ইসলামের যুদ্ধ নীতি ঘোড়া, পশু, তরবারি, তীর, লৌহবর্ম ইত্যাদি
ইসলামের যুদ্ধ নীতি ঘোড়া, পশু, তরবারি, তীর, লৌহবর্ম ইত্যাদি >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
অনুচ্ছেদ-৪৩ঃ ঘোড়ার কপালের চুল ও লেজ কাটা অপছন্দনীয়
অনুচ্ছেদ-৪৪ঃ ঘোড়ার প্রিয় রং
অনুচ্ছেদ-৪৫ঃ ঘুড়ীকে ঘোড়ার মধ্যে শুমার করা
অনুচ্ছেদ-৪৬ঃ যে ধরনের ঘোড়া অপছন্দনীয়
অনুচ্ছেদ-৪৭ঃ উত্তমরুপে পশুর সেবা যত্ন করা নির্দেশ
অনুচ্ছেদ-৪৮ঃ গন্তব্যে নামা
অনুচ্ছেদ-৪৯ঃ ধনুকের তার দিয়ে ঘোড়ার গলায় মালা বাধা
অনুচ্ছেদ-৫০ঃ ঘোড়ার প্রতিপালন ও রক্ষনাবেক্ষনে যত্নবান হওয়া ও এর নিতম্বে হাত বুলানো
অনুচ্ছেদ-৫১ঃ পশুর গলায় ঘন্টা ঝুলানো
অনুচ্ছেদ-৫২ঃ পায়খানাখোর পশুর পিঠে চড়া
অনুচ্ছেদ-৫৩ঃ যে ব্যক্তি নিজ পশুর নাম রাখে
অনুচ্ছেদ-৫৪ঃ হে আল্লাহর অশ্বারোহী! ঘোড়ায় চড়ো – এ বলে যুদ্ধযাত্রার ডাক দেয়া
অনুচ্ছেদ-৫৫ঃ পশুকে অভিশম্পাত করা নিষেধ
অনুচ্ছেদ-৫৬ঃ জন্তুদের মধ্যে লড়াই লাগানো
অনুচ্ছেদ-৫৭ঃ জন্তুর গায়ে দাগ দেয়া
অনুচ্ছেদ-৫৮ঃ মুখমণ্ডলে দাগ দেয়া এবং আঘাত করা নিষেধ
অনুচ্ছেদ-৫৯ঃ ঘোটকী ও গাধার মিলন ঘটানো অনুচিত
অনুচ্ছেদ-৬০ঃ এক পশুতে তিনজন আরোহণ
অনুচ্ছেদ-৬১ঃ বিনা প্রয়োজনে পশুর পিঠে বসে থাকা অনুচিত
অনুচ্ছেদ-৬২ঃ আরোহীবিহীন ঘোড়া বা উট
অনুচ্ছেদ-৬৩ঃ দ্রুত গতিতে পথ চলা
অনুচ্ছেদ-৬৪ঃ রাতের প্রথমভাগে ভ্রমণ করা
অনুচ্ছেদ-৬৫ঃ বাহনের মালিক সামনের দিকে বসার অধিক হকদার
অনুচ্ছেদ-৬৬ঃ যুদ্ধক্ষেত্রে পশুর পা কেটে ফেলা
অনুচ্ছেদ-৬৭ঃ দৌড় প্রতিযোগিতা
অনুচ্ছেদ-৬৮ঃ লোকদের মাঝে দৌড় প্রতিযোগিতা
অনুচ্ছেদ-৬৯ঃ দুজনের বাজির মধ্যে তৃতীয় প্রবেশকারী
অনুচ্ছেদ-৭0ঃ ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতায় ঘোড়াকে তাড়া দেওয়া
অনুচ্ছেদ-৭১ঃ তরবারি অলংকার করা
অনুচ্ছেদ-৭২ঃ তীরসহ মাসজিদে প্রবেশ
অনুচ্ছেদ-৭৩ঃ খোলা তরবারি লেনদেন নিষেধ
অনুচ্ছেদ-৭৪ঃ দুই আঙ্গুলের মাঝখানের চামড়া কাটা নিষেধ
অনুচ্ছেদ-৭৫ঃ লৌহবর্ম পরিধান
অনুচ্ছেদ-৭৬ঃ রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] পতাকা
অনুচ্ছেদ-৭৭ঃ অক্ষম ঘোড়া ও দুর্বল লোকের সাহায্য দান
অনুচ্ছেদ-৭৮ঃ যুদ্ধে সাংকেতিক নামে ডাকা
অনুচ্ছেদ–৪৩ঃ ঘোড়ার কপালের চুল ও লেজ কাটা অপছন্দনীয়
২৫৪২.তবাহ ইবনি আবদ আস-সুলামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছেন, তোমরা ঘোড়ার কপালের, ঘাড়ের ও লেজের চুল কাটবে না। কেননা এর লেজ মাছি তাড়ানোর জন্য, ঘাড়ের চুল শীত নিবারনের জন্য এবং কপালের চুলে কল্যাণের প্রতীক।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৪৪ঃ ঘোড়ার প্রিয় রং
২৫৪৩. আবু ওয়াহব আল-জুশামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেন, তোমাদের অবশ্যই এমন ঘোড়া থাকা উচিৎ যা লাল কালো মিশ্রিত, সাদা কপাল ও সাদা পা বিশিষ্ট অথবা গাড় লাল বর্নের এবং সাদা কপাল ও সাদা পা বিশিষ্ট কিংবা সাদা-কালো মিশ্রিত, সাদা কপাল ও সাদা পা বিশিষ্ট।
দুর্বলঃ মিশকাত [৩৮৭৮] হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৫৪৪. আবু ওয়াহ্ব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেন, তোমাদের অবশ্যই উজ্জ্বল লাল রং এবং সাদা কপাল ও সাদা পা বিশিষ্ট ঘোড়া কিংবা কালো মিশ্রিত লাল রঙয়ের এবং সাদা কপাল ও সাদা পা বিশিষ্ট ঘোড়া থাকা উচিৎ। অতঃপর উপরের হাদিসদের অনুরুপ। মুহাম্মাদ ইবনি মুহাজির বলেন, আমি আকীল ইবনি শাবীবকে জিজ্ঞেস করি, উজ্জ্বল লাল বর্ণকে অগ্রাধিকার দেয়ার কারন কি? তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] একটি অভিযানকারী দল প্রেরন করেছিলেন। সর্বপ্রথম বিজয়ের সংবাদ দাতা ছিল উজ্জ্বল লাল বর্ণের ঘোড়ার সওয়ারী।
হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৫৪৫. ঈসা ইবনি আলী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদা ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেন, লাল বর্নের ঘোড়ায় কল্যান নিহীত।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ–৪৫ঃ ঘুড়ীকে ঘোড়ার মধ্যে শুমার করা
২৫৪৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাদী ঘোড়াকে ফার্স নামে আখ্যায়িত করিতেন।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৪৬ঃ যে ধরনের ঘোড়া অপছন্দনীয়
২৫৪৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] শ্বেতিযুক্ত ঘোড়া অপছন্দ করিতেন। শেকাল হল কোন ঘোড়ার পিছনের দিকে ডান পায়ে এবং সামনের দিকে বাম পায়ে সাদা রং হওয়া, অথবা সামনের দিকের ডান পায়ে এবং পিছনের দিকের বাম পায়ে সাদা রং হওয়া।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৪৭ঃ উত্তমরুপে পশুর সেবা যত্ন করা নির্দেশ
২৫৪৮. সাহল ইবনিল হানযালিয়্যাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এমন একটি উটের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন যে, অনাহারে উটটির পেট পিঠের সাথে লেগে গিয়েছিল। তিনি বলিলেন, তোমরা এসব বাকশক্তিহীন পশুর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। সুস্থ সবল পশুর পিঠে আরোহন করিবে এবং এদেরকে উত্তমরুপে আহার করাবে।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৫৪৯. আব্দুল্লাহ ইবনি জাফার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে তার খচ্চরের পিঠে তার পিছনে বসালেন। তিনি আমাকে গোপনে কিছু কথা বলে এ মর্মে সতর্ক করে দিলেন যে, আমি যেন কাউকে তা না বলি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার প্রাকৃতিক প্রয়োজনের সময় গোপনীয়তা রক্ষার্থে উঁচু জায়গা অথবা ঘন খেজুরকুঞ্জ পছন্দ করিতেন। তিনি এক আনসারীর খেজুর বাগানে প্রবেশ করলে হঠাৎ একটি উট তার দৃষ্টিগোচর হয়। উটটি নাবী [সাঃআঃ] কে দেখে কাঁদতে লাগলো এবং তার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। নাবী [সাঃআঃ] উটটির কাছে গিয়ে এর মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করিলেন। এতে উটটি কান্না থামালো। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, এ উটের মালিক কে? তিনি আবারো ডাকলেনঃ উটটি কার? এক আনসারি যুবক এসে বললো হে আল্লাহর রাসূল! আমার। তিনি বলিলেন, আল্লাহ যে তোমাকে এই নিরীহ প্রানীটির মালিক বানালেন, এর অধিকারের ব্যাপারে তুমি কি আল্লাহকে ভয় করনা? উটটি আমার কাছে অভিযোগ করেছে, তুমি একে ক্ষুধার্ত রাখো এবং একে কষ্ট দাও।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৫৫০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেন, একদা এক লোক রাস্তায় চলতে চলতে পিপাসায় কাতর হয়ে পড়লো। সে একটি কুপ দেখিতে পেয়ে তাতে নেমে পানি পান করলো। কুপ থেকে উঠে সে দেখলো, একটি কুকুর হাপাচ্ছে এবং পিপাসায় কাতর হয়ে কাদামাটি চাটছে। সে ভাবলো, আমার যেরুপ পিপাসা পেয়েছিল কুকুরটিরও অনুরুপ পিপাসা পেয়েছে। সে আবার কুপের মধ্যে নামলো এবং পায়ের মোজায় পানি ভরে তা মুখে কামড়ে ধরে উঠে এসে কুকুরটিকে পানি পান করালো। আল্লাহ তার এ কাজে খুশী হয়ে তার সব গুনাহ ক্ষমা করে দিলেন। সাহাবীগণ বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এসব প্রানীর সেবা করলেও আমাদেরকে সওয়াব দেয়া হইবে? তিনি বলিলেন, প্রতিটি জীবিত প্রানীর সেবার জন্য সওয়াব আছে।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৪৮ঃ গন্তব্যে নামা
২৫৫১. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা কোন স্থানে অবতরন করলে বাহনের পিঠ থেকে হাওদা নামিয়ে এর বিশ্রামের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত সলাত আদায় করতাম না।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৪৯ঃ ধনুকের তার দিয়ে ঘোড়ার গলায় মালা বাধা
২৫৫২. আব্বাদ ইবনি তামীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবু বাশীর আল-আনসারী [রাদি.] তাহাকে জানান যে, তিনি কোন এক সফরে রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] সাথে ছিলেন। আবু বাশীর বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একজন ঘোষক পাঠালেন। [মধ্যবর্তী বর্ননাকারি] আব্দুল্লাহ ইবনি আবু বাকর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমার ধারণা আব্বাদ বলিয়াছেন যে, লোকজন তখন ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। [ঘোষক এ মর্মে ঘোষনা দিলেন যে,] উটের গলায় ধনুকের তারের পট্টি এবং সাধারন কোন পট্টি যেন অবশিষ্ট না থাকে, ওগুলো কেটে ফেলো। [বর্ননাকারী] মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমার ধারণা, বদ নজর থেকে বাঁচার জন্য এই পট্টি বাঁধা হত।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৫০ঃ ঘোড়ার প্রতিপালন ও রক্ষনাবেক্ষনে যত্নবান হওয়া ও এর নিতম্বে হাত বুলানো
২৫৫৩. আবু ওয়াহব আল-জুশামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেন, তোমরা [যুদ্ধের জন্য] ঘোড়া প্রস্তুত রাখবে এবং এর কপালের চুল ও নিতম্বে হাত বুলাবে। অথবা তিনি বলিয়াছেন, এর নিতম্বে হাত বুলাবে এবং গলায় মালা পরাবে, কিন্তু ধনুকের তারের মালা পরাবে না।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ–৫১ঃ পশুর গলায় ঘন্টা ঝুলানো
২৫৫৪. উম্মু হাবীবাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেন, যে দলের পশুর গলায় ঘন্টা থাকে রহমাতের [ফেরেশতা] তাহাদের সঙ্গী হয় না।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৫৫৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেন, রহমাতের ফেরেশতা তাহাদের সংগী হয় না যাদের মধ্যে ঘন্টা কিংবা কুকুর থাকে।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৫৫৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেন, ঘন্টা [নুপুর] শয়তানের বাদ্যযন্ত্র।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৫২ঃ পায়খানাখোর পশুর পিঠে চড়া
২৫৫৭. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, পায়খানাখোর পশুর পিঠে সওয়ার হইতে নিষেধ করা হয়েছে।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৫৫৮. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পায়খানাখোর উটে সওয়ার হইতে নিষেধ করেছেন।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ–৫৩ঃ যে ব্যক্তি নিজ পশুর নাম রাখে
২৫৫৯. মুআয [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি উফাইর নামীয় একটি গাধার পিঠে নাবী [সাঃআঃ] এর পিছনে আরোহী ছিলাম।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৫৪ঃ হে আল্লাহর অশ্বারোহী! ঘোড়ায় চড়ো – এ বলে যুদ্ধযাত্রার ডাক দেয়া
২৫৬০. সামুরাহ ইবনি জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান বর্ণনার পর বলিলেন, আমরা ভীত হয়ে পড়লে নাবী [সাঃআঃ] আমাদের ঘোড়াকে আল্লাহর ঘোড়া নামে ডাকতেন। আর আমরা ভীত হয়ে পড়লে বা যুদ্ধে লিপ্ত হলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে সংঘবদ্ধ থাকতে, ধৈর্য ধরতে এবং ধীরস্থির অবলম্বনের আদেশ দিতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ–৫৫ঃ পশুকে অভিশম্পাত করা নিষেধ
২৫৬১. ইমরান ইবনি হুসাইন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] এক সফরে পথিমধ্যে অভিশাপের শব্দ শুনতে পেয়ে জিজ্ঞেস করিলেনঃ এটা কে? সাহাবীগণ বলিলেন এটা অমুক মহিলা, সে তার সওয়ারী পশুকে অভিশাপ দিচ্ছে। নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, এর পিঠ থেকে পালান নামিয়ে ফেলো। কেননা এটা অভিশপ্ত। লোকেরা তাই করলো। ইমরান [রাদি.] বলেন, আমি যেন এখনো ঐ সাদা-কালো বর্ণের উস্ট্রীটি দেখিতে পাচ্ছি।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৫৬ঃ জন্তুদের মধ্যে লড়াই লাগানো
২৫৬২. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] চতুস্পদ জন্তুদের মধ্যে লড়াই লাগাতে নিষেধ করেছেন।
দুর্বলঃ যইফ সুনান আত-তিরমিজি [২৮৭/১৭৭৬], যইফ আল-জামিউস সাগীর [৬০৩৬], গায়তুল মারাম [৩৮৩]। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ–৫৭ঃ জন্তুর গায়ে দাগ দেয়া
২৫৬৩. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার নবজাত ভাইয়ের তাহনীক করিতে তাহাকে নিয়ে নাবী [সাঃআঃ] এর কাছে উপস্থিত হই। এ সময় তিনি খোঁয়াড়ের মধ্যে মেষের শরীরে দাগ দিচ্ছিলেন। বর্ণনাকারী শুবাহ বলেন, আমার ধারণা, হিশাম মেষপালের কানে দাগ দেয়ার কথা বলিয়াছেন।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৫৮ঃ মুখমণ্ডলে দাগ দেয়া এবং আঘাত করা নিষেধ
২৫৬৪. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একদা নাবী [সাঃআঃ] এর নিকট দিয়ে মুখমণ্ডলে দাগ দেয়া একটি গাধা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনি বলিলেনঃ তোমরা কি জানতে পারোনি, যে ব্যক্তি তার পশুর চেহারায় দাগ দেয় বা প্রহার করে আমি তাহাকে অভিশম্পাত করেছি। [বর্ণনাকারী বলেন] অতঃপর তিনি [সাঃআঃ] এরূপ করিতে নিষেধ করিলেন।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৫৯ঃ ঘোটকী ও গাধার মিলন ঘটানো অনুচিত
২৫৬৫. আলী ইবনি আবু তালিব [রাঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে একটি খচ্চর উপঢৌকন দেয়া হয়। তিনি এর উপর আরোহণ করিলেন। তখন আলী [রাদি.] বলিলেন, আমরা গাধা ও ঘোটকীর যৌনমিলন ঘটাতে পারলে আমাদেরও এরূপ খচ্চর হতো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃনিঃসন্দেহে মূর্খরাই এরূপ করে থাকে।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৬০ঃ এক পশুতে তিনজন আরোহণ
২৫৬৬. আবদুল্লাহ ইবনি জাফার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] কোন সফর থেকে ফিরে আসলে তাঁকে অভ্যর্থনার জন্য আমাদের [ছোটদের] নিয়ে যাওয়া হতো। আমাদের মধ্যে যে সবার আগে তাহাঁর নিকট পৌঁছতো, তিনি তাহাকে তাহাঁর বাহনের সামনে বসাতেন। একদা আমাকে সবার আগে পেয়ে তিনি তাহাঁর বাহনের সামনের আসনে আমাকে বসালেন, অতঃপর হাসান বা হুসাইন [রাদি.]-কে পৌঁছানো হলো। তিনি তাঁকে পিছনের আসনে বসালেন। আর আমরা [তিনজন] আরোহী অবস্থায় মাদীনায় প্রবেশ করলাম।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৬১ঃ বিনা প্রয়োজনে পশুর পিঠে বসে থাকা অনুচিত
২৫৬৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা তোমাদের পশুর পিঠকে মিম্বার বানানো হইতে সাবধান। কেননা আল্লাহ পশুকে তোমাদের অনুগত করেছেন তোমাদের এক জনপদ থেকে আরেক জনপদে পৌঁছার জন্য, যেখানে তোমরা দৈহিক কষ্ট ছাড়া পৌঁছাতে সক্ষম হইতে না। তিনি যমীনকে তোমাদের বসবাসের উপযোগী করেছেন। তোমরা এর উপর নিজেদের সকল প্রয়োজন পূরণ করো।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৬২ঃ আরোহীবিহীন ঘোড়া বা উট
২৫৬৮. সাঈদ ইবনি আবু হিন্দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবু হুরায়রা [রাদি.] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ কিছু উট শয়তানের জন্য এবং কিছু ঘরও শয়তানের জন্য। যে উট শহয়তানের জন্য তা আমি দেখেছি। তোমাদের কেউ আরোহীবিহীন উট নিয়ে বের হয় এবং তা খুব মোটাতাজা করে। সে এর পিঠে কাউকে চড়ায় না। পায়ে হাঁটতে অক্ষম ভাইকে যেতে দেখেও তার উটে চড়ায় না। আর যে ঘরটি শয়তানের জন্য সেটা আমি দেখি নি। সাঈদ [রাদি.] বলিতেন, আমার মতে, শয়তানের ঘর হচ্ছে উটের ঐ হাওদা যা লোকেরা রেশমের কাপড়ে ঢেকে রাখে।
হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ–৬৩ঃ দ্রুত গতিতে পথ চলা
২৫৬৯. আবু হুরাইরাহ [রাঃ] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা যখন তৃণভূমি দিয়ে সফর করিবে তোমাদের উটের হক আদায় করিবে [ঘাস খাওয়াবে]। আর শুষ্ক এলাকায় ভ্রমণ করলে দ্রুত গতিতে চলবে। তোমরা রাত যাপন করিতে চাইলে পথ থেকে সরে যাবে।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৫৭০. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] সূত্রে অনুরূপ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। নাবী [সাঃআঃ] এর বাণীতে হাক্কাহা শব্দের পর এও আছেঃ তোমরা [রাত যাপনের জন্য চেনা জায়গায় তাঁবু ফেলবে] গন্তব্যস্থল অতিক্রম করিবে না।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৬৪ঃ রাতের প্রথমভাগে ভ্রমণ করা
২৫৭১. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমাদের রাতের প্রথমাংশে সফর করা উচিত। কেননা রাতের বেলা যমীন সংকুচিত হয়।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৬৫ঃ বাহনের মালিক সামনের দিকে বসার অধিক হকদার
২৫৭২. আবদুল্লাহ ইবনি বুরাইদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার পিতা বুরাইদাহ [রাদি.]- কে বলিতে শুনিয়াছি, একদিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হেঁটে যাচ্ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি একটি গাধা নিয়ে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আরোহণ করুন। এ বলে লোকটি একটু পিছনে সরে গেলো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ না, আমার চেয়ে তুমিই সামনের দিকে বসার অধিক হকদার। অবশ্য তুমি আমার জন্য তা ছেড়ে দিলে [ভিন্ন কথা]। সে বললো, আমি তা আপনার জন্য ছেড়ে দিলাম। অতঃপর তিনি তাতে আরোহণ করিলেন।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ–৬৬ঃ যুদ্ধক্ষেত্রে পশুর পা কেটে ফেলা
২৫৭৩. ইবনি আব্বাস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার পিতা আব্বাস ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি জুবাইরের সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
এ হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমার দুধ পিতা বলিয়াছেন, যিনি মুতার যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুকরাহ ইবনি আওফ গোত্রের লোক ছিলেন। তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি যেন জাফারকে দেখছি, তিনি তার উজ্জ্বল লাল বর্ণের ঘোড়ার পিঠ থেকে লাফিয়ে পড়ছেন। তিনি এর পা কেটে ফেললেন [যেন শত্রুরা এটি ব্যবহার করিতে না পারে] অতঃপর শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে করিতে শহীদ হলেন। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এ হাদিস শক্তিশালী নয়।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ–৬৭ঃ দৌড় প্রতিযোগিতা
২৫৭৪. আবু হুরাইরাহ [রাঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ উটের দৌড়, ঘোড়ার দৌড় অথবা তীরের ফলা ছাড়া অন্য কোন প্রতিযোগিতা বাজি ধরা জায়িয নয়।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৫৭৫. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাঃ] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] হাফিয়া থেকে সানিয়্যাতুল বিদা নামক উপত্যকা পর্যন্ত সীমা নির্দিষ্ট করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঘোড়াগুলোর মধ্যে দৌড় প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করিলেন। আর প্রশিক্ষণহীন ঘোড়াগুলোর মধ্যে তিনি দৌড় প্রতিযোগিতা করান সানিয়্যাতুল বিদা হইতে যুরাইক গোত্রের মাসজিদ পর্যন্ত। আবদুল্লাহ [রাদি.] ছিলেন উক্ত প্রতিযোগিতার অন্যতম বিজয়ী।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৫৭৬. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] প্রতিযোগিতার দৌড়ের মাধ্যমে ঘোড়াকে ছিপছিপে ও সুঠাম করাতেন।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৫৭৭. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] ঘোড়াদৌড়ের প্রতিযোগিতা করাতেন এবং পাঁচ বছর বয়সে পদার্পণকারী ঘোড়ার জন্য দূরত্ব নির্দিষ্ট করিতেন।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৬৮ঃ লোকদের মাঝে দৌড় প্রতিযোগিতা
২৫৭৮. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি এক সফরে নাবী [সাঃআঃ] এর সাথে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি তাহাঁর সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা করে তাহাঁর আগে চলে গেলাম। অতঃপর আমি মোটা হয়ে যাওয়ার পর তাহাঁর সাথে আবারো দৌড় প্রতিযোগিতা করলাম, এবার তিনি আমাকে পিছে ফেলে দিলেন বিজয়ী হলেন। তিনি বলেনঃ এই বিজয় সেই বিজয়ের বদলা।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৬৯ঃ দুজনের বাজির মধ্যে তৃতীয় প্রবেশকারী
২৫৭৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি প্রতিযোগিতায় রত দুটি ঘোড়ার মধ্যে তৃতীয় ঘোড়া প্রবেশ করাবে- অর্থাৎ প্রতিযোগিতায় তার ঘোড়া অন্যগুলোকে অতিক্রম করিবে বলে নিশ্চিত নয়-তাহলে এটা জুয়া নয়। আর যে ব্যক্তি দৌড় প্রতিযোগিতায় দুটি ঘোড়ার মাঝে তার ঘোড়া প্রবেশ করলো এবং সে নিশ্চিত যে, তার ঘোড়া অন্যগুলোকে অতিক্রম করে যাবে, তা জুয়া গণ্য হইবে।
দুর্বলঃ যয়ীফ আল-জামিউস সাগীর [৫৩৭১], যয়ীফ সুনান ইবনি মাজাহ [৬২৭/২৮৭৬] হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৫৮০. আয-যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আব্বাদের সনদ সূত্রে অনুরূপ বর্ণীত হয়েছে। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, উপরোক্ত হাদিস মামার, শুআইব ও উক্বাইর- আয-যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] একদল জ্ঞানী ব্যক্তির সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আমাদের মতে এই সনদ
সর্বাধিক সহিহ। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ–৭0ঃ ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগিতায় ঘোড়াকে তাড়া দেওয়া
২৫৮১. ইমরান ইবনি হুসাইন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ টানা বা তাড়া দেয়া বা খোঁচা মারা বৈধ নেই। ইয়াহইয়া [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার হাদিসে রিহান [ঘোড়দৌড়] শব্দটিও উল্লেখ করেছেন।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৫৮২. ক্বাতাদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় ঘোড়াকে তাড়া দেয়া ও পার্শ্বে খোঁচা মারা হয়।
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু
অনুচ্ছেদ–৭১ঃ তরবারি অলংকার করা
২৫৮৩. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] তরবারির বাঁট রূপা দিয়ে বাঁধানো ছিল।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৫৮৪. সাঈদ ইবনি আবুল হাসান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] তরবারির বাঁটের অগ্রভাগ রূপা দিয়ে বাঁধানো ছিল। ক্বাতাদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, কেউ এ হাদিসের সমার্থক হাদিস বর্ণনা করেছেন বলে আমার জানা নেই।
সহিহ। এর পূর্বেরটি দ্বারা [২৫৮৩]।ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৫৮৫. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
উপরের হাদিসের অনুরূপ হাদিস বর্ণিত। আবু দাউদ [রাদি.] বলেন, উল্লেখিত বর্ণনাগুলোর মধ্যে সাঈদ ইবনি আবুল হাসান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এর হাদিস অধিক শক্তিশালী, এছাড়া অন্য সবগুলো দুর্বল।
সহিহ। এর পূর্বেরটি দ্বারা [২৫৮৪]। ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৭২ঃ তীরসহ মাসজিদে প্রবেশ
২৫৮. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যক্তি মাসজিদের মধ্যে তীর বিতরণ করছিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাকে মাসজিদ অতিক্রমকালে তীরের ফলা ধরে রাখার নির্দেশ দিলেন।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৫৮৭. আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমাদের কেউ তার তীরসহ আমাদের মসজিদ বা বাজার অতিক্রম করলে সে যেন তীরে সংযত রাখে অথবা তিনি বলেনঃ সে যেন তীরে ফলা মুষ্টিবদ্ধ করে রাখে। কেননা তা কোন মুসলিমের গায়ে লেগে যেতে পারে।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৭৩ঃ খোলা তরবারি লেনদেন নিষেধ
২৫৮৮. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] খোলা তরবারি আদান-প্রদান করিতে নিষেধ করেছেন।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৭৪ঃ দুই আঙ্গুলের মাঝখানের চামড়া কাটা নিষেধ
২৫৮৯. সামুরাহ ইবনি জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুই আঙ্গুলের মাঝখানের চামড়া কাটতে বারণ করেছেন।
দুর্বলঃ যয়ীফ আল-জামিউস সাগীর [৬০২২], মিশকাত [৩৫২৭]। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ–৭৫ঃ লৌহবর্ম পরিধান
২৫৯০.আস-সায়িব ইআস-সায়িব ইবনি ইয়াযীদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]বনু ইয়াযীদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আস-সায়িব ইবনি ইয়াযীদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে বর্ণনা করেন যে, উহুদের যুদ্ধের দিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দুটি বর্ম পরিধান করে বের হলেন।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭৬ঃ রসূলুccল্লাহর [সাঃআঃ] পতাকা
২৫৯১. মুহাম্মাদ ইবনিল ক্বাসিমের মুক্তদাস ইউনুস ইবনি উবাইদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] পতাকা কিরূপ ছিল তা জিজ্ঞেস করার জন্য মুহাম্মাদ ইবনিল ক্বাসিম আমাকে আল-বারাআ ইবনি আযিব [রাদি.] এর নিকট প্রেরণ করেন। তিনি [বারাআ] বলিলেন, তাহাঁর পতাকা ছিল কালো রঙের এবং বর্গাকৃতির যা চিতাবাগের [চামড়ার] ন্যায়।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৫৯২. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
জাবির [রাদি.] মারফুভাবে নাবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণনা করেন যে, মাক্কাহ্য় প্রবেশের দিন তাহাঁর পতাকা ছিল সাদা রঙের।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৫৯৩. সিমাক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি হইতে এবং তিনি আরেক ব্যক্তির সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
আমি নাবী [সাঃআঃ] এর পতাকা দেখেছি। তা ছিল হলুদ রঙের।
হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ–৭৭ঃ অক্ষম ঘোড়া ও দুর্বল লোকের সাহায্য দান
২৫৯৪. জুবাইর ইবনি নুফাইর আল-হাদরামী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি আবু দারদা [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ তোমরা দুর্বল লোকদেরকে খোঁজ করে আমার কাছে নিয়ে এসো। কেননা তোমরা তোমাদের মধ্যকার দুর্বল লোকদের ওয়াসিলায় রিয্বিক এবং সাহায্য প্রাপ্ত হয়ে থাকো।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৭৮ঃ যুদ্ধে সাংকেতিক নামে ডাকা
২৫৯৫. সামুরাহ ইবনি জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, মুহাজিরদের সাংকেতিক ডাক ছিল আবদুল্লাহ, আর আনসারদের সাংকেতিক ডাক ছিল আবদুর রহমান।
হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৫৯৬. ইয়্যাস ইবনি সালামাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ
তিনি [সালামাহ] বলেন, আমরা রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] যুগে আবু বকর [রাদি.] এর সেনাপতিত্বে যুদ্ধ করেছিলাম। সে সময় আমাদের সাংকেতিক ডাক ছিল আমিত, আমিত।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
২৫৯৭. মুহাল্লাব ইবনি আবু সুফরাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি আমাকে জানালেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ তোমরা রাতের অন্ধকারে শত্রুবাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হলে তোমাদের সাংকেতিক পরিচয় হইবে, হা-মীম লা ইউনসারূন।
ইসলামের যুদ্ধ নীতি এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply