ইলমের ফযীলত [জ্ঞান ও শিক্ষা] বিষয়ক অধ্যায়
ইলমের ফযীলত [জ্ঞান ও শিক্ষা] বিষয়ক অধ্যায় >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর একটি পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পরিচ্ছেদ – ২৪১: ইলমের ফযীলত
আল্লাহ বলেন,
﴿ وَقُل رَّبِّ زِدۡنِي عِلۡمٗا ١١٤ ﴾ [طه: ١١٤]
অর্থাৎ বল, হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি কর। [ত্বা-হা ১১৪ আয়াত]
তিনি অন্যত্র বলেন,
﴿ قُلۡ هَلۡ يَسۡتَوِي ٱلَّذِينَ يَعۡلَمُونَ وَٱلَّذِينَ لَا يَعۡلَمُونَۗ ٩ ﴾ [الزمر: ٩]
অর্থাৎ বল, যারা জানে এবং যারা জানে না তারা কি সমান? [যুমার ৯ আয়াত]
আল্লাহ আরও বলেন,
﴿ يَرۡفَعِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡ وَٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ دَرَجَٰتٖۚ ١١ ﴾ [المجادلة: ١١]
অর্থাৎ যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাহাদেরকে বহু মর্যাদায় উন্নত করবেন। [মুজাদালা ১১ আয়াত]
তিনি অন্য জায়গায় বলেন,
﴿ إِنَّمَا يَخۡشَى ٱللَّهَ مِنۡ عِبَادِهِ ٱلۡعُلَمَٰٓؤُاْۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ غَفُورٌ ٢٨ ﴾ [فاطر: ٢٨]
অর্থাৎ আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই তাঁকে ভয় করে থাকে। [ফাত্বের ২৮ আয়াত]
১৩৮৪. মুআবিয়াহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকেই দ্বীনী জ্ঞান দান করেন।”
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৭১, ৩১১৬, ৩৬৪১, ৭৩১২, ৭৪৬০, মুসলিম ১০৩৭, ইবনু মাজাহ ২২১, আহমাদ ১৬৩৯২, ১৬৪০৭, ১৬৪১৮, ১৬৪৩২, ১৬৪৪৬, ১৬৪৪৫১, ১৬৪৬০, ১৬৪৭৬, মুওয়াত্তা মালিক ১৬৬৭, দারেমী ২২৪, ২২৬) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৩৮৫,ইবনে মাসঊদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “কেবল দু’জন ব্যক্তি ঈর্ষার পাত্র। সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ ধন-সম্পদ দান করিয়াছেন এবং তাকে তা সৎপথে ব্যয় করার শক্তিও দিয়েছেন। আর সেই লোক যাকে আল্লাহ জ্ঞান-বুদ্ধি দান করিয়াছেন, যার বদৌলতে সে বিচার-ফায়সালা করে থাকে ও তা অপরকে শিক্ষা দেয়।”
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৭৩, ১৪০৯, ৭১৪১, ৭৩১৬, মুসলিম ৮১৬, ইবনু মাজাহ ৪২০৮, আহমাদ ৩৬৪৩, ৪০৯৮) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৩৮৬. আবু মুসা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে সরল পথ ও জ্ঞান দিয়ে আমাকে পাঠানো হয়েছে তা ঐ বৃষ্টি সদৃশ যা যমীনে পৌঁছে। অতঃপর তার উর্বর অংশ নিজের মধ্যে শোষণ করে। অতঃপর তা ঘাস এবং প্রচুর শাক-সবজি উৎপন্ন করে। এবং তার এক অংশ চাষের অযোগ্য (খাল জমি); যা পানি আটকে রাখে। ফলে আল্লাহ তা‘আলা তার দ্বারা মানুষকে উপকৃত করেন। সুতরাং তারা তা হইতে পান করে এবং (পশুদেরকে) পান করায়, জমি সেচে ও ফসল ফলায়। তার আর এক অংশ শক্ত সমতল ভূমি; যা না পানি শোষণ করে, না ঘাস উৎপন্ন করে। এই দৃষ্টান্ত ঐ ব্যক্তির যে আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে জ্ঞানার্জন করল এবং আমি যে হিদায়াত ও জ্ঞান দিয়ে প্রেরিত হয়েছি, তার দ্বারা আল্লাহ তাকে উপকৃত করলেন। সুতরাং সে (নিজেও) শিক্ষা করল এবং (অপরকেও) শিক্ষা দিল। আর এই দৃষ্টান্ত ঐ ব্যক্তিরও যে এ ব্যাপারে মাথাও উঠাল না এবং আল্লাহর সেই হিদায়াতও গ্রহণ করল না, যা দিয়ে আমি প্রেরিত হয়েছি।”
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৭৯, মুসলিম ২২৮২, আহমাদ ২৭৬৮২) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৩৮৭. সাহ্ল ইবনে সা’দ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (খায়বার যুদ্ধের সময়) আলী রাঃআঃ-কে সম্বোধন করে বললেন, “আল্লাহর শপথ! তোমার দ্বারা একটি মানুষকেও যদি আল্লাহ সৎপথ দেখান, তবে তা (আরবের মহামূল্যবান) লাল উঁটনী অপেক্ষা উত্তম হবে।”
(সহীহুল বুখারী শরীফ ২৯৪২, ৩০০৯, ৩৭০১, ৪২১০, মুসলিম ২৪০৬, আবু দাঊদ ৩৬৬১, আহমাদ ২২৩১৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৩৮৮. আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আম্র ইবনে আ’স রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “আমার পক্ষ থেকে জনগণকে (আল্লাহর বিধান) পৌঁছে দাও, যদিও একটি আয়াত হয়। বনী-ইসরাঈল থেকে (ঘটনা) বর্ণনা কর, তাতে কোন ক্ষতি নেই। আর যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা (বা জাল হাদীস) আরোপ করল, সে যেন নিজ আশ্রয় জাহান্নামে বানিয়ে নিলো।”
(সহীহুল বুখারী শরীফ ১০৭, ইবনু মাজাহ ৩৬, আবু দাঊদ ৩৬৫১, আহমাদ ১৪১৬, ১৪৩১, দারেমী ২৩৩) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৩৮৯. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি এমন পথে গমন করে; যাতে সে বিদ্যা অর্জন করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের রাস্তা সহজ করে দেন।”
(মুসলিম ২৬৯৯, ২৭০০, তিরমিজী ১৪২৫, ১৯৩০, ২৬৪৬, ২৯৪৫৪, আবু দাঊদ ১৪৫৫, ৪৯৪৬, ইবনু মাজাহ ২২৫, আহমাদ ৭৩৭৯, ৭৮৮২, ১০১১৮, ১০২৯৮, দারেমী ৩৪৪) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৩৯০. উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সৎপথের দিকে আহ্বান জানাবে, সে তার অনুসারীদের সমতুল্য নেকীর অধিকারী হবে; তাতে তাদের নেকীর কিছুই হ্রাস পাবে না।”
(মুসলিম ২৬৭৪, তিরমিজী ২৬৭৪, আবু দাঊদ ৪৬০৯, আহমাদ ৮৯১৫, দারেমী ৫১৩) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৩৯১. উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “আদম সন্তান যখন মারা যায়, তখন তার তিন প্রকার আমল ছাড়া অন্য সব রকম আমলের ধারা বন্ধ হয়ে যায়; সাদকাহ জারিয়াহ (বহমান দান খয়রাত, মসজিদ নির্মাণ করা, কূপ খনন করে দেওয়া ইত্যাদি) অথবা ইল্ম (জ্ঞান সম্পদ) যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় অথবা সুসন্তান যে তার জন্য নেক দু‘আ করতে থাকে।”
(মুসলিম ১৬৩১, তিরমিজী ১৩৭৬, নাসাঈ ৩৬৫১, আবু দাঊদ ২৮৮০, ৩৫৪০, আহমাদ ৮৬২৭, দারেমী ৫৫৯) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৩৯২. উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, “ইহজগৎ অভিশপ্ত, এর মধ্যে যা কিছু আছে সব অভিশপ্ত। তবে মহান আল্লাহর যিক্র ও তার সংশ্লিষ্ট ক্রিয়া (তাঁর আনুগত্য) এবং আলেম অথবা তালিবে ইলমের কথা স্বতন্ত্র।”
(তিরমিজী ২৩২২, ইবনু মাজাহ ৪১১২) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
১৩৯৩. আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে লোক জ্ঞানার্জন করার জন্য বের হয় সে ফিরে না আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় (জিহাদের মাঝে) আছে বলে গণ্য হয়।
(ইমাম তিরমিজী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন) (প্রথমে হাদীসটিকে যঈফ (দুর্বল) বললেও পরবর্তীতে শাইখ আলবানী হাসান লিগাইরিহি আখ্যা দেন। দেখুন “সহীহ্ তারগীব অত্তারহীব” (৮৮) ও “মুখতাসারু কিতাবিল ই‘লাম বেআখিরি আহকামিল আলবানী আলইমাম” (২২০)। অতএব এ হাদীসটি দুর্বল নয় বরং হাসান লিগাইরিহি।) হাদীসটির মানঃ হাসান লিগাইরিহি
১৩৯৪. আবু সা‘ঈদ খুদরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মু‘মিনকে কল্যাণ (দ্বীনের জ্ঞান) কখনো তৃপ্তি দিতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তার শেষ গন্তব্য জান্নাতে পৌঁছে।
যঈফ (তিরমিজী হাদীসটিকে হাসানা বলেছেন) (আমি (আলবানী) বলছিঃ বরং হাদীসটি দুর্বল। যেমনটি আমি “আলমিশকাত” গ্রন্থে (২২২) এ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। উল্লেখ্য আবুল হায়াসাম হইতে বর্ণনাকারী দাররাজের বর্ণনা সহীহ্ নয় বরং দুর্বল। শু‘য়াইব আলআরনাঊতও হাদীসটিকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। দেখুন আবু আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ্ নায়াঅনী কর্তৃক লিখিত গ্রন্থঃ “মাজমূ‘আতুল আহাদীসুয য‘ঈফাহ্ ফী কিতাবি রিয়াযিস সালেহীন” (২৬)।)
হাদীসটির মানঃ দুর্বল হাদীস
১৩৯৫. আবু উমামাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “আলেমের ফযীলত আবেদের উপর ঠিক সেই রূপ, যেরূপ আমার ফযীলত তোমাদের উপর।” তারপর আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “নিশ্চয় আল্লাহ, তাঁর ফিরিশ্তাকুল, আসমান-যমীনের সকল বাসিন্দা এমনকি গর্তের মধ্যে পিঁপড়ে এবং (পানির মধ্যে) মাছ পর্যন্ত মানবমন্ডলীর শিক্ষাগুরুদের জন্য মঙ্গল কামনা ও নেক দু‘আ করে থাকে।”
(তিরমিজী ২৬৮৫, দারেমী ২৮৯) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
১৩৯৬. আবু দারদা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, “যে ব্যক্তি এমন পথে গমন করে, যাতে সে জ্ঞানার্জন করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সুগম করে দেন। আর ফিরিশ্তাবর্গ তালেবে ইলমের জন্য তার কাজে প্রসন্ন হয়ে নিজেদের ডানাগুলি বিছিয়ে দেন। অবশ্যই আলেম ব্যক্তির জন্য আকাশ-পৃথিবীর সকল বাসিন্দা এমনকি পানির মাছ পর্যন্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে। আবেদের উপর আলেমের ফযীলত ঠিক তেমনি, যেমন সমগ্র নক্ষত্রপুঞ্জের উপর পূর্ণিমার চাঁদের ফযীলত। উলামা সম্প্রদায় পয়গম্বরদের উত্তরাধিকারী। আর এ কথা সুনিশ্চিত যে, পয়গম্বরগণ কোন রৌপ্য বা স্বর্ণ মুদ্রার কাউকে উত্তরাধিকারী বানিয়ে যাননি; বরং তাঁরা ইল্মের (দ্বীনী জ্ঞানভাণ্ডারের) উত্তরাধিকারী বানিয়ে গেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তা অর্জন করল, সে পূর্ণ অংশ লাভ করল।”
(আবু দাঊদ ৩৬৪১, দারেমী ৩৪২ ) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৩৯৭. ইবনে মাসঊদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি যে, “আল্লাহ সেই ব্যক্তির শ্রীবৃদ্ধি করুন, যে ব্যক্তি আমার নিকট থেকে (আমার কোন) হাদীস শুনে যথাযথরূপে হুবহু অপরকে পৌঁছে দেয়। কেননা, যাকে হাদীস বর্ণনা করা হয় এমনও হইতে পারে যে, সে শ্রোতা অপেক্ষা অধিক উপলব্ধিকারী ও স্মৃতিধর।”
(তিরমিজী ২৬৫৭, ২৬৫৮, দারেমী ৩৪২) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
১৩৯৮. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যাকে ধর্মীয় জ্ঞান বিষয়ক কোন কথা জিজ্ঞাসা করা হয়, আর সে (যদি উত্তর না দিয়ে) তা গোপন করে, কিয়ামতের দিন তাকে (জাহান্নামের) আগুনের লাগাম পরানো হবে।”
(তিরমিজী ২৬৪৯, ইবনু মাজাহ ২৬৬, আহমাদ ৭৫১৭, ৭৮৮৩, ৭৯৮৮, ৮৩২৮, ৮৪২৪, ১০০৪৮) হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
১৩৯৯. উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি এমন কোন জ্ঞান অর্জন করল, যার দ্বারা আল্লাহ আয্যা অজাল্লার সন্তুষ্টি লাভ করা যায়, তা সে কেবল পার্থিব স্বার্থ লাভের উদ্দেশ্যে অর্জন করল, কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তি জান্নাতের সুগন্ধ পর্যন্ত পাবে না।”
(আবু দাঊদ ৩৬৬৪, ইবনু মাজাহ ২৫২, আহমাদ ৮২৫২) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
১৪০০. ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আম্র ইবনে আ’স রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, “নিঃসন্দেহে আল্লাহ লোকদের নিকট থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ইল্ম তুলে নেবেন না; বরং উলামা সম্প্রদায়কে তুলে নেওয়ার মাধ্যমে ইল্ম তুলে নেবেন (অর্থাৎ, , আলেম দুনিয়া থেকে শেষ হয়ে যাবে।) অবশেষে যখন কোন আলেম বাকি থাকবে না, তখন জনগণ মূর্খ অনভিজ্ঞ ব্যক্তিদেরকে নেতা বানিয়ে নেবে এবং তাদেরকে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করা হবে, আর তারা না জেনে ফতোয়া দেবে, ফলে তারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে এবং অপরকেও পথভ্রষ্ট করিবে।”
(সহীহুল বুখারী শরীফ ১০০, ৭৩০৭, মুসলিম ২৬৭৩, তিরমিজী ২৬৫২, ইবনু মাজাহ ৫২, আহমাদ ৬৪৭৫, ৬৭৪৮, ৬৮৫৭, দারেমী ২৩৯) হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply