ইউনূস আঃ ও মাদইয়ান বাসীদের প্রতি তাদের ভাই শুআইব
ইউনূস আঃ ও মাদইয়ান বাসীদের প্রতি তাদের ভাই শুআইব >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৬০, আম্বিয়া কিরাম, অধ্যায়ঃ (৩৪-৩৬)=৩টি
৬০/৩৪. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণী: মাদইয়ান বাসীদের প্রতি তাদের ভাই শুআইবকে পাঠিয়েছিলাম। (আরাফ: ৮৫, হুদ: ৪৮ ও আনকাবূত: ৩৬)
৬০/৩৫. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণী: আর ইউনূসও ছিলেন রাসুলদের একজন … তারপর একটি মাছ তাকে গিলে ফেলল, তখন তিনি নিজেকে তিরস্কার করিতে লাগলেন। (আস্সাফফাত: ১৩৯-১৪২)
৬০/৩৬. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণী: আর তাদেরকে সমুদ্র তীরবর্তী জনপদবাসীদের সম্বন্ধে জিজ্ঞেস কর। যখন তারা শনিবার সীমালঙ্ঘন করতো। ( আরাফ ১৬৩)
৬০/৩৪. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণী: মাদইয়ান বাসীদের প্রতি তাদের ভাই শুআইবকে পাঠিয়েছিলাম। (আরাফ: ৮৫, হুদ: ৪৮ ও আনকাবূত: ৩৬)
——— অর্থাৎ মাদইয়ানবাসীদের প্রতি। কেননা মাদইয়ান একটি জনপদ। যেমন ————- অর্থাৎ জনপদবাসী ও যাত্রীদল। —– অর্থাৎ তোমরা তার প্রতি ফিরে তাকাওনি। যখন কারোও কোনো প্রয়োজন পুরা না করিবে, তখন বলা হয় – তুমি আমার প্রয়োজনকে পিছনে ফেলে রেখেছো। অথবা তুমি আমার প্রতি ফিরে তাকাওনি। —- অর্থ –তুমি তোমার সঙ্গে কোন বাহন অথবা বাসন রাখতে যার দ্বারা তুমি উপকৃত হইবে। ———– একই অর্থ । —– অর্থ জীবন যাপন। —- অর্থ চিন্তিত হওয়া —- অর্থ দুঃখিত হবো। হাসান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, ————- অর্থাৎ তুমি তো অবশ্যই সহিঞ্চু সদাচারী – (হূদ ৮৭)। এখানে কাফিরেরা ঠাট্টাচ্ছলে বলতো। আর মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, —– মূলতঃ —- ছিল। —- অর্থ-তাদের জন্য মেঘাচ্ছন্ন দিবসের আযাব।
৬০/৩৫. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণী: আর ইউনূসও ছিলেন রাসুলদের একজন … তারপর একটি মাছ তাকে গিলে ফেলল, তখন তিনি নিজেকে তিরস্কার করিতে লাগলেন। (আস্সাফফাত: ১৩৯-১৪২)
মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, —- অর্থ-অপরাধী —– অর্থ বোঝাই নৌযান। (আল্লাহর বাণী) সুতরাং যদি তিনি আল্লাহর তাসবীহ পাঠকারী না হইতেন- (আস্ সাফফাত ১৪৩)। অতঃপর আমি তাকে নিক্ষেপ করলাম এক ময়দানে এবং তিনি ছিলেন পীড়িত। আর আমি উৎপন্ন করলাম তার উপর এক লাউ গাছ- ( আস্ সাফফাত ১৪৫-১৪৬)। —- অর্থ- যমীনের উপরিভাগ। —- অর্থ-কাণ্ডবিহীন তৃণলতা, যেমন লাউ গাছ ও তার সদৃশ। (মহান আল্লাহর বাণী) আমি তাকে রাসুল করে পাঠিয়েছিলাম এক লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্রতি। তারা ঈমান এনেছিল, ফলে আমি তাদেরকে এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত জীবনোপভোগ করিতে দিয়েছিলাম- ( আস্ সাফফাত ১৪৭-৪৮)। (মহান আল্লাহর বাণী) অতএব, ধৈর্যধারণ করুন আপনার রবের নির্দেশের অপেক্ষায়। আপনি মাছওয়ালা ইউনুসের মত হইবেন না, যখন তিনি চিন্তায়-বিপদে আচ্ছন্ন অবস্থায় কাতর প্রার্থনা করেছিলেন- (কলম ৪৮)। ——- অর্থ-বিষাদাচ্ছন্ন।
৩৪১২. আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন এরূপ না বলে যে, আমি অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সাঃআঃ) ইউনুস (আঃ) হইতে উত্তম। মুসাদ্দাদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) অতিরিক্ত বলিলেন, ইউনুস ইবনু মাত্তা।
৩৪১৩. ইবনে আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেন, কারো জন্য এ কথা বলা উচিত নয় যে, নিশ্চয়ই আমি (মুহাম্মাদ) ইউনুস ইবনু মাত্তা হইতে উত্তম। আর নাবী (সাঃআঃ) তাঁকে (ইউনুসকে) তাহাঁর পিতার দিকে সম্পর্কিত করিয়াছেন।
৩৪১৪. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার এক ইয়াহূদী তার কিছু দ্রব্য সামগ্রী বিক্রির জন্য পেশ করছিল, তার বিনিময়ে তাকে এমন কিছু দেয়া হলো যা সে পছন্দ করিল না। তখন সে বলিল, না! সেই সত্তার কসম, যে মূসা (আঃ) –কে মানব জাতির উপর মর্যাদা দান করিয়াছেন। এ কথাটি একজন আনসারী শুনলেন, তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন। আর তার মুখের উপর এক চড় মারলেন। আর বলিলেন, তুমি বলছো , সেই সত্তার কসম! যিনি মূসাকে মানব জাতির উপর মর্যাদা দান করিয়াছেন অথচ নাবী (সাঃআঃ) আমাদের মধ্যে অবস্থান করছেন। তখন সে ইয়াহূদী লোকটি নাবী (সাঃআঃ)–এর নিকট গেলো এবং বলিল, হে আবুল কাসিম! নিশ্চয়ই আমার জন্য নিরাপত্তা এবং অঙ্গীকার রয়েছে অর্থাৎ আমি একজন যিম্মী। অমুক ব্যক্তি কী কারণে আমার মুখে চড় মারলো? তখন নাবী (সাঃআঃ) তাঁকে জিজ্ঞেস করিলেন, কেন তুমি তার মুখে চড় মারলে? আনসারী লোকটি ঘটনা বর্ণনা করলো। তখন নাবী (সাঃআঃ) রাগান্বিত হলেন। এমনকি তাহাঁর চেহারায় তা দেখা গেল। অতঃপর তিনি বলিলেন, আল্লাহর নাবীগণের মধ্যে কাউকে কারো উপর মর্যাদা দান করো না। কেননা কিয়ামতের দিন যখন শিংগায় ফুঁক দেয়া হইবে, তখন আল্লাহ যাকে চাইবেন সে ছাড়া আসমান ও যমীনের বাকী সবাই বেহুশ হয়ে যাবে। অতঃপর দ্বিতীয়বার তাতে ফুঁক দেয়া হইবে। তখন সর্বপ্রথম আমাকেই উঠানো হইবে। তখনই আমি দেখিতে পাব মূসা (আঃ) আরশ ধরে রয়েছেন। আমি জানি না, তূর পর্বতের ঘটনার দিন তিনি যে বেহুশ হয়েছিলেন, এটা কি তারই বিনিময়, না আমার আগেই তাঁকে বেহুশি থেকে উঠানো হয়েছে?
৩৪১৫. See previous Hadith. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আর আমি এ কথাও বলি না যে কোন ব্যক্তি ইউনুস ইবনু মাত্তার চেয়ে বেশি মর্যাদার অধিকারী।
৩৪১৬. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ নাবী (সাঃআঃ) বলেন, কোন বান্দার জন্যই এ কথা বলা সমীচীন নয় যে, আমি (মুহাম্মাদ) ইউনুস ইবনু মাত্তার থেকে উত্তম।
৬০/৩৬. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণী: আর তাদেরকে সমুদ্র তীরবর্তী জনপদবাসীদের সম্বন্ধে জিজ্ঞেস কর। যখন তারা শনিবার সীমালঙ্ঘন করতো। ( আরাফ ১৬৩)
—- অর্থ সীমালঙ্ঘন করতো। সমুদ্রের মাছগুলো শনিবার উদযাপনের দিন পানির উপর ভেসে তাদের নিকট আসতো। —- অর্থ পানিতে ভেসে আর যেদিন তারা শনিবার উদযাপন করতো না …… মহান আল্লাহর বাণী: —- পর্যন্ত। —- ঘৃণিত-ভীষণ অপদস্থ।
Leave a Reply