কুরআন তিলাওয়াত ও সংরক্ষণের ফযিলত
কুরআন তিলাওয়াত ও সংরক্ষণের ফযিলত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১. অধ্যায়ঃ কুরআন সংরক্ষণে যত্নবান হওয়ার নির্দেশ, অমুক আয়াত ভুলে গিয়েছি বলার অপছন্দনীয়তা ও আমাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে বলার বৈধতা প্রসঙ্গে
২. অধ্যায়ঃ কুরআন পাঠের আওয়াজে মাধুর্য সৃষ্টি করা মুস্তাহাব
৩. অধ্যায়ঃ মাক্কার বিজয়ের দিবসে নবী [সাঃআঃ]- এর সুরা আল ফাত্হ পাঠ করার উল্লেখ প্রসঙ্গে আলোচনা
৪. অধ্যায়ঃ কুরআন তিলাওয়াতের সময় সাকীনাহ্ বা প্রশান্তি অবতরণ
৫. অধ্যায়ঃ হাফিযুল [মুখস্থকারী] কুরআনের মর্যাদা
৬. অধ্যায়ঃ কুরআন শিক্ষায় অভিজ্ঞ ও যে তা ঠেকে ঠেকে অধ্যয়ন করে তাদের মর্যাদা
৭. অধ্যায়ঃ বিশিষ্ট ও দক্ষ লোকদেরকে কুরাআন তিলাওয়াত করে শোনানো মুস্তাহাব, তিলাওায়াতকারী শ্রোতার চেয়ে শ্রেষ্ঠ হলেও
৮. অধ্যায়ঃ কুরআন তিলাওয়াত শোনার ফাযীলাত, তিলাওয়াত শোনার জন্য হাফিযুল কুরআনকে তিলাওয়াত করার অনুরোধ ও তিলাওয়াতকালে ক্রন্দন এবং মনোনিবেশ করা।
৯. অধ্যায়ঃ সলাতে কুরআন তিলাওয়াত এবং কুরআন শিক্ষা করার ফাযীলাত
১. অধ্যায়ঃ কুরআন সংরক্ষণ এ যত্নবান হওয়ার নির্দেশ, অমুক আয়াত ভুলে গিয়েছি বলার অপছন্দনীয়তা ও আমাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে বলার বৈধতা প্রসঙ্গে
১৭২২. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] রাতের বেলা জনৈক ব্যক্তিকে কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করিতে শুনে বললেনঃ আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন। সে আমাকে অমুক অমুক সূরার অমুক অমুক আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যা আমি অমুক সূরাহ্ থেকে বাদ দেয়ার উপক্রম করেছিলাম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭০৭, ইসলামিক সেন্টার- ১৭১৪]
১৭২৩. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদিন নবী [সাঃআঃ] মাসজিদে জনৈক ব্যক্তির কুরআন তিলাওয়াত শুনেছিলেন। [তাহাঁর তিলাওয়াত শুনে] তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাহাঁর প্রতি রহম করুন। সে আমাকে এমন একটি আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যা আমার স্মৃতি থেকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছিল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭০৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৭১৫]
১৭২৪. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কুরআন হিফ্যকারীর দৃষ্টান্ত হল পা বাঁধা উট। যদি এর মালিক এটির প্রতি লক্ষ্য রাখে তাহলে ধরে রাখতে পারবে। আর যদি তার বাঁধন খুলে দেয় তাহলে সেটি ছাড়া পেয়ে চলে যাবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭০৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৭১৬]
১৭২৫. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে মূসা ইবনি উক্ববাহ্ বর্ণিত হাদীসে এতটুকু অধিক বর্ণনা করা হয়েছে যে, “কুরআনের হাফিয যদি রাতে ও দিনে কুরআন মাজীদ পড়ে তাহলে তা স্মরণ রাখতে পারে, অন্যথায় ভুলে যায়।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭১০, ইসলামিক সেন্টার- ১৭১৭]
১৭২৬. আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যদি কেউ এভাবে বলে যে, আমি অমুক অমুক আয়াত ভুলে গিয়েছি তাহলে তা তার জন্য খুবই খারাপ। বরং তাকে তো ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। তোমরা কুরআনকে স্মরণ রাখ। কারণ কুরআন মানুষের হৃদয় থেকে পা বাঁধা পলায়নপর চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও অধিক পলায়নপর। ছাড়া পেলেই পালিয়ে যায় অর্থাৎ স্মরণ রাখার চেষ্টা না করলেই ভুলে যায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭১১, ইসলামিক সেন্টার- ১৭১৮]
১৭২৭. শাক্বীক্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.] বলেছেনঃ এই পবিত্র গ্রন্থের আবার কখনো বলেছেন এ কুরআনের রক্ষণাবেক্ষণ কর। কেননা মানুষের মন থেকে তা এক পা বাঁধা চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও [অধিক বেগে] পলায়নপর। আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.] আরও বর্ণনা করিয়াছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন এ কথা না বলে যে, আমি [কুরআন মাজীদের] অমুক অমুক আয়াত ভুলে গিয়েছি। বরং তার থেকে আয়াতগুলো বিস্মৃত হয়ে গিয়েছে [এরূপ বলা উত্তম]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭১২, ইসলামিক সেন্টার- ১৭১৯]
১৭২৮. শাক্বীক্ব ইবনি সালামাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদকে বলিতে শুনেছি। তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ কোন ব্যক্তির পক্ষে এরূপ কথা বলা খুবই খারাপ যে, সে অমুক অমুক সুরাহ্ বা অমুক অমুক আয়াত ভুলে গিয়েছে। বরং বলবে যে ঐগুলো [সুরাহ্ বা আয়াত] তাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭১৩, ইসলামিক সেন্টার- ১৭২০]
১৭২৯. আবু মূসা [আশআরী] [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা কুরআন হিফ্যের প্রতি লক্ষ্য রাখ। যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ আমি সে মহান সত্তার শপথ করে বলছি, কুরআনের মুখস্থ সুরাহ্ বা আয়াতসমূহ মানুষের মন থেকে পা বাঁধা উটের চেয়েও অধিক পলায়নপর [অর্থাৎ কুরআন মাজীদের মুখস্থ সুরাহ্ বা আয়াত তাড়াতাড়ি বিস্মৃতিতে চলে যায়]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭১৪, ইসলামিক সেন্টার- ১৭২১]
২. অধ্যায়ঃ কুরআন পাঠের আওয়াজে মাধুর্য সৃষ্টি করা মুস্তাহাব
১৭৩০. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] পর্যন্ত এর সানাদ সূত্রটি পৌছিয়েছেন। নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন নবীর উত্তম ও মিষ্টি করে কুরআন তিলাওয়াত আল্লাহ তাআলা যেভাবে শুনে থাকেন অন্য কোন জিনিস সেভাবে শুনেন না।
[ই.ফা.১৭১৫, ইসলামিক সেন্টার- ১৭২২]
১৭৩১. হারমালাহ্ ইবনি ইয়াহ্ইয়া, ইউনুস ইবনি আবদুল আলা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. উভয়ে ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে একই সানাদ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেন, যেমন তিনি [আল্লাহ] শুনে থাকেন সুস্পষ্ট স্বরে কুরআন তিলাওয়াতকারী নবীর তিলাওয়াত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭১৬, ইসলামিক সেন্টার- ১৭২৩]
১৭৩২. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন, মহান আল্লাহ এতটা খুশি হন না যতটা খুশি হয়ে থাকেন সুকণ্ঠের অধিকারী কোন নবীর প্রতি যিনি সুললিত কণ্ঠে ও সশব্দে তা তিলাওয়াত করে থাকেন। {৩৬}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭১৭, ই.সে। ১৭২৪]
{৩৬} মহান আল্লাহ্ আরশে সমুন্নত [মহান আল্লাহ আরশের উপরে আছেন, তিনি আরশে বসে আছেন বা সমাসীন কথাটি ভুল] সুরাহ্ আল বাক্বারাহ্-এর আয়াত নং ২৫৫। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহ্ নিরাকার নন বরং তাহাঁর আঁকার আছে। তবে কোন প্রানী বা বস্তুর সাথে তুলনা করা যাবে না।
১৭৩৩. ইবনিল হাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে একই সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে এ হাদীসে তিনি [আরবী] [রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন] উল্লেখ করিয়াছেন এবং [আরবী] [রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন] উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭১৮, ই.সে। ১৭২৪]
১৭৩৪. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন নবী কর্তৃক সুমিষ্ট কণ্ঠে উচ্চঃস্বরে কুরআন তিলাওয়াত করা আল্লাহ তাআলা যেভাবে শুনেন অন্য কিছুই আর সেভাবে শুনেন না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭১৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৭২৬]
১৭৩৫. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] থেকে ইয়াহ্ইয়া ইবনি কাসীর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে পার্থক্য এতটুকু যে, ইয়াহ্ইয়া ইবনি আইয়ূব তার বর্ণনাতে [আরবী] শব্দটা অতিরিক্ত বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭২০, ইসলামিক সেন্টার- ১৭২৭]
১৭৩৬. বুরায়দাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আবদুল্লাহ ইবনি ক্বায়স অথবা বলেছেন [বর্ণনাকারীর সন্দেহ] [আবু মূসা] আল আশআরী-কে দাউদ-এর মতো মিষ্টি কণ্ঠ দান করা হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭২১, ইসলামিক সেন্টার- ১৭২৮]
১৭৩৭. আবু মূসা [আল আশআরী] [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আবু মূসা [রাদি.]-কে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ গতরাতে আমি যখন তোমার কুরআন পাঠ শুনছিলাম তখন তুমি যদি আমাকে দেখিতে তাহলে খুব খুশী হইতে। তোমাকে তো দাউদ-এর মত সুমিষ্ট কণ্ঠস্বর দেয়া হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭২২, ইসলামিক সেন্টার- ১৭২৯]
৩. অধ্যায়ঃ মাক্কার বিজয়ের দিবসে নবী [সাঃআঃ]- এর সুরা আল ফাত্হ পাঠ করার উল্লেখ প্রসঙ্গে আলোচনা
১৭৩৮. আবদুল্লাহ ইবনি মুগাফ্ফাল আল মুযানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের বছরে সফরকালে নবী [সাঃআঃ] তাহাঁর সওয়ারীতে বসে সুরাহ্ আল ফাত্হ পড়ছিলেন। আর ক্বিরআতে তিনি তারজী [দ্বিরুক্তি] করছিলেন। মুআবিয়াহ্ ইবনি কুর্রাহ্ বলেছেন- আমি যদি আমার পাশে অধিক মাত্রায় লোকজনের জমায়েত হওয়ার আশঙ্কা না করতাম তাহলে নবী [সাঃআঃ] যেভাবে ক্বিরআত করেছিলেন সেভাবে ক্বিরআত করে তোমাদেরকে শুনাতাম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭২৩, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৩০]
১৭৩৯. আবদুল্লাহ ইবনি মুগাফ্ফাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন আমি দেখেছি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর উটনীর পিঠে বসে সুরাহ্ আল ফাতহ্ পাঠ করিয়াছেন। মুআবিয়াহ্ ইবনি কুর্রাহ্ বর্ণনা করিয়াছেন, অতঃপর আবদুল্লাহ ইবনি মুগাফ্ফাল তারজীসহ [সুরাহ্ আল ফাতহ্] পাঠ করে শুনালাম। মুআবিয়াহ্ বলেছেন, লোকজন জমায়েত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে আবদুল্লাহ ইবনি মুগাফ্ফাল নবী [সাঃআঃ] এর অনুকরন করে যেভাবে [সুরাহ্টি পাঠ করে] শুনিয়েছেন সেভাবে শুনাতাম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭২৪, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৩১]
১৭৪০. শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
ইয়াহইয়া ইবনি হাবীব আল হারিসী এবং উবায়দুল্লাহ ইবনি মুআয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. শুবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে খালিদ ইবনি হারিস বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেছেন : তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সওয়ারীতে বসে সূরাহ আল ফাত্হ পড়তে পড়তে পথ অতিক্রম করছিলেন।
[ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৭২৫, ইসলামীক সেন্টার ১৭৩২]
৪. অধ্যায়ঃ কুরআন তিলাওয়াতের সময় সাকীনাহ্ বা প্রশান্তি অবতরণ
১৭৪১. বারা ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি সুরাহ্ আল কাহ্ফ পড়ছিল। সে সময় তাহাঁর কাছে মজবুত লম্বা দুটি রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। এ সময় একখণ্ড মেঘ তাহাঁর মাথার উপরে হাজির হল। মেঘ খণ্ডটি ঘুরছিল এবং নিকটবর্তী হচ্ছিল। এ দেখে তার ঘোড়াটি ছুটে পালাচ্ছিল। সকাল বেলা সে নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে এসে ঐ বিষয়টি বর্ণনা করিল। এসব কথা শুনে তিনি বললেনঃ এটি ছিল [আল্লাহর তরফ থেকে] রহমাত বা প্রশান্তি যা কুরআন পাঠের কারণে অবতীর্ণ হয়েছিল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭২৬, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৩৩]
১৭৪২. আবু ইসহাক্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি বারা ইবনি আযিব [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছি যে, জনৈক ব্যক্তি সুরাহ্ আল কাহ্ফ পড়ছিল। তখন লোকটি দেখিতে পেল একখণ্ড মেঘ তাঁকে পরিবেষ্টন করে নিয়েছে। বারা ইবনি আযিব বর্ণনা করিয়াছেন যে, লোকটি বিষয়টি নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে বলিলেন। তিনি তাকে উদ্দেশ্য করে বল্লেনঃ হে অমুক! তুমি সুরাটি পড়তে থাক। কারণ এটি ছিল আল্লাহর রহমাত বা প্রশান্তি যা কুরআন তিলাওয়াতের কারণে বা কুরআন তিলাওয়াতের জন্য অবতীর্ণ হয়েছিল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭২৭, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৩৪]
১৭৪৩. আবু ইসহাক্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি বারা ইবনি আযিবকে বলিতে শুনেছি। এতটুকু বর্ণনা করার পর উভয়েই পূর্ব বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তারা [আরবী] শব্দ উল্লেখ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭২৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৩৫]
১৭৪৪. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একরাতে উসায়দ ইবনি হুযায়র তার ঘোড়ার আস্তাবলে কুরআন মাজীদ পাঠ করছিলেন। এমন সময় তার ঘোড়া লাফঝাপ দিতে শুরু করিল। তিনি [কিছুক্ষণ পর] পুনরায় পাঠ করিতে থাকলে ঘোড়াটিও পুনরায় লাফঝাপ দিতে শুরু করিল। [কিছুক্ষণ পর] তিনি আবার পাঠ করিলেন এবারও ঘোড়াটি লাফ দিল। উসায়দ ইবনি হুযায়র বলেন- এতে আমি আশঙ্কা করলাম যে, ঘোড়াটি [শায়িত ছেলে] ইয়াহ্ইয়াকে পদপিষ্ট করিতে পারে। তাই আমি উঠে তার কাছে গেলাম। হঠাৎ আমার মাথার উপর সামিয়ানার মত কিছু দেখিতে পেলাম। তার ভিতরে অনেকগুলো প্রদীপের মত জিনিস আলোকিত করে আছে। অতঃপর এগুলো উপরের দিকে শূন্যে উঠে গেল এবং আমি আর তা দেখিতে পেলাম না। তিনি বলেছেনঃ পরদিন সকালে আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে গিয়ে বললাম, হে আল্লাহর রসুল! গতকাল রাতে আমি আমার ঘোড়ার আস্তাবলে কুরআন মাজীদ পাঠ করছিলাম। এমতাবস্থায় আমার ঘোড়াটি হঠাৎ লাফঝাপ দিতে শুরু করিল। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ হে ইবনি হুযায়র! তুমি পাঠ করিতে থাকতে। আমি পাঠ করে সমাপ্ত করলাম। ইয়াহ্ইয়া ঘোড়াটির পাশেই ছিল। তাই ঘোড়াটি তাকে পদদলিত করে ফেলতে পারে আমি আশঙ্কা করলাম [এবং এগিয়ে গেলাম]। তখন আমি মেঘপুঞ্জের মত কিছু দেখিতে পেলাম যার মধ্যে প্রদীপের মত কোন জিনিস আলো দিচ্ছিল। এটি উপর দিকে উঠে গেল এমনকি তা আমার দৃষ্টির আড়াল হয়ে গেল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এসব শুনে বললেনঃ ওসব ছিল মালায়িকাহ্ [ফেরেশতাগণ]। তারা তোমার কুরআন শ্রবণ করছিল; তুমি যদি পড়তে থাকতে তাহলে ভোর পর্যন্ত তারা থাকত। আর লোকজন তাদেরকে দেখিতে পেত। তারা লোকজনের দৃষ্টির আড়াল হত না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭২৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৩৬]
৫. অধ্যায়ঃ হাফিযুল [মুখস্থকারী] কুরআনের মর্যাদা
১৭৪৫. আবু মূসা আল আশআরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে মুমিন আল কুরআন মাজীদ পাঠ করে তার উদাহরণ হল কমলালেবু যা স্বাদে ও গন্ধে উত্তম। আর যে মুমিন আল কুরআন পাঠ করে না তার উদাহরণ হল খেজুর যার সুগন্ধ না থাকলেও স্বাদে মিষ্ট। আর যে মুনাফিক্ব আল কুরআন পাঠ করে তার উদাহরণ হল রায়হানাহ্ ফুল যার সুগন্ধি আছে এবং স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক্ব আল কুরআন পাঠ করে না তার উদাহরণ হল হান্যালাহ্ [মাকাল] যার কোন সুগন্ধি নেই এবং স্বাদও খুব তিক্ত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৩০, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৩৭]
১৭৪৬. হাদ্দাব ইবনি খালিদ, মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. উভয়ে ক্বাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে হাম্মাম বর্ণিত হাদীসে [আরবী] শব্দটিকে [আরবী] শব্দ দ্বারা বদল করা হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৩১, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৩৮]
৬. অধ্যায়ঃ কুরআন শিক্ষায় অভিজ্ঞ ও যে তা ঠেকে ঠেকে অধ্যয়ন করে তাদের মর্যাদা
১৭৪৭. আয়েশাহ [রাযি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কুরআন সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তি ঐসব মালাকগণের সাথে থাকিবে যারা আল্লাহর অনুগত, মর্যাদাবান এবং লেখক। আর যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করেন এবং তার জন্য কষ্টকর হওয়া সত্ত্বেও বারবার পড়ে সে ব্যক্তির জন্য দুটি পুরস্কার নির্দিষ্ট আছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৩২, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৩৯]
১৭৪৮. মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না, আবু বাকর ইবনি আবু শায়বাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. উভয়ে ক্বাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
একই সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। ওয়াকী বর্ণিত হাদীসে এ কথাটি আছে “আর যে ব্যক্তি তার জন্য কঠোর ও কষ্টকর হওয়া সত্ত্বেও কুরআন তিলাওয়াত করে তার জন্য দুটি পুরস্কার আছে।“
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৩৩, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৪০]
৭. অধ্যায়ঃ বিশিষ্ট ও দক্ষ লোকদেরকে কুরাআন তিলাওয়াত করে শোনানো মুস্তাহাব, তিলাওায়াতকারী শ্রোতার চেয়ে শ্রেষ্ঠ হলেও
১৭৪৯. আনাস ইবনিল মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উবাই ইবনি কাবকে লক্ষ করে বললেনঃ মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাকে তোমার সামনে কুরাআন পড়ে শুনাতে আদেশ করিয়াছেন। [এ কথা শুনে] উবাই ইবনি কাব বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করিলেন আল্লাহ তায়ালা কি আপনার কাছে আমার নাম উল্লেখ করিয়াছেন? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন- হ্যাঁ, আল্লাহ তায়ালা আমার কাছে তোমার নাম উল্লেখ করিয়াছেন। বর্ণনাকারী আনাস ইবনি মালিক বলেন, এ কথা শুনে উবাই ইবনিল কাব কাঁদতে শুরু করিলেন।
[ই.ফা.১৭৩৪, ইসলামিক সেন্টার-১৭৪১]
১৭৫০. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উবাই ইবনি কাবকে লক্ষ করে বললেনঃ মহান আল্লাহ তোমার সামনে আমাকে [সুরা] [আরবী] পড়ার জন্য আদেশ করিয়াছেন। [এ কথা শুনে] উবাই ইবনি কাব বললেনঃ তিনি আপনার কাছে আমার নাম উল্লেখ করে বলেছেন? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি [হাদীসের বর্ণনাকারী আনাস ইবনি মালিক] বলেন, এ কথা শুনে তিনি [উবাই ইবনি কাব] কেঁদে ফেললেন।
[ই.ফা.১৭৩৫, ইসলামিক সেন্টার-১৭৪২]
১৭৫১. ক্বাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনি মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে বলিতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উবাই ইবনি কাব [রাদি.]-কে লক্ষ করে অনুরূপ বলেছেন।
[ই.ফা.১৭৩৬, ইসলামিক সেন্টার-১৭৪৩]
৮. অধ্যায়ঃ কুরআন তিলাওয়াত শোনার ফাযীলাত , তিলাওয়াত শোনার জন্য হাফিযুল কুরআনকে তিলাওয়াত করার অনুরোধ ও তিলাওয়াতকালে ক্রন্দন এবং মনোনিবেশ করা।
১৭৫২. “আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলেনঃ তুমি আমাকে কুরাআন পাঠ করে শোনাও। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রসুল! আমি আপনাকে কুরআন পাঠ করে শোনাব? কুরআন তো আপনার প্রতিই অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বললেনঃ অন্যের নিকট থকে আমার কুরআন শুনতে ভাল লাগে। আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ বলেন- তাই এরপর আমি সূরাহ্ আন্ নিসা পাঠ করলাম। যখন আমি এ আয়াত [আরবি] হে নবী! একটু চিন্তা করুন তো সে সময় এরা কী করিবে যখন আমি প্রত্যেক উম্মাতের মধ্য থেকে একজন করে সাক্ষী হাজির করব, আর এসব লোকের জন্য আপনাকে সাক্ষী হিসাবে হাজির করব”[সূ্রাহ্ আন্ নিসা ৪:৪১]। তিলাওয়াত করা হলে আমি মাথা উঠালাম অথবা কেউ আমার পার্শ্বদেশ স্পর্শ করে ইঙ্গিত দিলে মাথা উঠালাম এবং দেখিতে পেলাম রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর [চোখ থেকে] অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।
[ই.ফা.১৭৩৭, ইসলামিক সেন্টার-১৭৪৪]
১৭৫৩. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এই একই সানাদে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে হান্নাদ তার বর্ণনায় এ কথা বৃ্দ্ধি করিয়াছেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মিম্বারে দাঁড়ানো অবস্থায় একদিন আমাকে বললেনঃ আমাকে কুরআন পাঠ করে শোনাও।
[ই.ফা.১৭৩৮, ইসলামিক সেন্টার-১৭৪৫]
১৭৫৪. ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদিন নবী [সাঃআঃ] আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊস [রাদি.]-কে বললেনঃ তুমি আমাকে কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাও। তিনি [আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ] বলিলেন- আমি আপনাকে কুরআন পড়ে শোনাব? অথচ কুরআন তো আপনার প্রতিই অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বললেনঃ আমি অন্যের মুখ থেকে কুরআন পাঠ শুনতে ভালবাসি। হাদীস বর্ণনাকারী ইব্রাহীম বলেনঃ অতঃপর তিনি [আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ] সূরাহ্ আন্ নিসার প্রথম থেকে [আরবি] “হে নবী! একটু ভেবে দেখুন তো সে সময় এরা কী করিবে যখন আমি প্রত্যেক উম্মাতের মধ্য থেকে একজন করে সাক্ষী হাজির করব, আর এসব লোকের জন্য আপনাকে সাক্ষী হিসেবে হাজীর করব”- [সূ্রাহ্ আন্ নিসা ৪ : ৪১] এ আয়াত পর্যন্ত তাকে পড়ে শুনালেন। এতে তিনি [সাঃআঃ] কেঁদে ফেললেন। বর্ণনাকারী মিসআর বলেছেনঃ মান আমার কাছে হাদীসটি জাফার ইবনি আম্র ইবনি হুরায়স তার পিতা হুরায়স-এর মাধ্যমে আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ থেকে এভাবে বর্ণনা করিয়াছেন যে, এ আয়াত পাঠের পর নবী [সাঃআঃ] বললেনঃ আমি যতক্ষণ তাদের মধ্যে আছি ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের জন্য সাক্ষী। কিংবা বর্ণনাকারী মিসআর-এর সন্দেহ যে, তিনি বলেছেন, “যতক্ষন তাদের মাঝে ছিলাম”।
[ই.ফা.১৭৩৯, ইসলামিক সেন্টার-১৭৪৬]
১৭৫৫. আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, [এক সময়ে ] আমি হিমস্-এ ছিলাম। একদিন কিছু সংখ্যক লোক আমাকে বলিল, আমাদেরকে কুরআন তিলাওয়াত করে শোনান। আমি তাদেরকে সূরাহ্ ইউসুফ পাঠ করে শুনালাম। এমন সময় সবার মধ্য থেকে জনৈক ব্যাক্তি বলে উঠলঃ আল্লাহর শপথ। সূরাটি এরূপ অবতীর্ণ হয়নি। আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ বলেছেনঃ আমি তাকে বললাম- তোমার জন্য দুঃখ। আল্লাহর শপথ, এ সূরাটি আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] –কে পড়ে শুনিয়েছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেনঃ খুব সুন্দর পড়েছ। এভাবে তখনও আমি তার [লোকটির] সাথে কথা বলছিলাম। এ অবস্থায় আমি তার মুখ থেকে শরাবের গন্ধ পেলাম। আমি তাকে বললাম- তুমি শরাব পান করে আল্লাহর কিতাবকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করিতে চাও? আমার হাতে কোঁড়া না খেয়ে তুমি এখান থেকে যেতে পারবে না। অতঃপর আমি তাকে কোঁড়া মেরে শরাব পানের শাস্তি দিলাম।
[ই.ফা.১৭৪০, ইসলামিক সেন্টার-১৭৪৭]
১৭৫৬. ইসহাক্ব ইবনি ইব্রাহীম, আলী ইবনি খশ্রাম, আবু বাকর ইবনি আবু শায়বাহ্ ও আবু কুরায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] … সকলেই আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
একই সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। তবে আবু মুআবিয়াহ্ বর্ণিত হাদীসে তিনি আমাকে বললেনঃ খুব সুন্দর হয়েছে কথাটির উল্লেখ নেই।
[ই.ফা.১৭৪১, ইসলামিক সেন্টার-১৭৪৮]
৯. অধ্যায়ঃ নামাজে কুরআন তিলাওয়াত এবং কুরআন শিক্ষা করার ফাযীলাত
১৭৫৭. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কেউ কি চাও যে, যখন বাড়ী ফিরবে তখন বাড়িতে গিয়ে তিনটি বড় বড় মোটাতাজা গর্ভবতী উটনী দেখিতে পাবে? আমরা বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তোমরা কেউ নামাজে তিনটি আয়াত পড়লে তা তার জন্য তিনটি মোটাতাজা গর্ভবতী উটনীর চেয়ে উত্তম।
[ই.ফা.১৭৪২, ইসলামিক সেন্টার-১৭৪৯]
১৭৫৮. উক্ববাহ্ ইবনি আমির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আসলেন। তখন আমরা সুফ্ফাহ্ বা মাসজিদের চত্বরে অবস্থান করছিলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা কেউ চাও যে, প্রতিদিন “বুত্বহান” বা আক্বীক্বের বাজারে যাবে এবং সেখান থেকে কোন পাপ বা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা ছাড়াই বড় কুঁজ বা চুঁটবিশিষ্ট দুটি উটনী নিয়ে আসবে? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা এরূপ চাই। তিনি বলিলেন তাহলে কি তোমরা কেউ মাসজিদে গিয়ে আল্লাহর কিতাবের দুটি আয়াত শিক্ষা দিবে না কিংবা পাঠ করিবে না? এটা তার জন্য ঐরূপ দুটি উটনীর চেয়েও উত্তম। এরূপ তিনটি আয়াত তিনটি উটনীর চেয়েও উত্তম এবং চারটি আয়াত চারটি উটনীর চেয়েও উত্তম। আর অনুরূপ সমসংখ্যক উটনীর চেয়ে তত সংখ্যক আয়াত উত্তম।
[ই.ফা.১৭৪৩, ইসলামিক সেন্টার-১৭৫০]
Leave a Reply