ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ এর হাদিস অধ্যায়
ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ এর হাদিস অধ্যায়, এই অধ্যায়ে হাদীস =১৯ টি ( ১৬৮৭-১৭০৫ পর্যন্ত ) >> মুয়াত্তা ইমাম মালিক এর মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায় – ৪৮ঃ পোশাক-পরিচ্ছদ
পরিচ্ছেদঃ ১ -সৌন্দর্যের জন্য কাপড় পরিধান করা
পরিচ্ছেদঃ ২ -রঙিন কাপড় ও স্বর্ণ ব্যবহার প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদঃ ৩ -পশমী ও রেশমী কাপড় প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদঃ ৪ -মহিলাদের জন্য কোন্ কোন্ কাপড় নিষেধ
পরিচ্ছেদঃ ৫ -পুরুষদের পরিধেয় কাপড় পায়ের টাকনুর নিচে ঝোলানো প্রসঙ্গে
পরিচ্ছেদঃ ৬ -স্ত্রীলোকের কাপড় লটকান প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদঃ ৭ -জুতা পরিধান করা প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদঃ ৮ -কাপড় পরিধান প্রসঙ্গ
পরিচ্ছেদঃ ১ -সৌন্দর্যের জন্য কাপড় পরিধান করা
১৬৩০ জাবির ইবনি আবদুল্লাহ্ আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা বনী আনমার যুদ্ধের {১} জন্য রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর সাথে রওয়ানা হলাম। জাবির [রাদি.] বলেন, আমরা একটি বৃক্ষের নিচে অবস্থান করিতেছিলাম। হঠাৎ রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃকে দেখা গেল। আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ্! ছায়ায় আসুন। তিনি এসে ছায়ায় দাঁড়ালেন। আমি আমার টুকরির কাছে যেয়ে উহাতে [কিছু খাদ্য] অনুসন্ধান করিতে লাগলাম। শেষ পর্যন্ত উহাতে একটি কাকড়ি পাওয়া গেল। আমি উহাকে কেটে রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর সম্মুখে উপস্থিত করলাম। তিনি বলিলেন, ইহা কোথা হইতে এল ? জাবির বলিলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ্! আমরা একে মদীনা হইতে নিয়ে যাত্রা করেছিলাম। জাবির বলেন, আমাদের সাথে এক ব্যক্তি ছিল, যার কাছে আমরা সফরের মালপত্র দিয়েছিলাম। সে ব্যক্তি আমাদের জন্তুগুলো চরাত। যখন সে আমাদের জন্তুগুলো চরাতে যেতে লাগল, তখন তার গায়ের দুটি পুরান ছেঁড়া চাদর ছিল। রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ ইহা দেখে বলিলেন, এই ব্যক্তির নিকট কি অন্য কোন কাপড় নেই? জাবির বলিলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ! তার কাছে এটা ব্যতীত আরও কাপড় রয়েছে, যা সে পুটলি বেঁধে রেখেছে! উহা আমি তাকে পরতে দিয়েছিলাম। রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলিলেন, তাকে ঐ কাপড় পরিধান করিতে বল। আমি তাকে ডেকে উহা পরিধান করিতে বললে সে তা বের করে পরিধান করিল। যখন সে আবার যাচ্ছিল তখন রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলিলেন, তার কি হয়েছিল যে, কাপড় থাকতে সে তা পরিধান করিল না ? আল্লাহ্ তার গর্দান মারুক! এখন কি তাকে আগের চাইতে ভাল দেখায় না ? সে ব্যক্তি এটা শুনতে পেয়ে বলল, ইয়া রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ! আল্লাহ্র রাস্তায় কি আমার গর্দান মারা যাবে? রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলিলেন, হ্যাঁ, আল্লাহ্র রাস্তায়। পরে ঐ ব্যক্তি আল্লাহ্র রাস্তায় শহীদ হয়ে গেল।
[হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]{১} বনী আনমারের যুদ্ধ হিজরী তৃতীয় সনে সংঘটিত হয়েছিল।ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
১৬৩১ উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আমি ক্কারীগণকে [কুরআনের আলিমগণ] শুভ্র পোশাকে দেখিতে পছন্দ করি।
[হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
১৬৩২ উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
যখন তোমাদেরকে আল্লাহ্ সচ্ছলতা দান করিবেন, তখন তোমরাও নিজের উপর সচ্ছলতার নিদর্শন দেখাও। নিজেদের পোশাক তৈরি করে নাও।
[হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদঃ ২ -রঙিন কাপড় ও স্বর্ণ ব্যবহার প্রসঙ্গ
১৬৩৩ নাফি [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার [রাদি.] গেরুয়া ও যাফরানী রঙে রঞ্জিত কাপড় পরিধান করিতেন। [হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, আমার মতে শিশুদেরকে স্বর্ণ পরানো মাকরূহ্। কেননা রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ হইতে আমার কাছে এই খবর পৌঁছেছে যে, তিনি সোনার আংটি পরতে নিষেধ করিয়াছেন। পুরুষ ও ছেলের জন্য সোনা ব্যবহার করা মাকরূহ্ মনে করি। যুরকানী বলেন, বড়দের জন্য সোনা ব্যবহার করা মাকরূহ্ তাহরীমী এবং ছোটদের জন্য মাকরূহ্ তানযীহী। বাচ্চাদেরকে রৌপ্যের অলঙ্কার পরানোও অনেকের মতে মাকরূহ্, আবার কারো মতে বৈধ।
মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, আমি পুরুষদের জন্য ঘরে ও ঘরের আশেপাশে কুসুম রঙের রঞ্জিত চাদর গায়ে দেয়া হারাম মনে করি না। কিন্তু আমার মতে না পরাই ভাল, ইহা ব্যতীত অন্য পোশাক পরিধান করাই পছন্দনীয়।
ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদঃ ৩ -পশমী ও রেশমী কাপড় প্রসঙ্গ
১৬৩৪ উম্মুল মুমিনীন আয়িশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ্ ইব্নু যুবাইর [রাদি.]-কে একটি কাপড় পরিয়েছেন, যা নিজেও পরিধান করিতেন, তার কিনারাতে রেশম ছিল।
[হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদঃ ৪ -মহিলাদের জন্য কোন্ কোন্ কাপড় নিষেধ
১৬৩৫ আলকামা ইব্নু আবি আলকামা [রাহিমাহুল্লাহ]-এর জননী [মারজানা] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হাফসা বিন্তে আবদুর রহমান [রাদি.] একটি মিহিন ওড়না পরে উম্মুল মুমিনীন আয়িশা [রাদি.]-এর কাছে গেলে আয়িশা [রাদি.] তা ছিঁড়ে ফেললেন এবং মোটা কাপড়ের একটি ওড়না তাহাকে পরিয়ে দিলেন।
[হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
১৬৩৬ আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কাপড় পরিহিতা উলঙ্গিনী {১} এবং পুরুষদেরকে নিজের প্রতি আকৃষ্টকারিনী স্ত্রীলোকগণ বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারবে না, বরং তারা বেহেশতের সুগন্ধও পাবে না। অথচ ঐ সুগন্ধ পাঁচশত বৎসরের দূরত্ব হইতে অনুভূত হয়।
[সহীহ মারফু, মুসলিম ২১২৮]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৬৩৭ ইবনি শিহাব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ এক রাত্রে জাগরিত হলেন এবং আকাশের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলিলেন, আল্লাহ্ তাআলা এই রাত্রে কত ধনাগার খুলে দিয়েছেন এবং কত ফিতনা অবতীর্ণ করিয়াছেন। পৃথিবীতে অনেক কাপড় পরিধানকারিণী স্ত্রীলোক পরকালে উলঙ্গ অবস্থায় উঠবে। {১} যারা কক্ষে রয়েছে তাদেরকে জাগিয়ে দাও [অর্থাৎ ইবাদতের জন্য]।
[সহীহ, ঈমাম বুখারি উম্মে সালামাহ হইতে বর্ণনা করেন ১১৫, তবে ঈমাম মালিক একক ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]{১} অর্থাৎ আমার উম্মতদের জন্য ধনাগাব খুলে দেয়া হয়েছে, সাথে সাথে ফিতনা-ফাসাদও অবতীর্ণ হয়েছে। যে সকল নারী অতি পাতলা কাপড় পরে সৌন্দর্য প্রদর্শন করে তারা আখেতে উলঙ্গ থাকিবে। ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদঃ ৫ -পুরুষদের পরিধেয় কাপড় পায়ের টাকনুর নিচে ঝোলানো প্রসঙ্গে
১৬৩৮ আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি গর্বভরে স্বীয় কাপড় টাখনুর নিচে লটকায়, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাআলা তাকে রহমতের দৃষ্টিতে দেখবেন না
। [হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
১৬৩৯ আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলেছেন, আল্লাহ্ তাআলা কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তির প্রতি রহমতের দৃষ্টি করিবেন না, যে ব্যক্তি অহঙ্কার করে নিজের কাপড় লটকায়।
[সহীহ, মুসলিম ৫৭৮৮]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
১৬৪০ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলেছেন, আল্লাহ্ তাআলা কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তির প্রতি রহমতের দৃষ্টি করিবেন না, যে অহঙ্কার করে নিজের কাপড় নিচের দিকে লটকে দেয়।
[বুখারি ৫৭৮৩, মুসলিম ২০৮৫]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৬৪১ আবদুর রহমান ইব্নু ইয়াকুব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.]-কে লুঙ্গির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছেন, আমার জানা আছে, আমি বলিতেছি। আমি রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃকে বলিতে শুনিয়াছি, মুমিনের লুঙ্গি তার পায়ের নলার মাঝ বরাবর থাকিবে, তবে তা টাখনু এবং পায়ের নলার মাঝামাঝির মধ্যে থাকলে কোন ক্ষতি নেই টাখনু ঢেকে পরলে ঐ ব্যক্তির প্রতি কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাআলা রহমতের দৃষ্টি করিবেন না।
[সহীহ, আবু দাঊদ ৪০৯৩, ইবনি মাজাহ ৩৫৭৩, আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, মিশকাত ৪৩৩১]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদঃ ৬ -স্ত্রীলোকের কাপড় লটকান প্রসঙ্গ
১৬৪২ বর্ণণাকারী হইতে বর্ণিতঃ
উম্মুল মুমিনীন উম্মু সালমা [রাদি.] যখন নবী করীম সাঃআঃ-এর কাছে লুঙ্গি লটকানোর কথা জিজ্ঞেস করিতে যেয়ে বলিলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ্! নারীগণ কিরূপে কাপড় পরিধান করিবে ? রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেন, তারা টাখনু হইতে এক বিঘত নিচু রেখে পারবে। উম্মু সালমা বলিলেন, এতে তো খুলে যাবে। তখন রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলিলেন, তবে এক হাত নিচু রাখবে, এর অতিরিক্ত নয়।
[সহীহ, আবু দাঊদ ৪১১৭, আলবানী হাদীসটি সহীহ বলেছেন {সহীহ ও যয়ীফ সুনানে আবু দাঊদ}]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদঃ ৭ -জুতা পরিধান করা প্রসঙ্গ
১৬৪৩ আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলেছেন, কোন মুসলমান যেন একটি জুতা পরিধান করে না হাঁটে। হয় উভয় জুতা পরিধান করিবে, না হয় উভয় জুতা খুলে রাখবে।
[বুখারি ৫৮৫৫, মুসলিম ২০৯৭]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৬৪৪ আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলেছেন, যখন কোন মুসলমান জুতা পরতে ইচ্ছা করে, তখন যেন সে ডান পা প্রথমে পরিধান করে। আর যখন জুতা খোলে, তখন যেন বাম পা হইতে খোলে। জুতা পরিধান করিতে ডান পা প্রথমে হইবে, আর জুতা খুলতে ডান পা শেষে হইবে।
[সহীহ, বুখারি ৫৮৫৬]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৬৪৫ কাব আহবার [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি নিজের জুতা খুলল। কাব তাকে বলল, তুমি তোমার জুতা কেন খুলে ফেলেছ ? হয়ত তুমি,
فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَ إِنَّكَ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى
“আমি তোমার প্রভু। তুমি তোমার জুতা খুলে ফেল। কেননা তুমি তুয়া নামক পবিত্র ভূমিতে আছ।” এই আয়াত দেখে জুতা খুলেছ। অতঃপর কাব বলিলেন, তোমার জানা আছে কি মূসা [আ]-এর জুতা কিসের ছিল ? মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলিলেন, আমার জানা নেই, ঐ ব্যক্তি কি উত্তর দিয়েছিল। অতঃপর কাব বলিলেন, উহা মৃত গাধার চামড়া দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছিল।
[হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন, হাদীসটিতে ইসরাঈলী বর্ণনা রয়েছে]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
পরিচ্ছেদঃ ৮ -কাপড় পরিধান প্রসঙ্গ
১৬৪৬ আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ দুই প্রকার পোশাক এবং দুই প্রকার বিক্রয় হইতে নিষেধ করিয়াছেন। মুলামাসাহ ও মুনাবাযাহ ধরনের বিক্রয় নিষেধ করিয়াছেন। আর মানুষের এমনভাবে বসা, যাতে তার হাঁটু খাড়া থাকে এবং তার লজ্জাস্থানের উপর কোন কাপড় না থাকে, এই প্রকার বসা নিষেধ। আর এক কাপড় দ্বারা সমস্ত শরীর ঢাকতে নিষেধ করিয়াছেন যাতে এক অংশ খোলা থাকে।
[সহীহ, বুখারি ৫৮২১]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৬৪৭ আবদুল্লাহ্ ইব্নু উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
উমার [রাদি.] একখানা রেশমী কাপড় মসজিদের সম্মুখে বিক্রি হইতে দেখলেন। তিনি রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃকে বলিলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ্! যদি আপনি এই রেশমী কাপড়খানা খরিদ করে নিতেন, তা হলে শুক্রবারে উহা পরিধান করিতে পারতেন অথবা কোন বৈদেশিক দূত এলে তা পরতে পারতেন। রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলিলেন, ইহা ঐ ব্যক্তিই পরিধান করিবে, পরকালে যার কোন অংশ থাকিবে না। পরে রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর নিকট ঐরূপ আরও কাপড় এলে তিনি তা হইতে একখানা কাপড় উমার [রাদি.]-কে দান করলেন।
উমার [রাদি.] বলিলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! আপনি আমাকে এ কাপড় দিলেন অথচ উতারদের কাপড় সম্বন্ধে যা বলেছেন, তা দ্বারা এটাই বুঝা যায় যে, ঐ ধরনের কাপড় পরিধানকারীর জন্য আখিরাতে কোন অংশ নেই। রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ বলিলেন, আমি তোমাকে উহা পরতে দেইনি। অতঃপর উমার [রাদি.] ঐ কাপড় স্বীয় এক কাফির ভাই, যে ছিল মক্কায়, তাকে দান করে দিলেন।
[বুখারি ৮৮৬, মুসলিম ২০৬৮]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৬৪৮ আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আমি উমার [রাদি.]-কে দেখেছি তখন তিনি মদীনাতে আমীরুল মুমিনীন ছিলেন। আর তখন তাঁর জামায় স্কন্ধের মধ্যস্থলে পর পর তিনটি তালি লাগানো ছিল।
[হাদীসটি ঈমাম মালিক এককভাবে বর্ণনা করিয়াছেন]ইসলামে পোশাক পরিচ্ছদ -এই হাদীসটির তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
Leave a Reply