ইহরাম বাঁধার স্থান মক্কা, মদীনা, সিরিয়া ও নজ্‌দবাসীদের জন্য

ইহরাম বাঁধার স্থান মক্কা, মদীনা, সিরিয়া ও নজ্‌দবাসীদের জন্য

ইহরাম বাঁধার স্থান মক্কা, মদীনা, সিরিয়া ও নজ্‌দবাসীদের জন্য >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ২৫, হজ্জ, অধ্যায়ঃ (৫-১১)=৭টি

২৫/৫. অধ্যায়ঃ হজ্জ ও উমরাহর মীকাত (ইহরাম বাঁধার স্থান) নির্ধারণ।
২৫/৬. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা কর। আর তাকওয়াই হল শ্রেষ্ঠ পাথেয়। (আল-বাকারাঃ ১৯৭)
২৫/৭. অধ্যায়ঃ মক্কাবাসীদের জন্য হজ্জ ও ঊমরাহর ইহরাম বাঁধার স্থান।
২৫/৮. অধ্যায়ঃ মদীনাবাসীদের মীকাত ও তারা যুল-হুলায়ফাহ পৌঁছার আগে ইহরাম বাঁধবে না।
২৫/৯. অধ্যায়ঃ সিরিয়াবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।
২৫/১০. অধ্যায়ঃ নজ্‌দবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।
২৫/১১. অধ্যায়ঃ মীকাতের অভ্যন্তরের অধিবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান

২৫/৫. অধ্যায়ঃ হজ্জ ও উমরাহর মীকাত (ইহরাম বাঁধার স্থান) নির্ধারণ।

১৫২২. যায়দ ইবনু জুবাইর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) এর কাছে তাহাঁর অবস্থান স্থলে যান, তখন তাহাঁর জন্য তাঁবু ও চাঁদোয়া টানানো হয়েছিল। [যায়দ (রাদি.) বলেন] আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন স্থান হইতে উমরাহর ইহরাম বাঁধা জায়িয হইবে? তিনি বলিলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) নাজদবাসীর জন্য কারণ, মদীনাবাসীর জন্য যুল-হুলাইফাহ ও সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা (ইহরামের মীকাত) নির্ধারণ করে দিয়েছেন। (১৩৩)

(আঃপ্রঃ ১৪২৩, ইঃফাঃ ১৪২৯)

২৫/৬. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা কর। আর তাকওয়াই হল শ্রেষ্ঠ পাথেয়। (আল-বাকারাঃ ১৯৭)

১৫২৩. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইয়ামানের অধিবাসীগণ হজ্জে গমনকালে পাথেয় সঙ্গে নিয়ে যেতো না এবং তারা বলছিল, আমরা আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল। কিন্তু মক্কায় উপনীত হয়ে তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচনা করে বেড়াত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ অবতীর্ন করেনঃ (আরবি) “তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা কর, আত্মসংযমই শ্রেষ্ঠ পাথেয়”। (আল-বাকারাহঃ ১৯৭) হাদীসটি ইবনু উয়াইনাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আমর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সূত্রে ইক্‌রিমা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে মুরসালরূপে বর্ননা করিয়াছেন।

(আঃপ্রঃ ১৪২৪, ইঃফাঃ ১৪৩০)

২৫/৭. অধ্যায়ঃ মক্কাবাসীদের জন্য হজ্জ ও ঊমরাহর ইহরাম বাঁধার স্থান।

১৫২৪. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) ইহরাম বাঁধার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন, মদীনাবাসীদের জন্য যুল-হুলায়ফা, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, নজ্‌দবাসীদের জন্য কারনুল-মানাযিল, ইয়ামেনবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম। হজ্জ ও উমরাহ নিয়্যাতকারী সেই অঞ্চলের অধিবাসী এবং ঐ সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য অঞ্চলের অধীবাসী সকলের জন্য উক্ত স্থানগুলো মীকাতরূপে গণ্য এবং যারা এ সব মীকাতের ভিতরে (অর্থাৎ মক্কার নিকটবর্তী) স্থানের অধিবাসী, তারা যেখান হইতে হজ্জের নিয়্যাত করে বের হইবে (সেখান হইতে ইহরাম বাঁধবে)। এমন কি মক্কাবাসী মক্কা হইতেই (হজ্জের) ইহরাম বাঁধবে।

(১৫২৬, ১৫২৯, ১৫৩০, ১৮৪৫, মুসলিম ১৫/২, হাদীস ১১৮১, আহমাদ ২২৪০) (আঃপ্রঃ ১৪২৫, ইঃফাঃ ১৪৩১)

২৫/৮. অধ্যায়ঃ মদীনাবাসীদের মীকাত ও তারা যুল-হুলায়ফাহ পৌঁছার আগে ইহরাম বাঁধবে না।

১৫২৫. ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেনঃ মদীনাবাসীগণ যুল-হুলায়ফাহ হইতে, সিরিয়াবাসীগণ জুহফা হইতে ও নজদবাসীগণ ক্বারণ হইতে ইহরাম বাঁধবে। আবদুল্লাহ (রাদি.) বলেন, আমি (অন্যের মাধ্যমে) অবগত হয়েছি, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেনঃ ইয়ামানবাসীগন ইয়ালামলাম হইতে ইহরাম বাঁধবে।

(১৩৩, মুসলিম ১৫/২, হাদীস ১১৮২, আহমাদ ৫০৮৭) (আঃপ্রঃ ১৪২৬, ইঃফাঃ ১৪৩২)

২৫/৯. অধ্যায়ঃ সিরিয়াবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।

১৫২৬. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) ইহরাম বাঁধার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন, মদীনাবাসীদের জন্য যুল-হুলায়ফা, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, নজদবাসীদের জন্য ক্বারনুল-মানাযিল, ইয়ামেনবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম। উল্লিখিত স্থানসমূহ হজ্জ ও উমরাহর নিয়্যাতকারী সেই অঞ্চলের অধিবাসী এবং ঐ সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসিদের জন্য ইহরাম বাঁধার স্থান এবং মীকাতের ভিতরে স্থানের লোকেরা নিজ বাড়ি হইতে ইহরাম বাঁধবে। এমনকি মক্কাবাসীগণ মক্কা হইতেই ইহরাম বাঁধবে। (১৫২৪)

(আঃপ্রঃ ১৪২৭, ইঃফাঃ ১৪৩৩)

২৫/১০. অধ্যায়ঃ নজ্‌দবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।

১৫২৭. আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) মীকাতের সীমা নির্ধারিত করিয়াছেন। (১৩৩)

(আঃপ্রঃ ১৪২৮, ইঃফাঃ ১৪৩৪)

১৫২৮.আবদুল্লাহ (রাদি.) তাহাঁর পিতা হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-কে বলিতে শুনেছিঃ মদীনাবাসীদের মীকাত হলো যুল-হুযায়ফাহ, সিরিয়াবাসীদের মীকাত (মাহইয়াআহ) যার অপর নাম জুহফা এবং নাজদবাসীদের মীকাত হলো ক্বারন।

ইবনু উমর (রাদি.) বলেন, আমি শুনিনি, তবে লোকেরা বলে যে, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ ইয়ামেনবাসীদের মীকাত হলো ইয়ালামলাম। (১৩৩)

(আঃপ্রঃ ১৪২৮ শেষাংশ, ইঃফাঃ ১৪৩৪ শেষাংশ)

২৫/১১. অধ্যায়ঃ মীকাতের অভ্যন্তরের অধিবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান

১৫২৯. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) মদীনাবাসীদের জন্য মীকাত নির্ধারন করেন যুল-হুযায়ফাহ, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, ইয়ামেনবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম ও নাজদবাসীদের জন্য ক্বারণ। উল্লিখিত স্থান সমূহ হজ্জ ও উমরাহর নিয়্যাতকারী সে স্থানের অধিবাসী ও সে সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য এলাকার অধিবাসীদের জন্য ইহরাম বাঁধার স্থান। আর যে মিকাতের ভিতরের অধিবাসী সে নিজ বাড়ি হইতে ইহরাম বাঁধবে। এমনকি মক্কাবাসীগণ মক্কা হইতেই ইহরাম বাঁধবে। (১৫২৪)

(আঃপ্রঃ ১৪২৯, ইঃফাঃ ১৪৩৫)


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply