ওজু করার নিয়ম ও পবিত্রতা – আল লুলু অয়াল মারজান

ওজু করার নিয়ম ও পবিত্রতা – আল লুলু অয়াল মারজান

ওজু করার নিয়ম ও পবিত্রতা – আল লুলু অয়াল মারজান , এই পর্বের হাদীস =৩৪ টি (১৩৪ – ১৬৭) >> আল লুলু ওয়াল মারজান এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্ব-২ঃ পবিত্রতা

২/২. সলাতের জন্য পবিত্রতা আবশ্যক।
২/৩. ওযুর গুণাগুণ এবং তার পরিপূর্ণতা।
২/৭. নাবী [সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর উযূ প্রসঙ্গে।
২/৮. নাকে পানি দেয়া ও ঝাড়া এবং ইস্তিন্জায় বেজোড় ঢিলা-পাথর ব্যবহার করা।
২/৯. পদদ্বয় পরিপূর্ণভাবে ধৌত করার আবশ্যকতা।
২/১২. উযূর ভেতর চমকানোর স্থানগুলো বৃদ্ধিকরা মুস্তাহাব এবং উযূর অঙ্গগুলো ঠিকভাবে ধৌত করা।
২/১৫. মিসওয়াক
২/১৬. ফিতরাতের স্বভাব।
২/১৭. [পেশাব-পায়খানা করার সময় কাবার দিকে মুখ বা পিঠ না করার ব্যাপারে] সতর্কতা অবলম্বন করা।
২/১৮. ডান হাত দ্বারা ইস্তিন্জা করা নিষিদ্ধ।
২/১৯. পবিত্রতা হাসিল ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ডান দিক থেকে শুরু করা।
২/২১. পেশাব-পায়খানায় পানি দ্বারা ইস্তিন্জা করা।
২/২২. দু মোজার উপর মাসাহ করা।
২/২৭. কুকুর কোন কিছু চাটলে তার হুকুম।
২/২৮. আবদ্ধ পানিতে পেশাব করা নিষিদ্ধ।
২/৩০. মাসজিদে পেশাব ও অন্যান্য অপবিত্র দ্রব্যাদি ধৌত করার অপরিহার্যতা এবং মাটি না খুঁড়ে পানির সাহায্যে পরিষ্কার হয়।
২/৩১. দুধপানকারী শিশুর পেশাবের বিধান এবং তা ধৌত করার পদ্ধতি।
২/৩২. কাপড় থেকে মনী ধৌত করা এবং তা রগড়ানো।
২/৩৩. রক্তের অপবিত্রতা এবং তা ধৌত করার পদ্ধতি।
২/৩৪.পেশাব অপবিত্র হওয়ার দলীল আর তার অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকার অপরিহার্যতা।

২/২. সলাতের জন্য পবিত্রতা আবশ্যক।

১৩৪. আবু হুরায়রাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবু হুরায়রাহ [রাদি.] সূত্রে নাবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বায়ু নির্গত হবার পর ওযূ না করা পর্যন্ত আল্লাহ্ তোমাদের কারো সলাত কবুল করবেন না।

[বোখারী পর্ব ৯০ : /২ হাঃ ৬৯৫৪, মুসলিম ২/১ হাঃ ২২৫] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/৩. ওযুর গুণাগুণ এবং তার পরিপূর্ণতা।

১৩৫. উসমান ইবনি আফ্ফান [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

উসমান ইবনি আফ্ফান [রাদি.]-এর উযুর পানি আনালেন। অতঃপর তিনি সে পাত্র হইতে উভয় হাতের উপর পানি ঢেলে তা তিনবার ধুলেন। অতঃপর তাহাঁর ডান হাত পানিতে ঢুকালেন। অতঃপর কুলি করিলেন এবং নাকে পানি দিয়ে নাক ঝাড়লেন। অতঃপর তাহাঁর মুখমণ্ডল তিনবার এবং উভয় হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুলেন, অতঃপর মাথা মাসেহ করিলেন। অতঃপর উভয় পা তিনবার ধোয়ার পর বললেনঃ আমি নাবী [সাঃআঃ] কে আমার এ উযূর ন্যায় উযূ করিতে দেখেছি এবং আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার এ উযূর ন্যায় উযূ করে দুরাকআত সলাত আদায় করিবে এবং তার মধ্যে অন্য কোন চিন্তা মনে আনবে না, আল্লাহ্ তাআলা তার পূর্বকৃত সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন

। [বোখারী পর্ব ৪ : /২৪ হাঃ ১৬৪, মুসলিম ২/৩ হাঃ ২২৬] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/৭. নাবী [সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর উযূ প্রসঙ্গে।

১৩৬. আমর ইবনি আবু হাসান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

আমর ইবনি আবু হাসান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিত, তিনি আবদুল্লাহ্ ইবনি যায়দ [রাদি.]-কে নাবী [সাঃআঃ]-এর উযূ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি এক পাত্র পানি আনালেন এবং তাঁদের [দেখাবার] জন্য নাবী [সাঃআঃ]-এর মত উযূ করিলেন। তিনি পাত্র থেকে দুহাতে পানি ঢাললেন। তা দিয়ে হাত দুটি তিনবার ধুলেন। অতঃপর পাত্রের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে তিন খাবল পানি নিয়ে কুলি করিলেন এবং নাকে পানি দিয়ে নাক ঝাড়লেন। তারপর আবার হাত ঢুকালেন। তিনবার তাহাঁর মুখমণ্ডল ধুলেন। তারপর আবার হাত ঢুকিয়ে [পানি নিয়ে] দু হাত কনুই পর্যন্ত দুবার ধুলেন। তারপর আবার হাত ঢুকিয়ে উভয় হাত দিয়ে সামনে এবং পেছনে একবার মাত্র মাথা মাসহ করিলেন। তারপর দু পা টাখনু পর্যন্ত ধুলেন।

[বোখারী পর্ব ৪ : /৩৯ হাঃ ১৮৬, মুসলিম ২/৭ হাঃ ২৩৫] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/৮. নাকে পানি দেয়া ও ঝাড়া এবং ইস্তিন্জায় বেজোড় ঢিলা-পাথর ব্যবহার করা।

১৩৭. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবু হুরাইরা [রাদি.]হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি উযূ করে সে যেন নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করে। আর যে শৌচকার্য করে সে যেন বিজোড় সংখ্যক ঢিলা ব্যবহার করে

[বোখারী পর্ব ৪ : /২৫ হাঃ ১৬১, মুসলিম ২/৮, হাঃ ২৩৭] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১৩৮. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] সূত্রে নাবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যখন ঘুম হইতে উঠল এবং উযূ করিল তখন তার উচিত নাক তিনবার ঝেড়ে ফেলা। কারণ, শয়তান তার নাকের ছিদ্রে রাত কাটিয়েছে।

[বোখারী পর্ব ৫৯ : /১১ হাঃ ৩২৯৫, মুসলিম ২/৮ হাঃ ২৩৮] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/৯. পদদ্বয় পরিপূর্ণভাবে ধৌত করার আবশ্যকতা।

১৩৯. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন এক সফরে আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ] আমাদের পিছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের নিকট পৌঁছলেন, এদিকে আমরা [আসরের] সলাত আদায় করিতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম এবং আমরা উযূ করছিলাম। আমরা আমাদের পা কোনমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তিনি উচ্চৈস্বঃরে বললেনঃ পায়ের গোড়ালিগুলোর [শুকনো থাকার] জন্য জাহান্নামের আযাব রয়েছে। তিনি দুবার বা তিনবার এ কথা বলিলেন।

[বোখারী পর্ব ৩ : /৩ হাঃ ৯৬, মুসলিম ২/৯ হাঃ ২৪১] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১৪০. মুহাম্মদ ইবনি যিয়াদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

মুহাম্মদ ইবনি যিয়াদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু হুরাইরা [রাদি.] আমাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। লোকেরা সে সময় পাত্র থেকে উযূ করছিল। তখন তাঁকে বলিতে শুনিয়াছি, তোমরা উত্তমরূপে উযূ কর। কারণ আবুল কাসিম [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পায়ের গোড়ালীগুলোর জন্য দোযখের আযাব রয়েছে।

[বোখারী পর্ব ৪ : /২৯ হাঃ ১৬৫, মুসলিম ২/৯, হাঃ ২৪২] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/১২. উযূর ভেতর চমকানোর স্থানগুলো বৃদ্ধিকরা মুস্তাহাব এবং উযূর অঙ্গগুলো ঠিকভাবে ধৌত করা।

১৪১. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, কিয়ামাতের দিন আমার উম্মাতকে এমন অবস্থায় আহ্বান করা হইবে যে, উযূর প্রভাবে তাহাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল উজ্জ্বল থাকিবে। তাই তোমাদের মধ্যে যে এ উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারে, সে যেন তা করে।

[বোখারী পর্ব ৪ : /৩ হাঃ ১৩৬, মুসলিম ২/১২, হাঃ ২৪৬] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/১৫. মিসওয়াক

১৪২.আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার উম্মাতের জন্য বা তিনি বলেছেন, লোকেদের জন্য যদি কঠিন মনে না করতাম, তাহলে প্রত্যেক সলাতের সাথে তাহাদের মিস্ওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।

[বোখারী পর্ব ১১ : /৮ হাঃ ৮৮৭, মুসলিম ২/১৫, হাঃ ২৫২] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১৪৩. আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এলাম। তখন তাঁকে দেখলাম তিনি মিসওয়াক করছেন এবং মিসওয়াক মুখে দিয়ে তিনি উ উ শব্দ করছেন যেন তিনি বমি করছেন।

[বোখারী পর্ব ৪ : /৭৩ হাঃ ২৪৪, মুসলিম ২/১৫, হাঃ ২৫৪] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১৪৪. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণনা করেন যে, নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ আমি [স্বপ্নে] দেখলাম যে, আমি মিসওয়াক করছি। আমার নিকট দু ব্যক্তি এলেন। একজন অপরজন হইতে বয়সে বড়। অতঃপর আমি তাহাদের মধ্যে কনিষ্ঠ ব্যক্তিকে মিসওয়াক দিতে গেলে আমাকে বলা হলো, বড়কে দাও। তখন আমি তাহাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে দিলাম। আবু আবদুল্লাহ বলেন, নুআয়ম, ইবনিল মুবারাক সূত্রে ইবনি উমার [রাদি.] হইতে হাদীসটি সংক্ষেপে বর্ণনা করিয়াছেন।

[বোখারী পর্ব ৪ : /৭৩ হাঃ ২৪৬, মুসলিম ৪২/৪, হাঃ ২২৭১] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/১৬. ফিতরাতের স্বভাব।

১৪৫. আবু হুরায়রাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবু হুরায়রাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ ফিতরাত [অর্থাৎ মানুষের সৃষ্টিগত স্বভাব] পাঁচটিঃ খাৎনা করা, ক্ষুর ব্যবহার করা [নাভির নীচে], বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নখ কাটা ও গোঁফ ছোট করা।

[বোখারী পর্ব ৭৭ : /৬৩ হাঃ ৫৮৮৯, মুসলিম ২/১৬ হাঃ ২৫৭] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১৪৬. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

ইবনি উমার [রাদি.] সূত্রে নাবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের বিপরীত করবেঃ দাঁড়ি লম্বা রাখবে, গোঁফ ছোট করিবে।

[বোখারী পর্ব ৭৭ : /৬৪ হাঃ ৫৮৯২, মুসলিম ২/১৬ হাঃ ২৫৯] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১৪৭. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র রসূল  [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা গোঁফ অধিক ছোট করিবে এবং দাঁড়ি বড় রাখবে

। [বোখারী পর্ব ৭৭ : /৬৫ হাঃ ৫৮৯৩, মুসলিম ২/১৬ হাঃ ২৫৯] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/১৭. [পেশাব-পায়খানা করার সময় কাবার দিকে মুখ বা পিঠ না করার ব্যাপারে] সতর্কতা অবলম্বন করা।

১৪৮. আবু আইয়ূব আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবু আইয়ূব আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণিত যে, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন তোমরা পায়খানা করিতে যাও, তখন কিবলাহর দিকে মুখ করিবে না কিংবা পিঠও দিবে না, বরং তোমরা পূর্ব দিকে অথবা পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে।

আবু আইয়ূব আনসারী [রাদি.] বলেনঃ আমরা যখন সিরিয়ায় এলাম তখন পায়খানাগুলো কিবলামুখী বানানো পেলাম। আমরা কিছুটা ঘুরে বসতাম এবং আল্লাহ তাআলার নিকট তাওবাহ ইসতেগফার করতাম।

[বোখারী পর্ব ৮ : /২৯ হাঃ ৩৯৪, মুসলিম ২/১৭ হাঃ ২৬৪] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১৪৯. আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ লোকে বলে পেশাব পায়খানা করার সময় কিবলার দিকে এবং বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে বসবে না। আবদুল্লাহ্ ইব্ন উমার [রাদি.] বলেন, আমি একদা আমাদের ঘরের ছাদে উঠলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে দেখলাম বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে দুটি ইটের উপর স্বীয় প্রয়োজনে বসেছেন।

[বোখারী পর্ব ৪ : /১২ হাঃ ১৪৫, মুসলিম ২/১৭, হাঃ ২৬৬] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১৫০. আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার বিশেষ এক প্রয়োজনে হাফসাহ [রাদি.]-এর ঘরের ছাদে উঠলাম। তখন দেখলাম, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে শাম-এর দিকে মুখ করে তাহাঁর প্রয়োজনে বসেছেন।

[বোখারী পর্ব ৪ : /১৪ হাঃ ১৪৮, মুসলিম ২/১৭ হাঃ ২৬৬] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/১৮. ডান হাত দ্বারা ইস্তিন্জা করা নিষিদ্ধ।

১৫১. আবু কাতাদাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবু কাতাদাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ] বলেন, তোমাদের কেউ যখন পান করে, তখন সে যেন পাত্রের মধ্যে নিঃশ্বাস না ছাড়ে। আর যখন শৌচাগারে যায় তখন তার পুরুষাঙ্গ যেন ডান হাত দিয়ে স্পর্শ না করে এবং ডান হাত দিয়ে যেন শৌচকার্য না করে।

[বোখারী পর্ব ৪ : /১৮ হাঃ ১৫৩, মুসলিম ২/১৮, হাঃ ২৬৭] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/১৯. পবিত্রতা হাসিল ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ডান দিক থেকে শুরু করা।

১৫২. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী [সাঃআঃ] জুতা পরা, চুল আঁচড়ানো এবং পবিত্রতা অর্জন করা তথা প্রত্যেক কাজই ডান দিক হইতে আরম্ভ করিতে পছন্দ করিতেন।

[বোখারী পর্ব ৪ : /২১ হাঃ ১৬৮, মুসলিম ২/১৯, হাঃ ১৬৮] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/২১. পেশাব-পায়খানায় পানি দ্বারা ইস্তিন্জা করা।

১৫৩. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ] যখন পায়খানায় যেতেন তখন আমি এবং একটি ছেলে পানির পাত্র এবং আনাযাহ নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা শৌচকার্য করিতেন।

[বোখারী পর্ব ৪ : /১৭ হাঃ ১৫২, মুসলিম ২/২১, হাঃ ২৭১] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১৫৪. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ] প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হলে আমি তাহাঁর নিকট পানি নিয়ে যেতাম। তিনি তা দিয়ে শৌচকার্য করিতেন।

[বোখারী পর্ব ৪ : /৫৬ হাঃ ২১৭, মুসলিম ২/২১, হাঃ ২৭১] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/২২. দু মোজার উপর মাসাহ করা।

১৫৫. হাম্মাম ইবনি হারিস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

হাম্মাম ইবনি হারিস [রাদি.] হইতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি জারীর ইবনি আবদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে দেখলাম যে, তিনি পেশাব করিলেন। অতঃপর উযূ করিলেন আর উভয় মোজার উপরে মাসহ্ করিলেন। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করিলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ আমি নাবী [সাঃআঃ]-কেও এরূপ করিতে দেখেছি।

১৫৫. জারীর ইবনি আব্দুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি পেশাব করিলেন। অতঃপর উযূ করিলেন আর উভয় মোজার উপরে মাসহ্ করিলেন। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করিলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ আমি নাবী [সাঃআঃ]-কেও এরূপ করিতে দেখেছি।

[বোখারী পর্ব ৮ : /২৫ হাঃ ৩৮৭, মুসলিম ২/২২, হাঃ ২৭২] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১৫৬. হুযায়ফাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

হুযায়ফাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার স্মরণ আছে যে, একদা আমি ও নাবী [সাঃআঃ] এক সাথে চলছিলাম। তিনি দেয়ালের পিছনে মহল্লার একটি আবর্জনা ফেলার জায়গায় এলেন। অতঃপর তোমাদের কেউ যেভাবে দাঁড়ায় সে ভাবে দাঁড়িয়ে তিনি পেশাব করিলেন। এ সময় আমি তাহাঁর নিকট হইতে সরে যাচ্ছিলাম কিন্তু তিনি আমাকে ইঙ্গিত করিলেন। আমি এসে তাহাঁর পেশাব করা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাহাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে রইলাম।

[বোখারী পর্ব ৪ : /৬১ হাঃ ২২৫, মুসলিম ২/২২, হাঃ ২৭৩] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১৫৭. মুগীরাহ ইবনি শুবা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

মুগীরাহ ইবনি শুবা [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ] প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে গেলে তিনি [মুগীরাহ] পানিসহ একটি পাত্র নিয়ে তাহাঁর অনুসরণ করিলেন। অতঃপর আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ] প্রাকৃতিক প্রয়োজন শেষ করে এলে তিনি তাঁকে পানি ঢেলে দিলেন। আর তিনি [সাঃআঃ] উযূ করিলেন এবং উভয় মোজার উপর মাসহ করিলেন।

[বোখারী পর্ব ৪ : /৪৮ হাঃ ২০৩, মুসলিম ২/২২, হাঃ ২৭৪] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১৫৮. মুগীরাহ ইবনি শুবা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

মুগীরাহ ইবনি শুবা [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি কোন এক সফরে নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম। তিনি বললেনঃ হে মুগীরাহ! বদনাটি নাও। আমি তা নিলাম। তিনি আমার দৃষ্টির অগোচরে গিয়ে প্রয়োজন সারলেন। তখন তাহাঁর শরীরে ছিল শামী জুব্বা। তিনি জুব্বার আস্তিন হইতে হাত বের করিতে চাইলেন। কিন্তু আস্তিন সংকীর্ণ হবার ফলে তিনি নীচের দিক দিয়ে হাত বের করিলেন। আমি পানি ঢেলে দিলাম এবং তিনি সলাতের উযূর ন্যায় উযূ করিলেন। আর তাহাঁর উভয় চামড়ার মোজার উপর মাসহ করিলেন ও পরে সলাত আদায় করিলেন।

[বোখারী পর্ব ৮ : /৭ হাঃ ৩৬৩, মুসলিম ২/২২, হাঃ ২৭৪] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১৫৯. মুগীরাহ ইবনি শুবাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

মুগীরাহ ইবনি শুবাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি [তাবূক] সফরে এক রাত্রে নাবী [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি বললেনঃ তোমার সাথে পানি আছে কি? আমি বললামঃ হাঁ। তখন তিনি বাহন থেকে নামলেন এবং হেঁটে যেতে লাগলেন। তিনি এতদূর গেলেন যে, রাতের আঁধারে আমার থেকে অদৃশ্য হয়ে পড়লেন। অতঃপর তিনি ফিরে এলেন। আমি পাত্র থেকে তাহাঁর [অযুর] পানি ঢালতে লাগলাম। তিনি মুখমণ্ডল ও দুহাত ধৌত করিলেন। তাহাঁর পরিধানে ছিল পশমের জামা। তিনি তা থেকে হাত বের করিতে পারলেন না, তাই জামার নীচ দিয়ে বের করিলেন এবং দুহাত ধৌত করিলেন। অতঃপর মাথা মাসহ করিলেন। অতঃপর আমি তাহাঁর মোজা দুটি খুলতে ইচ্ছে করলাম। তিনি বললেনঃ ছেড়ে দাও। কেননা, আমি পবিত্র অবস্থায় তা পরিধান করেছি। অতঃপর তিনি মোজাদ্বয়ের উপর মাসহ করেন।

[বোখারী পর্ব ৭৭ : /১১ হাঃ ৫৭৯৯, মুসলিম ২/২২, হাঃ ২৭৪] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/২৭. কুকুর কোন কিছু চাটলে তার হুকুম।

১৬০. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ] বলেছেন তোমাদের কারো পাত্রে যদি কুকুর পান করে তবে তা যেন সাতবার ধুয়ে নেয়।

[বোখারী পর্ব ৬০ : /৩৩ হাঃ ১৭২, মুসলিম ২/২৭, হাঃ ২৭৯] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/২৮. আবদ্ধ পানিতে পেশাব করা নিষিদ্ধ।

১৬১. আবু হুরায়রাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আবু হুরায়রাহ্‌ [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছেন, তোমাদের কেউ যেন স্থির- যা প্রবাহিত নয় এমন পানিতে কখনো পেশাব না করে। [সম্ভবত] পরে সে আবার তাতে গোসল করিবে।

[বোখারী পর্ব ৪ : /৬৮ হাঃ ২৩৯, মুসলিম ২/২৮, হাঃ ২৮২] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/৩০. মাসজিদে পেশাব ও অন্যান্য অপবিত্র দ্রব্যাদি ধৌত করার অপরিহার্যতা এবং মাটি না খুঁড়ে পানির সাহায্যে পরিষ্কার হয়।

১৬২. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিত। একদা এক বেদুঈন মাসজিদে প্রস্রাব করলো। লোকেরা উঠে [তাকে মারার জন্য] তার দিকে গেল। আল্লাহ্‌র রসূল  [সাঃআঃ] বললেনঃ তার প্রস্রাব করা বন্ধ করো না। অতঃপর তিনি এক বালতি পানি আনালেন এবং পানি প্রস্রাবের উপর ঢেলে দেয়া হলো।

[বোখারী পর্ব ৭৮ : /৩৫ হাঃ ৬০২৫, মুসলিম ২/৩০, হাঃ ২৮৪] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/৩১. দুধপানকারী শিশুর পেশাবের বিধান এবং তা ধৌত করার পদ্ধতি।

১৬৩. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর খিদমতে শিশুদের নিয়ে আসা হতো। তিনি তাঁদের জন্য দুআ করিতেন। একবার একটি শিশুকে আনা হলো। শিশুটি তাহাঁর কাপড়ের উপর পেশাব করে দিল। তিনি কিছু পানি আনালেন এবং তা তিনি কাপড়ের উপর ছিটিয়ে দিলেন আর তিনি কাপড় ধুলেন না।

[বোখারী পর্ব ৮০ : /৩ হাঃ ৬৩৫৫, মুসলিম ২/৩১, হাঃ ২৮৬] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১৬৪. উম্মু কায়স বিনত মিহসান [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

উম্মু কায়স বিনত মিহসান [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি তাহাঁর এমন একটি ছোট ছেলেকে নিয়ে আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ]-এর নিকট এলেন যে তখনো খাবার খেতে শিখেনি। আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ] শিশুটিকে তাহাঁর কোলে বসালেন। তখন সে তাহাঁর কাপড়ে পেশাব করে দিল। তিনি পানি আনিয়ে এর উপর ছিটিয়ে দিলেন এবং তা ধৌত করিলেন না।*

[বোখারী পর্ব ৪ : /৫৯ হাঃ ২২৩, মুসলিম ২/৩১, হাঃ ২৮৭] * পেশাব অপবিত্র। তবে পেশাব লেগে যাওয়া বস্তুকে পবিত্র করার পদ্ধতি দুরকম। একঃ প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি অথবা দুগ্ধপোষ্য মেয়ে হলে তার পেশাব অবশ্যই ধুয়ে ফেলতে হইবে। দুইঃ যদি দুগ্ধপোষ্য ছেলে হয় তবে পানির ছিটা দিলে তা পবিত্র হয়ে যাবে। ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/৩২. কাপড় থেকে মনী ধৌত করা এবং তা রগড়ানো।

১৬৫. সুলায়মান ইবনি ইয়াসার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

সুলায়মান ইবনি ইয়াসার [রাদি.] হইতে বর্ণিত, আমি আয়েশা [রাদি.]-কে কাপড়ে লাগা বীর্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ আমি আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ]-এর কাপড় হইতে তা ধুয়ে ফেলতাম। তিনি কাপড় ধোয়ার ভিজা দাগ নিয়ে সলাতে বের হইতেন।

[বোখারী পর্ব ৪ : /৬৪ হাঃ ২৩০, মুসলিম ২/৩২ হাঃ ২৮৮] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/৩৩. রক্তের অপবিত্রতা এবং তা ধৌত করার পদ্ধতি।

১৬৬. আসমা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আসমা [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈকা মহিলা নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল !] বলুন, আমাদের কারো কাপড়ে হায়যের রক্ত লেগে গেলে সে কী করিবে? তিনি বললেনঃ সে তা ঘষে ফেলবে, তারপর পানি দিয়ে রগড়াবে এবং ভাল করে ধুয়ে ফেলবে। অতঃপর সেই কাপড়ে সলাত আদায় করিবে।

[বোখারী পর্ব ৪ : /৬৩ হাঃ ২২৭, মুসলিম ২/৩৩, হাঃ ২৯১] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২/৩৪.পেশাব অপবিত্র হওয়ার দলীল আর তার অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকার অপরিহার্যতা।

১৬৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী [সাঃআঃ] একদা দুটি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। এ সময় তিনি বললেনঃ এদের আযাব দেয়া হচ্ছে, কোন গুরুতর অপরাধের জন্য তাহাদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। তাহাদের একজন পেশাব হইতে সতর্ক থাকত না। আর অপরজন চোগলখোরী করে বেড়াত। তারপর তিনি একখানি কাঁচা খেজুরের ডাল নিয়ে ভেঙ্গে দুভাগ করিলেন এবং প্রত্যেক কবরের ওপর একখানি গেড়ে দিলেন। সহাবায়ে কিরাম [রাদি.] জিজ্ঞেস করিলেন, হে আল্লাহর রসূল ! কেন এমন করিলেন? তিনি বললেনঃ আশা করা যেতে পারে যতক্ষণ পর্যন্ত এ দুটি শুকিয়ে না যায় তাহাদের আযাব কিছুটা হালকা করা হইবে।

[বোখারী পর্ব ৪ : /৫৬ হাঃ ২১৮, মুসলিম ২/৩৪ হাঃ ২৯২] ওজু করার নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


by

Comments

One response to “ওজু করার নিয়ম ও পবিত্রতা – আল লুলু অয়াল মারজান”

Leave a Reply