কুরআন অধ্যয়ন ও ক্বিরাআত সম্পর্কিত

কুরআন অধ্যয়ন ও ক্বিরাআত সম্পর্কিত

কুরআন অধ্যয়ন ও শিক্ষায় নিমগ্ন ব্যক্তির ফাযীলাত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

১৫. অধ্যায়ঃ কুরআন অধ্যয়ন ও শিক্ষায় নিমগ্ন ব্যক্তির ফাযীলাত এবং যে ব্যক্তি ফিক্‌হ ইত্যাদির সূক্ষ্মজ্ঞান আহরণ করে তদনুসারে [নেক] আমাল করে ও শিক্ষা দেয় তার ফাযীলাত
১৬. অধ্যায়ঃ কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর যথার্থতা
১৭. অধ্যায়ঃ ধীরস্থিরতার সাথে ক্বিরাআত পড়া, অতি দ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং এক রাকআতে দু বা ততোধিক সূরা সংযোজনের বৈধতা
১৮. অধ্যায়ঃ ক্বিরাআত সম্পর্কিত

১৫. অধ্যায়ঃ কুরআন অধ্যয়ন ও শিক্ষায় নিমগ্ন ব্যক্তির ফাযীলাত এবং যে ব্যক্তি ফিক্‌হ ইত্যাদির সূক্ষ্মজ্ঞান আহরণ করে তদনুসারে [নেক] আমাল করে ও শিক্ষা দেয় তার ফাযীলাত

১৭৭৯. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দুটি ব্যাপার ছাড়া ঈর্ষা পোষণ করা যায় না। একটি হল- এমন ব্যক্তি যাকে মহান আল্লাহ কুরআনের জ্ঞান দান করিয়াছেন। সে তদনুযায়ী রাত-দিন আমাল করে। আরেক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তাআলা অর্থ-সম্পদ দান করিয়াছেন। সে রাত-দিন তা [আল্লাহর পথে] খরচ করে। [এ দু ব্যক্তির সাথে ঈর্ষা পোষণ করা যায়। অর্থাৎ এদের সাথে আমাল ও দানের ব্যাপারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্যে অনুকূল ইল্‌ম ও মালের আকাঙ্ক্ষা করা যায়। তবে ঐ ব্যক্তির ইল্‌ম বিলুপ্ত হয়ে যাক কিংবা ঐ মালদারের মাল ধ্বংস হয়ে যাক- এরূপ কামনা করা যাবে না।] {৩৮}

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৬৪, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৭১]

{৩৮} মুহাদ্দিসগণ নিম্নরূপে হাদীসটির ব্যাখ্যা করিয়াছেন। হিংসা দু প্রকার। এক প্রকার হল- কোন ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ যে নিআমাত দান করিয়াছেন তার অবসান কামনা করা। আর অপর প্রকার হল অবসান কামনা না করে নিজের জন্যেও অনুরূপ নিআমাত কামনা করা। প্রথম প্রকারের হিংসা হারাম। কিন্তু দ্বিতীয় প্রকারের হিংসা জায়িয। [মুসলিম শারহে নাবাবী, ১ম খণ্ড ২৭২ পৃষ্ঠা]

১৭৮০. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দুটি ব্যাপার ছাড়া ঈর্ষা পোষণ জায়িয নয়। একটি হল-যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা এ কিতাবের [কুরআনের] জ্ঞান দিয়েছেন এবং সে তদনুযায়ী দিন-রাত আমাল করে; এ ক্ষেত্রে ঈর্ষা পোষণ করার অর্থ তার চেয়ে বেশী করার [জ্ঞান আহরণের] চেষ্টা করা। আর অপরটি হল- যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা অর্থ-সম্পদ দান করিয়াছেন আর সে রাত-দিন তা থেকে সদাক্বাহ্‌ করে [এ ব্যক্তির সাথে এ অর্থে ঈর্ষা পোষণ করা যে, তার চেয়ে বেশী দান করিবে]।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৬৫, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৭২]

১৭৮১. আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দু প্রকারের লোক ছাড়া কারো সাথে ঈর্ষা পোষণ করা যায় না। এক প্রকারের লোক হল- যাকে আল্লাহ অর্থ-সম্পদ দিয়েছেন এবং হাক্ব পথে তা ব্যয় করার তাওফীক্ব তাকে দিয়েছেন। আর অন্য ব্যক্তি হল যাকে আল্লাহ তাআলা হিক্বমাহ্‌ বা সঠিক জ্ঞান দান করিয়াছেন। সে তদনুযায়ী কাজ করে এবং তা অন্যদের শিক্ষা দেয়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৬৬, ই.সে ১৭৭৩]

১৭৮২. আমির ইবনি ওয়াসিলাহ্‌ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

নাফি ইবনি আবদুল হারিস [রাদি.] উসফান নামক স্থানে উমর [রাদি.]-এর সাথে সাক্ষাৎ করিলেন। উমর [রাদি.] তাকে মাক্কায় [রাজস্ব আদায়কারী] নিয়োগ করিলেন। অতঃপর তিনি তাকে জিজ্ঞেস করিলেন : তুমি প্রান্তরবাসীদের জন্য কাকে কাজে নিয়োগ করেছ? সে বলিল- ইবনি আব্‌যা-কে। উমর [রাদি.] বলিলেন, ইবনি আব্‌যা কে? সে [নাফি] বলিল, আমাদের আযাদকৃত ক্রীতদাসের একজন। উমর [রাদি.] বলিলেন, তুমি একজন ক্রীতদাসকে তাদের জন্য তোমার স্থলাভিষিক্ত নিয়োগ করেছ? নাফি বলিলেন- সে [ক্রীতদাসটি] মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর কিতাবের একজন ভাল ক্বারী বা আলিম। আর সে ফারায়িয শাস্ত্রেও অভিজ্ঞ। তখন উমর [রাদি.] বললেনঃ তোমাদের নবী [সাঃআঃ] বলেছেন, আল্লাহ তাআলা এ কিতাব দ্বারা অনেক জাতিকে মর্যাদায় উন্নীত করেন আর অন্যদের অবনত করেন। অর্থাৎ যারা এ কিতাদের অনুসারী হইবে তারা দুনিয়ায় মর্যাদাবান এবং আখিরাতে জান্নাত লাভ করিবে। আর যারা একে অস্বীকার করিবে তারা দুনিয়ায় লাঞ্ছিত ও পরকালে জাহান্নামে পতিত হইবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৬৭, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৭৪]

১৭৮৩. আমির ইবনি ওয়াসিলাহ্‌ আল লায়সী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

নাফি ইবনি আবদুল হারিস আল খুযাঈ [রাদি.] উসফান নামক স্থানে উমর ইবনিল খাত্ত্বাবের সাথে সাক্ষাৎ করিলেন ….. এভাবে তিনি যুহরী থেকে ইব্‌রাহীম ইবনি সাদ বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৭৫]

১৭. অধ্যায়ঃ ধীরস্থিরতার সাথে ক্বিরাআত পড়া , অতি দ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং এক রাকআতে দু বা ততোধিক সূরা সংযোজনের বৈধতা

১৭৯৩. আবু ওয়ায়িল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাহীক ইবনি সিনান নামে কথিত জনৈক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.]-এর নিকট এসে বলেন, হে আবদুর রহমানের পিতা। নিম্নোক্ত শব্দটি আপনি কিভাবে পড়েন, আলিফ সহযোগে না ইয়া সহযোগে, অর্থাৎ [আরবী] অথবা [আরবী] বর্ণনাকারী আবু ওয়ায়িল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবদুল্লাহ [রাদি.] বলিলেন, এ শব্দটি ছাড়া তুমি কি কুরআনের সবটুকু আয়ত্ত করে ফেলেছ? সে বলিল, আমি তো মুফাস্‌সাল [সুরাসমূহ] এক রাকআতেই পড়ি। আবদুল্লাহ [রাদি.] বলেন, দ্রুত গতিতে অর্থাৎ কবিতা পড়ার ন্যায় দ্রুত গতিতে? কোন কোন লোক কুরআন পড়ে কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করে না। বরং [সুষ্ঠুভাবে পড়লে] তা যখন অন্তরে প্রবেশ করে তখন তা হৃদয়ে বদ্ধমূল হয় এবং উপকারে আসে। নামাজের মধ্যে রুকু-সাজদাহ্‌ হল সর্বাধিক ফাযীলাতপূর্ণ। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা আমি অবশ্যই জানি। তিনি প্রতি রাকআতে দুটি সূরা মিলিয়ে পড়তেন। অতঃপর আবদুল্লাহ [রাদি.] উঠে দাঁড়ান, আলক্বামাহ্‌ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]ও তার পিছনে পিছনে প্রবেশ করেন। অতঃপর তিনি বের হয়ে এসে বলেন, আবদুল্লাহ [রাদি.] এ সম্পর্কে আমাকে অবহিত করিয়াছেন। ইবনি নুমায়র-এর রিওয়ায়াতে আছেঃ বাজীলাহ্‌ গোত্রের জনৈক ব্যক্তি আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর নিকট এলো। তার এ বর্ণনায় “নাহীক ইবনি সিনান” নাম উল্লেখ করেননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৮৫]

