কিতাব সুন্নাত কে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা-যঈফ মিসকাত
কিতাব সুন্নাত কে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা-যঈফ মিসকাত >> জইফ মিশকাত শরীফ এর মুল সূচীপত্র দেখুন
২ কিতাব সুন্নাহ কে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
পরিচ্ছেদঃ কিতাব সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
২১. রবীআ জুরাশী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী করীম [সাঃআঃ]-এর নিকট কতক ফেরেশতা আসল এবং তাকে বলিলেন, আপনার চোখ ঘুমাতে থাক, আপনার কান শুনতে থাক, আপনার হৃদয় উপলব্ধি করিতে থাক। নাবী করীম [সাঃআঃ] বলিলেন, অতঃপর আমার চোখ দুটি ঘুমাল, আমার কান দুটি শুনল, আমার হৃদয় উপলব্ধি করিল। তিনি বলেন, তখন আমাকে বলা হল একজন মহৎ ব্যক্তি ঘর তৈরী করিলেন এবং তাতে খানার আয়োজন করিলেন। অতঃপর একজন আহবানকারী পাঠালেন। তখন যে ব্যক্তি আহবানকারীর ডাকে সাড়া দিল, সে ঘরে প্রবেশ করিতে পারল, খেতে পারল। আর মালিকও তার প্রতি সন্তুষ্ট হল। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার আহবানে সাড়া দিল না সে ঘরে প্রবেশ করিতে পারল না, খেতেও পারল না এবং মালিকও তার প্রতি সন্তুষ্ট হল না। অতঃপর ফেরেশতা বলিলেন, মালিক হল আল্লাহ্, আহবানকারী মুহাম্মদ [সাঃআঃ], ঘর হল ইসলাম এবং খানা হল জান্নাত।
তাহক্বীক্ব : জইফ।,দারেমী হাদীস নং/১১; মিশকাত হাদীস নং/১৬১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/১৫৪, ১/১১৯ পৃঃ। কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
২২. ইরবায ইবনি সারিয়াহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
একদিন রসূল [সাঃআঃ] দাঁড়ালেন এবং বলিলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ কি তার গদিতে ঠেস দিয়ে এ কথা মনে করিবে যে, আল্লাহ যা এই কুরআনে হারাম করিয়াছেন তা ব্যতীত আর কিছুই হারাম করেননি। তোমরা জেনে রাখ, আমি কসম করে বলছি, নিশ্চয় আমি তোমাদের অনেক বিষয়ে নির্দেশ করেছি, উপদেশ দিয়েছি এবং অনেক বিষয় নিষেধও করেছি। আমার এরূপ বিষয়ও নিশ্চয় কুরআনের বিষয়ের সমান; বরং তা হইতেও অধিক হইবে। তোমরা মনে রাখবে যে, অনুমতি ব্যতীত আহলে কিতাব যিম্মিদের বসত ঘরে প্রবেশ করা, তাহাদের নারীদের প্রহার করা এবং তাহাদের ফল শস্য খাওয়াকেও তোমাদের জন্য হালাল করিনি। যদি তারা তাহাদের উপর নির্ধারিত কর আদায় করে দেয়। [অথচ এসব বিষয় কুরআনে নেই]।
তাহক্বীক্ব : জইফ। আবুদাউদ হাদীস নং/৩০৫২; মিশকাত হাদীস নং/১৬৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/১৫৭, ১/১২২ পৃঃ। সিলসিলা জয়িফা হাদীস নং/৮৮২. কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
২৩. আব্দুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, কোন ব্যক্তি মুমিন হইতে পারবে না, যতক্ষণ তার প্রবৃত্তি আমি যা এনেছি তার অধীনে না হইবে।
তাহক্বীক্ব : জইফ। উক্ত হাদীসের সনদে নাঈম ইবনি হাম্মাদ নামে দুর্বল রাবী আছে। ঈমাম নববী তাকে ছহীহ বললেও তা ভুলবশত হয়েছে। শারহুস সুন্নাত, মিশকাত হাদীস নং/১৬৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/১৬০, ১/১২৪ পৃঃ। নাসিরুদ্দিন আলবানী, যিলালুল জান্নাত হাদীস নং/১৫. কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
২৪. বেলাল ইবনি হারেছ মুযানী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতসমূহ হইতে এমন সুন্নাত যিন্দা করিবে, যা আমার পর পরিত্যক্ত ছিল, সে ঐ সকল লোকের ছওয়াবের মত ছওয়াব পাবে, যারা তার উপর আমল করিবে। অথচ আমলকারীদের ছওয়াবের কোন অংশ কমানো হইবে না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি গোমরাহীর নতুন পথ সৃষ্টি করিবে, যাতে আল্লাহ ও তাহাঁর রসূল রাযী নন, সে ঐ সকল লোকের গোনাহের পরিমাণ পাবে, যারা তার প্রতি আমল করিবে, অথচ তাহাদের গোনাহের কোন অংশ কমানো হইবে না।
তাহক্বীক্ব : জইফ। এর সনদে কাছীর ইবনি আব্দুল্লাহ নামের রাবী ত্রুটিপূর্ণ। ঈমাম শাফেঈ ও ইবনি হিব্বান জাল বলেছেন। তিরমিজি হাদীস নং/২৬৭৭; মিশকাত হাদীস নং/১৬৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/১৬১, ১/১২৫ পৃঃ। আল-ইলালুল মুতানাহিয়াহ হাদীস নং/২০৬। কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
২৫। আমর ইবনি আওফ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, দ্বীন হেজাজের দিকে ফিরে আসবে যেভাবে সাপ তার গর্তের দিকে ফিরে আসে এবং দ্বীন হেজাযে আশ্রয় নেবে যেভাবে পার্বত্য মেষ পর্বত শিখরে আশ্রয় নেয়। দ্বীন নিঃসঙ্গ প্রবাসীর ন্যায় যাত্রা শুরু করেছে, আবার প্রত্যাবর্তন করিবে যেভাবে যাত্রা শুরু করেছিল। অতএব সে সকল প্রবাসীর জন্য সুখবর; যারা আমার পর মানুষকে ঐ সমস্ত বিষয়ে সংশোধন করে দিবে যা সুন্নাতকে নষ্ট করে দিয়েছে।
তাহক্বীক্ব : উক্ত হাদীছের প্রথমাংশ জইফ। তবে শেষাংশ ছহীহ। তিরমিজি হাদীস নং/২৬৩০; মিশকাত হাদীস নং/১৭০; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/১৬২, ১/১২৫ পৃঃ। জইফ তিরমিজি হাদীস নং/২৬৩০; যঈফুল জামে হাদীস নং/১৪৪১; দ্রঃ সিলসিলা ছহিহাহ হাদীস নং/১২৭৩। মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং/১৬৭৩৬; সিলসিলা ছহিহাহ হাদীস নং/১২৭৩; তাহক্বীক্ব মিশকাত হাদীস নং/১৭০ এর টীকা দ্রঃ। কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
২৬। আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
একদিন রসূল [সাঃআঃ] আমাকে বলিলেন, হে বৎস! তুমি যদি এভাবে সকাল-সন্ধ্যা কাটাতে পার যে, তোমার অন্তরে কারো উপর হিংসা-বিদ্বেষ থাকিবে না, তবে তাই কর। অতঃপর তিনি বলিলেন, বৎস! এটা আমার সুন্নাত। সুতরাং যে আমার সুন্নাতকে ভালবাসে সে আমাকে ভালবাসে, আর যে আমাকে ভালবাসবে সে জান্নাতে আমার সাথে থাকিবে।
তাহক্বীক্ব : জইফ। উক্ত বর্ণনায় অনেক ত্রুটি রয়েছে। খালেদ ইবনি আনাস ও আছেম ইবনি সাঈদ দুইজন অপরিচিত রাবী আছে। জইফ তিরমিজি হাদীস নং/২৬৭৮; সিলসিলা জয়িফা হাদীস নং/৪৫৩৮, ১০/৩৯ পৃঃ; তাহক্বীক্ব মিশকাত হাদীস নং/১৭৫-এর টীকা দ্রঃ ১/৬২ পৃঃ। কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
২৭। আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উম্মতের বিভ্রাপ্তির সময় আমার সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে থাকিবে তার জন্য একশ শহীদের ছওয়াব রহিয়াছে।
তাহক্বীক্ব : নিতান্ত জইফ। এর সনদে হাসান ইবনি কুতায়বা নামে দুর্বল রাবী আছে। ঈমাম যাহাবী, দারাকুৎনী, আবু হাতেম, উকাইলী প্রমুখ মুহাদ্দিছ তাকে জইফ বলেছেন। উল্লেখ্য যে, মানুষের মাঝ থেকে যখন সুন্নাত উঠে যাবে এবং সুন্নাতের উপর টিকতে পারবে না। তখন যে ব্যক্তি সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরে থাকিবে সে ৫০ জন শহীদের মর্যাদা লাভ করিবে। এই হাদীছ ছহীহ। [তাবারানী কাবীর হাদীস নং/১০৩৯৪; সনদ সহীহ, সিলসিলা সহিহা হাদীস নং/৪৯৪; সহীহুল জামে; হাদীস নং/২২৩৪।] [সিলসিলা জয়িফা হাদীস নং/৩২৬, ১/৪৯৭ পৃঃ; তাহক্বীক্ব মিশকাত হাদীস নং/১৭৬-এর টীকা দ্রঃ ১/৬২ পৃঃ; জইফ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হাদীস নং/৩০]। কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
২৮। আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি হালাল খাবে এবং সুন্নাতের প্রতি আমল করিবে, তার অনিষ্ট হইতে মানুষ নিরাপদ থাকিবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে। তখন এক ব্যক্তি বলিল, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! এরূপ লোকতো আজকাল অনেক। রসূল [সাঃআঃ] বলিলেন, আমার পরবর্তী যুগসমূহেও এরূপ লোক থাকিবে।
তাহক্কীক্ব : জইফ। সিলসিলা জয়িফা হাদীস নং/৬৮৫৫; তিরমিজি হাদীস নং/২৫২০; জইফ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হাদীস নং/২৯ ও ১০৬৮; তাহক্বীক্ব মিশকাত হাদীস নং/১৭৮-এর টীকা দ্রঃ ১/৬৩ পৃঃ।কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
২৯। আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমরা এমন যুগে আছ, যে যুগে তোমাদের কেউ যদি তার প্রতি নির্দেশিত বিষয়ের এক দশমাংশও ছেড়ে দেয়, তবুও সে ধ্বংস হয়ে যাবে। অতঃপর একটি যুগ আসবে সে যুগে তোমাদের কেউ যদি এক দশমাংশ আমল করে, তবুও সে মুক্তি পাবে।
তাহক্কীক্ব : জইফ। জইফ তিরমিজি হাদীস নং/২২৬৭; সিলসিলা জয়িফা হাদীস নং/৬৮৪, ২/১২৯ পৃঃ; তাহক্বীক্ব মিশকাত হাদীস নং/১৭৯-এর টীকা দ্রঃ ১/৬৩ পৃঃ দ্রঃ সহিহা হাদীস নং/২৫১০। কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৩০। আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূল [সাঃআঃ] বলিতেন, তোমরা নিজেদের উপর কঠোরতা আরোপ কর না, আল্লাহ তোমাদের উপর কঠোর বিধান চাপিয়ে দিবেন। পূর্বে এরূপ কোন সম্প্রদায় নিজেদের উপর কঠোরতা আরোপ করেছিল; ফলে আল্লাহ তাআলা তাহাদের উপর কঠোর বিধান চাপিয়ে দিয়েছিলেন; গির্জা ও পাদ্রীদের ধর্মশালায় যে সমস্ত লোক আছে, এরা তাহাদের উত্তরসূরী। তারা নিজেরাই নিজেদের জন্য রাহবানিয়াত কে আবিষ্কার করেছিল, যা আমি তাহাদের উপর বিধান করিনি।
তাহক্বীক্ব : জইফ। আবুদাউদ হাদীস নং/৪৯০৪; মিশকাত হাদীস নং/১৮১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/১৭২। কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৩১। আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, কুরআন পাঁচভাবে নাযিল হয়েছে : ১. হালাল ২. হারাম ৩. মুহকাম, ৪. মুতাশাবেহ এবং ৫. আমছাল [উপদেশ]। সুতরাং তোমরা হালালকে হালাল জানবে, হারামকে হারাম মনে করিবে। মুতাশাবেহ-এর প্রতি ঈমান আনবে এবং আমছাল দ্বারা উপদেশ গ্ৰহণ করিবে। শুআবুল ঈমানে এসেছে, তোমরা হালালের সাথে আমল করিবে, হারাম হইতে বেঁচে থাকিবে এবং মুহকামের অনুসরণ করিবে।
তাহক্বীক্ব : জইফ। বায়হাক্বী, শুআবুল ঈমান হাদীস নং/২২৯৩; মিশকাত হাদীস নং/১৮২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/১৭৩. ১/১৩১ পৃঃ। কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৩২। ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, শরীআতের বিষয় তিন প্রকার : [১] যার হেদায়াত সম্পূর্ণ পরিষ্কার, সুতরাং তার অনুসরণ করিবে [২] যার গোমরাহী সম্পূর্ণ পরিষ্কার, সুতরাং তা পরিহার করিবে এবং [৩] যাতে মতানৈক্য রহিয়াছে তাকে আল্লাহর উপর সোপর্দ করিবে।
তাহক্বীক্ব : জইফ। সংকলক মুসানাদে আহমাদের উদ্ধৃতি পেশ করিয়াছেন। কিন্তু সেখানে পাওয়া যায়নি। মিশকাত হাদীস নং/১৮৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/১৭৪, ১/১৩১ পৃঃ। কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৩৩। মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, শয়তান মানুষের নেকড়ে বাঘ- ছাগলের নেকড়ের ন্যায়। সে ছাগলের মধ্যে যেটি দলছুট অথবা যেটি অলসতাবশত কিনারায় চলে যায়, সেটাকেই নিয়ে যায়। সুতরাং সাবধান! তোমরা কখনও গিরি পথে যাবে না; জামাআতের সাথে থাকিবে।
তাহক্বীক্ব : জইফ। যঈফুল জামে হাদীস নং/১৪৭৭; তাহক্বীক্ব মিশকাত হাদীস নং/১৮৪-এর টীকা দ্রঃ। কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৩৪। গুযাইফ ইবনিল হারেছ ছুমালী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, যখনই কোন সম্প্রদায় একটি বিদআত সৃষ্টি করেছে, তখনই একটি সুন্নাত উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। সুতরাং একটি সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা একটি বিদআত তৈরি করা হইতে উত্তম।
তাহক্বীক্ব : জইফ। এর সনদে বাক্বিয়াহ ইবনিল ওয়ালীদ ও আবুবাকর ইবনি আব্দুল্লাহ নামের দুইজন জইফ রাবী আছে। সিলসিলা জয়িফা হাদীস নং/৬৭০৭; যঈফুল জামে হাদীস নং/৪৯৮৩; জইফ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হাদীস নং/৩৭; তাহক্বীক্ব মিশকাত হাদীস নং/১৮৭-এর টীকা দ্রঃ। কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৩৫। ইবরাহীম ইবনি মায়সারা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন বিদআতীকে সম্মান করিল, সে নিশ্চয় ইসলাম ধ্বংসে সাহায্য করিল।
তাহক্বীক্ক : জইফ। এর সনদে হাসান ইবনি ইয়াহইয়া নামে পরিত্যক্ত রাবী আছে। ইবনি হিব্বান এটাকে বাতিল হাদীছ বলেছেন। [সিলসিলা জয়িফা হাদীস নং/১৮৬২; দ্রঃ তাহক্বীক্ব মিশকাত হাদীস নং/১৮৯-এর টীকা ১/৬৬ পৃঃ।] উল্লেখ্য যে, কোন বিদআতীকে আশ্ৰয় দেওয়া যাবে না মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। বায়হাক্বী, শুআবুল ঈমান হাদীস নং/৯৪৬৪; মিশকাত হাদীস নং/১৮৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/১৮০, ১/১৩৩ পৃঃ। কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৩৬। আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি আল্লাহ্র কিতাব শিক্ষা করে, অতঃপর তাতে যা আছে তার অনুসরণ করে, আল্লাহ তাকে দুনিয়ার গোমরাহী হইতে বাঁচাবেন এবং আখেরাতে তাকে হিসাবের কষ্ট হইতে রক্ষা করবেন। অন্য বর্ণনায় আছে, যে আল্লাহর কিতাবের অনুসরণ করিবে, সে দুনিয়াতে গোমরাহ হইবে না এবং আখেরাতে হতভাগ্য হইবে না।
তাহক্বীক্ব : জইফ। সিলসিলা জয়িফা হাদীস নং/৪৫৩১; তাহক্বীক্ব মিশকাত। কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৩৭। আব্দুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
কেউ যদি অন্য কারো তরীক্বা অনুসরণ করিতে চায়, সে যেন তাহাদের তরীক্বা অনুসরণ করে, যারা দুনিয়া থেকে চলে গেছে। কারণ জীবিত ব্যক্তি ফিতনা হইতে নিরাপদ নয়। আর তাঁরা হচ্ছেন- রসূল [সাঃআঃ]-এর সাহাবীগণ, যারা এই উম্মতের শ্রেষ্ঠ লোক ছিলেন। পরিচ্ছন্ন অন্তঃকরণ হিসাবে ও পরিপূর্ণ জ্ঞান হিসাবে এবং স্বল্পতম ছিলেন কৃত্তিমতার দিক থেকে। আল্লাহ তাআলা তাহাদেরকে তাহাঁর নাবীর সাহচর্য এবং আপন দ্বীন প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মনোনীত করিয়াছেন। সুতরাং তোমরা তাহাদের মান ও মর্যাদা উপলব্ধি করার চেষ্টা কর, তাহাদের পদচিহ্নের অনুসরণ করে চল এবং যথাসাধ্য তাহাদের আখলাক ও চরিত্র আঁকড়ে ধর। তারা সরল সঠিক পথে ছিলেন।
তাহক্বীক্ব : জইফ। রাযীন, মিশকাত হাদীস নং/১৯৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/১৮৩, ১/১৩৪ পৃ: । কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৩৮। জাবের [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, আমার কালাম আল্লাহর কালামকে রহিত করে না; বরং আল্লাহর কালাম আমার কথাকে রহিত করে। এছাড়া আল্লাহর এক কালাম অপর কালামকে রহিত করে।
তাহক্বীক্ব : হাদীছটি জাল। দারাকুৎনী হাদীস নং/৯; মিশকাত হাদীস নং/১৯৫; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/১৮৫, ১/১৩৬ পৃ:। যঈফুল জামে হাদীস নং/৪২৮৫; তাহক্বীক্ব মিশকাত হাদীস নং/১৯৫, ১/৬৮ পৃ: । কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৩৯। আব্দুল্লাহ ইবনি ওমর [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, আমাদের কালাম সমূহ একটি অপরটিকে রহিত [মানসূখ] করে দেয়, যেভাবে কুরআনের একটি বাণী অপরটিকে রহিত করে।
তাহক্বীক্ব : হাদীছটি জাল। দারাকুৎনী হাদীস নং/১০; মিশকাত হাদীস নং/১৯৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/১৮৬, ১/১৩৬ পৃঃ। তাহক্বীক্ব মিশকাত হাদীস নং/১৯৬, ১/৬৮। কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৪০। আবু ছালাবা খুশানী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, আল্লাহ তাআলা কিছু জিনিষকে ফরযরূপে নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সেগুলো তোমরা ছাড়বে না। অনুরূপ কিছু বিষয়কে হারাম করে দিয়েছেন সেগুলো করিবে না। আর কতগুলোর সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, ঐ গুলোর সীমা লঙ্ঘন করিবে না। আর কতগুলোর বিষয়ে তিনি ভুলে নয় ইচ্ছাকৃতভাবেই নীরব রয়েছেন, সেগুলো খুঁড়িয়ে বের করিবে না।
তাহক্বীক্ব : জইফ। দারাকুৎনী হাদীস নং/; তাবারাণী হাদীস নং/১৮০৩৫; মিশকাত হাদীস নং/১৯৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/১৮৭, ১/১৩৭ পৃঃ। জইফ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব হাদীস নং/৩৩; রিয়াযুছ ছালেহীন হাদীস নং/১৮৪১; তাহক্বীক্ব মিশকাত হাদীস নং/১৯৭-এর টীকা দ্র: ১/৬৯ পৃঃ। কিতাব সুন্নাহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
Leave a Reply