সুরা ফাতিহা, বাকারা, ইখলাস, কাহ্‌ফ ও মুআবিতন

সুরা ফাতিহা, বাকারা, ইখলাস, কাহ্‌ফ ও মুআবিতন

সুরা ফাতিহা, বাকারা, ইখলাস ও মুআবিতনের ফযিলত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

১০. অধ্যায়ঃ কুরআন তিলাওয়াত এবং সূ্রাহ্ আল বাক্বারাহ্ তিলাওয়াতের ফাযীলাত
১১. অধ্যায়ঃ আল ফাতিহাহ্ ও সূরাহ্ আল বাক্বারার শেষ অংশের ফাযীলাত, সূরাহ্ আল বাক্বারার শেষ দু আয়াত তিলাওয়াতে উৎসাহ দান।
১২. অধ্যায়ঃ সুরা আল কাহ্‌ফ ও আয়াতুল কুরসীর ফাযীলাত
১৩. অধ্যায়ঃ সুরা ইখলাস পাঠের ফাযীলাত [মর্যাদা]
১৪. অধ্যায়ঃ মুআব্‌বিযাতায়ন [সূরা আল ফালাক্ব ও সুরা আন্‌ নাস] পাঠের ফাযীলাত

১০. অধ্যায়ঃ কুরআন তেলাওয়াত এবং সূ্রাহ্ আল বাক্বারাহ্ তিলাওয়াতের ফাযীলাত

১৭৫৯. আবু উসামাহ্ আল বাহিলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]- কে বলিতে শুনেছিঃ তোমরা কুরআন পাঠ কর। কারন ক্বিয়ামাতের দিন তার পাঠকারীর জন্য সে শাফাআতকারী হিসেবে আসবে। তোমরা দুটি উজ্জল সূ্রাহ্ অর্থাৎ সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ এবং সূরাহ্ আল ইমরান পড়। ক্বিয়ামতের দিন এ দুটি সুরাহ্ এমনভাবে আসবে যেন তা দু খণ্ড মেঘ অথবা দুটি ছায়াদানকারী অথবা দু ঝাঁক উড়ন্ত পাখি যা তার পাঠকারীর পক্ষ হয়ে কথা বলবে। আর তোমরা সুরাহ্ আল বাক্বারাহ্ পাঠ কর। এ সুরাটিকে গ্রহণ করা বারাকাতের কাজ এবং পরিত্যাগ করা পরিতাপের কাজ। আর বাতিলের অনুসারীগণ এর মোকাবেলা করিতে পারে না। হাদীসটির বর্ণনাকারী আবু মুআবিয়াহ্ বলেছেন- আমি জানতে পেরেছি যে, বাতিলের অনুসারী বলে যাদুকরদের বলা হয়েছে।

[ই.ফা.১৭৪৪, ইসলামিক সেন্টার-১৭৫১]

১৭৬০. আবু মুআবিয়াহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

একই সানাদে হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তিনি [তুলনায়] উভয়স্থানে এবং সে দুটি যেন বলেছেন এবং তিনি আবু মুআবিয়াহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] – এর উক্ত আমার কাছে তথ্য পৌছছে… উল্লেখ করেননি।

[ই.ফা.১৭৪৫, ইসলামিক সেন্টার-১৭৫২]

১৭৬১. নাও্ওয়াস ইবনি সামআন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি ক্বিয়ামতের দিন কুরআন ও কুরআন অনুযায়ী যারা আমল করত তাদেরকে আনা হইবে। সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ এবং সুরাহ্ আল ইমরান অগ্রভাগে থাকিবে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সুরাহ্ দুটি সম্পর্কে তিনটি উদাহরণ দিয়েছিলেন যা আমি কখনো ভুলিনি। তিনি বলেছিলেনঃ এ সুরাহ্ দুটি দু খণ্ড ছায়াদানকারী মেঘের আকারে অথবা দুটি কালো চাদরের মত ছায়াদানকারী হিসেবে আসবে যার মধ্যখানে আলোর ঝলকানি অথবা সারিবদ্ধ দু ঝাঁক পাখীর আকারে আসবে এবং পাঠকারীদের পক্ষ নিয়ে যুক্তি দিতে থাকিবে।

[ই.ফা.১৭৪৬, ইসলামিক সেন্টার-১৭৫৩]

১১. অধ্যায়ঃ আল ফাতিহাহ্ ও সূরাহ আল বাক্বারার শেষ অংশের ফাযীলাত , সূরাহ্ আল বাক্বারার শেষ দু আয়াত তিলাওয়াতে উৎসাহ দান।

১৭৬২. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদিন জিব্‌রীল [আঃ] নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে বসেছিলেন। সে সময় তিনি উপর দিক থেকে দরজা খোলার একটা প্রচণ্ড আওয়াজ শুনতে পেয়ে মাথা উঠিয়ে বললেনঃ এটি আসমানের একটি দরজা। আজকেই এটি খোলা হল- ইতোপূর্বে আর কখনো খোলা হয়নি। আর এ দরজা দিয়ে একজন মালায়িকাহ্ পৃথিবীতে নেমে আসলেন। আজকের এ দিনের আগে আর কখনো তিনি পৃথিবীতে আসেননি। তারপর তিনি সালাম দিয়ে বললেনঃ আপনি আপনাকে দেয়া দুটি নূর বা আলোর সুসংবাদ গ্রহণ করুন। আপনার পূর্বে আর কোন নবীকে তা দেয়া হয়নি। আর ঐ দুটি নূর হল ফা-তিহাতুল কিতাব বা সূরাহ আল বাক্বারাহ্-এর শেষাংশ। এর যে কোন হার্‌ফ আপনি পড়বেন তার মধ্যকার প্রার্থিত বিষয় আপনাকে দেয়া হইবে।

[ই.ফা.১৭৪৭, ইসলামিক সেন্টার-১৭৫৪]

১৭৬৩. আবদুর রহমান ইবনি ইয়াযীদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি বায়তুল্লার পাশে আবু মাসঊদ [রাদি.]-এর সাথে সাক্ষাৎ পেয়ে তাকে বললাম সূরাহ্ আল বাক্বারার দুটি আয়াত সম্পর্কে আপনার বর্ণিত একটি হাদীস আমি জানতে পেরেছি। আসলে সেটা হাদীস কিনা? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্-এর শেষ দুটি আয়াত এমন যে, যে ব্যাক্তি কোন রাতে ঐ দুটি পড়বে তা তার সে রাতের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। {৩৭}

[ই.ফা.১৭৪৮, ইসলামিক সেন্টার-১৭৫৫]

{৩৭} যথেষ্ট হওার অর্থ হল- রাতের নাফ্‌ল সালাত আদায় করা কিংবা শাইত্বনের অনিষ্ট থেকে কিংবা বিপদাপদ থেকে বাঁচার জন্য যথেষ্ট হওয়া। [মুসলিম শারহে নববী – ১ম খণ্ড ২৭১ পৃষ্ঠা]

১৭৬৪. মানসূর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

একই সানদে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন।

[ই.ফা.১৭৪৯, ইসলামিক সেন্টার-১৭৫৬]

১৭৬৫. আবু মাসঊদ আল আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি সূরাহ্ আল বাক্বারার শেষের এ আয়াত দুটি পড়বে তা সে রাতে ঐ ব্যাক্তির জন্য যথেষ্ট হইবে। এ হাদীসটির একজন বর্ণনাকারী আবদুর রাহমান ইবনি ইয়াযীদ বর্ণনা করিয়াছেন, একদিন আবু মাসঊদ বায়তুল্লাহর ত্বওয়াফ করছিলেন এমন সময় আমি তাকে এ হাদীসটির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে নবী [সাঃআঃ] থেকে হাদীসটি বর্ণনা করে শুনালেন।

[ই.ফা.১৭৫০, ইসলামিক সেন্টার-১৭৫৭]

১৭৬৬. আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাযি:] নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ

অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

[ই.ফা.১৭৫১, ইসলামিক সেন্টার-১৭৫৮]

১৭৬৭. ইবনি মাসঊদ [রাযি:] নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ

অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

[ই.ফা.১৭৫২, ইসলামিক সেন্টার-১৭৫৯]

===============

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একদিন আবুল মুনযিরকে লক্ষ্য করে বললেনঃ হে আবুল মুনযির! আল্লাহর কিতাবের কোন্‌ আয়াতটি তোমার কাছে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ? আবুল মুনযির বলেন, জবাবে আমি বললাম : এ বিষয়ে আল্লাহ ও আল্লাহর রসূলই সর্বাধিক অবগত। তিনি [সাঃআঃ] আবার বললেনঃ হে আবুল মুনযির! আল্লাহর কিতাবের কোন্‌ আয়াতটি তোমার কাছে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ? তখন আমি বললাম, [আরবী] [এ আয়াতটি আমার কাছে বেশী গুরুত্বপূর্ণ]। এ কথা শুনে তিনি আমার বুকের উপর হাত মেরে বললেনঃ হে আবুল মুনযির! তোমার জ্ঞানকে স্বাগতম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৬২]

১৩. অধ্যায়ঃ সুরা ইখলাস পাঠের ফাযীলাত [মর্যাদা]

১৭৭১. আবুদ্‌ দারদা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

[একদিন] নবী [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমরা কেউ কি এক রাতে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করিতে সক্ষম? সবাই জিজ্ঞেস করিলেন, এক রাতে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ কীভাবে পড়ব? তিনি বললেনঃ “ কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ” সূরাটি কুরআন মাজীদের এক তৃতীয়াংশের সমান।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৬৩]

১৭৭২. ক্বাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

একই সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। তাদের উভয়ের বর্ণিত হাদীসে নবী [সাঃআঃ]-এর কথার এ অংশটুকু উল্লেখ আছে যে, তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা সমগ্র কুরআন মাজীদকে তিনটি অংশে ভাগ করিয়াছেন আর “কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ” [সূরাহ্ আল ইখলাস]-কে একটি অংশ বলে নির্দিষ্ট করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৫৭, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৬৪]

১৭৭৩. আবু হুরায়রাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, [একদিন] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [সবাইকে লক্ষ্য করে] বললেনঃ তোমরা এক জায়গায় জমায়েত হও। কারণ আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই তোমাদেরকে কুরআন মাজীদের এক তৃতীয়াংশ পড়ে শুনাব। সুতরাং যাদের জমায়েত হওয়ার তারা জমায়েত হলে নবী [সাঃআঃ] তাদের কাছে আসলেন এবং “কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ” সূরাটি পড়লেন। তারপর তিনি গৃহাভ্যন্তরে প্রবেশ করিলেন। তখন আমরা একে অপরকে বলিতে থাকলাম, আমার মনে হয় আসমান থেকে কোন খবর এসেছে আর সে জন্যই তিনি ভিতরে প্রবেশ করিয়াছেন। পরে নবী [সাঃআঃ] বেরিয়ে এসে বললেনঃ আমি তোমাদের বলেছিলাম যে, কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি তোমাদেরকে কুরআন মাজীদের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করে শোনাব। জেনে রাখ এটি [সূরা ইখলাস] কুরআন মাজীদের এক তৃতীয়াংশের সমান।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৫৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৬৫]

১৭৭৪. আবু হুরায়রাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে বলিলেন ; আমি তোমাদেরকে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়ে শুনাচ্ছি। তারপর তিনি “কুল হওয়াল্ল-হু আহাদ, আল্ল-হুস সামাদ” সূরাটি শেষ পর্যন্ত পড়ে শোনালেন।

[ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৭৫৯, ইসলামীক সেন্টার ১৭৬৬]।

১৭৭৫. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক সময় নবী [সাঃআঃ] কোন এক যুদ্ধে জনৈক ব্যক্তিকে সেনাদলের নেতা করে পাঠালেন। সে নামাজে তার অনুসারীদের ইমামাত করিতে গিয়ে কুরআন পড়ত এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রেই “কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ” [সূরাহ্ ইখলাস] পড়ে শেষ করত। সেনাদল ফিরে আসলে তারা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বিষয়টি বলিলেন। তিনি বললেনঃ জিজ্ঞেস কর যে, সে কেন এরূপ করে থাকে। তারা তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলিল, যেহেতু এ সূরাতে মহান দয়ালু আল্লাহর গুণাবলী উল্লেখ আছে, তাই ঐ সূরাটি পাঠ করিতে ভালবাসি। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তাকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ তাকে ভালবাসেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৬০, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৬৭]

১৪. অধ্যায়ঃ মুআব‌বিযাতায়ন [সূরা আল ফালাক্ব ও সুরা আন্‌ নাস] পাঠের ফাযীলাত

১৭৭৬. উক্ববাহ্‌ ইবনি আমির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বললেনঃ আজ রাতে যে আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়েছে সেগুলোর মতো আর কখনো দেখা যায়নি। সেগুলো হল- “কুল আউযু বিরব্বিল ফালাক্ব” [সুরা আল ফালাক্ব] এবং “কুল আঊযু বিরব্বিন্‌ না-স” [সুরা আন্‌ না-স]-এর আয়াত।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৬১, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৬৮]

১৭৭৭. উকবাহ্‌ ইবনি আমির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [একদিন] আমাকে বললেনঃ আমার প্রতি এমন কয়েকটি আয়াত অবতীর্ণ করা হয়েছে যার অনুরূপ আর কখনো দেখা যায়নি। আর সেগুলো হল মুআব্‌বিযাতায়ন বা সুরা আল ফালাক্ব ও সুরা আন্‌ না-স এর আয়াতসমূহ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৬২, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৬৯]

১৭৭৮. আবু বাকর ইবনি আবু শায়বাহ্, মুহাম্মাদ ইবনি রাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. উভয়ে ইসমাঈল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

একই সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। আবু উসামার উক্ববাহ্ ইবনি আমির আল জুহানী থেকে এবং তিনি ছিলেন মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর সম্মানিত সাহাবীগণের অন্যতম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৬৩, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৭০]


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply