কিতাবুত যুহুদ – রাসুলের চোখে দুনিয়া- ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (র)
কিতাবুত যুহুদ – রাসুলের চোখে দুনিয়া- ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (র) >> মুসনাদে আহমদ
হাদীস:কিতাবুত যুহুদ – রাসুলের চোখে দুনিয়া
হাদীস পরিচিতিঃ কিতাবুত যুহুদ
লেখকঃ আহমদ ইবনে হাম্বল
সম্পূর্ণ নামঃ ইমাম আহমদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাম্বল আবু আবদুল্লাহ আল-শাইবানী
জন্মস্থানঃ বাগদাদ
জন্মঃ ১৬৪ হিজরি
মৃত্যুঃ ২৪১ হিজরি
প্রকাশক : ইসমাইল হোসাইন
পরিবেশক: অনারকম প্রকাশনী
মোট হাদীসঃ ৩০০০ (মকতবা শামেলা অনুসারে)
সুচিপত্র
অধ্যায় | বিষয় | হাদীস |
---|---|---|
১ | ভুমিকা | |
২ | দ্বিতীয় সংস্করণের কথা | |
৩ | অনুবাদকের কথা | |
৪ | লেখক পরিচিতি | |
৫ | বহুল-ব্যবহৃত আরবি বাক্যাংশের অর্থ | |
৬ | মুহাম্মাদ (সাঃআঃ) ও দুনিয়া | |
৭ | আদম (আঃসাঃ) ও দুনিয়া | |
৮ | নূহ (আঃসাঃ) ও দুনিয়া | |
৯ | ইবরাহীম (আঃসাঃ) ও দুনিয়া | |
১০ | ইউসুফ (আঃসাঃ) ও দুনিয়া | |
১১ | আইমূব (আঃসাঃ) ও দুনিয়া | |
১২ | ইউনুস (আঃসাঃ) ও দুনিয়া | |
১৩ | মুসা (আঃসাঃ) ও দুনিয়া | |
১৪ | দাউন (আঃসাঃ) ও দুনিয়া | |
১৫ | সুলাইমান (আঃসাঃ) ও দুনিয়া | |
১৬ | ঈসা (আঃসাঃ) ও দুনিয়া |
কিতাবুত যুহুদ
নবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওযা সাল্লাম) বলেন,
“এ দুনিয়ার সাথে আমার কী সম্পর্ক? এ দুনিয়ার সাথে আনা দৃষ্টান্ত হলো এমন এক অস্বারোহীর ন্যায় যে গ্রীষ্মের একদিন এক বৃক্ষ-ছায়ায় ঈষৎ নিদ্রা গেল, তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে সেখান থেকে চলে গেল।” [রাসূলের চোখে দুনিয়া, হাদীস নং ৩৪, ৬৪ ও ৭২]
ভাগাড়ে পড়ে থাকা একটি মৃত ভেড়া দেখিয়ে] রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি য়া সাল্লাম) বলেন,
“ফেলে দেওয়ার সময় মালিকের নিকট এ ভেড়াটি যতো তুচ্ছ মনে হয়েছে, আল্লাহ তাআলা’র নিকট দুনিয়া তার চেয়েও অধিক তুচ্ছ।” [প্রাপ্তক্ত, হাদীস নং ১১৯]
কিতাবুত যুহুদ – লেখক পরিচিতি
ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহিমাহল্লাহ) ১৬৪ হিজরি/৭৮০ খৃষ্টাব্দে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন। অতি অল্প বয়সে তিনি তাঁর পিতাকে হারান। বাগদাদে তিনি আইন, হাদীস ও অভিধানশাস্তর নিয়ে পড়াশোনা করেন। তখন তিনি কিছুদিনের জন্য ইমাম আব হানীফা’র প্রধান ছাত্র ও তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইমাম আবু ইউসুফের পাঠচক্রে হাজিরা দিয়েছিলেন। তবে বাগদাদে তিনি ছিলেন ইমাম শাফিয়ি’র একান্ত ছাত্র।
পরবর্তীতে তিনি হাদীসশাস্ত্রের দিকে পূর্ণ মনোনিবেশ করেন। বিশুদ্ধ হাদীসের সন্ধানে তিনি কুফা, বসরা, মক্কা, মদীনা, ইয়েমেন ও শাম, মরকো, আলজেরিয়া, পারস্য, খোরাসান, মিডিয়া প্রভৃতি অঞ্চল ভ্রমণ করেন। সুফ্ইয়ান ইবনু উয়াইনা, ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ কান্তান ও ওয়াকি ইবনুল জার্রাহ প্রমুখ মুহাদ্দিসের নিকট তিনি হাদীস পাঠ করেন। তাঁর নিকট থেকে হাদীস বর্ণনাকারীদের মধ্যে
মুহাম্মাদ ইবনু ইদরীস শাফিয়ি, ইমাম বুখারি, ইমাম মুসলিম ও ইমাম আবু দাউদ (রহিমাহুমুল্লাহ)-এর নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
‘কুরআন একটি সৃষ্ট বন্ত’__এ-সংক্রান্ত মতবাদ মেনে না নেওয়ায় সমকালীন শাসকগোষ্ঠী তাকে দু-বছরেরও বেশি সময় আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন ঢালায়। নির্যাতন সত্তেও তিনি ছিলেন তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়। জান ব্যতীত পার্থিব কোনো বিষয়ে তাঁর কোনো আগ্রহ ছিল না। ইমাম আবূ দাউদ সিজিস্তানি (রহিমাহল্লাহ) বলেন, “আমি দু’শতাধিক বিজ্ঞ মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করেছি; তবে আহমাদ ইবনু হান্থাল-এর ন্যায় কাউকে দেখিনি। মানুষ সাধারণত পার্থিব যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনায় প্রবত্ত হয়, তিনি সেসব বিষয়ের আলোচনায় যোগ দিতেন না। জ্ঞানের কথা আলোচনা হলেই তিনি কথা বলতেন।” তিনি শাসকদের উপহার প্রত্যাখ্যান করতেন। বই লিখে যে অর্থ পাওয়া যেতো__ তা দিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। আবার কখনো কখনো কায়িক শ্রম দিয়ে
অর্থ উপার্জন করতেন।
তাঁর লিখিত গ্ন্থাবলির মধ্যে রয়েছে: আল-মুসনাদ, আর- রাদ্ু আলায-যানাদিকাহ, কিতাবুয যুহদ। “আল-মুসনাদ” নামক হাদীসশাস্ত্রের এ বিশ্বকোষটিতে তিনি প্রায় উনত্রিশ হাজার হাদীস সংকলন করেছেন। হাদীস চর্চার পাশাপাশি তিনি অজশ্র আইনগত প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন, যা তাঁর ছাত্রবনদ সুবিন্যন্ত করে প্রকাশ করেছেন। আর এর ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছে
“াম্বালি মাযহাব” নামে ইসলামি আইনশাস্ত্রের আরেকটি গ্রহণযোগ্য মাযহাব। তিনি ২৪১ হিজরি / ৮৫৫ খৃষ্টাব্দে ইন্তেকাল করেন। তাঁকে বাগদাদের মাকাবিরুশ শুহাদা (শহীদি কবরস্থান)-এ দাফন করা হয়।
বাকী অংসের অনুবাদের কাজ চলছে ………………..
বইটির PDF/ মুল কপি পেতে হলে নিচে Comment/ কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদেরকে জানান, তাহলে আমরা আপনাদেরকে পাঠিয়ে দিতে পারব। ইনশাল্লাহ।
Leave a Reply