মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ , এই অধ্যায়ে হাদীস=২৫৮ টি ( ৬৯৬-৯৫৩ পর্যন্ত ) >> মুয়াত্তা ইমাম মালিক এর মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায় – ২০ঃ হজ্জ
- পরিচ্ছেদঃ ৬৩ -কাবা ঘরের অভ্যন্তরে নামাজ আদায় করা, নামাজ কসর পড়া এবং আরাফাতে তাড়াতাড়ি খুতবা পাঠ করা
- পরিচ্ছেদঃ ৬৪ -আট তারিখে মিনাতে নামাজ পড়া, মিনা এবং আরাফাতে জুমআর নামাজ পড়া
- পরিচ্ছেদঃ ৬৫ -মুযদালিফায় নামাজ
- পরিচ্ছেদঃ ৬৬ -মিনায় নামাজ
- পরিচ্ছেদঃ ৬৭ -মিনা এবং মক্কায় মুকীম ব্যক্তির নামাজ
- এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
- পরিচ্ছেদঃ ৬৮ -আইয়্যামে তাশরীকের তাকবীর
- পরিচ্ছেদঃ ৬৯ -মুআররাস ও মাহাসসাবের নামাজ
- পরিচ্ছেদঃ ৭০ -মিনার রাত্রিগুলোতে মক্কায় রাত্রি যাপন করা
- পরিচ্ছেদঃ ৭১ -কঙ্কর নিক্ষেপ করা
- পরিচ্ছেদঃ ৭২ -কঙ্কর নিক্ষেপের ব্যাপারে রুখসত
- পরিচ্ছেদঃ ৭৩ -তাওয়াফে যিয়ারত
পরিচ্ছেদঃ ৬৩ –কাবা ঘরের অভ্যন্তরে নামাজ আদায় করা, নামাজ কসর পড়া এবং আরাফাতে তাড়াতাড়ি খুতবা পাঠ করা
৮৮৮
আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
উসামা ইবনি যায়দ [রাদি.] বিলাল ইবনি রাবাহ্ [রাদি.] এবং উসমান ইবনি তালহা হাযাবী [রাদি.]-কে নিয়ে রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কাবা শরীফের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন এবং দরজা বন্ধ করে দেন। আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সেখানে কিছুক্ষণ রয়ে গেলেন। আবদুল্লাহ বলেন, বিলাল যখন বের হয়ে এলেন তখন তাহাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সেখানে কি করিয়াছেন? তিনি বলিলেন, একটি স্তম্ভ ডানে এবং তিনটি স্তম্ভ পেছনে রেখে তিনি সেখানে নামাজ আদায় করিয়াছেন। তখনকার সময়ে কাবা শরীফের ভিতর মোট ছয়টি স্তম্ভ ছিল। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৮৮৯
সালিম ইবনি আবদুল্লাহ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল মালিক ইবনি মারওয়ান তদীয় গভর্নর হাজ্জাজ ইবনি ইউসুফকে নির্দেশ দিয়ে লিখেছিলেন হজ্জে আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.]-এর কোন কাজে বিরোধিতা করিবে না। সালিম [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, আরাফাতের দিন সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়ামাত্রই আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হাজ্জাজ ইবনি ইউসুফের তাঁবুতে আসেন। আমিও তাঁর সাথে ছিলাম। তিনি বলিলেন হাজ্জাজ কোথায়? হাজ্জাজ তখন কুসুম রঙের চাদর শরীরে ছেড়ে বের হয়ে এসে বলিলেন, হে আবু আবদুর রহমান, ব্যাপার কি? ইবনি উমার [রাদি.] বলিলেন পবিত্র সুন্নতের অনুসরণ করে যদি চলার ইচ্ছা থাকে তবে জলদি চল। হাজ্জাজ বলিলেন, এখনই? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, এখনই। হাজ্জাজ বলিলেন, একটু সময় দিন, গোসল করে নেই। আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] তখন সাওয়ারী হইতে নেমে এলেন। কিছুক্ষণ পরেই হাজ্জাজও এলেন এবং আমার ও আমার পিতার [ইবনি উমার] মাঝখানে এসে দাঁড়ালেন। আমি তখন তাহাকে বললামঃ পবিত্র সুন্নতের অনুসরণ করে চলার ইচ্ছা থাকলে আজ খুতবাটা একটু হালকা করে পড়ো এবং নামাজ বেশি বিলম্ব করো না, জলদি করে পড়ে নিও। এই কথা শুনে হাজ্জাজ আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.]-এর মুখ হইতে এটা শোনার জন্য তাঁর দিকে তাকালেন। তিনি তখন বলিলেন, হ্যাঁ, সালিম সত্য কথাই বলেছে। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদঃ ৬৪ –আট তারিখে মিনাতে নামাজ পড়া, মিনা এবং আরাফাতে জুমআর নামাজ পড়া
৮৯০
নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] যুহর, আসর, মাগরিব, ইশা এবং ফজরের নামাজ মিনা ময়দানে পড়তেন এবং সকালে সূর্যোদয়ের পর আরাফাতের দিকে যাত্রা করিতেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হল, আরাফাত দিবসে ঈমাম যুহরের নামাযে কিরাআত জোরে পড়বেন না। হ্যাঁ, আরাফাতের দিন খুতবা দিবেন। মূলত আরাফাতের নামাজ যুহরেরই নামাজ। তবে সফরের কারণে উহা কসর বা সংক্ষিপ্ত করে দেয়া হয়েছে। {১}
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, ইয়াওমে-আরাফা বা ইয়াওমুননাহার বা আইয়্যামে তাশরীকের দিন যদি জুমআর দিন হয় তবে ঐ সমস্ত দিনে ইমামুল-হজ্জ জুমআর নামাজ পড়াবেন না।
{১} মক্কার অধিবাসী হোক বা অন্য কোন স্থানের অধিবাসী, সকলকেই ঐ দিন কসর আদায় করিতে হইবে। তবে মিনা বা আরাফাতের স্থায়ী অধিবাসী হলে সে কসর আদায় করিবে না।
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদঃ ৬৫ –মুযদালিফায় নামাজ
৮৯১
আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] মুযদালিফায় মাগরিব ও ইশার নামাজ একত্রে আদায় করিয়াছেন। [বুখারি ১০৯২, মুসলিম ১২৮৮]
এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৮৯২
উসামা ইবনি যায়দ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] গিরিপথে পৌঁছে প্রস্রাব করার জন্য নামলেন এবং পরে ওযূ করলেন, কিন্তু পূর্ণভাবে করলেন না। {১} আমি তাহাকে বললাম হে আল্লাহর রসূল, নামাযের কি হইবে? তিনি বলিলেন, আরও এগিয়ে আমরা নামাজ আদায় করব। তিনি মুযদালিফায় পৌঁছে পূর্ণভাবে ওযূ করলেন। তখন নামাযের তকবীর হল। তিনি মাগরিবের নামাজ আদায় করলেন। প্রত্যেকেই স্ব স্ব উট স্ব স্ব স্থানে বেঁধে রাখলেন। অতঃপর আবার ইশার নামাযের তকবীর হল। রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ইশার নামাজ আদায় করলেন। তখন এই উভয় নামাযের মধ্যে আর কোন [নফল] নামাজ তিনি পড়েননি। [বুখারি ১৩৯, মুসলিম ১২৮০]
{১} ওযূর অঙ্গগুলো একবার করে ধৌত করলেন।
এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৮৯৩
আবু আইয়ূব আনসারী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বিদায় হজ্জের সময় রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর সাথে মুযদালিফায় মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করেছিলেন। [বুখারি ১৬৭৪, মুসলিম ১২৮৭]
এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৮৯৪
নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ উমার [রাদি.] মুযদালিফায় মাগরিব ও ইশার নামাজ একত্রে আদায় করিতেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদঃ ৬৬ –মিনায় নামাজ
৮৯৫
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
মক্কার অধিবাসী কোন ব্যক্তি হজ্জ করলে মিনায় সে নামাজ কসর আদায় করিবে এবং মক্কায় পুনরায় প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত সে কসরই আদায় করিতে থাকিবে।
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৮৯৬
হিশাম ইবনি উরওয়াহ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] মিনায় দুই রাকআত কসর নামাজ আদায় করেছিলেন। আবু বক্র [রাদি.] এবং উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] তাঁদের আমলে দুই রাকআত করে আদায় করেছিলেন। এমন কি উসমান ইবনি আফফান [রাদি.]-ও তাঁর খিলাফতের কিছুকাল দুই রাকআত করে আদায় করিয়াছেন, কিন্তু পরে তিনি চার রাকআত করে পড়তে শুরু করেন। [বুখারি ১০৮২, উমার [রাদি.] থেকে মুত্তাসিল সনদে, মুসলিম ৬৯৪]
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৮৯৭
সাঈদ ইবনি মুসায়্যাব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] যখন মক্কায় আসেন তখন দুই রাকআত নামাজ আদায় করলেন। অতঃপর বলিলেন, হে মাক্কাবাসিগণ, তোমরা স্ব স্ব নামাজ পূর্ণ করে নাও। কারণ আমরা মুসাফির [তাই আমাদেরকে কসর আদায় করিতে হয়েছে]। পরে তিনি মিনায় গিয়ে দুই রাকআতই আদায় করলেন। তবে সেখানেও তিনি নামাযের পর কিছু বলেছিলেন বলে আমরা সংবাদ পাইনি। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৮৯৮
যায়দ ইবনি আসলাম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
মক্কায় উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] দুই রাকআত নামাজ আদায় করে বলেছিলেন হে মক্কাবাসিগণ! আমরা মুসাফির। তোমরা তোমাদের নামাজ পূর্ণ করে নাও। পরে মিনায়ও তিনি দুই রাকআত নামাজ পড়েন। কিন্তু সেখানেও কিছু বলেছিলেন বলে আমরা সংবাদ পাইনি। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ]-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল মক্কাবাসিগণ আরাফাতের ময়দানে চার রাকআত আদায় করিবে, না দুই রাকআত আদায় করিবে? অনুরূপভাবে আমীরে হজ্জ যদি মক্কাবাসী হন তবে তিনি এই ব্যাপারে কি করিবেন? মক্কাবাসীগণ মিনায় থাকাকালে কসর [দুই আকআত] আদায় করিবে কিনা? উত্তরে তিনি বলিলেন, মক্কাবাসিগণ যতক্ষণ মিনা ও আরাফাতে অবস্থান করিবে মক্কায় প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত কসরই আদায় করিবে। আমীরে-হজ্জও যদি মক্কাবাসী হন তিনিও কসর আদায় করিবেন। মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, মিনা এবং আরাফাতের বাসিন্দাগণ কসর আদায় করিবে না, পূর্ণ নামাজ আদায় করিবে।
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদঃ ৬৭ –মিনা এবং মক্কায় মুকীম ব্যক্তির নামাজ
৮৯৯
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
যিলহজ্জের চাঁদ উদয় হওয়ামাত্র যদি কেউ মক্কায় এসে হজ্জের ইহরাম বেঁধে নেয় তবে যতদিন সে মক্কায় অবস্থান করিবে ততদিন নামাজ পূর্ণ আদায় করিবে [কসর আদায় করিবে না]। কেননা সে চার দিনেরও অতিরিক্ত দিন এখানে অবস্থান করার নিয়ত করেছে।
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদঃ ৬৮ –আইয়্যামে তাশরীকের তাকবীর
৯০০
ইয়াহইয়া ইবনি সাঈদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] ১০ তারিখ একটু বেলা হয়ে এলে তাকবীর পড়া শুরু করেন। তাঁর সঙ্গিগণও তাকবীর বলিতে শুরু করেন। পরের দিন তিনি একটু বেলা হয়ে এলে তাকবীর পড়া শুরু করেন। এবং সঙ্গিগণও তখন পড়া শুরু করেন। তৃতীয় দিন সূর্য হেলে যাওয়ার পর তিনি তাকবীর বলিলেন। সঙ্গিগণও তখন তাকবীর বলিলেন। সমস্বরে তাকবীর বলার এই আওয়ায মক্কা পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায়। অন্যান্য মানুষ তখন বুঝতে পারে যে, উমার [রাদি.] প্রস্তর নিক্ষেপের [রমীয়ে জামরাহ্] জন্য রওয়ানা হয়ে গিয়েছেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, আমাদের নিকট হুকুম হল, আইয়্যামে তাশরীকের সময় প্রত্যেক নামাযের পর তাকবীর পড়তে হইবে। ঈমাম প্রথমে তাকবীর বলবেন, মুকতাদি গণ তাঁর অনুসরণ করিবেন। যিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখের যুহর হইতে তাকবীর বলা শুরু করিবেন এবং ১৩ তারিখ ফজরের সময় তা শেষ করিবে। ঈমাম-মুকতাদি সকলেই এই তাকবীর পাঠ করিবেন। নারী-পুরুষ সকলের উপরই পাঠ করা ওয়াজিব। জামাতে নামাজ পড়ুক বা একাকী, মিনায় অবস্থানরত থাকুক বা অন্য কোনখানে, সকল অবস্থায়ই উহা পাঠ করিতে হইবে। ইমামুল-হজ্জ এবং মিনার ময়দানে অবস্থিত হাজীগণের অনুসরণ করিবে অন্যান্য লোক। তাকবীরের বেলায় তারা যখন মিনা হইতে প্রত্যাবর্তন করিবে ও ইহরাম ভঙ্গ করিবে, তখন মুহলিদের [ইহরাম অবস্থায় যারা নেই] অনুসরণ করিবে যাতে তাদেরই মত হয় অর্থাৎ মুহরিম ও মুহিল দুই দলের মধ্যে তাকবীর বলার ব্যাপারে পার্থক্য নেই। আর যারা হজ্জ সম্পাদনকারী নয়, তারা কেবল আইয়্যামে তাশরীকের বেলায় হাজীদের অনুসরণ করিবে।
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, কুরআনে উল্লেখিত আইয়্যামে মাদুদাত হল আইয়্যামে তাশরীক। {১}
{১} সূরা: আল-বাকারা, ২য় পারা ২৫ রুকূ- ==== তোমরা নির্দিষ্টসংখ্যক দিনগুলোতে আল্লাহকে স্মরণ করিবে। ২ ঃ ২০৩! মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] উক্ত আয়াতে উল্লেখিত আইয়্যামিম মাদুদাত-এর তাফসীর করিয়াছেন।
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদঃ ৬৯ –মুআররাস ও মাহাসসাবের নামাজ
৯০১
আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যুল-হুলায়ফা ময়দানের প্রস্তরাকীর্ণ স্থানে স্বীয় উট বসিয়ে নামাজ আদায় করেছিলেন। [বুখারি ১৫৩২, মুসলিম ১২৫৭]
নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] তদ্রূপ করিতেন।
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, হজ্জ সমাধা করে মদীনা ফেরার পথে মাআররাস নামক স্থানে প্রত্যেকে যেন নামাজ আদায় করে। আর নামাযের ওয়াক্ত না হলে ওয়াক্ত হওয়া পর্যন্ত যেন অপেক্ষা করে এবং যত রাকআত পড়া সহজ তা যেন আদায় করে নেয়। কারণ আমার নিকট রেওয়ায়াত পৌঁছেছে রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সেখানে শেষরাতে অবস্থান করিয়াছেন। আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.]-ও সেখানে স্বীয় উট বসাতেন এবং অবস্থান করিতেন। {১}
{১} মক্কার পথে মদীনা হইতে ছয় মাইল দূরে মুআররাস অবস্থিত।
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৯০২
নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] যুহর, আসর, মাগরিব এবং ইশার নামাজ মুহাস্সাব নামক স্থানে আদায় করিতেন। অতঃপর রাত্রে মক্কায় গিয়ে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করিতেন। {১} [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
{১} মুহাস্সাব মক্কা ও মিনার মধ্যবর্তী একটি স্থান।
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদঃ ৭০ –মিনার রাত্রিগুলোতে মক্কায় রাত্রি যাপন করা
৯০৩
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
লোকেরা আমার নিকট বলেছেন, উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] জামরা-এ-আকাবা বা প্রস্তর নিক্ষেপের স্থানের পশ্চাৎ হইতেই লোকদেরকে মিনার দিকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কিছুসংখ্যক লোক নিযুক্ত করে রাখতেন। {১} [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
{১} কেউ কেউ ১১ এবং ১২ তারিখের রাত্রে মক্কায় এবং দিনে মিনায় অবস্থান করিতে চাইত। তাদেরকে মক্কায় যেতে না দিয়ে মিনায় ফিরিয়ে দেয়ার জন্য উমার [রাদি.] উক্ত ব্যবস্থা করিয়াছেন।
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৯০৪
আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] বলেছেন, মিনার রাত্রিসমূহে কেউ যেন জামরা-এ-আকাবার পেছনে অবস্থান না করে। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৯০৫
হিশাম ইবনি উরওয়াহ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন মিনায় অবস্থানের রাত্রিসমূহে কেউ যেন মিনা ব্যতীত অন্যত্র রাত্রি যাপন না করে। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদঃ ৭১ –কঙ্কর নিক্ষেপ করা
৯০৬
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
জামরা-ই-উলার [প্রথম কঙ্কর নিক্ষেপের স্থান] ও জামরা-ই-বুস্তার [মধ্যবর্তী কঙ্কর নিক্ষেপের স্থান] নিকট উমার [রাদি.] [দুআর জন্য] এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেন যে, দণ্ডায়মান অন্য লোকজন বিরক্ত হয়ে যেত। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৯০৭
নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] দীর্ঘক্ষণ জামরা-ই-উলা এবং জামরা-ই-বুসতার নিকট দাঁড়িয়ে থাকতেন। তাকবীর-এ-তাশরীক ও হাম্দ পড়তেন এবং দুআ করিতে থাকতেন। জামরা-ই-আকাবা শেষ কঙ্কর নিক্ষেপের কাছে তিনি দাঁড়াতেন না। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৯০৮
নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] প্রতিটি কঙ্কর নিক্ষেপের সময় আল্লাহু আকবার বলিতেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৯০৯
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
কোন কোন আহলে-ইলমের নিকট তিনি শুনেছেন যে, কঙ্কর এত ছোট হওয়া উচিত যাতে দুই আঙ্গুল দ্বারা নিক্ষেপ করা যায়। মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, আমার মতে উহা হইতে কঙ্কর সামান্য বড় হওয়া উচিত।
নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিত আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] বলেন, ১২ তারিখের সূর্যাস্ত পর্যন্ত যে ব্যক্তি মিনায় অবস্থান করিবে ১৩ তারিখে কঙ্কর নিক্ষেপ না করা পর্যন্ত সে যেন ফিরে না যায়। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৯১০
আবদুর রহমান ইব্নু কাসিম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
কঙ্কর নিক্ষেপের জন্য সাধারণত পায়ে হেঁটে লোকজন আসা-যাওয়া করত। সর্বপ্রথম মুয়াবিয়া ইবনি আবু সুফিয়ান [রাদি.] আরোহী অবস্থায় কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৯১১
আবদুর রহমান ইবনি কাসিম [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
কাসিম ইবনি মুহাম্মদ [রাহিমাহুল্লাহ] কোথা হইতে জামরা-ই-আকাবার কঙ্কর নিক্ষেপ করিতেন? তিনি বলিলেন, যে স্থান হইতে সুবিধা এবং সহজ হত সেই স্থান হইতেই তিনি উক্ত সময় কঙ্কর নিক্ষেপ করিতেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ]-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল অসুস্থ ও শিশুদের তরফ হইতে কঙ্কর নিক্ষেপ করা যায় কিনা? উত্তরে তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, ইহা জায়েয। তবে অসুস্থ ব্যক্তির কঙ্কর নিক্ষেপের সময় অনুমান করে স্বীয় স্থানে থেকেই আল্লাহু আকবার বলবে এবং একটি কুরবানী করিবে। আইয়্যামে তাশরীকের মধ্যে যদি সুস্থ হয়ে পড়ে তবে নিজে কঙ্কর নিক্ষেপ করিবে এবং একটি কুরবানী দিবে।
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, ওযূ ব্যতীত কঙ্কর নিক্ষেপ করলে বা সায়ী করলে উহা পুনরায় আদায় করিতে হইবে না বটে কিন্তু জেনে শুনে এইরূপ করা উচিত নয়।
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৯১২
নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] বলিতেন, তিন দিনের প্রত্যেক দিনই সূর্য হেলে পড়ার পর কঙ্কর নিক্ষেপ করা উচিত। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদঃ ৭২ –কঙ্কর নিক্ষেপের ব্যাপারে রুখসত
৯১৩
আবুল বাদ্দা বাদ্দাহ ইবনি আসিম ইবনি আদী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] উটের রাখালগণকে মিনা ব্যতীত অন্য স্থানেও রাত্রি যাপন করার অনুমতি প্রদান করেছিলেন। দশ তারিখ এবং উহার পরদিন ও উহার পরবর্তী দিন [১১ ও ১২ তারিখে] সে কঙ্কর নিক্ষেপ করিবে। চতুর্থ দিন অর্থাৎ ১৩ তারিখেও যদি সে সেখানে অবস্থান করে তবে কঙ্কর নিক্ষেপ করিবে। {১} [সহীহ, আবু দাঊদ ১৯৭৫, তিরমিজি ৯৫৫, নাসাঈ ৩০৭৮, ৩০৬৯, ইবনি মাজাহ ৩০৩৬, ৩০৩৭, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন {আল ইরওয়া ১০৮}]
{১} উটের রক্ষণাবেক্ষণ ও দানাপানির প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ করে রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ তাদেরকে ঐ অনুমতি দিয়েছেন।
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৯১৪
ইয়াহইয়া ইবনি সাঈদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
উটের রাখালদেরকে কঙ্কর নিক্ষেপের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আতা ইবনি রাবাহ বলেন, এই অনুমতি প্রথম যুগ হইতে প্রচলিত ছিল। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, আবুল বাদদা ইবনি আসিম ইব্নু আদী বর্ণিত উপরিউক্ত হাদীসটির মর্মার্থ হল, সে দশ তারিখে রমী করার পর এগার তারিখ অতিবাহিত হয়ে গেলে বার তারিখে এসে এগার এবং বার উভয় তারিখের রমী করিবে। কারণ ওয়াজিব হওয়ার পূর্বে কোন বস্তুর কাযা হয় না; যখন তার উপর ওয়াজিব হল এবং সেদিন অতিবাহিত হল তখন সেদিনের রমী কাযা করিতে হইবে।
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৯১৫
আবু বক্র ইবনি নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
সফিয়া বিন্ত আবি উবায়দের ভ্রাতৃকন্যার মুযদালিফায় নিফাস শুরু হয়। শেষে তিনি এবং তাঁর ভ্রাতৃকন্যা সেখানেই থেকে যান। দশ তারিখ যখন তাঁরা মিনায় পৌঁছালেন তখন সূর্য উঠে গিয়েছিল। মিনায় পৌঁছার পর আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] উভয়কে কঙ্কর নিক্ষেপের নির্দেশ দিলেন। তবে তাঁদের উপর কোন বদলার হুকুম দেননি। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ]-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কেউ যদি মিনার দিবসগুলোর কোন তারিখের রমী করিতে ভুলে যায় আর এইদিকে সূর্যও অস্তমিত হয়ে যায় তবে সে কি করিবে? তিনি বলিলেন, রাতে বা দিনে যখনই স্বরণ হইবে রমী করে নিবে। নামাযের কথা ভুলে গেলে যেমন রাত্রে বা দিনে যখনই স্মরণ হয় তখনই আদায় করে নিতে হয়, এখানেও তাই করিবে। তবে মিনা হইতে চলে যাওয়ার পর যদি স্মরণ হয় তবে তার উপর কুরবানী দেওয়া ওয়াজিব হইবে।
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদঃ ৭৩ –তাওয়াফে যিয়ারত
৯১৬
আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] আরাফাতের ময়দানের সমবেত লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। হজ্জের আরকান ও আহকাম সম্পর্কে তাদেরকে শিক্ষা দেন। অন্যান্য কথার মধ্যে তিনি এটাও বলেন যে, মিনা আগমন এবং কঙ্কর নিক্ষেপের পর স্ত্রীসহবাস এবং সুগন্ধি দ্রব্য ব্যতীত তোমাদের জন্য সবকিছুই হালাল হয়ে যাবে। বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ [তাওয়াফে যিয়ারত বা ইফাযা] না করা পর্যন্ত তোমাদের কেউ যেন সুগন্ধি দ্রব্য ও স্ত্রী স্পর্শ না করে। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
৯১৭
আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি কঙ্কর নিক্ষেপ, মাথা কামান বা ছাঁটান এবং কুরবানী ওয়াজিব থাকলে উহা আদায় করিয়াছেন, তার জন্য সুগন্ধি দ্রব্য এবং স্ত্রীসম্ভোগ ব্যতীত আর সকল কিছুই হালাল হয়ে গিয়েছে। বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফের পর তার জন্য এ দুটিও হালাল হয়ে যাবে। [হাদীসটি ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মুযদালিফা, মিনা, মুআররাস ও মাহাসসাব ও কাবা ঘরের নামাজ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য
Leave a Reply