কিয়ামতের আগে যেসব নিদর্শন দৃশ্য হইবে
কিয়ামতের আগে যেসব নিদর্শন দৃশ্য হইবে >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১৩. অধ্যায়ঃ কিয়ামতের আগে যেসব নিদর্শন দৃশ্য হইবে
৭১৭৭. হুযাইফাহ্ ইবনি আসীদ আল গিফারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদিন আমরা [বিভিন্ন বিষয়ে] আলোচনা করছিলাম। এমন সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের কাছে আসলেন এবং প্রশ্ন করিলেন, তোমরা কি বিষয়ে আলোচনা করছ? উত্তরে তাঁরা বলিলেন, আমরা কিয়ামতের ব্যাপারে আলোচনা করছি। এ কথা শুনে তিনি বলিলেন, ততক্ষন পর্যন্ত কিয়ামাত সংঘটিত হইবে না যতক্ষন না তোমরা দশটি বিশেষ আলামত দেখবে।
তারপর তিনি ধুম্র, দজ্জাল, দাব্বা, পশ্চিমাকাশ হইতে সূর্যোদয় হওয়া, মারইয়াম পুত্র ঈসা [আঃ]-এর অবতরণ, ইয়াজূজ মাজূজ এবং তিনবার ভূখণ্ড ধ্বসে যাওয়া তথা পূর্ব দিকে ভূখণ্ড ধ্বস, পশ্চিম দিকে ভূখণ্ড ধ্বস এবং আরব উপদ্বীপে ভূখণ্ড ধ্বসের কথা বর্ণনা করিলেন। এ আলামতসমূহের পর এক অগ্নুৎপাতের প্রকাশিত হইবে, যা তাদেরকে ইয়ামান থেকে হাশরের মাঠ পর্যন্ত তাড়িয়ে নিয়ে যাবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০২১, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৭৮]
৭১৭৮. আবু সারীহাহ্ হুযাইফাহ্ ইবনি আসীদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদিন নবী [সাঃআঃ] স্বীয় কক্ষে ছিলেন। আর আমরা তাহাঁর নীচে বসে আলাপ-আলোচনা করছিলাম। এমতাবস্থায় তিনি আমাদের নিকট আসলেন এবং প্রশ্ন করিলেন, তোমরা কি বিষয়ে আলোচনা করছিলে। আমরা বললাম, কিয়ামত সম্বন্ধে কথা বলছিলাম। এ কথা শুনে তিনি বলিলেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামাত কায়িম হইবে না যতক্ষন না দশটি আলামত প্রকাশিত হইবে। পৃথিবীর পূর্বপ্রান্তে ভূখণ্ড ধ্বস, পশ্চিমপ্রান্তে ভূখণ্ড ধ্বস, আরব উপদ্বীপে ভূখণ্ড ধ্বস, ধূয়া ছড়িয়ে পড়া, দাজ্জালের বহিঃপ্রকাশ, দাব্বাতুল আর্য প্রকাশ পাওয়া, ইয়াজূজ-মাজূজ বের হওয়া, পশ্চিমপ্রান্ত হইতে সূর্যোদয় হওয়া এবং সর্বশেষ “আদ্ন” দেশের প্রান্ত হইতে আগুন উত্থিত হইবে যা লোকেদেরকে তাড়িয়ে এক স্থানে একত্রিত করিবে।
শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এ বর্ণনায় দশম আলামতের কথা নেই। তবে অন্য বর্ণনাই দশম আলামত হিসেবে কোথাও ঈসা [আঃ]-এর অবতরণের কথা উল্লেখ রয়েছে, আবার কোথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সর্বশেষ এমন দমকা হাওয়া প্রবাহিত হইবে, যা মানুষকে উড়িয়ে নিয়ে সমুদ্রে নিক্ষেপ করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০২২, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৭৯]
৭১৭৯. আবু সারীহাহ্[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক গৃহের ভিতর ছিলেন। আমরা তার নীচে বসা ছিলাম। অতঃপর বর্ণনাকারী হাদীসটি পূর্বের অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন।
শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছেনঃ তারা যেখানে অবতরণ করিবে আগুনও সেখানে অবতরণ করিবে এবং তারা যেখানে দ্বিপ্রহরে কাইলূলা করিবে আগুনও সেখানে তাদের সাথে থাকিবে।
বর্ণনাকারী শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এক লোক আবু সারীহার এ হাদীসটি আমার কাছে বর্ণনা করিয়াছেন। তবে মারফু হিসেবে তিনি এ হাদীসটি বর্ণনা করেননি। এতে জনৈক লোক বলেছেন, দশম নিদর্শনটি হলো, ঈসা [আঃ]- এর অবতরণ। কিন্তু অপর লোক বলেছেন, দশম নিদর্শনটি হলো, তখন এমন প্রবলবেগে বায়ু প্রবাহিত হইবে, যা মানুষদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০২৩, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৮০]
৭১৮০. আবু সারীহাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা আলোচনা করছিলাম, এমতাবস্থায় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের সম্মুখে আসলেন। অতঃপর তিনি মুআয ও ইবনি আবু জাফার-এর অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
তিনি তার হাদীসের শেষভাগে বর্ণনা করিয়াছেন যে, দশম নিদর্শনটি হলো, মারইয়াম পুত্র ঈসা [আঃ]-এর অবতরণ।
বর্ণনাকারী শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবদুল আযীয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এ হাদীসটি মারফূ হিসেবে উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০২৪, ইসলামিক সেন্টার- ৭০৮১]
Leave a Reply