কবরের আজাব

কবরের আজাব

কবরের আজাব >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ১, অধ্যায়ঃ ৪

  • অধ্যায়ঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

অধ্যায়ঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ

১২৫. বারা ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন মুসলিমকে যখন ক্ববরে জিজ্ঞেস করা হয় তখন সে সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্‌ ছাড়া প্রকৃত কোন মাবূদ নেই এবং নিঃসন্দেহে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] আল্লাহ্‌র রসূল। Arbi “যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ্‌ তাআলা তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতের জীবনে অটল ও অবিচল রাখেন”-[সূরাহ্ ইবরাহীম ১৪:২৭]। আল্লাহ্‌র এ বাণীর অর্থ হল এটাই। অপর এক বর্ণনায় আছে, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ

يُثَبِّتُ اللّهُ الَّذِينَ امَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ

ইউসাব্বিতুল্লা-হুল্লাযীনা আ-মানু বিল ক্বাওলিস্ সাবিতি”- এ আয়াত ক্ববরের আযাব সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। ক্ববরে মৃতকে জিজ্ঞেস করা হয়, তোমার রব কে ? সে বলে, আমার রব মহান আল্লাহ্‌ তাআলা। আর আমার নবী মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৪৬৯৯, মুসলিম ২৮৭১, আবু দাউদ ৪৭৫০, সহীহ আল জামি ৬৭০৮, সহীহাহ্ ৩৯৬৩, নাসায়ী ২০৫৭, তিরমিজি ৩১২০, ইবনি মাজাহ ৪২৬৯। কবরের আজাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৬. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ বান্দাকে যখন ক্ববরে রেখে তার সঙ্গীগণ [আত্নীয়-স্বজন, পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব] সেখান থেকে চলে আসে, আর তখনও সে তাদের জুতার শব্দ শুনতে পায়। তার নিকটে [ক্ববরে] দুজন মালাক [ফেরেশতা] পৌছেন এবং তাকে বসিয়ে প্রশ্ন করেন, তুমি দুনিয়াতে এই ব্যক্তির { মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর ] ব্যাপারে কী জান? এ প্রশ্নের উত্তরে মুমিন বান্দা বলে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌র বান্দা ও তাহাঁর রসূল। তখন তাকে বলা হয়, ঐ দেখে নাও, তোমার ঠিকানা জাহান্নাম কিরূপ [জঘন্য] ছিল। তারপর আল্লাহ্‌ তাআলা তোমার সে ঠিকানা [জাহান্নাম] জান্নাতের সাথে পরিবর্তন করে দিয়েছেন। তখন সে বান্দা দুটি ঠিকানা [জান্নাত-জাহান্নাম] একই সঙ্গে থাকিবে। কিন্তু মুনাফিক্ব ও কাফিরকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, দুনিয়াতে এ ব্যক্তি {মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]] সম্পর্কে তুমি কি ধারণা পোষণ করিতে? তখন সে উত্তর দেয়, আমি বলিতে পারি না [প্রকৃত সত্য কী ছিল]। মানুষ যা বলত আমিও তাই বলতাম। তখন তাঁকে বলা হয়, তুমি বিবেক বুদ্ধি দিয়েও বুঝতে চেষ্টা করনি এবং [আল্লাহ্‌র কুরআন] পড়েও জানতে চেষ্টা করনি। এ কথা বলে তাকে লোহার হাতুড়ি দিয়ে কঠিনভাবে মারতে থাকে, এতে সে তখন উচ্চস্বরে চিৎকার করিতে থাকে। এ চীৎকারের শব্দ [পৃথিবীর] জিন আর মানুষ ছাড়া নিকটস্থ সকলেই শুনতে পায়। {১}

[মুত্তাফাকুন আলায়হিঃ বোখারী ১৩৭৪, মুসলিম ২৮৭০]; {১} সহীহ : বোখারী ১৩৭৪, মুসলিম ২৮৭০, নাসায়ী ২০৫১, আহমাদ ১২২৭১, সহীহ ইবনি হিব্বান ৩১২০, সহীহ আল জামি ১৬৭৫, সহীহ আত তারগীব ৩৫৫৫। কবরের আজাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৭. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন মারা যায়, [ক্ববরে] তাকে সকাল-সন্ধ্যায় তার [ভবিষ্যৎ] অবস্থান দেখানো হয়। যদি সে জান্নাতী, তার অবস্থান জান্নাত আর যদি জাহান্নামী হয় তবে তার অবস্থান জাহান্নাম দেখানো হয়। আর তাকে বলা হয়, এটাই তোমার প্রকৃত অবস্থান। অতঃপর ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ্ তাআলা তোমাকে উঠিয়ে সেখানে প্রেরন করিবেন। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৩৭৯, মুসলিম ২৮৬৬, নাসায়ী ২০৭০, আহমাদ ৫৯২৬, সহীহ ইবনি হিব্বান ৩১৩০, সহীহ আল জামি ৭৯২, সহীহ আত তারগীব ৩৫৫১। কবরের আজাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৮. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা এক ইয়াহূদী নারী তাহাঁর কাছে এলো। সে ক্ববরের আযাব প্রসঙ্গ উঠাল এবং বলিল, হে আয়িশাহ্‌ [রাদি.]! আল্লাহ্ তাআলা তোমাকে ক্ববরের আযাব থেকে মুক্তি দিন। অতঃপর আয়িশাহ্‌ [রাদি.] রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কে কবরের আযাবের সত্যতা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করিলেন। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বললেনঃ হ্যাঁ, কবরের আযাব সত্য। আয়িশাহ্‌ [রাদি.] বলেন, অতঃপর আমি কক্ষনো এমন দেখিনি যে, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] সালাত আদায় করিয়াছেন অথচ কবরের আযাব হইতে আল্লাহ্‌র নিকট মুক্তির দুআ করেন নি। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৩৭২, মুসলিম ৯০৩, আহমাদ ২৫৪১৯, সহীহাহ্ ১৩৭৭, সহীহ আত তারগীব ৩৫৪৭। হাদিসের শব্দগুলো বোখারীর। কবরের আজাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২৯. যায়দ ইবনি সাবিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বানী নাজ্জার গোত্রের একটি বাগানে তাহাঁর একটি খচ্চরের উপর আরোহী ছিলেন এবং আমরাও তাহাঁর সাথে ছিলাম। হঠাৎ খচ্চরটি লাফিয়ে উঠলো এবং রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে প্রায় মাটিতে ফেলে দেবার উপক্রম করলো। দেখা গেল, সামনে পাঁচ-ছয়টি ক্ববর রয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বললেন, এ ক্ববরবাসীদের কে চিনে? এক ব্যাক্তি বলিল, আমি। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] জিজ্ঞেস করিলেন, এরা কবে মারা গেছে? সে বলিল শিরকের যুগে। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বললেন, এ উম্মাত তথা ক্ববরবাসীরা তাদের ক্ববরে পরীক্ষায় পড়েছে [শাস্তির কবলে পড়েছে]। তোমারা মানুষ কে ভয়ে ক্ববর দেয়া ছেড়ে দিবে [এ আশংকা না থাকলে] আমি আল্লাহ্‌র কাছে দুআ করতাম, তিনি যেন তোমাদের কেও ক্ববরের আযাব শুনান, যে ক্ববরের আযাব আমি শুনতে পাচ্ছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমাদের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে বললেন, তোমরা সকলে জাহান্নামের আযাব হইতে আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় চাও। সকলে একত্রে বলিল, আমরা জাহান্নামের আযাব হইতে আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বললেন, তোমরা ক্ববরের আযাব হইতে আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় চাও। তারা সকলে একত্রে বললেন, আমরা ক্ববরের আযাব হইতে আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাই। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বললেন তোমরা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ফিত্‌নাহ্‌ হইতে আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় চাও। তখন সকলে একত্রে বললেন, আমরা সকল প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ফিত্‌নাহ্‌ হইতে আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাই। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বললেন, তোমরা দাজ্জালের সকল ফিত্‌নাহ্‌ হইতে আশ্রয় চাও। সকলে বললেন, আমরা দাজ্জালের ফিত্‌নাহ্‌ হইতেও আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় চাই। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ২৮৬৭। কবরের আজাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

১৩০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ মৃতকে যখন ক্ববরে শায়িত করা হয় তখন তার নিকট নীল চোখ বিশিষ্ট দুজন কালো মালাক [ফেরেশতা] এসে উপস্থিত হন। তাদের একজনকে মুনকার ও অপরজনকে নাকীর বলা হয়। তারা মৃতকে [রাসূলের প্রতি ইঙ্গিত করে] জিজ্ঞেস করে, এ ব্যাক্তির ব্যাপারে দুনিয়াতে তুমি কি ধারনা পোষণ করিতে? সে বলবে, তিনি আল্লাহ্‌র বান্দা ও তাহাঁর রসূল। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আল্লাহ্‌র বান্দা ও তাহাঁর রসূল। তখন মালাক [ফেরেশতা] দুজন বলবেন, আমরা আগেই জানতাম তুমি এ উত্তরই দিবে। অতঃপর তার ক্ববরকে দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে সত্তর হাত প্রশস্ত করে দেওয়া হয় এবং সেখানে তার জন্য আলোর ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয়। তারপর তাকে বলা হয়, ঘুমিয়ে থাক। তখন ক্ববরবাসী বলবে, [না] আমি আমার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চাই এবং তাদের এ সুসংবাদ দিতে চাই। মালায়িকাহ্‌ [ফেরেশতাগন] বলবেন, তুমি এখানে বাসর ঘরের বরের ন্যায় ঘুমাতে থাকো, যাকে তার পরিবারের সবচেয়ে প্রিয়জন ব্যতীত আর কেউ ঘুম ভাঙ্গাতে পারেনা। অতঃপর সে ক্বিয়ামাতের দিন না আসা পর্যন্ত এভাবে ঘুমিয়ে থাকে। যদি মৃত ব্যক্তি মুনাফিক্ব হয় তাহলে সে বলবে, লোকদেরকে তাহাঁর সম্পর্কে যা বলিতে শুনতাম আমিও তাই বলতাম। কিন্তু আমি জানি না। তখন মালায়িকাহ্‌ বলেন, আমরা পূর্বেই জানতে পেরেছিলাম যে তুমি এ কথাই বলবে। অতঃপর জমিন কে বলা হবে তার উপর চেপে যাও। সুতরাং জমিন তার উপর এমন ভাবে চেপে যাবে, যাতে তার একদিকের হাড় অপরদিকে চলে যাবে। কবরে সে এভাবে আযাব ভোগ করিতে থাকিবে যে পর্যন্ত [ক্বিয়ামাত দিবসে] আল্লাহ্‌ তাআলা তাকে ক্ববর থেকে না উঠান। {১}

{১} সহীহ : তিরমিজি ১০৭১, সহীহুত্ তারগীব ৩৫৬০। কবরের আজাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩১. বারা ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ ক্ববরে মৃত ব্যাক্তির [মুমিনের] নিকট দুজন মালাক আসেন। অতঃপর মালায়িকাহ্‌ তাকে বসিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করেন, “তোমার রব কে?” সে উত্তরে বলে, “আমার রব হলেন আল্লাহ্‌।” তারপর মালায়িকাহ্‌ জিজ্ঞেস করেন, “তোমার দ্বীন কি?” সে ব্যক্তি উত্তর দেয়, “আমার দ্বীন হল ইসলাম।” আবার মালায়িকাহ্‌ জিজ্ঞেস করেন, “তোমাদের নিকট আল্লাহ্‌র পক্ষ হইতে যে ব্যক্তি প্রেরিত হয়েছিল, তিনি কে?” সে বলে, “তিনি হলেন আল্লাহ্‌র রসূল {মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]]।” তারপর মালায়িকাহ্‌ তাকে জিজ্ঞেস করেন, “এ কথা তোমাকে কে বলেছে?” সে বলে, আমি আল্লাহ্‌র কিতাব পড়েছি এবং তাহাঁর উপর ঈমান এনেছি ও তাঁকে সমর্থন করেছি। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ এটাই হল আল্লাহ্‌ তাআলার এ বানীর : Arbi “আল্লাহ্‌ তাআলা সেসব লোকদেরকে [দ্বীনের উপর] প্রতিষ্ঠিত রাখেন যারা প্রতিষ্ঠিত কথার [কালিমায়ে শাহাদাতের] উপর ঈমান আনে…… আয়াতের শেষ পর্যন্ত- [সূরাহ্‌ ইবরাহীম ১৪: ২৭]। অতঃপর রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেন, আকাশমণ্ডলী থেকে একজন আহ্বানকারী ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমার বান্দা সত্য বলেছে। সুতরাং তাহাঁর জন্য জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দাও, তাঁকে জান্নাতের পোশাক পরিয়ে দাও। আর তাহাঁর জন্য জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দাও। অতএব তাহাঁর জন্য জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দেয়া হবে। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন, ফলে তাহাঁর দিকে জান্নাতের বাতাস ও সুগন্ধি দোলা দিতে থাকিবে এবং দৃষ্টির শেষ সীমা পর্যন্ত তাহাঁর ক্ববরকে প্রশস্ত করে দেয়া হবে। অতঃপর তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কাফিরদের মৃত্যু প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “তারপর তার রূহ্‌কে তার শরীরে ফিরিয়ে আনা হয় এবং দুজন মালাক এসে তাকে উঠিয়ে বসান এবং বসিয়ে জিজ্ঞেস করেন, “তোমার রব কে?। তখন সে উত্তরে বলে, “হায়! হায়!! আমি তো কিছুই জানি না।” তারপর তারা তাকে পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, “তোমার দ্বীন কি?” সে বলে হায়! হায়!! তাও তো আমার জানা নেই। তারপর তারা জিজ্ঞেস করেন, “এ ব্যক্তি কে যাকে তোমাদের নিকট প্রেরণ করা হয়েছিল?” সে বলে হায়! হায়!! এটাও তো জানি না।” তারপর আকাশ থেকে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করে বলেন, এ ব্যক্তি মিথ্যা বলছে। সুতরাং তার জন্য আগুনের বিছানা বিছিয়ে দাও এবং তাকে আগুনের পোশাক প্রিয়ে দাও। আর জাহান্নামের দিকে তার জন্য একটি দরজা খুলে দাও। সে অনুযায়ী তার জন্য দরজা খুলে দেয়া হয়। রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেন, তার ক্ববরকে তার জন্য সংকুচিত করে দেয়া হয়, যাতে তার একদিকের হাড় অপরদিকের হাড়ের মধ্যে প্রবেশ করে। এরপর একজন অন্ধ ও বধির মালাক নিযুক্ত করে দেয়া হয়, যার সাথে লোহার এক হাতুড়ি থাকে। সে হাতুড়ি দিয়ে যদি পাহাড়ের উপর আঘাত করা হয় তাহলে সে পাহাড় গুঁড়া গুঁড়া হয়ে মাটিতে মিশে যাবে। সে অন্ধ মালাক এ হাতুড়ি দিয়ে সজোরে তাকে আঘাত করিতে থাকে। [তার বিকট চীৎকারের শব্দ] পূর্ব হইতে পশ্চিম পর্যন্ত জিন্‌ ও মানুষ ছাড়া সকল মাখলুকই শুনতে পাবে। এর সাথে সাথে সে মাটিতে মিশে যাবে। অতঃপর পুনরায় তার মধ্যে রূহ্‌ ফেরত দেয়া হবে [এভাবে অনবরত চলতে থাকিবে]। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ৪৭৫৩, আহমাদ ১৮০৬৩। কবরের আজাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩২. উসমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি যখন কোন ক্ববরের নিকট দাঁড়াতেন, কেঁদে দিতেন, [আল্লাহ্‌র ভয়ে চোখের পানিতে] তাহাঁর দাড়ি ভিজে যেত। একদা তাকে জিজ্ঞেস করা হল, জান্নাত ও জাহান্নামের কথা স্মরন হলে, আপনি কাঁদেন না। আর আপনি এ জায়গায় [ক্ববরস্থানে] দাঁড়িয়ে কাঁদছেন? তিনি প্রত্যুত্তরে বললেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ আখিরাতের মঞ্জীলসমূহের মধ্যে ক্ববর হল প্রথম মঞ্জীল। কেউ যদি এই মঞ্জীলে মুক্তি পেয়ে যায়, তাহলে পরের মঞ্জীলসমূহ অতিক্রম করা তার জন্য সহজসাধ্য হয়ে যায়। আর যে ব্যক্তি এ মঞ্জীলে মুক্তি লাভ করিতে পারল না, তার জন্য পরবর্তী মঞ্জীলসমূহ আরও কঠিন হয়ে পড়ে। অতঃপর তিনি {উসমান [রাদি.]] বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এটাও বলেছেন, ক্ববর থেকে বেশি কঠিন কোন ভয়ঙ্কর জায়গা আমি কক্ষনো দেখিনি। {১}

{১} সহীহ : তিরমিজি ২৩০৮, সহীহুত্ তারগীব ৩৫৫০, ইবনি মাজাহ ৪২৬৭। কবরের আজাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩৩. উসমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] মাইয়্যিতের দাফন সম্পন্ন করে অবসর গ্রহণকালে ক্ববরের নিকট দাঁড়িয়ে উপস্থিত সকলকে লক্ষ্য করে বলিতেনঃ তোমাদের ভাইয়ের জন্য [আল্লাহ্‌ তাআলার নিকট] ক্ষমা প্রার্থনা কর ও দুআ কর, যেন তাকে এখন [মালায়িকার প্রশ্নোত্তরে] ঈমানের উপর সুদৃঢ় থাকার শক্তি-সামর্থ্য দেন। কেননা এখনই তাকে প্রশ্নের সম্মুখীন হইতে হবে।{১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ৩২২১, সহীহুল জামি ৪৭৬০। কবরের আজাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩৪. আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ কাফিরদের জন্য তাদের ক্ববরে নিরানব্বইটি সাপ নির্ধারণ করা হয়। এ সাপগুলো তাকে ক্বিয়ামাত পর্যন্ত কামড়াতে ও দংশন করিতে থাকিবে। যদি তার কোন একটি সাপ জমিনে নিঃশ্বাস ফেলে, তবে এ জমিনে আর কোন ঘাস-তৃণলতা জন্মাবে না। তিরমিজিও এ ধরনের হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন, কিন্তু তিনি নিরানব্বইটির স্থানে সত্তরের উল্লেখ করিয়াছেন। {১}

{১} জইফ : দারিমী ২৮১৫, তিরমিজি ২৩৮৪, যঈফুত্ তারগীব ২০৭৯। কারণ এ হাদিসের সানাদে দাররাজ আবুস্ সাম্হ নামক একজন অনেক মুনকার হাদিস বর্ণনাকারী রাবী রয়েছে। تِنِّيْنٌ [তিন্নীন] অত্যধিক বিষধর বড় সাঁপ। ঈমাম দারিমী হাদিসটি কিতাবুর রিক্বাকে বর্ণনা করিয়াছেন। আর তার সানাদটি দুর্বল। কারণ তাতে দাররাজ আবুস্ সাম্হ নামক একজন মুনকার রাবী রয়েছে। ঈমাম আহমাদ [রাহিমাহুল্লাহ] দারিমী-এর সাথেই মুসনাদে আহমাদের ৩/৩৮ নং এ হাদিসটি বর্ণনা করিয়াছেন। আর ঈমাম তিরমিজি [রাহিমাহুল্লাহ] আবু যায়দ [রাদি.] কর্তৃক বর্ণিত অন্য সূত্রে হাদিসটি আত তিরমিজির ২/৭৫ নং এ বর্ণনা করিয়াছেন। তবে সে সানাদেও দুজন দুর্বল রাবী রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

অধ্যায়ঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

১৩৫. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, সাদ ইবনি মুআয [রাদি.] যখন ইন্তিকাল করেন, তখন আমরা রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এর সাথে তার জানাযায় হাযির হলাম। জানাযার নামাজ আদায় করে যখন তাকে ক্ববরে রাখা হল ও মাটি সমান করে দেয়া হল, তখন রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] সেখানে [দীর্ঘক্ষণ] আল্লাহ্‌র তাসবীহ পাঠ করিলেন। আমরাও তাহাঁর সাথে অনেক সময় তাসবীহ পড়লাম। তারপর রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তাকবীর বললেন। আমরাও [তাহাঁর সাথে] তাকবীর বললাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আপনি কেন এভাবে তাসবীহ পড়লেন ও তাকবীর বললেন? তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] উত্তরে বললেন, এ নেক ব্যাক্তির ক্ববর খুব সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিল [তাই আমি তাসবীহ ও তাকবীর পড়লাম]। এতে আল্লাহ্‌ তাআলা তার ক্ববরকে প্রশস্ত করে দিলেন। {১}

{১} জইফ : আহমাদ ১৪৪৫৯। কারণ এর সানাদে মাহমূদ ইবনি আবদুর রহমান ইবনি আমর ইবনি জামুহ নামক একজন অপরিচিত রাবী রয়েছে। মুসনাদে আহমাদ ৩/৩৬০ ও ৩৭৭ নং পৃঃ। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

১৩৬. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ এই {সাদ ইবনি মুআয [রাদি.]] সে ব্যক্তি যার মৃত্যুতে আর্‌শও কেঁপেছিল [তার পবিত্র রূহ্‌ আর্‌শে পৌঁছলে আর্‌শের নিকটতম মালায়িকাহ্‌ খুশীতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিল] এবং আসমানের দরজা খুলে দিয়েছিল। তার জানাযায় সত্তর হাজার মালাক উপস্থিত হয়েছিলো। অথচ তার ক্ববর সংকীর্ণ হয়েছিলো। {রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এর দুআর বারাকাতে] পরে তা প্রশস্ত হয়ে গিয়েছিলো। {১}

{১} সহীহ : নাসায়ী ২০৫৫, সহীহুল জামি ৬৯৮৭। কবরের আজাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩৭. আসমা বিনতু আবু বাকর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমাদের উদ্দেশ্যে নাসীহাত করার জন্য দাঁড়ালেন এবং ক্ববরের ফিত্‌নাহ সম্পর্কে বর্ণনা করিলেন। মানুষ ক্ববরে যে ফিতনার সম্মুখীন হয় তা শুনে লোকজন ভয়ে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করিল। ঈমাম বোখারী এ পর্যন্ত বর্ণনা করিয়াছেন। আর ঈমাম নাসায়ীর বর্ণনায় আরো রয়েছে: [ক্ববরের ফিতনার কথা শুনে ভয়ে ভীত বিহ্বল হয়ে] মুসলিমরা চীৎকারের কারণে আমি রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর [মুখ খেকে বের হওয়া] কথাগুলো বুঝতে পারিনি। চীৎকার বন্ধ হবার পর অবস্থা শাস্ত হলে আমি আমার নিকটে বসা এক লোককে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহ্‌ তোমায় কল্যাণ দান করুন, শেষের দিকে রসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কী বলেছেন? সে ব্যক্তি উত্তরে বলিল, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন, আমার উপর এ ওয়াহী এসেছে যে, তোমাদেরকে ক্ববরে ফিতনায় ফেলা হবে। আর এ ফিতনাহ্ দাজ্জালের ফিতনার মতো হবে। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৩৭৩, নাসায়ী ২০৬২। কবরের আজাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩৮. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ যখন [মুমিন] মৃতকে ক্ববরে দাফন করা হয়, তার নিকট মনে হয় যেন সূর্য ডুবছে। তখন সে হাত দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে উঠে বসে এবং বলে যে, আমাকে ছেড়ে দাও। আমি নামাজ আদায় করে নেই। [সলাতের প্রতি একাগ্রতার কারণে এরূপ বলবে]। {১}

{১} সহীহ : ইবনি মাজাহ ৪২৭২। কবরের আজাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবু হুরায়রাহ্‌ [রাদি.] সূত্রে নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: মৃত যখন ক্ববরের ভিতরে পৌঁছে, তখন [নেক] বান্দা ক্ববরের ভিতর ভয়-ভীতিহীন ও শঙ্কামুক্ত হয়ে উঠে বসে। অতঃপর তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তুমি কোন্‌ দীনে ছিলে? তখন সে বলে, আমি দ্বীন ইসলামে ছিলাম। তারপর তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, এ ব্যক্তি {মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]] কে? সে বলে, এ ব্যক্তি হলেন মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম], আল্লাহ্‌র রসূল। আল্লাহ্‌র নিকট হইতে আমাদের কাছে [হিদায়াতের জন্য] স্পষ্ট দলীল নিয়ে এসেছেন এবং আমরাও তাঁকে [পরিপূর্ণ] বিশ্বাস করেছি। পুনরায় তাকে প্রশ্ন করা হয়, তুমি আল্লাহ্‌কে কক্ষনো দেখেছ কি? সে উত্তরে বলে, দুনিয়াতে আল্লাহ্‌কে দেখা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। অতঃপর জাহান্নামের দিকে তার জন্য একটি ছিদ্রপথ খুলে দেয়া হয়। সে সেদিকে তাকায় এবং দেখে, আগুনের লেলিহান শিখা একে অপরকে দলিত-মথিত করে তোলপাড় করছে। তখন তাকে বলা হয়, দেখ! তোমাকে কি কঠিন বিপদ হইতে আল্লাহ্‌ হিফাযাত করিয়াছেন। তারপর তার জন্য জান্নাতের দিকে একটি ছিদ্রপথ খুলে দেয়া হয়। এখন সে জান্নাতের শোভা সৌন্দর্য ও এর ভোগ-বিলাসের প্রতি তাকায়। তাকে তখন বলা হয়, এটা তোমার [প্রকৃত] স্থান। কেননা তুমি দুনিয়ায় ঈমানের সাথে ছিলে, ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছ। ইন্‌শা-আল্লাহ্‌, ঈমানের সাথেই তুমি ক্বিয়ামাতের দিন উঠবে। অপরদিকে বদকার বান্দা তার ক্ববরের মধ্যে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে উঠে বসবে। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, তুমি কোন্‌ দীনে ছিলে? উত্তরে সে বলবে, আমি তো কিছুই জানি না। পুনরায় তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, এ ব্যক্তি {মুহাম্মদ[সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]] কে? উত্তরে সে বলবে, আমি মানুষদেরকে যা বলিতে শুনিয়াছি তা-ই আমি বলেছি। অতঃপর তার জন্য জান্নাতের দিকে একটি ছিদ্রপথ খুলে দেয়া হবে। এ পথ দিয়ে সে জান্নাতের সৌন্দর্য ও এতে যা [সুখ-শাস্তির উপায়-উপকরণ, সাজ-সরঞ্জাম] রয়েছে তা দেখবে। তখন তাকে বলা হবে, এসব জিনিসের প্রতি দৃষ্টি দাও যেসব জিনিস হইতে আল্লাহ্‌ তোমাকে ফিরিয়ে রেখেছেন। তারপর তার জন্য আর একটি দরজা খুলে দেয়া হবে। আর সে সেদিকে দেখবে। আগুনের লেলিহান শিখা একে অপরকে দলিত-মথিত করে তোলপাড় করছে। তাকে তখন বলা হবে, এটা তোমার [প্রকৃত] অবস্থান। তুমি সন্দেহের উপরেই ছিলে, সন্দেহের উপরই তুমি মৃত্যুবরণ করেছ। ইন্‌শা-আল্লাহ্‌, এ সন্দেহের উপরই ক্বিয়ামাত দিবসে তোমাকে উঠানো হবে। {১}

{১} সহীহ : ইবনি মাজাহ ৪২৬৮। কবরের আজাব -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply