কষ্টদায়ক জিনিস দূর করা ও বিড়ালকে সাজা না দেয়া
চলাচলের পথ হইতে কষ্টদায়ক জিনিস দূর করার ফযিলত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৩৬. অধ্যায়ঃ চলাচলের পথ হইতে কষ্টদায়ক জিনিস দূর করার ফযিলত
৩৭. অধ্যায়ঃ বিড়াল ও যে প্রাণী [মানুষকে] কষ্ট দেয় না, তাদেরকে সাজা দেয়া নিষিদ্ধ
৩৬. অধ্যায়ঃ চলাচলের পথ হইতে কষ্টদায়ক জিনিস দূর করার ফযিলত
৬৫৬৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ একদা এক ব্যক্তি চলাচলের পথ দিয়ে হেটে যাচ্ছিল। তখন সে রাস্তার উপর একটি কাঁটাযুক্ত ডাল দেখিতে পেলো তারপর তা সরিয়ে দিল। আল্লাহ তার এ ভাল কর্মটি প্রছন্দ করিয়াছেন এবং তাকে [তার পাপ] মাফ করে দিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৩১, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৮১]
৬৫৬৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এক ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি কাঁটাযুক্ত ডাল দেখে বলে, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই মুসলিমদের চলাচলের রাস্তা হইতে এটা অপসারণ করবো, যাতে তাদেরকে কোন কষ্ট না দেয়। ফলে তাকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করানো হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৩২, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৮২]
৬৫৬৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি এক লোককে একটি গাছের কারনে জান্নাতে আনন্দ ফূর্তি করিতে দেখেছি। এ গাছটি সে রাস্তার উপর হইতে দূর করেছিল, যেটি মানুষকে কষ্ট দিত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৩৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৮৩]
৬৫৬৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ একটি গাছ মুসলিমদের [পথ গমন করার সময়] কষ্ট দিত। এক ব্যক্তি এসে সে গাছটি কেটে ফেললো, এরপর সে জান্নাতে প্রবেশ করলো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৩৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৮৪]
৬৫৬৭. আবু বারযাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আপনি আমাকে এমন একটি বিষয় অবহিত করুন, যার সাহায্যে উপকৃত হইতে পারি। তিনি বলিলেন, মুসলিমদের চলার পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৩৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৮৫]
৬৫৬৮. আবু বারযাহ্ আল আসলামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সমীপে আবেদন করলাম, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আমি জানি না, হয়ত একদিন আপনি দুনিয়া ত্যাগ করবেন [ইন্তিকাল করবেন] আর আপনার পর এ অবস্থায় হয়তো আমি বেঁচে থাকব। সুতরাং আমাকে এমন কিছু বানী শিখিয়ে দিন যা দ্বারা আল্লাহ আমাকে উপকৃত করবেন। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, এটি করিবে, এটি করিবে। বর্ণনাকারী আবু বাকর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তা ভুলে গেছেন। তিনি নির্দেশ করিয়াছেন যে, চলাচলের পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৩৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৮৬]
৩৭. অধ্যায়ঃ বিড়াল ও যে প্রাণী [মানুষকে] কষ্ট দেয় না, তাদেরকে সাজা দেয়া নিষিদ্ধ
৬৫৬৯. আব্দুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ একটি বিড়ালকে সাজা দেওয়ার অপরাধে একটি মহিলাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এ বিড়ালটি সে আটকে রেখেছিল। অবশেষে সেটি মারা গেল। এরপর সে কারণে মহিলাটি জাহান্নামে গমন করলো। সে ঐ বিড়ালটিকে আটকাবস্থায় খাবারও দেয়নি, পানিও পান করায়নি, ভূ-পৃষ্ঠের কীট-পতঙ্গ খেয়ে সেটাকে জীবন ধারণ করার সুযোগও দেয়নি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৮৭]
৬৫৭০. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
হারূন ইবনি আব্দুল্লাহ ও আব্দুল্লাহ ইবনি জাফার ইবনি ইয়াহ্ইয়া ইবনি খালিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. ইবনি উমর [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] থেকে জুওয়াইরিয়াহ্ বর্ণিত হাদীসের অর্থের হুবুহু হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৮৮]
৬৫৭১. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ একজন মহিলাকে একটি বিড়ালের জন্য শাস্তি দেয়া হয়। সে [মহিলা] এটিকে বেঁধে রাখে, খাবারও দেয়নি এবং পানিও পান করায়নি; এমনকি ভূ-পৃষ্ঠের কীট-পতঙ্গ খেতে [বেঁচে থাকার জন্যে] তাকে বন্ধন ছেড়ে দেয়নি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৮৯]
৬৫৭২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাস্র ইবনি আলী আল জাহযামী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. আবু হুরাইরাহ [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] থেকে হুবুহু হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৩৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৯০]
৬৫৭৩. হাম্মাম ইবনি মুনাব্বিহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবু হুরায়রা্ [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে আমাদের নিকট অনেকগুলো হাদীস উল্লেখ করিয়াছেন। তন্মধ্যে একটি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, এক মহিলা একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গমন করে। সে এটিকে মজবুত করে আটকে রাখলো। সে মহিলা এটিকে খানা দেয়নি, পানীয় দেয়নি এবং তাকে বন্ধন ছেড়ে দেয়নি যে, জমিনের পোকা-মাকড় খেয়ে বাঁচতে পারে। পরিশেষে বিড়ালটি পানাহারে কাতর হয়ে মারা যায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৪০, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৯১]
Leave a Reply