ঋতুবতী মহিলার এবং পুরুষ ও মহিলার বীর্যের বর্ণনা
ঋতুবতী মহিলার সাথে একই চাদরের নীচে শোয়া >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১. অধ্যায়ঃ পরিহিত কাপড়ের ওপরে ঋতুবতী মহিলার সাথে মেলামেশা করা।
২. অধ্যায়ঃ ঋতুবতী মহিলার সাথে একই চাদরের নীচে শোয়া
৩. অধ্যায়ঃ ঋতুবতী মহিলাদের জন্যে তার স্বামীর মাথা ধুয়ে দেয়া, তার চুল আঁচড়িয়ে দেয়া জায়িয; তার উচ্ছিষ্ট পবিত্র; তার কোলে মাথা রেখে হেলান দেয়া ও সেখানে কুরআন পাঠ করা জায়িয
৪. অধ্যায়ঃ মাযীর বিবরণ
৫. অধ্যায়ঃ ঘুম থেকে জেগে মুখ এবং দুহাত ধুয়ে নিবে
৬. অধ্যায়ঃ নাপাক অবস্থায় ঘুমানো জায়িয; তবে খাদ্যগ্রহণ, শয়নকালে অথবা স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করিতে চাইলে তার জন্যে ওযূ করা এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে নেয়া মুস্তাহাব
৭. অধ্যায়ঃ মহিলার মানী [বীর্য] বের হলে তার উপর গোসল করা ওয়াজিব
৮. অধ্যায়ঃ পুরুষ ও মহিলার বীর্যের বর্ণনা এবং সন্তান যে উভয়ের বীর্য ও শুক্র থেকে সৃষ্টি হয় তার বর্ণনা
১. অধ্যায়ঃ পরিহিত কাপড়ের ওপরে ঋতুবতী মহিলা এর সাথে মেলামেশা করা।
৫৬৬. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমাদের কেউ যখন ঋতুবতী হয়ে পড়ত তখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর নির্দেশে সে পরিহিত কাপড় ভাল করে বেঁধে নিত। অতঃপর রসূলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] তার সাথে মেলামেশা করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৬]
এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৭. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমাদের কেউ যখন ঋতুবতী হয়ে পড়ত তখন রসূলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] তার হায়িয আসার স্থানে তাকে শক্ত করে কাপড় বেঁধে নেয়ার নির্দেশ দিতেন। অতঃপর তার সাথে মেলামেশা করিতেন। তিনি {আয়িশাহ্ [রাদি.]} বলেন, তোমাদের মধ্যে কে তার যৌনকামনা সেরূপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম-রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] যেরূপ যৌন কামনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম ছিলেন?
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭১, ই.সে ৫৮৭]
এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬৮. মাইমুনাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাহাঁর সহধর্মিণীদের সাথে পরিহিত কাপড়ের উপর ঋতুর অবস্থায় মেলামেশা করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৮]
এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
২. অধ্যায়ঃ ঋতুবতী মহিলার সাথে একই চাদরের নীচে শোয়া
৫৬৯. আবদুল্লাহ্ ইবনি আব্বাস [রাদি.] এর আযাদকৃত গোলাম কুরায়ব হইতে বর্ণীতঃ
আমি নবী [সাঃআঃ] এর স্ত্রী মাইমূনাকে বলিতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ আমি ঋতুবতী অবস্থায় রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমার সঙ্গে একই বিছানায় শুইতেন। এ সময় আমার ও তাহাঁর মাঝে কেবলমাত্র একখানা কাপড়ের আড়াল থাকত।
[ই.ফা ৫৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৯]
৫৭০. উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি ও রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] একটি রেখাযুক্ত চাদরের নীচে শুয়েছিলাম। ইতোমধ্যেই আমার হায়িয এলো। আমি চুপিসারে উঠে গিয়ে আমার হায়িয-এর কাপড় পরে নিলাম। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমাকে বলিলেন, তোমার কি হায়িয এসেছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি আমাকে [কাছে] ডাকলেন। অতঃপর আমি তাহাঁর চাদরটির নীচে শুইলাম।
রাবী বলেন, তিনি [উম্মু সালামাহ] ও রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] একই পাত্র থেকে [পানি নিয়ে] নাপাকির পবিত্র হওয়ার গোসল করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯০]
৩. অধ্যায়ঃ ঋতুবতী মহিলা দের জন্যে তার স্বামীর মাথা ধুয়ে দেয়া, তার চুল আঁচড়িয়ে দেয়া জায়িয; তার উচ্ছিষ্ট পবিত্র; তার কোলে মাথা রেখে হেলান দেয়া ও সেখানে কুরআন পাঠ করা জায়িয
৫৭১. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] যখন ইতিকাফ করিতেন তখন আমার দিকে তাহাঁর মাথা ঝুঁকিয়ে দিতেন। আমি তা আঁচড়ে দিতাম। [ইতিকাফ কালে] তিনি ঘরে প্রবেশ করিতেন না প্রাকৃতিক প্রয়োজন [যেমন প্রস্রাব পায়খানা] ছাড়া।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯১]
৫৭২. নবী [সাঃআঃ] এর স্ত্রী আয়েশাহ[রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, [ইতিকাফের সময়] আমি যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজনে ঘরে প্রবেশ করতাম। ঘরে কোন রোগী থাকে তাহলেও তাকে কোন কথা জিজ্ঞেস না করেই চলে যেতাম। ইতিকাফের সময় রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] মাসজিদ থেকে আমার দিকে মাথা এগিয়ে দিতেন, আর আমি তাহাঁর চুল আঁচড়ে দিতাম। ইতিকাফ থাকাবস্থায় তিনি [প্রাকৃতিক] কোন প্রয়োজন ছাড়া ঘরে প্রবেশ করিতেন না।
ইবনি রুমহ্ বলেছেন: যখন তাঁরা ইতিকাফের অবস্থায় থাকতেন, প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরে প্রবেশ করিতেন না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯২]
৫৭৩. নবী [সাঃআঃ] এর সহধর্মিণী আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] ইতিকাফে থাকাবস্থায় [অধিকাংশ সময়] মাসজিদ থেকে তাহাঁর মাথা আমার দিকে বের করে দিতেন। আমি ঋতুবতী অবস্থায় তা ধুয়ে দিতাম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৩]
৫৭৪. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমার দিকে তাহাঁর মাথা এগিয়ে দিতেন। আমার হুজরায় থেকে ঋতুবতী অবস্থায় আমি তাহাঁর মাথা আঁচড়ে দিতাম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৪]
৫৭৫. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি ঋতুবতী অবস্থায় রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর মাথা ধুয়ে দিতাম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৫]
৫৭৬. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমাকে বলিলেন, “মাসজিদ থেকে আমার জায়নামাযটি [হাত বাড়িয়ে] নিয়ে এসো”। তিনি বলেন, আমি বললাম, আমি তো ঋতুবতী। তিনি বললেনঃ তোমার হায়িয তো তোমার হাতে নয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৬]
৫৭৭. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] মাসজিদ থেকে জায়নামায [হাত বাড়িয়ে] তুলে নিয়ে আসতে আমাকে নির্দেশ দিলেন। আমি বললাম যে, আমি তো ঋতুবতী। তিনি বলিলেন, তুমি তো আমার কাছে নিয়ে এসো। কারণ হায়িয তোমার হাতে নেই [লেগে যায়নি]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৭]
৫৭৮. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] ইতিকাফরত অবস্থায় মাসজিদ থেকে বলিলেন, হে আয়েশাহ! আমাকে কাপড়টা এগিয়ে দাও। তিনি [আয়েশাহ [রাদি.]} বলেন, আমি যে ঋতুবতী! জবাবে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলিলেন, ঋতু তো তোমার হাতে লাগে নাই। তারপর আমি তা এনে দিলাম।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৯৮]
৫৭৯. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি ঋতুবতী অবস্থায় পানি পান করতাম এবং পরে নবী [সাঃআঃ] কে অবশিষ্টটুকু প্রদান করলে আমি যেখানে মুখ লাগিয়ে পান করতাম তিনিও পাত্রের সে স্থানে মুখ লাগিয়ে পান করিতেন। আবার আমি ঋতুবতী অবস্থায় হাড় খেয়ে তা নবী [সাঃআঃ] কে দিলে আমি যেখানে মুখ লাগিয়েছিলাম তিনি সেখানে মুখ লাগিয়ে খেতেন। তবে যুহায়র কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে “পান করার” উল্লেখ নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৩, ইসলামিক সেন্টার-৫৯৯]
৫৮০. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, [অধিকাংশ সময়] রসূলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমার হায়িয অবস্থায় আমার কোলে মাথা রেখে কুরআন পাঠ করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬০০]
৫৮১. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইয়াহূদীগণ তাদের মহিলাদের হায়িজ হলে তার সাথে এক সঙ্গে খাবার খেত না এবং এক ঘরে বাস করত না। সাহাবায়ে কিরাম এ সম্পর্কে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] কে জিজ্ঞেস করিলেন। তখন আল্লাহ্ তাআলা এ আয়াত নাযিল করিলেন,
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ
“তারা তোমার কাছে হায়িয সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও যে, তা হলো নাপাক। সুতরাং হায়িয অবস্থায় তোমরা মহিলাদের থেকে পৃথক থাক….”[সূরাহ আল বাকারাহ্ ২ : ২২২]। এরপর রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমরা [সে সময় তাদের সাথে] শুধু সহবাস ছাড়া অন্যান্য সব কাজ কর। এ খবর ইয়াহূদীদের কাছে পৌছলে তারা বলিল, এ লোকটি সব কাজেই কেবল আমাদের বিরোধিতা করিতে চায়। অতঃপর উসায়দ ইবনি হুযায়র [রাদি.] ও আব্বাস ইবনি বিশর [রাদি.] এসে বলিলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ্! ইয়াহূদীরা এমন এমন বলছে। আমরা কি তাদের সাথে [হায়িয অবস্থায়] সহবাস করব না? রসুলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর চেহারা মুবারক বিবর্ণ হয়ে গেল। এতে আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি তাদের উপর ভীষণ রাগান্বিত হয়েছেন। তারা [উভয়ে] বেরিয়ে গেল। ইতোমধ্যেই রসূলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর কাছে দুধ হাদিয়া এলো। তিনি তাদেরকে ডেকে আনার জন্যে লোক পাঠালেন। [তারা এলে] তিনি তাদেরকে দুধ পান করালেন। তখন তারা বুঝল যে, তিনি তাদের উপর রাগ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬০১]
৪. অধ্যায়ঃ মাযীর বিবরণ
৫৮২. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলিলেন, আমার বেশি বেশি মাযী বের হত। আমি এ সম্পর্কে নবী [সাঃআঃ] এর কাছে জিজ্ঞেস করিতে লজ্জাবোধ করতাম। কারণ তাহাঁর কন্যা ছিল আমার স্ত্রী। তাই আমি মিকদাদ ইবনিল আসওয়াদকে [এ সম্পর্কে জানতে] বললাম, তিনি নবী [সাঃআঃ] কে জিজ্ঞেস করিলেন। তখন তিনি বলিলেন, এ তার পুরুষাঙ্গ ধুয়ে ফেলবে এবং ওযূ করে নিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬০২]
৫৮৩. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী [সাঃআঃ] এর কাছে মাযী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিতে লজ্জাবোধ করছিলাম ফাতিমার কারণে। তাই আমি মিকদাদকে বললাম, তখন তিনি তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ তাতে [মাযী বের হলে] শুধু ওযূ করিতে হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৩]
৫৮৪. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আলী আবু তালিব [রাদি.] বলেন, আমি একবার মিকদাদ ইবনিল আসওয়াদকে রসুলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর কাছে পাঠালাম। তিনি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর কাছে জিজ্ঞেস করিলেন যে, কোন লোকের মাযী বের হলে সে তখন কি করিবে? তিনি বললেনঃপুরুষাঙ্গ ধুয়ে ফেলবে এবং ওযূ করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৪]
৫. অধ্যায়ঃ ঘুম থেকে জেগে মুখ এবং দুহাত ধুয়ে নিবে
৫৮৫. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একদা নবী [সাঃআঃ] রাতে [ঘুম থেকে] জেগে প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারলেন [প্রস্রাব-পায়খানা], তারপর তাহাঁর মুখমন্ডল এবং উভয় হাত ধুলেন। এরপর ঘুমিয়ে গেলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৫]
৬. অধ্যায়ঃ নাপাক অবস্থায় ঘুমানো জায়িয; তবে খাদ্যগ্রহণ, শয়নকালে অথবা স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করিতে চাইলে তার জন্যে ওযূ করা এবং লজ্জাস্থান ধুয়ে নেয়া মুস্তাহাব
৫৮৬. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসুলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] নাপাকী অবস্থায় যখন ঘুমাতে ইচ্ছা করিতেন তখন ঘুমাবার আগে নামাজের জন্য যেমন ওযূ করিতে হয় তেমন ওযূ করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯০, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৬]
৫৮৭. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] যখন নাপাক থাকতেন তখন কিছু খেতে অথবা ঘুমানো ইচ্ছা করলে ওযূ করে নিতেন যেমন, নামাজের ওযূ করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯১, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৭]
৫৮৮. মুহাম্মাদ ইবনি আল মুসান্না, ইবনি বাশশার ও উবাইদুল্লাহ্ ইবনি মুআয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
উক্ত সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন।
ইবনি আল মুসান্না তাহাঁর হাদীসে বলেছেন: আমাকে হাকাম বর্ণনা করে বলেন যে, আমি ইবরাহীমকে এ হাদীস বলিতে শুনেছি।
[ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯২, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৮]
৫৮৯. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একদিন উমর [রাদি.] জিজ্ঞেস করিলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]! আমাদের কেউ নাপাক অবস্থায় কি ঘুমাতে পারবে? তিনি বললেনঃহ্যাঁ, যখন সে ওযূ করে নিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৮]
৫৯০. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
উমর [রাদি.] একবার নবী [সাঃআঃ] এর কাছে ফাতাওয়া জিজ্ঞেস করিলেন যে, আমাদের কেউ কি নাপাক অবস্থায় ঘুমাতে পারবে? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, সে যেন ওযূ করে তারপর ঘুমায়। এরপর যখন ইচ্ছা গোসল করে নেয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬১০]
৫৯১. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
উমর ইবনিল খাত্তাব [রাদি.] একবার রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] কে বলিলেন, তিনি যদি রাতে [স্ত্রী সহবাসকালে] নাপাক হন [তাহলে কি করবেন]। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাঁকে বলিলেন, তুমি [তখন] ওযূ করিবে এবং তোমার লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলবে তারপর ঘুমাবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬১১]
৫৯২. আবদুল্লাহ্ ইবনি আবু কায়স [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর বিতর সম্বন্ধে আয়েশাহ [রাদি.]-কে প্রশ্ন করলাম। তিনি [তৎবিষয়ে] হাদীস বর্ণনা করিলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তিনি নাপাকির সময় কী করিতেন, তিনি কি ঘুমাবার আগে গোসল করিতেন, না গোসল করার আগে ঘুমাতেন? তিনি {আয়েশাহ [রাদি.]} বলিলেন, সবই করিতেন। কখনো গোসল করে ঘুমাতেন আর কখনো ওযূ করে ঘুমিয়ে পড়তেন। আমি বললাম, সমস্ত প্রশংসা সে আল্লাহর যিনি সব কাজেই অবকাশ রেখেছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬১২]
৫৯৩. যুহায়র ইবনি হারব ও হারূন সাঈদ আল আইলী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] মুআবিয়াহ্ ইবনি সালিহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
উক্ত সানাদে এ হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬১৩]
৫৯৪. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন: তোমাদের কেউ যখন তার স্ত্রীর সাথে মিলিত হইবে তারপর আবার মিলিত হবার ইচ্ছা করিবে সে যেন ওযূ করে নেয়।
আবু বাকর তার হাদীসে উভয় মিলনের মধ্যে ওযূ করিবে বাক্যটি বাড়িয়েছেন এবং এর স্থলে [আরবী] বলেছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬১৪]
৫৯৫. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাহাঁর সকল স্ত্রীর কাছে একই গোসলে যেতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬১৫]
৭. অধ্যায়ঃ মহিলার মানী [বীর্য] বের হলে তার উপর গোসল করা ওয়াজিব
৫৯৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, উম্মু সুলায়ম [রাদি.] যিনি ছিলেন [এ হাদীসের রাবী] ইসহাকের দাদী-একদা রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বলিলেন, আয়েশাহ [রাদি.] তখন তাহাঁর নিকট উপস্থিত ছিলেন-ইয়া রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]!পুরুষ যেমন স্বপ্নে দেখে, নারীও যদি তা দেখে, এমতাবস্থায় সে কি করিবে? তখন আয়িশাহ্ [রাদি.] বলিলেন, উম্মু সুলায়ম! তুমি নারী জাতিকে অপমানিত করেছ। তোমার অকল্যাণ হোক [তার এ কথা ছিল ভাল উদ্দেশ্যে]। অতঃপর রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আয়েশাহ[রাদি.] কে বলিলেন, বরং তোমার অকল্যাণ হোক! {এরপর উম্মু সুলায়ম [রাদি.] এর জবাবে বলিলেন} হ্যাঁ, উম্মু সুলায়ম! সে গোসল করে ফেলবে যখন ঐরূপ দেখবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০০, ই.সে, ৬১৬]
৫৯৭. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
উম্মু সুলায়ম [রাদি.] বলেন, তিনি রসুলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] কে মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিলেন যে ঘুমে পুরুষ যা দেখে তাই দেখিতে পায়। রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলিলেন, মেয়েলোক যখন তেমনই দেখবে তখন সে গোসল করিবে। উম্মু সালামাহ [রাদি.] বলেন, এ কথায় আমি লজ্জাবোধ করলাম। তিনি বলিলেন, এ রকমও কি হয়? রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] হ্যাঁ, তা না হলে ছেলে মেয়ে তার সদৃশ কেমন করে হয়? পুরুষের বীর্য গাঢ়, সাদা আর মহিলাদের বীর্য পাতলা, হলুদ। দুয়ের মধ্যে থেকে যার বীর্য ওপরে উঠে যায় অথবা আগে চলে যায় [সন্তান] তারই সদৃশ হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০১, ইসলামিক সেন্টার- ৬১৭]
৫৯৮. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক মহিলা রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] কে ঐ মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিলেন, যে পুরুষ লোক ঘুমের মধ্যে যা দেখিতে পায় সেও তাই। তখন রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃপুরুষের যা হয় [স্বপ্নদোষ] মহিলাদেরও এমন হলে সে গোসল করিবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০২, ইসলামিক সেন্টার- ৬১৮]
৫৯৯. উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, উম্মু সুলামাহ একদা রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বলিলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]! আল্লাহ তাআলা হক কথা বলিতে লজ্জাবোধ করেন না। তাই মহিলাদের যখন স্বপ্নদোষ হয় তখন কি তার উপর গোসল করা জরুরী? রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃহ্যাঁ, যখন সে বীর্য দেখবে। [এ কথা শুনে] উম্মু সালামা [রাদি.] বলিলেন, “ইয়া রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]! মহিলাদেরও কি স্বপ্নদোষ হয়”? তিনি বলিলেন, তোমার উভয় হাত ধুলিময় হোক! তাহলে তার সন্তান কেমন করে তার সদৃশ হয়?
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬১৯]
৬০০. উরওয়াহ্ হইতে বর্ণীতঃ
এ সানাদে উপরোক্ত হাদীসের অর্থের অবিকল বর্ণিত আছে। তিনি আরো একটু বাড়িয়ে বলেন যে, তিনি {উম্মু সালামা [রাদি.]} বলিলেন, তুমি নারী জাতিকে লজ্জিত করেছ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬২০]
৬০১. উম্মুল মুমিনীন আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন যে, আবু তালহার সন্তানদের মা উম্মু সুলায়ম একদা রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর নিকট উপস্থিত হয়ে হিশামের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে এ হাদীসটিতে ব্যতিক্রম যা রয়েছে তা হল, আয়েশাহ [রাদি.] বলেন, আমি বললাম, “ছিঃ ছিঃ [অসন্তোষ প্রকাশক শব্দ]! মেয়েলোক কি ঐরূপ দেখে?”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬২১]
৬০২. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক মহিলা রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] কে বলিল, মেয়েলোকের যখন স্বপ্নদোষ হইবে এবং সে বীর্যরস দেখিতে পাবে তখন কি সে গোসল করিবে? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, এরপর আয়েশাহ [রাদি.] মহিলাটিকে বলিলেন, তোমার উভয় হাত ধূলিময় হোক এবং তাতে অস্ত্রের খোঁচা লাগুক। তিনি {আয়েশাহ [রাদি.]} বলেন, তারপর রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলিলেন, ছেড়ে দাও ওকে [ভর্ৎসনা করো না] সন্তান মা-বাবার সদৃশের কারণেই হয়ে থাকে। যখন স্ত্রীর বীর্য পুরুষের বীর্যের আগে জরায়ুতে প্রবেশ করে তখন সন্তানের আকৃতি তার মামাদের মতই হয়। আর যখন পুরুষের বীর্য মেয়েলোকের বীর্যের উপর প্রাধান্য লাভ করে তখন তার আকৃতি চাচাদের মতই হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬২২]
৮. অধ্যায়ঃ পুরুষ ও মহিলার বীর্যের বর্ণনা এবং সন্তান যে উভয়ের বীর্য ও শুক্র থেকে সৃষ্টি হয় তার বর্ণনা
৬০৩. রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর মুক্তিপ্রাপ্ত গোলাম সাওবান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি একবার রসুলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর কাছে দাঁড়িয়েছিলাম। ইতোমধ্যেই ইয়াহূদীদের এক আলিম এসে বলিল, আসসালামু আলাইকা ইয়া মুহাম্মাদ! এরপর আমি তাকে এমন এক ধাক্কা মারলাম যে, সে প্রায় পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলো! সে বলিল, তুমি আমাকে ধাক্কা মারলে কেন? আমি বললাম, ইয়া রসুলুল্লাহ্! বলিতে পার না। ইয়াহূদী বলিল, আমরা তাঁকে তাহাঁর পরিবার-পরিজন যে নাম রেখেছে সে নামেই ডাকি। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলিলেন, আমার নাম মুহাম্মাদ। আমার পরিবারের লোকই আমার এ নাম রেখেছে। এরপর ইয়াহূদী বলিল, আমি আপনাকে [কয়েকটি কথা] জিজ্ঞেস করিতে এসেছি। রসুলূল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাকে বলিলেন, তোমার কী লাভ হইবে, যদি আমি তোমাকে কিছু বলি? সে বলিল, আমি আমার কান পেতে শুনব। এরপর রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাহাঁর কাছে যে খড়িটি ছিল তা দিয়ে মাটিতে আঁকাঝোকা দাগ কাটতে ছিলেন। তারপর বলিলেন, জিজ্ঞেস কর। ইয়াহূদী বলিল, যেদিন এ জমিন ও আকাশমন্ডলী পাল্টে গিয়ে অন্য জমিন ও আকাশমন্ডলীতে পরিণত হইবে [অর্থাৎ কিয়ামাত হইবে] সেদিন লোকজন কোথায় থাকিবে? রসুলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলিলেন, তারা সেদিন পুলসিরাতের কাছে অন্ধকারে থাকিবে। সে বলিল, কে সর্বপ্রথম [তা পার হবার] অনুমতি লাভ করিবে? তিনি বলিলেন, দরিদ্র মুহাজিরগণ! ইয়াহূদী বলিল, জান্নাতে যখন তারা প্রবেশ করিবে তখন তাদের তোহফা কি হইবে? তিনি বলিলেন, মাছের কলিজার টুকরা। সে বলিল, এরপর তাদের দুপুরের খাদ্য কি হইবে? তিনি বলিলেন, তাদের জন্য জান্নাতের ষাঁড় যাবাহ করা হইবে যা জান্নাতের আশে পাশে চড়ে বেড়ায়। সে বলিল, এরপর তাদের পানীয় কি হইবে? তিনি বলিলেন, সেখানকার একটি ঝর্ণার পানি যার নাম সালসাবীল। সে বলিল, আপনি ঠিক বলেছেন। সে আরো বলিল যে, আমি আপনার কাছে এমন একটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিতে এসেছি যা নবী ছাড়া পৃথিবীর কোন অধিবাসী জানে না অথবা একজন কি দুজন লোক ছাড়া। তিনি বলিলেন, আমি যদি তোমাকে তা বলে দেই তবে তোমার কি কোন উপকার হইবে? সে বলিল, আমি আমার কান পেতে শুনব। সে বলিল, আমি আপনাকে সন্তান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিতে এসেছি। তিনি বলিলেন, পুরুষের বীর্য সাদা এবং মেয়েলোকের বীর্য হলুদ। যখন উভয়টি একত্রিত হয়ে যায় এবং পুরুষের বীর্য মেয়েলোকের বীর্যের উপর প্রাধান্য লাভ করে তখন আল্লাহর হুকুমে পুত্র সন্তান হয়। আর যখন মেয়েলোকের বীর্য পুরুষের বীর্যের ওপর প্রাধান্য লাভ করে তখন আল্লাহর হুকুমে কন্যা সন্তান হয়্।
ইয়াহূদী বলিল, আপনি ঠিকই বলেছেন এবং নিশ্চয়ই্ আপনি নবী। এরপর সে চলে গেল। তখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলিলেন, এ লোক আমার কাছে যা জিজ্ঞেস করছে, ইতোপূর্বে আমার সে সম্পর্কে কোন জ্ঞানই ছিল না। আল্লাহ্ তাআলা এক্ষনে আমাকে তা জানিয়ে দিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬২৩]
৬০৪. মুআবিয়াহ্ ইবনি সাল্লাম হইতে বর্ণীতঃ
একই সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তিনি তার বর্ণনাতে এতটুকু অতিরিক্ত বলেছেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এর নিকট বসে ছিলাম। আর তিনি বললেনঃমাছের কলিজার টুকরা আর তিনি আয্কারা ও আ-নাসা শব্দ দুটির একবচন রূপ ব্যবহার করিয়াছেন, দ্বিবচন ব্যবহার করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬২৪]
Leave a Reply