ঋণের কিছু অংশ ছেড়ে দেয়া মুস্তাহাব
ঋণের কিছু অংশ ছেড়ে দেয়া মুস্তাহাব >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৪. অধ্যায়ঃ ঋণের কিছু অংশ ছেড়ে দেয়া মুস্তাহাব
৫. অধ্যায়ঃ বিক্রিত মাল দেউলিয়া ঘোষিত ক্রেতার নিকট পাওয়া গেলে বিক্রেতা তা ফেরত নিতে পারে
৬. অধ্যায়ঃ অসহায়কে সুযোগ দেয়ার ফযীলত
৭. অধ্যায়ঃ সক্ষম ব্যাক্তির ঋণ আদায়ে গড়িমসি করা হারাম, ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব অন্যের উপর দেয়া বৈধ এবং তা গ্রহণ করা মুস্তাহাব
৪. অধ্যায়ঃ ঋণের কিছু অংশ ছেড়ে দেয়া মুস্তাহাব
৩৮৭৩. আবু সাঈদ খুদ্রী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর সময়ে এক ব্যক্তির ক্রয় করা ফল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক ঋণী হয়ে পড়ে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, তোমরা তাকে সাহায্য কর। লোকজন তাকে সাহায্য করিল, কিন্তু প্রাপ্ত ঋণ পরিশোধের পরিমাণ হলো না। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার পাওনাদারদের বলিলেন, যা তোমরা পেয়েছ তা গ্রহণ কর; এর অতিরিক্ত আর পাবে না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৩৭, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৩৬]
৩৮৭৪. বুকায়র ইবনিল আশাজ্জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
বুকায়র ইবনিল আশাজ্জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উক্ত সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৩৮, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৩৭]
৩৮৭৫. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একদা দরজার নিকটে দুব্যক্তির উচ্চ কণ্ঠে ঝগড়া শুনতে পান। তাদের একজন অন্যজনের নিকট কোন এক বিষয়ে অব্যাহতি দেয়ার ও সদয় হওয়ার আবেদন করছে। আর অপরজন বলছে যে, আল্লাহ্র শপথ! আমি তা করিতে পারব না। এরপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বের হয়ে তাদের দুজনের কাছে গেলেন এবং বলিলেন, পুণ্যের কাজ না করার জন্যে আল্লাহ্র নামে শপথকারী কোথায়? একজন বলিল, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি। এরপর তিনি বলিলেন, সে যেটি চায় করিতে পারে।{১৭}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৩৯, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৩৮]
{১৭} সে যেটি চায় করিতে পারে-এর অর্থ হলো সাওয়াবের কাজে কোন জোর নেই। তবে হাদীসের মর্মবাণী হলো, ভাল কাজ না করার শপথ অপছন্দনীয়, তবে কেউ এরূপ শপথ করে বসলে উত্তম হলো, শপথ [কসম] ভেঙ্গে ফেলা এবং কাফফারা আদায় করে দেয়া। [সহীহ মুসলিম- মুখতাসার শারহে, আল্লামা ওয়াহীদুজ্জামান, ৪ র্থ খণ্ড, ১৮৮ পৃঃ]
৩৮৭৬. আবদুল্লাহ ইবনি কাব ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর আমলে একদা মাসজিদের মধ্যে ইবনি আবু হাদরাদ নামীয় এক ব্যক্তির নিকট স্বীয় প্রাপ্য ঋণের তাগাদা করেন। উভয়ের আওয়াজ উচ্চ হইতে থাকে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সে আওয়াজ ঘর থেকে শুনতে পান এবং ঘরের পর্দা উঠিয়ে বাইরে তাদের নিকট চলে আসেন। তিনি কাবকে ডেকে বলিলেন, হে কাব! তিনি বলিলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি উপস্থিত আছি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হাতের ইশারায় তাকে তার প্রাপ্য ঋণের অর্ধভাগ ক্ষমা করে দিতে বলিলেন। কাব [রাদি.] বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! আমি তাই করলাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [ঋণ গ্রহীতাকে] বলিলেন, যাও অবশিষ্ট [বাকী অর্ধেক] পরিশোধ করো।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৪০, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৩৯]
৩৮৭৭. কাব ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি একদিন আলী ইবনি আবু হাদরাদের নিকটে তার প্রাপ্য ঋণের তাগাদা করেন। এরপর তিনি ইবনি ওয়াহ্বের বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৪১, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৪০]
৩৮৭৮. কাব ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি আবদুল্লাহ ইবনি আবু হাদরাদ আসলামীর নিকট কিছু মাল পাওনা ছিলেন। তিনি তার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং শক্ত তাগাদা দেন। উভয়ে পরস্পর কথাবার্তা বলেন এবং এক পর্যায়ে শোরগোল সৃষ্টি হয়। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উভয়ের কাছে এলেন এবং কাবকে ডেকে হাতের ইশারায় বলিলেন , অর্ধেক। সুতরাং কাব [রাদি.] ঋণের অর্ধেক গ্রহণ করেন এবং অর্ধেক পরিত্যাগ করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৪১, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৪০]
৫. অধ্যায়ঃ বিক্রিত মাল দেউলিয়া ঘোষিত ক্রেতার নিকট পাওয়া গেলে বিক্রেতা তা ফেরত নিতে পারে
৩৮৭৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন অথবা আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছি, যে ব্যক্তি দেউলিয়া ঘোষিত কোন লোকের কাছে তার মাল অবিকলভাবে পায় কিংবা কোন মানুষের নিকট পায় যাকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছে তবে সে তার মাল ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় বেশী হক্দার।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৪২, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৪১]
৩৮৮০. ইয়াহ্ইয়া ইবনি ইয়াহ্ইয়া, কুতাইবাহ্ ইবনি সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনি রুম্হ রাবী ও ইয়াহ্ইয়া ইবনি হাবীব….. আবু বাকর ইবনি আবু শাইবাহ্….. ও মুহাম্মাদ ইবনিল মুসান্না [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
ভিন্ন ভিন্ন সূত্রে যুহাইর বর্ণিত হাদীসের অর্থ মিলে বর্ণনা করেন। আর তাদের মধ্যে কেবল ইবনি রুম্হ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার বর্ণনায় বলেছেন- কোন ব্যক্তি দেউলিয়া সাব্যস্ত হলে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৪৩, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৪২]
৩৮৮১. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
দেউলিয়া লোকের নিকট যদি কোন বস্তু পাওয়া যায় এবং স্থানান্তরিত না হয়ে থাকে তাহলে বিক্রেতাই ঐ বস্তুর প্রাপক।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৪৪, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৪৩]
৩৮৮২. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যদি কোন লোককে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয় আর কোন লোক স্বীয় সম্পদ অবিকলভাবে তার কাছে পায়, তবে সে ব্যক্তিই তা পাওয়ার বেশী হক রাখে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৪৫, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৪৪]
৩৮৮৩. কাতাদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
কাতাদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উক্ত রূপ বর্ণনা করেন। অবশ্য এ বর্ণনার শেষে বলা হয়েছে সে ব্যক্তিই অন্যান্য সকল পাওনাদারদের চেয়ে বেশী হক্দার।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৪৬, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৪৫]
৩৮৮৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন লোক যখন দেউলিয়া হয়ে যায়, আর তার নিকট কোন মাল বিক্রেতা তার বিক্রিত মাল অপরিবর্তিত অবস্থায় পায় তখন সে-ই সে মাল পেতে বেশী হকদার।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৪৭, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৪৬]
৬. অধ্যায়ঃ অসহায়কে সুযোগ দেয়ার ফযীলত
৩৮৮৫. হুযাইফাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতের এক ব্যক্তির রুহের সাথে ফেরেশতাগণ সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞেস করলেনঃ বিশেষ কোন সৎকাজ তুমি করেছ কি? সে বলিল, না। তারা বললেনঃ মনে করে দেখো। সে বললঃ আমি মানুষের সাথে লেনদেন করতাম। তারপর অসচ্ছল ব্যক্তিদের সুযোগ দিতে ও সচ্ছল ব্যক্তিদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করিতে আমি আমার লোকদের নির্দেশ দিতাম। নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ এরপর আল্লাহ তাআলা বললেনঃ “ওকে ছেড়ে দাও।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৪৮, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৪৭]
৩৮৮৬. রিবঈ ইবনি হিরাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ একদা হুযাইফাহ্ [রাদি.]-ও আবু মাসউদ [রাদি.] একত্রিত হন। হুযাইফাহ্ [রাদি.] বললেনঃ এক ব্যক্তির তার প্রভুর [আল্লাহ] সাথে সাক্ষাৎ হয়। আল্লাহ তাকে জিজ্ঞসে করেন, তুমি কী কী সাওয়াবের কাজ করেছ? সে বললঃ আমি তেমন কোন সৎকাজ করিনি; তবে আমি একজন ধনী লোক ছিলাম। আমি মানুষের কাছে পাওনা চাইতাম এভাবে যে, সচ্ছলদেরকে সময় আর গরীবদেরকে মুক্ত করে দিতাম। এরপর আল্লাহ নির্দেশ দিলেনঃ আমার বান্দাকে মাফ করে দাও। আবু মাসঊদ [রাদি.] বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে এরূপই বলিতে শুনেছি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৪৯, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৪৮]
৩৮৮৭. হুযাইফাহ্ [রাদি.] সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যক্তি মৃত্যুর পর জান্নাতে প্রবেশ করে। তাকে জিজ্ঞেস করা হল তুমি কেমন আমল করিতে? রাবী বলেনঃ এরপর সে স্মরণ করে বা তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়। সে বললঃ আমি মানুষের সাথে কেনা-বেচা করতাম। দরিদ্র লোকদেরকে আমি অবকাশ দিতাম এবং মুদ্রা বা টাকা মাফ করে দিতাম। এ কারণে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। এরপর আবু মাসঊদ বলেনঃ এরূপই আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে শুনেছি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৫০, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৪৯]
৩৮৮৮. হুযাইফাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাআলার কাছে তাহাঁর এমন এক বান্দাকে হাযির করা হয়, যাকে তিনি প্রচুর সম্পদ দান করেছিলেন। আল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করেন, দুনিয়ায় তুমি কী আমাল করেছে? রাবী বলেনঃ আর আল্লাহর নিকট কেউ কোন কথা গোপন রাখতে পারে না। সে বললঃ হে আমার রব! আপনি আপনার সম্পদ আমাকে দান করেছিলেন। আমি মানুষের সাথে ক্রয়-বিক্রয় করতাম। সুতরাং সচ্ছল ব্যক্তির সহিত আমি সহনশীলতা প্রদর্শন করতাম আর গরীবকে সময় দিতাম। আল্লাহ তাআলা বললেনঃ এ ব্যাপারে [হে বান্দা] তোমার চেয়ে আমি অধিকযোগ্য। তোমার আমার বান্দাকে ছেড়ে দাও।
উক্বাহ্ ইবনি আমির জুহানী ও আবু মাসঊদ আনসারী [রাদি.] বলেন, এরূপই আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর মুখ থেকে শুনেছি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৫১, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৫০]
৩৮৮৯. আবু মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের পূরবর্তী লোকদের মধ্যে এক লোকের হিসেব গ্রহণ করা হয়, কিন্তু তার মধ্যে কোন প্রকার ভাল আমাল পাওয়া যায়নি। কিন্তু সে মানুষের সাথে লেনদেন করত এবং সে ছিল সচ্ছল। তাই দরিদ্র লোকদের ক্ষমা করে দেয়ার জন্যে সে তার কর্মচারীদের নির্দেশ দিত। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, আল্লাহ বললেনঃ এ ব্যাপারে [অর্থাৎ ক্ষমা করার ব্যাপারে] আমি তার চেয়ে অধিক যোগ্য। একে ক্ষমা করে দাও।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৫২, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৫১]
৩৮৯০. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এক লোক মানুষের সাথে লেনদেন করত। সে তার গোলামকে বলে দিত, তুমি যখন কোন অভাবগ্রস্তের কাছে যাবে তখন তাকে ক্ষমা করে দিবে। হয়ত আল্লাহ আমাদেরকেও ক্ষমা করে দিবেন। অতঃপর সে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে মিলিত হলো। আর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৫৩, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৫২]
৩৮৯১. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন যে, আমি শুনেছি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অনুরূপ বলেছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৫৪, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৫৩]
৩৮৯২. আবদুল্লাহ্ ইবনি আবু কাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবু কাতাদাহ্ [রাদি.] একবার তার কাছ থেকে ঋণ গ্রহণকারী একজনকে খোঁজ করেন। সে তার থেকে লুকিয়েছিল। পরে তিনি তাকে পেয়ে যান। সে বললঃ আমি অভাবগ্রস্ত। তিনি বললেনঃ আল্লাহর শপথ! সে বললঃ আল্লাহর শপথ। তিনি বললেনঃ তাহলে আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি এটা চায় যে, আল্লাহ তাকে কিয়ামাত দিবসের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি দিক সে যেন ঋণগ্রস্ত অক্ষম লোকের সহজ ব্যবস্থা করে কিংবা ঋণ মওকূফ করে দেয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৫৫, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৫৪]
৩৮৯৩. আইয়ূব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আইয়ূব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে উক্ত সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৫৭, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৫৫]
৭. অধ্যায়ঃ সক্ষম ব্যাক্তির ঋণ আদায়ে গড়িমসি করা হারাম, ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব অন্যের উপর দেয়া বৈধ এবং তা গ্রহণ করা মুস্তাহাব
৩৮৯৪. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সক্ষম ব্যক্তির ঋণ আদায়ে গড়িমসি করা অত্যাচারের শামিল। তোমাদের কারো প্রতি ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব দিলে সে যেন তা গ্রহণ করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৫৬, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৫৬]
৩৮৯৫. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
আবু হুরায়রা্ [রাদি.] সূত্রে নবী [সাঃআঃ] থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৮৫৮, ইসলামিক সেন্টার-৩৮৫৭]
Leave a Reply