কাতার সোজা করার হাদীস – ইমাম, বালক ও মহিলাদের দাঁড়ানোর স্থান
কাতার সোজা করার হাদীস – ইমাম, বালক ও মহিলাদের দাঁড়ানোর স্থান
অধ্যায়ঃ ২, অনুচ্ছেদঃ ৯৪-১০১ =৮টি
অনুচ্ছেদ-৯৪ কাতার সোজা করা
অনুচ্ছেদ-৯৫ খুঁটি সমূহের মাঝখানে কাতার বাঁধা
অনুচ্ছেদ-৯৬ কাতারে ইমামের কাছাকাছি দাঁড়ানো উত্তম ও দূরে দাঁড়ানো অপছন্দনীয়
অনুচ্ছেদ-৯৭ কাতারে বালকদের দাঁড়ানোর স্থান
অনুচ্ছেদ-৯৮ মহিলাদের কাতার এবং তারা পিছনের কাতারে দাঁড়াবে, প্রথম কাতারে নয়
অনুচ্ছেদ-৯৯ কাতারে ইমামের দাঁড়ানোর স্থান
অনুচ্ছেদ-১০০ যে ব্যক্তি কাতারের পিছনে একাকী দাঁড়িয়ে নামায আদায় করে
অনুচ্ছেদ-১০১ যে ব্যক্তি কাতারে না পৌঁছেই রুকু করে
অনুচ্ছেদ-৯৪ কাতার সোজা করা
৬৬১. জাবির ইবনি সামুরাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) যেরূপ তাহাঁদের প্রতিপালকের নিকট কাতারবদ্ধ হয়ে থাকে তোমরা কি সেরূপ কাতারবদ্ধ হইবে না? আমরা বললাম, মালায়িকাহ্ তাহাঁদের প্রতিপালকের নিকট কিরূপে কাতারবদ্ধ হয়? তিনি বলিলেন, সর্বাগ্রে তারা প্রথম কাতার পূর্ণ করে, তারপর পর্যায়ক্রমে পরবর্তী কাতারগুলো এবং তারা কাতারে পরস্পর মিলে মিলে দাঁড়ায়।
সহীহঃ মুসলিম। কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৬২. আবুল ক্বাসিম আল-জাদালী হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নুমান ইবনি বাশীর (রাঃআঃ) কে বলিতে শুনিয়াছি, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) সমবেত লোকদের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিনবার বললেনঃ তোমরা তোমাদের কাতারসমুহ সোজা কর। আল্লাহর শপথ! অবশ্যই তোমরা তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করে দাঁড়াও। অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের অন্তরে মতানৈক্য সৃষ্টি করে দিবেন। বর্ণনাকারী নুমান (রাঃআঃ) বলেন, অতঃপর আমি এক লোককে দেখলাম, সে তার সঙ্গীর কাঁধের সাথে নিজের কাঁধ, তার হাঁটুর সাথে নিজের হাঁটু এবং তার গোড়ালির সাথে নিজের গোড়ালি মিলিয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম, কাতারসমূহ সোজা করার নির্দেশ বাক্য যোগে। আর কাঁধের সাথে কাঁধ মিলানোর বাক্যটি বোখারি তালীক্বভাবে বর্ণনা করিয়াছেন আনাস সূত্রে। কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৬৩. সিমাক ইবনি হারব হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নুমান ইবনি বাশীর (রাঃআঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, নাবী (সাঃআঃ) আমাদেরকে কাতারবদ্ধ করতেন এমন সোজা করে যেরূপ তীরের ফলা সোজা করা হয়। এমনকি তিনি যখন বুঝতে পারলেন, আমরা এ সম্পর্কে তাহাঁর তালীম আত্মস্থ করেছি ও বুঝেছি, তখন একদা তিনি (আমাদের দিকে) ঘুরে দেখিতে পেলেন, একজনের বুক সামনের দিকে এগিয়ে আছে। তিনি বললেনঃ তোমরা অবশ্যই তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করিবে, অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের চেহারায় বৈপরিত্য সৃষ্টি করে দিবেন।
সহীহঃ মুসলিম. কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৬৪. আল-বারাআ ইবনি আযিব (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কাতারের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে গিয়ে আমাদের বুক ও কাঁধ সোজা করে দিতেন, আর বলিতেনঃ তোমরা কাতারে বাঁকা হয়ে দাঁড়িও না। অন্যথায় তোমাদের অন্তরে বৈপরিত্য সৃষ্টি হইবে। তিনি আরো বলিতেনঃ নিশ্চয় প্রথম কাতারসমূহের প্রতি মহান আল্লাহ রহমাত বর্ষণ করেন এবং তাহাঁর মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগন) দুআ করেন।
কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৬৫. সিমাক হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নুমান ইবনি বশীর (রাঃআঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, আমরা নামাজের জন্য দাঁড়ালে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাদের কাতারসমূহ সোজা করে দিতেন। অতঃপর আমরা সমান্তরালভাবে দাঁড়িয়ে গেলে তিনি তাকবীর বলিতেন।
সহীহঃ অনুরূপ মুসলিম। কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৬৬. ইবনি উমার ও আবু শাজারাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করে নাও, পরস্পর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াও এবং উভয়ের মাঝখানে ফাঁক বন্ধ কর আর তোমাদের ভাইদের হাতে নরম হয়ে যাও। বর্ণনাকারী ঈসার বর্ণনায়, “তোমাদের ভাইয়ের হাতে” শব্দগুলো নেই। (তিনি আরো বলেন,) শাইত্বানের জন্য কাতারের মাঝখানে ফাঁকা জায়গা রেখে দিও না। যে ব্যক্তি কাতার মিলাবে, আল্লাহও তাকে তারঁ রহমাত দ্বারা মিলাবেন। আর যে ব্যক্তি কাতার ভঙ্গ করিবে, আল্লাহও তাকে তাহাঁর রহমাত হইতে কর্তন করবেন।
ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আবু শাজারার নাম হচ্ছে কাসীর ইবনি মুর্রাহ। ঈমাম আবু দাউদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আরো বলেনঃ “তোমাদের ভাইদের হাতে নরম হয়ে যাও” এর অর্থ হচ্ছে, কোন ব্যক্তি এসে কাতারে প্রবেশ করতে চাইলে প্রত্যেক ব্যক্তিই তার জন্য নিজ নিজ কাঁধ নরম করে দেবে, যেন সে সহজে কাতারে শামিল হইতে পারে।
কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৬৭. আনাস ইবনি মালিক (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন তোমরা (নামাজের) কাতারসমূহে মিলে মিশে দাঁড়াবে। এক কাতারকে অপর কাতারের নিকট রাখবে। পরস্পর কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে। ঐ সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন! আমি চাক্ষুস দেখিতে পাচ্ছি, কাতারের খালি (ফাঁকা) জায়গাতে শাইত্বান যেন একটি বকরীর বাচ্চার ন্যায় প্রবেশ করছে।
কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৬৮. আনাস ইবনি মলিক (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা কাতারসমূহ সোজা করিবে। কারণ কাতারসমূহ সোজা করার দ্বারাই নামায পূর্ণতা পায়।
সহীহঃ বোখারি ও মুসলিম.কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৬৯. প্রাসাদের মালিক মুহাম্মাদ ইবনি মুসলিম ইবনিস সায়িব হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একাদা আমি আনাস ইবনি মালিক (রাঃআঃ) এর পাশে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করলাম। তিনি বলিলেন, তুমি কি জান (মসজিদে নাবাবীতে) এ কাষ্ঠ খণ্ডটি কেন তৈরী করা হয়েছে? আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! আমি জানি না। তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর উপর তাহাঁর হাত রেখে বলিতেন তোমরা সোজা হয়ে যাও এবং তোমাদের কাতারসূমহ বরাবর করে নাও। {৬৬৯}
{৬৬৯} আহমাদ (৩/১৫৪), বায়হাক্বী (২/২২) উভয় মুসআব ইবনি সাবিত সূত্রে, তাবরীযীমিশকাতূল মাসাবীহ (১০৯৮)। এর সানাদ দুর্বল। সানাদের মুসআব ইবনি সাবিত সম্পর্কে হাফিযআত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় শিথিল। আর মুহাম্মাদ ইবনি মুসলিম ইবনিস সায়িব অজ্ঞাত ব্যাক্তি। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৬৭০. আনাস (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
এরূপ সূত্রের উক্ত হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তাতে আরো রয়েছেঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) নামাজে দাঁড়ানোর সময় ঐ কাষ্ঠ খণ্ডটি তাহাঁর ডান হাতে নিয়ে বলিতেনঃ তোমরা সোজা হয়ে যাও, তোমাদের কাতারসমূহ বরাবর করে নাও। তারপর সেটি বাম হাতে নিয়ে বলিতেন তোমরা সোজা হয়ে যাও, তোমাদের কাতারসমূহ বরাবর করে নাও।{৬৭০}
দুর্বলঃ মিশকাত ১০৯, {৬৭০} পূর্বেরটি দেখুন। সানাদে একজন দুর্বল ও একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি রহিয়াছে। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৬৭১. আনাস (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা সর্বাগ্রে প্রথম কাতার পূর্ণ করিবে, তারপর তার পরবর্তী কাতার পূর্ণ করিবে। এরপর কোন অসম্পূর্ণতা থাকলে তা যেন শেষ কাতারে হয়।
কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৭২. ইবনি আব্বাস (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যকার উৎকৃষ্ট হচ্ছে ঐসব লোক, যারা নামাজের মধ্যে নিজেদের কাঁধ বেশি নরম করে দেয়।
কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৫ খুঁটি সমূহের মাঝখানে কাতার বাঁধা
৬৭৩. আব্দুল হামীদ ইবনি মাহমূদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি আনাস ইবনি মালিক (রাঃআঃ) এর সাথে জুমুআর নামায আদায় করি। লোকজন বেশি হওয়ায় আমরা খুঁটি সমূহের মাঝখানে যেতে বাধ্য হই। এতে করে আমরা আগে পিছে হয়ে যাই। আনাস (রাঃআঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর যুগে আমরা এভাবে (দু খুঁটির মাঝখানে) দাঁড়ানো হইতে বিরত থাকার চেষ্টা করতাম।
কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৬ কাতারে ইমামের কাছাকাছি দাঁড়ানো উত্তম ও দূরে দাঁড়ানো অপছন্দনীয়
৬৭৪. আবু মাসউদ আল-আনসারী (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যেকার প্রবীন ও জ্ঞানী লোকেরা যেন আমার কাছাকাছি দাঁড়ায়। তারপর পর্যায়ক্রমে দাঁড়াবে যারা ঐ গুনে তাহাঁদের কাছাকাছি, তারপর দাঁড়াবে যারা তাহাঁদের কাছাকাছি তারা।
সহীহঃ মুসলিম, কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৭৫. আবদুল্লা (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তাতে আরো রয়েছেঃ “তোমরা আগ-পিছ হয়ে দাঁড়াবে না। তাহলে তোমাদের অন্তরে বৈপরিত্য সৃষ্টি হইবে। সাবধান! তোমরা মসজিদে বাজারের ন্যায় শোরগোল করিবে না।”
সহীহঃ মুসলিম, কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৭৬, আয়েশা (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন নিশ্চয় কাতারের ডান দিকের (মুসল্লিদের) উপর আল্লাহর রহমত বর্ষণ করেন এবং মালায়িকাহ (ফেরেশতাগন) দুআ করেন। {৬৭৬}
হাসান ঃ এ শব্দেঃ (………) “যারা কাতারবদ্ধ হয়ে নামায আদায় করে”।হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৭ কাতারে বালকদের দাঁড়ানোর স্থান
৬৭৭. আবদুর রহমান ইবনি গানম হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবু মালিক আল আশআরী (রাঃআঃ) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে নাবী (সাঃআঃ) এর নামায সম্পর্কে বর্ণনা করব না? এরপর তিনি নামাজে দাঁড়ালেন। প্রথমে প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের কাতারবদ্ধ করালেন, তারপর তাহাঁদের পিছনের কাতারে বালকদের দাঁড় করালেন। অতঃপর তিনি তাহাঁদের সাথে নামায আদায় করিলেন। এরপর বর্ণনাকারী নাবী (সাঃআঃ) এর নামাজের বর্ণনা দেন। (বর্ণনাকারী বলেন,) অতঃপর নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ এভাবেই নামায আদায় করতে হয়। বর্ণনাকারীআবদুল আলা বলেন, আমার ধারণা আমার শায়খ কুররাহ ইবনি খালিদ বলেছেন, নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ আমার উম্মাত এভাবেই নামায আদায় করিবে। {৬৭৭}
দুর্বলঃ মিশকাত-১১১৫। {৬৭৭} আহমাদ (৫/৩৪১)। সানাদের শাহর ইবনি হাওশাব সম্পর্কে হাফিয “আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেন, সত্যবাদী, তবে মুরসাল ও সংশয় প্রচুর। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৮ মহিলাদের কাতার এবং তারা পিছনের কাতারে দাঁড়াবে, প্রথম কাতারে নয়
৬৭৮. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ পুরুষদের সর্বোত্তম কাতার হচ্ছে প্রথমটি আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট হচ্ছে শেষেরটি। পক্ষান্তরে মহিলাদের সর্বোত্তম কাতার হচ্ছে শেষেরটি আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট হচ্ছে প্রথমটি।
সহীহঃ মুসলিম, কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৭৯. আয়েশা (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ একদল লোক সর্বদা প্রথম কাতার থেকে পিছনের দিকে সরতে থাকিবে। ফলে আল্লাহও তাহাঁদেরকে জাহান্নামের পিছন দিকে রাখবেন।
কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৮০. আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাহাঁর সহাবীদেরকে প্রথম কাতারে দাঁড়াতে বিলম্ব করতে দেখে বলিলেন সামনে আস এবং আমার অনুকরণ কর। আর তোমাদের পরের লোকেরাও তোমাদের অনুসরণ করিবে। একদল লোক সর্বদাই (প্রথম কাতার থেকে) পিছনের দিকে সরতে থাকিবে। ফলে মহান আল্লাহ ও তাহাঁদের পিছনে ফেলে রাখবেন।
সহীহঃ মুসলিম, কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯৯ কাতারে ইমামের দাঁড়ানোর স্থান
৬৮১. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা ঈমামকে কাতারের মাঝখান বরাবর দাঁড় করাও এবং (কাতারের মধ্যকার) ফাঁকা বন্ধ করে দাও। {৬৮১}
দুর্বলঃ কিন্ত হাদিসের দ্বিতীয় অংশটি সহিহ। দেখুন হাদিস নং ৬৬৬, ৬২০। {৬৮১} বায়হাক্বীসুনানুল কুবরা(৩/১০৪) আবু দাউদ সূত্রে এর সানাদে জাফার ইবনি মুসাফির রহিয়াছে। হাফিযআত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেন, তিনি সত্যবাদী, তবে প্রায়ই ভুল করতেন। এবং সানাদের ইয়াহইয়া ইবনি বাশীর লুপ্ত(মাসতূর), এবং তার মাতা হচ্ছে উম্মাতুল ওয়াহিদ বিনতু ইয়ামীন। হাফিয বলেন, তাকে বাক্বীয়্যাহ ইবনি মুযাল্লাদ নামকরণ করা হয় তার মুসনাদে, কিন্ত সুনান আবু দাউদের বর্ণনায় তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। তিনি অজ্ঞাত মহিলা। হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
অনুচ্ছেদ-১০০ যে ব্যক্তি কাতারের পিছনে একাকী দাঁড়িয়ে নামায আদায় করে
৬৮২. ওয়াবিসাহ (রাঃআঃ) হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এক ব্যাক্তিকে কাতারের পিছনে একাকী দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে দেখে তাকে পুনরায় নামায আদায় করার নির্দেশ দিলেন।
কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০১ যে ব্যক্তি কাতারে না পৌঁছেই রুকু করে
৬৮৩. হাসান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
আবু বাকরাহ (রাঃআঃ) বর্ণনা করেন যে, একদা আল্লাহর নাবী (সাঃআঃ) রুকুতে থাকাবস্থায় তিনি মসজিদে প্রবেশ করিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি কাতারে না পৌঁছেই রুকু করে নিলাম। নাবী (সাঃআঃ) (আমাকে) বলিলেন আল্লাহ (ইবাদাত ও নেকীর প্রতি) তোমার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিন, তবে পুনরায় এরূপ করো না।
সহীহঃ বোখারি, কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬৮৪. হাসান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
একদা আবু বাকরাহ (রাঃআঃ) (মসজিদে) এসে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কে রুকুতে পেলেন। তিনি কাতারে না পৌঁছেই রুকু করিলেন, তারপর কাতারে শামিল হওয়ার জন্য অগ্রসর হলেন। নাবী (সাঃআঃ) নামায শেষ করে বলিলেন তোমাদের মধ্যকার কে কাতারে পৌঁছার পূর্বেই রুকু করেছে এবং পরে কাতারে শামিল হওয়ার জন্য অগ্রসর হয়েছে? আবু বাকরাহ (রাঃআঃ) বলিলেন, আমি। নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ আল্লাহ তোমার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিন। তবে পুনরায় এরূপ করো না।
কাতার সোজা করার হাদীস এর তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply