সলাতে মধ্যম আওয়াজে কিরাআত পাঠ করিবে
সলাতে মধ্যম আওয়াজে কিরাআত পাঠ করিবে >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৩১. অধ্যায়ঃ সলাতে মধ্যম আওয়াজে কিরাআত পাঠ করিবে, যদি সশব্দে কিরাআত পাঠ করাতে অবাঞ্ছিত কিছু বিপদের সম্ভাবনা থাকে
৮৮৭
ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আল্লাহ তাআলার বাণী-
وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا
“নিজেদের নামাজ খুব উচ্চৈঃস্বরেও পড়বে না এবং খুব নীচুস্বরেও পড়বে না, [এর মাঝামাঝি আওয়াজে পড়বে] ”- [সূরাহ বনী ইসরাঈল/ইসরা ১৭ : ১১০]। তিনি এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেন, এ আয়াত এমন এক সময় নাযিল হয় যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাক্কায় [লোকচক্ষুর অন্তরালে] গোপন জীবন-যাপন করছিলেন। অতঃপর তিনি সহাবাদের নিয়ে যখন নামাজ আদায় করিতেন উচ্চৈঃস্বরে কুরআন পাঠ করিতেন। মুশরিকরা যখন তা শুনতে পেত তারা কুরআনের অবতীর্ণকারী এবং এটা নিয়ে আগমনকারীকে গালি দিত। মহান আল্লাহ তাহাঁর নবী [সাঃআঃ] -কে বললেনঃ “তোমার সলাতে উচ্চৈঃস্বরে কিরাআত পাঠ করো না।” তাহলে মুশরিকরা তোমার কিরাআত শুনে ফেলবে। “আর নীচুস্বরেও পাঠ করিবে না”- তাহলে তোমার সহাবারা তোমার কুরআন পাঠ শুনতে পাবে না। অবশ্য উচ্চৈঃস্বরেও পাঠ করিবে না, বরং এ দুয়ের মাঝামাঝি আওয়াজে পাঠ করিবে। অর্থাৎ উচ্চৈঃস্বর ও নিম্নস্বরের মাঝামাঝি স্বরে পাঠ করিবে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৮৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ৮৯৬]
৮৮৮
আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, মহান আল্লাহর বাণী-“নিজেদের নামাজ খুব উচ্চৈঃস্বরেও পড়বে না এবং নীচুস্বরেও পড়বে না”- এ আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা দুআ সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। [অর্থাৎ-দুআ খুব উচ্চৈঃস্বরেও করিবে না এবং খুব নীচুস্বরেও করিবে না]। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৮৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৮৯৭]
৮৮৯
হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
উপরোল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৮৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ৮৯৮]
Leave a Reply