১৭৯৪. আবু ওয়ায়িল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাহীক ইবনি সিনান নামে কথিত জনৈক ব্যক্তি আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর নিকট এলো… [পূর্ববর্তী সানাদের] ওয়াকী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। তবে এ বর্ণনায় আছেঃ আলক্বামাহ্‌ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার নিকট প্রবেশের জন্য এলেন। আমরা তাকে বললাম, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] প্রতি রাকআতে যে সূরা পড়তেন তার দৃষ্টান্ত সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করুন। তিনি তার নিকট প্রবেশ করে তাকে জিজ্ঞেস করিলেন, অতঃপর আমাদের নিকট বের হয়ে এসে বলেন, আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর কুরআন সংকলনের বিশটি মুফাস্‌সাল সুরা [সুরা ক্বাফ থেকে পরবর্তী সুরা সমূহ]।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৮৬]

১৭৯৫. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] একই সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

পূর্বোক্ত দুজনের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। এতে আরো আছে, আমি অবশ্যই সে দৃষ্টান্তগুলো জানি যা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নামাজ আদায় করিতেন। প্রতি রাকআতে দুটি করে সূরা, এভাবে দশ রাকআতে বিশটি সূরা।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৮০, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৮৭]

১৭৯৬. আবু ওয়ায়িল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা ফাজ্‌রের নামাজ আদায় করার পর আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.]-এর নিকট গেলাম। আমরা দরজার নিকট এসে সালাম করলে তিনি আমাদেরকে [ভিতরে প্রবেশের] অনুমতি দিলেন। আমরা কিছুক্ষণ দরজায় থেমে থাকলাম। তখন বাঁদী বের হয়ে এসে বলিল, আপনারা প্রবেশ করছেন না কেন? আমরা ভিতরে প্রবেশ করে দেখলাম তিনি তাসবীহ্‌ পড়ছেন। তিনি জিজ্ঞেস করেন, অনুমতি দেয়ার পরও তোমাদের প্রবেশে কী বাধা ছিল? আমরা বললাম না, তেমন কোন বাধা ছিল না, তবে আমরা ভাবলাম, হয়ত ঘরের মধ্যে কে ঘুমিয়ে আছে। তিনি বলিলেন, তুমি উম্মু আব্‌দের পুত্রের পরিবার সম্পর্কে অলসতার ধারণা করলে। বর্ণনাকারী বলিলেন, অতঃপর তিনি তাসবীহ পাঠে রত হলেন, শেষে যখন ভাবলেন যে, সূর্য উদিত হয়েছে তখন বলিলেন, হে বাঁদী দেখ, সূর্য উদিত হল কি না? বর্ণনাকারী বলেন, সে তাকিয়ে দেখল সূর্য উদিত হয়নি। তিনি আবার তাসবীহ্‌ পাঠে রত হলেন। শেষে তিনি যখন ভাবলেন, সূর্য উদিত হয়েছে তখন বলিলেন, হে বাঁদী ! দেখ তো সূর্য উদিত হয়েছে কি না? সে তাকিয়ে দেখল যে, সূর্য উদিত হয়েছে। আবদুল্লাহ [রাদি.] বলিলেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি এ দিনটি আমাকে ফেরত দিয়েছেন , অধস্তন বর্ণনাকারী মাহদী বলেন, আমার মনে হয় তিনি এও বলেছেনঃ “এবং আমাদের অপরাধের কারণে আমাদের ধ্বংস করেননি।” বর্ণনাকারী বলেন, উপস্থিত লোকদের একজন বলিল, গত রাতে আমি [নামাজে] মুফাস্‌সাল সূরা সম্পূর্ণটা পড়েছি। আবদুল্লাহ [রাদি.] বলেন, কবিতা পাঠের মত দ্রুত আমরা অবশ্যই কুরআনের সূরাসমূহের পাঠ শুনেছি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যেসব সুরা [নামাজে] পড়তেন আমি সেসব সূরা মুখস্ত করে রেখেছিঃ মুফাস্‌সাল সুরাসমূহ থেকে আঠারো সুরা এবং হা-মীম গ্রুপের দুটি সূরা।।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৮১, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৮৮]

১৭৯৭. শাক্বীক্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, বাজীলাহ্ গোত্রের নাহীক ইবনি সিনান নামীয় জনৈক ব্যক্তি আবদুল্লাহ [রাদি.]-এর নিকট এসে বলিল, আমি এক রাকআতেই মুফাস্সাল সূরাহ্ পড়ে থাকি। আবদুল্লাহ [রাদি.] বলেন, কবিতা আবৃত্তির মতো দ্রুত গতিতে নামাজে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যেসব সূরাহ্ পড়তেন তার দৃষ্টান্তসমূহ আমার জানা আছে। তিনি প্রতি রাকআতে দুটি সূরাহ্ পড়তেন।

[ই.ফা, ১৭৮২.ইসলামিক সেন্টার- ১৭৮৯]

১৭৯৮. আম্‌র ইবনি মুর্‌রাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি আবু ওয়ায়িল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে বর্ণনা করিতে শুনেছেন যে, জনৈক ব্যক্তি ইবনি মাস উদ [রাদি.]-এর নিকট এসে বলিল, আমি আজ রাতে সমস্ত মুফাস্সাল সূরাহ্ নামাজের এক রাকআতেই পড়েছি। আবদুল্লাহ [রাদি.] বলেন, কবিতা আবৃত্তির ন্যায় দ্রুত গতিতে। আবদুল্লাহ [রাদি.] আরো বলেন, আমি অবশ্যই সেসব দৃষ্টান্ত অবহিত আছি, যেসব সূরাহ্ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একত্রে মিলিয়ে পড়তেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি মুফাস্সাল সুরাগুলো থেকে বিশটি সূরার উল্লেখ করিলেন, যার দু টি করে সূরাহ্ প্রতি রাক আতে পড়া হত।

[ই.ফা, ১৭৮৩.ইসলামিক সেন্টার- ১৭৯০]

১৮. অধ্যায়ঃ ক্বিরাআত সম্পর্কিত

১৭৯৯. আবু ইসহাক্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আসওয়াদ ইবনি ইয়াযীদ [রাদি.] মাসজিদের মধ্যে কুরআন শিক্ষাদানরত অবস্হায় আমি জনৈক ব্যক্তিকে তার নিকট জিজ্ঞেস করিতে দেখলাম যে, সে বলিল, আপনি [আরবী] আয়াত কিভাবে পড়েন-[আরবী] শব্দে দাল হার্‌ফ সহযোগে অথবা [আরবী] যাল হার্ফ সহযোগে? তিনি বলেন, বরং [আরবী] দাল সহযোগে।

[ই.ফা, ১৭৮৪.ইসলামিক সেন্টার- ১৭৯১] [আরবী]

১৮০০. আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [আরবী] শব্দ পাঠ করিতেন।

[ই.ফা, ১৭৮৫.ইসলামিক সেন্টার- ১৭৯২]

১৮০১. আলক্বামাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা সিরিয়ায় পৌছলাম, আবুদ্ দারদা [রাদি.] আমাদের কাছে আগমন করিলেন এবং জিজ্ঞেস করিলেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি, যে আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.]-এর ক্বিরাআত পড়ে? আমি বললাম, হ্যাঁ আমি। তিনি বলেন, তুমি আবদুল্লাহ [রাদি.]-কে এ আয়াত [আরবী] কীভাবে পড়তে শুনেছ? তিনি বলিলেন, আমি তাকে উক্ত আয়াত এভাবে পড়তে শুনেছি : [আরবী]। আবুদ্ দারদা [রাদি.] বলেন, আল্লাহর শপথ ! আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে আয়াতটি এভাবে পড়তে শুনেছি। কিন্তু এরা চায়, আমি যেন [আরবী] সহযোগে পড়ি। আমি তাদের অনুসরণ করব না।

[ই.ফা, ১৭৮৬.ইসলামিক সেন্টার- ১৭৯৩]

১৮০২. ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আলক্বামাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সিরিয়ায় এলেন। তিনি মাসজিদে প্রবেশ করে নামাজ আদায় করিলেন, অতঃপর উঠে দাড়িঁয়ে একটি পাঠচক্রে গিয়ে বসলেন। আলক্বামাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন , জনৈক ব্যক্তি এলে আমি লোকদের মধ্যে তার প্রতি সপ্রতিভ সঙ্কোচবোধ লক্ষ্য করলাম। তিনি আমার পাশে বসলেন, অতঃপর [আমাকে] বলিলেন, আবদুল্লাহ [রাদি.] যেভাবে পড়তেন, তুমি কি সেভাবে সংরক্ষণ করেছ…পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।

[ই.ফা, ১৭৮৭.ইসলামিক সেন্টার- ১৭৯৪]

১৮০৩. আলক্বামাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আবুদ্ দারদা [রাদি.]–এর সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি আমাকে বলেন, তুমি কোথা থেকে এসেছ? আমি বললাম, ইরাকবাসী। তিনি বলেন, কোন্ এলাকার? আমি বললাম, কুফা এলাকার, তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.]-এর ক্বিরাআত পড়তে পার? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলেন, তাহলে [আরবী] সূরাটি পড়। আমি পড়লাম [আরবী] তিনি বলেন, আবুদ্ দারদা [রাদি.] হেসে দিয়ে বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে সূরাটি এভাবে পড়তে শুনেছি।

[ই.ফা, ১৭৮৮.ইসলামিক সেন্টার- ১৭৯৫]

১৮০৪. আলক্বামাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় পৌঁছে আবুদ্ দারদা [রাদি.]-এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম। …হাদীসের অবশিষ্ট বর্ণনা ইবনি উলাইয়্যাহ্ [রাদি.]-এর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৭৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৭৯৬]


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply