উমর [রাদি.] এর ফযিলত

উমর [রাদি.] এর ফযিলত

উমর [রাদি.] এর ফযিলত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

২. অধ্যায়ঃ উমর [রাদি.] এর ফযিলত

৬০৮১. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, উমর [রাদি.]-কে তাহাঁর খাটিয়ায় রাখা হলে ব্যক্তিরা তাহাঁর কাছে জমা হয়ে দুআ, প্রশংসা ও দরূদ পাঠ করছিল, তখনও তাহাঁর জানাযা হয়নি। আমিও লোকদের সাথে ছিলাম। জনৈক লোক পেছন থেকে আমার কাঁধে হাত রাখলে আমি শঙ্কিত হলাম। ঘুরে দেখি আলী [রাদি.]। তিনি বলিলেন, আল্লাহ উমারের [রাদি.] উপর রহম করুন। এরপর উমরকে সম্বোধন করে বলিলেন, হে উমর! আপনি আপনার চেয়ে অধিক পছন্দের কোন লোক রেখে যাননি যার আমাল এমন যে, তার মত আমাল নিয়ে আমি আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ লাভে ভালবাসি। আমার মনে হত, আল্লাহ আপনাকে আপনার দু সাথীর সাথেই রাখবেন। কারণ, আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে প্রায়ই বলিতে শুনেছি, আমি, আবু বাকর ও উমর এসেছি। প্রবেশ করেছি আমি, আবু বাকর ও উমর ; বেরও হয়েছি আমি, আবু বাকর ও উমর। এজন্যে আমার দৃঢ় প্রত্যয় ও আস্থা এই যে, আপনাকে আল্লাহ তাঁদের সঙ্গেই রাখবেন।

[ই.ফা.৫৯৭১, ই,সে ৬০১০]

৬০৮২. উমর ইবনি সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একই সূত্রে অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।

[ই.ফা.৫৯৭২, ই,সে ৬০১১]

৬০৮৩. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, আমি শুয়ে ছিলাম, দেখি আমার সম্মুখে লোকদের আনা হচ্ছে, এদের গায়ে কাপড়। কারো জামা বুক পর্যন্ত, কারো বা এর নীচে। উমরকে আনা হলো, তাহাঁর গায়ে একটা লম্বা চওড়া কাপড় মাটিতে গিয়ে ঠেকেছিল অর্থাৎ টেনে টেনে চলছে। লোকেরা বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আপনি এর কি বিশ্লেষণ করেন? রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ দ্বীন [দ্বীনের নমুনা]।

[ই.ফা.৫৯৭৩, ই,সে ৬০১২]

৬০৮৪. হামযাহ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি ঘুমিয়ে আছি, দেখলাম দুধ ভর্তি একটি পেয়ালা আনা হলো। আমি তা থেকে পান করলাম এমনকি আমি দেখলাম যে, আমার নখের মধ্যেও তৃপ্তি ও সজীবতা প্রবাহিত হচ্ছে। এরপর যা অবশিষ্ট রইল তা উমর ইবনিল খাত্তাবকে দিলাম। লোকেরা বলিল, হে আল্লাহর রসূল! এর ব্যাখ্যা কি? ইনি বলিলেন, ইলম।

[ই.ফা.৫৯৭৪, ই,সে ৬০১৩]

৬০৮৫. সালিহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

ইউনুসের সুত্রে অবিকল হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

[ই.ফা.৫৯৭৫, ই,সে ৬০১৪]

৬০৮৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি, আমি ঘুমন্ত অবস্থায় একটি কূপ দেখলাম, তাতে একটি বালতিও আছে। আমি আল্লাহ তায়ালার হুকুম মত পানি তুললাম। তারপর আবু কুহাফার ছেলে বালতি হাতে নিলো এবং এক বা দু বালতি পানি তুলল। তাহাঁর উঠানোর কাজে দূর্বলতা ছিল। আল্লাহ তাঁকে মাফ করে দিন। বালতিটি এবার বড় হয়ে গেল। ইবনি খাত্তাব সেটি নিল। আমি উমর ইবনি খাত্তাবের মতো পারদর্শী পানি উত্তোলনকারী আর কাউকে দেখিনি। তখন লোকেরা নিজেদের উটগুলোকে পানি পান করিয়ে বিশ্রামের জায়গায় নিয়ে গেল।

[ই.ফা.৫৯৭৬, ই,সে ৬০১৫]

৬০৮৭. সালিহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে ইউনুস [রাদি.]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬০১৬]

৬০৮৮. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন: ইবনি আবু কুহাফাকে পানি উঠাতে দেখেছি। অবশিষ্টাংশ যুহরীর হাদীসের মতই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬০১৭]

৬০৮৯.আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন: ঘুমের মাঝে আমি দেখলাম, আমার হাওয হইতে পানি উঠাচ্ছি এবং লোকদের পানি দিচ্ছি। আবু বকর এসে আমাকে আরাম করার জন্য আমার হাত হইতে বালতি নিয়ে দুবালতি পানি উত্তোলন করিলেন এবং তার উত্তোলনে শক্তি পাচ্ছিল না। আল্লাহ তাঁকে মাফ করুন। তারপর ইবনি খাত্তাব এসে তাহাঁর হাত থেকে বালতি নিলেন, তাহাঁর তুলনায় বেশি শক্তিশালী উত্তোলনকারী আমি আর কোনদিন দেখিনি। লোকেরা আত্মতৃপ্তি সহকারে প্রত্যাবর্তন করিল। আর তখনও হাওয পরিপূর্ণ ছিল যেন তা উপচিয়ে পড়ছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬০১৮]

৬০৯০. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন: আমি স্বপ্নে লক্ষ্য করলাম যেন এক ছোট বালতি দিয়ে একটি কুয়া হইতে পানি উত্তোলন করছি। তখন আবু বকর এসে এক বালতি বা দুবালতি উঠালেন। তাহাঁর উত্তোলনে দুর্বলতা ছিল। আল্লাহ তাঁকে মাফ করুন। তারপর উমর এসে পানি তোলা আরম্ভ করিলেন। আর বালতিটি বৃহদাকার ধারণ করিল। মানুষদের মধ্যে এত বড় শক্তিশালী যুবক আমি আর দেখিনি যে তাহাঁর ন্যায় কাজ করে। এমনকি মানুষেরা পরিতৃপ্তি লাভ করিল এবং তথায় উটশালা বানিয়ে ফেলল।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮০, ইসলামিক সেন্টার- ৬০১৯]

৬০৯১ আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবু বকর ও উমর [রাদি.] সম্বন্ধে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর স্বপ্ন তাঁদের হাদীসের একই রকম রিওয়ায়াত করিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮১, ইসলামিক সেন্টার- ৬০২০]

৬০৯২. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন: আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম, ওখানে একটা বাড়ী বা অট্টালিকা প্রত্যক্ষ করলাম। বললাম, এটা কার? লোকেরা বলিল, উমর ইবনিল খাত্তাবের। আমি এতে প্রবেশের আগ্রহ প্রকাশ করলাম। তখনি তোমার আত্মসম্মানবোধের কথা আমার মনে পড়ল। এ কথা শুনে উমর [রাদি.] কেঁদে দিলেন এবং বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার প্রতিও কি আত্মমর্যাদাবোধ চলে?

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮২, ইসলামিক সেন্টার- ৬০২১]

৬০৯৩. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

ইবনি নুমায়র ও যুহায়রের সানাদে বর্ণিত হাদীসের অবিকল রিওয়ায়াত করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬০২২]

৬০৯৪. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন: আমি শুয়ে ছিলাম। স্বপ্নে আমাকে আমি জান্নাতে দেখিতে পাই। ওখানে একটি অট্টালিকার কিনারে একজন নারী ওযূ করছিল। আমি জানতে চাইলাম। এটি কার? তারা বলিল, উমর ইবনিল খাত্তাবের। তখন উমারের আত্মসম্মানবোধের কথা আমার স্মরণ হলে, আমি সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করলাম।

আবু হুরায়রা্ [রাদি.] বলেন, এ কথা শুনে উমর [রাদি.] কেঁদে দিলেন। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর সাথে আমরা সকলে এ মাজলিসে ছিলাম। তারপর উমর [রাদি.] বলিলেন, আপনার উপর আমার মা-বাবা কুরবান হোক, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি আপনার প্রতি আত্মসম্মানবোধ দেখাবো?

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬০২৩]

৬০৯৫. ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উপরোক্ত সূত্রে হুবহু রিওয়ায়াত করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬০২৪]

৬০৯৬. সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

উমর [রাদি.] রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর কাছে প্রবেশের সম্মতি চাইলেন। তখন কুরায়শ নারীরা রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট কথোপকথনে লিপ্ত ছিল এবং তারা উচ্চৈঃস্বরে বেশি বেশি কথা বলছিল। যখন উমর [রাদি.] অনুমতি চাইলেন এরা উঠে অভ্যন্তরে চলে গেল। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাঁকে অনুমতি দিলেন এবং তখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] হাসছিলেন। উমর বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ আপনার মুখকে হাস্যোজ্জ্বল রাখুন। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃআমি তাদের ব্যাপারে অবাক হচ্ছি যারা আমার নিকট উপবিষ্ট ছিল; আর তোমার শব্দ শুনামাত্রই তারা অভ্যন্তরে চলে গেল। উমর [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনাকেই তো এদের অধিক ভয় করা উচিত।

তারপর উমর [রাদি.] বলিলেন, ওহে! নিজের প্রাণের শত্রুরা! তোমরা আমাকে ভয় করো এবং আল্লাহর রসূলকে ভয় করো না। তারা বলিল, হ্যাঁ, তুমি তো আল্লাহর রসূলের চাইতে অধিক তেজস্বী এবং রাগী। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃযাঁর হাতে আমার জীবন তাহাঁর কসম! যখন শাইতান তোমাকে কোন রাস্তায় চলতে দেখে তখন সে তোমার রাস্তা বাদ দিয়ে ভিন্ন পথ ধরে চলে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬০২৫]

৬০৯৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট উমর [রাদি.] আসলেন। তখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর কাছে কতিপয় মহিলা উচ্চৈঃস্বরে কথা বলছিল। যখন উমর প্রবেশের অনুমতি চাইলেন, মেয়েরা সব সাথে সাথে ভিতরে চলে গেল। অবশিষ্টাংশ যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসের হুবহু রিওয়ায়াত করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬০২৬]

৬০৯৮. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলিতেন: তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতসমূহের মাঝে কতিপয় ব্যক্তি ছিলেন মুহাদ্দাস, আমার উম্মাতের মাঝে যদি কেউ এমন থেকে থাকে তবে সে উমর ইবনিল খাত্তাবই হইবে।

ইবনি ওয়াহ্ব [রাদি.] বলেন, মুহাদ্দাস -এর ব্যাখ্যা হলো যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে গোপনে প্রত্যাদেশপ্রাপ্ত হন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬০২৭]

৬০৯৯. সাদ ইবনি ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উপরোক্ত সূত্রে অবিকল রিওয়ায়াত করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬০২৮]

৬১০০. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

উমর [রাদি.] বলেছেন যে, তিনটি বিষয়ে আমি আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার অবিকল আগের মতোই উল্লেখ করেছি। মাকামে ইব্রাহীমে নামাজ আদায় সম্পর্কে, মেয়েলোকের পর্দা এবং বদরের যুদ্ধবন্দীদের প্রসঙ্গে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬০২৯]

৬১০১. আবদুল্লাহ উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, যখন আবদুল্লাহ ইবনি উবাই ইবনি সালূল ওফাত হন তখন তার ছেলে আবদুল্লাহ ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর কাছে এসে আরজ করিলেন, তিনি যেন নিজ জামা তাহাঁর পিতার কাফনের জন্য দান করেন। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তাঁকে প্রদান করিলেন। এরপর আবদুল্লাহ [রাদি.] রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] কে তাহাঁর পিতার জানাযা পড়ার অনুরোধ জানালেন। তিনি তার জানাযা পড়ার জন্য উঠে দাঁড়ালেন। তখন উমর [রাদি.] দাঁড়িয়ে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর গায়ের কাপড় ধরে বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি ওর জানাযা পড়বেন? কেননা আল্লাহ আপনাকে তার জানাযা আদায় করিতে বারণ করিয়াছেন? রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃআল্লাহ অবশ্য আমাকে ইখতিয়ার দিয়েছেন। বলেছেন:

 اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً‏

“আপনি তাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করুন আর নাই করুন, যদি আপনি সত্তরবারও এদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন” .. [সূরা আত্ তাওবাহ্ ৯:৭০] অতএব আমি সত্তরবারের চেয়েও অধিক মাফ চাইব। উমর [রাদি.] বলিলেন, সে তো মুনাফিক।

অতঃপর রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তার জানাযা আদায় করিলেন। তখন আল্লাহ তাআলা আয়াত নাযিল করিলেন:

 وَلاَ تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ

মুনাফিকদের মাঝে কেউ মরে গেলে কক্ষনো তার জানাযা আদায় করবেন না; আর তার কবরের সন্নিকটেও দাঁড়াবেন না- [সূরা আত্ তাওবাহ্ ৯: ৮৪]।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৯০, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৩০]

৬১০২. উবাইদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এ সানাদে আবু উসামার হাদীসের সমার্থক হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন এবং বর্ধিত বলেছেন, তারপর তিনি তাদের উপর জানাযা আদায় ছেড়ে দেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৯১, ইসলামিক সেন্টার- ৬০৩১]

Comments

Leave a Reply