ইসলামে উত্তম আচরণ অহঙ্কার ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ বিষয়ক হাদীস

ইসলামে উত্তম আচরণ অহঙ্কার ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ বিষয়ক হাদীস

ইসলামে উত্তম আচরণ অহঙ্কার ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ বিষয়ক হাদীস >> সুনান তিরমিজি শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায়ঃ ৩৫, অনুচ্ছেদঃ (৪৬-৬০)=১৫টি

৪৬. অনুচ্ছেদঃ মোসাফাহা
৪৭. অনুচ্ছেদঃ অহঙ্কারীর পরিণতি
৪৮. অনুচ্ছেদঃ ক্রোধ সংবরণকারীর মর্যাদা
৪৯. অনুচ্ছেদঃ আল্লাহ তাআলা বান্দাহর তাওবায় অত্যধিক খুশি হন
৫০. অনুচ্ছেদঃ উত্তম কথা বল অন্যথায় চুপ থাকো
৫১. অনুচ্ছেদঃ ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা বা নকল সাজা নিষেধ
৫২. অনুচ্ছেদঃ উত্তম মুসলিম
৫৩. অনুচ্ছেদঃ গুনাহ থেকে তাওবাকারীকে খোঁটা দেয়া নিষেধ
৫৪. অনুচ্ছেদঃ কারো বিপদে আনন্দ প্রকাশ নিষিদ্ধ
৫৫. অনুচ্ছেদঃ মানুষের সাথে মেলামেশাকারী ও তাহাদের কষ্ট সহ্যকারী ব্যক্তিই উত্তম
৫৬. অনুচ্ছেদঃ পরস্পর সুসম্পর্ক স্থাপন ও বিদ্বেষ বর্জন
৫৭. অনুচ্ছেদঃ দুটি পাপের শাস্তি দুনিয়াতে এবং পরকালেও দেয়া হয়
৫৮. অনুচ্ছেদঃ দ্বীনের ব্যাপারে উচ্চশ্রেণীর এবং দুনিয়াবী ব্যাপারে নিম্নশ্রেণীর লোকের প্রতি দৃষ্টিপাত করা
৫৯. অনুচ্ছেদঃ রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর সামনে সাহাবীগণের এক অবস্থা এবং পরে অন্য অবস্থা
৬০. অনুচ্ছেদঃ উট বাঁধো তারপর তাওয়াক্কুল [ভরসা] কর

৪৬. অনুচ্ছেদঃ মোসাফাহা

২৪৯০. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি যখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাক্ষাতে এসে মুসাফাহা [করমর্দন] করত, তখন সেই ব্যক্তি তার হাত টেনে না নেয়া পর্যন্ত তিনি নিজের হাত টেনে নিতেন না। আর সে তার চেহারা ফিরিয়ে না নেয়া পর্যন্ত তিনি ঐ ব্যক্তি হইতে নিজের চেহারা ফিরিয়ে নিতেন না। তিনি কখনো তাহাঁর পা দুটি তাহাঁর সামনে বসা লোকদের দিকে প্রসারিত করিতেন না।

দূর্বল, তবে মুসাফাহার অংশটুকু সহীহ ইবনি মাযাহ [৩৭১৬]. আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

৪৭. অনুচ্ছেদঃ অহঙ্কারীর পরিণতি

২৪৯১. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমাদের আগের উম্মাতের মধ্যে কোন এক লোক তার দামী জামা পরে গর্বভরে পথে বের হলে আল্লাহ তাআলা তখন তাকে গ্রাস করার জন্য যমীনকে নির্দেশ দিলেন। অতএব যমীন তাকে গ্রাস করে এবং সে ক্বিয়ামাত পর্যন্ত এভাবে ধ্বসতেই থাকিবে।

সহীহঃ আস-সহীহ আল জামি [৩২১৭], বুখারী, মুসলিম আবু হুরাইরা হইতে।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি সহীহ।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৪৯২. আমর ইবনি শুআইব [রঃ] হইতে পর্যায়ক্রমে তার বাবার ও তার দাদা হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দাম্ভিক ব্যক্তিদেরকে ক্বিয়ামাত দিবসে ক্ষুদ্র পিপড়ার ন্যায় মানুষের রূপে সমবেত করা হইবে। তাহাদেরকে চারদিক হইতে অপমান ও লাঞ্ছনা ছেয়ে ফেলবে। জাহান্নামের বুলাস নামক একটি কারাগারের দিকে তাহাদেরকে টেনে নেয়া হইবে, আগুন তাহাদেরকে গ্রাস করিবে, জাহান্নামীদের গলিত রক্ত ও পুঁজ তাহাদেরকে পান করানো হইবে।

হাসানঃ মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী [৫১১২], তালীকুর রাগীব [৪/১৮]।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

৪৮. অনুচ্ছেদঃ ক্রোধ সংবরণকারীর মর্যাদা

২৪৯৩. মুআয ইবনি আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাগ কার্যকর করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তা দমন করে, আল্লাহ্ তাআলা কিয়ামাতের দিন তাকে আহবান করে সকল মাখলুকের [সৃষ্টি] সামনে আনবেন এবং তাকে তার ইচ্ছামতো যে কোন হূর বেছে নেয়ার ক্ষমতা [স্বাধীনতা] দিবেন।

হাসানঃ রাওযুন নাযীর [৪৮১, ৮৫৪], তালীকুর রাগীব [৩/২৭৯]।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান গারীব।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

২৪৯৪. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যার মধ্যে নিম্নোক্ত তিনটি গুণ রয়েছে, আল্লাহ তাআলা তার উপর তাহাঁর [রহমাতের] ডানা প্রসারিত করবেন এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেনঃ দূর্বলদের সাথে ভদ্র ব্যবহার, পিতা-মাতার সাথে মমতা জড়ানো কোমল ব্যবহার এবং দাস-দাসীর প্রতি অনুগ্রহপূর্ণ ও সৌজন্যমূলক আচরণ।

মাওযূ, যঈফা [৯২]আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবু বাক্‌র ইবনিল মুনকাদির হলেন মুহাম্মাদ ইবনিল মুনকাদিরের ভাই।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ জাল হাদীস

২৪৯৫. আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

 يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى يَا عِبَادِي كُلُّكُمْ ضَالٌّ إِلاَّ مَنْ هَدَيْتُهُ فَسَلُونِي الْهُدَى أَهْدِكُمْ وَكُلُّكُمْ فَقِيرٌ إِلاَّ مَنْ أَغْنَيْتُ فَسَلُونِي أَرْزُقْكُمْ وَكُلُّكُمْ مُذْنِبٌ إِلاَّ مَنْ عَافَيْتُ فَمَنْ عَلِمَ مِنْكُمْ أَنِّي ذُو قُدْرَةٍ عَلَى الْمَغْفِرَةِ فَاسْتَغْفَرَنِي غَفَرْتُ لَهُ وَلاَ أُبَالِي وَلَوْ أَنَّ أَوَّلَكُمْ وَآخِرَكُمْ وَحَيَّكُمْ وَمَيِّتَكُمْ وَرَطْبَكُمْ وَيَابِسَكُمُ اجْتَمَعُوا عَلَى أَتْقَى قَلْبِ عَبْدٍ مِنْ عِبَادِي مَا زَادَ ذَلِكَ فِي مُلْكِي جَنَاحَ بَعُوضَةٍ وَلَوْ أَنَّ أَوَّلَكُمْ وَآخِرَكُمْ وَحَيَّكُمْ وَمَيِّتَكُمْ وَرَطْبَكُمْ وَيَابِسَكُمُ اجْتَمَعُوا عَلَى أَشْقَى قَلْبِ عَبْدٍ مِنْ عِبَادِي مَا نَقَصَ ذَلِكَ مِنْ مُلْكِي جَنَاحَ بَعُوضَةٍ وَلَوْ أَنَّ أَوَّلَكُمْ وَآخِرَكُمْ وَحَيَّكُمْ وَمَيِّتَكُمْ وَرَطْبَكُمْ وَيَابِسَكُمُ اجْتَمَعُوا فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ فَسَأَلَ كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْكُمْ مَا بَلَغَتْ أُمْنِيَّتُهُ فَأَعْطَيْتُ كُلَّ سَائِلٍ مِنْكُمْ مَا سَأَلَ مَا نَقَصَ ذَلِكَ مِنْ مُلْكِي إِلاَّ كَمَا لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ مَرَّ بِالْبَحْرِ فَغَمَسَ فِيهِ إِبْرَةً ثُمَّ رَفَعَهَا إِلَيْهِ ذَلِكَ بِأَنِّي جَوَادٌ مَاجِدٌ أَفْعَلُ مَا أُرِيدُ عَطَائِي كَلاَمٌ وَعَذَابِي كَلاَمٌ إِنَّمَا أَمْرِي لِشَيْءٍ إِذَا أَرَدْتُهُ أَنْ أَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ

হে আমার বান্দাগণ! তোমরা তো সবাই পথভ্রষ্ট, তবে তারা নয়, যাদের আমি হিদায়াত করি। সুতরাং তোমরা আমার নিকট হিদায়াতের আবেদন কর, আমি হিদায়াত করব। আর যাদের আমি ধনী করেছি তাহাদের ব্যতীত তোমাদের সবই তো দরিদ্র। তোমরা আমার নিকটে প্রার্থনা কর আমি রিযিক দেব। আর আমি যাদের মাফ করেছি তাহাদের ব্যতীত তোমাদের সকলেই তো গুনাহগার। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ কথা জানা যে, আমি মাফ করার ক্ষমতা রাখি, তারপর সে ক্ষমা ভিক্ষা করে, আমি তার গুনাহ মাফ করে দেই। আমি এ ব্যাপারে কোন ভ্রুক্ষেপ করি না। তোমাদের পূর্বের ও পরের, জীবিত ও মৃত, সিক্ত ও শুষ্ক [স্বচ্ছল ও অস্বচ্ছল] সকলেই যদি আমার বান্দাদের মধ্যে সর্বাধিক তাকওয়ার অধিকারী ব্যক্তির হৃদয়ের মত হয়ে যায়, তাহলে একটি মশার পাখার সম-পরিমাণও আমার রাজত্বের শ্রীবৃ্দ্ধি ঘটবে না। আর তোমাদের আগের ও পরের, জীবিত ও মৃত, ভিজা ও শুষ্ক [স্বচ্ছল ও অস্বচ্ছল] সকলেই যদি আমার বান্দাদের মধ্যে সবচাইতে বড় পাপী বান্দার মত হয়ে যায়, তাহলে একটি মশার পাখার সম-পরিমাণও আমার রাজত্বের হানি ঘটবে না। আর যদি তোমাদের আগের ও পরের, জীবিত ও মৃত, ভিজা ও শুষ্ক সকলে একটি জায়গায় সমবেত হয় এবং প্রত্যেকেই তার পূর্ণ চাহিদামত আমার নিকট প্রার্থনা করে, আর আমি তাহাদের চাওয়া অনুযায়ী সবকিছু যদি দেই, তাহলেও আমার রাজত্বের কিছুই কমবে না, তবে এতটুকু পরিমাণ যে, তোমাদের কেউ সমুদ্রের মধ্য দিয়ে যাবার সময় তাতে একটি সুঁই ডুবিয়ে তা তুলে নিলে তাতে সমুদ্রের পানি যতটুকু কমবে। কারণ আমি হলাম দাতা, দয়ালু ও মহান। আমি যা চাই তাই করি। আমার দান হল আমার কথা আর আমার আযাব হল আমার নির্দেশ। আমার ব্যাপার এই যে, আমি যখন কিছু ইচ্ছা করি তখন বলি, “হয়ে যাও” অমনি তা হয়ে যায়।

এই বর্ণনাটি যঈফ, তবে হাদীসের অধিকাংশই সহীহ, মুসলিম, ইবনি মাযাহ [৪২৫৭]।আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। কিছু রাবী এ হাদীস শাহর ইবনি হাওশাব হইতে মাদীকারিব-এর সূত্রে আবু যার [রাদি.]-এর বরাতে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য

২৪৯৬. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে একটি হাদীস বর্ণনা করিতে শুনিয়াছি। আমি সে হাদীসটি তাঁকে একবার, দুবার, এমনকি সাতবারের বেশী বর্ণনা করিতে শুনিয়াছি। আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ বনী ইসরাঈলের মধ্যে কিফ্‌ল নামক জনৈক ব্যক্তি কোন গুনাহ হইতে বিরত থাকত না। কোন এক সময় জনৈকা মহিলা [দারিদ্র্যক্লিষ্ট হয়ে] তার নিকটে আসলো। সে তাকে যেনা করার শর্তে ষাট দীনার দিল। স্বামী যেমন স্ত্রীর উপর উঠে সে যখন তেমনই উঠল তখন মহিলা কাঁপতে লাগল এবং কেঁদে ফেলল। সে প্রশ্ন করিল, তুমি কাঁদছ কেন? আমি কি তোমার উপর জোরযবরদস্তি করছি? মহিলা বলিল, না; কিন্তু এ গুনাহর কাজটি আমি কখনো করিনি। প্রয়োজন ও অভাব আজ আমাকে এ কাজ করিতে বাধ্য করেছে। সে বলিল, অভাবে পড়েই তুমি এসেছ এবং কখনও তা করনি? তুমি চলে যাও এবং যা দিয়েছি এগুলো তোমার। সে বলিল, আল্লাহ্‌ তাআলার কসম ! এরপর হইতে আমি আর কখনো আল্লাহ্‌ তাআলার নাফারমানী করব না। ঐ রাতেই সে মারা গেল সকাল হলে দেখা গেল তার বাড়ীর দরজায় লেখা রয়েছেঃ “আল্লাহ্‌ তাআলা কিফ্‌লকে মাফ করে দিয়েছেন”।

যঈফ, যঈফা [৪০৮৩]আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। শাইবান ও অন্যান্য রাবী এটিকে আমাশের সূত্রে মারফূ হাদীস হিসাবে এ রকমই বর্ণনা করিয়াছেন। কোন কোন রাবী এ হাদীস আমাশের সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন, কিন্তু মারফূ হিসাবে নয়। আবু বাক্‌র ইবনি আইয়্যাশ এ হাদীস আমাশের সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন, কিন্তু সনদ বর্ণনায় ভুল করিয়াছেন এবং বলেছেনঃ আবদুল্লাহ ইবনি আবদুল্লাহ-সাঈদ ইবনি জুবাইর হইতে তিনি ইবনি উমার [রাদি.] হইতে। এটি সুরক্ষিত সনদ নয়। আবদুল্লাহ ইবনি আবদুল্লাহ আর-রাযী কূফার অধিবাসী এবং তার দাদী ছিলেন আলী ইবনি আবু তালিব [রাদি.]-এর দাসী। আবদুল্লাহ ইবনি আবদুল্লাহ আর-রাযীর বরাতে উবাইদা আয-যাব্বী, হাজ্জাজ ইবনি আরতাত ও অপরাপর বিদ্বানগণ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

৪৯. অনুচ্ছেদঃ আল্লাহ তাআলা বান্দাহর তাওবায় অত্যধিক খুশি হন

২৪৯৭. আল-হারিস ইবনি সুয়াইদ [রাহঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমাদের নিকট আবদুল্লাহ [রাদি.] দুটি হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন, একটি তার পক্ষ হইতে এবং আরেকটি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট হইতে। আবদুল্লাহ [রাদি.] বলেন, ঈমানদার লোক তার পাপকে এমনভাবে ভয় করে যেন সে পাহাড়ের গোড়ায় অবস্থান করছে, আর ভয় করছে যে, পাহাড় ভেঙ্গে তার উপর পড়বে। আর অসৎ লোক তার পাপকে মনে করে যেন তার নাকের ডগায় বসা একটি মাছি, হাত নাড়ালো আর অমনি তা উড়ে গেল।

সহীহঃ বুখারী [৬৩০৮], মুসলিম [৮/৯২]।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৪৯৮. বর্ণনাকারী হইতে বর্ণীতঃ

তিনি আরো বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমাদের কারো তাওবায় সেই ব্যক্তির চেয়েও বেশি সন্তুষ্ট হন, যে এমন এক জন-মানবশূন্য প্রান্তরে যাত্রা করেছে, যেখানে পদে পদে ভয়, আতংকজনক ও ভীতিপূর্ণ অবস্থা। তার সাথে আছে একটি জন্তুযান, এর উপর তার আহার-পানীয় ও অন্যান্য মাল সামান। হঠাৎ জন্তুটি হারিয়ে গেল। সে তা খোঁজ করিতে লাগলো। অবশেষে সে ক্ষুধা-তৃষ্ণায় মৃতপ্রায় হয়ে গেল। মনে মনে সে বললো, আমি জন্তুটি যে জায়গায় হারিয়েছি সে জায়গায় গিয়েই মৃত্যুবরণ করবো। তারপর সে পূর্বের জায়গায় ফিরে এলো এবং গভীর ঘুমে অচেতন হলো। সে জেগে উঠে দেখিতে পেলো যে, তার জন্তুযানটি তার শিয়রে দাঁড়ানো এবং তার পিঠে খাবার-পানীয় ও অন্যান্য বস্তু-সামগ্রী যথাযথ আছে। [এই ব্যক্তি হারানো জন্তু ও বস্তু-সামগ্রী পেয়ে যেমন আহলাদিত হয়, আল্লাহ তাআলা তার বান্দাহর তাওবাতে এর চেয়েও বেশি তুষ্ট হন]।

সহীহঃ বুখারী, মুসলিম।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। আবু হুরাইরা, নুমান ইবনি বাশীর ও আনাস ইবনি মালিক [রাদি.]-এর সূত্রেও এই অনুচ্ছেদে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে হাদীস বর্ণিত আছে।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৪৯৯. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মানুষ মাত্রই গুনাহগার [অপরাধী]। আর গুনাহগারদের মধ্যে তাওবাহকারীরাই উত্তম।

হাসানঃ ইবনি মা-জাহ [৪২৫১]।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি গারীব। আমরা এই হাদীসটি শুধুমাত্র আলী ইবনি মাসআদা হইতে কাতাদা [রাহঃ]- এর সূত্রেই জেনেছি।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

৫০. অনুচ্ছেদঃ উত্তম কথা বল অন্যথায় চুপ থাকো

২৫০০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোক আল্লাহ তাআলা ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার অতিথির অভ্যর্থনা ও আদর-যত্ন করে। আর যে লোক আল্লাহ তাআলা ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে যেন উত্তম কথা বলে অথবা নীরব থাকে।

সহীহঃ ইরওয়া [২৫২৫], বুখারী, মুসলিম।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি সহীহ। আয়িশাহ, আনাস, আবু শুরাইহ আল-কাবী [রাদি.] হইতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু শুরাইহ আল-কাবী হলেন আল-আদাবী, তার নাম খুওয়াইলিদ ইবনি আমর।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৫০১. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোক নীরব থাকলো, সে নাজাত [মুক্তি] পেলো।

সহীহঃ সহীহাহ [৫৩৫]।

আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি গারীব। আমরা এই হাদীস প্রসঙ্গে শুধুমাত্র ইবনি লাহীআর বর্ণনা হইতেই জেনেছি। আবু আবদুর রাহমান আল-হুবালীর নাম আবদুল্লাহ ইবনি ইয়াযীদ।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৫১. অনুচ্ছেদঃ ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা বা নকল সাজা নিষেধ

২৫০২. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, কোন এক সময় নাবী [সাঃআঃ]-কে আমি জনৈক ব্যক্তির চালচলন নকল করে দেখালাম। তিনি বললেনঃ আমাকে এই পরিমাণ সম্পদ প্রদান করা হলেও কারো চালচলন নকল করা আমাকে আনন্দ দেয় না। আয়িশাহ [রাদি.] বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ]! সাফিয়্যা তো বামন মহিলা লোক, এই বলে তিনি তা হাতের ইশারায় দেখালেন। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি এমন একটি কথার দ্বারা বিদ্রুপ করেছো, তা সাগরের পানির সাথে মিশালেও তা উক্ত পানিকে দূষিত করে ফেলতো।

সহীহঃ মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী [৪৮৫৩, ৪৮৫৭], গাইয়াতুল মারাম [৪২৭]।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৫০৩. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমাকে এত এত পরিমাণ সম্পদ দিলেও আমি কারো বিকৃত করে নকল করা পছন্দ করি না।

সহীহঃ মিশকাত তাহক্বীক্ব ছানী [৪৮৫৭]।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ। আবু হুজাইফা আল-কূফী ইবনি মাসউদ [রাদি.]-এর শিষ্যগণের অন্তর্ভুক্ত। তার নাম সালামা ইবনি সুহাইবাহ বলে পরিচিত।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৫২. অনুচ্ছেদঃ উত্তম মুসলিম

২৫০৪. আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে প্রশ্ন করা হলোঃ সবচেয়ে ভাল মুসলিম কে? তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তির জিহ্বা [কথাবার্তা] ও হাত [কাজ] হইতে মুসলিমগণ নির্বিঘ্ন থাকে।

সহীহঃ বুখারী, মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি সহীহ এবং আবু মূসা [রাদি.]-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীস হিসাবে গারীব।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৫৩. অনুচ্ছেদঃ গুনাহ থেকে তাওবাকারীকে খোঁটা দেয়া নিষেধ

২৫০৫. মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি তার কোন ভাইকে কোন গুনাহর জন্য লজ্জা দিলে সে উক্ত গুনাহে না জড়িয়ে পরা পর্যন্ত মারা যাবে না।

মাওযূ, যঈফা [১৭৮]আহমাদ [রাহঃ] বলেন, এ গুনাহ্‌র অর্থ হল, যা হইতে সে তাওবা করেছে।আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এর সনদ সূত্র মুত্তাসিল নয়। খালিদ ইবনি মাদান [রাহঃ] মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.]-এর দেখা পাননি। খালিদ ইবনি মাদান [রাহঃ] হইতে বর্ণিত আছে যে, তিনি সত্তরজন সাহাবীর দেখা পান। মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.] উমার ইবনিল খাত্তাব [রাদি.]-এর খিলাফাত কালে মারা যান। খালিদ ইবনি মাদান উক্ত হাদীস ছাড়াও মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.]-এর বহু শাগরিদের সূত্রে তার থেকে আরও হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

৫৪. অনুচ্ছেদঃ কারো বিপদে আনন্দ প্রকাশ নিষিদ্ধ

২৫০৬. ওয়াসিলা ইবনিল আসকা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমার কোন ভাইয়ের বিপদে তুমি আনন্দ প্রকাশ করো না। অন্যথায় আল্লাহ্‌ তাআলা তাকে দয়া করবেন এবং তোমাকে সেই বিপদে নিক্ষিপ্ত করবেন।

যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী [৪৮৫৬]আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। মাকহূল [রাহঃ] ওয়াসিলা ইবনিল আসকা, আনাস ইবনি মালিক ও আবু হিন্দ আদ-দারী [রাদি.]-এর নিকট হাদীস শুনেছেন। আরও কথিত আছে যে, মাকহূল [রাহঃ] এই তিনজন সাহাবী ব্যতীত আর কোন সাহাবীর নিকট হাদীস শুনেননি। মাকহূল শামীর উপনাম আবু আবদুল্লাহ এবং তিনি ছিলেন ক্রীতদাস, পরে তাকে দাসত্বমুক্ত করা হয়। আর বসরার অধিবাসী মাকহূল আল-আযদী [রাহঃ] আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.]-এর নিকট হাদীস শুনেছেন এবং তার সূত্রে উমারা ইবনি যাযান হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।আলী ইবনি হুজর হইতে ইসমাইল ইবনি আইয়্যাশ-এর সূত্রে তামীম-আতিয়া [রাহঃ] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাকহূল কে কোন কিছু প্রশ্ন করা হলে বেশীরভাগ সময়ই আমি তাঁকে বলিতে শুনিয়াছি, “আমি জানি না”।উত্তম সনদ তবে তা বিচ্ছিন্ন।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

৫৫. অনুচ্ছেদঃ মানুষের সাথে মেলামেশাকারী ও তাহাদের কষ্ট সহ্যকারী ব্যক্তিই উত্তম

২৫০৭. ইয়াহইয়া ইবনি ওয়াস‌্সাব [রাহঃ] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে মুসলিম মানুষের সাথে মেলামেশা করে এবং তাহাদের দেয়া যন্ত্রণায় ধৈর্য ধারণ করে সে এমন মুসলিমের চেয়ে উত্তম যে মানুষের সাথে মেলামেশাও করে না এবং তাহাদের দেয়া যন্ত্রণায় ধৈর্যও ধরে না।

সহীহঃ ইবনি মা-জাহ [৪০৩২]।আবু ঈসা বলেন, ইবনি আবু আদী বলেছেন, শুবা মনে করিতেন যে, উক্ত সাহাবী ইবনি উমার [রাদি.]।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৫৬. অনুচ্ছেদঃ পরস্পর সুসম্পর্ক স্থাপন ও বিদ্বেষ বর্জন

২৫০৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করা হইতে নিবৃত্ত থাকো। যেহেতু, তা দ্বীনকে মুন্ডন [বিনাশ] করে দেয়।

হাসানঃ মিশকাত তাহক্বীক্ব ছানী [৫০৪১]।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি সহীহ, তবে এই সূত্রে গারীব। “সূআযাতিল বাইন” কথার অর্থঃ পরস্পর শত্রুতা ও হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ। আর “আল-হালিকাতু” শব্দের অর্থঃ দ্বীনকে মুন্ডনকারী [বিনাশকারী]।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

২৫০৯. আবুদ দারদা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি কি তোমাদেরকে নামাজ, রোযা ও সাদাকাহর চেয়ে উত্তম কাজ প্রসঙ্গে অবহিত করবো না? সাহাবীগণ বলেন, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ পরস্পর সুসম্পর্ক স্থাপন। কারণ, পরস্পর সুসম্পর্ক নষ্ট হওয়ার অর্থ হলো দ্বীন বিনাশ হওয়া।

সহীহঃ গাইয়াতুল মারাম [৪১৪], মিশকাত তাহক্বীক্ব সানী [৫০৩৮]।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি সহীহ। নাবী [সাঃআঃ] হইতে আরো বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ “এটা মুন্ডন করে দেয়। আমি বলছি না যে, তা মাথা মুড়িয়ে দেয়, বরং তা দ্বীনকে মুন্ডন করে দেয় [বিনাশ করে]”।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৫১০. যুবাইর ইবনিল আওয়াম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের আগেকার উম্মাতদের রোগ তোমাদের মধ্যেও সংক্রমিত হয়েছে। তা হলো পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ ও ঘৃণা। আর এই রোগ মুন্ডন করে দেয়। আমি বলছি না যে, চুল মুন্ডন করে দেয়, বরং এটা দ্বীনকে মুন্ডন [বিনাশ] করে দেয়। সেই মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন! তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করিবে না। তোমরা যদি পরস্পরকে না ভালবাস তাহলে ঈমানদার হইতে পারবে না। আমি কি তোমাদেরকে বলবো না যে, পারস্পারিক ভালবাসা কোন কাজের মাধ্যমে মজবুত হয়? তোমরা পরস্পর সালামের বিস্তার ঘটাও।

হাসানঃ তালীকুর রাগীব [৩/১২], ইরওয়া [২৩৮], তাখরীজু মুশকিলাতিল ফাকর [২০], গাইয়াতুল মারাম [৪১৪], সহীহুল আদব [১৯৭]।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবনি আবু কাসীর হইতে বর্ণনার ক্ষেত্রে বর্ণনাকারীগণ মতবিরোধ করিয়াছেন। তাহাদের অনেকে এই হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবনি আবু কাসীর-ইয়াঈশ ইবনিল ওয়ালীদ হইতে, তিনি যুবাইরের আযাদকৃত গোলাম হইতে, তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে এই সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন এবং সনদের মধ্যে যুবাইর [রাদি.]-এর নাম যুক্ত করেননি।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

৫৭. অনুচ্ছেদঃ দুটি পাপের শাস্তি দুনিয়াতে এবং পরকালেও দেয়া হয়

২৫১১. আবু বাকরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ [ন্যায়পরায়ণ শাসকের বিরুদ্ধে] বিদ্রোহ ও রক্তসম্পর্কীয় আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার মতো মারাত্মক আর কোন পাপ নেই, আল্লাহ তাআলা যার সাজা পৃথিবীতেও প্রদান করেন এবং আখিরাতের জন্যও অবশিষ্ট রাখেন।

সহীহঃ ইবনি মা-জাহ [৪২১১]।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৫৮. অনুচ্ছেদঃ দ্বীনের ব্যাপারে উচ্চশ্রেণীর এবং দুনিয়াবী ব্যাপারে নিম্নশ্রেণীর লোকের প্রতি দৃষ্টিপাত করা

২৫১২. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ যার মধ্যে দুটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, আল্লাহ্‌ তাআলা কৃতজ্ঞ ও ধৈর্যশীলদের মধ্যে তার নাম লিখে রাখেন। আর যার মধ্যে এ দুটি বৈশিষ্ট্য নেই, আল্লাহ্‌ তাআলা কৃতজ্ঞ ও ধৈর্যশীলদের দলে তার নাম লিখেন না। যে ব্যক্তি ধর্মীয় ব্যাপারে তার চাইতে উঁচু স্তরের লোকের দিকে দেখে এবং তার অনুসরণ করে; আর পার্থিব ব্যাপারে তার চাইতে নীচু স্তরের লোকের দিকে দেখে এবং আল্লাহ্‌ তাআলা তাকে সে লোকের উপর যে মর্যাদা ও নিআমাত দান করিয়াছেন তার শুকরিয়া আদায় করে এবং আল্লাহ্‌ তাআলার প্রশংসা করে, আল্লাহ্‌ তাআলা তার নাম কৃতজ্ঞ ও ধৈর্যশীলদের দলে লিখে রাখেন। আর যে ব্যক্তি ধর্মীয় ব্যাপারে তার চাইতে নিম্নমানের লোকের দিকে এবং পার্থিব ব্যাপারে তার চাইতে উঁচু স্তরের লোকের দিকে দেখে এবং তার কাছে পার্থিব সামগ্রী না থাকার কারণে আফসোস করে, আল্লাহ্‌ তাআলা তার নাম কৃতজ্ঞ ও ধৈর্যশীল বান্দাদের দলে লিখেন না।

যঈফ, যঈফাহ্‌- হাঃ নং- ৬৩৩, ১৯২৪মূসা ইবনি হিশাম-আলী ইবনি ইসহাক হইতে তিনি আবদুল্লাহ ইবনিল মুবারাক হইতে তিনি মুসান্না ইবনিস সাব্বাহ হইতে তিনি আমর ইবনি শুআইব [রঃ] হইতে তিনি তাহাঁর পিতা হইতে স্বীয় দাদার সূত্রে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। এ হাদীসটি হাসান ও গারীব। সুওয়াইদ ইবনি নাসর তার সনদসূত্রে “তার পিতা থেকে” কথাটুকু উল্লেখ করেননি।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

২৫১৩. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের চেয়ে কম সম্পদশালী মানুষদের প্রতি [পার্থিব ব্যাপারে] দৃষ্টি দিও, তোমাদের চেয়ে ধনশালী মানুষদের দিকে নয়। এতে করে তোমাদেরকে আল্লাহ তাআলার দেয়া নিআমাতসমূহ নগন্য মনে হইবে না।

সহীহঃ ইবনি মা-জাহ [৪১৪২], মুসলিম।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৫৯. অনুচ্ছেদঃ রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর সামনে সাহাবীগণের এক অবস্থা এবং পরে অন্য অবস্থা

২৫১৪. হানযালা আল-উসাইদী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর সচিবগণের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি কোন একদিন কাঁদতে কাঁদতে আবু বাকর [রাদি.] এর সম্মুখ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আবু বাকর [রাদি.] তাঁকে প্রশ্ন করেন, হে হানযালা! তোমার কি হয়েছে? তিনি বলিলেন, হে আবু বাকর! হানযালা তো মুনাফিক্ব হয়ে গেছে। আমরা যখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর মাজলিসে অবস্থান করি এবং তিনি আমাদেরকে জান্নাত-জাহান্নামের স্মরণে নাসীহাত করেন, তখন মনে হয় যেন আমরা সেগুলো স্বচক্ষে দেখছি। কিন্তু বাড়ি ফিরে আসার পর স্ত্রী-পুত্র-পরিজন ও বিষয়-সম্পদের কাজে ব্যাকুল হয়ে পড়ি এবং অনেক কিছুই ভুলে যাই। আবু বাকর [রাদি.] বলিলেন, আল্লাহর শপথ! আমাদেরও তো এই অবস্থা। চলো আমরা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট যাই। তারপর আমরা সেদিকে যাত্রা শুরু করলাম। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে দেখে প্রশ্ন করেন, হে হানযালা! কি সংবাদ? তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ]! হানযালা তো মুনাফিক্ব হয়ে গেছে। আমরা যখন আপনার নিকটে থাকি আর আপনি জান্নাত-জাহান্নামের নাসীহাত করেন, তখন মনে হয় যেন আমরা সেগুলো প্রত্যক্ষভাবে দেখছি। পরে যখন বাড়ি ফিরে গিয়ে স্ত্রী-পুত্র-পরিজন ও বিষয়-সম্পদের কাজে ব্যাকুল হয়ে পড়ি তখন অনেক কিছুই ভুলে যাই। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমরা আমার নিকট হইতে যে অবস্থায় ফিরে যাও, যদি সবসময় সেই অবস্থায় থাকতে তাহলে অবশ্যই তোমাদের বৈঠকে, বিছানায় এবং পথে-ঘাটে ফেরেশতারা তোমাদের সাথে মুসাফাহা [করমর্দন] করতো। হে হানযালা! সেই অবস্থা মাঝে মধ্যে হয়ে থাকে।

সহীহঃ ইবনি মা-জাহ [৪২৩৬], মুসলিম।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৫১৫. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি নিজের জন্য যা পছন্দ করে সেটা তার ভাইয়ের জন্যও পছন্দ না করা পর্যন্ত ঈমানদার হইতে পারবে না।

সহীহঃ ইবনি মা-জাহ [৬৬]।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৫১৬. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, কোন এক সময় আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর পিছনে ছিলাম। তিনি বললেনঃ হে তরুণ! আমি তোমাকে কয়েকটি কথা শিখিয়ে দিচ্ছি- তুমি আল্লাহ তাআলার [বিধি-নিষেধের] রক্ষা করিবে, আল্লাহ তাআলা তোমাকে রক্ষা করবেন। তুমি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির প্রতি লক্ষ্য রাখবে, আল্লাহ তাআলাকে তুমি কাছে পাবে। তোমার কোন কিছু চাওয়ার প্রয়োজন হলে আল্লাহ তাআলার নিকট চাও, আর সাহায্য প্রার্থনা করিতে হলে আল্লাহ তাআলার নিকটেই কর। আর জেনে রাখো, যদি সকল উম্মাতও তোমার কোন উপকারের উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে ততটুকু উপকারই করিতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তাআলা তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। অপরদিকে যদি সকল উম্মাত তোমার কোন ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে একতাবদ্ধ হয়, তাহলে ততটুকু ক্ষতিই করিতে সক্ষম হইবে, যতটুকু আল্লাহ তাআলা তোমার তাক্বদিরে লিখে রেখেছেন। কলম তুলে নেয়া হয়েছে এবং লিখিত কাগজসমূহও শুকিয়ে গেছে।

সহীহঃ মিশকাত [৫৩০২], যিলালুল জান্নাত [৩১৬-৩১৮]।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৬০. অনুচ্ছেদঃ উট বাঁধো তারপর তাওয়াক্কুল [ভরসা] কর

২৫১৭. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলিলেন কোন একজন লোক বললো, হে আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ]! আমি কি সেটা [উট] বেঁধে রেখে আল্লাহর তাআলার উপর ভরসা করবো, না বাঁধন খুলে রেখে আল্লাহ্ তাআলার উপর ভরসা করবো? তিনি বললেনঃ তুমি সেটা বেঁধে রেখে [আল্লাহ্ তাআলার উপর] ভরসা করিবে।

হাসানঃ তাখরীজুল মুশকিলাহ [২২]।ইয়াহ্ইয়া বলেন, আমার মতে এর হাদীসটি মুন্কার। আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি আনাস [রাদি.]-এর বর্ণনা হিসাবে গারীব। শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই আমরা এর হাদীসটি জেনেছি। আম্‌র ইবনি উমাইয়্যা [রাদি.]-সূত্রে নাবী [সাঃআঃ] হইতে উপরোক্ত হাদীসের মতো হাদীস বর্ণিত হয়েছে।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

২৫১৮. আবুল হাওরা আস-সাদী [রাহঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, হাসান ইবনি আলী [রাদি.]-কে আমি প্রশ্ন করলাম, আপনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে কোন কথাটা মনে রেখেছেন? তিনি বলিলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর এই কথাটি মনে রেখেছিঃ যে বিষয়ে তোমার সন্দেহ হয়, তা ছেড়ে দিয়ে যাতে সন্দেহের সম্ভাবনা নেই তা গ্রহণ কর। যেহেতু, সত্য হলো শান্তি ও স্বস্তি এবং মিথ্যা হলো দ্বিধা-সন্দেহ।

সহীহঃ ইরওয়াহ্ [১২, ২০৭৪], আযযিলাল [১৭৯], আর রাওযুন নাযীর [১৫২]। এ হাদীসটিতে আরো বক্তব্য আছে।আবুল হাওরা আস-সাদীর নাম রাবীআহ্ ইবনি শাইবান। আবু ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি সহীহ। বুনদার মুহাম্মাদ ইবনি জাফর হইতে, তিনি শুবাহ্ হইতে, তিনি বুরাইদ [রাহঃ]-এর সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

২৫১৯. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর সামনে কোন এক ব্যক্তির ইবাদাত-বন্দিগী ও কঠোর সাধনার কথা এবং অন্য ব্যক্তির পরহিযগারী ও আল্লাহ্‌ ভীতি প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হল। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ কোন কিছুই পরহেযগারী ও খোদাভীতির সমতুল্য হইতে পারে না।

যঈফ, যঈফাহ্‌- হাঃ নং-৪৮১৭আবদুল্লাহ ইবনি জাফর হলেন মিসওয়ার ইবনি মাখরামার সন্তান। তিনি মাদীনার অধিবাসী এবং হাদীস শাস্ত্রবিদগণের মতে নির্ভরযোগ্য রাবী। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই আমরা এ হাদীস জেনেছি।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

২৫২০. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হালাল খাবার খায়, সুন্নাত মুতাবিক আমাল করে এবং যার উৎপীড়ন হইতে মানুষ নিরাপদ থাকে, সে জান্নাতে যাবে। জনৈক ব্যক্তি বলিল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল ! আজকাল তো এ ধরনের অনেক লোক রয়েছে। তিনি বললেনঃ আমার পরবর্তী যুগসমূহেও এমন লোক থাকিবে।

যঈফ, মিশকাত- হাঃ নং-১৭৮; তালীকুর রাগীব- হাঃ নং- ১/৪১আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র উল্লেখিত সূত্রে ইসরাঈলের রিওয়ায়াত হিসাবে এ হাদীস জেনেছি। আব্বাস আদ-দূরী-ইয়াহ্‌ইয়া ইবনি আবু বুকাইর হইতে তিনি ইসরাঈল হইতে তিনি হিলাল ইবনি মিকলাস [রঃ] সূত্রে কাবীসার সূত্রে ইসরাঈল বর্ণিত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। আমি মুহাম্মদ ইবনি ইসমাঈলকে এ হাদীস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে উত্তরে বলেন যে, তিনি ইসরাঈলের সূত্রেই শুধুমাত্র এ হাদীস জেনেছেন। তবে তিনি আবু বিশরের নাম প্রসঙ্গে অজ্ঞতা প্রকাশ করেন।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

২৫২১. মুআয ইবনি আনাস আল-জুহানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোক আল্লাহ্ তাআলার উদ্দেশ্যে দান-খায়রাত করে, আল্লাহ্ তাআলার উদ্দেশ্যে [দান করা হইতে] নিবৃত্ত থাকে, আল্লাহ তাআলার জন্য ভালবাসে, আল্লাহ তাআলার জন্যই ঘৃণা করে এবং আল্লাহ তাআলার [সন্তুষ্টির] উদ্দেশ্যে বিয়ে প্রদান করে, সে তাহাঁর ঈমান সুসম্পন্ন করেছে।

হাসানঃ সহীহাহ্ [১/১১৩]।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি মুন্কার।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান হাদীস

২৫২২. আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সর্বপ্রথম যে দলটি জান্নাতে প্রবেশ করিবে সেই দলের সদস্যগণ হইবেন পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল। আর দ্বিতীয় দলের সদস্যগন হইবেন আকাশের মুক্তার মতো ঝল্ঝল্কারী তারকার ন্যায়। তাঁদের প্রত্যেকের দুজন করে স্ত্রী থাকিবে এবং প্রত্যেক স্ত্রীর শরীরে সত্তরজোড়া কাপড় থাকিবে। এই সব কাপরের ভিতর থেকেও তার পায়ের জংঘার মগজ প্রকাশ পাবে।

সহীহঃ সহীহাহ্ [১৭৩৬]।আবু ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।কিয়ামতের আলামত সম্পর্কিত হাদিস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

Comments

Leave a Reply