ইফরাদ ও কিরান হজ্জ প্রসঙ্গে ও ইহরাম খুলা

ইফরাদ ও কিরান হজ্জ প্রসঙ্গে ও ইহরাম খুলা

কিরান হজ্জ সমাপনকারী ইফরাদ হজ্জ সম্পাদনকারীর সাথেই ইহরাম খুলতে পারবে >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

২৫. অধ্যায়ঃ ক্বিরান হাজ্জ সমাপনকারী ইফরাদ হাজ্জ সম্পাদনকারীর সাথেই ইহরাম খুলতে পারবে, তার আগে নয়
২৬. অধ্যায়ঃ বাধাপ্রাপ্ত হলে হালাল হওয়ার বৈধতা এং হাজ্জে ক্বিরান বৈধ হওয়ার বিবরণ
২৭. অধ্যায়ঃ ইফরাদ ও ক্বিরান হাজ্জ প্রসঙ্গে

২৫. অধ্যায়ঃ কিরান হজ্জ সমাপনকারী ইফরাদ হজ্জ সম্পাদনকারীর সাথেই ইহরাম খুলতে পারবে, তার আগে নয়

২৮৭৪. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ]-এর স্ত্রী হাফসাহ [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! কী ব্যাপার, লোকেরা ইহরামমুক্ত হল অথচ আপনি উমরাহ্ করার পরও ইহরাম খুলেননি? তিনি বলিলেন, আমি আমার মাথার চুল জমাট করেছি এবং কুরবানীর পশুর গলায় মালা বেঁধেছি। অতএব আমি কুরবানী না করা পর্যন্ত ইহরাম খুলতে পারি না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮৫০, ইসলামিক সেন্টার- ২৮৪৯]

২৮৭৫. হাফ্‌সাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! কী ব্যাপার, আপনি ইহরাম খুলেননি?… উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮৫১, ইসলামিক সেন্টার- ২৮৫০]

২৮৭৬. হাফ্সাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-কে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! কী ব্যাপার, লোকেরা ইহরাম খুলেছে অথচ আপনি উমরাহ্ করার পরও ইহরাম খুলেননি? তিনি বলিলেন, আমি কুরবানীর পশুর গলায় মালা বেঁধেছি এবং মাথার চুল জমাট করেছি। অতএব হজ্জের যাবতীয় অনুষ্ঠান শেষ না করা পর্যন্ত আমি ইহরাম খুলতে পারব না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮৫২, ইসলামিক সেন্টার- ২৮৫১]

২৮৭৭. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

হাফ্সাহ্ [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল!… মালিক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ-কুরবানী না করা পর্যন্ত আমি হালাল হইতে পারি না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৮৫২]

২৮৭৮. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, হাফ্সাহ্ [রাদি.] আমাকে বলেছেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিদায় হজ্জের দিন তাহাঁর স্ত্রীদের [উমরাহ্ সমাপনের পর] নির্দেশ দিলেন তারা যেন ইহরাম খুলেন। হাফ্সাহ্ [রাদি.] বলেন, আমি বললাম, আপনাকে ইহরাম খুলতে কিসে বাধা দিচ্ছে? তিনি বলিলেন, আমি মাথার চুল আঠালো করেছি এবং সাথে কুরবানীর পশু এনেছি। অতএব পশু কুরবানী না করা পর্যন্ত আমি ইহরাম খুলতে পারি না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৮৫৩]

২৬. অধ্যায়ঃ বাধাপ্রাপ্ত হলে হালাল হওয়ার বৈধতা এং হাজ্জে কিরান বৈধ হওয়ার বিবরণ

২৮৭৯. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হাঙ্গামা {হাজ্জাজ ইবনি ইউসুফ ও আবদুল্লাহ ইবনি যুবায়র [রাদি.]-এর মধ্যকার সংঘাত} চলাকালীন সময়ে উমরাহ্ করার উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বলেন, বায়তুল্লাহ পৌঁছতে আমরা যদি বাধাপ্রাপ্ত হই তবে [অনুরূপ পরিস্থিতিতে] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে যেরূপ করেছিলাম, এখনও তদ্রূপ করব। অতএব তিনি রওনা হলেন এবং উমরার ইহরাম বাঁধলেন, তিনি সফর অব্যাহত রাখলেন; যতক্ষণ না আল বায়দা নামক স্থানে পৌঁছলেন। এখানে তিনি নিজের সঙ্গীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলিলেন, হজ্জ ও উমরাহ্ উভয়ের নিয়ম একই। আমি তোমাদের সাক্ষী করছি যে, আমি নিজের জন্য হজ্জকে উমরার সাথে বাধ্যতামূলক করলাম। [রাবী বলেন] অতএব তিনি রওনা হয়ে বায়তুল্লাহ পৌঁছলেন, সাতবার ত্বওয়াফ করিলেন এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাতবার সাঈ করিলেন, এর অতিরিক্ত কিছু করেননি এবং নিজের [হজ্জ ও উমরার] জন্য এটাই [এক ত্বওয়াফ ও এক সাঈ] যথেষ্ট বিবেচনা করিলেন এবং কুরবানী করিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৮৫৪]

২৮৮০. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আবদুল্লাহ ইবনি আবদুল্লাহ এবং সালিম ইবনি আবদুল্লাহ উভয়ে আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.]-এর সাথে কথা বলিলেন- যে বছর হাজ্জাজ ইবনি ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনি যুবায়র [রাদি.]-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে এসেছিল। তারা উভয়ে বলিলেন, এ বছর হজ্জ না করলে আপনার কী ক্ষতি আছে? কারণ আমাদের আশংকা হচ্ছে- গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং আপনি বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছতে পারবেন না। আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] বলিলেন, যদি তা আমার ও বায়তুল্লাহ-এর মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়ও তবে [অনুরূপ পরিস্থিতিতে] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যা করিয়াছেন, আমিও তদ্রূপ করব। কুরায়শ কাফিররা যখন তাহাঁর ও বায়তুল্লাহ্র মাঝে প্রতিবন্ধক হয়েছিল, এ সময় আমি তাহাঁর সঙ্গে ছিলাম। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি উমরার নিয়্যত করলাম। অতঃপর তিনি রওনা হয়ে যুল হুলায়ফাহ্ নামক স্থানে পৌঁছে উমরার জন্য তালবিয়াহ পাঠ করিলেন। অতঃপর বলিলেন, যদি আমার পথ উন্মুক্ত থাকে, তবে আমি উমরাহ্ পূর্ণ করব। আর যদি আমার ও বায়তুল্লাহ-এর মাঝে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, তবে [অনুরূপ পরিস্থিতিতে] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যা করিয়াছেন আমিও তাই করব। সে সময় আমি তাহাঁর সঙ্গে ছিলাম। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করিলেন : “তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ”-[সূরাহ্ আল আহযাব ৩৩ : ২১]। তিনি আবার চলতে লাগলেন, যতক্ষণ না বায়দা নামক স্থানের উপকণ্ঠে পৌঁছলেন। এখানে পৌঁছে তিনি বললেনঃ হজ্জ ও উমরার বিধান একই। যদি আমার এবং উমরার মাঝে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, তবে আমার এবং হজ্জের মাঝেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হইবে। আমি তোমাদের সাক্ষী করছি যে, আমি আমার উমরার সাথে হজ্জকেও বাধ্যতামূলক করে নিলাম। অতঃপর তিনি অগ্রসর হলেন এবং কুদায়দ নামক স্থানে পৌঁছে কুরবানীর পশু ক্রয় করিলেন। অতঃপর তিনি হজ্জ ও উমরাহ্ উভয়ের জন্য এক ত্বওয়াফ [সাত চক্কর] ও এক সাঈ [সাফা-মারওয়ার মাঝে সাতবার দৌড়] করিলেন এবং ইহরাম খুললেন না, বরং হজ্জ সমাপন করে কুরবানীর দিন উভয়ের ইহরাম খুললেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৮৫৫]

২৮৮১. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

হাজ্জাজ যে বছর ইবনি যুবায়র [রাদি.]-এর বিরুদ্ধে অবতীর্ণ হল- ঐ বছর উমর [রাদি.] হজ্জের সংকল্প করিলেন। অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। এ সূত্রে হাদীসের শেষাংশে উল্লেখ আছে যে, “তিনি বলিতেন, যে ব্যক্তি হজ্জ ও উমরার জন্য একত্রে ইহরাম বাঁধল, তার জন্য এক ত্বওয়াফই [সাত চক্কর] যথেষ্ট এবং উভয়ের অনুষ্ঠান সমাপ্ত না করা পর্যন্ত ইহরাম খুলবে না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮৫৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৮৫৬]

২৮৮২. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

হাজ্জাজ ইবনি ইউসুফ যে বছর ইবনি যুবায়র [রাদি.]-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হল- সে বছর আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হাজ্জে যাবার সংকল্প করিলেন। তাকে বলা হল, লোকদের মধ্যে এখন যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে এবং আমাদের আশংকা হচ্ছে- তারা আপনাকে বাধা দিবে। তিনি বলিলেন, “তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ”- arbi [সুরা আল আহযাব ৩৩ : ২১]। এরূপ পরিস্থিতিতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যা করিয়াছেন, আমিও অনুরূপ করব। আমি তোমাদের সাক্ষী রাখছি যে, নিশ্চয়ই আমি উমরার সংকল্প করেছি। অতঃপর তিনি রওনা হলেন। অবশেষে যখন আল বায়দার উপকণ্ঠে পৌঁছলেন তখন তিনি বলিলেন, হজ্জ ও উমরার অবস্থা একই, তোমরা সাক্ষী থাক। ইবনি রুম্হের বর্ণনায় আছে : আমি তোমাদের সাক্ষী রাখছি যে, আমি নিশ্চয়ই আমার উমরার সাথে হজ্জ অনিবার্য করে নিলাম। অতঃপর তিনি কুরবানীর পশু সঙ্গে নিলেন যা তিনি কুদায়দ নামক স্থানে ক্রয় করেছিলেন। অতঃপর তিনি হজ্জ ও উমরার একত্রে ইহরাম বেঁধে অগ্রসর হলেন। অবশেষে মাক্কায় পৌঁছে তিনি বায়তুল্লাহ-এর ত্বওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করিলেন, এর অতিরিক্ত কিছু করিলেন না। তিনি কুরবানীও করেননি। মাথা মুণ্ডান বা চুল ছাঁটেননি এবং [ইহরামের কারণে] যা কিছু তার জন্য হারাম হয়েছিল, তার কোনটি হালাল করেননি। অবশেষে কুরবানীর দিন এলে তিনি কুরবানী করিলেন ও মাথা কামালেন এবং তার মত অনুযায়ী তিন তার প্রথম ত্বওয়াফ দ্বারাই হজ্জ ও উমরার ত্বওয়াফ সম্পাদন করে ফেলেছেন।

ইবনি উমর [রাদি.] বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরূপ করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮৫৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৮৫৭]

২৮৮৩. নাফি সূত্রে ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ ঘটনা বর্ণনা করেন। তবে এ সূত্রে হাদীসের প্রথমাংশে তিনি নবী [সাঃআঃ]-এর উল্লেখ করিয়াছেন- যখন তাকে বলা হল, আপনি বায়তুল্লাহ এ পৌঁছতে বাধাগ্রস্ত হইবেন। তখন তিনি বলিলেন, তাহলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যেরূপ করিয়াছেন, আমিও তদ্রূপ করব। তিনি হাদীসের শেষে উল্লেখ করেননি যে, “রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরূপ করিয়াছেন”-যেমন লায়স [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনায় রয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮৫৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৮৫৮]

২৭. অধ্যায়ঃ ইফরাদ ও কিরান হজ্জ প্রসঙ্গে

২৮৮৪. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

ইয়াহ্ইয়ার রিওয়ায়াতে আছে যে, তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে ইফরাদ হজ্জের ইহরাম বাঁধলাম। ইবনি আওন-এর রিওয়ায়াতে আছে যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইফরাদ হজ্জের ইহরাম বাঁধলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮৬০, ইসলামিক সেন্টার- ২৮৫৯]

২৮৮৫. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ]-কে একত্রে হজ্জ ও উমরার তালবিয়াহ পাঠ করিতে শুনেছি। [অধঃস্তন রাবী] বাক্র বলেন, আমি এ হাদীস ইবনি উমর [রাদি.]-এর কাছে বর্ণনা করলে তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হজ্জের তালবিয়াহ পাঠ করিয়াছেন।

অতঃপর আমি [বাক্র] আনাস [রাদি.]-এর সাথে সাক্ষাৎ করে তার কাছে ইবনি উমর [রাদি.]-এর বক্তব্য উল্লেখ করি। তখন আনাস [রাদি.] বলিলেন, তোমরা আমাদেরকেও শিশুই মনে কর। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে একত্রে হজ্জ ও উমরার তালবিয়াহ পাঠ করিতে শুনেছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮৬১, ইসলামিক সেন্টার- ২৮৬০]

২৮৮৬. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি নবী [সাঃআঃ]-কে একত্রে হজ্জ ও উমরাহ্ আদায় করিতে দেখেছেন। রাবী বলেন, আমি ইবনি উমর [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমরা শুধু হজ্জের ইহরাম বেঁধেছি। আমি [বাক্র] পুনরায় আনাস [রাদি.]-এর নিকট ফিরে আসি এবং ইবনি উমর [রাদি.] যা বলেছেন, সে সম্পর্কে তাকে অবহিত করলাম। আনাস [রাদি.] বলিলেন, আমরা বুঝি তখন শিশু ছিলাম! {২০}

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৮৬২, ইসলামিক সেন্টার- ২৮৬১]


Posted

in

by

Comments

One response to “ইফরাদ ও কিরান হজ্জ প্রসঙ্গে ও ইহরাম খুলা”

Leave a Reply