পথে আটকে পড়া ও ইহরাম অবস্থায় শিকারকারীর বিধান

পথে আটকে পড়া ও ইহরাম অবস্থায় শিকারকারীর বিধান

পথে আটকে পড়া ও ইহরাম অবস্থায় শিকারকারীর বিধান >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ২৭, পথে আটকে পড়া ও ইহরাম অবস্থায় শিকারকারীর বিধান, অধ্যায়ঃ (১-১০)=১০টি

২৭/১. অধ্যায়ঃ উমরাহ আদায়কারী ব্যক্তি যদি পথে আটকে পড়েন।
২৭/২. অধ্যায়ঃ হজ্জে বাধাগ্রস্ত হওয়া।
২৭/৩. অধ্যায়ঃ বাধাপ্রাপ্ত হলে মাথা মুণ্ডনের পূর্বে কুরবাণী করা।
২৭/৪. অধ্যায়ঃ যারা বলেন, বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপর কাযা আবশ্যক নয়।
২৭/৫. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “তোমাদের মধ্যে যদি কেউ অসুস্থ হয় কিংবা মাথায় কষ্টকর কিছু হয়ে থাকে তবে সিয়াম কিংবা সদাকা অথবা কুরবাণীর দ্বারা তার ফিদইয়া দিবে।” (আল-বাকারাহ (২) : ১৯৬)
২৭/৬. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “অথবা সদাকা” (আল-বাকারা : ১৯৬)
২৭/৭. অধ্যায়ঃ ফিদয়ার দেয় খাদ্যের পরিমাণ অর্ধ সা।
২৭/৮. অধ্যায়ঃ নুসূক হলো একটি বক্‌রী কুরবাণী করা।
২৭/৯. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ (হজ্জের সময়) স্ত্রী সহবাস নেই । (আল-বাকারা : ১৯৭)
২৭/১০. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ হজ্জের সময়ে অশ্লীল আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদ নেই। (আল-বাকারা : ১৯৭)

২৭/১. অধ্যায়ঃ উমরাহ আদায়কারী ব্যক্তি যদি পথে আটকে পড়েন।

১৮০৬. নাফি (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

হাঙ্গামা চলাকালে আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) উমরাহর নিয়্যাত করে মক্কায় রওয়ানা হবার পর বলিলেন, বাইতুল্লাহর পথে বাধাগ্রস্ত হলে, তাই করব যা করেছিলাম আমরা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) -এর সঙ্গে। তাই তিনি উমরাহর ইহরাম বাঁধলেন। কেননা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) -ও হুদাইবিয়ার বছর উমরাহর ইহরাম বেঁধেছিলেন।

১৮০৭. নাফি হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উবায়দুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ ও সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) উভয়ই তাঁকে সংবাদ দিয়েছেন, যে বছর হাজ্জাজ (ইবনু ইউসুফ) বাহিনী ইবনু যুবায়র (রাদি.) -এর বিরুদ্ধে অভিযান চালায়, সে সময়ে তাঁরা উভয়ে কয়েকদিন পর্যন্ত আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.)-কে বুঝালেন। তাঁরা বলিলেন, এ বছর হজ্জ না করলে আপনার কোন ক্ষতি হইবে না। আমরা আশঙ্কা করছি, আপনার ও বাইতুল্লাহর মাঝে বাধা সৃষ্টি হইতে পারে। তিনি বলিলেন, আমরা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) -এর সাথে রওয়ানা হয়েছিলাম। কিন্তু বাইতুল্লাহর পথে কাফির কুরাইশরা আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়াল। তাই নাবী (সাঃআঃ) কুরবাণীর পশু যবেহ করে মাথা মুড়িয়ে নিয়েছিলেন। এখন আমি তোমাদের সাক্ষি রেখে বলছি, আমি আমার নিজের জন্যে উমরাহ ওয়াজিব করে নিয়েছি। আল্লাহ চাহেন তো আমি এখন রওয়ানা হয়ে যাব। যদি আমার এবং বাইতুল্লাহর মাঝে বাধা না আসে তাহলে আমি তাওয়াফ করে নিব। কিন্তু যদি আমার ও বাইতুল্লাহর মাঝে বাধা সৃষ্টি করা হয় তাহলে আমি তখনই সেরূপ করব যেরূপ নাবী (সাঃআঃ) করেছিলেন আর আমিও তাহাঁর সঙ্গে ছিলাম। অতঃপর তিনি যুল-হুলাইফা হইতে উমরাহর ইহরাম বেঁধে কিছুক্ষণ চললেন, এরপরে বলিলেন, হজ্জ এবং উমরাহর ব্যাপার তো একই। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, নিশ্চয়ই আমি আমার উমরাহর সাথে হজ্জও নিজের জন্যে ওয়াজিব করে নিলাম। তাই তিনি হজ্জ ও উমরাহ কোনটি হইতেই হালাল হননি। অবশেষে কুরবাণীর দিন কুরবাণী করিলেন এবং হালাল হলেন। তিনি বলিতেন, আমরা হালাল হব না যতক্ষণ পর্যন্ত না মক্কায় প্রবেশ করে একটি তাওয়াফ করে নিই।

১৮০৮. নাফি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ (রাদি.) -এর কোন এক ছেলে তাহাঁর পিতাকে বলিলেন, যদি আপনি এ বছর বাড়িতে অবস্থান করিতেন (তাহলে আপনার জন্য কতই না কল্যাণকর হত)!

১৮০৯. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) (হুদাইবিয়াতে) বাধাপ্রাপ্ত হন। তাই তিনি মাথা কামিয়ে নেন। স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হন এবং প্রেরিত জানোয়ার কুরবাণী করেন। অবশেষে পরবর্তী বছর উমরাহ আদায় করেন।

২৭/২. অধ্যায়ঃ হজ্জে বাধাগ্রস্ত হওয়া।

১৮১০. সালিম (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু উমর (রাদি.) বলিতেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) -এর সুন্নাতই কি তোমাদের পক্ষে যথেষ্ট নয়? তোমাদের কেউ যদি হজ্জ আদায় করিতে বাধাগ্রস্ত হয় সে যেন (উমরাহর জন্য) বাইতুল্লাহর ও সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ করে সমস্ত কিছু হইতে হালাল হয়ে যায়। অবশেষে পরবর্তী বৎসর হজ্জ আদায় করে নেয়। তখন সে কুরবাণী করিবে আর কুরবাণী দিতে যদি না পারে তবে সিয়াম পালন করিবে। আবদুল্লাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)….ইবনু উমর (রাদি.) হইতে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

২৭/৩. অধ্যায়ঃ বাধাপ্রাপ্ত হলে মাথা মুণ্ডনের পূর্বে কুরবাণী করা।

১৮১১. মিসওয়ার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) মাথা কামানোর আগেই কুরবাণী করেন এবং সাহাবাদের অনুরূপ করার নির্দেশ দেন।

১৮১২. নাফি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ এবং সালিম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) উভয়েই আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণনা করেন, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) বলিলেন, নাবী (সাঃআঃ) -এর সঙ্গে উমরাহর নিয়ত করে আমরা রওয়ানা হলে যখন কুরায়শের কাফিররা বাইতুল্লাহর অনতিদূরে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তখন আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাহাঁর উট কুরবাণী করেন ও মাথা কামিয়ে ফেলেন।

২৭/৪. অধ্যায়ঃ যারা বলেন, বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপর কাযা আবশ্যক নয়।

রাওহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিত যে, কাযা ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব, যে তাহাঁর হজ্জ স্ত্রী সম্ভোগ করে নষ্ট করে দিয়েছে। তবে প্রকৃত ওযর কিংবা অন্য কোন বাধা থাকলে সে হালাল হয়ে যাবে এবং তাকে (কাযার জন্য) ফিরে আসতে হইবে না। বাধাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট কুরবাণীর পশু থাকলে সেখানেই কুরবাণী দিয়ে (হালাল হয়ে যাবে) যদি পশু কুরবাণীর স্থানে পাঠাতে অক্ষম হয়। আর যদি সে তা পাঠাতে পারে তা হলে কুরবাণীর জানোয়ারটি তার স্থানে না পৌঁছা পর্যন্ত হালাল হইবে না। ইমাম মালিক (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) ও অন্যান্য উলামায়ে কিরাম বলেন, সে যে কোন স্থানে কুরবাণীর পশুটি যবেহ করে মাথে কামিয়ে নিতে পারবে। তার উপর কোন কাযা নেই। কেননা, হুদাইবিয়াতে তাওয়াফের আগে এবং কুরবাণীর জানোয়ার বাইতুল্লাহ পৌঁছার পূর্বে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) ও সাহাবীগণ যবেহ করিয়াছেন, মাথা কামিয়েছেন এবং হালাল হয়ে গিয়েছেন। এর কোন উল্লেখও নেই যে, এরপর নাবী (সাঃআঃ) কাউকে কাযা করার বা (পুনরায় হজ্জ আদায় করার জন্য) ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন, অথচ হুদাইবিয়া হারাম শরীফের বাইরে অবস্থিত।

১৮১৩. নাফি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

(মক্কা মুকার্‌রামায়) গোলযোগ চলাকালে উমরাহর নিয়ত করে আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) যখন মক্কার দিকে রওয়ানা হলেন, তখন বলিলেন, বাইতুল্লাহ হইতে যদি আমি বাধাপ্রাপ্ত হই তাহলে তাই করব যা করেছিলাম আমরা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) -এর সঙ্গে। তাই তিনি উমরাহর ইহরাম বাঁধলেন। কারণ, নাবী (সাঃআঃ) -ও হুদাইবিয়ার বছর উমরাহর ইহরাম বেঁধেছিলেন। অতঃপর আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) নিজের ব্যাপারে ভেবে চিন্তে বলিলেন, উভয়টিই (হজ্জ ও উমরা) এক রকম। এরপর তিনি তাহাঁর সাথীদের প্রতি লক্ষ্য করে বলিলেন, উভয়টি তো একই রকম। আমি তোমাদের সাক্ষী করে বলছি, আমি আমার উপর উমরাহর সাথে হজ্জকে ওয়াজিব করে নিলাম। তিনি উভয়টির জন্য একই তাওয়াফ করিলেন এবং এটাই তাহাঁর পক্ষ হইতে যথেষ্ট মনে করেন, আর তিনি কুরবাণীর পশু সঙ্গে নিয়েছিলেন।

২৭/৫. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “তোমাদের মধ্যে যদি কেউ অসুস্থ হয় কিংবা মাথায় কষ্টকর কিছু হয়ে থাকে তবে সিয়াম কিংবা সদাকা অথবা কুরবাণীর দ্বারা তার ফিদইয়া দিবে।”

(আল-বাকারাহ (২) : ১৯৬)

এ ব্যাপারে তাকে যে কোন একটি গ্রহণের অবকাশ দেয়া হয়েছে। তবে সিয়াম পালন করলে তিন দিন করিবে।

১৮১৪. কাব ইবনু উজরাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেন, বোধ হয় তোমার এই পোকাগুলো (উকুন) তোমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে? তিনি বলিলেন, হাঁ, ইয়া আল্লাহর রাসুল! এরপর আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলিলেন, তুমি মাথা মুণ্ডন করে ফেল এবং তিন দিন সিয়াম পালন কর অথবা ছয়জন মিসকীনকে আহার করাও কিংবা একটা বক্‌রী কুরবাণী কর।

২৭/৬. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “অথবা সদাকা”

(আল-বাকারা : ১৯৬)

— অর্থাৎ ছয়জন মিসকিনকে খাওয়ানো।

১৮১৫. কাব ইবনু উজরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) আমার নিকট দণ্ডায়মান হলেন। এ সময় আমার মাথা থেকে উকুন ঝরে পরছিল। আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) জিজ্ঞেস করিলেন : তোমার এই পোকাগুলো (উকুন) কি তোমাকে যন্ত্রণা দিচ্ছে? আমি বললাম, হাঁ, তিনি বললেনঃ মাথা মুণ্ডন করে ফেল অথবা বলিলেন, মুণ্ডন করে ফেল। কাব ইবনু উজরা (রাদি.) বলেন, আমার সম্পর্কেই নাযিল হয়েছে এই আয়াতটি :

‏فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ بِهِ أَذًى مِنْ رَأْسِهِ

“তোমাদের মধ্যে কেউ যদি রোগাক্রান্ত হয় কিংবা মাথায় কষ্টকর কিছু হয়ে থাকে…”- (আল-বাকারাহ : ১৯৬)। তখন নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ তুমি তিন দিন সাওম পালন কর কিংবা এক ফারাক (তিন সা পরিমাণ) ছয়জন মিসকীনের মধ্যে সদাকা কর অথবা কুরবাণী কর যা তোমাদের জন্য সহজসাধ্য।

২৭/৭. অধ্যায়ঃ ফিদয়ার দেয় খাদ্যের পরিমাণ অর্ধ সা।

১৮১৬. আবদুল্লাহ ইবনু মাকিল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি কাব ইবনু উজরা (রাদি.) -এর পাশে বসে তাঁকে ফিদয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলিলেন, এ আয়াত বিশেষভাবে আমার সম্পর্কেই নাযিল হয়েছে। তবে এ হুকুম সাধারণভাবে তোমাদের সকলের জন্যই। আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) -এর কাছে আমাকে নিয়ে যাওয়া হল। তখন আমার চেহারায় উকুন বেয়ে পড়ছে। তিনি বললেনঃ তোমার কষ্ট বা পীড়া যে পর্যায়ে পৌঁছেছে দেখিতে পাচ্ছি, আমার তো আগে এ ধারণা ছিল না। তুমি কি একটি বক্‌রীর ব্যবস্থা করিতে পারবে? আমি বললাম, না। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি তিন দিন সিয়াম পালন কর অথবা ছয়জন মিসকীনকে অর্ধ সা করে খাওয়াও।

২৭/৮. অধ্যায়ঃ নুসূক হলো একটি বক্‌রী কুরবাণী করা।

১৮১৭. কাব ইবনু উজরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাহাঁর চেহারায় উকুন ঝরে পড়তে দেখে তাঁকে বললেনঃ এই কীটগুলো কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে? তিনি বলিলেন, হাঁ। তখন আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাঁকে মাথা কামিয়ে ফেলার নির্দেশ দিলেন। এ সময় আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) হুদায়বিয়ায় ছিলেন। এখানেই তাঁদের হালাল হয়ে যেতে হইবে এ বিষয়টি তখনও তাঁদের কাছে স্পষ্ট হয়নি। তাঁরা মক্কায় প্রবেশের আশা করছিলেন। তখন আল্লাহ তাআলা ফিদয়ার হুকুম নাযিল করিলেন এবং আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাঁকে এক ফারাক খাদ্যশস্য ছয়জন মিসকীনের মধ্যে দিতে কিংবা একটি বক্‌রী কুরবাণী করিতে অথবা তিন দিন সিয়াম পালনের নির্দেশ দিলেন।

১৮১৮. কাব ইবনু উজরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাঁকে এমতাবস্থায় দেখলেন যে, তাহাঁর চেহারার উপর উকুন পড়ছে। এর বাকি অংশ উপরের হাদীসের মত।

২৭/৯. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ (হজ্জের সময়) স্ত্রী সহবাস নেই । (আল-বাকারা : ১৯৭)

১৮১৯. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এ ঘরের হজ্জ আদায় করিল এবং স্ত্রী সহবাস করিল না এবং অন্যায় আচরণ করিল না, সে প্রত্যাবর্তন করিবে মাতৃগর্ভ হইতে সদ্য প্রসূত শিশুর মত হয়ে।

২৭/১০. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ হজ্জের সময়ে অশ্লীল আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদ নেই। (আল-বাকারা : ১৯৭)

১৮২০. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এ ঘরের (বাইতুল্লাহর) হজ্জ আদায় করিল, অশ্লীলতায় জড়িত হল না এবং আল্লাহর অবাধ্যতা করিল না, সে মায়ের পেট হইতে সদ্য প্রসূত শিশুর ন্যায় (হজ্জ হইতে) প্রত্যাবর্তন করিল।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply