ইসলামে সাজসজ্জা – চুল, দাড়ি, খিযাব, দাঁত, সুগন্ধি ও আংটি
ইসলামে সাজসজ্জা – চুল, দাড়ি, খিযাব, দাঁত, সুগন্ধি ও আংটি
ইসলামে সাজসজ্জা নারি ও পুরুস উভয়ের জন্য >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ৪৯, সাজসজ্জা, হাদীস (৫০৪০-৫২৯৩)
১.পরিচ্ছেদঃ স্বভাবসিদ্ধ সুন্নতসমুহ
২.পরিচ্ছেদঃ মোচ কাঁটা
৩.পরিচ্ছেদঃ মাথা মুড়ানোর অনুমতি
৪.পরিচ্ছেদঃ নারীর মাথার চুল মুণ্ডন করা নিষেধ
৫.পরিচ্ছেদঃ মাথার কিছু অংশ মুণ্ডন করে কিছু অংশে চুল রেখে দেয়া
৬.পরিচ্ছেদঃ গোঁফ কাঁটা
৭.পরিচ্ছেদঃ বিরতি দিয়ে চিরুনী করা
৮.পরিচ্ছেদঃ ডান দিক হইতে চিরুনী করা
৯.পরিচ্ছেদঃ মাথায় লম্বা চুল রাখা
১০.পরিচ্ছেদঃ চুলের ঝুঁটি
১১.পরিচ্ছেদঃ চুল লম্বা করা
১২.পরিচ্ছেদঃ দাড়িতে গিঁট লাগানো
১৩.পরিচ্ছেদঃ সাদা চুল উঠানো নিষেধ
১৪.পরিচ্ছেদঃ খিযাব লাগানোর অনুমতি]
১৫.পরিচ্ছেদঃ কালো খিযাব লাগানো নিষেধ
১৬.পরিচ্ছেদঃ মেহেদী ও কাতাম দ্বারা খিযাব লাগানো
১৭.পরিচ্ছেদঃ হলুদ রঙের খিযাব
১৮.পরিচ্ছেদঃ নারীদের জন্য খিযাব
১৯.পরিচ্ছেদঃ মেহেদীর গন্ধ অপছন্দ
২০.পরিচ্ছেদঃ সাদা চুল উৎপাটন করা
২১.পরিচ্ছেদঃ চুলে জোড়া লাগানো
২২.পরিচ্ছেদঃ চুলে যোজনাকারিনী
২৩.পরিচ্ছেদঃ যে নারী চুল যোজনা করায়
২৪.পরিচ্ছেদঃ দাঁতে ফাঁক করা
২৫.পরিচ্ছেদঃ যে চুলে অন্যের চুল যোজনা করে
২৬.পরিচ্ছেদঃ যে নারী দাঁত ফাঁক করায়
২৭.পরিচ্ছেদঃ দাঁত ঘষে চিকন করার নিষিদ্ধতা
২৮.পরিচ্ছেদঃ সুরমা লাগানো
২৯.পরিচ্ছেদঃ তেল লাগানো
৩০.পরিচ্ছেদঃ যাফরান
৩১.পরিচ্ছেদঃ আম্বর
৩২.পরিচ্ছেদঃ নর ও নারীর সুগন্ধির মধ্যে পার্থ্যক্য
৩৩.পরিচ্ছেদঃ উত্তম সুগন্ধি
৩৪.পরিচ্ছেদঃ যাফরান ও খালুক
৩৫.পরিচ্ছেদঃ নারীদের জন্য কোন সুগন্ধি ব্যবহার করা অনুচিত
৩৬.পরিচ্ছেদঃ মহিলাদের সুগন্ধি ধুয়ে ফেলা
৩৭.পরিচ্ছেদঃ নারী ধূপধুনায় সুবাসিত হইয়া জামাআতে আসবে না
৩৮.পরিচ্ছেদঃ ধোঁয়ার সুগন্ধি
৩৯.পরিচ্ছেদঃ মহিলাদের অলঙ্কার এবং স্বর্ণ পরিধান করে প্রকাশ করা নিন্দনীয়
৪০.পরিচ্ছেদঃ পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম
৪১.পরিচ্ছেদঃ যাহার নাক যখম হইয়াছে, সে সোনার নাক বানাতে পারে কি না
৪২.পরিচ্ছেদঃ পুরুষদের সোনার আংটি ব্যবহারের অনুমতি
৪৩.পরিচ্ছেদঃ সোনার আংটি
৪৪.পরিচ্ছেদঃ ইয়াহইয়া ইবনি আবু কাসীর বর্ণিত হাদীসে তাহাঁর থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে পার্থক্য
৪৫.পরিচ্ছেদঃ উবায়দা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিত হাদীস
৪৬.পরিচ্ছেদঃ আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিত হাদীসে কাতাদা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] – এর বর্ণনাগত পার্থক্য
৪৭.পরিচ্ছেদঃ আংটিতে কি পরিমাণ রূপা ব্যবহার করা যাবে
৪৮.পরিচ্ছেদঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর আংটির বিবরণ
৪৯.পরিচ্ছেদঃ কোন হাতে আংটি পরবে
৫০.পরিচ্ছেদঃ রূপা জড়ানো লোহার আংটি ব্যবহার
৫১.পরিচ্ছেদঃ পিতলের আংটি
৫২.পরিচ্ছেদঃ নাবী [সাঃআঃ]-এর নির্দেশ তোমরা আংটিতে আরবী নকশা করো না
৫৩.পরিচ্ছেদঃ তর্জনী আঙ্গুলে আংটি পরা নিষেধ
৫৪.পরিচ্ছেদঃ পায়খানায় প্রবেশের সময় আংটি খুলে রাখা
৫৫.পরিচ্ছেদঃ ঘন্টা
৫৬..পরিচ্ছেদঃ ফিতরাত বা দ্বীনের সার্বজনীন বিধান
৫৭.পরিচ্ছেদঃ গোঁফ কাটা, দাড়ি লম্বা করা
৫৮.পরিচ্ছেদঃ শিশুদের মাথা মুড়ান
৫৯.পরিচ্ছেদঃ মাথার কিছু অংশ মুড়ান এবং কিছু রেখে দেওয়া নিষেধ
৬০.পরিচ্ছেদঃ বাবরি রাখা
৬১.পরিচ্ছেদঃ চুল বিন্যস্ত রাখা
৬২.পরিচ্ছেদঃ চুল সিঁথি কাটা
৬৩.পরিচ্ছেদঃ চুল আঁচড়ানো
৬৪.পরিচ্ছেদঃ ডানদিক থেকে চুল আঁচড়ানো
৬৫.পরিচ্ছেদঃ খিযাব লাগানোর আদেশ
৬৬.পরিচ্ছেদঃ দাড়ি সোনালী রঙ করা
৬৭.পরিচ্ছেদঃ যাফরান এবং ওয়ারস দ্বারা দাড়ি রঙ করা
৬৮.পরিচ্ছেদঃ চুলে পরচুলা লাগানো
৬৯.পরিচ্ছেদঃ [বেশি দেখানোর ঊদ্দেশ্যে কালো] কাপড়ে চুল জড়ানো
৭০.পরিচ্ছেদঃ পরচুলা ব্যবহারকারিণীর উপর লানত
৭১.পরিচ্ছেদঃ যে পরচুলা লাগিয়ে দেয় এবং যে লাগাতে বলে, তার উপর লানত
৭২.পরিচ্ছেদঃ যে উল্কি আঁকায় এবং যে এঁকে দেয়, তার উপর লানত
৭২.পরিচ্ছেদঃ তার উপর লানত যে নারী [ভ্রু ইত্যাদির] লোম তুলে ফেলে এবং দাঁতে ফাঁক করে
৭৪.পরিচ্ছেদঃ যা আফরানী রঙ লাগানো
৭৫.পরিচ্ছেদঃ সুগন্ধি
৭৬.পরিচ্ছেদঃ উত্তম সুগন্ধি সম্পর্কে
৭৭.পরিচ্ছেদঃ স্বর্ণ পরিধান করা হারাম হওয়া
৭৮.পরিচ্ছেদঃ স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করা নিষেধ
৭৯.পরিচ্ছেদঃ নাবী [সাঃআঃ] -এর আংটি ও এর নক্শা সম্পর্কে
৮০.পরিচ্ছেদঃ আংটি পরার স্থান
৮১.পরিচ্ছেদঃ নগীনার স্থান
৮২.পরিচ্ছেদঃ আংটি ফেলে দেয়া এবং এর ব্যবহার ত্যাগ করা
১.পরিচ্ছেদঃ স্বভাবসিদ্ধ সুন্নতসমুহ
৫০৪০. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দশটি কাজ স্বভাবগত১ঃ মোচ কাঁটা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধৌত করা, দাড়ি লম্বা করা, মিসওয়াক করা, নাকে পানি দেওয়া, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নাভির নীচের পশম কামানো, পেশাবের পর পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা এবং শৌচকর্ম করা। মুসআব ইবনি শায়বা [রাঃআঃ] বলেনঃ আমি দশম কথাটি ভুলে গেছি, সম্ভবত তা হল কুল্লি করা।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস
৫০৪১. তালক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
দশটি কাজ জন্মগত নিয়মাধীনঃ মিসওয়াক করা, মোচ কাঁটা, নখ কাঁটা, আঙ্গুলের গাঁট ও চিপা ধৌত করা, নাভির নিচের পশম মুন্ডানো, নাকে পানি দেওয়া, রাবী বলেন, আমার সন্দেহ হয় যে, তিনি কুল্লি করার কথাও বলে থাকিবেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫০৪২. তালক ইবনি হাবীব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ মিসওয়াক করা, মোচ কাঁটা, কুল্লি করা, নাকে পানি দেওয়া, দাড়ি লম্বা করা, নখ কাঁটা, বগলের চুল উপড়ে ফেলা, খাৎনা করা, নাভির নীচের চুল কামানো, মলদ্বার ধৌত করা।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৫০৪৩. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পাঁচটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্গতঃ খাৎনা করা, নাভির নীচের চুল কাঁটা, বগলের নীচের চুল উপড়ে ফেলা, নখ কাঁটা, মোচ কাঁটা।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৪৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ পাঁচটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্ভুক্তঃ নখ কাঁটা, মোচ কাঁটা, বগলের চুল উঠিয়ে ফেলা, নাভির নীচের চুল কামানো, খাৎনা করা।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২.পরিচ্ছেদঃ মোচ কাঁটা
৫০৪৫. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা মোচ বিলোপ করিবে এবং দাড়ি লম্বা করিবে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৪৬. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা দাড়ি লম্বা করিবে এবং গোঁফ বিলোপ করিবে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৪৭. যায়দ ইবনি আকরাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি মোচ কাটে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩.পরিচ্ছেদঃ মাথা মুড়ানোর অনুমতি
৫০৪৮. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] একটি ছেলেকে দেখলেন যে, তার মাথার কিছু অংশ মুণ্ডিত আর কিছু অংশ অমুণ্ডিত। তিনি এইরূপ করিতে নিষেধ করে বললেনঃ তোমরা হয় পূর্ণ মাথা মুড়াবে অথবা পূর্ণ মাথায় চুল রাখবে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪.পরিচ্ছেদঃ নারীর মাথার চুল মুণ্ডন করা নিষেধ
৫০৪৯. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] নারীদের মাথা মুণ্ডন করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫.পরিচ্ছেদঃ মাথার কিছু অংশ মুণ্ডন করে কিছু অংশে চুল রেখে দেয়া
৫০৫০. আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা আমাকে কাযা করিতে [অর্থাৎ মাথার কিছু অংশ মুণ্ডন করে কিছু অংশে চুল রাখতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার
৫০৫১. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কাযা করিতে [মাথার কিছু অংশ মুণ্ডন করে কিছু অংশে চুল রাখতে] নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬.পরিচ্ছেদঃ গোঁফ কাঁটা
৫০৫২. ওয়ায়িল ইবনি হুজর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি আমার মাথাভরা চুল নিয়ে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট আসলে তিনি বললেনঃ অশুভ! আমি মনে করলাম, তিনি আমাকে বলছেন। আমি সুতরাং চুল কেটে ফেললাম। তারপর আবার তাহাঁর নিকট গেলে তিনি বললেনঃ আমি তো তোমাকে চুল কেটে ফেলতে বলিনি। তবে এটা উত্তম।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৫৩. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর চুল ছিল মধ্যম রকমের, অত্যধিক সোজাও না, আর অধিক কোঁকড়াও না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৫৪. হুমায়দ ইবনি আবদুর রহমান হিমইয়ারী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এমন এক ব্যক্তির সাথে, আমার সাক্ষাত হল, যিনি আবু হুরাইরা [রাঃআঃ]-এর মত চার বছর রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সংসর্গ লাভ করেছিলেন। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে রোজ চিরুনী করিতে নিষেধ করেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭.পরিচ্ছেদঃ বিরতি দিয়ে চিরুনী করা
৫০৫৫. আবদুল্লাহ ইবনি মুগাফফাল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিরতি ছাড়া চিরুনী করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৫৬. হাসান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বিরতি না দিয়েচিরুনী করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৫০৫৭. হাসান এবং মুহাম্মদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তারা বলেনঃ চিরুনী করিতে হইবে বিরতি দিয়ে দিয়ে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৫০৫৮. আবদুল্লাহ্ ইবনি শাকীক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর এক সাহাবী মিসরের শাসক ছিলেন। তাহাঁর এক সঙ্গী তাহাঁর নিকট এসে দেখলো যে, তাহাঁর চুল এলোমেলো রয়েছে। তিনি বললেনঃ আপনার চুল এলোমেলো কেন? অথচ আপনি একজন শাসক? তিনি বললেনঃ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমাদেরকে ইরফাহ করিতে নিষেধ করিয়াছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ ইরফাহ কী? তিনি বললেনঃ প্রতিদিন চিরুনী করা।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৮.পরিচ্ছেদঃ ডান দিক হইতে চিরুনী করা
৫০৫৯. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] ডানদিক হইতে আরম্ভ করাকে পছন্দ করিতেন। তিনি ডান হাতে গ্রহন করিতেন, ডান হাতে দান করিতেন, প্রত্যেক অবস্থায় তিনি ডান দিক হইতে আরম্ভ করা পছন্দ করিতেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৯.পরিচ্ছেদঃ মাথায় লম্বা চুল রাখা
৫০৬০. বারা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি একজোড়া লাল কাপড়ে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] হইতে অধিক সুন্দর আর কাউকে দেখিনি। আর তাহাঁর মাথার চুল কাঁধ পর্যন্ত স্পর্শ করত।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৬১. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর মাথার চুল কানের অর্ধেক পর্যন্ত পড়তো।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৬২. বারা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি একজোড়া কাপড়ে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] অপেক্ষা বেশি সুন্দর কাউকে দেখিনি, তাহাঁর চুল কাঁধের নিকটবর্তী থাকতো।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১০.পরিচ্ছেদঃ চুলের ঝুঁটি
৫০৬৩. হুবায়রাহ ইবনি ইয়ারিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা আমাকে কার মত করে কুরআন পড়তে বল, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট সত্তর-এরও অধিক সূরা পাঠ করেছি। আর যায়দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর মাথায় দুটি চুলের ঝুঁটি ছিল, আর সে ছেলেদের সাথে খেলাধুলা করত [তোমরা আমাকে সেই সেদিনের যায়দের মত করে পড়তে বলছ]?
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৫০৬৪. আবু ওয়ায়ল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ] আমাদের লক্ষ্য করে ভাষণ দিলেন। তাতে তিনি বললেনঃ তোমরা আমাকে যায়দ ইবনি ছাবিত [রাঃআঃ]-এর মত কুরআন পড়তে বলছ কি করে? অথচ আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]–এর মুখ থেকে শুনে সওরেরও অধিক সূরা পাঠ করেছি, অথচ যায়দ [রাঃআঃ] তখন ছেলেদের সাথে চলাফেরা করতো এবং তার মাথায় ছিল দুটি চুলের ঝুঁটি [অর্থাৎ সে তখন নিতান্তই শিশু]।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৬৫. হুসায়ন [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ যখন তিনি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]–এর নিকট মদীনায় আগমন করিলেন, তখন তিনি বললেনঃ তুমি আমার নিকটবর্তী হও। তিনি তার নিকটবর্তী হলে তিনি তাহাঁর মাথার চুল গুচ্ছে হাত বুলালেন এবং আল্লাহর নাম নিয়ে দুআ করিলেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১১.পরিচ্ছেদঃ চুল লম্বা করা
৫০৬৬. ওয়ায়ল ইবনি হুজর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হলাম, তখন আমার মাথায় ছিল লম্বা চুল। তিনি বললেনঃ কুলক্ষণ। আমি মনে করলাম, তিনি আমাকে বলছেন। আমি গিয়ে চুল ছোট করেছিলাম। তিনি বললেনঃ আমি তো তোমাকে বলিনি, তবে এটা উত্তম।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১২.পরিচ্ছেদঃ দাড়িতে গিঁট লাগানো
৫০৬৭. রুয়ায়ফি ইবনি সাবিত [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেন, হে রুয়ায়ফি, হয়তো তুমি আমার পর দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকিবে, তুমি লোকদেরকে বলে দিবেঃ যে ব্যক্তি দাড়িতে গিঁট দিবে বা ধনুকের ছিলা দ্বারা পশুর গলা বাঁধবে বা পশুর গোবর বা হাঁড় দ্বারা ইস্তিঞ্জা করিবে, তাহাঁর সাথে মুহাম্মদ [সাঃআঃ]-এর কোন সম্পর্ক নেই।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৩.পরিচ্ছেদঃ সাদা চুল উঠানো নিষেধ
৫০৬৮. আমর ইবনি শুআয়ব [রাঃআঃ] তাহাঁর পিতার মাধ্যমে তিনি তাহাঁর দাদা থেকে হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] সাদা চুল উঠাতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
১৪.পরিচ্ছেদঃ খিযাব লাগানোর অনুমতি
৫০৬৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ইয়াহূদী ও নাসারা খিযাব লাগায় না, অতএব তোমরা তাহাদের বিরোধীতা করিবে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৭০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] থেকে অনুরুপ বর্ণনা করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫০৭১. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ইয়াহূদী ও নাসারা খিযাব লাগায় না, তোমরা তাহাদের বিরোধীতা করিবে এবং খিজাব লাগাবে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৭২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
[সাঃআঃ] বলেছেনঃ ইয়াহূদী ও নাসারা খিযাব লাগায় না, তোমরা তাহাদের বিরোধীতায় খিযাব লাগাবে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৭৩. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দাড়ি-চুলের শুভ্রতাকে পরিবর্তন কর, আর ইয়াহূদের অনুকরণ করো না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৭৪. যুবায়র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা বার্ধক্যজনিত শুভ্রতাকে পরিবর্তন কর, এবং ইয়াহূদের অনুকরণ করো না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৫.পরিচ্ছেদঃ কালো খিযাব লাগানো নিষেধ
৫০৭৫. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ শেষ যমানায় এমন কতক লোক হইবে, যারা কবুতরের বুকের মত কালো খিযাব লাগাবে, তারা বেহেশ্তের গন্ধও পাবে না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৭৬. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ মক্কা বিজয়ের দিন আবু কুহাফাকে আনা হলে তাহাঁর মাথা সাগামা [সাদা রঙের ফল বিশেষ]-এর মত সাদা ছিল। রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বললেনঃ এই রঙকে কোন কিছু দ্বারা পরিবর্তিত করে দাও কিন্তু কালো রঙ দ্বারা নয়।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৬.পরিচ্ছেদঃ মেহেদী ও কাতাম দ্বারা খিযাব লাগানো
৫০৭৭. আবু যর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা যে সকল বস্তু দ্বারা বার্ধক্যজনিত শুভ্রতাকে পরিবর্তন করে থাক, এর মধ্যে উত্তম হলো মেহেদী এবং কাতাম।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৭৮. আবু যর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা যে সকল বস্তু দ্বারা বার্ধক্যের শুভ্রতাকে পরিবর্তন করে থাক তার মধ্যে মেহেদী এবং কাতাম সর্বোত্তম।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৭৯. আবু যর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ তোমরা যা দিয়ে বার্ধক্যের শুভ্রতাকে পরিবর্তন করে থাক, এর মধ্যে মেহেদী এবং কাতাম উত্তম।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৮০. আবু যর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা যত কিছু দ্বারা বার্ধক্যের শুভ্রতাকে পরিবর্তন করে থাক, তন্মধ্যে উত্তম হল মেহেদী এবং কাতাম।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৮১. আবদুল্লাহ ইবনি বুরায়দা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা যে সকল বস্তু দ্বারা বার্ধক্যের শুভ্রতাকে পরিবর্তন করে থাক, তন্মধ্যে মেহেদী এবং কাতাম সর্বোত্তম।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৫০৮২. আবদুল্লাহ ইবনি বুরায়দা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তার নিকট সংবাদ পোঁছেছে যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যা দ্বারা তোমরা বার্ধক্যের শুভ্রতাকে পরিবর্তন করে থাক, তন্মধ্যে মেহেদী এবং কাতাম উত্তম।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৮৩. আবু রিমসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এবং আমার পিতা নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এমন সময় আসলাম, যখন তিনি তাহাঁর দাড়িতে মেহেদী লাগিয়েছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৮৪
আবু রিমসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট আগমন করে তাহাঁর দাড়ি হলুদ রঙে রঞ্জিত দেখলাম।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৭.পরিচ্ছেদঃ হলুদ রঙের খিযাব
৫০৮৫. যায়দ ইবনি আসলাম [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি ইবনি ওমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে দেখলাম তিনি তাহাঁর দাড়ি খালূক১ নামক সুগন্ধি দ্বারা রঞ্জিত করিয়াছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ হে আবু আবদুর রহমান! আপনি আপনার দাড়ি খালূক দ্বারা রঞ্জিত করিয়াছেন? তিনি বললেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–কে এর দ্বারা তাহাঁর দাড়ি রঞ্জিত করিতে দেখেছি। তাহাঁর নিকট এর চাইতে অধিক কোন রঙ পছন্দনীয় ছিল না। তিনি এর দ্বারা তাহাঁর সকল কাপড় রঙ করিতেন, এমনকি তাহাঁর পাগড়ি।
{১} যাফরান ইত্যাদি দ্বারা প্রস্তুত একটি খোশবু দ্রব্য, এতে লাল ও হলুদ বর্ণের প্রাধান্য থাকে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৮৬. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
কাতাদা [রাঃআঃ] তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি খিজাব লাগিয়েছিলেন? তিনি বললেনঃ না, তাহাঁর খিযাবের প্রয়োজনই হয়নি। তাহাঁর তো কেবল কান সংলগ্ন চুলেই কিছুটা পাক ধরেছিল।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৮৭. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খিযাব লাগাতেন না। তাহাঁর শুভ্রতা কিছু ছিল অধর-সংলগ্ন চুলে, কিছু কানের নিকটে আর কিছু মাথায়।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৮৮. আবদুল্লাহ ইবনি মাসুউদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] দশটি কাজ অপছন্দ করিতেনঃ ১. খালূক ব্যাবহার করা; ২. বার্ধক্যের শুভ্রতাকে পরিবর্তন করা; ৩. লুঙ্গি মাটিতে টেনে হেঁচড়ে চলা; ৪. সোনার আংটি পরিধান করা; ৫. দাবা খেলা; ৬. বেগানা পুরুষের সামনে সৌন্দর্য প্রকাশ করা; ৭. মুআওবিযাত১ ব্যতীত অন্য কিছু দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করা; ৮. তাবিজ ঝুলানো; ৯. অপাত্রে বীর্যপাত করা এবং ১০. শিশুর ক্ষতি করা [অর্থাৎ স্তন্যদানকারিনী স্ত্রী সাথে সহবাস করা। কেননা তখন গর্ভসঞ্চার হলে শিশু দুধ পাবে না]। তবে তিনি একে হারাম করেননি।
{১} সূরা ফালাক ও সূরা নাস।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার
১৮.পরিচ্ছেদঃ নারীদের জন্য খিযাব
৫০৮৯. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
এক নারী একটা পত্র দেওয়ার জন্য রাসূলাল্লাহ [সাঃআঃ]-এর দিকে হাত প্রসারিত করলে, তিনি তাহাঁর হাত সংকুচিত করিলেন। ঐ নারী বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনার দিকে পত্র এগিয়ে দিলাম আর আপনি তা গ্রহণ করিলেন না! তিনি বললেনঃ এটা কি পুরুষের হাত, না নারীর হাত, তা আমি বুঝতে পারিনি। তিনি বললেনঃ যদি তুমি নারী হইতে তা হলে তোমার হাতের নখসমূহ মেহেদী দ্বারা রাঙ্গাতে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস
১৯.পরিচ্ছেদঃ মেহেদীর গন্ধ অপছন্দ
৫০৯০. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আয়েশা [রাঃআঃ]-এর নিকট এক নারী মেহেদীর রঙ সম্মন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ এতে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু আমি অপছন্দ করি। কেননা আমার প্রিয়তম [সাঃআঃ] এর গন্ধ অপছন্দ করিতেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
২০.পরিচ্ছেদঃ সাদা চুল উৎপাটন করা
৫০৯১. আবুল হুসায়ন ইবনি হায়সাম ইবনি শুআয়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি এবং ইয়ামানের মাআফির নামক স্থানের বাসিন্দা আবু আমির নামক আমার এক বন্ধু বায়তুল মুকাদ্দাসে নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে বের হলাম। সেখানে উপদেশদাতা বা বক্তা ছিলেন সাহাবী আবু রায়হানা, যিনি আযদ গোত্রের লোক। আবু হুসায়ন বলেন, আমার সফরসঙ্গী আমার আগে মসজিদে গমন করিলেন, আমি পরে গিয়ে তাঁকে পেলাম এবং তাহাঁর পাশেই বসলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি আবু রায়হানার ওয়ায শুনতে পেয়েছ? আমি বললামঃ না। তিনি বললেনঃ আমি তাঁকে বলিতে শুনিয়াছি যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দশটি জিনিস নিষেধ করেছেনঃ [যুবতী সাজার জন্য] দাঁত ঘষে চিকন করা, শরীরে উল্কি আঁকা, সাদা চুল উৎপাটন করা, বিবস্ত্র অবস্থায় এক চাদরের নিচে এক পুরুষের সঙ্গে অন্য পুরুষের শয়ন করা, অনুরুপ কোন মহিলার অন্য মহিলার সঙ্গে এক চাদরের নিচে শয়ন করা, অনারবদের মত কোন ব্যক্তির পোশাকের নিচের দিকে রেশম ব্যবহার করা অথবা কাঁধে রেশম ব্যবহার করা, দৌড়ে বাজী ধরা, চিতা বাঘের চামড়া ব্যাবহার করা, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ব্যাক্তি ব্যতীত অন্য কারো আংটি ব্যবহার করা।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
২১.পরিচ্ছেদঃ চুলে জোড়া লাগানো
৫০৯২. মুয়াবিয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নিজ চুলে অন্যের চুল যোজনার মিথ্যাচার করা নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৯৩. সাঈদ আল-মাকবুরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি মুয়াবিয়া ইবনি আবু সুফিয়ানকে মিম্বারের উপর দেখেছি, তখন তাহাঁর হাতে নারীদের চুলের একটি গোছা ছিল। তিনি বললেনঃ মুসলমান নারীদের উপর আফসোস! তারা এমন কাজ করে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ যে নারী অন্যের চুল দ্বারা নিজের মাথার চুল বাড়ায়, সে তাতে মিথ্যাকেই সংযোজিত করে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২.পরিচ্ছেদঃ চুলে যোজনাকারিনী
৫০৯৪. আসমা বিনত আবু বকর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] চুল যোজনাকারিনী এবং যোজনা প্রার্থিনী নারীর প্রতি অভিসম্পাত করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৩.পরিচ্ছেদঃ যে নারী চুল যোজনা করায়
৫০৯৫. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] চুলে জোড়াদানকারিনী এবং যাহার চুলে জোড়াদান করা হয় এবং যে শরীরে উল্কি আঁকায় এবং যে উল্কি এঁকে দেয়, এদের সকলের উপর অভিসম্পাত করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৯৬. নাফে [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] চুলে জোড়াদানকারিনী এবং যাহার চুলে জোড়াদান করা হয় এবং যে শরীরে উল্কি আঁকায় এবং যে উল্কি এঁকে দেয়, সকলের প্রতি লানত করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৫০৯৭. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা চুলে জোড়াদানকারিনী এবং যাহার চুলে জোড়া দেওয়া হয় সকলকে লানত করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০৯৮. মাসরুক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
এক নারী আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হইয়া বললোঃ আমার মাথার চুল খুব অল্প। আমি কি আমার মাথার চুলে অন্যের চুল যোজনা করিতে পারি? তিনি বলেনঃ না। ঐ নারী বললোঃ আপনি কি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে শুনেছেন? না এটা আল্লাহর কিতাবে রয়েছে? আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ] বললেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকটও শুনিয়াছি এবং আল্লাহর কিতাবেও আমি এরূপ পেয়েছি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৪.পরিচ্ছেদঃ দাঁতে ফাঁক করা
৫০৯৯. আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ যে নারী উল্কি আঁকায় এবং যে উল্কি এঁকে দেয়, যে নারী ভ্রু ইত্যাদির পশম উপড়ায়, যে নারী দাঁতে ফাঁক করে, এবং যে আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে, রাসূলাল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে লানত করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১০০. ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] বলেছেনঃ যে নারী দাঁতে ফাঁক করে, অতঃপর হাদিসের শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫১০১. আবান ইবনি সুমআ তাহাঁর মা হইতে হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আয়েশা [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে নারী শরীরে উল্কি আঁকায়, যে উল্কি এঁকে দেয়, যে নারী অন্যের চুলে চুল যোজনা করে, যে নারী চুল যোজনা করায়, যে নারী ভ্রু ইত্যাদির পশম উপড়ায় এবং যে উপড়াতে বলে, রাসূলাল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাদের সকলকে [এসব করিতে] নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
২৫.পরিচ্ছেদঃ যে চুলে অন্যের চুল যোজনা করে
৫১০২. আবদুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ যে জেনে শুনে সুদ খায়, সুদ দেয়, সুদের চুক্তি লেখে, যে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নিজ চুলে অন্যের চুল যোজনা করে, যে অন্যকে যোজনা করে দেয়, যে সাদকা দিতে অস্বীকার করে, যে হিজরতের পর মুরতাদ হইয়া মরুতে বসবাস করে, এরা সকলে কিয়ামতের দিন মুহাম্মদ [সাঃআঃ]–এর মুখে অভিশাপপ্রাপ্ত।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১০৩. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সুদখোর, সুদদাতা, এর লেখক, সাদকা দানে অস্বীকারীর উপর অভিসম্পাত করিয়াছেন। আর তিনি বিলাপ করে কাঁদতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১০৪. হারিস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] লানত করিয়াছেন সুদখোর, সুদদাতা, সুদের সাক্ষী, সুদের লেখক এবং যে শরীরে দাগ দেয়, যাকে দাগ দেওয়া হয়। এক ব্যক্তি বলিল, রোগের জন্য ব্যতীত? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আর যে অন্যের জন্য তার স্ত্রীকে হালাল করার উদ্দেশ্য বিবাহ করে, যাহার জন্য হালাল করা হয় এবং যে সাদকা দিতে অস্বীকার করে, তার উপর লানত করিয়াছেন। আর তিনি মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ নিষেধ করিয়াছেন। তিনি বলেননি যে, লানত করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১০৫. শাবী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সুদখোর, সুদদাতা, এর সাক্ষী, এর লেখক এবং যে শরীরে দাগ দেয়, যাকে দাগ দেওয়া হয়, সকলের উপর লানত করিয়াছেন। আর তিনি মৃতের উপর বিলাপ করিতে নিষেধ করিয়াছেন। এক্ষেত্রে বলেননি যে, লানত করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৫১০৬. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উমার [রাঃআঃ]-এর নিকট এক মহিলাকে আনা হলো, যে শরীরে দাগ লাগাতো। তখন তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের আল্লাহর কসম দিয়ে বলছিঃ তোমরা কি এই ব্যাপারে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে কিছু বলিতে শুনেছ? তখন আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] দাঁড়িয়ে বললেনঃ হে আমীরুল মুমিনীন! আমি শুনিয়াছি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ কি শুনেছ? আমি বললামঃ তিনি বলেছেনঃ তোমরা নিজেরাও এরূপ দাগ লাগাবেনা এবং অন্যের দ্বারা দাগ দেয়াবে না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৬.পরিচ্ছেদঃ যে নারী দাঁত ফাঁক করায়
৫১০৭. ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলাল্লাহ [সাঃআঃ]-কে যে সকল নারী ভ্রু ইত্যাদির পশম উপড়ায়ে ফেলে এবং দাঁতে ফাঁক করে, এবং যারা শরীরে দাগ লাগায়, যারা আল্লাহর সৃষ্টিকে বদলিয়ে দেয়, তাহাদের উপর লানত করিতে শুনিয়াছি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৫১০৮. আবদুল্লাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে লানত করিতে শুনিয়াছি, ঐ সকল মহিলার উপর যারা চুল উপড়িয়ে ফেলে, দাঁতে ফাঁক সৃষ্টি করে এবং শরীরে দাগ লাগায়, তারা আল্লাহ র সৃষ্টি পরিবর্তন করে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৫১০৯. আবদুল্লাহ্ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, আল্লাহ লানত করেন ঐ সকল মহিলার উপর, যারা চুল উপড়ে ফেলে, দাঁতে ফাঁক করে এবং শরীরে দাগ লাগায়, এভাবে যারা আল্লাহ র সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
২৭.পরিচ্ছেদঃ দাঁত ঘষে চিকন করার নিষিদ্ধতা
৫১১০. আবুল হুসায়ন হিমইয়ারী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি ও তার এক সাথী আবু রায়হানার সাথে থাকতেন, তার নিকট হইতে ভাল কথা শিখতেন। আবুল হুসায়ন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] একদিন বলেনঃ আমার সাথী একদিন আমার নিকট উপস্থিত হইয়া বললোঃ সে আবু রায়হানাকে বলিতে শুনেছে যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাঁত ঘষে চিকন করা, শরীরে দাগ লাগানো এবং পশম উপড়ে ফেলাকে হারাম করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫১১১. আবু রায়হানা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আমার নিকট সংবাদ পৌছেছে যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাঁত চিকন করা এবং শরীরে দাগ লাগানো নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১১২. আবু রায়হানা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার নিকট সংবাদ পৌছেছে যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দাঁত চিকন করা এবং শরীরে দাগ লাগানো নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৮.পরিচ্ছেদঃ সুরমা লাগানো
৫১১৩. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন ঃ তোমাদের উত্তম সুরমা হলো ইসমিদ নামক সুরমা। কেননা তা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং চুল উৎপন্ন করে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২৯.পরিচ্ছেদঃ তেল লাগানো
৫১১৪. সিমাক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি শুনিয়াছি জাবির ইবনি সামুরা [রাঃআঃ]-কে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর চুল সাদা হওয়ার সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেনঃ যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তেল লাগাতেন তখন শুভ্রতা পরিলক্ষিত হতো না, আর যখন তেল লাগাতেন না, তখন তা দৃষ্টিগোচর হতো।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩০.পরিচ্ছেদঃ যাফরান
৫১১৫. যায়দ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
ইবনি উমার [রাঃআঃ] নিজের কাপড় যাফরান দ্বারা রঙ করিতেন। তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলিলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরূপ রঙ করিতেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩১.পরিচ্ছেদঃ আম্বর
৫১১৬. মুহাম্মদ ইবনি আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আয়েশা [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করলামঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি সুগন্ধি লাগাতেন? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ। তিনি পুরুষদের উপযোগী মিশক এবং আম্বর ব্যবহার করিতেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৩২.পরিচ্ছেদঃ নর ও নারীর সুগন্ধির মধ্যে পার্থ্যক্য
৫১১৭. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিন বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পুরুষদের সুগন্ধি হলো যাহার সুগন্ধি স্পষ্ট কিন্তু রঙ চাপা, আর নারীদের সুগন্ধি হলো যাহার রঙ স্পষ্ট কিন্তু গন্ধ চাপা।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১১৮. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ পুরুষদের সুগন্ধি হলো যাহার গন্ধ স্পষ্ট, কিন্তু রঙ চাপা আর মহিলাদের সুগন্ধি হলো যাহার রঙ স্পষ্ট কিন্তু গন্ধ চাপা।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৩.পরিচ্ছেদঃ উত্তম সুগন্ধি
৫১১৯. আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ বনী ইসরাঈল গোত্রের এক মহিলা একটি সোনার আংটি বানাল এবং তাতে কস্তুরী ভরে দিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ এটা উত্তম সুগন্ধি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৪.পরিচ্ছেদঃ যাফরান ও খালুক
৫১২০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট আসলো, আর তখন তার কাপড় খালূক১ মিশ্রিত ছিল। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে বললেনঃ যাও, তা ধুয়ে ফেল। সে তা ধুয়ে আসলো। তিনি আবার বলিলেনঃ যাও, ধুয়ে ফেল। সে আবার তা ধুয়ে আসল, তিনি বলিলেনঃ যাও ধুয়ে ফেল, আর লাগাবে না।
১} বিভিন্ন উপাদানে তৈরি সুগন্ধি, যাহার বেশি অংশই যাফরান।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫১২১. ইয়ালা ইবনি মুররা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি একবার রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সামনে বের হন, যখন তার গায়ে খালূক লাগানো ছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তোমার কি স্ত্রী আছে? আমি বললামঃ না। তিনি বলিলেনঃ যাও, তা ধুয়ে ফেল; আবারও ধুয়ে ফেল এবং আর কখনও লাগাবে না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫১২২. ইয়ালা ইবনি মুররা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
একবার রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে দেখলেন যাহার কাপড়ে খালূকের চিহ্ন ছিল। তিনি তাকে বলিলেনঃ যাও, ধুয়ে ফেল, আবার ধুয়ে ফেল, আর কখনো লাগাবে না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫১২৩. ইয়ালা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
ইয়ালা [রাঃআঃ] থেকে পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ণিত।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫১২৪. ইয়ালা ইবনি মুররা সাকাফী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে এমন অবস্থায় দেখলেন, যখন আমার গায়ে খালূকের চিহ্ন ছিল। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করিলেনঃ হে ইয়ালা! তোমার কি স্ত্রী আছে? আমি বললাম, না, তিনি বলিলেনঃ এটা ধূয়ে ফেল, আর লাগাবে না; আবার ধুয়ে ফেল, আর লাগাবে না, আবার ধুয়ে ফেল, পুনরায় লাগাবে না। তিনি বলেনঃ আমি তা ধুয়ে ফেললাম, আর লাগালাম না। আবার ধুয়ে ফেললাম, আর লাগালাম না। আবার ধুয়ে ফেললাম, আর লাগালাম না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫১২৫. ইয়ালা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন আমার গায়ে ছিল খালূক। তখন তিনি আমাকে বলিলেনঃ হে ইয়ালা! তোমার কি স্ত্রী আছে? আমি বললাম, না। তিনি বলিলেনঃ যাও এটা ধুয়ে ফেল, আবার ধুয়ে ফেল, আবার ধুয়ে ফেল, আর লাগাবে না। ইয়ালা [রাঃআঃ] বলেন ঃ আমি ফিরে গিয়ে তা ধুয়ে ফেললাম, আবার ধুয়ে ফেললাম, আবার ধুলাম, এরপর আর তা লাগাই নি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৩৫.পরিচ্ছেদঃ নারীদের জন্য কোন সুগন্ধি ব্যবহার করা অনুচিত
৫১২৬. আবু মুসা আশআরী হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে মহিলা সুগন্ধি লাগিয়ে এই উদ্দেশ্যে লোকের মধ্যে গমন করে যে, তারা তার সুগন্ধির ঘ্রাণ পাবে, সে ব্যভিচারিণী।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস
৩৬.পরিচ্ছেদঃ মহিলাদের সুগন্ধি ধুয়ে ফেলা
৫১২৭. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন কোন নারী মসজিদে যাওয়ার জন্য বের হয়, তখন যদি তার গায়ে সুগন্ধি লাগানো থাকে, তবে সে এমনভাবে তা ধুয়ে ফেলবে, যেন সে জানাবাতের গোসল করছে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৭.পরিচ্ছেদঃ নারী ধূপধুনায় সুবাসিত হইয়া জামাআতে আসবে না
৫১২৮. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে নারী ধূপধুনা ব্যবহার করেছে, সে যেন আমাদের সাথে ইশার জামাআতে উপস্থিত না হয়।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১২৯. আবদুল্লাহর স্ত্রী যায়নাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে মহিলা ইশার জামাআতে আসতে চায়, সে যেন সুগন্ধি না ছোঁয়।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৫১৩০. আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদের স্ত্রী যায়নাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে মহিলা ইশার জামাআতে আসতে চায়, সে যেন সুগন্ধি না ছোঁয়।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৩১. যায়নাব সাকাফী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে মহিলা মসজিদে আসতে চায়, সে যেন সুগন্ধির নিকটে না যায়।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৩২. আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদের স্ত্রী যায়নাব সাকাফী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে আদেশ দেন যে, যখন সে ইশার সালাতের জন্য বের হয়, তখন যেন সুগন্ধি স্পর্শ না করে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৩৩. যায়নাব সাকাফী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন কোন নারী ইশার নামাযের জন্য বের হয়, তখন সে যেন সুগন্ধি স্পর্শ না করে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৩৪. যায়নাব সাকফিয়্যা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কোন নারী যখন ইশার নামাযে আসে, তখন সে যেন সুগন্ধি স্পর্শ না করে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৩৮.পরিচ্ছেদঃ ধোঁয়ার সুগন্ধি
৫১৩৫. নাফে [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনি উমার [রাঃআঃ] যখন ধোঁয়া দ্বারা সুবাসিত হইতে চাইতেন, তখন তিনি উলুওয়ার১ ধোঁয়া নিতেন যাহার সাথে অন্য কিছু মিশ্রিত করিতেন না। আর তিনি কোন কোন সময় উলুওয়ার সাথে কর্পূর মিশ্রিত করিতেন এবং বলিতেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এরূপ সুগন্ধি ব্যবহার করিতেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৩৯.পরিচ্ছেদঃ মহিলাদের অলঙ্কার এবং স্বর্ণ পরিধান করে প্রকাশ করা নিন্দনীয়
৫১৩৬. উকবা ইবনি আমির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর ঘরের মহিলাদেরকে অলঙ্কার এবং রেশম পরিধান করিতে নিষেধ করিতেন। তিনি বলিতেনঃ যদি তোমরা বেহেশতের অলঙ্কার এবং রেশম কামনা কর, তবে পৃথিবীতে তা পরিধান করো না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৩৭. হুযায়ফা [রাঃআঃ]-এর বোন থেকে হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে লক্ষ্য করে ভাষণ দিলেন। তাতে বলিলেনঃ হে নারী সমাজ! তোমরা কি রৌপ্য নির্মিত অলঙ্কার বানাতে পার না? দেখ, তোমাদের মধ্যে যে নারীই সোনার অলংকার পরিধান করে [পরপুরুষকে] দেখায়, তাকে এ কারণে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হইবে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫১৩৮. হুযায়ফা [রাঃআঃ]-এর বোন থেকে হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে লক্ষ্য করে ভাষণ দিলেন। তাতে বলিলেনঃ হে নারী সমাজ! তোমরা কি রৌপ্য নির্মিত অলঙ্কার বানাতে পার না? দেখ, তোমাদের মধ্যে যে নারীই স্বর্ণের অলংকার বানিয়ে তা [পরপুরুষকে] দেখায়, এজন্য তাকে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হইবে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫১৩৯. আসমা বিনতে ইয়াযীদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যে নারি সোনার হার ব্যবহার করে, তাহাঁর গলায় কিয়ামতের দিন ঐরূপ আগুনের হার পরিয়ে দেয়া হইবে। আর যে নারী কানে সোনার দুল পরে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাঁকে ঐরূপ আগুনের রিং পরাবেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫১৪০. রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মুক্ত ক্রীতদাস সাওবান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ফাতিমা বিনতে হুবায়রা [রাঃআঃ] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হলেন, তখন তার হাতে ছিল একটি বড় আংটি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার হাতে আঘাত করিতে আরম্ভ করিলেন। তিনি হযরত রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কন্যা ফাতিমার কাছে গেলেন এবং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার সাথে যে ব্যবহার করেন, তার উল্লেখ করিলেন। তা শুনে হযরত ফাতিমা [রাঃআঃ] তার গলা থেকে স্বর্ণের হার খুলে বললেনঃ আবুল হাসান [আলী] ইহা আমাকে হাদিয়া দিয়েছেন। এমতাবস্থায় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আসলেন। তখন ফাতিমা [রাঃআঃ]-এর হার ছিল তাহাঁর হাতে। তিনি বললেনঃ ফাতিমা! তুমি কি পছন্দ কর যে, লোক বলাবলি করিবে যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কন্যা, অথচ তাহাঁর হাতে আগুনের হার রয়েছে। অতঃপর তিনি বের হইয়া গেলেন, আর বসলেন না। ফাতিমা [রাঃআঃ] তখনই হারখানা খুলে বাজারে পাঠিয়ে তা বিক্রি করালেন এবং তা দ্বারা একজন ক্রীতদাস ক্রয় করে আযাদ করে দিলেন। এ খবর শুনে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আল্লাহ র শোকর, যিনি ফাতিমাকে দোযখ হইতে রক্ষা করিলেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৪১. সাওবান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হুবায়রার কন্যা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হইয়াছিলেন, তখন তাহাঁর হাতে ছিল একটি বড় আংটি বাকী অংশ পূর্ববৎ।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫১৪২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম, এমন সময় এক মহিলা তাহাঁর নিকট এসে বললোঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! আমার নিকট দুইটি সোনার কাঁকন [রয়েছে]। তিনি বললেনঃ দুইটি আগুনের কাঁকন। সেই মহিলা বললেনঃ একটি সোনার হার [রয়েছে]। তিনি বললেনঃ আগুনের একটি হার। সেই মহিলা বললোঃ সোনার দুইটি দুল [রয়েছে]। তিনি বললেনঃ আগুনের দুইটি দুল। বর্ণনাকারী বলেনঃ ঐ মহিলার পরিধানে দুইটি কাঁকন ছিল। সে তা খুলে দূরে নিক্ষেপ করিল এবং বললোঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! যদি মহিলারা নিজেদের স্বামীর সামনে নিজেকে সাজিয়ে না রাখে, তবে তাঁরা তাহাদের নিকট অপ্রিয় হইয়া পড়ে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমাদের মহিলারা কি রূপার বালা বানাতে পারে না? যাকে পরে আম্বর অথবা যাফরান দ্বারা হলুদ বর্ণের করে নেয়।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫১৪৩. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে সোনার খাড়ু পায়ে পরা অবস্থায় দেখে বললেনঃ আমি তোমাকে এর চেয়ে উত্তম জিনিসের খবর দেব না? তুমি এটা খুলে ফেল এবং রূপার খাড়ু বানিয়ে নাও এবং যাফরান দ্বারা রঙ করে নাও, তা হলে ঐ দুটি এ দুটি অপেক্ষা উত্তম হইবে। আল্লাহ সম্যক অবগত।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪০.পরিচ্ছেদঃ পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম
৫১৪৪. আলী ইবনি আবু তালিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কিছু রেশমী কাপড় ডান হাতে নিলেন এবং কিছু স্বর্ণ বাম হাতে নিলেন, এরপর বললেনঃ এই দুইটি আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৪৫. আলী ইবনি আবু তালিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর ডান হাতে কিছু রেশমী কাপড় এবং বাম হাতে স্বর্ণ নিয়ে বললেনঃ আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য এই দুটি বস্তু হারাম।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৪৬. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] কিছু রেশমী কাপড় তাহাঁর ডান হাতে নিলেন এবং কিছু স্বর্ণ তাহাঁর বাম হাতে নিলেন। তারপর বললেনঃ আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য এই দুটি বস্তু হারাম।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৪৭. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর ডান হাতে স্বর্ণ এবং বাম হাতে রেশম নিয়ে বললেনঃ এ দুটি আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য হারাম।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৪৮. আবু মূসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ স্বর্ণ এবং রেশম আমার উম্মতের নারীদের জন্য হালাল এবং পুরুষদের জন্য হারাম করা হইয়াছে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৪৯. মুআবিয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রেশমী কাপড় এবং সোনা পরিধান করিতে নিষেধ করিয়াছেন। তবে সামান্য কিছু [দাঁতে] ব্যবহার করিতে পারে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৫০. মুআবিয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সোনা ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন, তবে [দাঁত ইত্যাদিতে] সামান্য পরিমান হলে ক্ষতি নেই এবং রেশমী গদীর উপর বসতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৫১. আবু শায়খ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি মুআবিয়া [রাঃআঃ]-কে মহানাবী [সাঃআঃ]-এর একদল সাহাবী পরিবৃত অবস্থায় বলিতে শুনেছেনঃ আপনারা কি জানেন যে, নাবী [সাঃআঃ] সোনা পরতে নিষেধ করিয়াছেন, তবে সামান্য পরিমান হলে ক্ষতি নেই? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ নিশ্চয়ই।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৫২. আবু শায়খ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুআবিয়া [রাঃআঃ]-এর এক হজ্জের সময় আমরা তাহাঁর সাথে ছিলাম। তিনি একদল সাহাবীকে একত্রিত করিলেন এবং তাহাদেরকে বললেনঃ আপনারা কি জানেননা যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সোনা অতি সামান্য পরিমান ব্যতীত পরতে নিষেধ করিয়াছেন? তারা বললেনঃ হ্যাঁ নিশ্চয়ই।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৫৩. আবু হিম্মান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
যে বছর মুআবিয়া [রাঃআঃ] হজ্জ করেন, তিনি নাবী [সাঃআঃ]-এর কয়েকজন সাহাবীকে কাবা শরীফে একত্রিত করেন, এবং তাঁদেরকে বললেনঃ আমি আপনাদেরকে আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছিঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি সোনা পরতে নিষেধ করিয়াছেন? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমিও এ কথার সাক্ষ্য দিচ্ছি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৫৪. হিম্মান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
যে বছর মুআবিয়া [রাঃআঃ] হজ্জ করেন। তিনি নাবী [সাঃআঃ]-এর কয়েকজন সাহাবীকে কাবা শরীফে একত্র করেন, এবং তাঁদের বলেনঃ আমি আপনাদেরকে আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছিঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি সোনা পরতে নিষেধ করিয়াছেন? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমিও একথার সাক্ষ্য দিচ্ছি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৫৫. হিম্মান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুআবিয়া [রাঃআঃ] একবার হজ্জে গমন করিলেন, তিনি আনসারদের একদলকে কাবায় একত্র করে বললেনঃ আমি আপনাদেরকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছিঃ আপনারা কি শুনেন নি যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সোনা ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন। তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৫৬. হিম্মান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুআবিয়া [রাঃআঃ] হজ্জে গমন করে আনসারদের একদলকে কাবায় ডাকলেন। তারপর বললেনঃ আমি আপনাদেরকে আল্লাহর শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি আপনারা কি শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সোনা ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৫৭. ইবনি হিম্মান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুআবিয়া [রাঃআঃ] হজ্জ করিতে গিয়ে আনসারদের একদলকে কাবার ভেতরে ডাকলেন। তারপর বললেনঃ আপনারা কি শুনেছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সোনা ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৫৮. হিম্মান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
মুআবিয়া [রাঃআঃ] হজ্জ করিতে গিয়ে আনসারদের একদল তাকে কাবার ভেতর ডাকলেন। তারপর বললেনঃ আপনারা কি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–কে স্বর্ণ ব্যবহার নিষেধ করিতে শোনেন নি? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। তিনি বললেনঃ আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৫৯. আবুল শায়খ হুনায়ী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মুআবিয়া [রাঃআঃ]-কে তাহাঁর চারদিকে আনসার ও মুজাহির পরিবেষ্টিত অবস্থায় তাঁদেরকে বলিতে শুনেছিঃ আপনারা কি জানেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রেশমী পরতে নিষেধ করিয়াছেন? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। তিনি বললেনঃ আর তিনি সোনা পরতেও নিষেধ করিয়াছেন, তবে সামান্য পরিমাণ ব্যতীত? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৬০. আবুশ শায়খ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনি উমারকে বলিতে শুনেছিঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] স্বর্ণ পরতে নিষেধ করিয়াছেন, তবে সামান্য পরিমাণ হলে ক্ষতি নেই।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪১.পরিচ্ছেদঃ যাহার নাক যখম হইয়াছে, সে সোনার নাক বানাতে পারে কি না
৫১৬১. আরফাজাহ ইবনি আসআদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
জাহিলী যুগে কুলাবের যুদ্ধে তাহাঁর নাক যখম হইয়া যায়। ফলে তিনি রুপার একটি নাক বানিয়ে নেন, কিন্তু তাতে নাকে পচন ধরে। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে সোনার নাক বানাতে আদেশ দেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস
৫১৬২. আরফাজাহ ইবনি আসআদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
জাহিলী যুগে কুলাব যুদ্ধে তাহাঁর নাক যখম হইয়া যায়। তখন তিনি রুপার নাক বানিয়ে নেন। কিন্তু তাতে তাহাঁর নাকে পচন ধরে। ফলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে সোনার নাক বানিয়ে নিতে বলেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস
৪২.পরিচ্ছেদঃ পুরুষদের সোনার আংটি ব্যবহারের অনুমতি
৫১৬৩. সাঈদ ইবনি মুসাইয়্যাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
উমার [রাঃআঃ] সুহায়ব [রাঃআঃ]–কে স্বর্ণের আংটি পরতে দেখে বললেনঃ কী ব্যাপার, আমি যে তোমার পরিধানে সোনার আংটি দেখছি? তিনি বললেনঃ আপনার চেয়ে উত্তম ব্যক্তি এটা দেখেছেন, কিন্তু তিনি কিছু বলেন নি। উমার [রাঃআঃ] বললেনঃ তিনি কে? সুহায়ব [রাঃআঃ] বললেনঃ তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]।১
{১} সম্ভবত সোনার আংটি ব্যবহার করা সকলের জন্য বৈধ ছিল। পরবর্তীতে তা মানসূখ বা বাতিল হইয়াছে। [সম্পাদক]
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৪৩.পরিচ্ছেদঃ সোনার আংটি
৫১৬৪. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি সোনার আংটি বানিয়ে পরলেন, পরে লোকেরাও সোনার আংটি বানালো। তিনি বললেনঃ আমি এই আংটি পরতাম কিন্তু আমি আর তা কখনও পরবো না। এই বলে তিনি সেটি ফেলে দিলেন। তখন লোক সকল তাহাদের [সোনার] আংটি ফেলে দিল।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৬৫. হুবায়রা ইবনি বারীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আলী [রাঃআঃ] বলেছেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে সোনার আংটি ও রেশমী কাপড় পরতে এবং লাল রেশমী গদিতে বসতে, আর যব এবং গমের শরাব পান করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৬৬. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে সোনার আংটি পরতে, রেশমী কাপড় ব্যবহার করিতে এবং লাল রেশমী গদিতে বসতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৬৭. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সোনার আংটি পরতে, রেশমি কাপড় পরতে, লাল রেশমী গদিতে বসতে এবং যব ও গমের শরাব পান করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৬৮. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে সোনার আংটি পরতে ও রেশমি কাপড় পরতে, লাল রেশমী গদিতে বসতে, আর যব ও গমের শরাব পান করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৬৯. সাসাআ ইবনি সুহান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আলী [রাঃআঃ]–কে বললামঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আপনাকে যা নিষেধ করিয়াছেন, আপনি তা আমাদেরকে বলুন। তিনি বললেনঃ তিনি আমাকে দুব্বা১, হাস্তাম২, সোনার আংটি, রেশমী কাপড় এবং লালা রেশমী গদি ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
{১} দুব্বাঃ লাউয়ের খোল। {২} হাস্তাম/হানতামঃ সবুজ কলস।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৭০. মালিক ইবনি উমারর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন সাসাআ ইবনি সুহান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আলী [রাঃআঃ]–এর নিকট এসে বললেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আপনাকে যে সকল বস্তু হইতে নিষেধ করিয়াছেন, আপনি আমাদেরকে সে সকল বস্তু হইতে নিষেধ করুন। তিনি বললেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে নিষেধ করিয়াছেন, দুব্বা, হাস্তাম ও নকীর১ নামক পাত্র ব্যবহার করিতে, যব এবং গমের শরাব পান করিতে এবং সোনার আংটি, রেশমি কাপড় এবং লাল গদী ব্যবহার করিতে।
{১} নাকীরঃ কাঠের তৈরি পাত্রবিশেষ। জাহিলী যুগে এসব পাত্রে মদ তৈরি করা হতো বিধায় মদ হারাম করার সময় এগুলো ব্যাবহারও হারাম করা হইয়াছিল। পরে অবশ্য এগুলো ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হইয়াছে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৭১. মালিক ইবনি উমায়র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাসাআ ইবনি সুহান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আলী [রাঃআঃ]–কে বললেনঃ হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি আমাদেরকে ঐ সকল বস্তু হইতে নিষেধ করুন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আপনাকে যা হইতে নিষেধ করিয়াছেন। তিনি বললেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে নিষেধ করিয়াছেন দুব্বা ও হাস্তাম ব্যবহার করিতে এবং যব ও গমের নাবীয পান করিতে, সোনার আংটি, রেশমী কাপড় এবং লাল রেশমী গদি ব্যাবহার করিতে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৭২. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার প্রিয় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে নিষেধ করিয়াছেন, তিনটি বস্তু হইতে; আমি এ বলি না যে, তিনি অন্যান্য লোকদেরকেও নিষেধ করিয়াছেন। তিনি আমাকে নিষেধ করেছেনঃ সোনার আংটি, রেশমী কাপড় এবং লাল কুসুম রঙের পোশাক ব্যাবহার করিতে। আর রুকু এবং সিজদা অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করিতে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৭৩. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে নিষেধ করিয়াছেন, আমি বলি না যে তিনি তোমাকেরদেকও নিষেধ করিয়াছেন, সোনার আংটি বানাতে, রেশমী কাপড় পরতে, লাল কুসুম রঙের কাপড় করিতে এবং রুকুতে কুরআন পরতে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৭৪. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে নিষেধ করিয়াছেন রুকু অবস্থায় কুরআন পাঠ করিতে; সোনার আংটি ও কুসুম রঙের কাপড় পরতে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৭৫. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে নিষেধ করিয়াছেন, আমি বলি না যে, তিনি তোমাকেরদেকও নিষেধ করিয়াছেন। তিনি আমাকে নিষেধ করেছেনঃ রুকু অবস্থায় কুরআন পাঠ করিতে ও সোনার ও কুসুম রঙের কাপড় ব্যবহার করিতে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৫১৭৬. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে নিষেধ করিয়াছেন সোনার আংটি তৈরি করিতে, কুসুম রঙের কাপড় পরতে, রেশমী কাপড় পরতে এবং রুকুতে কুরআন পড়তে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৭৭. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে রেশমী কাপড়, কুসুম রঙের কাপড় এবং সোনার আংটি ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৭৮. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে চার বস্তু থেকে–সোনার আংটি ব্যবহার করিতে, রেশমী কাপড় পরতে, রুকু অবস্থায় কুরআন পরতে এবং কুসুম রঙের কাপড় পরতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৭৯. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে কুসুম রঙের কাপড়, রেশমী কাপড় এবং সোনার আংটি ব্যবহার করিতে, আর রুকু অবস্থায় কুরআন পড়তে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪৪.পরিচ্ছেদঃ ইয়াহইয়া ইবনি আবু কাসীর বর্ণিত হাদীসে তাহাঁর থেকে বর্ণনাকারীদের মধ্যে পার্থক্য
৫১৮০. হারব ইবনি শাদ্দাদ ইয়াহইয়া হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আমর ইবনি সাঈদ ফাদাকী থেকে, তিনি নাফি থেকে, তিনি ইবনি হুনায়ন থেকে এবং তিনি হযরত আলী [রাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে কুসুম রঙের কাপড়, সোনার আংটি ও রেশমী কাপড় ব্যবহার করিতে এবং রুকু অবস্থায় কুরআন পড়তে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৮১. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুসুম রঙের লাল কাপড়, রেশমী কাপড় এবং রুকু অবস্থায় কুরআন পড়তে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৮২. আবু আমর যাওয়াঈ ইয়াহইয়া হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আলী [রাঃআঃ] থেকে। তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে নিষেধ করিয়াছেন এভাবে হাদিসের শেষ পর্যন্ত বর্ণিত হইয়াছে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৪৫.পরিচ্ছেদঃ উবায়দা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিত হাদীস
৫১৮৩. উবায়দা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আলী [রাঃআঃ] থেকে তিনি বলেনঃ নাবী [সাঃআঃ] আমাকে রেশমী কাপড়, সোনার আংটি ব্যবহার করিতে এবং রুকু অবস্থায় কুরআন পড়তে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৮৪. উবায়দা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আলী [রাঃআঃ] থেকে হইতে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] লাল রেশমী গদী ও রেশমী কাপড় পরিধান করিতে এবং সোনার আংটি ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাওকুফ
৫১৮৫. উবায়দা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] লাল রেশমী গদী ও সোনার আংটি ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
৪৬.পরিচ্ছেদঃ আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণিত হাদীসে কাতাদা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] – এর বর্ণনাগত পার্থক্য
৫১৮৬. হাজ্জাজ ইবনি হাজ্জাজ কাতাদা হইতে তিনি আবদুল মালিক ইবনি উবায়দ হইতে, তিনি বাশীর ইবনি নাহীক হইতে এবং তিনি আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] থেকে হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে সোনার আংটি পরতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৮৭. ইমরান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রেশমী কাপড় পরতে, সোনার আংটি ও হাস্তাম পাত্র ব্যাবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৮৮. আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাজরানের এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট আসলো, তার হাতে ছিল সোনার আংটি। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বলিলেনঃ তুমি আমার নিকট এসেছ, অথচ তোমার হাতে রয়েছে আগুনের অঙ্গার।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৮৯. বারা ইবনি আযিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এক ব্যক্তি সোনার আংটি হাতে পরে বসে ছিল। আর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর হাতে ছিল একটি ছড়ি। তিনি ঐ ছড়ি দিয়ে তার আঙ্গুলে আঘাত করিলেন। তখন ঐ ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! আমি কি অপরাধ করেছি? তিনি বলিলেনঃ শোন, তোমার আঙ্গুল হইতে ইহা খুলে ফেল। ঐ ব্যক্তি তা খুলে ফেলে দিল। পরে তিনি তাকে দেখে জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তোমার আংটি কোথায়? লোকটি বললোঃ আমি তা ফেলে দিয়েছি। তিনি বলিলেনঃ আমি তোমাকে তা ফেলে দিতে বলিনি। আমি বলেছিলাম, তুমি তা বিক্রী করে নিজের কাজে লাগাও।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫১৯০. আবু সালাবা খুশানী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একবার তার হাতে সোনার আংটি দেখলেন। তখন তিনি তাহাঁর লাঠি দ্বারা তাতে আঘাত করিতে লাগলেন। যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অন্য মনস্ক হলেন, তখন তিনি তা ফেলে দিলেন। এরপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ আমি তোমাকে কষ্ট দিলাম এবং তোমার ক্ষতি করলাম।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৯১. আবু ইদরিস খাওলানী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাহাবীদের একজন সোনার আংটি পরলেন-তারপর অনুরূপ বর্ণিত।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫১৯. আবু ইদরিস খাওলানী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ব্যক্তির হাতে সোনার আংটি দেখলেন। তারপর পূর্বের অনুরূপ।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৫১৯৩. আবু ইদরিস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] এক ব্যক্তির হাতে সোনার আংটি দেখে তাহাঁর হাতের লাঠি দিয়ে তার আঙ্গুলে আঘাত করিলেন। ফলে সে তা খুলে ফেলে দিল।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৫১৯৪. ইবনি শিহাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ], অতঃপর তিনি পূর্বের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তাহাঁর বর্ণনা মুরসাল।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
৪৭.পরিচ্ছেদঃ আংটিতে কি পরিমাণ রূপা ব্যবহার করা যাবে
৫১৯৫. বুরায়দা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এমন এক ব্যক্তি আসলো, যাহার হাতে ছিল একটি লোহার আংটি। তিনি বলিলেনঃ তোমার হাতে দোযখীদের পোষাক দেখছি কেন? তখন সে ব্যক্তি তা খুলে ফেলে দিল। দ্বিতীয়বার যখন সে আসলো, তখন তার হাতে ছিল পিতলের আংটি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ আমি তোমার থেকে মূর্তির গন্ধ পাচ্ছি কেন? তখন সে তা ফেলে দিল এবং বললোঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! তা কি দিয়ে তৈরী করবো? তিনি বলিলেনঃ রূপা দিয়ে, আর তা এক মিসকাল পূর্ণ করিবেনা [অর্থাৎ যেন সাড়ে চারি মাষা হইতে কম হয়।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৪৮.পরিচ্ছেদঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর আংটির বিবরণ
৫১৯৬. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] রূপার একটি আংটি তৈরী করান যাহার নগীনা ছিল হাবশী পাথরের, আর তাতে মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ অঙ্কিত ছিল।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৯৭. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর আংটি ছিল রৌপ্য নির্মিত। তিনি তা ডান হাতে পরতেন, এর নগীনা ছিল হাবশী পাথরের। তিনি তার নগীনা হাতের তালুর দিকে রাখতেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৫১৯৮. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর আংটি ছিল রূপার এবং তাহাঁর নগীনাও ছিল রূপার।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫১৯৯. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ]-এর আংটি ছিল রূপার নির্মিত এবং এর নগীনাও ছিল রূপার।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২০০. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর আংটি ছিল রূপার এবং নগীনাও ছিল রূপার।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২০১. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রোমের বাদশাহর নিকট পত্র লিখতে মনস্থ করিলেন, লোকেরা তাহাঁর নিকট বলিলেনঃ রোমের লোকেরা সিলমোহর ব্যতীত কোন পত্র পাঠ করে না। এরপর তিনি রূপার একটি আংটি বানিয়ে নেন। যেন আমি এখনও তার হাতে তাহাঁর শুভ্রতা দেখিতে পাচ্ছি। তাতে মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ অঙ্কিত ছিল।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২০২. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইশার সালাতে অর্ধরাত্রি পর্যন্ত দেরী করিলেন, পরে তিনি বের হইয়া আমাদের সাথে নামাজ আদায় করিলেন। আমি যেন এখনও তাহাঁর হাতে রৌপ্য নির্মিত আংটির শুভ্রতা অবলোকন করছি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪৯.পরিচ্ছেদঃ কোন হাতে আংটি পরবে
৫২০৩. আবু সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর ডান হাতে আংটি পরতেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২০৪. আবদুল্লাহ্ইবনি জাফর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর ডান হাতে আংটি পরতেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫০.পরিচ্ছেদঃ রূপা জড়ানো লোহার আংটি ব্যবহার
৫২০৫. মুআয়কীব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলূল্লাহ [সাঃআঃ]-এর আংটি ছিল লোহার, যাতে রূপা জড়ানো ছিল। তিনি বলেনঃ কোন সময় তা আমার হাতেও থাকতো। মুআয়কীব [রাঃআঃ] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর আংটির রক্ষক ছিলেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫১.পরিচ্ছেদঃ পিতলের আংটি
৫২০৬. আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বাহরায়ন থেকে এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট উপস্থিত হলো। সে সালাম করলে, তিনি তার সালামের জবাব দিলেন না। তার হাতে সোনার আংটি ছিল এবং পরনে ছিল রেশমী জুব্বা। সে উভয়টি খুলে ফেলল। তারপর এসে সালাম করিল। এবার তিনি তার সালামের জবাব দিলেন। সে ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রসূলুল্লাহ! আমি এই মাত্র আপনার নিকট উপস্থিত হইয়াছিলাম, কিন্তু আপনি আমার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেননি। তিনি বলিলেনঃ তখন তোমার হাতে ছিল একটি অঙ্গার। সে বললোঃ এখন আমি অনেক অঙ্গার এনেছি। তিনি বলিলেনঃ তুমি যা এনেছ তা আমাদের নিকট হাররার পাথরখন্ড হইতে উত্তম নয়। তবে হ্যাঁ, তা পার্থিব সম্পদ বটে। সে বললোঃ তবে আমি এ দিয়ে কি আংটি বানাব? তিনি বলিলেনঃ লোহা, রূপা বা পিতলের রিং বানিয়ে নেবে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫২০৭. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একবার বের হলে দেখা গেল, তাহাঁর হাতে একটি রূপার আংটি রয়েছে। তিনি বলিলেনঃ যাহার ইচ্ছা হয়, সে এইরূপ আংটি বানাতে পারে; কিন্তু এর উপর যে নকশা করা আছে, এরূপ নকশা যেন না করে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২০৮. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি আংটি তৈরী করান এবং তাতে কিছু নকশা করান। এরপর তিনি বলিলেনঃ আমি আংটি বানিয়ে তাতে নকশা করিয়েছি। তোমাদের কেউ যেন ঐরূপ নকশা না করায়। আনাস [রাঃআঃ] বলেন, আমি যেন তাহাঁর হাতে তার শুভ্রতা এখনও দেখিতে পাচ্ছি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২.পরিচ্ছেদঃ নাবী [সাঃআঃ]-এর নির্দেশ তোমরা আংটিতে আরবী নকশা করো না
৫২০৯. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা মুশরিকদের আগুন হইতে আলো গ্রহণ করিবেনা আর তোমরা তোমাদের আংটিতে আরবী নকশা করিবে না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫৩.পরিচ্ছেদঃ তর্জনী আঙ্গুলে আংটি পরা নিষেধ
৫২১০. আবু বুরদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আলী [রাঃআঃ] বলেছেনঃ আমাকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলার নিকট হিদায়ত এবং সঠিকভাবে কার্য নির্বাহের তওফীক কামনা কর। আর তিনি আমাকে নিষেধ করিয়াছেন এই-এই আঙ্গুলে আংটি পরতে। এরপর তিনি ইঙ্গিত করিলেন, তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলের দিকে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২১১. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এই-এই আঙ্গুলে আংটি পরতে নিষেধ করিয়াছেন। অর্থাৎ তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২১২. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলেছেনঃ বল, হে আল্লাহ! আমাকে হিদায়ত দান কর এবং আমাকে সঠিকভাবে কার্য নির্বাহের তওফিক দাও। আর তিনি আমাকে এই-এই আঙ্গুলে আংটি পরতে নিষেধ করিয়াছেন। তিনি ইঙ্গিত করিলেন, তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলের প্রতি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৪.পরিচ্ছেদঃ পায়খানায় প্রবেশের সময় আংটি খুলে রাখা
৫২১৩. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন পায়খানায় প্রবেশ করিতেন, তখন তাহাঁর আংটি খুলে রাখতেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫২১৪. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সোনার আংটি বানালেন এবং তাহাঁর নগীনার দিক হাতের তালুর দিকে রাখলেন। পরে লোকেরাও সোনার আংটি বানালে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর আংটি খুলে ফেলে দিলেন এবং বলিলেনঃ আমি এটা আর কখনও পরবো না। তখন লোকজন তাহাদের আংটি খুলে ফেললো।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২১৫. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] সোনার আংটি বানিয়ে এর নগীনা হাতের তালুর দিকে রাখলেন। লোকজনও এরূপ আংটি বানালো। নাবী [সাঃআঃ] তাহাঁর আংটি খুলে ফেলে দিয়ে বলিলেনঃ আমি তা আর কখনও পরবো না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২১৬. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সোনার আংটি বানিয়েছিলেন, পরে তা ফেলে দিয়ে রূপার আংটি পরলেন, যাতে তিনি “মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ” নকশা করিয়ে নেন। তিনি বলেনঃ আমার এই আংটিতে যে নকশা রয়েছে, এরূপ নকশা কারো জন্য করানো উচিত নয়। এরপর তিনি তার নগীনা তাহাঁর হাতের তালুর দিকে রাখতেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২১৭. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তিন দিন ধরে একটি সোনার আংটি পরলেন, তাহাঁর সাহাবীগণ তা দেখে তাঁরাও সোনার আংটি বানানো আরম্ভ করিলেন। এরপর তিনি তাহাঁর আংটি খুলে ফেলে দিলেন, পরে তার কি হইয়াছে আমি জানি না। এরপর তিনি একটি রূপার আংটি বানাতে বলিলেন এবং তাতে “মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ” নকশা করিতেও আদেশ দিলেন। এই আংটি তাহাঁর ইন্তেকাল পর্যন্ত হাতে ছিল। পরে আবু বকর [রাঃআঃ]-এর হাতে ছিল তাহাঁর মৃত্যু পর্যন্ত। এরপর উমার [রাঃআঃ]-এর হাতে ছিল তাহাঁর মৃত্যু পর্যন্ত। পরে এই আংটি উসমান [রাঃআঃ]-এর হাতে ছয় বৎসর পর্যন্ত ছিল। যখন তাহাঁর সময় বহু চিঠিপত্র লেখার প্রয়োজন হলো, তখন তিনি তা এক আনসার সাহাবীকে দেন যা দ্বারা সিলমোহর করা হতো। একদিন ঐ ব্যক্তি উসমান [রাঃআঃ]-এর একটি কূপের নিকট গমন করলে তা কূপে পড়ে যায়; বহু তালাশের পরও তা পাওয়া যায়নি। পরে উসমান [রাঃআঃ] অনুরূপ আর একটি আংটি তৈরীর আদেশ দেন, যাতে “মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ” অঙ্কিত ছিল।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৫২১৮. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি সোনার আংটি পরলেন, আর এর নগীনা তাহাঁর হাতের তালুর দিকে রাখলেন। পরে অন্য লোকজন সোনার আংটি তৈরি করে পরতে লাগলো। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর আংটি ফেলে দিলেন। ফলে তারাও তাহাদের আংটি ফেলে দিল, পরে তিনি রূপার একটি আংটি বানিয়ে নেন এবং তা দিয়ে সিল মোহর করাতেন, তিনি তা পরতেন না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৫.পরিচ্ছেদঃ ঘন্টা
৫২১৯. আবু বকর ইবনি আবু শায়খ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সালিম [রাঃআঃ]-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম, এমন সময় উম্মুল বনীনের কাফেলা আমাদের পাশ থেকে বের হলো। তাহাদের সাথে ছিল অনেক ঘন্টা। তখন সালিম [রাঃআঃ] নাফের নিকট তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করিলেন যে, ফেরেশতা ঐ কাফেলার সাথে থাকেন না, যাহার সাথে ঘন্টা থাকে। আর এদের সাথে তো বহু ঘন্টা রয়েছে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২২০. আবু বকর ইবনি মূসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সালিম ইবনি আবদুল্লাহ্র সাথে ছিলাম। তিনি তাহাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি তাহাঁর পিতার সুত্রে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, যে কাফেলার সাথে ঘন্টা থাকে, ফেরেশতা তাহাদের সাথে থাকে না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২২১. সালিম তাহাঁর পিতার মাধ্যমে বর্ণনা করেন হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, যে কাফেলার সাথে ঘন্টা থাকে, ঐ কাফেলায় ফেরেশতা থাকে না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২২২. উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছিঃ যে ঘরে জুলজুল বা ঘন্টা থাকে, ঐ ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না। আর ফেরেশতা ঐ সকল কাফেলার সাথেও থাকে না, যাদের মধ্যে ঘন্টা থাকে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস
৫২২৩. আবুল আহওয়াস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট বসা ছিলাম, তখন তিনি জরাজীর্ণ কাপড় দেখলেন। তিনি বলিলেনঃ তোমার কি ধন-সম্পদ আছে? আমি বললামঃ হ্যাঁ। ইয়া রসূলুল্লাহ! সব ধরনের মাল রয়েছে। তিনি বলিলেনঃ আল্লাহ যখন তোমাকে মাল দান করিয়াছেন, তখন এর চিহ্ন তোমার মধ্যে থাকা উচিত।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২২৪. আবুল আহওয়াস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন হইতে বর্ণিতঃ
তিনি নিম্নমানের কাপড় পরে নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট গেলে তিনি তাকে বলিলেনঃ তোমার ধন-সম্পদ আছে কী? তিনি বলিলেন, জ্বি হ্যাঁ, প্রত্যেক রকমের মালই আমার রয়েছে। জিজ্ঞেস করিলেন কি মাল আছে? তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাআলা আমাকে উট, বকরী, ঘোড়া এবং গোলাম দান করিয়াছেন। নাবী [সাঃআঃ] বলিলেনঃ যখন আল্লাহতোমাকে সম্পদ দান করিয়াছেন, তখন আল্লাহর রহমত ও দানের চিহ্ন তোমার মধ্যে বাহ্যিকভাবেও প্রকাশ পাওয়া উচিত।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৬.পরিচ্ছেদঃ ফিতরাত বা দ্বীনের সার্বজনীন বিধান
৫২২৫. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলেছেনঃ পাঁচটি কাজ ফিতরাতের অন্তর্ভূক্ত। মোচ কর্তন করা, বগলের চুল উপড়ে ফেলা, নখ কাটা, নাভীর নীচের চুল কামানো এবং খতনা করা।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৭.পরিচ্ছেদঃ গোঁফ কাটা, দাড়ি লম্বা করা
৫২২৬. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমরা গোঁফ ছোট করিবে এবং দাড়ি লম্বা করিবে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৮.পরিচ্ছেদঃ শিশুদের মাথা মুড়ান
৫২২৭. আবদুল্লাহ ইবনি জাফর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জাফর পরিবারকে শোক করার জন্য তিন দিনের সময় দিলেন। এরপর তিনি তাহাদের নিকট এসে বলিলেনঃ আমার ভাই-এর জন্য আজকের দিনের পর আর ক্রন্দন করো না। পরে তিনি বলিলেনঃ আমার ভ্রাতুষ্পুত্রদেরকে আমার নিকট ডাক। তখন আমাদেরকে আনা হলো। আমাদেরকে পক্ষীছানার মত মনে হচ্ছিল। তিনি বলিলেনঃ নাপিত ডেকে আন। তিনি আমাদের মাথা মুড়াবার জন্য বলিলেন। [সংক্ষিপ্ত]
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫৯.পরিচ্ছেদঃ মাথার কিছু অংশ মুড়ান এবং কিছু রেখে দেওয়া নিষেধ
৫২২৮. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাথায় কিছু চুল রেখে কিছু মুড়াতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২২৯. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে মাথার কিছু চুল রেখে মাথা মুড়াতে নিষেধ করিতে শুনিয়াছি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৩০. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাথায় কিছু চুল রেখে কিছু অংশ মুড়াতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৩১. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] মাথায় কিছু চুল রেখে বাকী অংশ মুড়াতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬০.পরিচ্ছেদঃ বাবরি রাখা
৫২৩২. বারা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর অবয়ব ছিল মধ্যম ধরনের। তাহাঁর কাঁধের মধ্যবর্তী স্থান ছিল প্রশস্ত, তাহাঁর দাঁড়ি ছিল অতি ঘন, যাহার উপরিভাগে রক্তিমাভা বিরাজ করতো। তাহাঁর মাথার চুল কানের লতি পর্যন্ত ছিল। আমি তাঁকে লাল জোড়া কাপড় পরতে দেখেছি। আমি কাউকে তাহাঁর চাইতে সুশ্রী ও সুন্দর দেখিনি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৩৩. বারা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি কোন কেশ বিশিষ্ট, জোড়া-কাপড় পরিহিত ব্যক্তিকে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে সুশ্রী ও সুন্দর দেখিনি। তাহাঁর মাথার চুল উভয় কাঁধ ছুঁতো।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৩৪. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর মাথার চুল কানের অর্ধেক পর্যন্ত লম্বা ছিল।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৩৫. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ]-এর মাথায় চুল উভয় কাঁধ ছুঁতো।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬১.পরিচ্ছেদঃ চুল বিন্যস্ত রাখা
৫২৩৬. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ্[রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] আমাদের নিকট আগমন করে এক ব্যাক্তিকে দেখলেন, তার মাথার চুল এলোমেলো। তিনি বলিলেনঃ এ ব্যাক্তি কি এমন কিছু পায় না, যা দিয়ে সে তার মাথার চুল বিন্যস্ত করে নেবে?
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৩৭. আবু কাতাদা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ তাহাঁর মাথায় অধিক চুল ছিল। তিনি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেনঃ কেশ বিন্যস্ত রাখবে এবং প্রত্যহ চিরুনি করিবে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৬২.পরিচ্ছেদঃ চুল সিঁথি কাটা
৫২৩৮. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর চুল আঁচড়িয়ে ছেড়ে দিতেন, আর মুশরিকরা তাহাদের চুলে সিঁথি কাটতো। যে সকল ব্যাপারে কোন আদেশ করা হয়নি, এমন ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আহলে কিতাবীর মত চলতে পছন্দ করিতেন। পরবর্তীতে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] চুলে সিঁথি কেটেছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬৩.পরিচ্ছেদঃ চুল আঁচড়ানো
৫২৩৯. আবদুল্লাহ্ইবনি বুরায়দা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
উবায়দ নামক রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর একজন সাহাবী বলেছেনঃ রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিলাসিতা করিতে নিষেধ করিতেন। তিনি বলেনঃ চুল আঁচড়ানোও এর অন্তর্গত।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬৪.পরিচ্ছেদঃ ডানদিক থেকে চুল আঁচড়ানো
৫২৪০. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ওযু করিতে, জুতা পরতে এবং চুল আঁচড়াতে যথাসম্ভব ডান দিক থেকে আরম্ভ করা পছন্দ করিতেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬৫.পরিচ্ছেদঃ খিযাব লাগানোর আদেশ
৫২৪১. আবু সালামা এবং সুলায়মান ইবনি ইয়াসার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তাঁরা উভয়ে আবু হুরাইরা [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ইয়াহুদ-নাসারা চুল রঙ করে না, আতএব তোমরা তাহাদের বিরোধিতা করিবে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৪২. জাবির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবু কুহাফাকে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট আনা হলে দেখা গেল তাহাঁর চুল-দাড়ি সবই সুগামা ঘাসের ন্যায় শুভ্র। তখন রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ একে পরিবর্তন করে দাও, অথবা খিযাব লাগিয়ে দাও।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬৬.পরিচ্ছেদঃ দাড়ি সোনালী রঙ করা
৫২৪৩. উবায়দ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনি উমার [রাঃআঃ]-কে দাড়িতে সোনালী রঙ করিতে দেখলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে এরূপ করিতে দেখেছি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬৭.পরিচ্ছেদঃ যাফরান এবং ওয়ারস দ্বারা দাড়ি রঙ করা
৫২৪৪. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] চামড়ার জুতা পরতেন এবং ওয়ারস [ঘাস] ও যাফরান দ্বারা তাহাঁর দাড়ি রাঙাতেন। আর ইবনি উমার [রাঃআঃ]-ও এরূপ করিতেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬৮.পরিচ্ছেদঃ চুলে পরচুলা লাগানো
৫২৪৫. হুমায়দ ইবনি আবদুর রহমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মুআবিয়া [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, তখন তিনি ছিলেন মদীনায় মিম্বরে। তিনি তাহাঁর আস্তিন হইতে এক গুচ্ছ চুল বের করে বলিলেনঃ হে মদীনাবাসী! তোমাদের আলিমগণ কোথায়? আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে এরূপ করিতে নিষেধ করিতে শুনিয়াছি তিনি বলেছেনঃ বনী ইসরাঈলের মহিলারা যখন এরূপ পরচুলা লাগানো আরম্ভ করেছিল, তখন তারা ধ্বংস হইয়াছিল।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৪৬. সাঈদ ইবনি মুসায়্যিব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, মুআবিয়া [রাঃআঃ] মদীনায় এসে আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে বক্তৃতা দিলেন। তখন তিনি হাতে একগুচ্ছ চুল নিয়ে বলিলেনঃ আমি ইয়াহুদীদের ব্যতীত আর কাউকে এরূপ করিতে দেখিনি। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এ খবর পৌঁছলে তিনি একে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছিলেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬৯.পরিচ্ছেদঃ [বেশি দেখানোর ঊদ্দেশ্যে কালো] কাপড়ে চুল জড়ানো
৫২৪৭. মুআবিয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ হে লোক সকল! রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তোমাদেরকে যুর বা মিথ্যা হইতে নিষেধ করিয়াছেন। এরপর তিনি কালো কাপড়ের এক টুকরা বের করে লোকদের সামনে রেখে বলেন, সেই যুর বা মিথ্যা হলো এই। একে মহিলারা মাথার উপর রেখে এর উপর ওড়না পরে থাকে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৪৮. মুআবিয়া [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যুর বা মিথ্যা হইতে নিষেধ করিয়াছেনঃ সেই মিথ্যা এই যে, নিজের চুল অস্বাভাবিক লম্বা দেখানোর জন্য মাথায় পরচুলা ইত্যাদি কিছু লাগিয়ে নেয়।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭০.পরিচ্ছেদঃ পরচুলা ব্যবহারকারিণীর উপর লানত
৫২৪৯. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] চুলে [পরচুলা] যোজনা করে এমন মহিলার উপর লানত করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭১.পরিচ্ছেদঃ যে পরচুলা লাগিয়ে দেয় এবং যে লাগাতে বলে, তার উপর লানত
৫২৫০. আসমা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
এক মহিলা নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বলিলেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার এক কন্যার বিবাহ হইয়াছে। অসুস্থ হওয়ার পর তার মাথার চুল উঠে গেছে। এখন আমি যদি তার মাথায় পরচুলা জাতীয় কিছু লাগাই, তবে কি আমার গুনাহ হইবে? তিনি বলিলেনঃ যে পরচুলা লাগিয়ে দেয় এবং যে লাগাতে বলে, আল্লাহ তার উপর লানত করেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭২.পরিচ্ছেদঃ যে উল্কি আঁকায় এবং যে এঁকে দেয়, তার উপর লানত
৫২৫১. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যে নারী কাউকে পরচুলা লাগিয়ে দেয়, যে লাগাতে বলে, যে উল্কি আঁকায় এবং যে এঁকে দেয়, তাহাঁর প্রতি লানত করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭৩.পরিচ্ছেদঃ তার উপর লানত যে নারী [ভ্রু ইত্যাদির] লোম তুলে ফেলে এবং দাঁতে ফাঁক করে
৫২৫২. আবদুল্লাহ্[রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যে নারী [ভ্রু-ইত্যাদির] পশম তুলে ফেলে এবং যে নারী দাঁতে ফাঁক সৃষ্টি করে, তাহাদের উপর আল্লাহলানত করিয়াছেন। যাদের উপর রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] লানত করিয়াছেন, আমিও তাহাদের উপর লানত করি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৫৩. আবদুল্লাহ্[রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যে নারী উল্কি আঁকে, দাঁতে ফাঁক সৃষ্টি করে এবং যে মুখের চুল তুলে ফেলে, আর এভাবে আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করে, তাহাদের উপর লানত করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৫৪. আবদুল্লাহ্[রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহতাআলা চেহারার পশম উৎপাটনকারিণী, দাঁতে ফাঁক সৃষ্টিকারিণী এবং উল্কি অঙ্কনকারিণী, আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তনকারিণীর উপর লানত করিয়াছেন। এক নারী তাহাঁর নিকট এসে জিজ্ঞাসা করলোঃ আপনি কি এরূপ বলেছেন? তিনি বলিলেনঃ রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যা বলেছেন, আমি কি তা বলবো না?
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
৫২৫৫. ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আবদুল্লাহ্ইবনি মাসউদ [রাঃআঃ] বলিতেনঃ আল্লাহতাআলা শরীরে দাগ সৃষ্টিকারিণী, চেহারার চুল উৎপাটনকারিণী এবং দাঁতে ফাঁক সৃষ্টিকারিণী রমণীর উপর লানত করিয়াছেন। শুনে রাখ! রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যাদেরকে লানত করিয়াছেন, আমি তাহাদের লানত করব না? রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহতাআলা আমার উম্মতের মধ্যে নারীদের জন্য রেশম এবং স্বর্ণ হালাল করিয়াছেন এবং তা পুরুষদের জন্য হারাম করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭৪.পরিচ্ছেদঃ যা আফরানী রঙ লাগানো
৫২৫৬. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] পুরুষদেরকে যাফরানী রঙ লাগাতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৫৭. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] পুরুষদেরকে তাহাদের শরীরে যাফরানী রঙ লাগাতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
৭৫.পরিচ্ছেদঃ সুগন্ধি
৫২৫৮. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট সুগন্ধি পেশ করা হলে, তিনি তা ফেরত দিতেন না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৫৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কারোর সামনে সুগন্ধি পেশ করা হলে, সে যেন তা ফেরত না দেয়। কেননা, তা ওজনে হালকা, অথচ ঘ্রাণে উত্তম।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৬০. আবদুল্লাহর স্ত্রী যয়নব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কোন মহিলা ইশার জামাআতে আসতে ইচ্ছা করলে, সে যেন সুগন্ধি স্পর্শ না করে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৫২৬১. আবদুল্লাহর স্ত্রী যয়নব সাকাফিয়্যা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে বলেছেনঃ যখন তুমি ইশার জামাআতের উদ্দেশ্যে বের হইবে, তখন সুগন্ধি স্পর্শ করিবে না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৬২. যয়নব সাকাফিয়্যা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ মসজিদে গমনের ইচ্ছায় বের হলে সে যেন সুগন্ধি স্পর্শ না করে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৬৩. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে নারী সুগন্ধি-ধোঁয়া নিয়েছে, সে যেন আমাদের সাথে ইশার জামাআতে শরীক না হয়।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭৬.পরিচ্ছেদঃ উত্তম সুগন্ধি সম্পর্কে
৫২৬৪. আবু সাইদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক মহিলার কথা উল্লেখ করেন, যে তাহাঁর আংটিতে মৃগনাভি ভরে রেখেছিল। তিনি বলেনঃ এটা উত্তম সুগন্ধি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭৭.পরিচ্ছেদঃ স্বর্ণ পরিধান করা হারাম হওয়া
৫২৬৫. আবু মূসা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহতাআলা আমার উম্মতের মধ্যে নারীদের জন্য রেশম এবং স্বর্ণ হালাল করিয়াছেন এবং তা পুরুষদের জন্য হারাম করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭৮.পরিচ্ছেদঃ স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করা নিষেধ
৫২৬৬. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, লাল রঙ-এর কাপড় ও স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করিতে এবং রুকূতে কুরআন তিলাওয়াত করিতে নিষেধ করা হইয়াছে।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৬৭. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] আমাকে সোনার আংটি পরতে, রুকূ অবস্থায় কুরআন পড়তে, রেশমি কাপড় পরতে এবং কুসুম রঙ ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৫২৬৮. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে সোনার আংটি, রেশমি কাপড় ও কুসুম রঙের কাপড় পরতে এবং রুকূ অবস্থায় কুরআন পড়তে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৬৯. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে রুকূ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৭০. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে কুসুম রঙের কাপড়, সোনার আংটি ও রেশমী কাপড় পরতে এবং রুকূতে কুরআন পড়তে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৭১. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে চারটি বস্তু অর্থাৎ কুসুম রঙের কাপড় পরতে, সোনার আংটি ব্যবহার করিতে, রেশমী কাপড় পরিধান করিতে এবং রুকূতে কুরআন পড়তে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৭২. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কুসুম রঙের কাপড় ও রেশমী কাপড় পরিধান, রুকূতে কুরআন তিলাওয়াত এবং সোনার আংটি ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৭৩. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সোনার আংটি পরতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৭৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] সোনার আংটি ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭৯.পরিচ্ছেদঃ নাবী [সাঃআঃ] -এর আংটি ও এর নক্শা সম্পর্কে
৫২৭৫. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি সোনার আংটি তৈরি করিয়ে তা পরলেন। তখন লোকেরাও সোনার আংটি বানাল। তা দেখে রাস্যলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আমি এই আংটিটি পরতাম, কিন্তু এখন হইতে আমি আর কখনও পরবনা। এই বলে তিনি তা নিক্ষেপ করিলেন। পরে অন্যান্য লোকেরাও তাহাদের আংটি ফেলে দিল।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৭৬. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর আংটির নক্শা ছিল-মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ্।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৭৭. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] একটি রূপার আংটি তৈরি করান যাহার নগীনা ছিল হাবশী পাথরের এবং তাতে নকশা ছিল মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ্।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৭৮. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্[সাঃআঃ] রোমের বাদশাহ্কে লিখতে ইচ্ছা করলে লোকজন বললোঃ তারা সিল মোহর ব্যতীত কোন চিঠির পড়েনা। এরপর রসূলুল্লাহ্[সাঃআঃ] রূপার একটি আংটি তৈরি করান। আমি যেন তার শুভ্রতা তাহাঁর হাতে এখনও দেখছি। তাতে নকশা করা হইয়াছিলঃ মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ্।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৭৯. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি আংটি তৈরি করান। তার নগীনা ছিল হাবশী পাথরের।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৮০. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ]-এর আংটি ছিল রূপার এবং এর নগীনাও ছিল রূপার।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৮১. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আমি একটি আংটি তৈরি করিয়েছি এবং তাতে নক্শা করিয়েছি। অতএব এখন যেন কেউ সে রকম নক্শা না করায়।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৮০.পরিচ্ছেদঃ আংটি পরার স্থান
৫২৮২. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] একটি আংটি তৈরি করালেন এবং বললেনঃ আমি একটি আংটি তৈরি করিয়েছি এবং তার উপর নকশাও করিয়েছি; অতএব কেউ যেন ঐরূপ নক্শা না করায়। আর আমি এখনও যেন ঐ আংটির ঔজ্জ্বল্য তাহাঁর কনিষ্ঠা আঙ্গুলে দেখছি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৮৩. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] তাহাঁর ডান হাতে আংটি পড়তেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৮৪. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর আংটির শুভ্রতা তাহাঁর বাম হাতের আঙ্গুলে যেন এখনও দেখছি।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৮৫. সাবিত [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
লোকেরা আনাস [রাঃআঃ]-কে রসূলুল্লাহ্[সাঃআঃ]-এর আংটির ব্যাপারে প্রশ্ন করলে, তিনি বললেনঃ আমি যেন এখনও তাহাঁর রূপার তৈরি আংটির উজ্জল্ল্য অবলোকন করছি। এই বলে তিনি তাহাঁর বাম হাতের কনিষ্ঠা অঙ্গুলী উঠালেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৮৬. আবু বুরদাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আলী [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ রসূলুল্লাহ্[সাঃআঃ] আমাকে মধ্যমা ও তর্জনী আঙ্গুলে আংটি পরতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৮৭. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্[সাঃআঃ] আমাকে তর্জনী, মধ্যমা এবং এর নিকটবর্তী আঙ্গুলে আংটি পরতে নিষেধ করিয়াছেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৮১.পরিচ্ছেদঃ নগীনার স্থান
৫২৮৮. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্[সাঃআঃ] সোনার আংটি পরতেন। পরে তিনি ঐ আংটি ফেলে দিয়ে রূপার আংটি পরলেন এবং তাতে “মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ্” নকশা করালেন। এরপর তিনি বললেনঃ কারো জন্য আমার আংটির নক্শার মত নকশা করা সমীচীন হইবেনা। আর তিনি ঐ আংটির নগীনা হাতের তালুর দিকে রাখতেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৮২.পরিচ্ছেদঃ আংটি ফেলে দেয়া এবং এর ব্যবহার ত্যাগ করা
৫২৮৯. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্[সাঃআঃ] একটি আংটি বানিয়ে তা হাতে দিয়ে বললেনঃ আজ থেকে আমি এই আংটির কারনে তোমাদের থেকে অন্য মনষ্ক হইয়া পড়ছিলাম। কখনো এর দিকেও আমার দৃষ্টি পড়ে আবার কখনো তোমাদের দিকে। পরে তিনি তা খুলে ফেলেন।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৯০. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্[সাঃআঃ] একটি সোনার আংটি তৈরি করিয়ে তিনি তা পরতেন। তিনি এর নগীনা হাতের তালুর দিকে রাখতেন। পরে অন্যান্য লোক তাহাঁর মত করিতে লাগলো। তখন তিনি মিম্বরে আরোহন করে আংটিটি খুলে ফেললেন এবং বললেনঃ আমি এই আংটিটি পরতাম এবং এর নগীনা হাতের তালুর দিকে রাখতাম। পরে তিনি তা ফেলে দিয়ে বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি তা আর কখনও পরবো না। পরে অন্য লোকেরাও তাহাদের আংটি ফেলে দিল।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৯১. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর হাতে একদিনই রূপার আংটি দেখেছেন। তা দেখে অন্য লোকেরাও তদ্রূপ আংটি তৈরি করিল। পরে নাবী [সাঃআঃ] তা ফেলে দিলে লোকেরাও তাহাদের আংটি ফেলে দিল।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৯২. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্[সাঃআঃ] একটি সোনার আংটি বানালেন। আর তিনি তার নগীনা রাখতেন হাতের তালুর দিকে। পরে অন্যান্য লোকও সোনার আংটি বানায়। তখন রসূলুল্লাহ্[সাঃআঃ] তা খুলে ফেললেন। ফলে অন্যান্য লোকেরাও তাহাদের আংটি খুলে ফেলল। এরপর রসূলুল্লাহ্[সাঃআঃ] একটি রূপার আংটি বানান। তিনি তা দ্বারা সিলমোহর করিতেন, পরতেন না।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫২৯৩. ইবনি উমার [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্[সাঃআঃ] একটি সোনার আংটি বানান। তিনি তার নগীনা তাহাঁর হাতের তালুর দিকে রাখতেন। এরপর অন্য লোকও আংটি বানায়। পরে রসূলুল্লাহ্[সাঃআঃ] তা খুলে ফেলেন এবং বললেনঃ আমি আর কখনও তা পরবো না। এরপর রসূলুল্লাহ্[সাঃআঃ] রৌপ্য নির্মিত আংটি পরেন। এই আংটি পরে আবু বকর [রাঃআঃ]-এর হাতে ছিল, পরে তা উমার [রাঃআঃ]-এর হাতে ছিল, উমার [রাঃআঃ]-এর পর তা উছমান [রাঃআঃ]-এর হাতে ছিল; পরে তা আরীস নামক কূপে পড়ে হারিয়ে যায়।
ইসলামে সাজসজ্জা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply