কুরবানী করা মুস্তাহাব, দোয়া, ফারা ও আতীরা
কুরবানী করা মুস্তাহাব , আর অপর কে দায়িত্ব না দিয়ে নিজেই তা জবেহ করা >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১. অধ্যায়ঃ কুরবানী করার সময় প্রসঙ্গে
২. অধ্যায়ঃ কুরবানীর পশুর বয়স
৩. অধ্যায়ঃ কুরবানী করা মুস্তাহাব, আর অপর কে দায়িত্ব না দিয়ে নিজেই তা জবেহ করা এবং বিস্মিল্লা-হ ও আল্ল-হু আকবার বলাও মুস্তাহাব
৪. অধ্যায়ঃ যা রক্ত ঝরায় তা দিয়েই জবেহ করা বৈধ, তবে দাঁত-নখ ও সকল হাড় ব্যতীত
৫. অধ্যায়ঃ ইসলাম সূচনালগ্নে তিনদিনের পরে কুরবানীর গোশ্ত খাওয়া সম্বন্ধে যে নিষেধাজ্ঞা অর্পিত হয়েছিল তার বর্ণনা এবং তা রহিত হওয়া ও যতদিন ইচ্ছা ততদিন পর্যন্ত খাওয়া বৈধ হওয়ার বর্ণনা
৬. অধ্যায়ঃ ফারা“ ও “আতীরাহ্
৭. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশদিনে প্রবেশ করিল এবং কুরবানী দেয়ার ইচ্ছা করিল তার জন্য চুল ও নখ কর্তন নিষেধ
৮. অধ্যায়ঃ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন কিছুর নামে জবেহ করা হারাম হওয়া প্রসঙ্গে
১. অধ্যায়ঃ কুরবানী করার সময় প্রসঙ্গে
৪৯৫৮. জুন্দাব ইবনি সুফ্ইয়ান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে ঈদুল আয্হায় উপস্থিত ছিলাম। তিনি অন্য কোন কাজ না করে নামাজ আদায় করিলেন। নামাজ শেষে সালাম ফিরলেন। অতঃপর তিনি কুরবানীর গোশ্ত দেখিতে পেলেন, যা তাহাঁর নামাজ আদায়ের আগেই জবেহ করা হয়েছিল। তারপর তিনি বলিলেন, যে লোক নামাজ আদায়ের আগে তার কুরবানীর পশু জবেহ করেছে, সে যেন এর জায়গায় অন্য একটি পশু জবেহ করে। আর যে ব্যক্তি জবেহ করেনি সে যেন আল্লাহ্র নাম নিয়ে [বিস্মিল্লা-হ] জবেহ করে। {১}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯০৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯০৮]
{১} অর্থাৎ ঈদের দিন মাঠে দুরাকআত নামায আদায়ের পূর্বে কেউ যদি কুরবানীর পশু জবেহ করে ফেলে তাহলে সেটি কুরবানী হইবে না বরং তা সাধারণ পশু যাবাহের মত হইবে।
৪৯৫৯. জুন্দাব ইবনি সুফ্ইয়ান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে ঈদুল আয্হায় উপস্থিত ছিলাম। তিনি মানুষের সাথে নামাজ শেষ করে একটি বকরী দেখিতে পেলেন, যা নামাজের আগেই জবেহ করা হয়েছে। তখন তিনি [সাঃআঃ] বলিলেন, নামাজের আগে যে লোক জবেহ করেছে, সে যেন এর জায়গায় অন্য একটি বকরী জবেহ করে। আর যে জবেহ করেনি সে যেন এখন আল্লাহ্র নাম নিয়ে জবেহ করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯০৫, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯০৯]
৪৯৬০. আস্ওয়াদ ইবনি কায়স [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উক্ত সূত্রে হাদীসটি রিওয়ায়াত করিয়াছেন এবং তাঁরা আবুল আহ্ওয়াস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসের হুবুহু … বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯০৬, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯১০]
৪৯৬১. জুন্দাব বাজালী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি সে সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে উপস্থিত ছিলাম, যখন তিনি ঈদুল আয্হার নামাজ আদায় করছিলেন। অতঃপর তিনি খুৎবা দিতে গিয়ে বলেন, যে লোক নামাজ সম্পন্ন হওয়ার আগে জবেহ করেছে সে যেন এর জায়গায় আরেকটি [পশু] জবেহ করে। আর যে জবেহ করেনি, সে যেন এখন আল্লাহ্র নামে জবেহ করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯০৭, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯১১]
৪৯৬২. শুবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উল্লেখিত সূত্রে হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯০৮, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯১২]
৪৯৬৩. বারা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার মামা আবু বুরদাহ্ [রাদি.] নামাজের আগে কুরবানী করলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ ওটা গোশ্তের বকরী। তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আমার কাছে ছয় মাসের একটি বকরীর বাচ্চা রয়েছে। তিনি বলিলেন, সেটি জবেহ করো। তুমি ব্যতীত অন্য কারো জন্য তা ঠিক হইবে না। অতঃপর তিনি বলিলেন, যে লোক নামাজের আগে জবেহ করিল, সে শুধু নিজের জন্যই জবেহ করিল [অর্থাৎ আল্লাহর জন্য হলো না]। আর যে লোক নামাজের পর জবেহ করিল, তার কুরবানী পূর্ণ হয়ে গেল এবং সে মুসলিমদের শারীআত অনুযায়ী কাজ করিল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯০৯, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯১৩]
৪৯৬৪. বারা ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তাহাঁর মামা আবু বুরদাহ্ ইবনি নিয়ার [রাদি.] নবী [সাঃআঃ]-এর জবেহ এর আগে জবেহ করিলেন এবং বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আজকের দিনে গোশ্ত খোঁজা ভাল নয়। তাই আমি আমার পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও স্বীয় গৃহের লোকদের খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে দ্রুত কুরবানী করেছি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি আবার কুরবানী করো। তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আমার কাছে একটি দুধেল বকরী আছে, যেদি গোশ্তের [মাপে] দুটি বকরীর চেয়েও ভাল। তিনি বলিলেন, দুটির কুরবানীর মধ্যে এটিই তোমার উত্তম কুরবানী হইবে। আর তুমি ব্যতীত অন্য কারো জন্য ছয় মাসের বকরী যথেষ্ট হইবে না।
[ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯১০, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯১৪]
৪৯৬৫. বারা ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, [একদা] কুরবানীর দিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের লক্ষ্য করে খুৎবা দিলেন এবং বললেনঃ নামাজ আদায়ের আগে কেউ যেন জবেহ না করে। বারা [রাদি.] বলেন, অতঃপর আমার মামা বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আজকের দিনে তো গোশ্ত খোঁজা ভাল নয়। অতঃপর বর্ণনাকারী হুশায়ম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের উপরোল্লিখিত বাক্য বর্ণনা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯১১, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯১৫]
৪৯৬৬. বারা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোক আমাদের মতো নামাজ আদায় করে, আমাদের কিবলামুখী হয় এবং আমাদের মতো কুরবানী করে, সে যেন নামাজের পূর্বে জবেহ না করে। পরে আমার মামা বলিলেন, হে আল্লাহ্র রসুল [সাঃআঃ] আমি তো আমার ছেলের পক্ষ থেকে কুরবানী করে ফেলেছি। তিনি বলিলেন, সেটা তো এমন জিনিস, যা তুমি তোমার পরিবারের জন্য জলদি করে [জবেহ করে] ফেলেছ। তিনি বলিলেন, আমার কাছে [এমন] একটি বকরি আছে, যা দুটি বকরীর চেয়ে উত্তম। তিনি বলিলেন, তুমি সেটা কুরবানী কর। কারন সেটাই তোমার উত্তম কুরবানী হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯১২, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯১৬]
৪৯৬৭. বারা ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আজকের দিনে আমাদের প্রথম কাজ হলো নামাজ আদায় করা। তারপর আমরা ফিরে গিয়ে কুরবানী করব। যে লোক এরূপ করলো সে আমাদের সুন্নাত পালন করলো। আর যে লোক [নামাজের আগে] জবেহ করলো, সেটা কেবল গোশ্ত [খাওয়ার জন্য] হলো, যা সে নিজের পরিবারের জন্য অগ্রিম ব্যবস্থা করলো। সেটা কুরবানীর কিছুই হলো না। আবু বুরদাহ্ ইবনি নিয়ার [রাদি.] পূর্বেই কুরবানীর নিয়্যাতে জবেহ করে ফেলেছিলেন। তাই তিনি বলিলেন, আমার কাছে একটি ছয় মাসের বকরীর বাচ্ছা আছে যা এক বছরের বাচ্চার চেয়েও হৃষ্টপুষ্ট। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি সেটিই কুরবানী করো। তোমার পরে আর কারো জন্য এটা যথেষ্ট হইবে না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯১৩, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯১৭]
৪৯৬৮. বারা ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] হইতে অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯১৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯১৮]
৪৯৬৯. বারা ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুরবানীর দিন নামাজের পর আমাদের লক্ষ্য করে খুৎবা দিলেন। তারপর রাবী উল্লেখিত বর্ণনাকারীদের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯১৫, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯১৯]
৪৯৭০. বারা ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, কুরবানীর দিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের উদ্দেশ্যে খুৎবা দিলেন। তিনি এতে বললেনঃ নামাজের আগে কেউ যেন কুরবানী না করে। এক লোক বলিল, আমার কাছে একটি দুধেল বকরী রয়েছে, যেটি গোশ্তের [হিসেবে] দুটি বকরীর চেয়ে উত্তম। তিনি বলিলেন, ওটা কুরবানী করো। তোমার পর অন্য কারো জন্য এ রকম ছমাসের বাচ্চা [কুরবানী করা] যথেষ্ট হইবে না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯১৬, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯২০]
৪৯৭১. বারা ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবু বুরদাহ্ [রাদি.] নামাজের পূর্বে কুরবানী করলে নবী [সাঃআঃ] বললেনঃ এটার পরিবর্তে অন্য একটি কুরবানী করো। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আমার নিকট শুধু একটি ছমাসের বকরীর বাচ্চা আছে। শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, মনে হয় তিনি বলেছেন, সেটা এক বছরের বাচ্চার চাইতেও উত্তম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ সেটির স্থানে এটি কুরবানী করো। আর তোমার পর অন্য কারো জন্য এটা যথেষ্ট হইবে না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯১৭, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯২১]
৪৯৭২. মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না ও ইসহাক্ ইবনি ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] শুবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উপরোল্লিখিত সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
তবে তিনি এটা এক বছরের বাচ্চার চাইতেও উত্তম এ বাক্যের বর্ণনায় সংশয়ের বর্ণনা করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯১৮, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯২২]
৪৯৭৩. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুরবানীর দিন বললেনঃ যে ব্যক্তি নামাজের পূর্বে জবেহ করেছে, সে যেন আবার জবেহ করে। এক লোক দাঁড়িয়ে বলিল, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আজকের দিনে তো গোশ্ত খাওয়ার ইচ্ছা হয়ে থাকে! এ সময় সে তার প্রতিবেশীদের প্রয়োজনের কথাও উল্লেখ করে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যেন তার কথাকে সত্য মনে করিলেন। সে আরো বলিল, আমার কাছে একটি ছমাসের বকরীর বাচ্চা রয়েছে, যেটি গোশ্তের [হিসেবে] অন্য দুটি বকরীর চাইতেও উত্তম, আমি কি সেটি জবেহ করব? আনাস [রাদি.] বলেন, পরে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে অনুমতি দিলেন। আমার জানা নেই যে, ঐ অনুমতি এ লোক ব্যতিত অন্য কারো জন্যে ছিল কি-না। আনাস [রাদি.] আরো বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুটি দুম্বার দিকে এগিয়ে গেলেন এবং সে দুটি জবেহ করিলেন, আর লোকজন বকরীগুলোর দিকে [অর্থাৎ ঐ দুম্বাগুলোর দিকে] এগিয়ে গেল এবং সেগুলো বন্টন করিল। অথবা তিনি বলেছেন, তারা পরস্পর ভাগ-বাটোয়ারা করিল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯১৯, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯২৩]
৪৯৭৪. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নামাজ আদায় করিলেন, এরপর খুৎবা দিলেন। অতঃপর যে লোক নামাজের আগে কুরবানী করেছে তাকে আবার কুরবানী করার নির্দেশ দিলেন। এরপর বর্ণনাকারী ইবনি উলাইয়্যার হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২০ ইসলামিক সেন্টার- ৪৯২৪]
৪৯৭৫. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুরবানীর দিন আমাদের উদ্দেশ্যে খুৎবা দিলেন। তারপর গোশ্তের গন্ধ পেয়ে [নামাজের আগে] কুরবানী করিতে বারণ করিলেন। তিনি বলিলেন, যে ব্যক্তি নামাজের পূর্বে কুরবানী করেছে, সে যেন আবার কুরবানী করে। তারপর বর্ণনাকারী ইবনি উলাইয়্যাহ্ ও হাম্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২১, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯২৫]
২. অধ্যায়ঃ কুরবানীর পশুর বয়স
৪৯৭৬. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা মুসিন্নাহ্ [দুধ দাঁত পড়ে গেছে এমন পশু] ছাড়া কুরবানী করিবে না। তবে এটা তোমাদের জন্য কষ্টকর মনে হলে তোমরা ছমাসের মেষ-শাবক কুরবানী করিতে পার।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২২, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯২৬]
৪৯৭৭. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] কুরবানীর দিন মাদীনায় আমাদের নিয়ে নামাজ আদায় করিলেন। তারপর কিছু লোক এ মনে করে আগেই কুরবানী করে ফেললো যে, নবী [সাঃআঃ] সম্ভবত কুরবানী করিয়াছেন। অতঃপর নবী [সাঃআঃ] যারা তাহাঁর পূর্বে কুরবানী করেছে, তাদেরকে আবার আর একটি কুরবানী করার আদেশ করেন এবং তিনি নির্দেশ দেন, কেউ যেন নবী [সাঃআঃ] এর কুরবানী করার আগে কুরবানী না করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২৩, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯২৭]
৪৯৭৮. উক্বাহ্ ইবনি আমির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সহাবীগনের মধ্যে কুরবানীর পশু বন্টন করার জন্য তাঁকে কিছু বকরী দিলেন। একটি বাচ্চা [ছমাসের] বাকী রয়ে গেল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে এ ব্যাপারে জানালে তিনি বলিলেন, তুমি এটা কুরবানী করো।
কুতাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] … শব্দের স্থলে … শব্দটি উল্লেখ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯২৮]
৪৯৭৯. উক্বাহ্ ইবনি আমির আল-জুহানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের মধ্যে কুরবানীর জন্ত ভাগ করলে আমার ভাগে একটি ছমাসের বাচ্চা ছাগল পড়ে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি তো ছমাসের একটি বাচ্চা [ছাগল] পেয়েছি? তিনি বলিলেন তা-ই তুমি কুরবানী করো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২৫, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯২৯]
৪৯৮০. উক্বাহ্ আমির জুহানী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সাহাবীগণের মধ্যে কুরবানীর জন্তু ভাগ করিলেন। অতঃপর বর্ণনাকারী উল্লেখিত অনুবাদের হুবহু রিওয়ায়াত করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২৬, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৩০]
৩. অধ্যায়ঃ কুরবানী করা মুস্তাহাব , আর অপর কে দায়িত্ব না দিয়ে নিজেই তা জবেহ করা এবং বিস্মিল্লা-হ ও আল্ল-হু আকবার বলাও মুস্তাহাব
৪৯৮১. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] দু শিং বিশিষ্ট সাদা-কালো ধুসর রংয়ের দুটি দুম্বা স্বহস্তে জবেহ করেন। [জবেহ করার সময়] তিনি
بِسْمِ ٱللَّٰهِ
বিস্মিল্লা-হ ও
اللَّهُ أَكْبَرُ
আল্ল-হু আকবার বলেন {২} এবং [যাবাহ্কালে] তাহাঁর একখানা পা দুম্বা দুটির ঘাড়ের পাশে রাখেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২৭, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৩১]
{২} জবেহ করার শুরুতে ……… [বিসমিল্লা-হি আল্ল-হু আকবার] বলে জবেহ করা সুন্নাত।
৪৯৮২. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুশিং যুক্ত সাদা-কালো বর্ণের দুটি দুম্বা কুরবানী করেন। তিনি আরও বলেন, আমি-তাঁকে দুম্বা দুটি স্বহস্তে জবেহ করিতে দেখেছি। আরও দেখেছি, তিনি ও দুটির ঘাড়ের পাশে নিজ পা দিয়ে চেপে রাখেন এবং
بِسْمِ ٱللَّٰهِ
বিস্মিল্লাহ ও
اللَّهُ أَكْبَرُ
আল্লাহ আকবার বলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২৮, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৩২]
৪৯৮৩. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুরবানী করেন। রাবী পরবর্তী অংশ উল্লেখিত হাদীসের মতই রিওয়ায়াত করেন।
শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি কাতাদাহ্কে বললাম, আপনি কি আনাস [রাদি.] থেকে হাদীসটি শুনেছেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ [শুনেছি]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯২৯, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৩৩]
৪৯৮৪. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আনাস [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে হুবহু রিওয়ায়াত করেন। তবে তিনি উল্লেখ করেন যে, আমি তাঁকে ……… বলিতেও শুনেছি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩০, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৩৪]
৪৯৮৫. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুরবানী করার জন্য শিংওয়ালা দুম্বাটি আনতে নির্দেশ দেন- যেটি কালোর মধ্যে চলাফেরা করতো [অর্থাৎ- পায়ের গোড়া কালো ছিল], কালোর মধ্যে শুইতো [অর্থাৎ- পেটের নিচের অংশ কালো ছিল] এবং কালো মধ্য দিয়ে দেখিতে [অর্থাৎ- চোখের চারদিকে কালো ছিল]। সেটি আনা হলে তিনি আয়িশা [রাদি.]-কে বলিলেন, ছোরাটি নিয়ে এসো। অতঃপর বলেন, ওটা পাথরে ধার দাও। তিনি তা ধার দিলেন। পরে তিনি সেটি নিলেন এবং দুম্বাটি ধরে শোয়ালেন। তারপর সেটা জবেহ করিলেন এবং বলিলেন- …………
بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ وَآلِ مُحَمَّدٍ وَمِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ
“আল্লাহ্র নামে। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ ও তাহাঁর পরিবার ও তাহাঁর উম্মাতের পক্ষ হইতে এটা ক্ববূল করে নাও”। তারপর এটা কুরবানী করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩১, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৩৫]
৪. অধ্যায়ঃ যা রক্ত ঝরায় তা দিয়েই জবেহ করা বৈধ, তবে দাঁত-নখ ও সকল হাড় ব্যতীত
৪৯৮৬. রাফি ইবনি খাদীজ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আমরা আগামীকাল শত্রুর সঙ্গে মুকাবিলা করবো। অথচ আমাদের সঙ্গে কোন ছুরি নেই। তিনি বলিলেন, তাড়াতাড়ি কিংবা ভালভাবে দেখে নিখঁতভাবে জবেহ করিবে। যা রক্ত প্রবাহিত করে, যার উপর আল্লাহ্র নাম নেয়া হয় তা [দিয়ে জবেহকৃত জন্তু] খাও। তবে তা যেন দাঁত ও নখ না হয়। আমি তোমাদের কাছে এর কারণ বর্ণনা করেছি। কেননা দাঁত হলো হাড় বিশেষ, আর নখ হলো হাবশীদের ছুরি। রাবী বলেন, আমরা গনীমাতের কিছু উট ও বকরী পেলাম। সেখান থেকে একটি উট ছুটে গেলে এক লোক তীর মেরে সেটাকে আটকিয়ে ফেললো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ এসব উটের মধ্যেও বন্য প্রাণীর মতো আচরণ রয়েছে। অতএব এগুলোর মাঝে কোন একটি যদি নিয়ন্ত্রণ হারা হয়ে যায় তবে তার সঙ্গে এরূপ ব্যবহারই করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩২, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৩৬]
৪৯৮৭. রাফি ইবনি খাদীজ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমরা তিহামার অন্তর্গত যুল-হুলাইফাহ্ নামক জায়গায় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম। সেখানে আমরা বকরী ও উট পেলাম। লোকজন তাড়াতাড়ি করে ডেগের মধ্যে এগুলোর গোশ্ত জ্বাল দিতে লাগলো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নির্দেশ দিলে ডেগগুলোর পার্শ্বদেশ উল্টিয়ে দেয়া হলো। তারপর একটি উট দশটি ছাগলের সমান গণ্য করা হলো। রাবী হাদীসের অবশিষ্টাংশ ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ- এর হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৩, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৩৭]
৪৯৮৮. রাফি ইবনি খাদীজ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ]! আমরা আগামীকাল শত্রুর সঙ্গে মুকাবিলা করবো। অথচ আমাদের সঙ্গে কোন ছুরি নেই। [ধারালো] বাঁশের খোলস দ্বারা কি জবেহ করবো? রাবী ইসমাঈল পুরো ঘটনাসহ হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি {”রাফি [রাদি.]} আরও বলেন, উক্ত উটগুলোর মধ্য হইতে একটি উট ছুটে গেলে আমরা তীর ছুঁড়ে সেটাকে পাকড়াও।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৩৮]
৪৯৮৯. সাঈদ ইবনি মাসরূক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উপরোক্ত সানাদে হাদীসটি শেষ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গরূপে বর্ণিত হয়েছে। হাদীসে তিনি আমাদের সঙ্গে ছুরি নেই, আমরা কি বাঁশ দ্বারা জবেহ করবো রাফি-এর এ উক্তিটি উল্লেখ করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৩৯]
৪৯৯০. রাফি ইবনি খাদীজ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আমরা আগামীকাল দুশমনের সঙ্গে মুকাবিলা করবো, অথচ আমাদের কাছে কোন ছুরি নেই। শুবাহ্ শেষ পর্যন্ত হাদীসটি উল্লেখ করেন। তবে তিনি এ কথাটি উল্লেখ করেননি, “কিছু লোক তাড়াতাড়ি করে, পরে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর আদেশে সেগুলো [ডেগ বা পাতিলগুলো] উল্টিয়ে দেয়া হয়।” তবে [এ অংশটি ব্যতীত] তিনি পুরো ঘটনাই বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৫, ইসলামিক সেন্টার-৪৯৪০]
৫. অধ্যায়ঃ ইসলাম সূচনালগ্নে তিনদিনের পরে কুরবানীর গোশ্ত খাওয়া সম্বন্ধে যে নিষেধাজ্ঞা অর্পিত হয়েছিল তার বর্ণনা এবং তা রহিত হওয়া ও যতদিন ইচ্ছা ততদিন পর্যন্ত খাওয়া বৈধ হওয়ার বর্ণনা
৪৯৯১. আবু উবায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আলী ইবনি আবু তালিব [রাদি.] এর সাথে ঈদগাহে উপস্থিত ছিলাম। তিনি খুতবার আগে নামাজ আদায় করিলেন এবং বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে তিনদিনের পর কুরবানীর গোশ্ত খেতে বারণ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৬, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৪১]
৪৯৯২. আবু উবায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি উমর ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] এর সাথে ঈদগাহে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, [পরবতী সময়] আমি আলী ইবনি আবু তালিব [রাদি.]-এর সাথে নামাজ আদায় করেছি। তিনি খুতবার আগে আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেন। তারপর লোকজনের উদ্দেশ্যে খুত্বাহ্ দেন। [খুতবায়] তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তিনদিনের পর কুরবানীর গোশ্ত আহার করিতে তোমাদের বারণ করিয়াছেন। অতএব তোমরা তা খেয়ো না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৪২]
৪৯৯৩. যুহায়র ইবনি হারব, হাসান হুলওয়ানী ও আব্দ ইবনি হুমায়দ, যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উক্ত সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৪৩]
৪৯৯৪. ইবনি উমর [রাদি.] এর সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেনঃ কেউ যেন কুরবানীর গোশ্ত তিনদিনের পরে না খায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৩৯, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৪৪]
৪৯৯৫. ইবনি উমর [রাদি.] এর সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] হইতে লায়স [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর হাদীসের হুবহু রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪০, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৪৫]
৪৯৯৬. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তিন দিনের উপরে কুরবানীর গোশ্ত আহার করিতে বারণ করিয়াছেন।
সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এজন্য ইবনি উমর [রাদি.] তিনদিনের উপর কুরবানীর গোশ্ত খেতেন না। ইবনি আবু উমর তিনদিনের পর কথাটি বর্ণনা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪১, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৪৬]
৪৯৯৭. আবদুল্লাহ ইবনি ওয়াকিদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, তিন দিনের উপরে কুরবানীর গোশ্ত খেতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিষেধ করিয়াছেন। আবদুল্লাহ ইবনি আবু বাক্র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি বিষয়টি আম্রাহ্ [রাদি.] এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বলেন, ইবনি ওয়াকিদ সত্যই বলেছেন। আমি আয়িশা [রাদি.] কে বলিতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর যামানায় ঈদুল আযহার সময় বেদুঈনদের কিছু পরিবার শহরে আগমন করে, তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা তিনদিনের পরিমাণ জমা রেখে বাকী গোশ্তগুলো সাদাকাহ্ করে দাও। পরবতী সময়ে লোকেরা বলিল, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! মানুষেরা তো কুরবানীর পশুর চামড়া দিয়ে পাত্র প্রস্তুত করছে এবং তার মাঝে চর্বি গলাচ্ছে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তাতে কি হয়েছে? তারা বলিল, আপনিই তো তিনদিনের বেশি কুরবানীর গোশ্ত খাওয়া হইতে বারণ করিয়াছেন। তিনি বললেনঃ আমি তো বেদুঈনদের আগমণের কারণে এ কথা বলেছিলাম। অতঃপর এখন তোমরা খেতে পার, জমা করে রাখতে পার এবং সাদাকাহ্ করিতে পার।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪২, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৪৭]
৪৯৯৮. জাবির [রাদি.] কর্তৃক নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি তিনদিনের পরেও কুরবানীর গোশ্ত খেতে বারণ করিয়াছেন। তারপর পরবর্তীকালে তিনি বলেছেন, এখন তোমরা খেতে পার, পাথেয় হিসেবে ব্যবহার করিতে পার এবং সঞ্চয় করে রাখতে পার।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৩, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৪৮]
৪৯৯৯. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা মিনায় তিনদিনের বেশি কুরবানীর গোশ্ত খেতাম না। পরে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অনুমতি দিয়ে বললেনঃ তোমরা খেতে পার এবং অতিরিক্ত হিসেবে জমাও রাখতে পার।
[ইবনি জুরায়জ বলেন] আমি আতাকে বললাম, জাবির [রাদি.] কি মাদীনায় আগমন করা পর্যন্ত কথাটি বলেছেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৪৯]
৫০০০. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা তিনদিনের বেশি কুরবানীর গোশ্ত জমা করে রাখতাম না। পরে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তিনদিনের পরেও এ থেকে খাওয়ার এবং পথেয় হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আমাদের অনুমতি দেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৫, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৫০]
৫০০১. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূল [সাঃআঃ] এর সময় মাদীনায় পৌঁছা পর্যন্ত কুরবানীর গোশ্ত পাথেয় হিসেবে নিয়ে আসতাম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৬, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৫১]
৫০০২. আবু সা“ঈদ খুদ্রী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ হে মাদীনার লোকেরা! তোমরা যেন তিন দিনের বেশি কুরবানীর গোশ্ত না খাও। ইবনিল মুসান্না [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] … [তিনদিন] শব্দ উল্লেখ করিয়াছেন। তারা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর কাছে অভিযোগ [আপত্তি] করলো যে, তাদের পরিবার-পরিজন, কাজের লোক ও সেবক রয়েছে। এরপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তাহলে তোমরা নিজেরা খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং জমা করে রাখো।
ইবনিল মুসান্না [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, “আবদুল আলা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সন্দেহ করিয়াছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] … শব্দ বলেছেন, না … শব্দ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৭, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৫২]
৫০০৩. সালামাহ্ ইবনি আক্ওয়া [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সা] বলেছেনঃ তোমাদের মাঝে যে ব্যক্তি কুরবানী করিবে, সে যেন ঈদের তৃতীয় রাতের পর তার বাড়িতে কুরবানীর পশুর কোন কিছু সঞ্চিত না রাখে। আগামী বছর যখন আগত হলো, তখন লোকজনেরা বলিল, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] আমরা কি গত বছরের মতো করবো? তিনি বলিলেন, না। সে বছর তো মানুষ খুব দুর্দশায় ছিল, তাই আমি চেয়েছিলাম যাতে সকলের কাছে কুরবানীর [গোশ্ত] পৌঁছে যায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৮, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৫৩]
৫০০৪. সাওবান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর কুরবানীর জন্তু জবেহ করিলেন। তারপর বলিলেন, হে সাওবান! এর গোশ্ত উত্তমভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করো। তারপর থেকে তিনি মাদীনায় আগমন করা পর্যন্ত আমি তাঁকে উক্ত গোশ্ত হইতে খাওয়াতে থাকি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৯, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৫৪]
৫০০৫. মু“আবিয়াহ্ ইবনি সালিহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫০, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৫৫]
৫০০৬. রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর গোলাম সাওবান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিদায় হাজ্জের কালে আমাকে বললেনঃ এ গোশ্ত উত্তমরূপে সংরক্ষণ কর। আমি তা ভাল করে রেখে দিলাম। তিনি মাদীনায় পৌঁছা পর্যন্ত এ গোশ্ত খেতে থাকেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫১, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৫৬]
৫০০৭. ইয়াহ্ইয়া ইবনি হামযাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উল্লেখিত সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তিনি “বিদায় হাজ্জের সময়” কথাটি উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫১, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৫৭]
৫০০৮. বুরাইদাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি কবর যিয়ারাত হইতে তোমাদের বারণ করেছিলাম, এখন তোমরা যিয়ারাত করিতে পার। আর আমি তোমাদের তিনদিনের বেশি কুরবানীর গোশ্ত খেতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা নিজেদের প্রয়োজন অনুপাতে জমা করে রাখতে পার। আমি আরো তোমাদের নিষেধ করেছিলাম চর্ম দ্বারা নির্মিত পাত্র ব্যতীত অন্যান্য সকল পাত্রে তৈরি নবীয [খেজুর ভেজানো পানি] পান করিতে, এখন তোমরা যে কোন পাত্র থেকেই পান করিতে পারো। তবে যা কিছু নেশা সৃষ্টি করে তা পান করো না।
[ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫২, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৫৮]
৫০০৯. বুরাইদাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি তোমাদের বারণ করেছিলাম …। তারপর রাবী আবু সিনানের হাদীসের অবিকল অর্থ বর্ণনা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৫৯]
৬. অধ্যায়ঃ ফারা“ ও “ আতীরাহ
৫০১০. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] থেকে অন্য সানাদে মুহাম্মাদ ইবনি রাফি ও আব্দ ইবনি হুমায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] … আবু হুরায়রা্ [রাদি.] হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, ফারা ও আতীরাহ [রজব মাসের প্রথম দশদিনের জবেহকৃত পশু] বলিতে [ইসলামে] কিছু নেই। ইবনি রাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার রিওয়ায়াতে অতিরিক্ত বর্ণনা করিয়াছেন- ফারা হলো [পশুর] প্রথম বাচ্চা, যা তারা জবেহ করতো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৬০]
৭. অধ্যায়ঃ যে ব্যক্তি যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশদিনে প্রবেশ করিল এবং কুরবানী দেয়ার ইচ্ছা করিল তার জন্য চুল ও নখ কর্তন নিষেধ
৫০১১. উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সা] বলেছেনঃ যখন [যিলহাজ্জ মাসের] প্রথম দশদিন উপস্থিত হয়, আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন তার চুল ও নখের কিছুই স্পর্শ না করে [কর্তন না করে]।
সুফ্ইয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কে বলা হলো, অনেকে তো হাদীসটিকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে উল্লেখ করেন না। তিনি বলিলেন, আমি কিন্তু রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকেই উল্লেখ করি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৬১]
৫০১২. উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন [যিলহাজ্জ মাসের] প্রথম দশদিন উপস্থিত হয় আর কারো নিকট কুরবানীর পশু উপস্থিত থাকে, যা সে জবেহ করার নিয়্যাত রাখে, তবে সে যেন তার চুল ও নখ না কাটে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৬২]
৫০১৩. উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সা] বলেছেনঃ যখন তোমরা যিলহাজ্জ মাসের [নতুন চাঁদ দেখিতে পাও] আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন তার চুল না ছাটে ও নখ না কাটে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৭, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৬৩]
৫০১৪. উমর কিংবা আমর ইবনি মুসলিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৮, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৬৪]
৫০১৫. নবী [সাঃআঃ] এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোকের কাছে কুরবানীর পশু আছে সে যেন যিলহাজ্জের নতুন চাঁদ দেখার পর ঈদের দিন থেকে কুরবানী করা পর্যন্ত তার চুল ও নখ না কাটে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৫৯, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৬৫]
৫০১৬. আম্র ইবনি মুসলিম ইবনি আম্মার আল-লাইসী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেন, আমরা গোসলখানায় ছিলাম কুরবানীর ঈদের কিছুদিন আগে। কতিপয় লোক চুন দিয়ে নাভীর নিচের পশম পরিস্কার করিল। গোসলখানায় উপস্থিত লোকদের একজন বলিলেন, সাঈদ ইবনি মুসাইয়্যিব [রাদি.] এটা অপছন্দ করেন। পরে আমি সাঈদ ইবনি মুসাইয়্যিব [রাদি.] এর সাথে দেখা করে বিষয়টি তাঁকে জানালাম। তিনি বলিলেন, হে ভাতিজা! এ হাদীসটি তো মানুষ ভুলে গেছে এবং ছেড়ে দিয়েছে। নবী [সাঃআঃ] এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] আমার কাছে হাদীসটি রিওয়ায়াত করিয়াছেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ……… রাবী মুহাম্মাদ ইবনি আম্র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে মুআয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের মতই অর্থবোধক শব্দাবলী উল্লেখ করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৬০, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৬৬]
৫০১৭. রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেন …… অন্যান্যদের বর্ণিত হাদীসের সমার্থক।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৬১, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৬৭]
৮. অধ্যায়ঃ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন কিছুর নামে জবেহ করা হারাম হওয়া প্রসঙ্গে
৫০১৮. আবু তুফায়ল আমির ইবনি ওয়াসিলাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আলী ইবনি আবু তালিব [রাদি.] এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। এক লোক তাহাঁর নিকট এসে বলিল, নবী [সাঃআঃ] আপনাকে আড়ালে কি বলেছিলেন? রাবী বলেন, তিনি রেগে গেলেন এবং বলিলেন, নবী [সাঃআঃ] লোকদের কাছ থেকে গোপন রেখে আমার নিকট একান্তে কিছু বলেননি। তবে তিনি আমাকে চারটি [বিশেষ শিক্ষণীয়] কথা বলেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর লোকটি বলিল হে আমীরুল মুমিনীন! সে চারটি কথা কি? তিনি বললেনঃ ১. যে লোক তার পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করে, আল্লাহ তাকে অভিসম্পাত করেন, ২. যে লোক আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কারো নামে জবেহ করে আল্লাহ তার উপরও অভিসম্পাত করেন, ৩. ঐ ব্যক্তির উপরও আল্লাহ অভিসম্পাত করেন, যে কোন বিদআতী লোককে আশ্রয় দেয় এবং ৪. যে ব্যক্তি জমিনের [সীমানার] চিহ্নসমূহ অন্যায়ভাবে পরিবর্তন করে, তার উপরও আল্লাহ অভিসম্পাত করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৬২, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৬৮]
৫০১৯. আবু তুফায়ল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা আলী [রাদি.] কে বললাম, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আপনাকে গোপনে যা জানিয়েছেন, সে বিষয়ে আমাদের কিছু বলুন। তিনি বলিলেন, মানুষের নিকট গোপন রেখেছেন এমন কিছুই তিনি আমার নিকট একান্তে বলেননি। তবে আমি তাঁকে বলিতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে জবেহ করে, আল্লাহ তাকে লানাত করেন; যে লোক কোন বিদআতীকে ঠাই দেয়, আল্লাহ তাকে লানাত করেন; যে লোক আপন পিতা-মাতাকে লানাত করে, আল্লাহ তাকে লানাত করেন এবং যে ব্যক্তি [জমিনের] চিহ্নসমূহ পরিবর্তন করে, আল্লাহ তাকে লানত করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৬৩, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৬৯]
৫০২০. আবু তুফায়ল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আলী [রাদি.] কে প্রশ্ন করা হলো, রসূলুল্লাহ [সা] কি আপনাদের নিকট বিশেষভাবে কিছু বলে গেছেন। তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সা] সর্বসাধারণের কাছে প্রকাশ করেননি এমন কোন ব্যাপারে আমাদেরকে বিশেষভাবে কিছু বলে যাননি, তবে একমাত্র আমার তলোয়ারের এ খাপটিতে যা আছে তা ব্যতীত। রাবী বলেন, তারপর তিনি তার তরবারির খাপ থেকে একটি সহীফাহ্ [লিখিত কাগজ] বের করিলেন, যাতে লেখা ছিল- আল্লাহ অভিসম্পাত করেন সে ব্যক্তিকে, যে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে জবেহ করে, আল্লাহ অভিসম্পাত করেন সে লোককে, যে জমিনের সীমানা চিহ্নসমূহ চুরি করে, আল্লাহ অভিসম্পাত করেন সে ব্যক্তিকে, যে তার পিতাকে অভিসম্পাত করে। আল্লাহ অভিসম্পাত করেন সে ব্যক্তিকে, যে কোন বিদআতী আশ্রয় দেয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৬৪, ইসলামিক সেন্টার- ৪৯৭০]
Leave a Reply