মক্কা, কাবা ঘরে অবস্থান, মাদীনায় আগমন, ক্ববর যিয়ারত
মক্কা, কাবা ঘরে অবস্থান, মাদীনায় আগমন, ক্ববর যিয়ারত >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
অধ্যায়ঃ ১১, অনুচ্ছেদঃ ৯৩-১০০=৮টি
অনুচ্ছেদ-৯৩ঃ মাক্কাহ্য় অবস্থান করা
অনুচ্ছেদ–৯৪ঃ কাবার অভ্যন্তরে সলাত আদায় করা
অনুচ্ছেদ-৯৫ঃ হাতীমে সলাত আদায়
অনুচ্ছেদ-৯৬ঃ কাবা ঘরে প্রবেশ
অনুচ্ছেদ-৯৭ঃ কাবা ঘরের মালপত্র প্রসঙ্গে
অনুচ্ছেদ-৯৮ঃ মাদীনাহ্য় আগমন
অনুচ্ছেদ-৯৯ঃ মাদীনাহ্র মর্যাদা
অনুচ্ছেদ–১০০ঃ ক্ববর যিয়ারত
অনুচ্ছেদ-৯৩ঃ মাক্কাহ্য় অবস্থান করা
২০২২. উমার ইবনি আবদুল আযীয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উমার ইবনি আবদুল আযীয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সায়িব ইবনি ইয়াযীদ [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করিলেন, হাজ্জে আগত মুহাজিরদের মাক্কাহ্য় অবস্থান সম্পর্কে আপনি কিছু শুনেছেন কি? তিনি বলিলেন, আমাকে ইবনিল হাদরামী [রাদি.] বলিয়াছেন, তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে মুহাজিরদের লক্ষ্য করে বলিতে শুনেছেন ঃ ফার্য তাওয়াফ আদায়ের পর মাক্কাহ্য় তিন দিন অবস্থান করিতে পারবে।
কাবা ঘরে অবস্থান – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৯৪ঃ কাবার অভ্যন্তরে সলাত আদায় করা
২০২৩. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কাবার ভেতরে প্রবেশ করিলেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন উসামাহ ইবনি যায়িদ, উসমান ইবনি ত্বালহা আল-হাজাবী ও বিলাল [রাদি.]। তিনি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করিলেন। আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] বলেন, দরজা খুলে বাইরে এলে আমি বিলাল [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করি, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ভেতরে কি করছেন? তিনি বলিলেন, তিনি একটি স্তম্ভ তাহাঁর বামদিকে, দুটি স্তম্ভ ডানদিকে এবং তিনটি স্তম্ভকে পিছনে রেখে সলাত আদায় করছেন। এ সময় বায়তুল্লাহ মোট ছটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত ছিলো। {২০২৩}
কাবা ঘরে অবস্থান – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২০২৪. ঈমাম মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উক্ত হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তবে তিনি সাওয়ারীর [স্তম্ভ] কথা উল্লেখ করেননি। তিনি বলিয়াছেন, অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সলাত আদায় করেন, এ সময় তাহাঁর ও সামনের দেয়ালের মধ্যে তিন গজের দূরত্ব ছিলো।
কাবা ঘরে অবস্থান – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২০২৫. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি নাবী [সাঃআঃ] সূত্রে আল-কানাবীর বর্ণিত হাদিসের অর্থের অনুরূপ হাদিস বর্ণনা করেন। তিনি এও বলেন যে, আমি বিলাল [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করিতে ভুলে গেছি নাবী [সাঃআঃ] কত রাকআত সলাত আদায় করেছেন। {২০২৫}
কাবা ঘরে অবস্থান – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২০২৬. আবদুর রহমান ইবনি সাফওফান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি উমার ইবনিল খাত্তাব [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করি, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কাবার ভেতরে প্রবেশ করে কি করেছিলেন? তিনি বলিলেন, তিনি দুই রাকআত সলাত আদায় করেছেন। {২০২৬}
কাবা ঘরে অবস্থান – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২০২৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] মক্কায় আগমন করে কাবা ঘরে প্রবেশ করিতে অস্বীকার করেন। কেননা এ ঘরে তখন বহু দেবদেবী রাখা ছিল। অতঃপর তাহাঁর নির্দেশ মোতাবেক সেগুলা অপসারণ করা হয়। বর্ণনাকারী বলেন, ইবরাহীম ও ইসমাইল [আঃ]-এর মূর্তিও অপসারণ করা হয়। তাহাদের মূর্তির হাতে ছিল ভাগ্য পরীক্ষার তীর। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ আল্লাহ তাহাদেরকে ধ্বংস করুন। আল্লাহর শপথ! তারা নিশ্চিত জানতো যে, তাঁরা কখনো এ তীরের সাহায্যে ভাগ্য পরীক্ষা করেননি। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি কাবা ঘরে প্রবেশ করিলেন এবং এর কোণে তাকবীর ধ্বনি দিলেন, অতঃপর বাইরে আসলেন। কিন্তু তিনি সেখানে সলাত আদায় করেননি। {২০২৭}
কাবা ঘরে অবস্থান – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৫ঃ হাতীমে সলাত আদায়
২০২৮. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি বায়তুল্লাহ্র ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে সলাত আদায় করিতে চাইলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমার হাত ধরে হাতীমের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে বলিলেন, তুমি যেহেতু বায়তুল্লাহর ভেতর সলাত পড়তে চেয়েছ তখন এখানেই সলাত পড়ে নাও। কেননা এটাও বায়তুল্লাহর অংশ। তোমার সম্প্রদায়ের লোকেরা যখন বায়তুল্লাহ পুনঃনির্মান করছিলো, তখন তাহাদের অর্থের অনটন থাকায় তারা এ অংশটুকু মূল ঘর থেকে বাইরে রেখেছে। {২০২৮}
কাবা ঘরে অবস্থান – এই হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ-৯৬ঃ কাবা ঘরে প্রবেশ
২০২৯. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] তাহাঁর কাছ থেকে বাইরে গেলেন প্রফুল্ল চিত্তে, কিন্তু ফিরে আসলেন বিষণ্ণ মনে। তিনি বলিলেনঃ আমি কাবা ঘরে প্রবেশ করেছিলাম। আমি যা পরে জেনেছি তা যদি পূর্বেই জানতাম তাহলে আমি তাতে প্রবেশ করতাম না। আমার আশংকা হচ্ছে যে, আমি আমার উম্মাতকে কষ্টের মধ্যে ফেলে দিলাম কিনা। {২০২৯}
দুর্বল ঃ যয়ীফ আল-জামীউস সাগীর [২০৮৫], যয়ীফ সুনান আত-তিরমিজি [১৫২/৮৮০]। {২০২৯} তিরমিজি, ইবনি মাজাহ। ঈমাম তিরমিজি বলেন ঃ এই হাদিসটি হাসান সহিহ। কাবা ঘরে অবস্থান – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২০৩০. মানসূর আল হাজাবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার মামা আমার আম্মা সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিনি [আম্মা] বলিয়াছেন, আমি আসলাম গোত্রীয় জনৈক মহিলাকে বলিতে শুনিয়াছি, আমি উসমান ইবনি ত্বালহা আল-হাজাবী [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করি, রসূলুল্লাহ [সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আপনাকে ডেকে নিয়ে কি বলেছিলেন? তিনি বলিলেন, আমি আপনাকে জানাতে ভুলে গেছি যে, [ইসমাইলের যাবাহকৃত দুম্বার] শিং দুইটি ঢেকে রাখুন [যা বায়তুল্লাহর দেয়ালে টাঙ্গানো ছিল]। কারণ, বায়তুল্লাহ্য় এমন জিনিস থাকা সমীচীন নয় যা মুসল্লীদের অন্যমনস্ক করে দেয়। ইবনিস সারহ বলিয়াছেন, তার মামার নাম হল মুসাফি ইবনি শাইবাহ। {২০৩০}
কাবা ঘরে অবস্থান – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৭ঃ কাবা ঘরের মালপত্র প্রসঙ্গে
২০৩১. শাইবাহ ইবনি উসমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আপনি যে স্থানে বসা আছেন, একদা উমার ইবনিল খাত্তাব উক্ত স্থানে বসা অবস্থায় বলিলেন, কাবার ভেতরে রক্ষিত সম্পদ বন্টন না করা পর্যন্ত আমি এখান থেকে বের হবো না। শাইবাহ বলেন, আমি বলিলাম, আপনি এরূপ করিতে পারেন না। উমার বলেন, হ্যাঁ, আমি অবশ্যই এরূপ করব। শাইবাহ বলেন, আমি আবার বলিলাম, আপনি এরূপ করিতে পারেন না। উমার [রাদি.] বলিলেন, কেন? আমি বলিলাম, কারণ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এবং আবু বাকর [রাদি.] সম্পদ সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। আপনার চেয়ে তাঁদের এ সম্পদের বেশি প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তাঁরা এ সম্পদে হস্তক্ষেপ করেন নি। একথা শুনে তিনি উঠে বেরিয়ে যান। {৩০৩১}
কাবা ঘরে অবস্থান – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২০৩২. যুবাইর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন আমরা রাসূলুল্লাহ্র [সাঃআঃ] সাথে লিয়্যা নামক স্থান হইতে আস-সিদরাহ নামক জায়গাতে পৌঁছলাম তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কালো পাথরের পাহাড়ের সামনে এসে দাঁড়িয়ে তায়েফের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন। বর্ণনাকারী বলিয়াছেন, তিনি [সাঃআঃ] উপত্যকায় থামলেন এবং সকল লোকেরা ও থামলো। অতঃপর তিনি বলিলেনঃ সাইদু ওয়াজ্জ ও ইযাহা কাঁটাবিশিষ্ট বৃক্ষের এলাকাটি আল্লাহর পক্ষ হইতে হারাম। এ ঘটনা তাহাঁর তায়েফ অভিযান ও বনু সাক্বীফকে অবরোধ করার পূর্বেকার। {৩০৩২}
দুর্বল ঃ যয়ীফ আল-জামিউস সাগীর [১৮৭৫], মিশকাত [২৭৪৯]। {৩০৩২} আহমাদ। সনদের মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ সম্পর্কে হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেন ঃ শিথিল [লাইয়্যিন]। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন, তার হাদিসে আপত্তি আছে। আবু ইয়াহইয়া বলেন ঃ তার হাদিসের অনুসরণ করা হয় না। কাবা ঘরে অবস্থান – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৮ঃ মাদীনাহ্য় আগমন
২০৩৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তিনটি মাসজিদ ব্যতীত অন্য কোথাও সফরের প্রস্তুতি নেয়া যাবে না। মাসজিদুল হারাম, আমার এই মাসজিদ এবং মসজিদুল আক্বসা। {২০৩৩}
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৯ঃ মাদীনাহ্র মর্যাদা
২০৩৪. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে আল্লাহর কুরআন এবং তাহাঁর এ সহীফার মধ্যে যা লিখিত আছে তা ব্যতীত অন্য কিছু লিপিবদ্ধ করিনি। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ মাদীনাহ আয়ের থেকে সাওর পর্যন্ত হারাম এলাকা। এখানে যদি কেউ বিদআত করে কিংবা বিদআতীকে আশ্রয় দেয়, তবে তার উপর আল্লাহ, সকল ফেরেশতা ও মানবকুলের অভিশাপ। তার কোন ফরয বা নাফ্ল ইবাদাত আল্লাহ্র দরবারে কবুল হইবে না। তিনি আরো বলিয়াছেনঃ সকল মুসলিমের নিরাপত্তা বিধান সমান গুরুত্বপূর্ণ, এমনকি একজন সাধারণ ব্যক্তির নিরাপত্তাও। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের প্রদত্ত নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাবে তার উপর আল্লাহ, সকল ফেরেশতা ও মানবকুলের অভিশাপ। তার কোন ফরয বা নাফ্ল ইবাদাত আল্লাহর দরবারে কবুল হইবে না। আর যে ব্যক্তি কোন কওমের লোকদের অনুমতি ছাড়াই তাহাদের নেতা হয় তার উপর আল্লাহ, সকল ফেরেশতা ও মানবকুলের অভিশাপ। তার কোন ফরয বা নাফ্ল ইবাদাত আল্লাহর দরবারে কবুল হইবে না। {২০৩৪}
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২০৩৫. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আলী [রাদি.] হইতে পূর্বোক্ত হাদিসের ঘটনা প্রসঙ্গে বর্ণিত। নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ [মদীনার] সবুজ ঘাস কাটা যাবে না, শিকার তাড়ানো যাবে না এবং পড়ে থাকা বস্তু উঠানো যাবে না। তবে ঘোষক ঘোষণার উদ্দেশ্যে তা তুলতে পারবে। কেউ সেখানে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে কোন হাতিয়ার নিয়ে যেতে পারবে না এবং সেখানকার কোন বৃক্ষও কাটা যাবে না, তবে কেউ তার উটের খাদ্য সংগ্রহ করলে তা ভিন্ন কথা।
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২০৩৬. আদী ইবনি যায়িদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাদীনাহ্র চতুর্দিকে এক এক বারীদ সম্মানিত ঘোষণা করেছেন। এখানকার গাছের পাতা পাড়া যাবে না, এবং কাটাও যাবে না। তবে উট যেটুকু খাদ্য হিসেবে বহন করে, তা কাটা যাবে। {২০৩৬}
{২০৩৬} সানাদে আব্দুল্লাহ বিন আবু সুফিয়ান রয়েছে। হাফিয আত-আক্বরীব গ্রন্থে বলেন ঃ মাক্ববূল। এছাড়া সুলায়মান বিন কিনানাহ অজ্ঞাত [ মাজহুলুল হাল]হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২০৩৭.সুলাইম ইবনি আবু আবদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রাদি.]-কে এক ব্যক্তিকে আটক করিতে দেখেছি, যে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কর্তৃক মাদীনাহ্র হেরেম এলাকার মধ্যে শিকার করছিলো। তিনি তার সাথের মালপত্র কেড়ে নেন। অতঃপর তার মনিব এসে এ বিষয়ে তার সাথে কথা বললে তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ এলাকাটি হারাম ঘোষণা করে বলিয়াছেনঃ এ এলাকায় যদি কাউকে শিকার করিতে দেখো তাহলে তার সাথের মালপত্র কেড়ে নিবে। সুতরাং আমি এমন দান ফেরত দেবো না, যা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে দিয়েছেন। অবশ্য তুমি চাইলে তার মূল্য তোমাদেরকে দিবো। {২০৩৭}
সহিহ, কিন্তু তার “শিকার করছিলো” কথাটি মুনকার। মাহফূয হলো ঃ “গাছ কাটছিল” যা পরবর্তী [২০৩৮] হাদিসে আসছে। মিশকাত [২৭৪৭]। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২০৩৮. . সাদ [রাদি.] এর মুক্তদাস হইতে বর্ণীতঃ
সাদ [রাদি.] মাদীনাহ্র কতিপয় গোলামকে মাদীনাহ্র গাছপালা কাটতে দেখে তাহাদের মালপত্র কেড়ে নিলেন এবং তাহাদের মনিবদের বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে মাদীনাহ্র গাছপালা কাটতে নিষেধ করিতে শুনিয়াছি। তিনি [সাঃআঃ] আরো বলিয়াছেনঃ কেউ এখানকার কিছু কাটলে তার মালপত্র সেই পাবে যে তা কেড়ে নিবে। {২০৩৮}
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২০৩৯. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ কেউ যেন রাসূলুল্লাহ্র [সাঃআঃ] সংরক্ষিত এলাকায় গাছের পাতা না পাড়ে এবং কর্তন না করে, তবে কোমলভাবে পাতায় আঘাত করা যাবে। {২০৩৯}
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২০৪০. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কখনো বাহনে চড়ে, আবার কখনো পায়ে হেঁটে কুবা মাসজিদে আসতেন। ইবনি নুমাইয়ের বর্ণনায় রয়েছে ঃ এবং তিনি সেখানে দুই রাকআত সালাত আদায় করিতেন। {২০৪০}
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–১০০ঃ ক্ববর যিয়ারত
২০৪১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ কেউ আমার উপর সালাম পেশ করলে আল্লাহ আমার রূহ ফিরিয়ে দেন এবং আমি তার সালামের জবাব দেই। {২০৪১}
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
২০৪২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে ক্ববরস্থানে পরিণত করো না এবং আমার ক্ববরকে উৎসবের স্থানে পরিণত করো না। তোমরা আমার উপর দরূদ পাঠ করো। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌছানো হইবে। {২০৪২}
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২০৪৩. রবীআহ ইবনি হুদাইর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি ত্বালহা ইবনি উবাইদুল্লাহ [রাদি.]-কে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে একটি হাদিস ছাড়া অন্য কোন হাদিস বর্ণনা করিতে শুনিনি। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বলিলাম, তা কি? তিনি বলিলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্র [সাঃআঃ] সঙ্গে শহীদদের কবর যিয়ারতে রওয়ানা হই। শেষ পর্যন্ত আমরা হাররা ওয়াকিমের উঁচু টিলায় উঠি। আমরা সেখান থেকে নেমে উপত্যকায় বাঁকে কিছু ক্ববর দেখলাম। ত্বালহা [রাদি.] বলেন, আমরা বলিলাম, হে আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ]! এগুলা কি আমাদের ভাইদের ক্ববর? তিনি বলিলেনঃ আমাদের সাথীদের ক্ববর? অতঃপর আমরা শহীদের ক্ববরের কাছে এলে তিনি বলিলেনঃ এগুলা আমাদের ভাইদের ক্ববর। {২০৪৩}
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২০৪৪. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যুলহুলাইফার বিস্তীর্ণ এলাকায় উট বসিয়ে যাত্রাবিরতি করে সেখানে সলাত আদায় করিলেন। নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.]-ও অনুরূপ করিতেন। {২০৪৪}
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২০৪৫. আল-কানাবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, ঈমাম মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলিয়াছেন, যথাসম্ভব কিছু সলাত না পড়ে মাদীনাহ প্রত্যাবর্তনকারী কোন ব্যক্তির জন্য মুআররাস নামক স্থান অতিক্রম করা উচিত নয়। কেননা আমার কাছে হাদিস পৌছেছে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এখানে যাপন করেছেন, সামান্য ঘুমিয়েছেন এবং সলাত আদায় করেছেন। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি মুহাম্মাদ ইবনি ইসহাক্ব আল-মাদানী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে বলিতে শুনিয়াছি, মুআররাস মাদীনাহ থেকে ছয় মাইল দূরে অবস্থিত। {২০৪৫}
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু
Leave a Reply