ইফতার করার সঠিক নিয়ম এবং সায়িমের জন্য কখন ইফতার করা বৈধ

ইফতার করার সঠিক নিয়ম এবং সায়িমের জন্য কখন ইফতার করা বৈধ

ইফতার করার সঠিক নিয়ম এবং সায়িমের জন্য কখন ইফতার করা বৈধ >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৩০, সাওম, অধ্যায়ঃ (৪৩-৪৬)=৪টি

৩০/৪৩. অধ্যায়ঃ সায়িমের জন্য কখন ইফতার করা বৈধ ।
৩০/৪৪. অধ্যায়ঃ পানি বা অন্য কিছু যা সহজলভ্য তদ্বারা ইফতার করিবে ।
৩০/৪৫. অধ্যায়ঃ শীঘ্র ইফতার করা
৩০/৪৬. অধ্যায়ঃ রমযানে ইফতারের পরে যদি সূর্য (আবার) দেখা যায় ।

৩০/৪৩. অধ্যায়ঃ সায়িমের জন্য কখন ইফতার করা বৈধ ।

সূর্যের গোলাকার বৃত্ত অদৃশ্য হওয়ার সাথে সাথেই আবু সাঈদ খুদরী (রাদি.) ইফতার করিতেন ।

১৯৫৪. উমার ইবনু খাত্তাব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যখন রাত্র সে দিক হইতে ঘনিয়ে আসে ও দিন এ দিক হইতে চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায়, তখন সায়িম ইফতার করিবে।

১৯৫৫. আবদুল্লাহ ইবনু আবু আওফা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, কোন এক সফরে আমরা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর সাথে ছিলাম। আর তিনি ছিলেন সওমের অবস্থায়। যখন সূর্য ডুবে গেল তখন তিনি দলের কাউকে বললেনঃ হে অমুক! উঠ। আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। সে বলিল, সন্ধ্যা হলে ভাল হতো। তিনি বললেনঃনেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। সে বলিল, হে আল্লাহর রাসুল! সন্ধ্যা হলে ভাল হতো। তিনি বললেনঃ নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। সে বলিল, দিন তো এখনো রয়ে গেছে। তিনি বললেনঃ তুমি নামো এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। অতঃপর সে নামল এবং তাঁদের জন্য ছাতু গুলে আনল। আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তা পান করিলেন, অতঃপর বললেনঃ যখন তোমরা দেখবে, রাত একদিক হইতে ঘনিয়ে আসছে, তখন সাওম পালনকারী ইফতার করিবে।

৩০/৪৪. অধ্যায়ঃ পানি বা অন্য কিছু যা সহজলভ্য তদ্বারা ইফতার করিবে ।

১৯৫৬. আবদুল্লাহ ইবনু আবু আওফা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে রওয়ানা দিলাম এবং তিনি সাওমরত ছিলেন। সূর্য অস্ত যেতেই তিনি বললেনঃ তুমি সওয়ারী হইতে নেমে আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আর একটু সন্ধ্যা হইতে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! এখনো তো আপনার সামনে দিন রহিয়াছে। আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বললেনঃ তুমি নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলে আন। অতঃপর তিনি সওয়ারী হইতে নামলেন এবং ছাতু গুলে আনলেন। এরপর আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) আঙ্গুল দ্বারা পূর্বদিক ইঙ্গিত করে বললেনঃ যখন তোমরা দেখবে যে, রাত এদিক হইতে আসছে, তখনই সাওম পালনকারীর ইফতারের সময় হয়ে গেল।

৩০/৪৫. অধ্যায়ঃ শীঘ্র ইফতার করা

১৯৫৭. সাহল ইবনু সাদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন: লোকেরা যতদিন শীঘ্র ইফতার করিবে [১], ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।

(আবু দাউদ ২২৫৩, ইবনু মাজাহ ১৬৯৮)

১৯৫৮. ইবনু আবু আওফা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক সফরে আমি নাবী (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি সন্ধ্যা পর্যন্ত সাওম পালন করেন। এরপর এক ব্যক্তিকে বললেনঃ সওয়ারী হইতে নেমে ছাতু গুলে আন। লোকটি বলিল, আপনি যদি (পূর্ণ সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত) অপেক্ষা করিতেন। তিনি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) পুনরায় বললেনঃ নেমে আমার জন্য ছাতু গুলে আন। [তারপর আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলিলেন] যখন তুমি এদিক (পূর্বদিক) হইতে রাত্রির আগমন দেখিতে পাবে তখন সাওম পালনকারী ইফতার করিবে।

৩০/৪৬. অধ্যায়ঃ রমযানে ইফতারের পরে যদি সূর্য (আবার) দেখা যায় ।

১৯৫৯. আসমা বিনত আবু বাকর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ)-এর যুগে একদা মেঘাচ্ছন্ন দিনে আমরা ইফতার করলাম, এরপর সূর্য দেখা যায়। বর্ণনাকারী হিশামকে জিজ্ঞেস করা হল, তাদের কি কাযা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল? হিশাম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলিলেন, কাযা ব্যতীত উপায় কী? (অপর বর্ণনাকারী) মামার (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমি হিশামকে বলিতে শুনিয়াছি, তাঁরা কাযা করেছিলেন কি না তা আমি জানি না।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply