরবী]।
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪০০২. আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পিছনে একই গাধার পিঠে বসা ছিলাম, তখন সূর্য অস্ত যাচ্ছিল। তিনি আমাকে বলিলেনঃ তুমি কি জানো, এটা কোথায় অস্তমিত হয়? আমি বলিলাম, আল্লাহ এবং তাহাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বলেনঃ “এটা উষ্ণ পানির এক ঝর্ণায় অস্তমিত হয়” [সূরাহ কাহ্ফঃ ৮৬]। {৪০০২}
কোরআন শরীফ কিরাআত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪০০৩. ইবনিল আস্কা [রাদি.] এর মুক্তদাস হইতে ইবনিল আস্কার হইতে বর্ণীতঃ
তিনি ইবনিল আস্কাকে বলিতে শুনেছেন, নাবী [সাঃআঃ] মুহাজিরদের আঙ্গিনায় তাহাদের নিকট আসলেন। তখন এক ব্যক্তি তাঁকে প্রশ্ন করলো, কুরআনের কোন্ আয়াতটি সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ? তিনি বলেনঃ [আরবী]। আয়াতুল কুরসী।
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪০০৪. ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি এ আয়াত [আরবী] [তার উপর যবর দিয়ে] পড়েছেন। শাকীক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলিলেন, আমরা তো এ আয়াত [আরবী] [হা তে যের ও তার উপর পেশ দিয়ে] পড়ে থাকি। ইবনি মাসউদ [রাদি.] বলিলেন, আমাকে যে রীতিতে পড়া শিখানো হয়েছে, আমি সেভাবেই পড়তে ভালোবাসি। {৪০০৪}
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪০০৫. শাকীক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.]-কে বলা হলো, কিছু লোক এ আয়াত [আরবী] পড়ে [হার নীচে যের এবং তার উপর পেশ দিয়ে]। তিনি বলিলেন, আমাকে যেভাবে শিখানো হয়েছে আমি সেভাবেই পড়া পছন্দ করি। এ বলে তিনি পাঠ করিলেন [আরবী] [হার উপর ও তার উপর যবর দিয়ে]। {৪০০৫}
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪০০৬. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ আল্লাহ বনী ইসরাঈলকে বলেনঃ [আরবী] “তোমরা নতশিরে দরজা দিয়ে প্রবেশ করো আর বলিতে থাকো, “ক্ষমা করুন”, তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করা হইবে” [সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ৫৮]। {৪০০৬}
{৪০০৬} এই সূত্রে আবু দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আর সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম এটি বর্ণনা করেছেন মামার হইতে…….। কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ হাসান সহিহ
৪০০৭. হিশাম ইবনি সাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
হিশাম ইবনি সাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার সানাদে পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ণিত।
এর পূর্বেরটি দেখুন।
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৪০০৮. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর উপর ওয়াহী অবতীর্ণ হয়েছে আর তিনি আমাদের নিকট তা পাঠ করেছেনঃ [আরবী] [সূরাহ আন-নূরঃ ১]। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, অর্থাৎ হালকাভাবে নয়। অতঃপর তিনি সামনের দিকে পড়তে থাকেন। {৪০০৮}
কোরআন শরীফ তেলাওয়াত ও পাঠের নিয়ম – এই হাদিস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply